
একটি দেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে কিংবা বাড়ানোর জন্য প্রত্যেক নারীর গড়ে ২.১ থেকে ২.৪ জন হারে শিশু জন্ম দেওয়ার প্রয়োজন। কিন্তু যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২২ সালে সেখানকার নারীরা গড়ে ১.৪৯ জন শিশুর জন্ম দিয়েছেন। এর আগের বছর শিশু জন্মের এই হার ছিল নারী প্রতি গড়ে ১.৫৫ জন। ২০১০ সাল থেকেই এই দুটি অঞ্চলে এভাবে নারীদের প্রজনন হার কমতে দেখা গেছে। একই রকম চিত্র দেখা গেছে, স্কটল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ক্ষেত্রেও। এ দুটি অঞ্চল আলাদাভাবে তথ্য নথিভুক্ত করে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রজনন হারও গত বছর নারী প্রতি ১.৬২ জন শিশুতে নেমে এসেছে। এটি একটি রেকর্ড। ১৯৬০ সালে দেশটিতে নারীদের সন্তান জন্ম দেওয়ার হার ছিল গড়ে ৩.৬৫ জন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেরোন্টোলজির (বার্ধক্যের প্রভাব নিয়ে অধ্যয়ন) অধ্যাপক সারা হার্পার জানিয়েছেন, শুধু যুক্তরাজ্য কিংবা যুক্তরাষ্ট্র নয়—পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশ দেশে এখন সন্তান প্রসবের হার প্রতিস্থাপন হারের চেয়ে কম। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় শিশু জন্মের হার বর্তমানে সর্বনিম্ন। বর্তমান বিশ্বে জনসংখ্যা বাড়ছে শুধু সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলে।
জন্মহার কমে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগের বিষয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতি বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে। কারণ দেশগুলোতে বার্ধক্যের পাশাপাশি কমতে থাকা জনসংখ্যা এবং পেনশনভোগীদের সংখ্যার তুলনায় কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে আসছে। অর্থাৎ কোনো দেশের কোম্পানিগুলো যদি পর্যাপ্ত কর্মী নিয়োগ না করতে পারে তাহলে সেই দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কীভাবে হবে? একটি ক্ষুদ্র কর্মশক্তি বিপুল অবসরপ্রাপ্ত জনসংখ্যার পেনশনের জন্য কীভাবে অর্থ প্রদান করবে? বিষয়গুলো এখন বিভিন্ন দেশের সরকারি অর্থনীতিবিদদের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ অবস্থায় জন্মহার বাড়ানোর জন্য অনেক দেশেই শিশু যত্নের পরিবেশ উন্নত করার পাশাপাশি কর মওকুফ এবং মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রদান করে নারীদের সন্তান জন্মদানকে আরও সহজ করে তোলা হচ্ছে। তবে এই পদক্ষেপগুলো জনসংখ্যা কমে যাওয়ার গতিকে কমিয়ে রাখতে পারলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জনসংখ্যা বাড়াতে পারছে না। কারণ কর্মক্ষম নারীরা এখন একটি কিংবা দুটির বেশি সন্তান নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি দেশের জনসংখ্যার পতনের সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য মূলত দুটি উপায় রয়েছে। এ ক্ষেত্রে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের কর্মক্ষম থাকার বয়স আরও বাড়াতে হবে অথবা অন্য দেশ থেকে অভিবাসনের মাধ্যমে লোকসংখ্যা নিয়ে আসতে হবে। এমন একটি দেশ হিসেবে সিঙ্গাপুরের উদাহরণ টানা যায়। এই দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত অবসরে যাওয়া দেশগুলোর মধ্যে একটি। দুটি বিকল্পের মধ্যে তাই তারা প্রথমটিকে বেছে নিয়েছে।
এ বিষয়ে সিঙ্গাপুর সেন্টার ফর এজিং রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশনের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর অ্যাঞ্জেলিক চ্যান জানিয়েছেন, অবসরের বয়সসীমা বাড়ানো, মধ্যবয়সে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বয়স্ক কর্মী নিয়োগের বিষয়ে কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
সিঙ্গাপুরে কোনো ব্যক্তির অবসরে যাওয়ার বয়সসীমাকে পুনঃ কর্মসংস্থানের মাধ্যমে আরও দীর্ঘ করার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন চ্যান। এর মানে হলো—অবসরে যাওয়ার পরও যদি কোনো ব্যক্তি কাজে থাকতে সক্ষম হন এবং ইচ্ছা প্রকাশ করেন তবে তাঁকে সেই সুযোগ দেওয়া।
বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবসরে যাওয়ার বয়স ৬৩ বছর। কিন্তু এটিকে ২০২৬ সালের মধ্যে ৬৪ বছর এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৬৫ বছরে উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছে কর্তৃপক্ষ। আর ২০৩০ সালের মধ্যে পুনঃ নিয়োগের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে থাকতে পারার বয়সসীমা ৭০ পর্যন্ত উন্নীত করার চিন্তা করছে দেশটি। এ জন্য চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়িয়ে স্বাস্থ্যের মান উন্নত করার পাশাপাশি বিপুল অর্থ খরচ করছে সিঙ্গাপুর।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ইমেরিটাস অধ্যাপক রোনাল্ড লি জানিয়েছেন, দেশটিতে বর্তমানে ক্রমবর্ধমান বয়স্ক আমেরিকানরা তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে বিষয়টিকে নেতিবাচক বলতে নারাজ লি। তিনি আশা করেন, মানুষকে আরও প্রাণবন্ত, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করে তাঁদের বয়সের ব্যাপ্তি আরও বাড়ানো সম্ভব এবং মানুষের অবসরে যাওয়ার বয়স ৭০-এর কোঠায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
বর্তমানে আমেরিকানরা ৬৬ বছর ২ মাস বয়স হলেই রাষ্ট্রের কাছ থেকে সম্পূর্ণ সামাজিক নিরাপত্তা পেনশন পান। তবে এটিকে ধীরে ধীরে বেড়ে ৬৭ বছরে নিয়ে যাওয়া হবে।
বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরের অধ্যাপক লির চিন্তা অনেকের কাছে খুব বেশি পছন্দের নাও হতে পারে। কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে এটা অনিবার্য। আয়ু বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ সময়ের জন্য অবসর গ্রহণ করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ে। দীর্ঘ সময় কাজ করাই এর সুস্পষ্ট সমাধান।
জনসংখ্যাবিদ অধ্যাপক হার্পারের মতে, এই সমস্যার আরেকটি সমাধান হলো—অভিবাসন বাড়ানো। তবে এই বিষয়টিকে প্রায় সময়ই আটলান্টিকের উভয় পাশ অর্থাৎ ইউরোপ ও আমেরিকায় রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
হার্পার মনে করেন, জন সংখ্যাগতভাবে দেশগুলোর উচিত সেই দেশগুলোকে অভিবাসী হওয়ার অনুমতি দেওয়া যেসব দেশে সন্তান জন্মদানের হার অনেক বেশি। আগামী চার দশকজুড়ে বিপুলসংখ্যক কর্মী সহ সারা বিশ্বে অভিবাসন প্রক্রিয়া বিভিন্ন দেশের জনসংখ্যা সমস্যার সমাধান হতে পারে। কিন্তু এটি করতে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন।

একটি দেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে কিংবা বাড়ানোর জন্য প্রত্যেক নারীর গড়ে ২.১ থেকে ২.৪ জন হারে শিশু জন্ম দেওয়ার প্রয়োজন। কিন্তু যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২২ সালে সেখানকার নারীরা গড়ে ১.৪৯ জন শিশুর জন্ম দিয়েছেন। এর আগের বছর শিশু জন্মের এই হার ছিল নারী প্রতি গড়ে ১.৫৫ জন। ২০১০ সাল থেকেই এই দুটি অঞ্চলে এভাবে নারীদের প্রজনন হার কমতে দেখা গেছে। একই রকম চিত্র দেখা গেছে, স্কটল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ক্ষেত্রেও। এ দুটি অঞ্চল আলাদাভাবে তথ্য নথিভুক্ত করে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রজনন হারও গত বছর নারী প্রতি ১.৬২ জন শিশুতে নেমে এসেছে। এটি একটি রেকর্ড। ১৯৬০ সালে দেশটিতে নারীদের সন্তান জন্ম দেওয়ার হার ছিল গড়ে ৩.৬৫ জন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেরোন্টোলজির (বার্ধক্যের প্রভাব নিয়ে অধ্যয়ন) অধ্যাপক সারা হার্পার জানিয়েছেন, শুধু যুক্তরাজ্য কিংবা যুক্তরাষ্ট্র নয়—পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশ দেশে এখন সন্তান প্রসবের হার প্রতিস্থাপন হারের চেয়ে কম। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় শিশু জন্মের হার বর্তমানে সর্বনিম্ন। বর্তমান বিশ্বে জনসংখ্যা বাড়ছে শুধু সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলে।
জন্মহার কমে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগের বিষয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতি বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে। কারণ দেশগুলোতে বার্ধক্যের পাশাপাশি কমতে থাকা জনসংখ্যা এবং পেনশনভোগীদের সংখ্যার তুলনায় কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে আসছে। অর্থাৎ কোনো দেশের কোম্পানিগুলো যদি পর্যাপ্ত কর্মী নিয়োগ না করতে পারে তাহলে সেই দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কীভাবে হবে? একটি ক্ষুদ্র কর্মশক্তি বিপুল অবসরপ্রাপ্ত জনসংখ্যার পেনশনের জন্য কীভাবে অর্থ প্রদান করবে? বিষয়গুলো এখন বিভিন্ন দেশের সরকারি অর্থনীতিবিদদের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ অবস্থায় জন্মহার বাড়ানোর জন্য অনেক দেশেই শিশু যত্নের পরিবেশ উন্নত করার পাশাপাশি কর মওকুফ এবং মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রদান করে নারীদের সন্তান জন্মদানকে আরও সহজ করে তোলা হচ্ছে। তবে এই পদক্ষেপগুলো জনসংখ্যা কমে যাওয়ার গতিকে কমিয়ে রাখতে পারলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জনসংখ্যা বাড়াতে পারছে না। কারণ কর্মক্ষম নারীরা এখন একটি কিংবা দুটির বেশি সন্তান নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি দেশের জনসংখ্যার পতনের সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য মূলত দুটি উপায় রয়েছে। এ ক্ষেত্রে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের কর্মক্ষম থাকার বয়স আরও বাড়াতে হবে অথবা অন্য দেশ থেকে অভিবাসনের মাধ্যমে লোকসংখ্যা নিয়ে আসতে হবে। এমন একটি দেশ হিসেবে সিঙ্গাপুরের উদাহরণ টানা যায়। এই দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত অবসরে যাওয়া দেশগুলোর মধ্যে একটি। দুটি বিকল্পের মধ্যে তাই তারা প্রথমটিকে বেছে নিয়েছে।
এ বিষয়ে সিঙ্গাপুর সেন্টার ফর এজিং রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশনের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর অ্যাঞ্জেলিক চ্যান জানিয়েছেন, অবসরের বয়সসীমা বাড়ানো, মধ্যবয়সে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বয়স্ক কর্মী নিয়োগের বিষয়ে কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
সিঙ্গাপুরে কোনো ব্যক্তির অবসরে যাওয়ার বয়সসীমাকে পুনঃ কর্মসংস্থানের মাধ্যমে আরও দীর্ঘ করার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন চ্যান। এর মানে হলো—অবসরে যাওয়ার পরও যদি কোনো ব্যক্তি কাজে থাকতে সক্ষম হন এবং ইচ্ছা প্রকাশ করেন তবে তাঁকে সেই সুযোগ দেওয়া।
বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবসরে যাওয়ার বয়স ৬৩ বছর। কিন্তু এটিকে ২০২৬ সালের মধ্যে ৬৪ বছর এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৬৫ বছরে উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছে কর্তৃপক্ষ। আর ২০৩০ সালের মধ্যে পুনঃ নিয়োগের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে থাকতে পারার বয়সসীমা ৭০ পর্যন্ত উন্নীত করার চিন্তা করছে দেশটি। এ জন্য চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়িয়ে স্বাস্থ্যের মান উন্নত করার পাশাপাশি বিপুল অর্থ খরচ করছে সিঙ্গাপুর।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ইমেরিটাস অধ্যাপক রোনাল্ড লি জানিয়েছেন, দেশটিতে বর্তমানে ক্রমবর্ধমান বয়স্ক আমেরিকানরা তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে বিষয়টিকে নেতিবাচক বলতে নারাজ লি। তিনি আশা করেন, মানুষকে আরও প্রাণবন্ত, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করে তাঁদের বয়সের ব্যাপ্তি আরও বাড়ানো সম্ভব এবং মানুষের অবসরে যাওয়ার বয়স ৭০-এর কোঠায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
বর্তমানে আমেরিকানরা ৬৬ বছর ২ মাস বয়স হলেই রাষ্ট্রের কাছ থেকে সম্পূর্ণ সামাজিক নিরাপত্তা পেনশন পান। তবে এটিকে ধীরে ধীরে বেড়ে ৬৭ বছরে নিয়ে যাওয়া হবে।
বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরের অধ্যাপক লির চিন্তা অনেকের কাছে খুব বেশি পছন্দের নাও হতে পারে। কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে এটা অনিবার্য। আয়ু বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ সময়ের জন্য অবসর গ্রহণ করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ে। দীর্ঘ সময় কাজ করাই এর সুস্পষ্ট সমাধান।
জনসংখ্যাবিদ অধ্যাপক হার্পারের মতে, এই সমস্যার আরেকটি সমাধান হলো—অভিবাসন বাড়ানো। তবে এই বিষয়টিকে প্রায় সময়ই আটলান্টিকের উভয় পাশ অর্থাৎ ইউরোপ ও আমেরিকায় রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
হার্পার মনে করেন, জন সংখ্যাগতভাবে দেশগুলোর উচিত সেই দেশগুলোকে অভিবাসী হওয়ার অনুমতি দেওয়া যেসব দেশে সন্তান জন্মদানের হার অনেক বেশি। আগামী চার দশকজুড়ে বিপুলসংখ্যক কর্মী সহ সারা বিশ্বে অভিবাসন প্রক্রিয়া বিভিন্ন দেশের জনসংখ্যা সমস্যার সমাধান হতে পারে। কিন্তু এটি করতে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে হামলাকারী দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক জানান, সাজিদ আকরাম ১৯৯৮ সালে শিক্ষার্থী ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখেন। ২০০১ সালে সেটি পার্টনার ভিসায় রূপান্তরিত হয়। এরপর থেকে রেসিডেন্ট রিটার্ন ভিসাতে দেশটিতে বসবাস করে আসছিলেন তিনি।
২৯ মিনিট আগে
জার্মানি আবারও প্রতিবেশী পোল্যান্ডে আবারও সৈন্য পাঠাচ্ছে। তবে, এবার দেশটি দখল করতে নয়, বরং রাশিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে পোল্যান্ডের যে সীমান্ত আছে তা সুরক্ষিত করতে। জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো।
১ ঘণ্টা আগে
ঘন ধোঁয়াশায় ঢেকে গেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ। শহরটির বায়ুমান ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বা সিভিয়ার পর্যায়ে থাকায় কমে গেছে দৃশ্যমানতা। এতে বিমান ও ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। আজ ঘন ধোঁয়াশার কারণে ‘অরেঞ্জ’ সতর্কতা জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি)।
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) পক্ষে লড়ার জন্য কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিক নিয়োগের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েক জন ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে এই যোদ্ধা সরবরাহের ক্ষেত্রে বহুল আলোচিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জড়িত থাকার কথা...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসব চলাকালে প্রাণঘাতী হামলায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় হামলাকারীদের পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, হামলাকারী দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে।
পুলিশ জানায়, হামলাকারীরা হলেন ৫০ বছর বয়সী সাজিদ আকরাম ও তাঁর ২৪ বছর বয়সী ছেলে নাভিদ আকরাম। সাজিদ আকরাম পেশায় ফলবিক্রেতা ও নাভিদ পড়া শেষে এখন কিছু করছিলেন না।
সাজিদ ঘটনাস্থলে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। অন্যদিকে নাভিদকে আটক করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি গুরুতর হলেও স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন।
পুলিশের এক বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দুজন হামলাকারী ভিড়ের ওপর দীর্ঘনল বন্দুক ব্যবহার করে গুলি চালান। সাজিদ আকরামের নামে ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্রের বৈধ লাইসেন্স ছিল। হামলায় এসব অস্ত্রই ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।
দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দুজন পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন, তাঁরা দক্ষিণ উপকূলে মাছ ধরতে যাচ্ছেন।
অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক জানান, সাজিদ আকরাম ১৯৯৮ সালে শিক্ষার্থী ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখেন। ২০০১ সালে সেটি পার্টনার ভিসায় রূপান্তরিত হয়। এরপর থেকে রেসিডেন্ট রিটার্ন ভিসাতে দেশটিতে বসবাস করে আসছিলেন তিনি।
নাভিদের মা ভেরেনা জানান, গুলির ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে রোববার সকালে ছেলে শেষবারের মতো পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তিনি বলেন, ‘ও আমাকে ফোন করে বলেছিল, মা, আমি একটু সাঁতার কেটেছি। স্কুবা ডাইভিং করেছি। আমরা এখন খেতে যাচ্ছি। আজ খুব গরম। বাড়িতেই থাকব।’
ভেরেনা আরও জানান, ছেলে তাঁকে বলেছিল, বাবার সঙ্গে জারভিস বে এলাকায় আছে।
ঘটনাস্থলের ছবিতে ছেলেকে শনাক্ত করতে পারেননি ভেরেনা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সহিংসতা বা উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ছেলের জড়িত থাকার কথা তিনি বিশ্বাস করেন না।
ভেরেনা বলেন, ‘ওর কাছে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র নেই। ও বাইরে ঘোরাফেরা করে না। বন্ধুদের সঙ্গে মেশে না। মদ্যপান করে না, ধূমপান করে না, খারাপ জায়গায় যায় না। ও শুধু কাজে যায়, বাড়ি ফেরে, শরীরচর্চা করে, এই পর্যন্তই।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে কেউ এমন একজন ছেলেই চাইবে। আমার ছেলে খুব ভালো।’
দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাভিদ আকরাম পেশায় একজন ইটশ্রমিক ছিলেন। তবে প্রায় দুই মাস আগে তাঁর কর্মস্থল দেউলিয়া হয়ে পড়ায় তিনি চাকরি হারান। এরপর থেকে নাভিদ নতুন কাজের খোঁজ করছিলেন বলে জানান তাঁর মা।
ভেরেনা আরও জানান, তাঁর ছেলে ক্যাব্রামাটা হাই স্কুলে পড়াশোনা করেছে। তিনি বলেন, ‘নাভিদ খুব একটা মিশুক ছিল না এবং অনলাইনে বেশি সময় কাটাত বলেও মনে হয়নি। তাঁর শখের মধ্যে ছিল মাছ ধরা, স্কুবা ডাইভিং, সাঁতার কাটা ও শরীরচর্চা।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ২০২২ সালের একটি পোস্টে নাভিদ আকরামকে ট্যাগ করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়, তিনি পশ্চিম সিডনির হেকেনবার্গে অবস্থিত আল-মুরাদ ইনস্টিটিউট থেকে কোরআন শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন।
২০০৪ সালে কেনা তিন কক্ষের একটি বাড়িতে বসবাস পরিবারটির। এর আগে ক্যাব্রামাটায় থাকত তারা। ওই বাড়িতে বাবা–মা, ২২ বছর বয়সী এক বোন ও ২০ বছর বয়সী এক ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন নাভিদ। তাঁর মা গৃহিণী।
গত রোববার অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে পরিচিত সার্ফিং সৈকতে এই গুলির ঘটনা ঘটে। দেশটির সমুদ্রপ্রেমের প্রতীক হিসেবে পরিচিত পর্যটনকেন্দ্রটিতে হঠাৎ এই হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী ছিল ১০ বছরের এক কন্যাশিশু। সে একটি শিশু হাসপাতালে মারা যায়। সবচেয়ে বেশি বয়সী নিহত ব্যক্তির বয়স ছিল ৮৭ বছর।
এ ঘটনায় আরও ৪২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসব চলাকালে প্রাণঘাতী হামলায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় হামলাকারীদের পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, হামলাকারী দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে।
পুলিশ জানায়, হামলাকারীরা হলেন ৫০ বছর বয়সী সাজিদ আকরাম ও তাঁর ২৪ বছর বয়সী ছেলে নাভিদ আকরাম। সাজিদ আকরাম পেশায় ফলবিক্রেতা ও নাভিদ পড়া শেষে এখন কিছু করছিলেন না।
সাজিদ ঘটনাস্থলে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। অন্যদিকে নাভিদকে আটক করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি গুরুতর হলেও স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন।
পুলিশের এক বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দুজন হামলাকারী ভিড়ের ওপর দীর্ঘনল বন্দুক ব্যবহার করে গুলি চালান। সাজিদ আকরামের নামে ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্রের বৈধ লাইসেন্স ছিল। হামলায় এসব অস্ত্রই ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।
দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দুজন পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন, তাঁরা দক্ষিণ উপকূলে মাছ ধরতে যাচ্ছেন।
অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক জানান, সাজিদ আকরাম ১৯৯৮ সালে শিক্ষার্থী ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখেন। ২০০১ সালে সেটি পার্টনার ভিসায় রূপান্তরিত হয়। এরপর থেকে রেসিডেন্ট রিটার্ন ভিসাতে দেশটিতে বসবাস করে আসছিলেন তিনি।
নাভিদের মা ভেরেনা জানান, গুলির ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে রোববার সকালে ছেলে শেষবারের মতো পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তিনি বলেন, ‘ও আমাকে ফোন করে বলেছিল, মা, আমি একটু সাঁতার কেটেছি। স্কুবা ডাইভিং করেছি। আমরা এখন খেতে যাচ্ছি। আজ খুব গরম। বাড়িতেই থাকব।’
ভেরেনা আরও জানান, ছেলে তাঁকে বলেছিল, বাবার সঙ্গে জারভিস বে এলাকায় আছে।
ঘটনাস্থলের ছবিতে ছেলেকে শনাক্ত করতে পারেননি ভেরেনা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সহিংসতা বা উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ছেলের জড়িত থাকার কথা তিনি বিশ্বাস করেন না।
ভেরেনা বলেন, ‘ওর কাছে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র নেই। ও বাইরে ঘোরাফেরা করে না। বন্ধুদের সঙ্গে মেশে না। মদ্যপান করে না, ধূমপান করে না, খারাপ জায়গায় যায় না। ও শুধু কাজে যায়, বাড়ি ফেরে, শরীরচর্চা করে, এই পর্যন্তই।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে কেউ এমন একজন ছেলেই চাইবে। আমার ছেলে খুব ভালো।’
দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাভিদ আকরাম পেশায় একজন ইটশ্রমিক ছিলেন। তবে প্রায় দুই মাস আগে তাঁর কর্মস্থল দেউলিয়া হয়ে পড়ায় তিনি চাকরি হারান। এরপর থেকে নাভিদ নতুন কাজের খোঁজ করছিলেন বলে জানান তাঁর মা।
ভেরেনা আরও জানান, তাঁর ছেলে ক্যাব্রামাটা হাই স্কুলে পড়াশোনা করেছে। তিনি বলেন, ‘নাভিদ খুব একটা মিশুক ছিল না এবং অনলাইনে বেশি সময় কাটাত বলেও মনে হয়নি। তাঁর শখের মধ্যে ছিল মাছ ধরা, স্কুবা ডাইভিং, সাঁতার কাটা ও শরীরচর্চা।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ২০২২ সালের একটি পোস্টে নাভিদ আকরামকে ট্যাগ করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়, তিনি পশ্চিম সিডনির হেকেনবার্গে অবস্থিত আল-মুরাদ ইনস্টিটিউট থেকে কোরআন শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন।
২০০৪ সালে কেনা তিন কক্ষের একটি বাড়িতে বসবাস পরিবারটির। এর আগে ক্যাব্রামাটায় থাকত তারা। ওই বাড়িতে বাবা–মা, ২২ বছর বয়সী এক বোন ও ২০ বছর বয়সী এক ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন নাভিদ। তাঁর মা গৃহিণী।
গত রোববার অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে পরিচিত সার্ফিং সৈকতে এই গুলির ঘটনা ঘটে। দেশটির সমুদ্রপ্রেমের প্রতীক হিসেবে পরিচিত পর্যটনকেন্দ্রটিতে হঠাৎ এই হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী ছিল ১০ বছরের এক কন্যাশিশু। সে একটি শিশু হাসপাতালে মারা যায়। সবচেয়ে বেশি বয়সী নিহত ব্যক্তির বয়স ছিল ৮৭ বছর।
এ ঘটনায় আরও ৪২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।

একটি দেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে কিংবা বাড়ানোর জন্য প্রত্যেক নারীর গড়ে ২.১ থেকে ২.৪ জন হারে শিশু জন্ম দেওয়ার প্রয়োজন। কিন্তু যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২২ সালে সেখানকার নারীরা গড়ে ১.৪৯ জন শিশুর জন্ম দিয়েছেন।
২০ মে ২০২৪
জার্মানি আবারও প্রতিবেশী পোল্যান্ডে আবারও সৈন্য পাঠাচ্ছে। তবে, এবার দেশটি দখল করতে নয়, বরং রাশিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে পোল্যান্ডের যে সীমান্ত আছে তা সুরক্ষিত করতে। জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো।
১ ঘণ্টা আগে
ঘন ধোঁয়াশায় ঢেকে গেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ। শহরটির বায়ুমান ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বা সিভিয়ার পর্যায়ে থাকায় কমে গেছে দৃশ্যমানতা। এতে বিমান ও ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। আজ ঘন ধোঁয়াশার কারণে ‘অরেঞ্জ’ সতর্কতা জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি)।
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) পক্ষে লড়ার জন্য কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিক নিয়োগের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েক জন ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে এই যোদ্ধা সরবরাহের ক্ষেত্রে বহুল আলোচিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জড়িত থাকার কথা...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জার্মানি আবারও প্রতিবেশী পোল্যান্ডে আবারও সৈন্য পাঠাচ্ছে। তবে, এবার দেশটি দখল করতে নয়, বরং রাশিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে পোল্যান্ডের যে সীমান্ত আছে তা সুরক্ষিত করতে। জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো।
খবরে বলা হয়েছে, বেলারুশ ও রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত পোল্যান্ডের পূর্ব সীমান্তে সৈন্য পাঠাচ্ছে জার্মানি। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ২০২৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে কয়েক ডজন জার্মান সেনা পোল্যান্ডের ‘ইস্ট শিল্ড’ মিশনে যোগ দেবে। এই মিশনটি প্রাথমিকভাবে ২০২৭ সালের শেষ পর্যন্ত চলবে।
প্রতিবেদনে জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের ভাষ্য অনুসারে, জার্মান সৈন্যরা মূলত ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রকৌশলগত কাজে মনোযোগ দেবে। মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই কাজের মধ্যে রয়েছে—সামরিক অবস্থান তৈরি, ট্রেঞ্চ বা পরিখা খনন, কাঁটাতার বসানো এবং ট্যাংক-বিরোধী বাধা নির্মাণ।
উল্লেখ্য, ‘ইস্ট শিল্ড’ হলো গত বছর ওয়ারশ ঘোষিত ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের একটি কর্মসূচি, যার উদ্দেশ্য তাদের পূর্ব সীমান্তের নিরাপত্তা আরও মজবুত করা।
এর আগে, নাৎসি জার্মানির নেতা অ্যাডলফ হিটলার ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর ভোরবেলায় পোল্যান্ডে সেনা পাঠান। এই আক্রমণই ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হিসেবে ধরা হয়। কারণ, এর দুই দিনের মাথায় ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। পোল্যান্ড অভিযানে জার্মানি স্থল, নৌ ও আকাশপথে একযোগে হামলা চালায়, যাকে পরে ‘ব্লিৎজক্রিগ’ বা বজ্রগতির যুদ্ধকৌশল নামে পরিচিত করা হয়।
বিভিন্ন ঐতিহাসিক গবেষণা অনুযায়ী, এই আক্রমণে হিটলার আনুমানিক ১৫ লাখ জার্মান সৈন্য মোতায়েন করেছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিল প্রায় আড়াই থেকে ৩ হাজার ট্যাংক এবং ২ হাজারের বেশি যুদ্ধবিমান, যা সেই সময় ইউরোপের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় ভয়ংকরভাবে আধুনিক ও সংগঠিত সামরিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত হতো। সংখ্যার জোর আর কৌশলগত প্রস্তুতির কারণে পোল্যান্ড মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পরাজিত হয় এবং ইউরোপ যুদ্ধের আগুনে জড়িয়ে পড়ে।

জার্মানি আবারও প্রতিবেশী পোল্যান্ডে আবারও সৈন্য পাঠাচ্ছে। তবে, এবার দেশটি দখল করতে নয়, বরং রাশিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে পোল্যান্ডের যে সীমান্ত আছে তা সুরক্ষিত করতে। জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো।
খবরে বলা হয়েছে, বেলারুশ ও রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত পোল্যান্ডের পূর্ব সীমান্তে সৈন্য পাঠাচ্ছে জার্মানি। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ২০২৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে কয়েক ডজন জার্মান সেনা পোল্যান্ডের ‘ইস্ট শিল্ড’ মিশনে যোগ দেবে। এই মিশনটি প্রাথমিকভাবে ২০২৭ সালের শেষ পর্যন্ত চলবে।
প্রতিবেদনে জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের ভাষ্য অনুসারে, জার্মান সৈন্যরা মূলত ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রকৌশলগত কাজে মনোযোগ দেবে। মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই কাজের মধ্যে রয়েছে—সামরিক অবস্থান তৈরি, ট্রেঞ্চ বা পরিখা খনন, কাঁটাতার বসানো এবং ট্যাংক-বিরোধী বাধা নির্মাণ।
উল্লেখ্য, ‘ইস্ট শিল্ড’ হলো গত বছর ওয়ারশ ঘোষিত ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের একটি কর্মসূচি, যার উদ্দেশ্য তাদের পূর্ব সীমান্তের নিরাপত্তা আরও মজবুত করা।
এর আগে, নাৎসি জার্মানির নেতা অ্যাডলফ হিটলার ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর ভোরবেলায় পোল্যান্ডে সেনা পাঠান। এই আক্রমণই ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হিসেবে ধরা হয়। কারণ, এর দুই দিনের মাথায় ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। পোল্যান্ড অভিযানে জার্মানি স্থল, নৌ ও আকাশপথে একযোগে হামলা চালায়, যাকে পরে ‘ব্লিৎজক্রিগ’ বা বজ্রগতির যুদ্ধকৌশল নামে পরিচিত করা হয়।
বিভিন্ন ঐতিহাসিক গবেষণা অনুযায়ী, এই আক্রমণে হিটলার আনুমানিক ১৫ লাখ জার্মান সৈন্য মোতায়েন করেছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিল প্রায় আড়াই থেকে ৩ হাজার ট্যাংক এবং ২ হাজারের বেশি যুদ্ধবিমান, যা সেই সময় ইউরোপের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় ভয়ংকরভাবে আধুনিক ও সংগঠিত সামরিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত হতো। সংখ্যার জোর আর কৌশলগত প্রস্তুতির কারণে পোল্যান্ড মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পরাজিত হয় এবং ইউরোপ যুদ্ধের আগুনে জড়িয়ে পড়ে।

একটি দেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে কিংবা বাড়ানোর জন্য প্রত্যেক নারীর গড়ে ২.১ থেকে ২.৪ জন হারে শিশু জন্ম দেওয়ার প্রয়োজন। কিন্তু যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২২ সালে সেখানকার নারীরা গড়ে ১.৪৯ জন শিশুর জন্ম দিয়েছেন।
২০ মে ২০২৪
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে হামলাকারী দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক জানান, সাজিদ আকরাম ১৯৯৮ সালে শিক্ষার্থী ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখেন। ২০০১ সালে সেটি পার্টনার ভিসায় রূপান্তরিত হয়। এরপর থেকে রেসিডেন্ট রিটার্ন ভিসাতে দেশটিতে বসবাস করে আসছিলেন তিনি।
২৯ মিনিট আগে
ঘন ধোঁয়াশায় ঢেকে গেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ। শহরটির বায়ুমান ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বা সিভিয়ার পর্যায়ে থাকায় কমে গেছে দৃশ্যমানতা। এতে বিমান ও ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। আজ ঘন ধোঁয়াশার কারণে ‘অরেঞ্জ’ সতর্কতা জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি)।
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) পক্ষে লড়ার জন্য কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিক নিয়োগের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েক জন ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে এই যোদ্ধা সরবরাহের ক্ষেত্রে বহুল আলোচিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জড়িত থাকার কথা...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঘন ধোঁয়াশায় ঢেকে গেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ। শহরটির বায়ুমান ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বা সিভিয়ার পর্যায়ে থাকায় কমে গেছে দৃশ্যমানতা। এতে বিমান ও ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। আজ ঘন ধোঁয়াশার কারণে ‘অরেঞ্জ’ সতর্কতা জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি)।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (সিপিসিবি)-এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, আজ সোমবার সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল ৪৫৬। চলতি মৌসুমে এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন বায়ুমান।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দিল্লির অক্ষরধাম এলাকায় বিষাক্ত ধোঁয়ার ঘন স্তর দেখা যায়। সেখানে একিউআই রেকর্ড করা হয় ৪৯৩।
অন্য ভিডিওগুলোতেও বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ দৃশ্যমানতার অভাব দেখা গেছে। এর মধ্যে বারাপুল্লা ফ্লাইওভার এলাকায় একিউআই ছিল ৪৩৩ এবং বারাখাম্বা রোডে ছিল ৪৭৪।
উল্লেখ্য, একিউআই শূন্য থেকে ৫০ হলে তা ‘ভালো’, ৫১ থেকে ১০০ ‘সন্তোষজনক’, ১০১ থেকে ২০০ ‘মাঝারি’, ২০১ থেকে ৩০০ ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ ‘খুব খারাপ’ এবং ৪০১ থেকে ৫০০ হলে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ হিসেবে ধরা হয়।
এদিকে ঘন ধোঁয়াশার কারণে ফ্লাইট বিলম্ব হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার ২৪–এর তথ্য অনুযায়ী, দিল্লি বিমানবন্দরে ৩০০টি উড্ডয়ন ও ৪০টি অবতরণ বিলম্বিত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দিল্লি বিমানবন্দর যাত্রীদের জন্য একটি পরামর্শ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। সর্বশেষ ফ্লাইট তথ্য জানার জন্য যাত্রীদের নিজ নিজ এয়ারলাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এতে কোনো অসুবিধা হলে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্বের বিষয়ে যাত্রীদের সতর্ক করেছে বেসরকারি বিমানসংস্থা ইন্ডিগোও।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, ‘আজ সকালে দিল্লিতে ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা মারাত্মকভাবে কমে গেছে। এর ফলে বিমান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে এবং বিমানবন্দরে দীর্ঘ অপেক্ষা এড়াতে দিনের বিভিন্ন সময়ে আগামভাবে কিছু ফ্লাইট বাতিল করা হতে পারে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ভ্রমণের পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ হলে এই পরিস্থিতি যে কতটা অসুবিধাজনক, তা আমরা বুঝি। যাত্রীদের আশ্বস্ত করছি, সব বিমানবন্দরে আমাদের দলগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে, যেন কার্যক্রম যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখা যায় এবং পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্পর্কে আপনাদের নিয়মিত জানানো যায়।’
ইন্ডিগো আরেকটি পোস্টে যাত্রীদের বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় অতিরিক্ত সময় হাতে রাখার পরামর্শ দিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, বিষাক্ত ধোঁয়াশার কারণে সড়কে যান চলাচল ধীরগতির হতে পারে।
এদিকে এয়ার ইন্ডিয়া তাদের সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, ‘ঘন কুয়াশাজনিত দুর্বল দৃশ্যমানতার কারণে দিল্লি ও উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিমান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।’
অন্যদিকে, কম দৃশ্যমানতার কারণে দিল্লিতে আগমন ও প্রস্থানকারী ৯০ টির বেশি ট্রেন ছয় থেকে সাত ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বিত হয়েছে।
দূষণের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় গত শনিবার বায়ুমান ব্যবস্থাপনা কমিশন (সিএকিউএম) তাদের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (গ্র্যাপ)–এর আওতায় সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা, অর্থাৎ স্টেজ–৪, কার্যকর করে। এর অংশ হিসেবে দিল্লি–এনসিআর এলাকায় সব ধরনের নির্মাণ ও ভাঙাচোরা কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। প্রতিকূল আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতিকে দূষণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া দিল্লি সরকার সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের ৫০ শতাংশ কর্মীকে বাসা থেকে কাজ করার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত (দশম শ্রেণি বাদে) সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে হাইব্রিড পদ্ধতিতে সরাসরি ও অনলাইনে ক্লাস পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঘন ধোঁয়াশায় ঢেকে গেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ। শহরটির বায়ুমান ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বা সিভিয়ার পর্যায়ে থাকায় কমে গেছে দৃশ্যমানতা। এতে বিমান ও ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। আজ ঘন ধোঁয়াশার কারণে ‘অরেঞ্জ’ সতর্কতা জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি)।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (সিপিসিবি)-এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, আজ সোমবার সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল ৪৫৬। চলতি মৌসুমে এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন বায়ুমান।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দিল্লির অক্ষরধাম এলাকায় বিষাক্ত ধোঁয়ার ঘন স্তর দেখা যায়। সেখানে একিউআই রেকর্ড করা হয় ৪৯৩।
অন্য ভিডিওগুলোতেও বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ দৃশ্যমানতার অভাব দেখা গেছে। এর মধ্যে বারাপুল্লা ফ্লাইওভার এলাকায় একিউআই ছিল ৪৩৩ এবং বারাখাম্বা রোডে ছিল ৪৭৪।
উল্লেখ্য, একিউআই শূন্য থেকে ৫০ হলে তা ‘ভালো’, ৫১ থেকে ১০০ ‘সন্তোষজনক’, ১০১ থেকে ২০০ ‘মাঝারি’, ২০১ থেকে ৩০০ ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ ‘খুব খারাপ’ এবং ৪০১ থেকে ৫০০ হলে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ হিসেবে ধরা হয়।
এদিকে ঘন ধোঁয়াশার কারণে ফ্লাইট বিলম্ব হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার ২৪–এর তথ্য অনুযায়ী, দিল্লি বিমানবন্দরে ৩০০টি উড্ডয়ন ও ৪০টি অবতরণ বিলম্বিত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দিল্লি বিমানবন্দর যাত্রীদের জন্য একটি পরামর্শ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। সর্বশেষ ফ্লাইট তথ্য জানার জন্য যাত্রীদের নিজ নিজ এয়ারলাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এতে কোনো অসুবিধা হলে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্বের বিষয়ে যাত্রীদের সতর্ক করেছে বেসরকারি বিমানসংস্থা ইন্ডিগোও।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, ‘আজ সকালে দিল্লিতে ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা মারাত্মকভাবে কমে গেছে। এর ফলে বিমান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে এবং বিমানবন্দরে দীর্ঘ অপেক্ষা এড়াতে দিনের বিভিন্ন সময়ে আগামভাবে কিছু ফ্লাইট বাতিল করা হতে পারে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ভ্রমণের পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ হলে এই পরিস্থিতি যে কতটা অসুবিধাজনক, তা আমরা বুঝি। যাত্রীদের আশ্বস্ত করছি, সব বিমানবন্দরে আমাদের দলগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে, যেন কার্যক্রম যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখা যায় এবং পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্পর্কে আপনাদের নিয়মিত জানানো যায়।’
ইন্ডিগো আরেকটি পোস্টে যাত্রীদের বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় অতিরিক্ত সময় হাতে রাখার পরামর্শ দিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, বিষাক্ত ধোঁয়াশার কারণে সড়কে যান চলাচল ধীরগতির হতে পারে।
এদিকে এয়ার ইন্ডিয়া তাদের সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, ‘ঘন কুয়াশাজনিত দুর্বল দৃশ্যমানতার কারণে দিল্লি ও উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিমান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।’
অন্যদিকে, কম দৃশ্যমানতার কারণে দিল্লিতে আগমন ও প্রস্থানকারী ৯০ টির বেশি ট্রেন ছয় থেকে সাত ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বিত হয়েছে।
দূষণের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় গত শনিবার বায়ুমান ব্যবস্থাপনা কমিশন (সিএকিউএম) তাদের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (গ্র্যাপ)–এর আওতায় সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা, অর্থাৎ স্টেজ–৪, কার্যকর করে। এর অংশ হিসেবে দিল্লি–এনসিআর এলাকায় সব ধরনের নির্মাণ ও ভাঙাচোরা কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। প্রতিকূল আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতিকে দূষণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া দিল্লি সরকার সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের ৫০ শতাংশ কর্মীকে বাসা থেকে কাজ করার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত (দশম শ্রেণি বাদে) সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে হাইব্রিড পদ্ধতিতে সরাসরি ও অনলাইনে ক্লাস পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একটি দেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে কিংবা বাড়ানোর জন্য প্রত্যেক নারীর গড়ে ২.১ থেকে ২.৪ জন হারে শিশু জন্ম দেওয়ার প্রয়োজন। কিন্তু যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২২ সালে সেখানকার নারীরা গড়ে ১.৪৯ জন শিশুর জন্ম দিয়েছেন।
২০ মে ২০২৪
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে হামলাকারী দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক জানান, সাজিদ আকরাম ১৯৯৮ সালে শিক্ষার্থী ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখেন। ২০০১ সালে সেটি পার্টনার ভিসায় রূপান্তরিত হয়। এরপর থেকে রেসিডেন্ট রিটার্ন ভিসাতে দেশটিতে বসবাস করে আসছিলেন তিনি।
২৯ মিনিট আগে
জার্মানি আবারও প্রতিবেশী পোল্যান্ডে আবারও সৈন্য পাঠাচ্ছে। তবে, এবার দেশটি দখল করতে নয়, বরং রাশিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে পোল্যান্ডের যে সীমান্ত আছে তা সুরক্ষিত করতে। জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো।
১ ঘণ্টা আগে
সুদানের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) পক্ষে লড়ার জন্য কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিক নিয়োগের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েক জন ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে এই যোদ্ধা সরবরাহের ক্ষেত্রে বহুল আলোচিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জড়িত থাকার কথা...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সুদানের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) পক্ষে লড়ার জন্য কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিক নিয়োগের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েক জন ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে এই যোদ্ধা সরবরাহের ক্ষেত্রে বহুল আলোচিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জড়িত থাকার কথা নিষেধাজ্ঞায় উল্লেখ করা হয়নি।
লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ৪ ব্যক্তি ও ৪টি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির কথা জানিয়েছে। এসব ব্যক্তি ও সংস্থা কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মীদের নিয়োগের সঙ্গে জড়িত একটি ‘আন্তঃদেশীয় নেটওয়ার্কের’ অংশ ছিল।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, কলম্বিয়ার এসব যোদ্ধা আরএসএফ-কে ‘কৌশলগত ও কারিগরি দক্ষতা শিখিয়েছে, ইনফ্যান্ট্রি এবং আর্টিলারিম্যান, ড্রোন পাইলট, গাড়িচালক এবং প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করেছে, এমনকি কেউ কেউ শিশুদেরও প্রশিক্ষণ দিয়েছে।’ যোদ্ধারা সুদানের বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে বলেও এতে বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে খার্তুম, ওমদুরমান, করদোফান ও এল-ফাশেরের লড়াই।
অক্টোবরে আরএসএফ এল-ফাশেরে ঝটিকা আক্রমণের সময় ব্যাপক গণহত্যা ও নির্যাতন চালায়। এর কিছু ঘটনা আরএসএফের নিজস্ব যোদ্ধাদের মাধ্যমে নথিভুক্ত হয়েছে এবং স্যাটেলাইট চিত্র দ্বারা তা প্রমাণিত হয়েছে। ট্রেজারি বিভাগ বলেছে, ‘সুদানে কলম্বিয়ার যোদ্ধাদের উপস্থিতি বহু ব্যক্তি ও সংস্থার সাহায্য ছাড়া সম্ভব হতো না, যাদের বেশিরভাগই কলম্বিয়ার।’
বোগোতাভিত্তিক নিয়োগ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস এজেন্সি এবং এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আরব আমিরাতে থাকা কলম্বিয়ার সাবেক সেনা কর্মকর্তা আলভারো আন্দ্রেস কুইজানো বেসেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কুইজানোর স্ত্রী ক্লদিয়া ভিভিয়ানা অলিভারোস ফোরো এই প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ম্যানেজার। তাঁকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
কলম্বিয়ার সংবাদমাধ্যম লা সিয়া ভেসিয়ার ফাঁস করা নথি অনুসারে, আরব আমিরাতে নিবন্ধিত একটি কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস এজেন্সির সঙ্গে চুক্তি করেছিল সুদানে কাজ করার জন্য শত শত সাবেক সৈন্য সরবরাহ করতে। আমিরাতি ওই কোম্পানি গ্লোবাল সিকিউরিটি সার্ভিসেস গ্রুপ নিজেদেরকে ‘ইউএই সরকারের একমাত্র সশস্ত্র বেসরকারি নিরাপত্তা পরিষেবা প্রদানকারী’ হিসেবে পরিচয় দেয়। কিন্তু মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় এর কোনো উল্লেখ নেই। তদন্তকারী সংস্থা দ্য সেন্ট্রির গত মাসের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়, কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিক সরবরাহকারী আমিরাতি ব্যবসায়ীরা ইউএই-এর ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্ত।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্য সংস্থাগুলো হলো—পানামাভিত্তিক গ্লোবাল স্টাফিং এসএ এবং কলম্বিয়াভিত্তিক ফার্ম মেইন গ্লোবাল কর্প এসএএস ও কমার্সিয়ালাইজাদোরা সান বেনিটো। কলম্বিয়ার নাগরিক মনিকা মুনিওজ উক্রোস এবং কলম্বিয়ার-স্প্যানিশ দ্বৈত নাগরিক মাতেও আন্দ্রেস ডুকে বোতেরোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ট্রেজারি বিভাগ জানায়, ‘আজকের পদক্ষেপের ফলস্বরূপ, ওপরের বর্ণিত বা অবরুদ্ধ ব্যক্তি বা সংস্থাদের যুক্তরাষ্ট্রে বা মার্কিন ব্যক্তিবর্গের দখলে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা সমস্ত সম্পত্তি এবং সম্পত্তির স্বার্থ অবরুদ্ধ করা হয়েছে এবং তা রিপোর্ট করতে হবে।’
সেপ্টেম্বরে, সুদান আরএসএফ-এর পক্ষে লড়ার জন্য কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিকদের পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগে ইউএই-এর বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করে।
জাতিসংঘে সুদানের প্রতিনিধি বলেছিলেন যে, খার্তুম আটক যোদ্ধাদের কাছ থেকে নথি সংগ্রহ করেছে, যেখানে দেখা যায় যে ইউএই-এর দুটি বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানি ভাড়াটে সৈনিকদের নিয়োগ দিয়েছে। ইউএই অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, এসব প্রমাণ ‘মনগড়া।’
গত ৭ আগস্ট সুদানের বিমান বাহিনী ইউএই-এর বলে কথিত একটি বিমান গুলি করে ভূপাতিত করে। এটি কলম্বিয়ার ৪০ জন ভাড়াটে সৈনিক বহন করছিল। সঙ্গে ছিল আরএসএফ-এর ব্যবহারের জন্য অস্ত্র ও সরঞ্জামের চালান। বিমানটিতে থাকা ভাড়াটে সৈন্যরা সবাই মারা গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। ইউএই এতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে।
আধুনিক অনিয়মিত যুদ্ধে কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিকরা এখন খুবই কাঙ্ক্ষিত। দেশটির মধ্যে গেরিলা ও মাদক চক্রের বিরুদ্ধে কয়েক দশকের সংঘাত এক স্থিতিশীল সরবরাহ তৈরি করেছে এই রণক্লান্ত সাবেক যোদ্ধাদের। ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শন ম্যাকফেট মিডেল ইস্ট আইকে বলেন, ‘কলম্বিয়ার সেনারা চমৎকার, তাদের অনেক যুদ্ধের অভিজ্ঞতা আছে এবং তারা খুবই ভালো যোদ্ধা। তারা চেইন অব কমান্ড মেনে চলে, তাদের শৃঙ্খলা ভালো, আর একজন আমেরিকান ভাড়াটে সৈনিকের যা খরচ হয়, তার এক-চতুর্থাংশেই তাদের পাওয়া যায়।’
ইউক্রেনে শত শত কলম্বিয়ান লড়াই করছে, অন্যরা লিবিয়ার ২০১১ সালের গৃহযুদ্ধ ছাড়াও আফগানিস্তান ও ইরাকে কাজ করেছে। সুদানের যুদ্ধের প্রসঙ্গে লা সিয়া ভেসিয়া জানায়, কলম্বিয়ার যোদ্ধারা দুটি পথ ব্যবহার করছে। একটি পথ হলো উত্তর লিবিয়ার বেনগাজি হয়ে। সেখানে লিবীয় ঠিকাদাররা তাদের পাসপোর্ট জব্দ করেছে বলে জানা যায় এবং সুদানে আরএসএফ-এ যোগদানের জন্য তাদের যাত্রা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফিরতে দেয়নি।
অন্য পথটি হলো স্পেন থেকে ইথিওপিয়া ভ্রমণ, তারপর সোমালিয়ার বোসাসো সমুদ্রবন্দর শহরে গিয়ে চাদের রাজধানী এন’ডজামেনা হয়ে সবশেষে দারফুরের আরএসএফ-নিয়ন্ত্রিত শহর নিয়ালার উদ্দেশে উড়ে যাওয়া।
অক্টোবরে মিডল ইস্ট আই বিশেষ ফুটেজ সংগ্রহ করে। যেখানে দেখা যায় কয়েক ডজন কলম্বিয়ান সেনা সোমালিয়ার বোসাসো বিমানবন্দরে বিমান থেকে নামছে এবং কাছেই কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিকদের রাখা একটি শিবিরের দিকে যাচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে ‘অঘোষিত ভারী লজিস্টিক্যাল সরঞ্জামাদি’ পরিবহনের জন্য বোসাসো ব্যবহারের বিশদ বিবরণও ছিল। বন্দরের একাধিক সূত্র জানিয়েছিল, এসব সরঞ্জাম ইউএই সরবরাহ করছিল এবং চূড়ান্ত গন্তব্য ছিল সুদানের আরএসএফ।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের কয়েক দিন পর, সোমালিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্বীকার করেন যে—এমন বিমান চলাচল ঘটছে। মন্ত্রী আরও যোগ করেন, সরকার কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিকদের বোসাসো থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছে, তবে তা নিশ্চিত করা যায়নি।
মিডল ইস্ট আই ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে রিপোর্ট করেছিল, ইউএই লিবিয়া, চাদ এবং উগান্ডাজুড়ে বিস্তৃত সরবরাহ লাইন ও জোটের এক জটিল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আরএসএফ-কে অস্ত্র সরবরাহ করছিল। ক্রমবর্ধমান প্রমাণ সত্ত্বেও, আবুধাবি এই আধাসামরিক গোষ্ঠীকে সমর্থন করার কথা অস্বীকার করে।
সুদানের যুদ্ধ শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে। জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বাধীন সুদান সেনা এবং মোহামেদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বাধীন আরএসএফ-এর মধ্যে দীর্ঘদিনের চাপা উত্তেজনা প্রকাশ্য সংঘাতে রূপ নেয়। আরএসএফকে নিয়মিত সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা নিয়ে মতবিরোধের কারণে এই সহিংসতা শুরু হয়েছিল। কিন্তু তা দ্রুতই দেশব্যাপী যুদ্ধে পরিণত হয়, যাতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং ১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আরএসএফ যোদ্ধারা দারফুরে গণহত্যাসহ ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। সুদান সেনার বিরুদ্ধেও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে।

সুদানের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) পক্ষে লড়ার জন্য কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিক নিয়োগের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েক জন ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে এই যোদ্ধা সরবরাহের ক্ষেত্রে বহুল আলোচিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জড়িত থাকার কথা নিষেধাজ্ঞায় উল্লেখ করা হয়নি।
লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ৪ ব্যক্তি ও ৪টি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির কথা জানিয়েছে। এসব ব্যক্তি ও সংস্থা কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মীদের নিয়োগের সঙ্গে জড়িত একটি ‘আন্তঃদেশীয় নেটওয়ার্কের’ অংশ ছিল।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, কলম্বিয়ার এসব যোদ্ধা আরএসএফ-কে ‘কৌশলগত ও কারিগরি দক্ষতা শিখিয়েছে, ইনফ্যান্ট্রি এবং আর্টিলারিম্যান, ড্রোন পাইলট, গাড়িচালক এবং প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করেছে, এমনকি কেউ কেউ শিশুদেরও প্রশিক্ষণ দিয়েছে।’ যোদ্ধারা সুদানের বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে বলেও এতে বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে খার্তুম, ওমদুরমান, করদোফান ও এল-ফাশেরের লড়াই।
অক্টোবরে আরএসএফ এল-ফাশেরে ঝটিকা আক্রমণের সময় ব্যাপক গণহত্যা ও নির্যাতন চালায়। এর কিছু ঘটনা আরএসএফের নিজস্ব যোদ্ধাদের মাধ্যমে নথিভুক্ত হয়েছে এবং স্যাটেলাইট চিত্র দ্বারা তা প্রমাণিত হয়েছে। ট্রেজারি বিভাগ বলেছে, ‘সুদানে কলম্বিয়ার যোদ্ধাদের উপস্থিতি বহু ব্যক্তি ও সংস্থার সাহায্য ছাড়া সম্ভব হতো না, যাদের বেশিরভাগই কলম্বিয়ার।’
বোগোতাভিত্তিক নিয়োগ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস এজেন্সি এবং এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আরব আমিরাতে থাকা কলম্বিয়ার সাবেক সেনা কর্মকর্তা আলভারো আন্দ্রেস কুইজানো বেসেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কুইজানোর স্ত্রী ক্লদিয়া ভিভিয়ানা অলিভারোস ফোরো এই প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ম্যানেজার। তাঁকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
কলম্বিয়ার সংবাদমাধ্যম লা সিয়া ভেসিয়ার ফাঁস করা নথি অনুসারে, আরব আমিরাতে নিবন্ধিত একটি কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস এজেন্সির সঙ্গে চুক্তি করেছিল সুদানে কাজ করার জন্য শত শত সাবেক সৈন্য সরবরাহ করতে। আমিরাতি ওই কোম্পানি গ্লোবাল সিকিউরিটি সার্ভিসেস গ্রুপ নিজেদেরকে ‘ইউএই সরকারের একমাত্র সশস্ত্র বেসরকারি নিরাপত্তা পরিষেবা প্রদানকারী’ হিসেবে পরিচয় দেয়। কিন্তু মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় এর কোনো উল্লেখ নেই। তদন্তকারী সংস্থা দ্য সেন্ট্রির গত মাসের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়, কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিক সরবরাহকারী আমিরাতি ব্যবসায়ীরা ইউএই-এর ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্ত।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্য সংস্থাগুলো হলো—পানামাভিত্তিক গ্লোবাল স্টাফিং এসএ এবং কলম্বিয়াভিত্তিক ফার্ম মেইন গ্লোবাল কর্প এসএএস ও কমার্সিয়ালাইজাদোরা সান বেনিটো। কলম্বিয়ার নাগরিক মনিকা মুনিওজ উক্রোস এবং কলম্বিয়ার-স্প্যানিশ দ্বৈত নাগরিক মাতেও আন্দ্রেস ডুকে বোতেরোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ট্রেজারি বিভাগ জানায়, ‘আজকের পদক্ষেপের ফলস্বরূপ, ওপরের বর্ণিত বা অবরুদ্ধ ব্যক্তি বা সংস্থাদের যুক্তরাষ্ট্রে বা মার্কিন ব্যক্তিবর্গের দখলে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা সমস্ত সম্পত্তি এবং সম্পত্তির স্বার্থ অবরুদ্ধ করা হয়েছে এবং তা রিপোর্ট করতে হবে।’
সেপ্টেম্বরে, সুদান আরএসএফ-এর পক্ষে লড়ার জন্য কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিকদের পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগে ইউএই-এর বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করে।
জাতিসংঘে সুদানের প্রতিনিধি বলেছিলেন যে, খার্তুম আটক যোদ্ধাদের কাছ থেকে নথি সংগ্রহ করেছে, যেখানে দেখা যায় যে ইউএই-এর দুটি বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানি ভাড়াটে সৈনিকদের নিয়োগ দিয়েছে। ইউএই অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, এসব প্রমাণ ‘মনগড়া।’
গত ৭ আগস্ট সুদানের বিমান বাহিনী ইউএই-এর বলে কথিত একটি বিমান গুলি করে ভূপাতিত করে। এটি কলম্বিয়ার ৪০ জন ভাড়াটে সৈনিক বহন করছিল। সঙ্গে ছিল আরএসএফ-এর ব্যবহারের জন্য অস্ত্র ও সরঞ্জামের চালান। বিমানটিতে থাকা ভাড়াটে সৈন্যরা সবাই মারা গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। ইউএই এতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে।
আধুনিক অনিয়মিত যুদ্ধে কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিকরা এখন খুবই কাঙ্ক্ষিত। দেশটির মধ্যে গেরিলা ও মাদক চক্রের বিরুদ্ধে কয়েক দশকের সংঘাত এক স্থিতিশীল সরবরাহ তৈরি করেছে এই রণক্লান্ত সাবেক যোদ্ধাদের। ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শন ম্যাকফেট মিডেল ইস্ট আইকে বলেন, ‘কলম্বিয়ার সেনারা চমৎকার, তাদের অনেক যুদ্ধের অভিজ্ঞতা আছে এবং তারা খুবই ভালো যোদ্ধা। তারা চেইন অব কমান্ড মেনে চলে, তাদের শৃঙ্খলা ভালো, আর একজন আমেরিকান ভাড়াটে সৈনিকের যা খরচ হয়, তার এক-চতুর্থাংশেই তাদের পাওয়া যায়।’
ইউক্রেনে শত শত কলম্বিয়ান লড়াই করছে, অন্যরা লিবিয়ার ২০১১ সালের গৃহযুদ্ধ ছাড়াও আফগানিস্তান ও ইরাকে কাজ করেছে। সুদানের যুদ্ধের প্রসঙ্গে লা সিয়া ভেসিয়া জানায়, কলম্বিয়ার যোদ্ধারা দুটি পথ ব্যবহার করছে। একটি পথ হলো উত্তর লিবিয়ার বেনগাজি হয়ে। সেখানে লিবীয় ঠিকাদাররা তাদের পাসপোর্ট জব্দ করেছে বলে জানা যায় এবং সুদানে আরএসএফ-এ যোগদানের জন্য তাদের যাত্রা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফিরতে দেয়নি।
অন্য পথটি হলো স্পেন থেকে ইথিওপিয়া ভ্রমণ, তারপর সোমালিয়ার বোসাসো সমুদ্রবন্দর শহরে গিয়ে চাদের রাজধানী এন’ডজামেনা হয়ে সবশেষে দারফুরের আরএসএফ-নিয়ন্ত্রিত শহর নিয়ালার উদ্দেশে উড়ে যাওয়া।
অক্টোবরে মিডল ইস্ট আই বিশেষ ফুটেজ সংগ্রহ করে। যেখানে দেখা যায় কয়েক ডজন কলম্বিয়ান সেনা সোমালিয়ার বোসাসো বিমানবন্দরে বিমান থেকে নামছে এবং কাছেই কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিকদের রাখা একটি শিবিরের দিকে যাচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে ‘অঘোষিত ভারী লজিস্টিক্যাল সরঞ্জামাদি’ পরিবহনের জন্য বোসাসো ব্যবহারের বিশদ বিবরণও ছিল। বন্দরের একাধিক সূত্র জানিয়েছিল, এসব সরঞ্জাম ইউএই সরবরাহ করছিল এবং চূড়ান্ত গন্তব্য ছিল সুদানের আরএসএফ।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের কয়েক দিন পর, সোমালিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্বীকার করেন যে—এমন বিমান চলাচল ঘটছে। মন্ত্রী আরও যোগ করেন, সরকার কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈনিকদের বোসাসো থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছে, তবে তা নিশ্চিত করা যায়নি।
মিডল ইস্ট আই ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে রিপোর্ট করেছিল, ইউএই লিবিয়া, চাদ এবং উগান্ডাজুড়ে বিস্তৃত সরবরাহ লাইন ও জোটের এক জটিল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আরএসএফ-কে অস্ত্র সরবরাহ করছিল। ক্রমবর্ধমান প্রমাণ সত্ত্বেও, আবুধাবি এই আধাসামরিক গোষ্ঠীকে সমর্থন করার কথা অস্বীকার করে।
সুদানের যুদ্ধ শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে। জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বাধীন সুদান সেনা এবং মোহামেদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বাধীন আরএসএফ-এর মধ্যে দীর্ঘদিনের চাপা উত্তেজনা প্রকাশ্য সংঘাতে রূপ নেয়। আরএসএফকে নিয়মিত সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা নিয়ে মতবিরোধের কারণে এই সহিংসতা শুরু হয়েছিল। কিন্তু তা দ্রুতই দেশব্যাপী যুদ্ধে পরিণত হয়, যাতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং ১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আরএসএফ যোদ্ধারা দারফুরে গণহত্যাসহ ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। সুদান সেনার বিরুদ্ধেও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে।

একটি দেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে কিংবা বাড়ানোর জন্য প্রত্যেক নারীর গড়ে ২.১ থেকে ২.৪ জন হারে শিশু জন্ম দেওয়ার প্রয়োজন। কিন্তু যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২২ সালে সেখানকার নারীরা গড়ে ১.৪৯ জন শিশুর জন্ম দিয়েছেন।
২০ মে ২০২৪
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে হামলাকারী দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক জানান, সাজিদ আকরাম ১৯৯৮ সালে শিক্ষার্থী ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখেন। ২০০১ সালে সেটি পার্টনার ভিসায় রূপান্তরিত হয়। এরপর থেকে রেসিডেন্ট রিটার্ন ভিসাতে দেশটিতে বসবাস করে আসছিলেন তিনি।
২৯ মিনিট আগে
জার্মানি আবারও প্রতিবেশী পোল্যান্ডে আবারও সৈন্য পাঠাচ্ছে। তবে, এবার দেশটি দখল করতে নয়, বরং রাশিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে পোল্যান্ডের যে সীমান্ত আছে তা সুরক্ষিত করতে। জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো।
১ ঘণ্টা আগে
ঘন ধোঁয়াশায় ঢেকে গেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ। শহরটির বায়ুমান ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বা সিভিয়ার পর্যায়ে থাকায় কমে গেছে দৃশ্যমানতা। এতে বিমান ও ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। আজ ঘন ধোঁয়াশার কারণে ‘অরেঞ্জ’ সতর্কতা জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি)।
২ ঘণ্টা আগে