গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও সেই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়ে নিজের গায়ে আগুন দিয়েছিলেন মার্কিন বিমানবাহিনীর সৈনিক অ্যারন বুশনেল। তবে তিনিই ইতিহাসে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে আগুনে আত্মাহুতি দেওয়া প্রথম ব্যক্তি নন। তাঁর আগেও অনেকেই প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে নিজের জীবন দেওয়াকেই বেছে নিয়েছেন।
ভিয়েতনাম যুদ্ধ, তিউনিসিয়ার আরব বসন্ত ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্ব নেতৃত্বের ব্যর্থতায় আধুনিক পৃথিবীর অনেকেই আত্মাহুতি দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত অ্যারন বুশনেল সেই তালিকায় সর্বশেষ মানুষ। গত বছরের ডিসেম্বরেই বুশনেলের মতো একই দাবি ও অভিযোগে মার্কিন অঙ্গরাজ্য আটলান্টায় ইসরায়েলি কনস্যুলেটের সামনে আত্মাহুতি দেন এক তরুণ।
খোদ পুলিশ এ ধরনে ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিবাদের সবচেয়ে কঠিন পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করছে। একাডেমিশিয়ানরাও এ ধরনের ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিবাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ বলে অভিহিত করছেন।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার টেম্পল ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক রালফ ইয়ুংয়ের মতে, ‘মানুষের হতাশার ফলাফল হলো এমন কাজ। যখন আপনি দেখবেন যে, একটা ঘটনার প্রতিকারের কোনো ক্ষমতা আপনার নেই কিংবা যাদের আছে তারা কিছুই করছে না তখনই মানুষ এমন সর্বোচ্চ ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়—নিজের জীবনই দিয়ে দেয়।’
আধুনিক জামানায় সবচেয়ে আলোচিত ও প্রথম আত্মাহুতির ঘটনা বিবেচনায় করা হয় ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিবাদে থিক কোয়াং ডুকের মৃত্যুকে। ভিয়েতনামের এই বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিবাদে সায়গনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মাহুতি দেন ১৯৬৩ সালে। এরপর কয়েক বছরের মধ্যে আরও বেশ কয়েকজন ভিয়েতনামের সন্ন্যাসী আত্মাহুতি দেন একই যুদ্ধের প্রতিবাদে।
কেবল ভিয়েতনামে নয়, ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রেও বেশ কয়েকজন নারী আত্মাহুতি দেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন নরম্যান মরিসন। তিনি মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনের সামনে নিজের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে আগুনে আত্মাহুতি দেন।
পূর্ব ইউরোপের দেশ তৎকালীন চেকোস্লোভাকিয়ায় ১৯৬৮ সালে রুশ আগ্রাসনের প্রতিবাদে ১৯৬৯ সালে আত্মাহুতি দেন জ্যান পালাক। ১৯৯০ এর সালের আগস্টে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ভিপি নরসীমা রাও দেশটিতে মণ্ডল কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন। এর প্রতিবাদে গায়ে আগুন দেন রাজীব গোস্বামী নামে এক ১৯ বছরের তরুণ। তবে তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন।
ভারতে ১৯৬০ এর দশকে হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা করার চেষ্টা করা হলে সে সময়ও বেশ কয়েকজন আত্মাহুতি দেন। ২০০৯ সালে তিব্বতে চীনা শাসনের প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন এক সন্ন্যাসী। সে সময় কয়েক বছরে প্রায় শতাধিক তিব্বতি সন্ন্যাসী আগুনে আত্মাহুতি দেন চীনা শাসনের প্রতিবাদে। ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন ফর টিবেট নামে একটি সংগঠনের হিসাব অনুসারে, ২০০৯ সালের পর থেকে তিব্বতে ১৩১ জন পুরুষ ও ২৮ জন নারী আত্মাহুতি দিয়েছেন।
কেবল যুদ্ধ আর শাসনের প্রতিবাদেই আত্মাহুতির ঘটনা ঘটেছে তা নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের দৃষ্টি কাড়তে একই পদ্ধতির আশ্রয় নিয়েছিলেন ডেভিড বুকেলে নামে এক মার্কিন আইনজীবী। তিনি ২০১৮ সালে ব্রুকলিনের প্রসপেক্ট পার্কে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। একই ইস্যুতে ২০২২ সালে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের সামনে একই কাজ করেন ওয়েন অ্যালান ব্রুস নামে এক জলবায়ু আন্দোলনকর্মী।
এর আগে, ২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মাহুতি দেন তিউনিসিয়ার যুবক মোহাম্মদ বুয়াজিজি। উচ্চশিক্ষিত এই যুবক পছন্দের চাকরি না পেয়ে ভ্যানে করে শাক-সবজি বিক্রি করতেন। কিন্তু ঘটনার দিন পুলিশ তাঁর দাঁড়ি পাল্লাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করলে প্রতিকারের জন্য তিনি স্থানীয় প্রশাসনে যান। কিন্তু তারা বুয়াজিজিকে ফিরিয়ে দেয়। ক্ষোভে আত্মাহুতি দেন তিনি। তাঁর সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে আরব বিশ্বজুড়ে।
তথ্যসূত্র: টাইমস ম্যাগাজিন ও টাইমস অব ইন্ডিয়া
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও সেই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়ে নিজের গায়ে আগুন দিয়েছিলেন মার্কিন বিমানবাহিনীর সৈনিক অ্যারন বুশনেল। তবে তিনিই ইতিহাসে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে আগুনে আত্মাহুতি দেওয়া প্রথম ব্যক্তি নন। তাঁর আগেও অনেকেই প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে নিজের জীবন দেওয়াকেই বেছে নিয়েছেন।
ভিয়েতনাম যুদ্ধ, তিউনিসিয়ার আরব বসন্ত ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্ব নেতৃত্বের ব্যর্থতায় আধুনিক পৃথিবীর অনেকেই আত্মাহুতি দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত অ্যারন বুশনেল সেই তালিকায় সর্বশেষ মানুষ। গত বছরের ডিসেম্বরেই বুশনেলের মতো একই দাবি ও অভিযোগে মার্কিন অঙ্গরাজ্য আটলান্টায় ইসরায়েলি কনস্যুলেটের সামনে আত্মাহুতি দেন এক তরুণ।
খোদ পুলিশ এ ধরনে ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিবাদের সবচেয়ে কঠিন পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করছে। একাডেমিশিয়ানরাও এ ধরনের ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিবাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ বলে অভিহিত করছেন।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার টেম্পল ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক রালফ ইয়ুংয়ের মতে, ‘মানুষের হতাশার ফলাফল হলো এমন কাজ। যখন আপনি দেখবেন যে, একটা ঘটনার প্রতিকারের কোনো ক্ষমতা আপনার নেই কিংবা যাদের আছে তারা কিছুই করছে না তখনই মানুষ এমন সর্বোচ্চ ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়—নিজের জীবনই দিয়ে দেয়।’
আধুনিক জামানায় সবচেয়ে আলোচিত ও প্রথম আত্মাহুতির ঘটনা বিবেচনায় করা হয় ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিবাদে থিক কোয়াং ডুকের মৃত্যুকে। ভিয়েতনামের এই বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিবাদে সায়গনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মাহুতি দেন ১৯৬৩ সালে। এরপর কয়েক বছরের মধ্যে আরও বেশ কয়েকজন ভিয়েতনামের সন্ন্যাসী আত্মাহুতি দেন একই যুদ্ধের প্রতিবাদে।
কেবল ভিয়েতনামে নয়, ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রেও বেশ কয়েকজন নারী আত্মাহুতি দেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন নরম্যান মরিসন। তিনি মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনের সামনে নিজের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে আগুনে আত্মাহুতি দেন।
পূর্ব ইউরোপের দেশ তৎকালীন চেকোস্লোভাকিয়ায় ১৯৬৮ সালে রুশ আগ্রাসনের প্রতিবাদে ১৯৬৯ সালে আত্মাহুতি দেন জ্যান পালাক। ১৯৯০ এর সালের আগস্টে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ভিপি নরসীমা রাও দেশটিতে মণ্ডল কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন। এর প্রতিবাদে গায়ে আগুন দেন রাজীব গোস্বামী নামে এক ১৯ বছরের তরুণ। তবে তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন।
ভারতে ১৯৬০ এর দশকে হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা করার চেষ্টা করা হলে সে সময়ও বেশ কয়েকজন আত্মাহুতি দেন। ২০০৯ সালে তিব্বতে চীনা শাসনের প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন এক সন্ন্যাসী। সে সময় কয়েক বছরে প্রায় শতাধিক তিব্বতি সন্ন্যাসী আগুনে আত্মাহুতি দেন চীনা শাসনের প্রতিবাদে। ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন ফর টিবেট নামে একটি সংগঠনের হিসাব অনুসারে, ২০০৯ সালের পর থেকে তিব্বতে ১৩১ জন পুরুষ ও ২৮ জন নারী আত্মাহুতি দিয়েছেন।
কেবল যুদ্ধ আর শাসনের প্রতিবাদেই আত্মাহুতির ঘটনা ঘটেছে তা নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের দৃষ্টি কাড়তে একই পদ্ধতির আশ্রয় নিয়েছিলেন ডেভিড বুকেলে নামে এক মার্কিন আইনজীবী। তিনি ২০১৮ সালে ব্রুকলিনের প্রসপেক্ট পার্কে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। একই ইস্যুতে ২০২২ সালে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের সামনে একই কাজ করেন ওয়েন অ্যালান ব্রুস নামে এক জলবায়ু আন্দোলনকর্মী।
এর আগে, ২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মাহুতি দেন তিউনিসিয়ার যুবক মোহাম্মদ বুয়াজিজি। উচ্চশিক্ষিত এই যুবক পছন্দের চাকরি না পেয়ে ভ্যানে করে শাক-সবজি বিক্রি করতেন। কিন্তু ঘটনার দিন পুলিশ তাঁর দাঁড়ি পাল্লাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করলে প্রতিকারের জন্য তিনি স্থানীয় প্রশাসনে যান। কিন্তু তারা বুয়াজিজিকে ফিরিয়ে দেয়। ক্ষোভে আত্মাহুতি দেন তিনি। তাঁর সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে আরব বিশ্বজুড়ে।
তথ্যসূত্র: টাইমস ম্যাগাজিন ও টাইমস অব ইন্ডিয়া
ভারতের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী সোনা কমস্টারের প্রয়াত নির্বাহী সঞ্জয় কাপুর মারা যাওয়ার পর তাঁর মা রানী কাপুর অভিযোগ করেছেন, তাঁকে একঘরে আটকে রেখে জোর করে কাগজপত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর পুত্রবধূ প্রিয়া সাচদেব কাপুরসহ কিছু ব্যক্তি সোনা গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য এসব করেছেন। তিনি
১৮ মিনিট আগেগত জানুয়ারি ২০২৪-এর নির্বাচনের পর থেকে তাইওয়ানের রাজনীতিতে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) উইলিয়াম লাই নির্বাচিত হলেও পার্লামেন্টের আইনসভায় (লেজিসলেটিভ ইউয়ান) বিরোধী কুওমিনতাং (কেএমটি) এবং তাদের মিত্ররা সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। ফলে সরকার ও আইনসভার
৪০ মিনিট আগেঅভিযোগে ওই তরুণী জানান, শারীরিক পরীক্ষার সময় তিনি জ্ঞান হারান এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে কী ঘটেছে, তা কিছুটা টের পান। পরে তিনি পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান, অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে তিন-চারজন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেছে।
১ ঘণ্টা আগে১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেটার বোস্টনের ১৪টি এলাকায় সেবা দেওয়া টিমস্টারস ইউনিয়নের স্থানীয় শাখা লোকাল ২৫-এর মাধ্যমে এই ধর্মঘট শুরু হয়। পরে এটি ক্যালিফোর্নিয়ার ম্যান্টেকা; ইলিনয়ের অটোয়া; জর্জিয়ার কামিং, ওয়াশিংটনের লেসি শহরে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক কর্মী ধর্মঘটের প্রতি সংহতি জানিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।
১ ঘণ্টা আগে