মিয়ানমারের সামরিক শাসক তথা জান্তা বাহিনীর সরকার দেশের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ৫ হাজার ৮৬৪ জন বন্দীকে মুক্তি দিচ্ছে। এই বন্দীদের মধ্যে ১৮০ জন বিদেশি। সাধারণ ক্ষমার আওতায় তাঁদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক কর্তৃপক্ষ আজ শনিবার জানিয়েছে, মানবিক ও সহানুভূতিশীল কারণে এই মুক্তির আদেশ দেওয়া হয়েছে। ৫ হাজার ৮৬৪ জনকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি ১৪৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কমিয়ে ১৫ বছর করা হবে। বন্দীদের কী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং মুক্তি পাওয়া বিদেশিদের জাতীয়তা কী সে বিষয়ে কোনো বিবরণ দেওয়া হয়নি। তবে জানানো হয়েছে, মুক্তি পাওয়ার পর তাঁদের মিয়ানমার থেকে বহিষ্কার করা হবে।
মুক্তি পাওয়া বিদেশিদের মধ্যে চারজন থাইল্যান্ডের জেলে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। গত নভেম্বরের শেষের দিকে মিয়ানমারের নৌবাহিনী এই চার জেলেকে আটক করেছিল। মিয়ানমারের নৌবাহিনীর টহল নৌযান আন্দামান সাগরের সামুদ্রিক সীমানার কাছাকাছি থাই মাছ ধরার জাহাজে গুলি চালানোর পর তাঁদের আটক করা হয়। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি আশা করেন যে স্বাধীনতা দিবসের দিন চারজনকে মুক্তি দেওয়া হবে।
মিয়ানমার নিয়মিতভাবে ছুটির দিন বা বৌদ্ধ উৎসব উপলক্ষে হাজার হাজার বন্দীকে সাধারণ ক্ষমা দেয়। গত বছর সামরিক সরকার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ৯ হাজারের বেশি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। ২০২১ সালের অক্টোবরেও একই ধরনের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
যাঁরা এখনো বন্দী আছেন, তাঁদের মধ্যে মিয়ানমারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নোবেলজয়ী অং সান সু চি অন্যতম। ৭৯ বছর বয়সী সু চি সামরিক বাহিনীর আনা ১৪টি ফৌজদারি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। অভিযোগগুলোর মধ্যে উসকানি, নির্বাচনী জালিয়াতি এবং দুর্নীতি অন্যতম। তবে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ বছরের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে সরকার ও সামরিক বাহিনীর ৫০০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের দেওয়া একটি ভাষণ অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করেন উপপ্রধানমন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর জেনারেল সো উইন। ভাষণে মিন অং হ্লাইং সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র দলগুলোকে অস্ত্র ত্যাগ করতে এবং ‘শান্তিপূর্ণ উপায়ে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের’ আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনী একটি নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে এবং গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকে সহিংসভাবে দমন করে। এর ফলে দেশজুড়ে সশস্ত্র বিদ্রোহ দেখা দেয়। বিদ্রোহীরা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে বড় সাফল্য অর্জন করেছে।
দুই সপ্তাহ আগে রাখাইনকেন্দ্রিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি দেশের পশ্চিমাঞ্চলে সামরিক বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ঘাঁটি দখল করে। এটি গত পাঁচ মাসে সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলনের দ্বিতীয় বড় সাফল্য। সম্প্রতি তারা মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তের নিয়ন্ত্রণও গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ মংডু শহরও দখল করে।
মিয়ানমারের সামরিক শাসক তথা জান্তা বাহিনীর সরকার দেশের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ৫ হাজার ৮৬৪ জন বন্দীকে মুক্তি দিচ্ছে। এই বন্দীদের মধ্যে ১৮০ জন বিদেশি। সাধারণ ক্ষমার আওতায় তাঁদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক কর্তৃপক্ষ আজ শনিবার জানিয়েছে, মানবিক ও সহানুভূতিশীল কারণে এই মুক্তির আদেশ দেওয়া হয়েছে। ৫ হাজার ৮৬৪ জনকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি ১৪৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কমিয়ে ১৫ বছর করা হবে। বন্দীদের কী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং মুক্তি পাওয়া বিদেশিদের জাতীয়তা কী সে বিষয়ে কোনো বিবরণ দেওয়া হয়নি। তবে জানানো হয়েছে, মুক্তি পাওয়ার পর তাঁদের মিয়ানমার থেকে বহিষ্কার করা হবে।
মুক্তি পাওয়া বিদেশিদের মধ্যে চারজন থাইল্যান্ডের জেলে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। গত নভেম্বরের শেষের দিকে মিয়ানমারের নৌবাহিনী এই চার জেলেকে আটক করেছিল। মিয়ানমারের নৌবাহিনীর টহল নৌযান আন্দামান সাগরের সামুদ্রিক সীমানার কাছাকাছি থাই মাছ ধরার জাহাজে গুলি চালানোর পর তাঁদের আটক করা হয়। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি আশা করেন যে স্বাধীনতা দিবসের দিন চারজনকে মুক্তি দেওয়া হবে।
মিয়ানমার নিয়মিতভাবে ছুটির দিন বা বৌদ্ধ উৎসব উপলক্ষে হাজার হাজার বন্দীকে সাধারণ ক্ষমা দেয়। গত বছর সামরিক সরকার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ৯ হাজারের বেশি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। ২০২১ সালের অক্টোবরেও একই ধরনের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
যাঁরা এখনো বন্দী আছেন, তাঁদের মধ্যে মিয়ানমারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নোবেলজয়ী অং সান সু চি অন্যতম। ৭৯ বছর বয়সী সু চি সামরিক বাহিনীর আনা ১৪টি ফৌজদারি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। অভিযোগগুলোর মধ্যে উসকানি, নির্বাচনী জালিয়াতি এবং দুর্নীতি অন্যতম। তবে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ বছরের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে সরকার ও সামরিক বাহিনীর ৫০০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের দেওয়া একটি ভাষণ অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করেন উপপ্রধানমন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর জেনারেল সো উইন। ভাষণে মিন অং হ্লাইং সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র দলগুলোকে অস্ত্র ত্যাগ করতে এবং ‘শান্তিপূর্ণ উপায়ে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের’ আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনী একটি নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে এবং গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকে সহিংসভাবে দমন করে। এর ফলে দেশজুড়ে সশস্ত্র বিদ্রোহ দেখা দেয়। বিদ্রোহীরা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে বড় সাফল্য অর্জন করেছে।
দুই সপ্তাহ আগে রাখাইনকেন্দ্রিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি দেশের পশ্চিমাঞ্চলে সামরিক বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ঘাঁটি দখল করে। এটি গত পাঁচ মাসে সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলনের দ্বিতীয় বড় সাফল্য। সম্প্রতি তারা মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তের নিয়ন্ত্রণও গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ মংডু শহরও দখল করে।
ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেলেনস্কি হোয়াইট হাউসের উত্তর প্রবেশপথে পৌঁছালে ট্রাম্প তাঁকে করমর্দন করে ও হাসি দিয়ে স্বাগত জানান।
৮ ঘণ্টা আগেএক অদ্ভুত পদক্ষেপের কারণে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের মালা টকমাচকা এলাকায় হামলা চালানোর সময় দখল করা একটি মার্কিন সাঁজোয়া যানে তারা রাশিয়ার পতাকার পাশে আমেরিকার পতাকাও উড়িয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেস্থানীয় সময় বেলা ১টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ১৫ মিনিট) এই বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিসহ প্রায় সব ইউরোপীয় নেতা হোয়াইট হাউসে এসে পৌঁছেছেন।
৯ ঘণ্টা আগেট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের মাত্র তিন দিন পরে পুতিন ফোন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। জানালেন, বৈঠকের আগে তাঁর দেওয়া পরামর্শ কতটা কাজে লেগেছে। মোদির উত্তরও ছিল কূটনৈতিক—ভারত এখনো বিশ্বাস করে আলোচনার পথেই শান্তি সম্ভব। কিন্তু এর বাইরেও রয়েছে শক্ত বার্তা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যত স্বীকার
১০ ঘণ্টা আগে