Ajker Patrika

৩৩ লাখ টাকার বেশি দামে বিক্রি হলো পাখির একটি পালক

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২২ মে ২০২৪, ২১: ২২
Thumbnail image

নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত একটি নিলামে পাখির মাত্র একটি পালক বিক্রি হয়েছে ২৮ হাজার ৪১৭ মার্কিন ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩৩ লাখ টাকার বেশি। রেকর্ড গড়া দামে বিক্রি হওয়া ওই পালক নিউজিল্যান্ডের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া হুইয়া পাখির বলে জানিয়েছে বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পালক এত বেশি দামে বিক্রি হবে, তা নিলামের আয়োজকেরাও প্রত্যাশা করেননি। হুইয়া পাখি নিউজিল্যান্ডের মাওরি সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র ছিল। সুদূর অতীতে এই পাখিদের পালক মাওরি সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয়রা তাঁদের মাথায় সাজিয়ে রাখতেন। একসময় এই পালক উপহার হিসেবে মূল্যবান এবং এটির বড় ব্যবসাও ছিল।

মিউজিয়াম অব নিউজিল্যান্ডের তথ্য অনুযায়ী, হুইয়া পাখিকে সর্বশেষ নিশ্চিতভাবে দেখা গিয়েছিল ১০০ বছরের বেশি সময় আগে ১৯০৭ সালে। এরপরের ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে কেউ কেউ এই পাখিদর্শনের দাবি করলেও সেগুলো ছিল অসমর্থিত সূত্র।

হুইয়া পাখি ছিল নিউজিল্যান্ডের ওয়াটলবার্ড পরিবারের ছোট একটি গানের পাখি; পাশাপাশি লাফানোর ক্ষমতা এবং সুন্দর পালকগুচ্ছের জন্যও পরিচিত ছিল পাখিটি। এর প্রতিটি পালকের চূড়ায় একটি সাদা অংশ থাকায় দারুণ সুবিন্যাস দেখা যেত।

সোমবার বিক্রি হওয়া পালকটি খুব ভালো অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছেন ওয়েবের নিলাম হাউসের ডেকোরেটিভ আর্টসের প্রধান লেয়া মরিস। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘এখনো এটি খুব চকচকে আছে এবং কোনো পোকামাকড়ের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।’

মরিস জানান, পালকটিকে অক্ষত রাখার জন্য নিলাম কর্তৃপক্ষ এটিকে ইউভি প্রতিরক্ষামূলক কাচ ও আর্কাইভাল কাগজ ব্যবহার করে বানানো একটি ফ্রেমের মধ্যে রেখেছে। এর ফলে এটি দীর্ঘদিন অক্ষত অবস্থায় থেকে যাবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাওরি সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ঐতিহ্যকে রক্ষা করার জন্য একটি ব্যবস্থার অধীনে পালকটি নিবন্ধিত ছিল। যেসব সংগ্রাহকের এই ব্যবস্থার লাইসেন্স ছিল, কেবল তাঁদেরই এই পালক কেনার অনুমতি ছিল। আরেকটি বিষয় হলো, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া এই পালককে কখনোই নিউজিল্যান্ডের বাইরে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই।

লেয়া মরিস মনে করেন, হুইয়া পাখি নিয়ে নিউজিল্যান্ডের মানুষের উচ্চ আগ্রহ এবং উৎসাহ পালকটিকে বহু মূল্যবান করতে সাহায্য করেছে। তিনি বলেন, ‘এই পাখি এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আমরা নিউজিল্যান্ডের অন্যান্য পাখির দিকে তাকাব এবং বলব, আমরা চাই না এমনটি আর কখনো ঘটুক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত