Ajker Patrika

মিয়ানমার সেনাদের দখল থেকে শহর ছিনিয়ে নিল বিদ্রোহীরা 

অনলাইন ডেস্ক
মিয়ানমার সেনাদের দখল থেকে শহর ছিনিয়ে নিল বিদ্রোহীরা 

মিয়ানমারে শান প্রদেশের একটি বাণিজ্য কেন্দ্র দখল করে ফেলেছে দেশটির জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত জাতিগত সংখ্যালঘু যোদ্ধারা। কয়েক দিন আগে চীন অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করার আশ্বাস দেওয়ার পর গতকাল শনিবার এ ঘোষণা দেয় সংখ্যালঘু যোদ্ধারা। 

মিয়ানমারে আরাকান আর্মি (এএ), মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) এবং তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) অক্টোবরের শেষের দিকে যৌথ আক্রমণ শুরু করার পর থেকে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যজুড়ে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।

থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামে পরিচিত তিনটি জোটভুক্ত দল বলছে, তাঁরা চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অবস্থান এবং সীমান্ত কেন্দ্রগুলো দখল ফেলেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর থেকে এটাই জান্তা বাহিনীর জন্য সবচেয়ে বড় সামরিক চ্যালেঞ্জ।

গত বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) এ জোট বাহিনী এবং মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর মধ্যে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করে বেইজিং। এতে এমএনডিএএর অধীনে থাকা অঞ্চলে শান্তি স্থাপিত হলেও টিএনএলএ এবং এএ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।

টিএনএলএ বলছে, দুই সপ্তাহ আগে থেকে নামশান শহরে আক্রমণ শুরু করার পর তাঁরা গত শুক্রবার অঞ্চলটি দখল করে ফেলে।  

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তার ভোন কিয়াও বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা শহরটি দখল করে ফেলেছি।’ টিএনএলএ সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, দলটির নেতারা শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ও বন্দী জান্তা সেনাদের সঙ্গে কথা বলছেন।

গত শুক্রবার রাষ্ট্র পরিচালিত টিভি চ্যানেল এমআরটিভিকে এক সাক্ষাৎকারে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার–জেনারেল জ মিন তুন বলেন, নামশানকে ঘিরে যুদ্ধ চলছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তার ভোন কিয়াও বলছেন, মিয়ানমার সেনারা ১০৫ মাইলের বাণিজ্য জোনও হারিয়ে ফেলেছে। এটি চীন সীমান্তে মিয়ানমারের শান রাজ্যের প্রধান বাণিজ্য প্রণালি হিসেবে ব্যবহৃত হতো।  

তিন দলীয় জোট বলছে, তারা গত ২৭ অক্টোবর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী থেকে মোট ৪২২টি ঘাঁটি ও সাতটি শহর দখল করে নিয়েছে। 

এ জোটের আক্রমণের কারণে জান্তার অন্যান্য বিরোধীরাও নড়েচড়ে বসেছে এবং মিয়ানমারের পূর্ব ও পশ্চিমেও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। জাতিসংঘ বলছে, এ সংঘর্ষের কারণে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত