
হার্তা মুয়েলার। ২০০৯ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী রোমানিয়ার বংশোদ্ভূত জার্মান লেখিকা। সম্প্রতি কথা বলেছেন হামাস, ইসরায়েল, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, বৈশ্বিক গণতন্ত্রসহ বিভিন্ন ইস্যুতে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ৭ অক্টোবর হামাস ‘শোয়াহ’ বা বিপর্যয়কেই উসকে দিতে চেয়েছিল। এ সময় তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে দুর্নীতিবাজ ও ক্ষমতালোভী বলেও আখ্যা দেন।
হার্তা মুয়েলার পরিবার একসময় জার্মান নাৎসি বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে তিনি কখনোই তাঁর পরিবারের এই বিষয়কে এড়িয়ে যাননি। বরং সব সময়ই বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছেন। রোমানিয়ার শাসক নিকোলাই চচেস্কুর বিরুদ্ধেও কলম ধরেছেন তিনি। সম্প্রতি তিনি ইনস্টিটিউশন অব জিউয়িশ কালচার ইন সুইডেনের একটি আলোচনা সভায় যোগ দেন একমাত্র অ-ইহুদি আলোচক হিসেবে।
সেই আলোচনা সভায় হার্তা মুয়েলার বলেন, ‘আমি ইসরায়েলকে ছাড়া বর্তমান বিশ্ব কল্পনাও করতে পারি না।’ হারেৎজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হার্তা মুয়েলার দ্ব্যর্থহীনভাবে নাৎসি ও হামাসের নৃশংসতার মধ্যে তুলনা করেছেন এবং ৭ অক্টোবরের ঘটনা নিয়ে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বামদের নীরবতাকে তিনি বর্ণনা করেছেন পশ্চিমা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পশ্চাদপসরণের লক্ষণ হিসেবে।
হার্তা মুয়েলার বলেন, ‘৭ অক্টোবরের হত্যাকাণ্ডকে নাৎসিদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করা কি ঠিক হবে? আমি মনে করি, আমাদের এমনটাই করা উচিত। কারণ হামাস নিজেই শোয়াহে (বাইবেলে উল্লিখিত এই শব্দের অর্থ বিপর্যয়) স্মৃতি জাগিয়ে তুলতে চেয়েছিল এবং তাঁরা দেখাতে চেয়েছিল যে ইসরায়েল রাষ্ট্র আর ইহুদিদের বেঁচে থাকার বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে সক্ষম নয় এবং এই রাষ্ট্র একটি ভ্রম।’
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গে জার্মান এই সাহিত্যিক আরও বলেন, ‘নেতানিয়াহু হয়তো দুর্নীতিগ্রস্ত ও ক্ষমতালোভী, কিন্তু ইসরায়েল এখনো একটি গণতান্ত্রিক দেশ। সেখানে সত্যিকারের নির্বাচন হয়—স্বৈরাচারী দেশের মতো জাল নির্বাচন নয় এবং এর অর্থ হলো, ইসরায়েলের জনগণ ভোট দিতে পারে। তারা সম্ভবত তাকে এখন খুব সামান্যই ভোট দেবে, কারণ তিনি ও তাঁর কলঙ্কিত সরকার গুরুতর ভুল করেছেন, যার জন্য ইসরায়েলকে এখন মূল্য দিতে হচ্ছে।’
নোবেল বিজয়ী এই সাহিত্যিক আরও বলেন, নেতানিয়াহু হামাসকে সম্পূর্ণ ভুলভাবে বিবেচনা করেছেন। তিনি ভেবেছিলেন যে, তিনি এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। সংক্ষেপে বলতে গেলে, তিনি (ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ) আব্বাসকে দুর্বল করার জন্য হামাসকে শক্তিশালী করেছিলেন। স্পষ্টতই, নেতানিয়াহু তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ক্ষেত্রেই কেবল চতুর।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর ব্যর্থতা প্রসঙ্গে মুয়েলার আরও বলেন, যাই হোক না কেন, নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকার ব্যাপারে খুব সামান্যই দৃষ্টিপাত করেছেন এবং কেবল পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের দিকেই মনোনিবেশ করেছেন। চরমপন্থীদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি নিজেকে ব্ল্যাকমেইলের শিকার হওয়ার জন্য অরক্ষিত করে তুলেছেন।
পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি বসতি স্থাপন প্রসঙ্গে জার্মান এই সাহিত্যিক আরও বলেন, নেতানিয়াহুকে মেনে নিতে হবে যে, পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি প্রভুসুলভ জাতির মতো আচরণ করছে। তিনি বলেন, ‘এই আচরণ আমাকে প্রতিদিন ক্ষুব্ধ করে। এটি শুধু ইসরায়েলের সুনামই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং এর গণতন্ত্র, মূল্যবোধ ও মানবতার ভাবমূর্তিকেও ক্ষুণ্ন করছে।’
এক প্রশ্নে হার্তা মুয়েলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনি কি মনে করেন যে পশ্চিম একটি কম গণতান্ত্রিক সমাজে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে? জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি প্রায় সর্বত্রই ঘটছে—ইউরোপে, যুক্তরাষ্ট্রে সর্বত্র। এটা দুঃখজনক যে, পশ্চিম ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো মুক্ত সমাজে লোকজন আর গণতন্ত্র ও অন্যান্য ধরনের সরকারের মধ্যে পার্থক্য করে না। এই সমাজগুলো মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পতনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মুক্ত সমাজ নিজেদের ভেঙে ফেলছে, যুক্তি ও যৌক্তিকতা নষ্ট করছে। এ ধরনের গণতন্ত্র আত্মবিধ্বংসী। ঠিক যেমন ট্রাম্প আবার নির্বাচনে জিতে গেলে যুক্তরাষ্ট্র আত্মহননে দিকে এগিয়ে যাবে।’
ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ কী—এমন এক প্রশ্নের জবাবে নোবেল বিজয়ী এই সাহিত্যিক বলেন, ‘আমি আশা করি, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা শয়তানি ইহুদিবিদ্বেষ শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়াবে এবং পরিস্থিতি আবারও যৌক্তিক হয়ে উঠবে। ভয়ংকর একনায়কতন্ত্র আমাদের সামনে রয়েছে, যা ব্যক্তি হিসেবে আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে। যখন ইরান, চীন, রাশিয়া, পুতিন, খামেনি ও ট্রাম্প গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সিদ্ধান্ত নেন, তখন আমি ভয় পাই যে, তাহলে একনায়কত্ব মানে কী? আমাদের ইসরায়েলকে দরকার।’
হারেৎজ থেকে সংক্ষেপে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

হার্তা মুয়েলার। ২০০৯ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী রোমানিয়ার বংশোদ্ভূত জার্মান লেখিকা। সম্প্রতি কথা বলেছেন হামাস, ইসরায়েল, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, বৈশ্বিক গণতন্ত্রসহ বিভিন্ন ইস্যুতে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ৭ অক্টোবর হামাস ‘শোয়াহ’ বা বিপর্যয়কেই উসকে দিতে চেয়েছিল। এ সময় তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে দুর্নীতিবাজ ও ক্ষমতালোভী বলেও আখ্যা দেন।
হার্তা মুয়েলার পরিবার একসময় জার্মান নাৎসি বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে তিনি কখনোই তাঁর পরিবারের এই বিষয়কে এড়িয়ে যাননি। বরং সব সময়ই বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছেন। রোমানিয়ার শাসক নিকোলাই চচেস্কুর বিরুদ্ধেও কলম ধরেছেন তিনি। সম্প্রতি তিনি ইনস্টিটিউশন অব জিউয়িশ কালচার ইন সুইডেনের একটি আলোচনা সভায় যোগ দেন একমাত্র অ-ইহুদি আলোচক হিসেবে।
সেই আলোচনা সভায় হার্তা মুয়েলার বলেন, ‘আমি ইসরায়েলকে ছাড়া বর্তমান বিশ্ব কল্পনাও করতে পারি না।’ হারেৎজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হার্তা মুয়েলার দ্ব্যর্থহীনভাবে নাৎসি ও হামাসের নৃশংসতার মধ্যে তুলনা করেছেন এবং ৭ অক্টোবরের ঘটনা নিয়ে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বামদের নীরবতাকে তিনি বর্ণনা করেছেন পশ্চিমা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পশ্চাদপসরণের লক্ষণ হিসেবে।
হার্তা মুয়েলার বলেন, ‘৭ অক্টোবরের হত্যাকাণ্ডকে নাৎসিদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করা কি ঠিক হবে? আমি মনে করি, আমাদের এমনটাই করা উচিত। কারণ হামাস নিজেই শোয়াহে (বাইবেলে উল্লিখিত এই শব্দের অর্থ বিপর্যয়) স্মৃতি জাগিয়ে তুলতে চেয়েছিল এবং তাঁরা দেখাতে চেয়েছিল যে ইসরায়েল রাষ্ট্র আর ইহুদিদের বেঁচে থাকার বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে সক্ষম নয় এবং এই রাষ্ট্র একটি ভ্রম।’
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গে জার্মান এই সাহিত্যিক আরও বলেন, ‘নেতানিয়াহু হয়তো দুর্নীতিগ্রস্ত ও ক্ষমতালোভী, কিন্তু ইসরায়েল এখনো একটি গণতান্ত্রিক দেশ। সেখানে সত্যিকারের নির্বাচন হয়—স্বৈরাচারী দেশের মতো জাল নির্বাচন নয় এবং এর অর্থ হলো, ইসরায়েলের জনগণ ভোট দিতে পারে। তারা সম্ভবত তাকে এখন খুব সামান্যই ভোট দেবে, কারণ তিনি ও তাঁর কলঙ্কিত সরকার গুরুতর ভুল করেছেন, যার জন্য ইসরায়েলকে এখন মূল্য দিতে হচ্ছে।’
নোবেল বিজয়ী এই সাহিত্যিক আরও বলেন, নেতানিয়াহু হামাসকে সম্পূর্ণ ভুলভাবে বিবেচনা করেছেন। তিনি ভেবেছিলেন যে, তিনি এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। সংক্ষেপে বলতে গেলে, তিনি (ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ) আব্বাসকে দুর্বল করার জন্য হামাসকে শক্তিশালী করেছিলেন। স্পষ্টতই, নেতানিয়াহু তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ক্ষেত্রেই কেবল চতুর।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর ব্যর্থতা প্রসঙ্গে মুয়েলার আরও বলেন, যাই হোক না কেন, নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকার ব্যাপারে খুব সামান্যই দৃষ্টিপাত করেছেন এবং কেবল পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের দিকেই মনোনিবেশ করেছেন। চরমপন্থীদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি নিজেকে ব্ল্যাকমেইলের শিকার হওয়ার জন্য অরক্ষিত করে তুলেছেন।
পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি বসতি স্থাপন প্রসঙ্গে জার্মান এই সাহিত্যিক আরও বলেন, নেতানিয়াহুকে মেনে নিতে হবে যে, পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি প্রভুসুলভ জাতির মতো আচরণ করছে। তিনি বলেন, ‘এই আচরণ আমাকে প্রতিদিন ক্ষুব্ধ করে। এটি শুধু ইসরায়েলের সুনামই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং এর গণতন্ত্র, মূল্যবোধ ও মানবতার ভাবমূর্তিকেও ক্ষুণ্ন করছে।’
এক প্রশ্নে হার্তা মুয়েলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনি কি মনে করেন যে পশ্চিম একটি কম গণতান্ত্রিক সমাজে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে? জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি প্রায় সর্বত্রই ঘটছে—ইউরোপে, যুক্তরাষ্ট্রে সর্বত্র। এটা দুঃখজনক যে, পশ্চিম ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো মুক্ত সমাজে লোকজন আর গণতন্ত্র ও অন্যান্য ধরনের সরকারের মধ্যে পার্থক্য করে না। এই সমাজগুলো মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পতনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মুক্ত সমাজ নিজেদের ভেঙে ফেলছে, যুক্তি ও যৌক্তিকতা নষ্ট করছে। এ ধরনের গণতন্ত্র আত্মবিধ্বংসী। ঠিক যেমন ট্রাম্প আবার নির্বাচনে জিতে গেলে যুক্তরাষ্ট্র আত্মহননে দিকে এগিয়ে যাবে।’
ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ কী—এমন এক প্রশ্নের জবাবে নোবেল বিজয়ী এই সাহিত্যিক বলেন, ‘আমি আশা করি, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা শয়তানি ইহুদিবিদ্বেষ শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়াবে এবং পরিস্থিতি আবারও যৌক্তিক হয়ে উঠবে। ভয়ংকর একনায়কতন্ত্র আমাদের সামনে রয়েছে, যা ব্যক্তি হিসেবে আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে। যখন ইরান, চীন, রাশিয়া, পুতিন, খামেনি ও ট্রাম্প গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সিদ্ধান্ত নেন, তখন আমি ভয় পাই যে, তাহলে একনায়কত্ব মানে কী? আমাদের ইসরায়েলকে দরকার।’
হারেৎজ থেকে সংক্ষেপে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

হার্তা মুয়েলার। ২০০৯ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী রোমানিয়ার বংশোদ্ভূত জার্মান লেখিকা। সম্প্রতি কথা বলেছেন হামাস, ইসরায়েল, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, বৈশ্বিক গণতন্ত্রসহ বিভিন্ন ইস্যুতে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ৭ অক্টোবর হামাস ‘শোয়াহ’ বা বিপর্যয়কেই উসকে দিতে চেয়েছিল। এ সময় তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে দুর্নীতিবাজ ও ক্ষমতালোভী বলেও আখ্যা দেন।
হার্তা মুয়েলার পরিবার একসময় জার্মান নাৎসি বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে তিনি কখনোই তাঁর পরিবারের এই বিষয়কে এড়িয়ে যাননি। বরং সব সময়ই বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছেন। রোমানিয়ার শাসক নিকোলাই চচেস্কুর বিরুদ্ধেও কলম ধরেছেন তিনি। সম্প্রতি তিনি ইনস্টিটিউশন অব জিউয়িশ কালচার ইন সুইডেনের একটি আলোচনা সভায় যোগ দেন একমাত্র অ-ইহুদি আলোচক হিসেবে।
সেই আলোচনা সভায় হার্তা মুয়েলার বলেন, ‘আমি ইসরায়েলকে ছাড়া বর্তমান বিশ্ব কল্পনাও করতে পারি না।’ হারেৎজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হার্তা মুয়েলার দ্ব্যর্থহীনভাবে নাৎসি ও হামাসের নৃশংসতার মধ্যে তুলনা করেছেন এবং ৭ অক্টোবরের ঘটনা নিয়ে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বামদের নীরবতাকে তিনি বর্ণনা করেছেন পশ্চিমা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পশ্চাদপসরণের লক্ষণ হিসেবে।
হার্তা মুয়েলার বলেন, ‘৭ অক্টোবরের হত্যাকাণ্ডকে নাৎসিদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করা কি ঠিক হবে? আমি মনে করি, আমাদের এমনটাই করা উচিত। কারণ হামাস নিজেই শোয়াহে (বাইবেলে উল্লিখিত এই শব্দের অর্থ বিপর্যয়) স্মৃতি জাগিয়ে তুলতে চেয়েছিল এবং তাঁরা দেখাতে চেয়েছিল যে ইসরায়েল রাষ্ট্র আর ইহুদিদের বেঁচে থাকার বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে সক্ষম নয় এবং এই রাষ্ট্র একটি ভ্রম।’
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গে জার্মান এই সাহিত্যিক আরও বলেন, ‘নেতানিয়াহু হয়তো দুর্নীতিগ্রস্ত ও ক্ষমতালোভী, কিন্তু ইসরায়েল এখনো একটি গণতান্ত্রিক দেশ। সেখানে সত্যিকারের নির্বাচন হয়—স্বৈরাচারী দেশের মতো জাল নির্বাচন নয় এবং এর অর্থ হলো, ইসরায়েলের জনগণ ভোট দিতে পারে। তারা সম্ভবত তাকে এখন খুব সামান্যই ভোট দেবে, কারণ তিনি ও তাঁর কলঙ্কিত সরকার গুরুতর ভুল করেছেন, যার জন্য ইসরায়েলকে এখন মূল্য দিতে হচ্ছে।’
নোবেল বিজয়ী এই সাহিত্যিক আরও বলেন, নেতানিয়াহু হামাসকে সম্পূর্ণ ভুলভাবে বিবেচনা করেছেন। তিনি ভেবেছিলেন যে, তিনি এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। সংক্ষেপে বলতে গেলে, তিনি (ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ) আব্বাসকে দুর্বল করার জন্য হামাসকে শক্তিশালী করেছিলেন। স্পষ্টতই, নেতানিয়াহু তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ক্ষেত্রেই কেবল চতুর।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর ব্যর্থতা প্রসঙ্গে মুয়েলার আরও বলেন, যাই হোক না কেন, নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকার ব্যাপারে খুব সামান্যই দৃষ্টিপাত করেছেন এবং কেবল পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের দিকেই মনোনিবেশ করেছেন। চরমপন্থীদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি নিজেকে ব্ল্যাকমেইলের শিকার হওয়ার জন্য অরক্ষিত করে তুলেছেন।
পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি বসতি স্থাপন প্রসঙ্গে জার্মান এই সাহিত্যিক আরও বলেন, নেতানিয়াহুকে মেনে নিতে হবে যে, পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি প্রভুসুলভ জাতির মতো আচরণ করছে। তিনি বলেন, ‘এই আচরণ আমাকে প্রতিদিন ক্ষুব্ধ করে। এটি শুধু ইসরায়েলের সুনামই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং এর গণতন্ত্র, মূল্যবোধ ও মানবতার ভাবমূর্তিকেও ক্ষুণ্ন করছে।’
এক প্রশ্নে হার্তা মুয়েলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনি কি মনে করেন যে পশ্চিম একটি কম গণতান্ত্রিক সমাজে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে? জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি প্রায় সর্বত্রই ঘটছে—ইউরোপে, যুক্তরাষ্ট্রে সর্বত্র। এটা দুঃখজনক যে, পশ্চিম ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো মুক্ত সমাজে লোকজন আর গণতন্ত্র ও অন্যান্য ধরনের সরকারের মধ্যে পার্থক্য করে না। এই সমাজগুলো মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পতনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মুক্ত সমাজ নিজেদের ভেঙে ফেলছে, যুক্তি ও যৌক্তিকতা নষ্ট করছে। এ ধরনের গণতন্ত্র আত্মবিধ্বংসী। ঠিক যেমন ট্রাম্প আবার নির্বাচনে জিতে গেলে যুক্তরাষ্ট্র আত্মহননে দিকে এগিয়ে যাবে।’
ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ কী—এমন এক প্রশ্নের জবাবে নোবেল বিজয়ী এই সাহিত্যিক বলেন, ‘আমি আশা করি, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা শয়তানি ইহুদিবিদ্বেষ শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়াবে এবং পরিস্থিতি আবারও যৌক্তিক হয়ে উঠবে। ভয়ংকর একনায়কতন্ত্র আমাদের সামনে রয়েছে, যা ব্যক্তি হিসেবে আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে। যখন ইরান, চীন, রাশিয়া, পুতিন, খামেনি ও ট্রাম্প গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সিদ্ধান্ত নেন, তখন আমি ভয় পাই যে, তাহলে একনায়কত্ব মানে কী? আমাদের ইসরায়েলকে দরকার।’
হারেৎজ থেকে সংক্ষেপে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

হার্তা মুয়েলার। ২০০৯ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী রোমানিয়ার বংশোদ্ভূত জার্মান লেখিকা। সম্প্রতি কথা বলেছেন হামাস, ইসরায়েল, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, বৈশ্বিক গণতন্ত্রসহ বিভিন্ন ইস্যুতে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ৭ অক্টোবর হামাস ‘শোয়াহ’ বা বিপর্যয়কেই উসকে দিতে চেয়েছিল। এ সময় তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে দুর্নীতিবাজ ও ক্ষমতালোভী বলেও আখ্যা দেন।
হার্তা মুয়েলার পরিবার একসময় জার্মান নাৎসি বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে তিনি কখনোই তাঁর পরিবারের এই বিষয়কে এড়িয়ে যাননি। বরং সব সময়ই বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছেন। রোমানিয়ার শাসক নিকোলাই চচেস্কুর বিরুদ্ধেও কলম ধরেছেন তিনি। সম্প্রতি তিনি ইনস্টিটিউশন অব জিউয়িশ কালচার ইন সুইডেনের একটি আলোচনা সভায় যোগ দেন একমাত্র অ-ইহুদি আলোচক হিসেবে।
সেই আলোচনা সভায় হার্তা মুয়েলার বলেন, ‘আমি ইসরায়েলকে ছাড়া বর্তমান বিশ্ব কল্পনাও করতে পারি না।’ হারেৎজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হার্তা মুয়েলার দ্ব্যর্থহীনভাবে নাৎসি ও হামাসের নৃশংসতার মধ্যে তুলনা করেছেন এবং ৭ অক্টোবরের ঘটনা নিয়ে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বামদের নীরবতাকে তিনি বর্ণনা করেছেন পশ্চিমা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পশ্চাদপসরণের লক্ষণ হিসেবে।
হার্তা মুয়েলার বলেন, ‘৭ অক্টোবরের হত্যাকাণ্ডকে নাৎসিদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করা কি ঠিক হবে? আমি মনে করি, আমাদের এমনটাই করা উচিত। কারণ হামাস নিজেই শোয়াহে (বাইবেলে উল্লিখিত এই শব্দের অর্থ বিপর্যয়) স্মৃতি জাগিয়ে তুলতে চেয়েছিল এবং তাঁরা দেখাতে চেয়েছিল যে ইসরায়েল রাষ্ট্র আর ইহুদিদের বেঁচে থাকার বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে সক্ষম নয় এবং এই রাষ্ট্র একটি ভ্রম।’
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গে জার্মান এই সাহিত্যিক আরও বলেন, ‘নেতানিয়াহু হয়তো দুর্নীতিগ্রস্ত ও ক্ষমতালোভী, কিন্তু ইসরায়েল এখনো একটি গণতান্ত্রিক দেশ। সেখানে সত্যিকারের নির্বাচন হয়—স্বৈরাচারী দেশের মতো জাল নির্বাচন নয় এবং এর অর্থ হলো, ইসরায়েলের জনগণ ভোট দিতে পারে। তারা সম্ভবত তাকে এখন খুব সামান্যই ভোট দেবে, কারণ তিনি ও তাঁর কলঙ্কিত সরকার গুরুতর ভুল করেছেন, যার জন্য ইসরায়েলকে এখন মূল্য দিতে হচ্ছে।’
নোবেল বিজয়ী এই সাহিত্যিক আরও বলেন, নেতানিয়াহু হামাসকে সম্পূর্ণ ভুলভাবে বিবেচনা করেছেন। তিনি ভেবেছিলেন যে, তিনি এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। সংক্ষেপে বলতে গেলে, তিনি (ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ) আব্বাসকে দুর্বল করার জন্য হামাসকে শক্তিশালী করেছিলেন। স্পষ্টতই, নেতানিয়াহু তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ক্ষেত্রেই কেবল চতুর।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর ব্যর্থতা প্রসঙ্গে মুয়েলার আরও বলেন, যাই হোক না কেন, নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকার ব্যাপারে খুব সামান্যই দৃষ্টিপাত করেছেন এবং কেবল পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের দিকেই মনোনিবেশ করেছেন। চরমপন্থীদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি নিজেকে ব্ল্যাকমেইলের শিকার হওয়ার জন্য অরক্ষিত করে তুলেছেন।
পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি বসতি স্থাপন প্রসঙ্গে জার্মান এই সাহিত্যিক আরও বলেন, নেতানিয়াহুকে মেনে নিতে হবে যে, পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি প্রভুসুলভ জাতির মতো আচরণ করছে। তিনি বলেন, ‘এই আচরণ আমাকে প্রতিদিন ক্ষুব্ধ করে। এটি শুধু ইসরায়েলের সুনামই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং এর গণতন্ত্র, মূল্যবোধ ও মানবতার ভাবমূর্তিকেও ক্ষুণ্ন করছে।’
এক প্রশ্নে হার্তা মুয়েলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনি কি মনে করেন যে পশ্চিম একটি কম গণতান্ত্রিক সমাজে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে? জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি প্রায় সর্বত্রই ঘটছে—ইউরোপে, যুক্তরাষ্ট্রে সর্বত্র। এটা দুঃখজনক যে, পশ্চিম ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো মুক্ত সমাজে লোকজন আর গণতন্ত্র ও অন্যান্য ধরনের সরকারের মধ্যে পার্থক্য করে না। এই সমাজগুলো মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পতনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মুক্ত সমাজ নিজেদের ভেঙে ফেলছে, যুক্তি ও যৌক্তিকতা নষ্ট করছে। এ ধরনের গণতন্ত্র আত্মবিধ্বংসী। ঠিক যেমন ট্রাম্প আবার নির্বাচনে জিতে গেলে যুক্তরাষ্ট্র আত্মহননে দিকে এগিয়ে যাবে।’
ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ কী—এমন এক প্রশ্নের জবাবে নোবেল বিজয়ী এই সাহিত্যিক বলেন, ‘আমি আশা করি, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা শয়তানি ইহুদিবিদ্বেষ শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়াবে এবং পরিস্থিতি আবারও যৌক্তিক হয়ে উঠবে। ভয়ংকর একনায়কতন্ত্র আমাদের সামনে রয়েছে, যা ব্যক্তি হিসেবে আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে। যখন ইরান, চীন, রাশিয়া, পুতিন, খামেনি ও ট্রাম্প গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সিদ্ধান্ত নেন, তখন আমি ভয় পাই যে, তাহলে একনায়কত্ব মানে কী? আমাদের ইসরায়েলকে দরকার।’
হারেৎজ থেকে সংক্ষেপে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
১ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
১ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
২ ঘণ্টা আগে
বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

হার্তা মুয়েলার। ২০০৯ সালে সাহিত্যে নোবেলজয়ী রোমানিয়ার বংশোদ্ভূত জার্মান লেখিকা। সম্প্রতি কথা বলেছেন, হামাস, ইসরায়েল, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং বৈশ্বিক গণতন্ত্রসহ বিভিন্ন ইস্যুতে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ৭ অক্টোবর হামাস ‘শোয়াহ’ বা বিপর্যয়কেই উসকে দিতে চেয়েছিল। এ সম
১০ জুন ২০২৪
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
১ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
২ ঘণ্টা আগে
বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

হার্তা মুয়েলার। ২০০৯ সালে সাহিত্যে নোবেলজয়ী রোমানিয়ার বংশোদ্ভূত জার্মান লেখিকা। সম্প্রতি কথা বলেছেন, হামাস, ইসরায়েল, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং বৈশ্বিক গণতন্ত্রসহ বিভিন্ন ইস্যুতে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ৭ অক্টোবর হামাস ‘শোয়াহ’ বা বিপর্যয়কেই উসকে দিতে চেয়েছিল। এ সম
১০ জুন ২০২৪
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
১ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
২ ঘণ্টা আগে
বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

হার্তা মুয়েলার। ২০০৯ সালে সাহিত্যে নোবেলজয়ী রোমানিয়ার বংশোদ্ভূত জার্মান লেখিকা। সম্প্রতি কথা বলেছেন, হামাস, ইসরায়েল, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং বৈশ্বিক গণতন্ত্রসহ বিভিন্ন ইস্যুতে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ৭ অক্টোবর হামাস ‘শোয়াহ’ বা বিপর্যয়কেই উসকে দিতে চেয়েছিল। এ সম
১০ জুন ২০২৪
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
১ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
১ ঘণ্টা আগে
বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘নতুন করে একটি যুদ্ধ বাধানোর পাঁয়তারা করছে’। সম্প্রতি ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে উন্নত রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড মোতায়েন করেছে। পেন্টাগনের এ পদক্ষেপের পরই এমন মন্তব্য করেন মাদুরো।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা। গত কয়েক দিনে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে অন্তত ১০টি বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে মাদুরো বলেছেন, এটি আসলে ‘এক চিরস্থায়ী যুদ্ধের প্রস্তুতি’। ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্য করে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো হচ্ছে, যা তাঁর সরকার উৎখাতের উদ্দেশ্যে করা হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে মাদুরোকে ‘একটি আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারী চক্রের নেতা’ বলে অভিযুক্ত করে আসছেন। তবে মাদুরো বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু দেশই ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে মাদুরোকে ভেনেজুয়েলার বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন। কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিরোধী প্রার্থীরা ব্যাপক ব্যবধানে জয়ী হওয়ার পরেও জালিয়াতির মাধ্যমে মাদুরো জয়লাভ করেন।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন কমান্ড অঞ্চলে মোতায়েন করা হচ্ছে। এর আওতায় মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চল পড়ে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শন পারনেল বলেন, অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের লক্ষ্য হলো ‘মাদক পাচার প্রতিরোধ ও আন্তদেশীয় অপরাধী সংগঠনগুলোকে ধ্বংস করা।’
তবে মাদুরোর ভাষায়, ‘ওরা বলেছিল, আর কোনো যুদ্ধে যাবে না, অথচ এখন মাদক পাচার রোধের নামে নিজেরাই যুদ্ধ শুরু করছে।’
গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেন, ‘সমুদ্রে আমরা মাদক আসা বন্ধ করতে পেরেছি, এবার স্থলপথেও তা বন্ধ করব। খুব শিগগির তা দেখতে পাবেন।’ তিনি ইঙ্গিত দেন, ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থল অভিযান শুরু করার কথাও ভাবা হচ্ছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর উপস্থিতিও অঞ্চলটিতে জোরদার করা হয়েছে।
বিবিসি ভেরিফাই জানিয়েছে, পুয়ের্তো রিকোতে বেশ কয়েকটি মার্কিন সামরিক বিমান মোতায়েন রয়েছে। এদিকে সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলায় কোকেন উৎপাদন কেন্দ্র ও পাচার রুটে হামলার পরিকল্পনা বিবেচনা করছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানান, ক্যারিবীয় সাগরে সাম্প্রতিক এক অভিযানে ‘ছয়জন মাদকসন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। তাদের নৌকাটি ভেনেজুয়েলাভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন ট্রেন দে আরাগুয়ার বলে দাবি করেন তিনি।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের এসব অভিযানে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে অনেকে এই অভিযানের বৈধতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ২৫ জন ডেমোক্র্যাট সিনেটর হোয়াইট হাউসে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন, কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র একটি নৌযানে হামলা চালায়। অথচ এই নৌযানের যাত্রী বা পণ্য—কোনোটাই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি ছিল না। এর কোনো প্রমাণও নেই। রিপাবলিকান সিনেটর র্যান্ড পলও বলেন, এ ধরনের সামরিক হামলার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।
ট্রাম্প অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর এ ধরনের হামলা চালানোর আইনি ক্ষমতা রয়েছে। তবে তিনি বলেন, ‘যদি স্থল অভিযান চালানো হয়, তখন হয়তো কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলব।’
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপে কর্মরত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক আইনজীবী ব্রায়ান ফিনুকেন বিবিসিকে বলেন, ‘এটি একধরনের সাংবিধানিক সংকট। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, সামরিক শক্তি ব্যবহারের ওপর প্রধান নিয়ন্ত্রণ কংগ্রেসের হাতে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে হোয়াইট হাউস সেই ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে, আর কংগ্রেসও কোনো প্রতিরোধ করছে না।’
তবে অনেকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক পদক্ষেপ সরাসরি আক্রমণ নয়, বরং মাদুরো প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর ওপর ভয় ও চাপ সৃষ্টি করার কৌশল।
চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটা মূলত ‘রেজিম চেঞ্জ’-এর বার্তা। ওরা সরাসরি আক্রমণ না করলেও এই শক্তি প্রদর্শন ভেনেজুয়েলার সেনাদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার কৌশল।

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘নতুন করে একটি যুদ্ধ বাধানোর পাঁয়তারা করছে’। সম্প্রতি ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে উন্নত রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড মোতায়েন করেছে। পেন্টাগনের এ পদক্ষেপের পরই এমন মন্তব্য করেন মাদুরো।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা। গত কয়েক দিনে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে অন্তত ১০টি বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে মাদুরো বলেছেন, এটি আসলে ‘এক চিরস্থায়ী যুদ্ধের প্রস্তুতি’। ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্য করে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো হচ্ছে, যা তাঁর সরকার উৎখাতের উদ্দেশ্যে করা হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে মাদুরোকে ‘একটি আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারী চক্রের নেতা’ বলে অভিযুক্ত করে আসছেন। তবে মাদুরো বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু দেশই ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে মাদুরোকে ভেনেজুয়েলার বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন। কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিরোধী প্রার্থীরা ব্যাপক ব্যবধানে জয়ী হওয়ার পরেও জালিয়াতির মাধ্যমে মাদুরো জয়লাভ করেন।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন কমান্ড অঞ্চলে মোতায়েন করা হচ্ছে। এর আওতায় মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চল পড়ে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শন পারনেল বলেন, অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের লক্ষ্য হলো ‘মাদক পাচার প্রতিরোধ ও আন্তদেশীয় অপরাধী সংগঠনগুলোকে ধ্বংস করা।’
তবে মাদুরোর ভাষায়, ‘ওরা বলেছিল, আর কোনো যুদ্ধে যাবে না, অথচ এখন মাদক পাচার রোধের নামে নিজেরাই যুদ্ধ শুরু করছে।’
গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেন, ‘সমুদ্রে আমরা মাদক আসা বন্ধ করতে পেরেছি, এবার স্থলপথেও তা বন্ধ করব। খুব শিগগির তা দেখতে পাবেন।’ তিনি ইঙ্গিত দেন, ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থল অভিযান শুরু করার কথাও ভাবা হচ্ছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর উপস্থিতিও অঞ্চলটিতে জোরদার করা হয়েছে।
বিবিসি ভেরিফাই জানিয়েছে, পুয়ের্তো রিকোতে বেশ কয়েকটি মার্কিন সামরিক বিমান মোতায়েন রয়েছে। এদিকে সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলায় কোকেন উৎপাদন কেন্দ্র ও পাচার রুটে হামলার পরিকল্পনা বিবেচনা করছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানান, ক্যারিবীয় সাগরে সাম্প্রতিক এক অভিযানে ‘ছয়জন মাদকসন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। তাদের নৌকাটি ভেনেজুয়েলাভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন ট্রেন দে আরাগুয়ার বলে দাবি করেন তিনি।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের এসব অভিযানে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে অনেকে এই অভিযানের বৈধতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ২৫ জন ডেমোক্র্যাট সিনেটর হোয়াইট হাউসে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন, কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র একটি নৌযানে হামলা চালায়। অথচ এই নৌযানের যাত্রী বা পণ্য—কোনোটাই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি ছিল না। এর কোনো প্রমাণও নেই। রিপাবলিকান সিনেটর র্যান্ড পলও বলেন, এ ধরনের সামরিক হামলার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।
ট্রাম্প অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর এ ধরনের হামলা চালানোর আইনি ক্ষমতা রয়েছে। তবে তিনি বলেন, ‘যদি স্থল অভিযান চালানো হয়, তখন হয়তো কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলব।’
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপে কর্মরত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক আইনজীবী ব্রায়ান ফিনুকেন বিবিসিকে বলেন, ‘এটি একধরনের সাংবিধানিক সংকট। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, সামরিক শক্তি ব্যবহারের ওপর প্রধান নিয়ন্ত্রণ কংগ্রেসের হাতে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে হোয়াইট হাউস সেই ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে, আর কংগ্রেসও কোনো প্রতিরোধ করছে না।’
তবে অনেকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক পদক্ষেপ সরাসরি আক্রমণ নয়, বরং মাদুরো প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর ওপর ভয় ও চাপ সৃষ্টি করার কৌশল।
চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটা মূলত ‘রেজিম চেঞ্জ’-এর বার্তা। ওরা সরাসরি আক্রমণ না করলেও এই শক্তি প্রদর্শন ভেনেজুয়েলার সেনাদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার কৌশল।

হার্তা মুয়েলার। ২০০৯ সালে সাহিত্যে নোবেলজয়ী রোমানিয়ার বংশোদ্ভূত জার্মান লেখিকা। সম্প্রতি কথা বলেছেন, হামাস, ইসরায়েল, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং বৈশ্বিক গণতন্ত্রসহ বিভিন্ন ইস্যুতে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ৭ অক্টোবর হামাস ‘শোয়াহ’ বা বিপর্যয়কেই উসকে দিতে চেয়েছিল। এ সম
১০ জুন ২০২৪
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
১ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
১ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
২ ঘণ্টা আগে