উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন নিজ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য রাশিয়ার ওপর যে বাজি ধরেছেন, তা বুমেরাং হতে পারে যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধ শেষ করতে সক্ষম হন। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত একটি থিংক ট্যাংকের এক গবেষণা থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে।
চলতি বছর কিমের অন্যতম প্রধান সমর্থক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে রাশিয়া। দুই দেশই তাদের অর্থনৈতিক ও সামরিক বিনিময় বাড়িয়েছে। রাশিয়াকে গোলাবারুদ সরবরাহের পর পিয়ংইয়ং সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে রাশিয়াকে সহায়তা করতে নিজের সৈন্য পাঠিয়েছে বলেও দাবি করেছে ওয়াশিংটন ও সিউলের কর্মকর্তারা। বিনিময়ে রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে অর্থ ও সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করছে।
পুতিনের সঙ্গে আন্তরিক জোট কিমকে কূটনৈতিক সমর্থনের জন্য বেইজিংয়ের ওপর কম নির্ভরশীল হওয়ার একটি বিকল্প দিয়েছে। তবে অর্থনৈতিক প্রয়োজনের জন্য পিয়ংইয়ং এখনো চীনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। কোরিয়া ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের (কেডিআই) সিনিয়র গবেষক লি জংকিউয়ের নেতৃত্বে এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে।
উত্তর কোরিয়া চীন থেকে ট্রাক ও ওষুধসহ ৯ শতাধিক পণ্য আমদানি করে। যেখানে রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাসসহ ১৫০ টির মতো পণ্য আমদানি করে। উত্তর কোরিয়ায় রাশিয়ার বিনিয়োগও চীনের তুলনায় কম এবং রাশিয়ান পর্যটনের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি আশা করা যাচ্ছে না। রাশিয়ায় বেশির ভাগ ভ্রমণই আকাশপথে হয়, স্থলপথে নয়।
কেডিআই—এর লি জংকিউ বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রচলিত অস্ত্র ও সৈন্যের প্রয়োজন এবং উত্তর কোরিয়ার খাদ্য, জ্বালানি এবং বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন। আর এই দুটি বিষয় উভয় দেশের মধ্যকার একটি উইন-উইন বোঝাপড়ার ফলাফল। যত দিন যুদ্ধ চলবে, এই সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। তবে এই যুদ্ধ যদি কোনোভাবে শেষ হয়—যেমনটি ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—তাহলে দুই দেশের একে অপরের কাছে যে প্রয়োজন আছে তা পরিবর্তিত হতে পারে।’
উত্তর কোরিয়ার সামরিক শিল্প রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা থেকে উপকৃত হতে পারে। তবে এই খাতের সীমিত প্রভাব রয়েছে বিস্তৃত অর্থনীতিতে এবং এটি অন্যান্য খাতের প্রবৃদ্ধিতেও বাধা দিতে পারে বলে লি মন্তব্য করেন। লি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতিতে রাশিয়ার প্রতি সব খাতে ভরসা—পন্থাটি কেবল পরিমাণগত নয়, গুণগত দিক থেকেও উচ্চ সুযোগ ব্যয় বহন করছে।’ সোজা কথায়, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার আসল উদ্দেশ্য অর্থনৈতিক নয়, বরং সামরিক। ফলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ কিছুটা সীমিতই।
দক্ষিণ কোরিয়ার কুকমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লি সাং-জুন বলেন, উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক মিসাইল, সাবমেরিন এবং যুদ্ধবিমান তৈরি করতে আধুনিক প্রযুক্তি পেতে রাশিয়ার সহায়তা চায়, যা পিয়ংইয়ং দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর মানে, যদি ট্রাম্পের যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টা দীর্ঘায়িত হয়, তবে কিম তাঁর সমরাস্ত্র শিল্প আধুনিকায়নের জন্য যথেষ্ট সময় পাবেন এবং তাঁর সৈন্যরা ইউক্রেনে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধের অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। এদিকে, রাশিয়া তাঁর শ্রমিক সংকট কমাতে উত্তর কোরিয়ার শ্রমিক নিয়োগ বাড়াতে পারে।
সিটিজেনস অ্যালায়েন্স ফর নর্থ কোরিয়ান হিউম্যান রাইটসের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জোয়ানা হোসানিয়াক বলেন, ‘পিয়ংইয়ংয়ের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে অত্যন্ত বড় প্রতিযোগিতা চলছে। রাশিয়া উত্তর কোরিয়া থেকে চলমান সামরিক উৎপাদনের মাধ্যমে এই প্রভাব প্রয়োগ করছে। অন্যদিকে, চীন ভিন্ন উপায়ে এই প্রভাব বিস্তার করছে।’
এদিকে, পুতিন গত সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন, তাঁর বাহিনী ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে কিয়েভের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালিয়ে যাবে। যা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছাকেই নির্দেশ করে। তবে জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর কিমের রাশিয়ার প্রতি সামরিক সমর্থন নিয়ে তিনি কীভাবে মোকাবিলা করবেন, তা এখনো দেখার বিষয়।
গত সপ্তাহে কিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অতীতের আলোচনা কেবল ওয়াশিংটনের ‘অপরিবর্তনীয়’ বৈরিতাই নিশ্চিত করেছে। যা ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি এই মুহূর্তে ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি কূটনীতি পুনরায় শুরুর বিষয়ে কোনো আগ্রহী নন।
বিএনএন ব্লুমবার্গ থেকে অনূদিত
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন নিজ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য রাশিয়ার ওপর যে বাজি ধরেছেন, তা বুমেরাং হতে পারে যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধ শেষ করতে সক্ষম হন। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত একটি থিংক ট্যাংকের এক গবেষণা থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে।
চলতি বছর কিমের অন্যতম প্রধান সমর্থক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে রাশিয়া। দুই দেশই তাদের অর্থনৈতিক ও সামরিক বিনিময় বাড়িয়েছে। রাশিয়াকে গোলাবারুদ সরবরাহের পর পিয়ংইয়ং সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে রাশিয়াকে সহায়তা করতে নিজের সৈন্য পাঠিয়েছে বলেও দাবি করেছে ওয়াশিংটন ও সিউলের কর্মকর্তারা। বিনিময়ে রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে অর্থ ও সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করছে।
পুতিনের সঙ্গে আন্তরিক জোট কিমকে কূটনৈতিক সমর্থনের জন্য বেইজিংয়ের ওপর কম নির্ভরশীল হওয়ার একটি বিকল্প দিয়েছে। তবে অর্থনৈতিক প্রয়োজনের জন্য পিয়ংইয়ং এখনো চীনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। কোরিয়া ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের (কেডিআই) সিনিয়র গবেষক লি জংকিউয়ের নেতৃত্বে এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে।
উত্তর কোরিয়া চীন থেকে ট্রাক ও ওষুধসহ ৯ শতাধিক পণ্য আমদানি করে। যেখানে রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাসসহ ১৫০ টির মতো পণ্য আমদানি করে। উত্তর কোরিয়ায় রাশিয়ার বিনিয়োগও চীনের তুলনায় কম এবং রাশিয়ান পর্যটনের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি আশা করা যাচ্ছে না। রাশিয়ায় বেশির ভাগ ভ্রমণই আকাশপথে হয়, স্থলপথে নয়।
কেডিআই—এর লি জংকিউ বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রচলিত অস্ত্র ও সৈন্যের প্রয়োজন এবং উত্তর কোরিয়ার খাদ্য, জ্বালানি এবং বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন। আর এই দুটি বিষয় উভয় দেশের মধ্যকার একটি উইন-উইন বোঝাপড়ার ফলাফল। যত দিন যুদ্ধ চলবে, এই সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। তবে এই যুদ্ধ যদি কোনোভাবে শেষ হয়—যেমনটি ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—তাহলে দুই দেশের একে অপরের কাছে যে প্রয়োজন আছে তা পরিবর্তিত হতে পারে।’
উত্তর কোরিয়ার সামরিক শিল্প রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা থেকে উপকৃত হতে পারে। তবে এই খাতের সীমিত প্রভাব রয়েছে বিস্তৃত অর্থনীতিতে এবং এটি অন্যান্য খাতের প্রবৃদ্ধিতেও বাধা দিতে পারে বলে লি মন্তব্য করেন। লি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতিতে রাশিয়ার প্রতি সব খাতে ভরসা—পন্থাটি কেবল পরিমাণগত নয়, গুণগত দিক থেকেও উচ্চ সুযোগ ব্যয় বহন করছে।’ সোজা কথায়, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার আসল উদ্দেশ্য অর্থনৈতিক নয়, বরং সামরিক। ফলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ কিছুটা সীমিতই।
দক্ষিণ কোরিয়ার কুকমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লি সাং-জুন বলেন, উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক মিসাইল, সাবমেরিন এবং যুদ্ধবিমান তৈরি করতে আধুনিক প্রযুক্তি পেতে রাশিয়ার সহায়তা চায়, যা পিয়ংইয়ং দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর মানে, যদি ট্রাম্পের যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টা দীর্ঘায়িত হয়, তবে কিম তাঁর সমরাস্ত্র শিল্প আধুনিকায়নের জন্য যথেষ্ট সময় পাবেন এবং তাঁর সৈন্যরা ইউক্রেনে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধের অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। এদিকে, রাশিয়া তাঁর শ্রমিক সংকট কমাতে উত্তর কোরিয়ার শ্রমিক নিয়োগ বাড়াতে পারে।
সিটিজেনস অ্যালায়েন্স ফর নর্থ কোরিয়ান হিউম্যান রাইটসের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জোয়ানা হোসানিয়াক বলেন, ‘পিয়ংইয়ংয়ের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে অত্যন্ত বড় প্রতিযোগিতা চলছে। রাশিয়া উত্তর কোরিয়া থেকে চলমান সামরিক উৎপাদনের মাধ্যমে এই প্রভাব প্রয়োগ করছে। অন্যদিকে, চীন ভিন্ন উপায়ে এই প্রভাব বিস্তার করছে।’
এদিকে, পুতিন গত সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন, তাঁর বাহিনী ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে কিয়েভের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালিয়ে যাবে। যা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছাকেই নির্দেশ করে। তবে জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর কিমের রাশিয়ার প্রতি সামরিক সমর্থন নিয়ে তিনি কীভাবে মোকাবিলা করবেন, তা এখনো দেখার বিষয়।
গত সপ্তাহে কিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অতীতের আলোচনা কেবল ওয়াশিংটনের ‘অপরিবর্তনীয়’ বৈরিতাই নিশ্চিত করেছে। যা ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি এই মুহূর্তে ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি কূটনীতি পুনরায় শুরুর বিষয়ে কোনো আগ্রহী নন।
বিএনএন ব্লুমবার্গ থেকে অনূদিত
পাকিস্তানে বসবাসরত অবৈধ বা অনথিভুক্ত আফগান নাগরিকদের দেশত্যাগে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পর বহু আফগান দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিলের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই চলতি মাসে ১৯ হাজার ৫০০ জনের বেশি আফগানকে পাকিস্তান থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইস্টার সানডে উপলক্ষে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। রুশ টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেপারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত এক দশক ধরে চলা উত্তেজনা নিরসনে এবার ইতালির রোমে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ও তেহেরান। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কূটনৈতিক পর্যায়ের এই বৈঠক ব্যর্থ হলে ইরানে হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চলমান নাগরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে ভ্রমণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেভেল-৩ বা ত্রিস্তরীয় সতর্কবার্তা জারি করেছে। কোনো দেশে ভ্রমণের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন
১১ ঘণ্টা আগে