Ajker Patrika

ভারত-পাকিস্তান

পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা

  • রাতে কাশ্মীর ও পাঞ্জাবে বিস্ফোরণের শব্দ, জম্মুতে ব্ল্যাকআউট।
  • বুধবার ভারতের ২৯টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের।
ভারতীয় ড্রোন ভূপতিত হওয়ার পর রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়াম-সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্ত একটি রেস্তোরাঁ। গতকাল রেস্তোরাঁটির সামনে ভিড় করেন স্থানীয়রা। ছবি: এএফপি
ভারতীয় ড্রোন ভূপতিত হওয়ার পর রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়াম-সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্ত একটি রেস্তোরাঁ। গতকাল রেস্তোরাঁটির সামনে ভিড় করেন স্থানীয়রা। ছবি: এএফপি

উপমহাদেশের পারমাণবিক শক্তিধর দুই বৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ বেড়েই চলেছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানে ভারতের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং কাশ্মীর সীমান্তে দুই পক্ষের গোলাগুলির পর গত বুধবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানের কয়েকটি জায়গায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ভারত। আর গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরজুড়ে বেজে ওঠে সতর্কসংকেত। অন্ধকারাচ্ছন্ন ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হয় জম্মু। সতর্কসংকেত বেজেছে ভারতের পাঞ্জাবেও।

এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে ড্রোন হামলায় লাহোরে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করার দাবি করে ভারত। তবে পাকিস্তান এ দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, তারা ভারতের ২৯টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে জলবিদ্যুৎকেন্দ্রে ভারত ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ভারত অভিযোগ করেছে, বুধবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানি বাহিনী ভারতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ওই রাতে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলিও হয়েছে।

কাশ্মীরের পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলা হয়। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান এ হামলায় জড়িত। তবে পাকিস্তান অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ওই হামলার পর প্রায় দুই সপ্তাহ টানটান উত্তেজনার মধ্যে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানের কয়েকটি জায়গায় হামলা চালায় ভারত। দেশটির দাবি, তারা ‘সন্ত্রাসী আস্তানা’ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতীয় বাহিনী বেসামরিক বাড়িঘর ও মসজিদে হামলা চালিয়েছে। দেশটি আরও দাবি করেছে, তারা চীনের তৈরি যুদ্ধবিমান দিয়ে তাড়া করে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। এর মধ্যে তিনটি রাফায়েল যুদ্ধবিমান, একটি মিগ-২৯ এবং অন্যটি সুখোই-৩০। এ বিষয়ে ভারতের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আসেনি।

এদিকে পাকিস্তান বলেছে, ভারতের হামলায় দেশটিতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে, আহত হয়েছেন ৫৭ জন। অন্যদিকে ভারতের সেনাবাহিনী বলেছে, পাকিস্তানের গোলার আঘাতে দেশটিতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে।

ভারতের হামলার পর বুধবার পাকিস্তানে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ তাঁর দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে ‘প্রতিশোধ নিতে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ’ নেওয়ার নির্দেশ দেন। এদিকে হামলার আগে ও পরে ভারত দেশজুড়ে যুদ্ধ পরিস্থিতির মহড়া চালিয়েছে। পাশাপাশি সর্বদলীয় বৈঠক করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সতর্কসংকেত

বিবিসি জানায়, পাকিস্তানি বাহিনী জম্মু-কাশ্মীরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। জম্মু বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, বিস্ফোরকবাহী এসব ড্রোন লক্ষ্যবস্তুতে গিয়ে আঘাত হেনেছে। হামলার পরিপ্রেক্ষিতে কাশ্মীরজুড়ে বেজে উঠেছে সতর্কসংকেত, সক্রিয় হয়েছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা।

স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জম্মুতে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে, বেজে চলেছে সতর্কসংকেত। ওই শহরে বিদ্যুৎ নেই। ফলে রাতে শহরটি পুরোপুরি অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, জম্মু বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ ঘটেছে। তিনি বিমানবন্দর ও আশপাশে ১৬টি বস্তু পড়তে দেখেছেন। প্রাণ বাঁচাতে মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছিল তখন।

ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্র নিশ্চিত করেছে, জম্মুতে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় হয়েছে। পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় কাশ্মীরের জম্মু ও উদামপুর এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোটে ভারতের তিনটি সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) সেনাবাহিনী বলেছে, হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। হুমকি ‘মোকাবিলা’ করা হয়েছে।

জম্মুতে পুলিশ স্থানীয়দের উদ্দেশে বাড়িঘরের আলো নিভিয়ে সবাইকে ঘরের ভেতরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। অপ্রয়োজনে কোনো যানবাহনে ভ্রমণ এড়াতে এবং আতঙ্কিত না হতেও পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।

এদিকে সিএনএন জানায়, পাঞ্জাব পুলিশ সূত্র বলেছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী পাঞ্জাবের ওপর দিয়ে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে। পাঠানকোটের জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার দলজিন্দর সিং ডিলন বলেন, পাকিস্তানের দিক থেকে গোলাগুলি হচ্ছে। তবে ড্রোন না অন্য কিছুর হামলা হচ্ছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা বলা যাচ্ছে না।

এর আগে ভারত সরকার গতকাল অভিযোগ করে, বুধবার দিবাগত রাতভর পাকিস্তানি বাহিনী ভারতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। জবাবে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এদিকে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ভারতে ২১টি বিমানবন্দর আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, পাকিস্তান ড্রোন পাঠিয়ে ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ভারতের বেশ কয়েকটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার চেষ্টা করেছে। তবে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর, পাঞ্জাবের অমৃতসর, লুধিয়ানা ও চণ্ডীগড় এবং গুজরাটের ভুজ।

ভারত আরও অভিযোগ করেছে, কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) ওপার থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাগুলির হার বেড়ে গেছে।

সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের গুলিবিনিময়ের পর ক্ষতিগ্রস্ত নিজ বাড়ির সামনে এক কিশোর। গতকাল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের উরি সীমান্ত এলাকায়। ছবি: এএফপি
সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের গুলিবিনিময়ের পর ক্ষতিগ্রস্ত নিজ বাড়ির সামনে এক কিশোর। গতকাল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের উরি সীমান্ত এলাকায়। ছবি: এএফপি

লাহোর ও আজাদ কাশ্মীরে ভারতের হামলা

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, পাকিস্তানি বাহিনী গতকাল এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, তারা ভারতের ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এগুলো ইসরায়েলের তৈরি হ্যারোপ ড্রোন। বিবৃতিতে পাকিস্তানির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, ‘গত রাতে (বুধবার দিবাগত রাত) ভারত বেশ কয়েকটি স্থানে ড্রোন পাঠিয়ে আবারও আগ্রাসন চালিয়েছে। লাহোরে চার সেনাসদস্য আহত হয়েছেন।’ পাকিস্তান বলেছে, ড্রোন হামলায় সিন্ধু প্রদেশে একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র বলেছে, হামলার সময় লাহোরজুড়ে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে। পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত করাচি বিমানবন্দর বন্ধ রাখে। রাজধানী ইসলামাবাদ ও লাহোরেও কিছু সময়ের জন্য বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ ছিল গতকাল।

বিবিসি জানায়, ভারত সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা পাকিস্তানের কয়েক জায়গায় আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার ও ব্যবস্থায় হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় লাহোরে একটি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে।

তবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আফিস বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে দাবি করেছেন, ভারতের ড্রোন হামলায় লাহোরে কোনো সামরিক স্থাপনা কিংবা আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরিফ চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, ভারত পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নিলম-ঝিলম জলবিদ্যুৎকেন্দ্রেও হামলা চালিয়েছে। এতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাঁধ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তবে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘এটা ডাহা মিথ্যা অভিযোগ। ভারত কেবল সন্ত্রাসী অবকাঠামোয় আঘাত হেনেছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, পাকিস্তানি বাহিনী ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুঁচে শিখ সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ্য করে গোলা ছুড়ছে। পাকিস্তানের গোলা সেখানকার গুরদোয়ারা জেলায় আঘাত হেনেছে। ওই হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন।

ভারতে সর্বদলীয় বৈঠক

বিবিসি জানায়, ভারতে গতকাল সর্বদলীয় বৈঠক করেছে সরকার। সংসদবিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে পাকিস্তান ও পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় বিরোধী রাজনীতিকেরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে পরামর্শ দেন।

বৈঠক শেষে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গে বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘সরকার বলেছে, জাতীয় স্বার্থে কিছু বিষয় গোপন রাখতে হচ্ছে। আমরা (সব বিরোধীরা) বলেছি, আমরা সরকারের সঙ্গে আছি।’

অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেজাদুল মুসলিমিন পার্টির প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেন, তিনি সরকারকে জঙ্গিগোষ্ঠী দ্য রেজিস্ট্যান্স ফোর্সের (টিআরএফ) বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রচারণা চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে টিআরএফ। ভারতের দাবি, টিআরএফ জাতিসংঘঘোষিত জঙ্গিগোষ্ঠী পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়েবার একটি শাখা।

যে প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব

সিএনএন জানায়, পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয় গতকাল দাবি করেছে, কাশ্মীরে তাদের গোলার আঘাতে সীমান্তের ওপারে ৪০-৫০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার স্কাই নিউজকে বলেছেন, ‘আমরা তাদের (ভারত) সামরিক স্থাপনা উড়িয়ে দিয়েছি।’ বিবিসি জানায়, এসব দাবির বিষয়ে গতকালের সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি কোনো জবাব দেননি।

ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার পাকিস্তানের দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব সরাসরি জবাব দেননি। শুধু বলেছেন, উপযুক্ত সময়ে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হবে।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ) পাকিস্তানের ঋণের বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য আজ শুক্রবার আইএমএফের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে তোলা হবে বলে ব্রিফিংয়ে জানান বিক্রম মিশ্রি। তিনি বলেছেন, আইএমএফে ভারতের নির্বাহী পরিচালক ওই ঋণের বিষয়ে ভারতের অবস্থান তুলে ধরবেন।

উত্তেজনা নিরসনে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ

দুই বৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা নিরসনে আন্তর্জাতিক উদ্যোগও থেমে নেই। এর মধ্যে আলোচনার জন্য ভারতে পৌঁছেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারতের হামলার আগের দিন তিনি পাকিস্তানে ছিলেন। সেখানে তিনি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর আগে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্থতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল ইরান।

এদিকে ভারতে পৌঁছেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর। কোনো আগাম ঘোষণা না দিয়েই তিনি গতকাল নয়াদিল্লি সফরে গেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।

এদিকে বুধবার অনেকটা উষ্মা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমরা দেখতে চাই, তারা (ভারত ও পাকিস্তান) থেমেছে।’ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। এর আগে জাতিসংঘও একই আহ্বান জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলা করলেন মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত আবুল কালামের স্ত্রী

জামায়াত আমিরের পাঁচ ঘণ্টার কর্মদিবস আদতে নারীর গায়েবি শিকল

ফেসবুকে জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য, তোপের মুখে ওসি

‘শিক্ষক’ পেশা দিয়ে নিজের পাসপোর্ট বানান পাসপোর্টের শাহিনুর, চাকরিচ্যুতির আগেই চান অব্যাহতি

চট্টগ্রামে ওসি ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যা মামলা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইলন মাস্ক। ছবি: টেকইনসাইড
ইলন মাস্ক। ছবি: টেকইনসাইড

বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ও উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক তাঁর প্রতিষ্ঠান টেসলা ছেড়ে যেতে পারেন, যদি না তাঁকে তাঁর কাঙ্ক্ষিত প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেতন–ভাতা না দেওয়া হয়। এমনটাই জানিয়েছেন টেসলার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান রবিন ডেনহম। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস এই খবর জানিয়েছে।

ডেনহম টেসলার শেয়ারহোল্ডারদের আহ্বান জানিয়েছেন, কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্কের প্রস্তাবিত বেতন কাঠামো অনুমোদন করতে, নইলে তিনি কোম্পানি ছেড়ে যেতে পারেন। গত সপ্তাহে কোম্পানির ত্রৈমাসিক আয় সংক্রান্ত বৈঠকে মাস্ক ইঙ্গিত দেন, কোম্পানির ওপর তার পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা না হলে তিনি ‘বৃহৎ এক রোবট বাহিনী’ গড়ে তোলার কাজে সময় দিতে চান না।

গতকাল সোমবার এক্সে প্রকাশিত এক চিঠিতে টেসলার চেয়ারম্যান রবিন ডেনহম আসন্ন শেয়ারহোল্ডার ভোটকে বিনিয়োগকারীদের জন্য এক ‘মৌলিক প্রশ্ন’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি লিখেন, ‘আপনারা কি ইলনকে টেসলার সিইও হিসেবে ধরে রাখতে চান এবং তাঁকে অনুপ্রাণিত করতে চান টেসলাকে বিশ্বের শীর্ষ স্বচালিত সমাধান প্রদানকারী ও সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানিতে পরিণত করার জন্য?’

সাধারণত প্রচারবিমুখ ডেনহম বলেন, ইলনের মাস্কের জন্য প্রেরণাদায়ক পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হলে, তিনি কোম্পানি ছেড়ে যেতে পারেন। তাঁর ভাষায়, ‘তাহলে টেসলা হারাতে পারে ইলনের সময়, মেধা ও দূরদর্শিতা—যা কোম্পানির অসাধারণ শেয়ারমূল্য বৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি ছিল।’

তবে শর্ত হলো, আগামী সাড়ে ৭ বছর টেলসা যে একাধিক উচ্চাভিলাষী প্রকল্প হাতে নিয়েছে সেগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে পূরণ করতে পারেন মাস্ক তবেই তাঁকে এই সুবিধা দেওয়া হবে। গত বুধবার বিশ্লেষকদের সঙ্গে আলোচনায় মাস্ক আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, টেসলার মানবাকৃতি রোবট প্রকল্পে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বিপুল পরিশ্রম করার পরও ‘কোনো একসময় তাঁকে কোম্পানি থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।’

তিনি বলেন, এটাই আমার সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা। এই তথাকথিত ‘বেতন কাঠামো’ আসলে সেটাই সমাধান করার চেষ্টা। তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোম্পানিতে আমার যথেষ্ট প্রভাব না থাকে, আমি সেই রোবট বাহিনী গড়তে স্বস্তি বোধ করব না।’

বর্তমানে মাস্কের হাতে টেসলার প্রায় ১৫ শতাংশ শেয়ার আছে। এরই মধ্যে শেয়ারহোল্ডার পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান আইএসএস ও গ্লাস লুইস শেয়ারহোল্ডারদের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পরামর্শ দিয়েছে, কারণ তাদের মতে প্যাকেজটির অঙ্ক অতি বিশাল এবং তা বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের অংশীদারত্বকে ক্ষীণ করবে।

কয়েকটি মার্কিন অঙ্গরাজ্যের কোষাধ্যক্ষসহ আরও কয়েকজন বিনিয়োগকারী, যেমন এসওসি ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপ প্রস্তাবটির বিরোধিতা করেছে। তারা বলেছে, বোর্ডের ওপর তাদের আস্থা নেই যে, তারা ইলনের কর্মকাণ্ড যথাযথভাবে তদারকি করতে পারবে কিংবা দীর্ঘমেয়াদি টেকসই মুনাফা নিশ্চিত করতে পারবে।

উল্লেখ্য, শেয়ারহোল্ডারদের ভোট গ্রহণ শেষ হবে আগামী ৫ নভেম্বর, আর কোম্পানি ৬ নভেম্বর বার্ষিক সভায় প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করবে বলে জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলা করলেন মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত আবুল কালামের স্ত্রী

জামায়াত আমিরের পাঁচ ঘণ্টার কর্মদিবস আদতে নারীর গায়েবি শিকল

ফেসবুকে জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য, তোপের মুখে ওসি

‘শিক্ষক’ পেশা দিয়ে নিজের পাসপোর্ট বানান পাসপোর্টের শাহিনুর, চাকরিচ্যুতির আগেই চান অব্যাহতি

চট্টগ্রামে ওসি ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যা মামলা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাজ্য থেকে ২০ ইউরোফাইটার কিনছে তুরস্ক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০: ০০
ইউরোফাইটার কিনতে স্টারমারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন এরদোয়ান। ছবি: সংগৃহীত
ইউরোফাইটার কিনতে স্টারমারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন এরদোয়ান। ছবি: সংগৃহীত

তুরস্ক যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে ২০টি ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনতে যাচ্ছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার। নিজস্ব প্রযুক্তির পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘কান’ (KAAN)-এর তৈরি চলাকালে আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে আঙ্কারা।

গতকাল সোমবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ বিষয়ে চুক্তিতে সই করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একে ‘এক প্রজন্মের মধ্যে সবচেয়ে বড় যুদ্ধবিমান চুক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। অপর দিকে এরদোয়ান একে বর্ণনা করেছেন ‘দুই ঘনিষ্ঠ মিত্রের কৌশলগত সম্পর্কের নতুন প্রতীক’ বলে।

আঙ্কারায় দেওয়া বক্তব্যে স্টারমার বলেন, এই চুক্তি শুধু তুরস্ক-যুক্তরাজ্যের জন্য নয়, ন্যাটোর জন্যও একটি সাফল্য। তিনি বলেন, ‘এটি (তুরস্ক) ন্যাটোর দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত। তাই এই সক্ষমতা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যুক্ত হওয়া ন্যাটোর জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, সোমবার স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় প্রথম ব্যাচের টাইফুন যুদ্ধবিমান ২০৩০ সালে তুরস্কে পৌঁছাবে।

এর আগে, গত জুলাইয়ে তুরস্ক ও যুক্তরাজ্য ৪০টি টাইফুন সরবরাহের বিষয়ে একটি প্রাথমিক চুক্তি করে, যা পরে ইউরোফাইটার কনসোর্টিয়ামের অন্য সদস্যদেশ জার্মানি, ইতালি ও স্পেন অনুমোদন দেয়।

তুর্কি কর্মকর্তাদের মতে, নিজস্ব ‘কান’ যুদ্ধবিমান পুরোপুরি কার্যকর হওয়ার আগে বহর শক্তিশালী করতে আঙ্কারা মোট ১২০টি যুদ্ধবিমান কিনতে চায়। ইসরায়েলের মতো আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে সামরিক ভারসাম্য রক্ষার প্রয়াসে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা কাতার ও ওমানের কাছ থেকেও প্রতিটি দেশ থেকে আরও ১২টি করে টাইফুন কেনার পরিকল্পনা করছে। এর আগে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৪০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ৭ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করে তুরস্ক। তবে সেই সরবরাহ এখনো বিলম্বিত।

সম্প্রতি এরদোয়ান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথাও বলেছেন। ২০১৯ সালে রুশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার কারণে বহিষ্কৃত হওয়ার পর আবারও ওয়াশিংটন নেতৃত্বাধীন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কর্মসূচিতে ফিরতে চায় তুরস্ক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলা করলেন মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত আবুল কালামের স্ত্রী

জামায়াত আমিরের পাঁচ ঘণ্টার কর্মদিবস আদতে নারীর গায়েবি শিকল

ফেসবুকে জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য, তোপের মুখে ওসি

‘শিক্ষক’ পেশা দিয়ে নিজের পাসপোর্ট বানান পাসপোর্টের শাহিনুর, চাকরিচ্যুতির আগেই চান অব্যাহতি

চট্টগ্রামে ওসি ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যা মামলা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সীমান্তের ঘাঁটিতে ৩৬টি যুদ্ধবিমান ‘শেল্টার’ চীনের, ‘গুরুতর চ্যালেঞ্জের’ মুখে ভারত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ৩৯
স্যাটেলাইট চিত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, অরুণাচল সীমান্তে চীন তাদের বিমানঘাঁটি উন্নত করছে। ছবি: ভ্যান্টর
স্যাটেলাইট চিত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, অরুণাচল সীমান্তে চীন তাদের বিমানঘাঁটি উন্নত করছে। ছবি: ভ্যান্টর

তিব্বতের লুঞ্জে বিমানঘাঁটির সম্প্রসারণ সম্পন্ন করেছে চীন। অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত ভারত-চীন সীমারেখা ম্যাকমোহন লাইন থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার উত্তরে এই ঘাঁটিতে ৩৬টি শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র, নতুন প্রশাসনিক ভবন ও নতুন অ্যাপ্রোন (বিমান চলাচলের মাঠ) নির্মাণ শেষ হয়েছে। ভারতীয় বিশ্লেষকেরা বলছেন, এতে ‘গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখে’ পড়েছে দেশটির কৌশলগত অবস্থান।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের কৌশলগত শহর তাওয়াং থেকে প্রায় ১০৭ কিলোমিটার দূরের এই লুঞ্জে ঘাঁটিতে নতুন শক্তিশালী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের ফলে চীন এখন তাদের যুদ্ধবিমান ও বিভিন্ন ধরনের ড্রোন সামনে এগিয়ে মোতায়েন করতে পারবে। এতে ভারতের বিমানবাহিনীর প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় কমে আসবে। কারণ, ভারতের ঘাঁটিগুলো অরুণাচল প্রদেশ ও আসামে অবস্থিত।

ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বি এস ধনোয়া এনডিটিভিকে বলেছেন, ‘লুঞ্জেতে ৩৬টি শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের অর্থ হলো—পরবর্তী কোনো সংঘাত হলে তাদের ট্যাকটিক্যাল ফাইটার ও আক্রমণ হেলিকপ্টারগুলো সেখান থেকেই সেনাবাহিনীকে সহায়তা করবে। সেখানে গোলাবারুদ ও জ্বালানি ইতিমধ্যে ভূগর্ভস্থ টানেলে সংরক্ষিত থাকবে।’

বি এস ধনোয়া আরও বলেন, ‘ডোকলাম ঘটনার সময় (২০১৭ সালে) আমি আমার স্টাফদের বলেছিলাম, তিব্বতে পিএলএএফের (চীনা বিমানবাহিনী) সমস্যা বিমান নয়, বরং মোতায়েনের। তখনই আমি বলেছিলাম—যেদিন তারা তিব্বতের ঘাঁটিগুলোতে শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করবে, সেদিন বুঝতে হবে তারা আমাদের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিব্বতে তাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তখনই দূর হবে।’

ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাবেক উপপ্রধান এয়ার মার্শাল অনিল খোসলা বলেন, এই নির্মাণ ও উন্নয়ন চীনের ভবিষ্যৎ যুদ্ধ পরিকল্পনাকে সহায়তা করবে এবং এটি ভারতের জন্য ‘গুরুতর কৌশলগত হুমকি’। বিশেষ করে ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে দেখা চীনের সামরিক সক্ষমতা ও অবকাঠামোগত কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে এর তাৎপর্য আরও বেড়েছে।

অনিল খোসলা বলেন, ‘লুঞ্জের উন্নয়ন আঞ্চলিক নিরাপত্তায় গভীর প্রভাব ফেলবে। ৩৬টি শক্তিশালী আশ্রয়কেন্দ্র সম্পদ ছড়িয়ে থাকা নিশ্চিত করে, নির্দিষ্ট আক্রমণের ঝুঁকি কমায় এবং উচ্চভূমিতে টানা অপারেশনের সক্ষমতা বাড়ায়।’ খোসলার ভাষায়, এই আশ্রয়কেন্দ্রগুলো নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম গোলাবারুদ, বিমান হামলা বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকেও সুরক্ষা দেবে। ফলে সংঘাতের প্রাথমিক পর্যায়ে ঘাঁটিটিকে ধ্বংস করা ‘অত্যন্ত কঠিন’ হয়ে পড়বে।

অনিল খোসলা আরও বলেন, ‘টিংরি, লুঞ্জে ও বুরাংয়ের মতো বিমানঘাঁটিগুলো প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) খুব কাছে, মাত্র ৫০ থেকে ১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। এই নৈকট্য চীনা বিমানবাহিনীকে দ্রুত সামনের দিকে মোতায়েন এবং সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ দিচ্ছে। এসব ঘাঁটি থেকে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, উত্তরাখন্ড ও লাদাখ পর্যন্ত আকাশপথে নজরদারি সম্ভব।’

স্যাটেলাইট চিত্র সরবরাহকারী ভ্যান্টরের (আগের নাম ম্যাক্সার) সর্বশেষ ছবিতে লুঞ্জের রানওয়েতে কয়েকটি চীনা সিএইচ-৪ ড্রোন দেখা গেছে। সিএইচ-৪ নামের এই মানববিহীন আকাশযান উচ্চভূমিতে অভিযানের জন্য তৈরি, যা ১৬ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতা থেকে স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে।

ভারত এই ড্রোন হুমকির মোকাবিলায় ২০২৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল অ্যাটোমিকস নির্মিত স্কাই গার্ডিয়ান ড্রোন হাতে পাবে। বিমানবাহিনী ও স্থলবাহিনী উভয়েই আটটি করে ড্রোন পাবে। স্কাই গার্ডিয়ান হলো সি গার্ডিয়ানের একটি ভ্যারিয়েন্ট, যার ১৫টি ইউনিট ভারতীয় নৌবাহিনী কিনছে। পুরো প্রকল্পের মূল্য ৩৫০ কোটি ডলার।

ভারতীয় বিমানবাহিনীর আরেক সাবেক উপপ্রধান এয়ার মার্শাল এস পি ধরকার বলেন, এই নতুন ঘাঁটি নির্মাণ ভারতের জন্য ‘গুরুতর চ্যালেঞ্জ’ তৈরি করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে উত্তর সীমান্তের ঘটনাবলি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ভূপ্রকৃতি, দুর্গম ভূখণ্ড ও উচ্চতার কারণে এত দিন আমরা কিছুটা কৌশলগত সুবিধায় ছিলাম। কিন্তু এখন চীন আধুনিক বিমান ও বড় অবকাঠামোসহ দীর্ঘ রানওয়ে যুক্ত ঘাঁটি তৈরি করছে, যা আমাদের সেই সুবিধা কমিয়ে দিচ্ছে।’

এস পি ধরকারের মতে, ‘তারা (চীন) এখন যেভাবে শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র ও কঠোর অবকাঠামো তৈরি করছে, তাতে এই অঞ্চলে আমাদের বিমান অভিযানের কৌশল আরও কঠিন হয়ে পড়বে।’

ভূ-গোয়েন্দা বিশ্লেষক ড্যামিয়েন সাইমন বলেন, ভারতের তাওয়াং সীমান্তের বিপরীতে এই দ্রুত নির্মাণকাজ চীনের ঐতিহাসিকভাবে সংবেদনশীল অঞ্চলে বিমানশক্তি বাড়ানোর প্রচেষ্টাকে ইঙ্গিত করছে। তিনি বলেন, ‘ভারত যদিও এই সীমান্তে শক্তিশালী বিমান অবকাঠামো বজায় রেখেছে, কিন্তু লুঞ্জেতে চীনের ব্যাপক সামরিকীকরণ দেখায়—বেইজিং সেই ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করছে।’

লুঞ্জে ঘাঁটির এই উন্নয়ন এমন সময়ে ঘটছে, যখন চীন ভারতের হিমালয় সীমান্ত বরাবর আরও ছয়টি নতুন বিমানঘাঁটির উন্নয়ন চালিয়ে যাচ্ছে। এপ্রিল মাসে এনডিটিভির প্রতিবেদনে স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, টিংরি, লুঞ্জে, বুরাং, ইউতিয়ান ও ইয়ারকান্টে নতুন ঘাঁটি তৈরি হচ্ছে। এসব ঘাঁটিতে হ্যাঙ্গার, রানওয়ে সম্প্রসারণ, ইঞ্জিন পরীক্ষার প্যাড ও সহায়ক স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে।

চীনের এসব পদক্ষেপ স্পষ্টভাবে ভারতের হিমালয় অঞ্চলে প্রচলিত বিমান শ্রেষ্ঠত্বকে মোকাবিলা করার কৌশল। ভারত দীর্ঘদিন ধরে লেহ থেকে চাবুয়া পর্যন্ত ১৫টি বড় বিমানঘাঁটি চালু রেখেছে। উভয় দেশের বিমানঘাঁটি উন্নয়ন এখন এক নতুন কৌশলগত বাস্তবতা তৈরি করছে। গালওয়ান সংঘর্ষের (১৫-১৬ জুন ২০২০) পরও দুই দেশ সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলা করলেন মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত আবুল কালামের স্ত্রী

জামায়াত আমিরের পাঁচ ঘণ্টার কর্মদিবস আদতে নারীর গায়েবি শিকল

ফেসবুকে জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য, তোপের মুখে ওসি

‘শিক্ষক’ পেশা দিয়ে নিজের পাসপোর্ট বানান পাসপোর্টের শাহিনুর, চাকরিচ্যুতির আগেই চান অব্যাহতি

চট্টগ্রামে ওসি ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যা মামলা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হামাসকে নিয়ে জিম্মির মৃতদেহ খুঁজছে রেডক্রস, শর্ত ভেঙে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইসরায়েলি হামলা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ০৫
হামাসকে সঙ্গে নিয়ে জিম্মিদের মৃতদেহ খুঁজছে রেডক্রস। ছবি: এএফপি
হামাসকে সঙ্গে নিয়ে জিম্মিদের মৃতদেহ খুঁজছে রেডক্রস। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দক্ষিণ গাজায় দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর হামাস চুক্তির শর্ত মেনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে আরেকজন মৃত জিম্মির দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গতকাল সোমবার জানিয়েছে, রেডক্রস মৃতদেহবাহী কফিনটি বুঝে নিয়েছে এবং তা গাজায় মোতায়েন থাকা সেনাসদস্যদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এই নতুন মৃতদেহ হস্তান্তরের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী ২৮ জন নিহত জিম্মির মধ্যে ১৬ জনের দেহাবশেষ ফিরিয়ে দেওয়া হলো। চুক্তির অংশ হিসেবে জীবিত ২০ জন জিম্মি এর আগে ১৩ অক্টোবর হস্তান্তর করা হয়।

সর্বশেষ মৃতদেহটি হস্তান্তরের পরই জিম্মিদের পরিবারগুলো ইসরায়েল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যদি হামাস অবশিষ্ট জিম্মিদের মৃতদেহ খুঁজে বের করতে এবং হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হয়, তবে যেন যুদ্ধবিরতি স্থগিত করা হয়। জিম্মি ও নিখোঁজ পরিবার ফোরাম এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রত্যেক মৃত জিম্মি কোথায় আছে, তা হামাস ভালো করেই জানে।’ তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যস্থতাকারীদের অনুরোধ করেছে, হামাস তাদের সকল বাধ্যবাধকতা পূরণ করে সব জিম্মিকে ইসরায়েলে ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত যেন চুক্তির পরবর্তী ধাপে না যাওয়া হয়।

অন্যদিকে হামাসের আলোচক খলিল আল-হাইয়া গত শনিবার স্বীকার করেছেন, জিম্মিদের মৃতদেহ খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ‘চ্যালেঞ্জ’ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘দখলদারি গাজার ভূমির চেহারা বদলে দিয়েছে।’ তাঁর মতে, যারা মৃতদেহগুলো কবর দিয়েছিল, তাদের মধ্যে কেউ কেউ যুদ্ধে নিহত হয়েছে বা তাদের কবর দেওয়ার স্থান ভুলে গেছে। আল-হাইয়ার মন্তব্যের এক দিন পরই ইসরায়েল একটি মিসরীয় কারিগরি দলকে গাজায় প্রবেশ করার অনুমতি দেয়, যারা খননযন্ত্র ব্যবহার করে মৃতদেহের সন্ধানে সাহায্য করছে। রেডক্রস এই মিসরীয় দল এবং হামাসকে সঙ্গে নিয়েই জিম্মিদের মৃতদেহ খুঁজছে।

এদিকে যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। সোমবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের কাছে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে নাসের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার জানায়, গত ৪৮ ঘণ্টায় উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৬৮ হাজার ৫২৭ জন নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৫ জন আহত হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সোমবার ইসরায়েলের হামলার পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, শনিবার ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) এক সদস্যের ওপর ইসরায়েলের হামলা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা এটাকে যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন হিসেবে দেখছি না।’ তিনি দাবি করেন, তারা ইসরায়েলি সৈন্যদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিল।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর দুই সপ্তাহের বেশি সময়ে প্রায় ৪ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ উত্তর গাজায় ফিরেছে। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে তাদের নতুন করে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজতে হচ্ছে। খাবার ও পানির মতো মৌলিক প্রয়োজনীয়তার চরম ঘাটতি রয়েছে। প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান ইউনিস আল-খাতিব সতর্ক করেছেন, যুদ্ধবিরতির আগে গাজার জনসংখ্যা যে ভয়ংকর মানবিক জরুরি অবস্থার মুখোমুখি ছিল, এখনো পরিস্থিতি তেমনই আছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ইসরায়েলের দুই বছরের যুদ্ধের পর গাজায় মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রয়োজন এমন মানুষের সংখ্যা ৪ লাখ ৮৫ হাজার থেকে বেড়ে ১০ লাখের বেশি হয়েছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, উপত্যকার প্রায় সব শিশু এই ধরনের সহায়তার মুখাপেক্ষী। ইউনিসেফের মুখপাত্র টেস ইনগ্রাম আল জাজিরাকে বলেছেন, এই সংঘাতে গত দুই বছরে প্রতিদিন একটি শ্রেণিকক্ষের সমপরিমাণ শিশু নিহত বা আহত হয়েছে এবং শিশুদের ওপর এই আঘাতের ক্ষত বহু বছর থাকবে।

মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইসরায়েলি আগ্রাসন

গাজায় যুদ্ধবিরতির পরও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলে ইসরায়েলের আগ্রাসন থামেনি। এই চুক্তির ফলে গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর চাপ কিছুটা কমলেও লেবানন, সিরিয়া এবং পশ্চিম তীর গত সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ইসরায়েলি সৈন্য ও বসতি স্থাপনকারীরা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো ফিলিস্তিনিদের জলপাই সংগ্রহের সময় হয়রানি ও আটক করছে।

সিরিয়ার ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রায় প্রতিদিন অনুপ্রবেশের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে রেকি ফ্লাইট, স্থল অনুপ্রবেশ, সিরীয়দের আটক ও নিখোঁজ হওয়া এবং চৌকি স্থাপন। রোববার সকালে কুনেইত্রার গ্রামগুলোতে ইসরায়েলি আগ্রাসনের ঘটনা ঘটেছে।

লেবাননেও হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়মিতভাবে লঙ্ঘন করে চলেছে ইসরায়েল। সোমবার জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী (ইউএনআইএফআইএল) ইসরায়েলি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করে। এ ছাড়া সোমবার দুজনকে হত্যা করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলা করলেন মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত আবুল কালামের স্ত্রী

জামায়াত আমিরের পাঁচ ঘণ্টার কর্মদিবস আদতে নারীর গায়েবি শিকল

ফেসবুকে জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য, তোপের মুখে ওসি

‘শিক্ষক’ পেশা দিয়ে নিজের পাসপোর্ট বানান পাসপোর্টের শাহিনুর, চাকরিচ্যুতির আগেই চান অব্যাহতি

চট্টগ্রামে ওসি ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যা মামলা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত