নভেম্বর প্রায় চলে এল। অথচ জাপানের বিখ্যাত মাউন্ট ফুজিতে এখনো কোনো বরফের দেখা নাই। ১৩০ বছর আগে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে এবারই প্রথম বছরের এই সময়টিতে ফুজির চূড়ায় কোনো বরফ জমতে দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার সিএনএন জানিয়েছে, জাপানের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট ফুজিতে প্রতিবছরই সাধারণত অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে বরফ জমতে শুরু করে। কিন্তু আজ ২৯ অক্টোবরও সেখানে কোনো বরফ জমতে দেখা যায়নি। এ অবস্থায় জাপানিদের সবচেয়ে প্রিয় এই পর্বতটি জলবায়ু সংকটের মুখে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মাউন্ট ফুজির চূড়ায় বরফ জমতে (স্নোক্যাপ) শুরু করার স্বাভাবিক সময় ধরা হয় সাধারণত ২ অক্টোবর। গত বছর অবশ্য এই চূড়ায় স্নোক্যাপ দেখা গিয়েছিল ৫ অক্টোবর। তবে দেশটির পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে জানিয়েছিল, উষ্ণ তাপমাত্রার কারণে গত বছরের স্নোক্যাপটি নভেম্বরের শুরুর দিকে বেশির ভাগই আবার গলে গিয়েছিল।
মাউন্ট ফুজির কাছাকাছি স্থানীয় কোফু আবহাওয়া অফিস ১৮৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর থেকে প্রতি বছরই এই অফিস ফুজিতে প্রথম তুষারপাতের ঘোষণা দিয়ে আসছে। কিন্তু এবারই প্রথম তারা ব্যতিক্রম একটি ঘোষণা দিয়েছে। অফিস থেকে জানানো হয়েছে, অসময়ে উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে এবার ফুজিতে এখন পর্যন্ত কোনো বরফ জমেনি।
কোফু আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শিনিচি ইয়ানাগি মঙ্গলবার সিএনএনকে বলেছেন, ‘গ্রীষ্মকাল থেকে জাপানে উচ্চ তাপমাত্রা অব্যাহত থাকায় এবং বৃষ্টিপাতের কারণে কোনো তুষারপাত হয়নি।’
শিনিচি জানান, ২৯ অক্টোবরও ফুজিতে বরফ না জমা ১৯৫৫ ও ২০১৬ সালের দেরিতে বরফ জমার রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ওই দুটি বছরে ফুজিতে স্নোক্যাপ শুরু হয়েছিল ২৬ অক্টোবর।
গত সেপ্টেম্বরে জাপানের আবহাওয়া অফিস ঘোষণা করেছে, ১৮৯৮ সাল থেকে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর চলতি বছরই ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম গ্রীষ্মকাল। চলতি বছর জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশটির গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৭৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি রেকর্ড করা হয়েছে। চলমান জলবায়ু প্যাটার্ন এল নিনো এবং জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর মতো মানব-সৃষ্ট কারণে এমনটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই সতর্ক করে আসছেন—জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বিপর্যয়কর প্রভাবগুলো এড়াতে বিশ্বকে প্রাক-শিল্প যুগের চেয়ে উষ্ণতা বৃদ্ধির মাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
গত জানুয়ারিতে একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু সংকট গত ৪০ বছরে উত্তর গোলার্ধের বেশির ভাগ অংশে জমে থাকা তুষার অনেক হ্রাস করেছে। এসবের সঙ্গে এবার এখনো মাউন্ট ফুজিতে বরফ না জমার বিষয়টি বিজ্ঞানীদের দুশ্চিন্তাকে আরেকটু বাড়িয়ে দিয়েছে।
জাপানের ইয়ামানাশি এবং শিজুওকা প্রিফেকচার জুড়ে বিস্তৃত ৩ হাজার ৭৭৬ মিটার উঁচু মাউন্ট ফুজি বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত একটি জাপানি আইকন। জুলাই মাসে বার্ষিক পর্বতারোহণের মৌসুম শুরু না হওয়া পর্যন্ত এটি সাধারণত বছরের বেশির ভাগ সময় তুষারে আবৃত থাকে। পর্বতারোহী ছাড়াও এটি প্রতিবছর লাখ লাখ দর্শনার্থীকে আকৃষ্ট থাকে।
নভেম্বর প্রায় চলে এল। অথচ জাপানের বিখ্যাত মাউন্ট ফুজিতে এখনো কোনো বরফের দেখা নাই। ১৩০ বছর আগে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে এবারই প্রথম বছরের এই সময়টিতে ফুজির চূড়ায় কোনো বরফ জমতে দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার সিএনএন জানিয়েছে, জাপানের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট ফুজিতে প্রতিবছরই সাধারণত অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে বরফ জমতে শুরু করে। কিন্তু আজ ২৯ অক্টোবরও সেখানে কোনো বরফ জমতে দেখা যায়নি। এ অবস্থায় জাপানিদের সবচেয়ে প্রিয় এই পর্বতটি জলবায়ু সংকটের মুখে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মাউন্ট ফুজির চূড়ায় বরফ জমতে (স্নোক্যাপ) শুরু করার স্বাভাবিক সময় ধরা হয় সাধারণত ২ অক্টোবর। গত বছর অবশ্য এই চূড়ায় স্নোক্যাপ দেখা গিয়েছিল ৫ অক্টোবর। তবে দেশটির পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে জানিয়েছিল, উষ্ণ তাপমাত্রার কারণে গত বছরের স্নোক্যাপটি নভেম্বরের শুরুর দিকে বেশির ভাগই আবার গলে গিয়েছিল।
মাউন্ট ফুজির কাছাকাছি স্থানীয় কোফু আবহাওয়া অফিস ১৮৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর থেকে প্রতি বছরই এই অফিস ফুজিতে প্রথম তুষারপাতের ঘোষণা দিয়ে আসছে। কিন্তু এবারই প্রথম তারা ব্যতিক্রম একটি ঘোষণা দিয়েছে। অফিস থেকে জানানো হয়েছে, অসময়ে উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে এবার ফুজিতে এখন পর্যন্ত কোনো বরফ জমেনি।
কোফু আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শিনিচি ইয়ানাগি মঙ্গলবার সিএনএনকে বলেছেন, ‘গ্রীষ্মকাল থেকে জাপানে উচ্চ তাপমাত্রা অব্যাহত থাকায় এবং বৃষ্টিপাতের কারণে কোনো তুষারপাত হয়নি।’
শিনিচি জানান, ২৯ অক্টোবরও ফুজিতে বরফ না জমা ১৯৫৫ ও ২০১৬ সালের দেরিতে বরফ জমার রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ওই দুটি বছরে ফুজিতে স্নোক্যাপ শুরু হয়েছিল ২৬ অক্টোবর।
গত সেপ্টেম্বরে জাপানের আবহাওয়া অফিস ঘোষণা করেছে, ১৮৯৮ সাল থেকে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর চলতি বছরই ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম গ্রীষ্মকাল। চলতি বছর জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশটির গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৭৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি রেকর্ড করা হয়েছে। চলমান জলবায়ু প্যাটার্ন এল নিনো এবং জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর মতো মানব-সৃষ্ট কারণে এমনটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই সতর্ক করে আসছেন—জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বিপর্যয়কর প্রভাবগুলো এড়াতে বিশ্বকে প্রাক-শিল্প যুগের চেয়ে উষ্ণতা বৃদ্ধির মাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
গত জানুয়ারিতে একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু সংকট গত ৪০ বছরে উত্তর গোলার্ধের বেশির ভাগ অংশে জমে থাকা তুষার অনেক হ্রাস করেছে। এসবের সঙ্গে এবার এখনো মাউন্ট ফুজিতে বরফ না জমার বিষয়টি বিজ্ঞানীদের দুশ্চিন্তাকে আরেকটু বাড়িয়ে দিয়েছে।
জাপানের ইয়ামানাশি এবং শিজুওকা প্রিফেকচার জুড়ে বিস্তৃত ৩ হাজার ৭৭৬ মিটার উঁচু মাউন্ট ফুজি বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত একটি জাপানি আইকন। জুলাই মাসে বার্ষিক পর্বতারোহণের মৌসুম শুরু না হওয়া পর্যন্ত এটি সাধারণত বছরের বেশির ভাগ সময় তুষারে আবৃত থাকে। পর্বতারোহী ছাড়াও এটি প্রতিবছর লাখ লাখ দর্শনার্থীকে আকৃষ্ট থাকে।
আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসে ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তাঁদের আলোচনা যতটা প্রীতিময় ছিল, বাস্তব সমাধানের দিক থেকে ততটাই শূন্য। কূটনৈতিক ভঙ্গিমা, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আবহে বৈঠক চ
৩৪ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন ও ভিয়েতনামের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করায় উইগ ও উইভ তৈরিতে ব্যবহৃত হেয়ার এক্সটেনশন ও আঠার দাম অনেক বেড়ে গেছে। কৃষ্ণাঙ্গ সৌন্দর্য পণ্যের বড় অংশই এই দুই দেশ থেকে আমদানি করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেভারত-চীন সম্পর্কের উন্নতির ধারায় নতুন মাত্রা যোগ হলো রেয়ার আর্থ তথা বিরল খনিজ নিয়ে। বৈদ্যুতিক গাড়ি, ইলেকট্রনিক ব্যাটারি, মহাকাশ থেকে শুরু করে বর্তমান বিশ্বে এ ধরনের খনিজ এখন অপরিহার্য উপাদান হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ভারতের বিরল খনিজের প্রয়োজন মেটাতে তারা পদক্ষেপ নেবে।
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির মধ্যে হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চূড়ান্ত কোনো সমাধান না এলেও অগ্রগতির একটি ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ইউক্রেন, জার্মানি, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি, ফিনল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো নেতাদের অংশগ্রহণে বৈঠকটি ছিল যেন এক ঐক্যের প্র
২ ঘণ্টা আগে