রাশিয়ার গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নোভাটেকের ‘আর্কটিক এলএনজি-২’ প্রকল্পে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র দুটি ভারতীয় শিপিং কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। রাশিয়ার অর্থনীতিতে নিষেধাজ্ঞার চাপ বৃদ্ধি ও রাশিয়া থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানি সীমিত করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আজারবাইজানের সংবাদমাধ্যম নিউজ ডট এজেডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ভারতীয় কোম্পানি দুটির নাম হলো—গোটিক শিপিং কোম্পানি ও প্লিও এনার্জি কার্গো শিপিং। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এই দুটি কোম্পানির সঙ্গে মার্কিন নাগরিক ও সংস্থাগুলোকে লেনদেন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে এই কোম্পানি দুটির সম্পত্তি জব্দ করার কথাও বলা হয়েছে। তবে কোম্পানি দুটি জাহাজগুলোর ক্রুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রশাসন গোটিক শিপিং কোম্পানি এবং প্লিও এনার্জি কার্গো শিপিংকে রাশিয়ার নোভাটেকের ‘আর্কটিক এলএনজি-২’ প্রকল্পে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ব্যবস্থাটি রাশিয়া থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানি রোধ করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ। কারণ রাশিয়ান অর্থনীতির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাগুলো কঠোর করা হচ্ছে।
এর আগে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে ওয়াশিংটন ‘আর্কটিক এলএনজি-২’ প্রকল্পের ওপর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। একই বছরের ডিসেম্বরে এলএনজি সরঞ্জাম উৎপাদনে জড়িত বেশ কয়েকটি রুশ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে রপ্তানি চালু রাখার জন্য রাশিয়া যেসব প্রতিষ্ঠানের এলএনজি ট্যাংকার ব্যবহার করছে বলে সন্দেহ করছে ওয়াশিংটন সেগুলোকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোও তাদের বন্দর দিয়ে রুশ এলএনজি পরিবহনে বিধিনিষেধ আরোপের পরিকল্পনা করছে। এই ব্যবস্থা ২০২৫ সালের বসন্তে কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্যাকেজে রাশিয়ার ‘আর্কটিক এলএনজি-২’ এবং ‘মারমানস্ক এলএনজির’—এর মতো রুশ এলএনজি প্রকল্পগুলো প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ, পণ্য সরবরাহ এবং পরিষেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ভারতীয় শিপিং কোম্পানিকে অন্তর্ভুক্ত করার ফলে তাদের কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হতে পারে। বিশেষ করে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিবেচনায় নিলে এটি নয়া দিল্লির জন্য নেতিবাচক হয়ে দেখা দিতে পারে।
নয়া দিল্লি বহু বছর ধরে মস্কোর সঙ্গে সক্রিয় সহযোগিতা বজায় রেখেছে, বিশেষ করে জ্বালানি খাতে। মার্কিন বিধিনিষেধ রাশিয়ান জ্বালানি পণ্য সরবরাহের জন্য লজিস্টিক চেইনে জড়িত ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে বিপদে ফেলতে পারে এই নিষেধাজ্ঞা। যা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের গতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:
রাশিয়ার গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নোভাটেকের ‘আর্কটিক এলএনজি-২’ প্রকল্পে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র দুটি ভারতীয় শিপিং কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। রাশিয়ার অর্থনীতিতে নিষেধাজ্ঞার চাপ বৃদ্ধি ও রাশিয়া থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানি সীমিত করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আজারবাইজানের সংবাদমাধ্যম নিউজ ডট এজেডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ভারতীয় কোম্পানি দুটির নাম হলো—গোটিক শিপিং কোম্পানি ও প্লিও এনার্জি কার্গো শিপিং। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এই দুটি কোম্পানির সঙ্গে মার্কিন নাগরিক ও সংস্থাগুলোকে লেনদেন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে এই কোম্পানি দুটির সম্পত্তি জব্দ করার কথাও বলা হয়েছে। তবে কোম্পানি দুটি জাহাজগুলোর ক্রুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রশাসন গোটিক শিপিং কোম্পানি এবং প্লিও এনার্জি কার্গো শিপিংকে রাশিয়ার নোভাটেকের ‘আর্কটিক এলএনজি-২’ প্রকল্পে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ব্যবস্থাটি রাশিয়া থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানি রোধ করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ। কারণ রাশিয়ান অর্থনীতির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাগুলো কঠোর করা হচ্ছে।
এর আগে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে ওয়াশিংটন ‘আর্কটিক এলএনজি-২’ প্রকল্পের ওপর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। একই বছরের ডিসেম্বরে এলএনজি সরঞ্জাম উৎপাদনে জড়িত বেশ কয়েকটি রুশ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে রপ্তানি চালু রাখার জন্য রাশিয়া যেসব প্রতিষ্ঠানের এলএনজি ট্যাংকার ব্যবহার করছে বলে সন্দেহ করছে ওয়াশিংটন সেগুলোকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোও তাদের বন্দর দিয়ে রুশ এলএনজি পরিবহনে বিধিনিষেধ আরোপের পরিকল্পনা করছে। এই ব্যবস্থা ২০২৫ সালের বসন্তে কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্যাকেজে রাশিয়ার ‘আর্কটিক এলএনজি-২’ এবং ‘মারমানস্ক এলএনজির’—এর মতো রুশ এলএনজি প্রকল্পগুলো প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ, পণ্য সরবরাহ এবং পরিষেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ভারতীয় শিপিং কোম্পানিকে অন্তর্ভুক্ত করার ফলে তাদের কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হতে পারে। বিশেষ করে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিবেচনায় নিলে এটি নয়া দিল্লির জন্য নেতিবাচক হয়ে দেখা দিতে পারে।
নয়া দিল্লি বহু বছর ধরে মস্কোর সঙ্গে সক্রিয় সহযোগিতা বজায় রেখেছে, বিশেষ করে জ্বালানি খাতে। মার্কিন বিধিনিষেধ রাশিয়ান জ্বালানি পণ্য সরবরাহের জন্য লজিস্টিক চেইনে জড়িত ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে বিপদে ফেলতে পারে এই নিষেধাজ্ঞা। যা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের গতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:
বিষণ্নতার সঙ্গে নিজের লড়াইকে নিয়ে লেখা আত্মকথামূলক গ্রন্থ ‘আই ওয়ান্ট টু ডাই বাট আই ওয়ান্ট টু ইট টটবক্কি’-এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় লেখক বেক সে-হি। শুক্রবার (১৭ মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যুর খবর দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট।
১ ঘণ্টা আগেআসামের তিনসুকিয়া জেলায় সেনাক্যাম্পে সন্দেহভাজন সশস্ত্র বন্দুকধারীর হামলায় তিন সেনাসদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার ভোররাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগেগাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে যৌথভাবে কাজ করছে ফ্রান্স ও ব্রিটেন। ফ্রান্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে প্যারিস ও লন্ডন আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করার কাজ করছে। এই প্রস্তাবের লক্ষ্য হবে—গাজায় ভবিষ্যতে একটি আন
৩ ঘণ্টা আগেফ্রেই জিলসন বলেন, ‘মিষ্টি আর কোমল পানীয় ত্যাগ করা তখন আর বড় ত্যাগ মনে হচ্ছিল না। তাই ভাবলাম, আমার ঘুমটাই ঈশ্বরকে উৎসর্গ করি।’
৩ ঘণ্টা আগে