
মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখায় মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ১৪৫ জন বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু মুসলিমই রয়েছেন ১১৭ জন।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মোখায় পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মোখায় দেশের অন্য অংশে কত প্রাণহানি হয়েছে, সে সম্পর্কে এখনো কিছু জানায়নি জান্তা সরকার।
ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ও কক্সবাজারের পর মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানে ১৪ মে। সে হিসাবে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব প্রকাশে বেশ দেরি করল সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যোগাযোগ ব্যাহত হওয়া এবং তথ্যের ওপর সামরিক সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণেই এই বিলম্ব বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সামরিক সরকার বলছে, অনানুষ্ঠানিকভাবে মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে যা প্রচার করা হচ্ছে, তা মিথ্যা। তবে স্বাধীন সূত্রের মাধ্যমে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির তথ্য যাচাই করা সম্ভব না হওয়ায় সরকারি হিসাব নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
১৪ মে বিকেলে রাখাইন রাজ্যের সিত্তে শহরের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে মোখা। দুর্বল হওয়ার আগে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটার।
অন্তত এক দশকের মধ্যে দেশটিতে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড় ছিল মোখা। আকস্মিক বন্যা এবং বিদ্যুৎবিভ্রাটের পাশাপাশি প্রবল বাতাসে ভবনের ছাদ ও মোবাইল ফোনের টাওয়ার উড়ে যাওয়ার মতো দৃশ্য দেখা গেছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, ঘূর্ণিঝড় মোখার গতিপথে লাখ লাখ মানুষের বাস ছিল। ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলার এবং যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে, তাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য চেষ্টা চলছে। উপকূলীয় রাখাইন রাজ্যই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম উপকূলজুড়ে এর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। কাচিন রাজ্যেও কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভিতে আজ শুক্রবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইনে ১১৭ জন রোহিঙ্গা ছাড়াও ৪ সেনাসদস্য এবং ২৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। ঝড় আঘাত হানার আগে কর্তৃপক্ষের সতর্কতা সত্ত্বেও বাড়িঘর ছাড়তে অস্বীকার করার কারণেই এত লোকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
এমআরটিভি আরও জানিয়েছে, ১৯ মে থেকে সিত্তেসহ ১৭টি পৌর এলাকার ১৭টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া ১ লাখ ২৫ হাজার ৭৮৯ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ৬৩ হাজার ৩০২ জনকে কর্তৃপক্ষ সরিয়ে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারি টিভির ওই প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। রোহিঙ্গারা কয়েক প্রজন্ম ধরে মিয়ানমারে বসবাস করছে। কিন্তু সরকার তাদের বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী বলে দাবি করে। সরকারিভাবে সংখ্যালঘু স্বীকৃতি তো দূরের কথা নাগরিকত্ব ও অন্য মৌলিক অধিকার থেকেও তাদের বঞ্চিত করা হয়।
ঘূর্ণিঝড় মোখার কবলে পড়া রোহিঙ্গারা বেশির ভাগই জনাকীর্ণ আশ্রয় শিবিরে বসবাস করতেন। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নেতৃত্বে ২০১৭ সালের একটি নৃশংস অভিযানে এই মানুষগুলো বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ওই সময় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে বাংলাদেশের শিবিরগুলোতে মোখার আঘাতে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
জাতিসংঘের ওসিএইচএর প্রতিবেদনে ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। তবে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিসহ হতাহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের এখনো নথিভুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জন্য হেডওয়ে এডুকেশন সেন্টারের শিক্ষক থেইন শোয়ে আজ বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, ৩২টি শিশু এবং ৪৬ জন নারীসহ ১৫টি ক্যাম্প ও গ্রামের অন্তত ১১৬ জনের মৃতদেহ দাফন করা হয়েছে।
সতর্ক করা সত্ত্বেও অনেক মানুষ সরে যায়নি বলেই এত হতাহত—সরকারের এমন দাবি সঠিক বলেও জানান থেইন শোয়ে।
তবে তিনি বলেন, সরকার কিছু খাদ্য এবং আশ্রয় সহায়তা দিলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বেসরকারি দাতাদের কাছ থেকে এখনো কোনো সাহায্য আসেনি।
থেইন শোয়ে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে আসার অনুমোদন দেবে, এখানকার রোহিঙ্গারা তত দ্রুত সাহায্য পাবে। অনুমোদন সীমিত হলে এখানকার মানুষের আরও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।’
ওসিএইচএ বলছে, গুরুত্বপূর্ণ জনসেবা, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা ও খাওয়ার পানি নিশ্চিত করা জরুরি। সেখানে বিশুদ্ধ পানির ভয়াবহ সংকট। প্লাবিত এলাকায় পানিবাহিত রোগের বিস্তার এবং চলাচলের পথে ভূমি মাইন নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
ভারত, জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে দুর্গতদের জন্য ত্রাণসহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর বলেছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজ মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে পৌঁছেছে। চতুর্থ জাহাজটি আজ পৌঁছানোর কথা। জাহাজগুলোতে জরুরি খাদ্যসামগ্রী, তাঁবু, প্রয়োজনীয় ওষুধ, পানির পাম্প, বহনযোগ্য জেনারেটর, জামা-কাপড়, স্যানিটারি এবং চিকিৎসাসামগ্রী আছে বলে জানান জয়শঙ্কর।

মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখায় মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ১৪৫ জন বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু মুসলিমই রয়েছেন ১১৭ জন।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মোখায় পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মোখায় দেশের অন্য অংশে কত প্রাণহানি হয়েছে, সে সম্পর্কে এখনো কিছু জানায়নি জান্তা সরকার।
ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ও কক্সবাজারের পর মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানে ১৪ মে। সে হিসাবে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব প্রকাশে বেশ দেরি করল সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যোগাযোগ ব্যাহত হওয়া এবং তথ্যের ওপর সামরিক সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণেই এই বিলম্ব বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সামরিক সরকার বলছে, অনানুষ্ঠানিকভাবে মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে যা প্রচার করা হচ্ছে, তা মিথ্যা। তবে স্বাধীন সূত্রের মাধ্যমে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির তথ্য যাচাই করা সম্ভব না হওয়ায় সরকারি হিসাব নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
১৪ মে বিকেলে রাখাইন রাজ্যের সিত্তে শহরের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে মোখা। দুর্বল হওয়ার আগে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটার।
অন্তত এক দশকের মধ্যে দেশটিতে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড় ছিল মোখা। আকস্মিক বন্যা এবং বিদ্যুৎবিভ্রাটের পাশাপাশি প্রবল বাতাসে ভবনের ছাদ ও মোবাইল ফোনের টাওয়ার উড়ে যাওয়ার মতো দৃশ্য দেখা গেছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, ঘূর্ণিঝড় মোখার গতিপথে লাখ লাখ মানুষের বাস ছিল। ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলার এবং যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে, তাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য চেষ্টা চলছে। উপকূলীয় রাখাইন রাজ্যই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম উপকূলজুড়ে এর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। কাচিন রাজ্যেও কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভিতে আজ শুক্রবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইনে ১১৭ জন রোহিঙ্গা ছাড়াও ৪ সেনাসদস্য এবং ২৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। ঝড় আঘাত হানার আগে কর্তৃপক্ষের সতর্কতা সত্ত্বেও বাড়িঘর ছাড়তে অস্বীকার করার কারণেই এত লোকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
এমআরটিভি আরও জানিয়েছে, ১৯ মে থেকে সিত্তেসহ ১৭টি পৌর এলাকার ১৭টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া ১ লাখ ২৫ হাজার ৭৮৯ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ৬৩ হাজার ৩০২ জনকে কর্তৃপক্ষ সরিয়ে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারি টিভির ওই প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। রোহিঙ্গারা কয়েক প্রজন্ম ধরে মিয়ানমারে বসবাস করছে। কিন্তু সরকার তাদের বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী বলে দাবি করে। সরকারিভাবে সংখ্যালঘু স্বীকৃতি তো দূরের কথা নাগরিকত্ব ও অন্য মৌলিক অধিকার থেকেও তাদের বঞ্চিত করা হয়।
ঘূর্ণিঝড় মোখার কবলে পড়া রোহিঙ্গারা বেশির ভাগই জনাকীর্ণ আশ্রয় শিবিরে বসবাস করতেন। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নেতৃত্বে ২০১৭ সালের একটি নৃশংস অভিযানে এই মানুষগুলো বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ওই সময় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে বাংলাদেশের শিবিরগুলোতে মোখার আঘাতে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
জাতিসংঘের ওসিএইচএর প্রতিবেদনে ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। তবে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিসহ হতাহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের এখনো নথিভুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জন্য হেডওয়ে এডুকেশন সেন্টারের শিক্ষক থেইন শোয়ে আজ বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, ৩২টি শিশু এবং ৪৬ জন নারীসহ ১৫টি ক্যাম্প ও গ্রামের অন্তত ১১৬ জনের মৃতদেহ দাফন করা হয়েছে।
সতর্ক করা সত্ত্বেও অনেক মানুষ সরে যায়নি বলেই এত হতাহত—সরকারের এমন দাবি সঠিক বলেও জানান থেইন শোয়ে।
তবে তিনি বলেন, সরকার কিছু খাদ্য এবং আশ্রয় সহায়তা দিলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বেসরকারি দাতাদের কাছ থেকে এখনো কোনো সাহায্য আসেনি।
থেইন শোয়ে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে আসার অনুমোদন দেবে, এখানকার রোহিঙ্গারা তত দ্রুত সাহায্য পাবে। অনুমোদন সীমিত হলে এখানকার মানুষের আরও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।’
ওসিএইচএ বলছে, গুরুত্বপূর্ণ জনসেবা, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা ও খাওয়ার পানি নিশ্চিত করা জরুরি। সেখানে বিশুদ্ধ পানির ভয়াবহ সংকট। প্লাবিত এলাকায় পানিবাহিত রোগের বিস্তার এবং চলাচলের পথে ভূমি মাইন নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
ভারত, জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে দুর্গতদের জন্য ত্রাণসহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর বলেছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজ মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে পৌঁছেছে। চতুর্থ জাহাজটি আজ পৌঁছানোর কথা। জাহাজগুলোতে জরুরি খাদ্যসামগ্রী, তাঁবু, প্রয়োজনীয় ওষুধ, পানির পাম্প, বহনযোগ্য জেনারেটর, জামা-কাপড়, স্যানিটারি এবং চিকিৎসাসামগ্রী আছে বলে জানান জয়শঙ্কর।

মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখায় মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ১৪৫ জন বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু মুসলিমই রয়েছেন ১১৭ জন।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মোখায় পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মোখায় দেশের অন্য অংশে কত প্রাণহানি হয়েছে, সে সম্পর্কে এখনো কিছু জানায়নি জান্তা সরকার।
ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ও কক্সবাজারের পর মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানে ১৪ মে। সে হিসাবে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব প্রকাশে বেশ দেরি করল সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যোগাযোগ ব্যাহত হওয়া এবং তথ্যের ওপর সামরিক সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণেই এই বিলম্ব বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সামরিক সরকার বলছে, অনানুষ্ঠানিকভাবে মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে যা প্রচার করা হচ্ছে, তা মিথ্যা। তবে স্বাধীন সূত্রের মাধ্যমে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির তথ্য যাচাই করা সম্ভব না হওয়ায় সরকারি হিসাব নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
১৪ মে বিকেলে রাখাইন রাজ্যের সিত্তে শহরের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে মোখা। দুর্বল হওয়ার আগে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটার।
অন্তত এক দশকের মধ্যে দেশটিতে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড় ছিল মোখা। আকস্মিক বন্যা এবং বিদ্যুৎবিভ্রাটের পাশাপাশি প্রবল বাতাসে ভবনের ছাদ ও মোবাইল ফোনের টাওয়ার উড়ে যাওয়ার মতো দৃশ্য দেখা গেছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, ঘূর্ণিঝড় মোখার গতিপথে লাখ লাখ মানুষের বাস ছিল। ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলার এবং যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে, তাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য চেষ্টা চলছে। উপকূলীয় রাখাইন রাজ্যই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম উপকূলজুড়ে এর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। কাচিন রাজ্যেও কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভিতে আজ শুক্রবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইনে ১১৭ জন রোহিঙ্গা ছাড়াও ৪ সেনাসদস্য এবং ২৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। ঝড় আঘাত হানার আগে কর্তৃপক্ষের সতর্কতা সত্ত্বেও বাড়িঘর ছাড়তে অস্বীকার করার কারণেই এত লোকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
এমআরটিভি আরও জানিয়েছে, ১৯ মে থেকে সিত্তেসহ ১৭টি পৌর এলাকার ১৭টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া ১ লাখ ২৫ হাজার ৭৮৯ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ৬৩ হাজার ৩০২ জনকে কর্তৃপক্ষ সরিয়ে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারি টিভির ওই প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। রোহিঙ্গারা কয়েক প্রজন্ম ধরে মিয়ানমারে বসবাস করছে। কিন্তু সরকার তাদের বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী বলে দাবি করে। সরকারিভাবে সংখ্যালঘু স্বীকৃতি তো দূরের কথা নাগরিকত্ব ও অন্য মৌলিক অধিকার থেকেও তাদের বঞ্চিত করা হয়।
ঘূর্ণিঝড় মোখার কবলে পড়া রোহিঙ্গারা বেশির ভাগই জনাকীর্ণ আশ্রয় শিবিরে বসবাস করতেন। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নেতৃত্বে ২০১৭ সালের একটি নৃশংস অভিযানে এই মানুষগুলো বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ওই সময় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে বাংলাদেশের শিবিরগুলোতে মোখার আঘাতে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
জাতিসংঘের ওসিএইচএর প্রতিবেদনে ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। তবে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিসহ হতাহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের এখনো নথিভুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জন্য হেডওয়ে এডুকেশন সেন্টারের শিক্ষক থেইন শোয়ে আজ বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, ৩২টি শিশু এবং ৪৬ জন নারীসহ ১৫টি ক্যাম্প ও গ্রামের অন্তত ১১৬ জনের মৃতদেহ দাফন করা হয়েছে।
সতর্ক করা সত্ত্বেও অনেক মানুষ সরে যায়নি বলেই এত হতাহত—সরকারের এমন দাবি সঠিক বলেও জানান থেইন শোয়ে।
তবে তিনি বলেন, সরকার কিছু খাদ্য এবং আশ্রয় সহায়তা দিলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বেসরকারি দাতাদের কাছ থেকে এখনো কোনো সাহায্য আসেনি।
থেইন শোয়ে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে আসার অনুমোদন দেবে, এখানকার রোহিঙ্গারা তত দ্রুত সাহায্য পাবে। অনুমোদন সীমিত হলে এখানকার মানুষের আরও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।’
ওসিএইচএ বলছে, গুরুত্বপূর্ণ জনসেবা, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা ও খাওয়ার পানি নিশ্চিত করা জরুরি। সেখানে বিশুদ্ধ পানির ভয়াবহ সংকট। প্লাবিত এলাকায় পানিবাহিত রোগের বিস্তার এবং চলাচলের পথে ভূমি মাইন নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
ভারত, জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে দুর্গতদের জন্য ত্রাণসহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর বলেছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজ মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে পৌঁছেছে। চতুর্থ জাহাজটি আজ পৌঁছানোর কথা। জাহাজগুলোতে জরুরি খাদ্যসামগ্রী, তাঁবু, প্রয়োজনীয় ওষুধ, পানির পাম্প, বহনযোগ্য জেনারেটর, জামা-কাপড়, স্যানিটারি এবং চিকিৎসাসামগ্রী আছে বলে জানান জয়শঙ্কর।

মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখায় মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ১৪৫ জন বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু মুসলিমই রয়েছেন ১১৭ জন।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মোখায় পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মোখায় দেশের অন্য অংশে কত প্রাণহানি হয়েছে, সে সম্পর্কে এখনো কিছু জানায়নি জান্তা সরকার।
ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ও কক্সবাজারের পর মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানে ১৪ মে। সে হিসাবে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব প্রকাশে বেশ দেরি করল সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যোগাযোগ ব্যাহত হওয়া এবং তথ্যের ওপর সামরিক সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণেই এই বিলম্ব বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সামরিক সরকার বলছে, অনানুষ্ঠানিকভাবে মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে যা প্রচার করা হচ্ছে, তা মিথ্যা। তবে স্বাধীন সূত্রের মাধ্যমে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির তথ্য যাচাই করা সম্ভব না হওয়ায় সরকারি হিসাব নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
১৪ মে বিকেলে রাখাইন রাজ্যের সিত্তে শহরের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে মোখা। দুর্বল হওয়ার আগে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটার।
অন্তত এক দশকের মধ্যে দেশটিতে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড় ছিল মোখা। আকস্মিক বন্যা এবং বিদ্যুৎবিভ্রাটের পাশাপাশি প্রবল বাতাসে ভবনের ছাদ ও মোবাইল ফোনের টাওয়ার উড়ে যাওয়ার মতো দৃশ্য দেখা গেছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, ঘূর্ণিঝড় মোখার গতিপথে লাখ লাখ মানুষের বাস ছিল। ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলার এবং যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে, তাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য চেষ্টা চলছে। উপকূলীয় রাখাইন রাজ্যই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম উপকূলজুড়ে এর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। কাচিন রাজ্যেও কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভিতে আজ শুক্রবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইনে ১১৭ জন রোহিঙ্গা ছাড়াও ৪ সেনাসদস্য এবং ২৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। ঝড় আঘাত হানার আগে কর্তৃপক্ষের সতর্কতা সত্ত্বেও বাড়িঘর ছাড়তে অস্বীকার করার কারণেই এত লোকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
এমআরটিভি আরও জানিয়েছে, ১৯ মে থেকে সিত্তেসহ ১৭টি পৌর এলাকার ১৭টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া ১ লাখ ২৫ হাজার ৭৮৯ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ৬৩ হাজার ৩০২ জনকে কর্তৃপক্ষ সরিয়ে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারি টিভির ওই প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। রোহিঙ্গারা কয়েক প্রজন্ম ধরে মিয়ানমারে বসবাস করছে। কিন্তু সরকার তাদের বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী বলে দাবি করে। সরকারিভাবে সংখ্যালঘু স্বীকৃতি তো দূরের কথা নাগরিকত্ব ও অন্য মৌলিক অধিকার থেকেও তাদের বঞ্চিত করা হয়।
ঘূর্ণিঝড় মোখার কবলে পড়া রোহিঙ্গারা বেশির ভাগই জনাকীর্ণ আশ্রয় শিবিরে বসবাস করতেন। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নেতৃত্বে ২০১৭ সালের একটি নৃশংস অভিযানে এই মানুষগুলো বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ওই সময় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে বাংলাদেশের শিবিরগুলোতে মোখার আঘাতে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
জাতিসংঘের ওসিএইচএর প্রতিবেদনে ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। তবে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিসহ হতাহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের এখনো নথিভুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জন্য হেডওয়ে এডুকেশন সেন্টারের শিক্ষক থেইন শোয়ে আজ বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, ৩২টি শিশু এবং ৪৬ জন নারীসহ ১৫টি ক্যাম্প ও গ্রামের অন্তত ১১৬ জনের মৃতদেহ দাফন করা হয়েছে।
সতর্ক করা সত্ত্বেও অনেক মানুষ সরে যায়নি বলেই এত হতাহত—সরকারের এমন দাবি সঠিক বলেও জানান থেইন শোয়ে।
তবে তিনি বলেন, সরকার কিছু খাদ্য এবং আশ্রয় সহায়তা দিলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বেসরকারি দাতাদের কাছ থেকে এখনো কোনো সাহায্য আসেনি।
থেইন শোয়ে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে আসার অনুমোদন দেবে, এখানকার রোহিঙ্গারা তত দ্রুত সাহায্য পাবে। অনুমোদন সীমিত হলে এখানকার মানুষের আরও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।’
ওসিএইচএ বলছে, গুরুত্বপূর্ণ জনসেবা, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা ও খাওয়ার পানি নিশ্চিত করা জরুরি। সেখানে বিশুদ্ধ পানির ভয়াবহ সংকট। প্লাবিত এলাকায় পানিবাহিত রোগের বিস্তার এবং চলাচলের পথে ভূমি মাইন নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
ভারত, জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে দুর্গতদের জন্য ত্রাণসহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর বলেছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজ মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে পৌঁছেছে। চতুর্থ জাহাজটি আজ পৌঁছানোর কথা। জাহাজগুলোতে জরুরি খাদ্যসামগ্রী, তাঁবু, প্রয়োজনীয় ওষুধ, পানির পাম্প, বহনযোগ্য জেনারেটর, জামা-কাপড়, স্যানিটারি এবং চিকিৎসাসামগ্রী আছে বলে জানান জয়শঙ্কর।

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
১ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
১ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
২ ঘণ্টা আগে
বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ও কক্সবাজারের পর মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানে গত ১৪ মে। সে হিসাবে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব প্রকাশে বেশ দেরি করল সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যোগাযোগ ব্যাহত হওয়া এবং তথ্যের ওপর সামরিক সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণেই এই বিলম্ব বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১৯ মে ২০২৩
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
১ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
২ ঘণ্টা আগে
বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ও কক্সবাজারের পর মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানে গত ১৪ মে। সে হিসাবে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব প্রকাশে বেশ দেরি করল সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যোগাযোগ ব্যাহত হওয়া এবং তথ্যের ওপর সামরিক সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণেই এই বিলম্ব বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১৯ মে ২০২৩
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
১ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
২ ঘণ্টা আগে
বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ও কক্সবাজারের পর মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানে গত ১৪ মে। সে হিসাবে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব প্রকাশে বেশ দেরি করল সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যোগাযোগ ব্যাহত হওয়া এবং তথ্যের ওপর সামরিক সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণেই এই বিলম্ব বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১৯ মে ২০২৩
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
১ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
১ ঘণ্টা আগে
বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘নতুন করে একটি যুদ্ধ বাধানোর পাঁয়তারা করছে’। সম্প্রতি ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে উন্নত রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড মোতায়েন করেছে। পেন্টাগনের এ পদক্ষেপের পরই এমন মন্তব্য করেন মাদুরো।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা। গত কয়েক দিনে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে অন্তত ১০টি বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে মাদুরো বলেছেন, এটি আসলে ‘এক চিরস্থায়ী যুদ্ধের প্রস্তুতি’। ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্য করে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো হচ্ছে, যা তাঁর সরকার উৎখাতের উদ্দেশ্যে করা হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে মাদুরোকে ‘একটি আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারী চক্রের নেতা’ বলে অভিযুক্ত করে আসছেন। তবে মাদুরো বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু দেশই ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে মাদুরোকে ভেনেজুয়েলার বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন। কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিরোধী প্রার্থীরা ব্যাপক ব্যবধানে জয়ী হওয়ার পরেও জালিয়াতির মাধ্যমে মাদুরো জয়লাভ করেন।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন কমান্ড অঞ্চলে মোতায়েন করা হচ্ছে। এর আওতায় মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চল পড়ে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শন পারনেল বলেন, অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের লক্ষ্য হলো ‘মাদক পাচার প্রতিরোধ ও আন্তদেশীয় অপরাধী সংগঠনগুলোকে ধ্বংস করা।’
তবে মাদুরোর ভাষায়, ‘ওরা বলেছিল, আর কোনো যুদ্ধে যাবে না, অথচ এখন মাদক পাচার রোধের নামে নিজেরাই যুদ্ধ শুরু করছে।’
গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেন, ‘সমুদ্রে আমরা মাদক আসা বন্ধ করতে পেরেছি, এবার স্থলপথেও তা বন্ধ করব। খুব শিগগির তা দেখতে পাবেন।’ তিনি ইঙ্গিত দেন, ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থল অভিযান শুরু করার কথাও ভাবা হচ্ছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর উপস্থিতিও অঞ্চলটিতে জোরদার করা হয়েছে।
বিবিসি ভেরিফাই জানিয়েছে, পুয়ের্তো রিকোতে বেশ কয়েকটি মার্কিন সামরিক বিমান মোতায়েন রয়েছে। এদিকে সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলায় কোকেন উৎপাদন কেন্দ্র ও পাচার রুটে হামলার পরিকল্পনা বিবেচনা করছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানান, ক্যারিবীয় সাগরে সাম্প্রতিক এক অভিযানে ‘ছয়জন মাদকসন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। তাদের নৌকাটি ভেনেজুয়েলাভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন ট্রেন দে আরাগুয়ার বলে দাবি করেন তিনি।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের এসব অভিযানে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে অনেকে এই অভিযানের বৈধতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ২৫ জন ডেমোক্র্যাট সিনেটর হোয়াইট হাউসে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন, কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র একটি নৌযানে হামলা চালায়। অথচ এই নৌযানের যাত্রী বা পণ্য—কোনোটাই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি ছিল না। এর কোনো প্রমাণও নেই। রিপাবলিকান সিনেটর র্যান্ড পলও বলেন, এ ধরনের সামরিক হামলার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।
ট্রাম্প অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর এ ধরনের হামলা চালানোর আইনি ক্ষমতা রয়েছে। তবে তিনি বলেন, ‘যদি স্থল অভিযান চালানো হয়, তখন হয়তো কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলব।’
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপে কর্মরত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক আইনজীবী ব্রায়ান ফিনুকেন বিবিসিকে বলেন, ‘এটি একধরনের সাংবিধানিক সংকট। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, সামরিক শক্তি ব্যবহারের ওপর প্রধান নিয়ন্ত্রণ কংগ্রেসের হাতে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে হোয়াইট হাউস সেই ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে, আর কংগ্রেসও কোনো প্রতিরোধ করছে না।’
তবে অনেকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক পদক্ষেপ সরাসরি আক্রমণ নয়, বরং মাদুরো প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর ওপর ভয় ও চাপ সৃষ্টি করার কৌশল।
চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটা মূলত ‘রেজিম চেঞ্জ’-এর বার্তা। ওরা সরাসরি আক্রমণ না করলেও এই শক্তি প্রদর্শন ভেনেজুয়েলার সেনাদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার কৌশল।

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘নতুন করে একটি যুদ্ধ বাধানোর পাঁয়তারা করছে’। সম্প্রতি ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে উন্নত রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড মোতায়েন করেছে। পেন্টাগনের এ পদক্ষেপের পরই এমন মন্তব্য করেন মাদুরো।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা। গত কয়েক দিনে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে অন্তত ১০টি বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে মাদুরো বলেছেন, এটি আসলে ‘এক চিরস্থায়ী যুদ্ধের প্রস্তুতি’। ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্য করে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো হচ্ছে, যা তাঁর সরকার উৎখাতের উদ্দেশ্যে করা হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে মাদুরোকে ‘একটি আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারী চক্রের নেতা’ বলে অভিযুক্ত করে আসছেন। তবে মাদুরো বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু দেশই ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে মাদুরোকে ভেনেজুয়েলার বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন। কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিরোধী প্রার্থীরা ব্যাপক ব্যবধানে জয়ী হওয়ার পরেও জালিয়াতির মাধ্যমে মাদুরো জয়লাভ করেন।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন কমান্ড অঞ্চলে মোতায়েন করা হচ্ছে। এর আওতায় মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চল পড়ে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শন পারনেল বলেন, অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের লক্ষ্য হলো ‘মাদক পাচার প্রতিরোধ ও আন্তদেশীয় অপরাধী সংগঠনগুলোকে ধ্বংস করা।’
তবে মাদুরোর ভাষায়, ‘ওরা বলেছিল, আর কোনো যুদ্ধে যাবে না, অথচ এখন মাদক পাচার রোধের নামে নিজেরাই যুদ্ধ শুরু করছে।’
গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেন, ‘সমুদ্রে আমরা মাদক আসা বন্ধ করতে পেরেছি, এবার স্থলপথেও তা বন্ধ করব। খুব শিগগির তা দেখতে পাবেন।’ তিনি ইঙ্গিত দেন, ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থল অভিযান শুরু করার কথাও ভাবা হচ্ছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর উপস্থিতিও অঞ্চলটিতে জোরদার করা হয়েছে।
বিবিসি ভেরিফাই জানিয়েছে, পুয়ের্তো রিকোতে বেশ কয়েকটি মার্কিন সামরিক বিমান মোতায়েন রয়েছে। এদিকে সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলায় কোকেন উৎপাদন কেন্দ্র ও পাচার রুটে হামলার পরিকল্পনা বিবেচনা করছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানান, ক্যারিবীয় সাগরে সাম্প্রতিক এক অভিযানে ‘ছয়জন মাদকসন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। তাদের নৌকাটি ভেনেজুয়েলাভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন ট্রেন দে আরাগুয়ার বলে দাবি করেন তিনি।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের এসব অভিযানে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে অনেকে এই অভিযানের বৈধতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ২৫ জন ডেমোক্র্যাট সিনেটর হোয়াইট হাউসে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন, কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র একটি নৌযানে হামলা চালায়। অথচ এই নৌযানের যাত্রী বা পণ্য—কোনোটাই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি ছিল না। এর কোনো প্রমাণও নেই। রিপাবলিকান সিনেটর র্যান্ড পলও বলেন, এ ধরনের সামরিক হামলার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।
ট্রাম্প অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর এ ধরনের হামলা চালানোর আইনি ক্ষমতা রয়েছে। তবে তিনি বলেন, ‘যদি স্থল অভিযান চালানো হয়, তখন হয়তো কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলব।’
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপে কর্মরত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক আইনজীবী ব্রায়ান ফিনুকেন বিবিসিকে বলেন, ‘এটি একধরনের সাংবিধানিক সংকট। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, সামরিক শক্তি ব্যবহারের ওপর প্রধান নিয়ন্ত্রণ কংগ্রেসের হাতে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে হোয়াইট হাউস সেই ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে, আর কংগ্রেসও কোনো প্রতিরোধ করছে না।’
তবে অনেকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক পদক্ষেপ সরাসরি আক্রমণ নয়, বরং মাদুরো প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর ওপর ভয় ও চাপ সৃষ্টি করার কৌশল।
চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটা মূলত ‘রেজিম চেঞ্জ’-এর বার্তা। ওরা সরাসরি আক্রমণ না করলেও এই শক্তি প্রদর্শন ভেনেজুয়েলার সেনাদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার কৌশল।

ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ও কক্সবাজারের পর মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানে গত ১৪ মে। সে হিসাবে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব প্রকাশে বেশ দেরি করল সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যোগাযোগ ব্যাহত হওয়া এবং তথ্যের ওপর সামরিক সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণেই এই বিলম্ব বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১৯ মে ২০২৩
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
১ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
১ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
২ ঘণ্টা আগে