আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আবারও অনিশ্চয়তায় নেপালিভাষী ভুটানি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় লোতশাম্পার একাংশ। ভুটান থেকে এক সময় যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেই ভুটানেই আবার ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে, ভুটান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—তারা এই শরণার্থীদের গ্রহণ করবে না। ফলে, আবারও তাঁদের ঠাঁই হয়েছে নেপালের এক জীর্ণ শরণার্থীশিবিরে। শৈশবে এই শরণার্থীশিবিরে বসেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন, একদিন কোনো এক উন্নত দেশে পাড়ি জমাবেন, বদলে যাবে জীবন। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! আবার সেই জীর্ণ কুটিরেই ফিরতে হলো!
১৯৯০-এর দশকে এই সম্প্রদায়কে ভুটান ছাড়তে বাধ্য করা হয়। দীর্ঘদিন নেপালে শরণার্থী ছিলেন। পরে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ২০০৭ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে পুনর্বাসন শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও আরও কিছু দেশে আইনি প্রক্রিয়ায় পুনর্বাসিত হন ১ লাখের বেশি লোতশাম্পা।
মার্কিন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)-এর তথ্য অনুযায়ী, ভুটান এত দিন এসব শরণার্থীকে ফেরত নিতে অনিচ্ছুক ছিল বলেই যুক্তরাষ্ট্র কাউকে ফেরত পাঠায়নি। তবে চলতি বছরের মার্চ থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। এরই মধ্যে দুই ডজনের বেশি লোতশাম্পাকে ভুটানে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ভুটান সরকার তাঁদের গ্রহণ করেনি। ফলে আবার ফিরে যেতে হয়েছে নেপালে পুরোনো শরণার্থীশিবিরগুলোতে।
২৪ বছর বয়সী রমেশ সন্ন্যাসী এমনই একজন ভুক্তভোগী। নেপালের একটি শরণার্থীশিবিরেই তাঁর জন্ম। ১০ বছর বয়সে বাবা-মা ও বোনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। পেনসিলভানিয়ায় আমাজনের একটি ওয়্যারহাউস কাজ করছিলেন। গত বছর অনুমতি ছাড়া গাড়ি চালানোর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন রমেশ। ভুয়া পরিচয়পত্র বহনের অভিযোগও আনা হয়। আট মাস কারাবাসের পর, গত এপ্রিলে তাঁকে প্রথমে নয়াদিল্লি, এরপর ভুটানের পাঠানো হয়।
ভুটানে পৌঁছানোর পর তাঁকে ও আরও দু’জন শরণার্থীকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ভারতের সীমান্তে নিয়ে যায়। এরপর হাতে ৩০ হাজার রুপি ধরিয়ে দিয়ে বলা হয়, ভারতের পানিটাঙ্কি সীমান্ত পার হয়ে যেন নেপালে ফিরে যান তাঁরা। রমেশ বলেন, ‘দালালের মাধ্যমে মেচি নদী পাড়ি দিয়ে নেপালে ঢুকতে হয়। এখন বেলডাঙ্গি শরণার্থীশিবিরে আছি, কিন্তু কোনো পরিচয়পত্র না থাকায় বাইরে চলাফেরা করা কঠিন। আত্মীয়রা টাকা পাঠালেও তোলা সম্ভব নয়। ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।’
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রফেরত শরণার্থীরা আইনি ও মানবিক দিক থেকে গভীর সংকটে পড়েছেন। অথচ তাঁদের প্রায় সবাই বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাত্রার অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত হন। সাজা শেষ হওয়ার পর তাঁদের ভিসা বাতিল করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন অনুযায়ী, নির্দিষ্ট কিছু অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে ভিসা বাতিল হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

এই অবস্থায় এসব শরণার্থী এখন একটি ‘ডিপ্লোম্যাটিক গ্রে জোন’ এ অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্র, ভুটান ও নেপাল এক সময়ের আশ্রয়স্থল হলেও এখন কোনো দেশেরই নাগরিক নন তাঁরা।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও পরিবেশ সংক্রান্ত সংস্থা আইআইআরএইচইডির নেপালভিত্তিক সভাপতি গোপালকৃষ্ণ সিওয়াকোটি জানান, এখন পর্যন্ত মোট ৩০ জন শরণার্থীকে ভুটানে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আরও দুই ডজন ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ায়। সিওয়াকোটি বলেন, ‘ভুটানে পৌঁছানোর পর সবাইকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। কেউ কেউ সেখানেই আছেন, বাকিরা নেপালে ফিরেছেন। অনেকে আত্মগোপনে। এমনকি চারজন শরণার্থীকে নেপালের সীমান্তে অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে আটক করে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে, নেপালের ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক টিকারাম ঢাকাল সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা গভীর দোটানায় পড়েছি। যুক্তরাষ্ট্র তাঁদের ফিরিয়ে নেবে না, ভুটানও গ্রহণ করছে না। আমাদের পক্ষেও তাঁদের রাখা সম্ভব নয়।’
হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ৮ লাখ জনসংখ্যার ছোট্ট বৌদ্ধ রাজ্য ভুটান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ‘ন্যাশনাল হ্যাপিনেস ইনডেক্স’ আর পরিবেশবান্ধব পর্যটননীতির জন্য প্রশংসিত। কিন্তু দেশটির ইতিহাসে রয়েছে জাতিগত সংখ্যালঘু দমনের এক অন্ধকার অধ্যায়। উনিশ শতকে দক্ষিণ ভুটানে বসবাস শুরু করে নেপালি বংশোদ্ভূত লোতশাম্পা জনগোষ্ঠী। কিন্তু ১৯৭০-এর দশকের শেষ দিক থেকে ভুটান সরকার এই জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করে। ১৯৮৯ সালে ‘ভুটানিকরণ’ নীতির আওতায় বাধ্যতামূলক পোশাকবিধি আরোপ করা হয়, নিষিদ্ধ করা হয় নেপালি ভাষা। প্রতিবাদ করলেই সহ্য করতে হতো দমনপীড়ন। নিপীড়ন, হুমকি আর বাধ্যবাধকতার মুখে হাজার হাজার লোতশাম্পা ভুটান ছাড়তে বাধ্য হয়।
যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক আইনে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো, নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঝুঁকি থাকলে কোনো ব্যক্তিকে সে দেশে ফেরত পাঠানো যাবে না। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এমন সব দেশে অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে, যাদের মানবাধিকার রেকর্ড গুরুতরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। যেমন লিবিয়া বা দক্ষিণ সুদান, এল সালভাদরও এর মধ্যে পড়ে।
নেপালভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও পরিবেশ সংস্থার সভাপতি গোপাল কৃষ্ণ সিওয়াকোটি বলেন, ‘ভুটানের রাজতান্ত্রিক সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ও আইনগতভাবে এই মানুষগুলোর নাগরিকত্ব বাতিল করেছে। তারা একেবারে রাষ্ট্রহীন হয়ে গেছে। এই মানুষগুলোর কোনো দেশ নেই। তাদের ভুটানে ফেরত পাঠানো ভুলই।’
যেসব দেশ নিজ নাগরিকদের ফেরত নিতে নিমরাজি, তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শুল্কারোপের মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ধারণা করা হয়, এরই পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি রাখতে ফেরত পাঠানো শরণার্থীদের প্রথমে গ্রহণের ভান করেছিল ভুটান।
যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা গত মার্চে এক খসড়া ‘লা তালিকায়’ ভুটানের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। ওই তালিকায় ১১টি দেশের নাম ছিল, যেগুলোর নাগরিকদের মার্কিন ভিসা নিষিদ্ধ করা হবে। তবে জুনে চূড়ান্ত ১৯ দেশের যে তালিকা প্রকাশিত হয়, সেখানে ভুটান নেই। প্রথম ফেরত পাঠানো ফ্লাইটটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভুটানে পৌঁছায় মার্চের শেষ দিকে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা (আইসিই) এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে সিএনএন। তবে, সাড়া মেলেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ আইন ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার আলোকে ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের অভিবাসন পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রত্যেক দেশ নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেবে।’
সিএনএন নিউইয়র্কে অবস্থিত ভুটানের কনস্যুলেটে ই-মেইল করলেও কোনো জবাব পায়নি। নেপালের অভিবাসন দপ্তরের মহাপরিচালক টিকরাম ধাকাল বলেন, ‘আমরা এক সংকটে আছি। যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত এদের আর ফেরত নেবে না। আর ভুটানে ফেরত পাঠানোও সহজ নয়।’ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে।
এদিকে শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর খবরে যুক্তরাষ্ট্রে ভুটানি কমিউনিটির মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। পেনসিলভানিয়ার হ্যারিসবার্গে বসবাসকারী শরণার্থী নেতা তিলক নিরৌলা বলেন, ‘আমাদের ভুটান থেকে উৎখাত করা হয়েছে, আমরা নিজের দেশ বলতে কিছুই পাইনি—এই দেশ, যুক্তরাষ্ট্রকেই আমরা আমাদের বাড়ি বলে মনে করি। যদি কেউ অপরাধ করে, তাহলে তাকে অবশ্যই বিচারপ্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তাকে দেশ থেকে বের করে দিতে হবে। একটি পরিবারকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে কোনো সমাধান আসতে পারে না।’

আবারও অনিশ্চয়তায় নেপালিভাষী ভুটানি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় লোতশাম্পার একাংশ। ভুটান থেকে এক সময় যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেই ভুটানেই আবার ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে, ভুটান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—তারা এই শরণার্থীদের গ্রহণ করবে না। ফলে, আবারও তাঁদের ঠাঁই হয়েছে নেপালের এক জীর্ণ শরণার্থীশিবিরে। শৈশবে এই শরণার্থীশিবিরে বসেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন, একদিন কোনো এক উন্নত দেশে পাড়ি জমাবেন, বদলে যাবে জীবন। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! আবার সেই জীর্ণ কুটিরেই ফিরতে হলো!
১৯৯০-এর দশকে এই সম্প্রদায়কে ভুটান ছাড়তে বাধ্য করা হয়। দীর্ঘদিন নেপালে শরণার্থী ছিলেন। পরে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ২০০৭ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে পুনর্বাসন শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও আরও কিছু দেশে আইনি প্রক্রিয়ায় পুনর্বাসিত হন ১ লাখের বেশি লোতশাম্পা।
মার্কিন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)-এর তথ্য অনুযায়ী, ভুটান এত দিন এসব শরণার্থীকে ফেরত নিতে অনিচ্ছুক ছিল বলেই যুক্তরাষ্ট্র কাউকে ফেরত পাঠায়নি। তবে চলতি বছরের মার্চ থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। এরই মধ্যে দুই ডজনের বেশি লোতশাম্পাকে ভুটানে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ভুটান সরকার তাঁদের গ্রহণ করেনি। ফলে আবার ফিরে যেতে হয়েছে নেপালে পুরোনো শরণার্থীশিবিরগুলোতে।
২৪ বছর বয়সী রমেশ সন্ন্যাসী এমনই একজন ভুক্তভোগী। নেপালের একটি শরণার্থীশিবিরেই তাঁর জন্ম। ১০ বছর বয়সে বাবা-মা ও বোনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। পেনসিলভানিয়ায় আমাজনের একটি ওয়্যারহাউস কাজ করছিলেন। গত বছর অনুমতি ছাড়া গাড়ি চালানোর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন রমেশ। ভুয়া পরিচয়পত্র বহনের অভিযোগও আনা হয়। আট মাস কারাবাসের পর, গত এপ্রিলে তাঁকে প্রথমে নয়াদিল্লি, এরপর ভুটানের পাঠানো হয়।
ভুটানে পৌঁছানোর পর তাঁকে ও আরও দু’জন শরণার্থীকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ভারতের সীমান্তে নিয়ে যায়। এরপর হাতে ৩০ হাজার রুপি ধরিয়ে দিয়ে বলা হয়, ভারতের পানিটাঙ্কি সীমান্ত পার হয়ে যেন নেপালে ফিরে যান তাঁরা। রমেশ বলেন, ‘দালালের মাধ্যমে মেচি নদী পাড়ি দিয়ে নেপালে ঢুকতে হয়। এখন বেলডাঙ্গি শরণার্থীশিবিরে আছি, কিন্তু কোনো পরিচয়পত্র না থাকায় বাইরে চলাফেরা করা কঠিন। আত্মীয়রা টাকা পাঠালেও তোলা সম্ভব নয়। ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।’
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রফেরত শরণার্থীরা আইনি ও মানবিক দিক থেকে গভীর সংকটে পড়েছেন। অথচ তাঁদের প্রায় সবাই বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাত্রার অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত হন। সাজা শেষ হওয়ার পর তাঁদের ভিসা বাতিল করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন অনুযায়ী, নির্দিষ্ট কিছু অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে ভিসা বাতিল হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

এই অবস্থায় এসব শরণার্থী এখন একটি ‘ডিপ্লোম্যাটিক গ্রে জোন’ এ অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্র, ভুটান ও নেপাল এক সময়ের আশ্রয়স্থল হলেও এখন কোনো দেশেরই নাগরিক নন তাঁরা।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও পরিবেশ সংক্রান্ত সংস্থা আইআইআরএইচইডির নেপালভিত্তিক সভাপতি গোপালকৃষ্ণ সিওয়াকোটি জানান, এখন পর্যন্ত মোট ৩০ জন শরণার্থীকে ভুটানে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আরও দুই ডজন ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ায়। সিওয়াকোটি বলেন, ‘ভুটানে পৌঁছানোর পর সবাইকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। কেউ কেউ সেখানেই আছেন, বাকিরা নেপালে ফিরেছেন। অনেকে আত্মগোপনে। এমনকি চারজন শরণার্থীকে নেপালের সীমান্তে অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে আটক করে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে, নেপালের ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক টিকারাম ঢাকাল সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা গভীর দোটানায় পড়েছি। যুক্তরাষ্ট্র তাঁদের ফিরিয়ে নেবে না, ভুটানও গ্রহণ করছে না। আমাদের পক্ষেও তাঁদের রাখা সম্ভব নয়।’
হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ৮ লাখ জনসংখ্যার ছোট্ট বৌদ্ধ রাজ্য ভুটান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ‘ন্যাশনাল হ্যাপিনেস ইনডেক্স’ আর পরিবেশবান্ধব পর্যটননীতির জন্য প্রশংসিত। কিন্তু দেশটির ইতিহাসে রয়েছে জাতিগত সংখ্যালঘু দমনের এক অন্ধকার অধ্যায়। উনিশ শতকে দক্ষিণ ভুটানে বসবাস শুরু করে নেপালি বংশোদ্ভূত লোতশাম্পা জনগোষ্ঠী। কিন্তু ১৯৭০-এর দশকের শেষ দিক থেকে ভুটান সরকার এই জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করে। ১৯৮৯ সালে ‘ভুটানিকরণ’ নীতির আওতায় বাধ্যতামূলক পোশাকবিধি আরোপ করা হয়, নিষিদ্ধ করা হয় নেপালি ভাষা। প্রতিবাদ করলেই সহ্য করতে হতো দমনপীড়ন। নিপীড়ন, হুমকি আর বাধ্যবাধকতার মুখে হাজার হাজার লোতশাম্পা ভুটান ছাড়তে বাধ্য হয়।
যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক আইনে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো, নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঝুঁকি থাকলে কোনো ব্যক্তিকে সে দেশে ফেরত পাঠানো যাবে না। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এমন সব দেশে অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে, যাদের মানবাধিকার রেকর্ড গুরুতরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। যেমন লিবিয়া বা দক্ষিণ সুদান, এল সালভাদরও এর মধ্যে পড়ে।
নেপালভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও পরিবেশ সংস্থার সভাপতি গোপাল কৃষ্ণ সিওয়াকোটি বলেন, ‘ভুটানের রাজতান্ত্রিক সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ও আইনগতভাবে এই মানুষগুলোর নাগরিকত্ব বাতিল করেছে। তারা একেবারে রাষ্ট্রহীন হয়ে গেছে। এই মানুষগুলোর কোনো দেশ নেই। তাদের ভুটানে ফেরত পাঠানো ভুলই।’
যেসব দেশ নিজ নাগরিকদের ফেরত নিতে নিমরাজি, তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শুল্কারোপের মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ধারণা করা হয়, এরই পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি রাখতে ফেরত পাঠানো শরণার্থীদের প্রথমে গ্রহণের ভান করেছিল ভুটান।
যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা গত মার্চে এক খসড়া ‘লা তালিকায়’ ভুটানের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। ওই তালিকায় ১১টি দেশের নাম ছিল, যেগুলোর নাগরিকদের মার্কিন ভিসা নিষিদ্ধ করা হবে। তবে জুনে চূড়ান্ত ১৯ দেশের যে তালিকা প্রকাশিত হয়, সেখানে ভুটান নেই। প্রথম ফেরত পাঠানো ফ্লাইটটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভুটানে পৌঁছায় মার্চের শেষ দিকে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা (আইসিই) এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে সিএনএন। তবে, সাড়া মেলেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ আইন ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার আলোকে ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের অভিবাসন পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রত্যেক দেশ নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেবে।’
সিএনএন নিউইয়র্কে অবস্থিত ভুটানের কনস্যুলেটে ই-মেইল করলেও কোনো জবাব পায়নি। নেপালের অভিবাসন দপ্তরের মহাপরিচালক টিকরাম ধাকাল বলেন, ‘আমরা এক সংকটে আছি। যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত এদের আর ফেরত নেবে না। আর ভুটানে ফেরত পাঠানোও সহজ নয়।’ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে।
এদিকে শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর খবরে যুক্তরাষ্ট্রে ভুটানি কমিউনিটির মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। পেনসিলভানিয়ার হ্যারিসবার্গে বসবাসকারী শরণার্থী নেতা তিলক নিরৌলা বলেন, ‘আমাদের ভুটান থেকে উৎখাত করা হয়েছে, আমরা নিজের দেশ বলতে কিছুই পাইনি—এই দেশ, যুক্তরাষ্ট্রকেই আমরা আমাদের বাড়ি বলে মনে করি। যদি কেউ অপরাধ করে, তাহলে তাকে অবশ্যই বিচারপ্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তাকে দেশ থেকে বের করে দিতে হবে। একটি পরিবারকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে কোনো সমাধান আসতে পারে না।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আবারও অনিশ্চয়তায় নেপালিভাষী ভুটানি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় লোতশাম্পার একাংশ। ভুটান থেকে এক সময় যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেই ভুটানেই আবার ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে, ভুটান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—তারা এই শরণার্থীদের গ্রহণ করবে না। ফলে, আবারও তাঁদের ঠাঁই হয়েছে নেপালের এক জীর্ণ শরণার্থীশিবিরে। শৈশবে এই শরণার্থীশিবিরে বসেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন, একদিন কোনো এক উন্নত দেশে পাড়ি জমাবেন, বদলে যাবে জীবন। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! আবার সেই জীর্ণ কুটিরেই ফিরতে হলো!
১৯৯০-এর দশকে এই সম্প্রদায়কে ভুটান ছাড়তে বাধ্য করা হয়। দীর্ঘদিন নেপালে শরণার্থী ছিলেন। পরে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ২০০৭ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে পুনর্বাসন শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও আরও কিছু দেশে আইনি প্রক্রিয়ায় পুনর্বাসিত হন ১ লাখের বেশি লোতশাম্পা।
মার্কিন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)-এর তথ্য অনুযায়ী, ভুটান এত দিন এসব শরণার্থীকে ফেরত নিতে অনিচ্ছুক ছিল বলেই যুক্তরাষ্ট্র কাউকে ফেরত পাঠায়নি। তবে চলতি বছরের মার্চ থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। এরই মধ্যে দুই ডজনের বেশি লোতশাম্পাকে ভুটানে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ভুটান সরকার তাঁদের গ্রহণ করেনি। ফলে আবার ফিরে যেতে হয়েছে নেপালে পুরোনো শরণার্থীশিবিরগুলোতে।
২৪ বছর বয়সী রমেশ সন্ন্যাসী এমনই একজন ভুক্তভোগী। নেপালের একটি শরণার্থীশিবিরেই তাঁর জন্ম। ১০ বছর বয়সে বাবা-মা ও বোনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। পেনসিলভানিয়ায় আমাজনের একটি ওয়্যারহাউস কাজ করছিলেন। গত বছর অনুমতি ছাড়া গাড়ি চালানোর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন রমেশ। ভুয়া পরিচয়পত্র বহনের অভিযোগও আনা হয়। আট মাস কারাবাসের পর, গত এপ্রিলে তাঁকে প্রথমে নয়াদিল্লি, এরপর ভুটানের পাঠানো হয়।
ভুটানে পৌঁছানোর পর তাঁকে ও আরও দু’জন শরণার্থীকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ভারতের সীমান্তে নিয়ে যায়। এরপর হাতে ৩০ হাজার রুপি ধরিয়ে দিয়ে বলা হয়, ভারতের পানিটাঙ্কি সীমান্ত পার হয়ে যেন নেপালে ফিরে যান তাঁরা। রমেশ বলেন, ‘দালালের মাধ্যমে মেচি নদী পাড়ি দিয়ে নেপালে ঢুকতে হয়। এখন বেলডাঙ্গি শরণার্থীশিবিরে আছি, কিন্তু কোনো পরিচয়পত্র না থাকায় বাইরে চলাফেরা করা কঠিন। আত্মীয়রা টাকা পাঠালেও তোলা সম্ভব নয়। ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।’
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রফেরত শরণার্থীরা আইনি ও মানবিক দিক থেকে গভীর সংকটে পড়েছেন। অথচ তাঁদের প্রায় সবাই বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাত্রার অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত হন। সাজা শেষ হওয়ার পর তাঁদের ভিসা বাতিল করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন অনুযায়ী, নির্দিষ্ট কিছু অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে ভিসা বাতিল হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

এই অবস্থায় এসব শরণার্থী এখন একটি ‘ডিপ্লোম্যাটিক গ্রে জোন’ এ অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্র, ভুটান ও নেপাল এক সময়ের আশ্রয়স্থল হলেও এখন কোনো দেশেরই নাগরিক নন তাঁরা।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও পরিবেশ সংক্রান্ত সংস্থা আইআইআরএইচইডির নেপালভিত্তিক সভাপতি গোপালকৃষ্ণ সিওয়াকোটি জানান, এখন পর্যন্ত মোট ৩০ জন শরণার্থীকে ভুটানে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আরও দুই ডজন ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ায়। সিওয়াকোটি বলেন, ‘ভুটানে পৌঁছানোর পর সবাইকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। কেউ কেউ সেখানেই আছেন, বাকিরা নেপালে ফিরেছেন। অনেকে আত্মগোপনে। এমনকি চারজন শরণার্থীকে নেপালের সীমান্তে অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে আটক করে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে, নেপালের ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক টিকারাম ঢাকাল সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা গভীর দোটানায় পড়েছি। যুক্তরাষ্ট্র তাঁদের ফিরিয়ে নেবে না, ভুটানও গ্রহণ করছে না। আমাদের পক্ষেও তাঁদের রাখা সম্ভব নয়।’
হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ৮ লাখ জনসংখ্যার ছোট্ট বৌদ্ধ রাজ্য ভুটান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ‘ন্যাশনাল হ্যাপিনেস ইনডেক্স’ আর পরিবেশবান্ধব পর্যটননীতির জন্য প্রশংসিত। কিন্তু দেশটির ইতিহাসে রয়েছে জাতিগত সংখ্যালঘু দমনের এক অন্ধকার অধ্যায়। উনিশ শতকে দক্ষিণ ভুটানে বসবাস শুরু করে নেপালি বংশোদ্ভূত লোতশাম্পা জনগোষ্ঠী। কিন্তু ১৯৭০-এর দশকের শেষ দিক থেকে ভুটান সরকার এই জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করে। ১৯৮৯ সালে ‘ভুটানিকরণ’ নীতির আওতায় বাধ্যতামূলক পোশাকবিধি আরোপ করা হয়, নিষিদ্ধ করা হয় নেপালি ভাষা। প্রতিবাদ করলেই সহ্য করতে হতো দমনপীড়ন। নিপীড়ন, হুমকি আর বাধ্যবাধকতার মুখে হাজার হাজার লোতশাম্পা ভুটান ছাড়তে বাধ্য হয়।
যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক আইনে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো, নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঝুঁকি থাকলে কোনো ব্যক্তিকে সে দেশে ফেরত পাঠানো যাবে না। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এমন সব দেশে অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে, যাদের মানবাধিকার রেকর্ড গুরুতরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। যেমন লিবিয়া বা দক্ষিণ সুদান, এল সালভাদরও এর মধ্যে পড়ে।
নেপালভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও পরিবেশ সংস্থার সভাপতি গোপাল কৃষ্ণ সিওয়াকোটি বলেন, ‘ভুটানের রাজতান্ত্রিক সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ও আইনগতভাবে এই মানুষগুলোর নাগরিকত্ব বাতিল করেছে। তারা একেবারে রাষ্ট্রহীন হয়ে গেছে। এই মানুষগুলোর কোনো দেশ নেই। তাদের ভুটানে ফেরত পাঠানো ভুলই।’
যেসব দেশ নিজ নাগরিকদের ফেরত নিতে নিমরাজি, তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শুল্কারোপের মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ধারণা করা হয়, এরই পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি রাখতে ফেরত পাঠানো শরণার্থীদের প্রথমে গ্রহণের ভান করেছিল ভুটান।
যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা গত মার্চে এক খসড়া ‘লা তালিকায়’ ভুটানের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। ওই তালিকায় ১১টি দেশের নাম ছিল, যেগুলোর নাগরিকদের মার্কিন ভিসা নিষিদ্ধ করা হবে। তবে জুনে চূড়ান্ত ১৯ দেশের যে তালিকা প্রকাশিত হয়, সেখানে ভুটান নেই। প্রথম ফেরত পাঠানো ফ্লাইটটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভুটানে পৌঁছায় মার্চের শেষ দিকে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা (আইসিই) এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে সিএনএন। তবে, সাড়া মেলেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ আইন ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার আলোকে ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের অভিবাসন পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রত্যেক দেশ নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেবে।’
সিএনএন নিউইয়র্কে অবস্থিত ভুটানের কনস্যুলেটে ই-মেইল করলেও কোনো জবাব পায়নি। নেপালের অভিবাসন দপ্তরের মহাপরিচালক টিকরাম ধাকাল বলেন, ‘আমরা এক সংকটে আছি। যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত এদের আর ফেরত নেবে না। আর ভুটানে ফেরত পাঠানোও সহজ নয়।’ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে।
এদিকে শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর খবরে যুক্তরাষ্ট্রে ভুটানি কমিউনিটির মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। পেনসিলভানিয়ার হ্যারিসবার্গে বসবাসকারী শরণার্থী নেতা তিলক নিরৌলা বলেন, ‘আমাদের ভুটান থেকে উৎখাত করা হয়েছে, আমরা নিজের দেশ বলতে কিছুই পাইনি—এই দেশ, যুক্তরাষ্ট্রকেই আমরা আমাদের বাড়ি বলে মনে করি। যদি কেউ অপরাধ করে, তাহলে তাকে অবশ্যই বিচারপ্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তাকে দেশ থেকে বের করে দিতে হবে। একটি পরিবারকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে কোনো সমাধান আসতে পারে না।’

আবারও অনিশ্চয়তায় নেপালিভাষী ভুটানি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় লোতশাম্পার একাংশ। ভুটান থেকে এক সময় যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেই ভুটানেই আবার ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে, ভুটান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—তারা এই শরণার্থীদের গ্রহণ করবে না। ফলে, আবারও তাঁদের ঠাঁই হয়েছে নেপালের এক জীর্ণ শরণার্থীশিবিরে। শৈশবে এই শরণার্থীশিবিরে বসেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন, একদিন কোনো এক উন্নত দেশে পাড়ি জমাবেন, বদলে যাবে জীবন। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! আবার সেই জীর্ণ কুটিরেই ফিরতে হলো!
১৯৯০-এর দশকে এই সম্প্রদায়কে ভুটান ছাড়তে বাধ্য করা হয়। দীর্ঘদিন নেপালে শরণার্থী ছিলেন। পরে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ২০০৭ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে পুনর্বাসন শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও আরও কিছু দেশে আইনি প্রক্রিয়ায় পুনর্বাসিত হন ১ লাখের বেশি লোতশাম্পা।
মার্কিন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)-এর তথ্য অনুযায়ী, ভুটান এত দিন এসব শরণার্থীকে ফেরত নিতে অনিচ্ছুক ছিল বলেই যুক্তরাষ্ট্র কাউকে ফেরত পাঠায়নি। তবে চলতি বছরের মার্চ থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। এরই মধ্যে দুই ডজনের বেশি লোতশাম্পাকে ভুটানে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ভুটান সরকার তাঁদের গ্রহণ করেনি। ফলে আবার ফিরে যেতে হয়েছে নেপালে পুরোনো শরণার্থীশিবিরগুলোতে।
২৪ বছর বয়সী রমেশ সন্ন্যাসী এমনই একজন ভুক্তভোগী। নেপালের একটি শরণার্থীশিবিরেই তাঁর জন্ম। ১০ বছর বয়সে বাবা-মা ও বোনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। পেনসিলভানিয়ায় আমাজনের একটি ওয়্যারহাউস কাজ করছিলেন। গত বছর অনুমতি ছাড়া গাড়ি চালানোর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন রমেশ। ভুয়া পরিচয়পত্র বহনের অভিযোগও আনা হয়। আট মাস কারাবাসের পর, গত এপ্রিলে তাঁকে প্রথমে নয়াদিল্লি, এরপর ভুটানের পাঠানো হয়।
ভুটানে পৌঁছানোর পর তাঁকে ও আরও দু’জন শরণার্থীকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ভারতের সীমান্তে নিয়ে যায়। এরপর হাতে ৩০ হাজার রুপি ধরিয়ে দিয়ে বলা হয়, ভারতের পানিটাঙ্কি সীমান্ত পার হয়ে যেন নেপালে ফিরে যান তাঁরা। রমেশ বলেন, ‘দালালের মাধ্যমে মেচি নদী পাড়ি দিয়ে নেপালে ঢুকতে হয়। এখন বেলডাঙ্গি শরণার্থীশিবিরে আছি, কিন্তু কোনো পরিচয়পত্র না থাকায় বাইরে চলাফেরা করা কঠিন। আত্মীয়রা টাকা পাঠালেও তোলা সম্ভব নয়। ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।’
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রফেরত শরণার্থীরা আইনি ও মানবিক দিক থেকে গভীর সংকটে পড়েছেন। অথচ তাঁদের প্রায় সবাই বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাত্রার অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত হন। সাজা শেষ হওয়ার পর তাঁদের ভিসা বাতিল করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন অনুযায়ী, নির্দিষ্ট কিছু অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে ভিসা বাতিল হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

এই অবস্থায় এসব শরণার্থী এখন একটি ‘ডিপ্লোম্যাটিক গ্রে জোন’ এ অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্র, ভুটান ও নেপাল এক সময়ের আশ্রয়স্থল হলেও এখন কোনো দেশেরই নাগরিক নন তাঁরা।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও পরিবেশ সংক্রান্ত সংস্থা আইআইআরএইচইডির নেপালভিত্তিক সভাপতি গোপালকৃষ্ণ সিওয়াকোটি জানান, এখন পর্যন্ত মোট ৩০ জন শরণার্থীকে ভুটানে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আরও দুই ডজন ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ায়। সিওয়াকোটি বলেন, ‘ভুটানে পৌঁছানোর পর সবাইকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। কেউ কেউ সেখানেই আছেন, বাকিরা নেপালে ফিরেছেন। অনেকে আত্মগোপনে। এমনকি চারজন শরণার্থীকে নেপালের সীমান্তে অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে আটক করে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে, নেপালের ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক টিকারাম ঢাকাল সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা গভীর দোটানায় পড়েছি। যুক্তরাষ্ট্র তাঁদের ফিরিয়ে নেবে না, ভুটানও গ্রহণ করছে না। আমাদের পক্ষেও তাঁদের রাখা সম্ভব নয়।’
হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ৮ লাখ জনসংখ্যার ছোট্ট বৌদ্ধ রাজ্য ভুটান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ‘ন্যাশনাল হ্যাপিনেস ইনডেক্স’ আর পরিবেশবান্ধব পর্যটননীতির জন্য প্রশংসিত। কিন্তু দেশটির ইতিহাসে রয়েছে জাতিগত সংখ্যালঘু দমনের এক অন্ধকার অধ্যায়। উনিশ শতকে দক্ষিণ ভুটানে বসবাস শুরু করে নেপালি বংশোদ্ভূত লোতশাম্পা জনগোষ্ঠী। কিন্তু ১৯৭০-এর দশকের শেষ দিক থেকে ভুটান সরকার এই জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করে। ১৯৮৯ সালে ‘ভুটানিকরণ’ নীতির আওতায় বাধ্যতামূলক পোশাকবিধি আরোপ করা হয়, নিষিদ্ধ করা হয় নেপালি ভাষা। প্রতিবাদ করলেই সহ্য করতে হতো দমনপীড়ন। নিপীড়ন, হুমকি আর বাধ্যবাধকতার মুখে হাজার হাজার লোতশাম্পা ভুটান ছাড়তে বাধ্য হয়।
যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক আইনে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো, নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঝুঁকি থাকলে কোনো ব্যক্তিকে সে দেশে ফেরত পাঠানো যাবে না। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এমন সব দেশে অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে, যাদের মানবাধিকার রেকর্ড গুরুতরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। যেমন লিবিয়া বা দক্ষিণ সুদান, এল সালভাদরও এর মধ্যে পড়ে।
নেপালভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও পরিবেশ সংস্থার সভাপতি গোপাল কৃষ্ণ সিওয়াকোটি বলেন, ‘ভুটানের রাজতান্ত্রিক সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ও আইনগতভাবে এই মানুষগুলোর নাগরিকত্ব বাতিল করেছে। তারা একেবারে রাষ্ট্রহীন হয়ে গেছে। এই মানুষগুলোর কোনো দেশ নেই। তাদের ভুটানে ফেরত পাঠানো ভুলই।’
যেসব দেশ নিজ নাগরিকদের ফেরত নিতে নিমরাজি, তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শুল্কারোপের মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ধারণা করা হয়, এরই পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি রাখতে ফেরত পাঠানো শরণার্থীদের প্রথমে গ্রহণের ভান করেছিল ভুটান।
যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা গত মার্চে এক খসড়া ‘লা তালিকায়’ ভুটানের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। ওই তালিকায় ১১টি দেশের নাম ছিল, যেগুলোর নাগরিকদের মার্কিন ভিসা নিষিদ্ধ করা হবে। তবে জুনে চূড়ান্ত ১৯ দেশের যে তালিকা প্রকাশিত হয়, সেখানে ভুটান নেই। প্রথম ফেরত পাঠানো ফ্লাইটটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভুটানে পৌঁছায় মার্চের শেষ দিকে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা (আইসিই) এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে সিএনএন। তবে, সাড়া মেলেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ আইন ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার আলোকে ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের অভিবাসন পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রত্যেক দেশ নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেবে।’
সিএনএন নিউইয়র্কে অবস্থিত ভুটানের কনস্যুলেটে ই-মেইল করলেও কোনো জবাব পায়নি। নেপালের অভিবাসন দপ্তরের মহাপরিচালক টিকরাম ধাকাল বলেন, ‘আমরা এক সংকটে আছি। যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত এদের আর ফেরত নেবে না। আর ভুটানে ফেরত পাঠানোও সহজ নয়।’ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে।
এদিকে শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর খবরে যুক্তরাষ্ট্রে ভুটানি কমিউনিটির মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। পেনসিলভানিয়ার হ্যারিসবার্গে বসবাসকারী শরণার্থী নেতা তিলক নিরৌলা বলেন, ‘আমাদের ভুটান থেকে উৎখাত করা হয়েছে, আমরা নিজের দেশ বলতে কিছুই পাইনি—এই দেশ, যুক্তরাষ্ট্রকেই আমরা আমাদের বাড়ি বলে মনে করি। যদি কেউ অপরাধ করে, তাহলে তাকে অবশ্যই বিচারপ্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তাকে দেশ থেকে বের করে দিতে হবে। একটি পরিবারকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে কোনো সমাধান আসতে পারে না।’

ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
৩৬ মিনিট আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
২ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কুরনুল শহরে একটি বাসে আগুন লাগার ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে নতুন তথ্য। গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে বাসটিতে যখন বিস্ফোরণ হয়, সেসময় সেটির ভেতরে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোনের একটি চালান।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, বাসে থাকা ২৩৪টি স্মার্টফোনের মূল্য ৪৬ লাখ রুপি। হায়দরাবাদের মাঙ্গানাথ নামের এক ব্যবসায়ী সেগুলো বেঙ্গালুরু শহরে একটি ই-কমার্স কোম্পানির কাছে পাঠাচ্ছিলেন। সেখান থেকে ফোনগুলো গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করা হতো।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফোনগুলোতে আগুন লাগার সময় তাঁরা ব্যাটারি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছিলেন।
অন্ধ্রপ্রদেশ ফায়ার সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক পি ভেঙ্কটরামন জানান, শুধু স্মার্টফোনের ব্যাটারিই নয়, বাসের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ (এসি) ব্যবস্থায় ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ব্যাটারিগুলোও বিস্ফোরিত হয়েছিল।
ভেঙ্কটরামন বলেন, তাপ এতটাই তীব্র ছিল যে বাসের মেঝেতে থাকা অ্যালুমিনিয়ামের পাতও গলে যায়।
ভেঙ্কটরামন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, জ্বালানি তেল চুঁইয়ে পড়ার কারণে শুরুতে বাসের সামনের অংশে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার সময় একটি মোটরসাইকেল বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেটির পেট্রল ছিটকে পড়ে তাপ বা স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে এসে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে।

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কুরনুল শহরে একটি বাসে আগুন লাগার ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে নতুন তথ্য। গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে বাসটিতে যখন বিস্ফোরণ হয়, সেসময় সেটির ভেতরে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোনের একটি চালান।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, বাসে থাকা ২৩৪টি স্মার্টফোনের মূল্য ৪৬ লাখ রুপি। হায়দরাবাদের মাঙ্গানাথ নামের এক ব্যবসায়ী সেগুলো বেঙ্গালুরু শহরে একটি ই-কমার্স কোম্পানির কাছে পাঠাচ্ছিলেন। সেখান থেকে ফোনগুলো গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করা হতো।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফোনগুলোতে আগুন লাগার সময় তাঁরা ব্যাটারি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছিলেন।
অন্ধ্রপ্রদেশ ফায়ার সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক পি ভেঙ্কটরামন জানান, শুধু স্মার্টফোনের ব্যাটারিই নয়, বাসের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ (এসি) ব্যবস্থায় ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ব্যাটারিগুলোও বিস্ফোরিত হয়েছিল।
ভেঙ্কটরামন বলেন, তাপ এতটাই তীব্র ছিল যে বাসের মেঝেতে থাকা অ্যালুমিনিয়ামের পাতও গলে যায়।
ভেঙ্কটরামন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, জ্বালানি তেল চুঁইয়ে পড়ার কারণে শুরুতে বাসের সামনের অংশে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার সময় একটি মোটরসাইকেল বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেটির পেট্রল ছিটকে পড়ে তাপ বা স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে এসে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে।

আবারও অনিশ্চয়তায় নেপালিভাষী ভুটানি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় লোতশাম্পার একাংশ। ভুটান থেকে এক সময় যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেই ভুটানেই আবার ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে, ভুটান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—তারা এই শরণার্থীদের গ্রহণ করবে না। ফলে, আবারও তাঁদের ঠাঁই হয়েছে নেপালের এক জীর্ণ শরণার্থীশিবিরে।
২০ জুলাই ২০২৫
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
২ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
২ ঘণ্টা আগেকলকাতা প্রতিনিধি

রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী। তাদের মূল লক্ষ্য, ভোটের আগে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো।
মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাসহ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলোতে ইতিমধ্যেই তার আঁচ মিলেছে। উৎসবের মৌসুমে বিভিন্ন জায়গায় ভুয়া নিউজ, বিকৃত ভিডিও এবং মিথ্যা বক্তৃতার মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এমন ছবি, অডিও ও ভিডিও তৈরি করছে, যেগুলো আসল ও নকলের সীমারেখা মুছে দিয়েছে। জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, ধর্মীয় বক্তা এমনকি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মুখ বসিয়ে ছড়ানো হচ্ছে মিথ্যা বার্তা। উদ্দেশ্য একটাই—সামাজিক সম্প্রীতিতে ভাঙন ধরানো ও নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের সাইবার সেল ও জেলা পুলিশ মিলিতভাবে তদন্ত শুরু করেছে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলায় বিগত চার মাসে ১ হাজার ১০০টির বেশি ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে বন্ধ করা হয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এবং এক্স প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিল ওই চক্র। প্রশাসনের দাবি, এসব অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিতভাবে ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছিল, যা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, ‘আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করছি। গত চার মাসে ১ হাজার ৯৩টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি তদন্তাধীন।’ পুলিশের ধারণা, এ চক্রটি দেশীয় নয়। বহু আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে দেখা গেছে, সেগুলো বিদেশ এবং ভারতের অন্য রাজ্য থেকে পরিচালিত হচ্ছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এখন এমন ভুয়া ছবি ও ভিডিও তৈরি করা সম্ভব, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে চেনা প্রায় অসম্ভব। ফলে একটি গুজব খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে সমাজে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে কোনো তথ্য যাচাই না করে কেউ শেয়ার বা ফরওয়ার্ড না করেন। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মাজিদ ইকবাল খান বলেন, ‘এখন অনেক অ্যাকাউন্ট বিদেশ থেকে চালানো হচ্ছে। তাই আমরা মানুষকে অনুরোধ করছি, তারা যেন এসব তথ্য যাচাই করে পোস্ট করে।’
একই সঙ্গে, রাজ্যজুড়ে চলছে ‘ভুয়ো খবরবিরোধী’ সচেতনতামূলক অভিযান। জেলার প্রতিটি থানায় সাইবার ক্রাইম সেলের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে জনসভা ও স্কুল-কলেজে প্রচার করা হচ্ছে। প্রশাসনের মতে, এই চেষ্টার লক্ষ্য শুধু অপরাধীদের ধরা নয়; বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে ডিজিটাল সচেতনতা সৃষ্টি করা। পুলিশের অভিজ্ঞতা বলছে, গুজব ছড়ানোর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট করা হচ্ছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা, যেখানে সামান্য উসকানিতেও বড় ধরনের অশান্তি ঘটার সম্ভাবনা থাকে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, স্থানীয় উৎসব বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিকৃত ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের সাইবার ক্রাইম থানার আইসি উৎপল কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা দেখেছি, কিছু মানুষ পরিকল্পিতভাবে সমাজে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কয়েকটি প্রোফাইল মুছে দেওয়া হয়েছে, কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।’ এ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১১ হাজারেরও বেশি বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
রাজ্যের আইটি দপ্তর জানিয়েছে, প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ভুয়া কনটেন্ট শনাক্ত করা ক্রমেই কঠিন হচ্ছে। তাই এখন আর শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়, সামাজিক সচেতনতাই গুজবের আগুন ঠেকানোর প্রধান অস্ত্র। সাইবার বিশ্লেষকেদের মতে, এআই শুধু ভালো কাজের জন্য নয়, খারাপ উদ্দেশ্যেও ব্যবহৃত হচ্ছে। কোনো দেশে বসে আরেক দেশের রাজনৈতিক স্থিতি নষ্ট করার হাতিয়ার হিসেবে এটি এখন ব্যবহৃত হচ্ছে। ভোট যত ঘনিয়ে আসবে, ততই এ ধরনের প্রচার বাড়বে। প্রশাসনের নজর সত্ত্বেও কিছু চক্র পরিকল্পিতভাবে সামাজিক বিভাজনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। ভোটের আগে মিথ্যা তথ্যের ঝড় ঠেকাতে তারা বিশেষ সাইবার মনিটরিং সেল চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ এখনকার রাজনৈতিক বাস্তবতায় তথ্যযুদ্ধই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আর এ যুদ্ধের ময়দান এখন সোশ্যাল মিডিয়া।

রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী। তাদের মূল লক্ষ্য, ভোটের আগে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো।
মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাসহ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলোতে ইতিমধ্যেই তার আঁচ মিলেছে। উৎসবের মৌসুমে বিভিন্ন জায়গায় ভুয়া নিউজ, বিকৃত ভিডিও এবং মিথ্যা বক্তৃতার মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এমন ছবি, অডিও ও ভিডিও তৈরি করছে, যেগুলো আসল ও নকলের সীমারেখা মুছে দিয়েছে। জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, ধর্মীয় বক্তা এমনকি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মুখ বসিয়ে ছড়ানো হচ্ছে মিথ্যা বার্তা। উদ্দেশ্য একটাই—সামাজিক সম্প্রীতিতে ভাঙন ধরানো ও নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের সাইবার সেল ও জেলা পুলিশ মিলিতভাবে তদন্ত শুরু করেছে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলায় বিগত চার মাসে ১ হাজার ১০০টির বেশি ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে বন্ধ করা হয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এবং এক্স প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিল ওই চক্র। প্রশাসনের দাবি, এসব অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিতভাবে ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছিল, যা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, ‘আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করছি। গত চার মাসে ১ হাজার ৯৩টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি তদন্তাধীন।’ পুলিশের ধারণা, এ চক্রটি দেশীয় নয়। বহু আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে দেখা গেছে, সেগুলো বিদেশ এবং ভারতের অন্য রাজ্য থেকে পরিচালিত হচ্ছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এখন এমন ভুয়া ছবি ও ভিডিও তৈরি করা সম্ভব, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে চেনা প্রায় অসম্ভব। ফলে একটি গুজব খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে সমাজে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে কোনো তথ্য যাচাই না করে কেউ শেয়ার বা ফরওয়ার্ড না করেন। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মাজিদ ইকবাল খান বলেন, ‘এখন অনেক অ্যাকাউন্ট বিদেশ থেকে চালানো হচ্ছে। তাই আমরা মানুষকে অনুরোধ করছি, তারা যেন এসব তথ্য যাচাই করে পোস্ট করে।’
একই সঙ্গে, রাজ্যজুড়ে চলছে ‘ভুয়ো খবরবিরোধী’ সচেতনতামূলক অভিযান। জেলার প্রতিটি থানায় সাইবার ক্রাইম সেলের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে জনসভা ও স্কুল-কলেজে প্রচার করা হচ্ছে। প্রশাসনের মতে, এই চেষ্টার লক্ষ্য শুধু অপরাধীদের ধরা নয়; বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে ডিজিটাল সচেতনতা সৃষ্টি করা। পুলিশের অভিজ্ঞতা বলছে, গুজব ছড়ানোর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট করা হচ্ছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা, যেখানে সামান্য উসকানিতেও বড় ধরনের অশান্তি ঘটার সম্ভাবনা থাকে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, স্থানীয় উৎসব বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিকৃত ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের সাইবার ক্রাইম থানার আইসি উৎপল কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা দেখেছি, কিছু মানুষ পরিকল্পিতভাবে সমাজে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কয়েকটি প্রোফাইল মুছে দেওয়া হয়েছে, কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।’ এ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১১ হাজারেরও বেশি বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
রাজ্যের আইটি দপ্তর জানিয়েছে, প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ভুয়া কনটেন্ট শনাক্ত করা ক্রমেই কঠিন হচ্ছে। তাই এখন আর শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়, সামাজিক সচেতনতাই গুজবের আগুন ঠেকানোর প্রধান অস্ত্র। সাইবার বিশ্লেষকেদের মতে, এআই শুধু ভালো কাজের জন্য নয়, খারাপ উদ্দেশ্যেও ব্যবহৃত হচ্ছে। কোনো দেশে বসে আরেক দেশের রাজনৈতিক স্থিতি নষ্ট করার হাতিয়ার হিসেবে এটি এখন ব্যবহৃত হচ্ছে। ভোট যত ঘনিয়ে আসবে, ততই এ ধরনের প্রচার বাড়বে। প্রশাসনের নজর সত্ত্বেও কিছু চক্র পরিকল্পিতভাবে সামাজিক বিভাজনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। ভোটের আগে মিথ্যা তথ্যের ঝড় ঠেকাতে তারা বিশেষ সাইবার মনিটরিং সেল চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ এখনকার রাজনৈতিক বাস্তবতায় তথ্যযুদ্ধই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আর এ যুদ্ধের ময়দান এখন সোশ্যাল মিডিয়া।

আবারও অনিশ্চয়তায় নেপালিভাষী ভুটানি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় লোতশাম্পার একাংশ। ভুটান থেকে এক সময় যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেই ভুটানেই আবার ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে, ভুটান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—তারা এই শরণার্থীদের গ্রহণ করবে না। ফলে, আবারও তাঁদের ঠাঁই হয়েছে নেপালের এক জীর্ণ শরণার্থীশিবিরে।
২০ জুলাই ২০২৫
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
৩৬ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
২ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩০ কোটি ডলারের জমকালো বলরুম নির্মাণের জন্য হোয়াইট হাউসের পূর্ব পাশ সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন এই বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে এটি করা হলো। যদিও ট্রাম্প এর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বলরুমের জন্য ভবনটির কোনো অংশ ভাঙা হবে না।
গতকাল শুক্রবার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা কিছু ছবিতে দেখা যায়, ঐতিহাসিক ভবনটির পূর্ব পাশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইতিহাসবিদ, হোয়াইট হাউসের সাবেক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ।
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
অথচ গত জুলাই মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, বলরুম নির্মাণের সময় হোয়াইট হাউসের বিদ্যমান অবকাঠামোর কিছুই ভেঙে ফেলা হবে না।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজের তত্ত্বাবধানকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশনের কাছে নকশা না পাঠিয়েই হোয়াইট হাউসের একাংশ ভেঙে ফেলার কাজ করেছেন ট্রাম্প।
গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, নির্মাণ পরিকল্পনা ‘শিগগির’ জমা দেওয়া হবে।
হোয়াইট হাউসের আরেক কর্মকর্তা দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশন ধ্বংসের অনুমতি নয়, শুধু ভবন নির্মাণের অনুমতি চায়। সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হবে।’

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩০ কোটি ডলারের জমকালো বলরুম নির্মাণের জন্য হোয়াইট হাউসের পূর্ব পাশ সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন এই বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে এটি করা হলো। যদিও ট্রাম্প এর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বলরুমের জন্য ভবনটির কোনো অংশ ভাঙা হবে না।
গতকাল শুক্রবার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা কিছু ছবিতে দেখা যায়, ঐতিহাসিক ভবনটির পূর্ব পাশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইতিহাসবিদ, হোয়াইট হাউসের সাবেক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ।
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
অথচ গত জুলাই মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, বলরুম নির্মাণের সময় হোয়াইট হাউসের বিদ্যমান অবকাঠামোর কিছুই ভেঙে ফেলা হবে না।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজের তত্ত্বাবধানকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশনের কাছে নকশা না পাঠিয়েই হোয়াইট হাউসের একাংশ ভেঙে ফেলার কাজ করেছেন ট্রাম্প।
গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, নির্মাণ পরিকল্পনা ‘শিগগির’ জমা দেওয়া হবে।
হোয়াইট হাউসের আরেক কর্মকর্তা দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশন ধ্বংসের অনুমতি নয়, শুধু ভবন নির্মাণের অনুমতি চায়। সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হবে।’

আবারও অনিশ্চয়তায় নেপালিভাষী ভুটানি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় লোতশাম্পার একাংশ। ভুটান থেকে এক সময় যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেই ভুটানেই আবার ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে, ভুটান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—তারা এই শরণার্থীদের গ্রহণ করবে না। ফলে, আবারও তাঁদের ঠাঁই হয়েছে নেপালের এক জীর্ণ শরণার্থীশিবিরে।
২০ জুলাই ২০২৫
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
৩৬ মিনিট আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
১ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত। গাজায় ব্যাপক পুনর্গঠন কাজ শুরু হলে একটি নিরাপত্তা শূন্যতা (security vacuum) তৈরি হওয়া রোধ করতে এই বাহিনী গঠন করা হচ্ছে।
এই বাহিনীতে তুরস্ক সেনা পাঠাতে আগ্রহী হলেও ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা তুর্কি সেনাদের এই বাহিনীতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দিচ্ছে না।
ইসরায়েল ও তুরস্কের সম্পর্কে তিক্ততা আগেই বেড়ে গিয়েছিল সিরিয়া নিয়ে। আর ইসরায়েল মনে করে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ।
তবে গাজা স্থিতিশীলতা বাহিনী থেকে তুরস্ককে বাদ দেওয়া বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, তুরস্ক ট্রাম্পের ২০ দফা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম ‘জামিনদার’ এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সক্ষম সামরিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত।
এই বাহিনীর নেতৃত্ব মিসরের হাতে যেতে পারে।
এটি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী না হলেও ইন্দোনেশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ স্থিতিশীলতা বাহিনীর বেশির ভাগ দেশ চাচ্ছে বাহিনীটিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ম্যান্ডেট দেওয়া হোক।
এর পরিবর্তে, এটি দক্ষিণ ইসরায়েলের শহর কিরিয়াত গাতে অবস্থিত মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক সেল সিভিল-মিলিটারি কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের (সিএমসিসি) সঙ্গে সমন্বয় করবে।
গত মঙ্গলবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এই সেলের উদ্বোধন করেন। সেলটিতে কয়েকজন ব্রিটিশ, ফরাসি, জর্ডানীয় ও আমিরাতি উপদেষ্টা রয়েছেন। এই সেল গাজায় ত্রাণ সমন্বয়ের ভূমিকাও গ্রহণ করছে বলে মনে হচ্ছে। যদিও ত্রাণসহায়তা প্রবেশের প্রধান ক্রসিংগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে।
এ বাহিনীর কাজ হবে হামাসকে নিরস্ত্র করা এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিনি সরকারকে নিরাপত্তা দেওয়া, যে সরকার গঠন নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণ বাতিল করে দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে গতকাল শুক্রবার প্রধান ফিলিস্তিনি দলগুলো একমত হয়েছে, রাজনীতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন কমিটি এই অঞ্চল পরিচালনার দায়িত্ব নেবে।
গত বৃহস্পতিবার গাজায় ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি মৃতদেহ খুঁজে বের করতে পাঠানো তুরস্কের দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বিশেষজ্ঞদের ইসরায়েলের অনুমোদনের জন্য গাজা সীমান্তের কাছে মিসরের সীমানায় অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে যে উত্তেজনা বাড়ছে তারই লক্ষণ এটি।
জীবন শনাক্তকরণ ডিভাইস এবং প্রশিক্ষিত সার্চ ডগ নিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ৮১ সদস্যের এই দলটি।
গতকাল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ইসরায়েলকে চাপে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও কিছু করা উচিত, যার মধ্যে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা এবং অস্ত্র বিক্রয় নিষিদ্ধ করা।
এদিকে হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার প্রশাসন একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিন কমিটির হাতে হস্তান্তর করা হবে, যা স্বাধীন ‘টেকনোক্রেট’দের সমন্বয়ে গঠিত। এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে মিলিতভাবে জীবন ও মৌলিক সেবার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কায়রোর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত। গাজায় ব্যাপক পুনর্গঠন কাজ শুরু হলে একটি নিরাপত্তা শূন্যতা (security vacuum) তৈরি হওয়া রোধ করতে এই বাহিনী গঠন করা হচ্ছে।
এই বাহিনীতে তুরস্ক সেনা পাঠাতে আগ্রহী হলেও ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা তুর্কি সেনাদের এই বাহিনীতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দিচ্ছে না।
ইসরায়েল ও তুরস্কের সম্পর্কে তিক্ততা আগেই বেড়ে গিয়েছিল সিরিয়া নিয়ে। আর ইসরায়েল মনে করে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ।
তবে গাজা স্থিতিশীলতা বাহিনী থেকে তুরস্ককে বাদ দেওয়া বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, তুরস্ক ট্রাম্পের ২০ দফা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম ‘জামিনদার’ এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সক্ষম সামরিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত।
এই বাহিনীর নেতৃত্ব মিসরের হাতে যেতে পারে।
এটি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী না হলেও ইন্দোনেশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ স্থিতিশীলতা বাহিনীর বেশির ভাগ দেশ চাচ্ছে বাহিনীটিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ম্যান্ডেট দেওয়া হোক।
এর পরিবর্তে, এটি দক্ষিণ ইসরায়েলের শহর কিরিয়াত গাতে অবস্থিত মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক সেল সিভিল-মিলিটারি কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের (সিএমসিসি) সঙ্গে সমন্বয় করবে।
গত মঙ্গলবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এই সেলের উদ্বোধন করেন। সেলটিতে কয়েকজন ব্রিটিশ, ফরাসি, জর্ডানীয় ও আমিরাতি উপদেষ্টা রয়েছেন। এই সেল গাজায় ত্রাণ সমন্বয়ের ভূমিকাও গ্রহণ করছে বলে মনে হচ্ছে। যদিও ত্রাণসহায়তা প্রবেশের প্রধান ক্রসিংগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে।
এ বাহিনীর কাজ হবে হামাসকে নিরস্ত্র করা এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিনি সরকারকে নিরাপত্তা দেওয়া, যে সরকার গঠন নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণ বাতিল করে দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে গতকাল শুক্রবার প্রধান ফিলিস্তিনি দলগুলো একমত হয়েছে, রাজনীতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন কমিটি এই অঞ্চল পরিচালনার দায়িত্ব নেবে।
গত বৃহস্পতিবার গাজায় ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি মৃতদেহ খুঁজে বের করতে পাঠানো তুরস্কের দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বিশেষজ্ঞদের ইসরায়েলের অনুমোদনের জন্য গাজা সীমান্তের কাছে মিসরের সীমানায় অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে যে উত্তেজনা বাড়ছে তারই লক্ষণ এটি।
জীবন শনাক্তকরণ ডিভাইস এবং প্রশিক্ষিত সার্চ ডগ নিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ৮১ সদস্যের এই দলটি।
গতকাল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ইসরায়েলকে চাপে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও কিছু করা উচিত, যার মধ্যে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা এবং অস্ত্র বিক্রয় নিষিদ্ধ করা।
এদিকে হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার প্রশাসন একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিন কমিটির হাতে হস্তান্তর করা হবে, যা স্বাধীন ‘টেকনোক্রেট’দের সমন্বয়ে গঠিত। এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে মিলিতভাবে জীবন ও মৌলিক সেবার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কায়রোর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আবারও অনিশ্চয়তায় নেপালিভাষী ভুটানি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় লোতশাম্পার একাংশ। ভুটান থেকে এক সময় যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেই ভুটানেই আবার ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে, ভুটান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—তারা এই শরণার্থীদের গ্রহণ করবে না। ফলে, আবারও তাঁদের ঠাঁই হয়েছে নেপালের এক জীর্ণ শরণার্থীশিবিরে।
২০ জুলাই ২০২৫
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
৩৬ মিনিট আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
২ ঘণ্টা আগে