গোলাম ওয়াদুদ

‘রূপকথা-স্বপ্নলোকবাসী/ রাজপুত্র কোথা হতে আসি/ শুভক্ষণে দেখা দেয় রূপে/ চুপে-চুপে।’ রবীন্দ্রনাথের এই রাজপুত্রের মতো নয় মোটেই। শুভক্ষণ নয়, বরং ক্রান্তির সময়েই যার দেখা মেলে—সে–ই তো রাজপুত্র। ঠিক এমন করেই শুধু অভিধায় নয়, সত্যিকারের নেতার মতো কাজ করছেন বেলজিয়ামের রাজপুত্র ইমানুয়েল ডি মেরোদ। আর এ ক্ষেত্রে তিনি কোনো ভৌগোলিক সীমানাকে বিবেচনায় নেননি। কঙ্গোর ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানে গরিলা রক্ষার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি সামনে দাঁড়িয়ে।
গরিলাদের আবাসস্থল আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান। সেখানে গরিলা রক্ষায় কাজ করাকে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মেরোদ বেলজিয়ামের রাজপুত্র হয়েও এই কঠিনতম কাজ করছেন। বিগত ১২ বছরে এই কাজ করতে গিয়ে মারা গেছেন উদ্যানটির ২০ জনের বেশি কর্মী। চলতি বছরের শুরুতে কঙ্গোয় ইতালির রাষ্ট্রদূতের ওপরও আক্রমণ হয়েছিল। রাষ্ট্রদূত বেঁচে গেলেও সে হামলায় মারা যান তাঁর নিরাপত্তারক্ষী ও গাড়ি চালক।
পাহাড়ি গরিলাদের রক্ষার লক্ষ্যে প্রায় শতবর্ষ আগে এই ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান গড়ে তোলা হয়। সে উদ্দেশ্য কিছুটা হলেও সফল হয়েছে বলা যায়। আফ্রিকার সবচেয়ে পুরোনো ও বৃহত্তম এই উদ্যানে বর্তমানে হাজারখানেক গরিলা রয়েছে। এ সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই তিনটি গরিলা সন্তান জন্মের সুখবর দেন উদ্যানটির কর্মীরা।
ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানটি ৭ হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। বিস্ময়কর একটি স্থান এটি, যেখানে রয়েছে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, বিশাল হৃদ, বন ও পর্বতমালা। এই বিচিত্র নৈসর্গিক পরিবেশে থেকে গরিলা রক্ষার মতো কঠিন কাজটি করতে কিন্তু একেবারেই ক্লান্ত হন না রাজপুত্র মেরোদ।
নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ইমানুয়েল মেরোদ বিবিসিকে বলেন, তিনি তাঁর দল নিয়ে খুব আনন্দে কাজ করছেন। যদিও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। সহযোগীদের যারা মারা গেছেন, তাঁরা তাঁদের কাজ খুব পছন্দ করতেন। তাঁরা চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
কঙ্গোর এই জাতীয় উদ্যানে গত ৩০ বছর ধরে কাজ করছেন ইমানুয়েল ডি মেরোদ। তিন দশক পেরিয়ে গেলেও এখনো তাঁর কাছে প্রথম দিনের স্মৃতিটি জ্বলজ্বলে। উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় কেনা একটি মোটরবাইকে চড়ে সোজা কঙ্গো চলে আসেন। তারপর ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান। এত বড় ও বৈচিত্র্যপূর্ণ উদ্যানের সঙ্গে প্রেম জমে উঠতে সময় লাগেনি।
এত জায়গা ছেড়ে আফ্রিকায় মজলেন কেন রাজপুত্র? উত্তর খুঁজতে হলে ফিরে তাকাতে হয় তাঁর জন্মভূমির দিকে। বেলজিয়ান এই রাজপুত্রের জন্ম উত্তর আফ্রিকায়। এখানেই শেষ নয়, তিনি বেড়ে উঠেছেন কেনিয়াতে। তার পর এই কঙ্গোর জাতীয় উদ্যান।
ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান নিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই উদ্যানে কাজ করাটা মোটেই সহজ নয়। না ঝুঁকিটি গরিলাদের দিক থেকে নয়। ঝুঁকিটি মানুষের কারণেই। অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে গত বছরের সশস্ত্র বাহিনীর গুলিতে ১৩ জন রেঞ্জার নিহত হন। আর গত জানুয়ারিতে স্থানীয় মিলিশিয়াদের অ্যাম্বুশে নিহত হন ছয়জন। এর আগে ২০১৮ সালে একই ধরনের একটি অ্যাম্বুশে ছয়জন উদ্যানকর্মী নিহত হলে ইদ্যানটি আট মাস বন্ধ থাকে। ২০১৯ সালে পুনরায় খুলে দেওয়া হয় উদ্যানটি।
আফ্রিকার দেশ কঙ্গোয় গৃহযুদ্ধ যেন এক চিরকালিন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাত্র এক বছর বিরতির পর মধ্য আফ্রিকার এই দেশে ১৯৯৮ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধ এখনো চলছে। এরই কারণে বন্যপ্রাণী সংরক্ষক থেকে শুরু করে প্রতিটি পেশার সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মাঝেমধ্যেই সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে গোলাগুলির মধ্যে পড়ে মারা পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। ২০১৪ সালে এমনকি ইমানুয়েল ডি মেরোদও গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু মেরোদ দমে যাননি। বরং এই ঘটনাগুলো ইমানুয়েল ডি মেরোদের নেতৃত্বাধীন দলের মনোবল আরও বাড়িয়েছে। বিভিন্ন হামলায় নিহত মাত্র ২৫–৩০ বছর বয়সী ওই সঙ্গীদের স্মৃতিই তাঁদের পথচলার শক্তি জোগাচ্ছে।
মেরোদের ভাষ্যমতে, গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত এই দেশে কাজ করতে হলে আপনাকে এটা মেনে নিতে হবে। আমরা এই উদ্যান টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছি। চলমান প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা কাজ করছি। এর অনেক উত্থান–পতন হয়েছে। অনেক ক্ষতি হলেও ইতিবাচক দিকটি হচ্ছে, আমরা এটি এখনো বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছি। এটাই অর্জন।
এই উদ্যান নিয়ে একটি তথ্যচিত্র করা হয়েছিল ২০১৪ সালে, যা অস্কার পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছিল। একটি ব্রিটিশ তেল উত্তোলন সংস্থার কারণে এই উদ্যানের ক্ষতি হচ্ছিল। সেই সংস্থার বিরুদ্ধে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিল মেরোদের দলের অনেক কর্মী। সেই সময়েই আক্রমণের স্বীকার হয়েছিলেন মেরোদ। উদ্যানের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময়ই তাঁর ওপর হামলা হয়। কিন্তু বেঁচে যান রাজপুত্র।
ব্রিটিশ সেই তেল উত্তোলন কোম্পানির নাম সোকো। তারা ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানের ভেতরেই খনন করে তেল উত্তোলন করার অনুমিত নিয়েছিল। একই সময়ে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছায়। এর মধ্যে মেরোদ আবার নানা তদন্ত প্রতিবেদন জড়ো করে সোকোকে দেওয়া সরকারি অনুমোদন বাতিলের আবেদন করেন। এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যেই হামলা হয় মেরোদের ওপর। সোকো অবশ্য এই হামলার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত এর তদন্তের দাবি জানিয়ে একটি বিবৃতি দেয়। সঙ্গে এও বলে যে, তারা কোনোভাবেই এর সঙ্গে জড়িত নয়।
ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান ও কঙ্গোর রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনের তথ্যমতে, এই উদ্যান কঙ্গোর গৃহযুদ্ধের বেশ কয়েকটি পক্ষের অর্থের উৎস। এখানকার প্রাণী পাচার, গাছ কাটাসহ নানাভাবে এর ক্ষতি করা হচ্ছে। আর এর বিরুদ্ধেই লড়তে হচ্ছে মেরোদ ও তাঁর দলকে।

‘রূপকথা-স্বপ্নলোকবাসী/ রাজপুত্র কোথা হতে আসি/ শুভক্ষণে দেখা দেয় রূপে/ চুপে-চুপে।’ রবীন্দ্রনাথের এই রাজপুত্রের মতো নয় মোটেই। শুভক্ষণ নয়, বরং ক্রান্তির সময়েই যার দেখা মেলে—সে–ই তো রাজপুত্র। ঠিক এমন করেই শুধু অভিধায় নয়, সত্যিকারের নেতার মতো কাজ করছেন বেলজিয়ামের রাজপুত্র ইমানুয়েল ডি মেরোদ। আর এ ক্ষেত্রে তিনি কোনো ভৌগোলিক সীমানাকে বিবেচনায় নেননি। কঙ্গোর ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানে গরিলা রক্ষার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি সামনে দাঁড়িয়ে।
গরিলাদের আবাসস্থল আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান। সেখানে গরিলা রক্ষায় কাজ করাকে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মেরোদ বেলজিয়ামের রাজপুত্র হয়েও এই কঠিনতম কাজ করছেন। বিগত ১২ বছরে এই কাজ করতে গিয়ে মারা গেছেন উদ্যানটির ২০ জনের বেশি কর্মী। চলতি বছরের শুরুতে কঙ্গোয় ইতালির রাষ্ট্রদূতের ওপরও আক্রমণ হয়েছিল। রাষ্ট্রদূত বেঁচে গেলেও সে হামলায় মারা যান তাঁর নিরাপত্তারক্ষী ও গাড়ি চালক।
পাহাড়ি গরিলাদের রক্ষার লক্ষ্যে প্রায় শতবর্ষ আগে এই ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান গড়ে তোলা হয়। সে উদ্দেশ্য কিছুটা হলেও সফল হয়েছে বলা যায়। আফ্রিকার সবচেয়ে পুরোনো ও বৃহত্তম এই উদ্যানে বর্তমানে হাজারখানেক গরিলা রয়েছে। এ সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই তিনটি গরিলা সন্তান জন্মের সুখবর দেন উদ্যানটির কর্মীরা।
ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানটি ৭ হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। বিস্ময়কর একটি স্থান এটি, যেখানে রয়েছে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, বিশাল হৃদ, বন ও পর্বতমালা। এই বিচিত্র নৈসর্গিক পরিবেশে থেকে গরিলা রক্ষার মতো কঠিন কাজটি করতে কিন্তু একেবারেই ক্লান্ত হন না রাজপুত্র মেরোদ।
নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ইমানুয়েল মেরোদ বিবিসিকে বলেন, তিনি তাঁর দল নিয়ে খুব আনন্দে কাজ করছেন। যদিও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। সহযোগীদের যারা মারা গেছেন, তাঁরা তাঁদের কাজ খুব পছন্দ করতেন। তাঁরা চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
কঙ্গোর এই জাতীয় উদ্যানে গত ৩০ বছর ধরে কাজ করছেন ইমানুয়েল ডি মেরোদ। তিন দশক পেরিয়ে গেলেও এখনো তাঁর কাছে প্রথম দিনের স্মৃতিটি জ্বলজ্বলে। উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় কেনা একটি মোটরবাইকে চড়ে সোজা কঙ্গো চলে আসেন। তারপর ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান। এত বড় ও বৈচিত্র্যপূর্ণ উদ্যানের সঙ্গে প্রেম জমে উঠতে সময় লাগেনি।
এত জায়গা ছেড়ে আফ্রিকায় মজলেন কেন রাজপুত্র? উত্তর খুঁজতে হলে ফিরে তাকাতে হয় তাঁর জন্মভূমির দিকে। বেলজিয়ান এই রাজপুত্রের জন্ম উত্তর আফ্রিকায়। এখানেই শেষ নয়, তিনি বেড়ে উঠেছেন কেনিয়াতে। তার পর এই কঙ্গোর জাতীয় উদ্যান।
ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান নিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই উদ্যানে কাজ করাটা মোটেই সহজ নয়। না ঝুঁকিটি গরিলাদের দিক থেকে নয়। ঝুঁকিটি মানুষের কারণেই। অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে গত বছরের সশস্ত্র বাহিনীর গুলিতে ১৩ জন রেঞ্জার নিহত হন। আর গত জানুয়ারিতে স্থানীয় মিলিশিয়াদের অ্যাম্বুশে নিহত হন ছয়জন। এর আগে ২০১৮ সালে একই ধরনের একটি অ্যাম্বুশে ছয়জন উদ্যানকর্মী নিহত হলে ইদ্যানটি আট মাস বন্ধ থাকে। ২০১৯ সালে পুনরায় খুলে দেওয়া হয় উদ্যানটি।
আফ্রিকার দেশ কঙ্গোয় গৃহযুদ্ধ যেন এক চিরকালিন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাত্র এক বছর বিরতির পর মধ্য আফ্রিকার এই দেশে ১৯৯৮ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধ এখনো চলছে। এরই কারণে বন্যপ্রাণী সংরক্ষক থেকে শুরু করে প্রতিটি পেশার সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মাঝেমধ্যেই সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে গোলাগুলির মধ্যে পড়ে মারা পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। ২০১৪ সালে এমনকি ইমানুয়েল ডি মেরোদও গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু মেরোদ দমে যাননি। বরং এই ঘটনাগুলো ইমানুয়েল ডি মেরোদের নেতৃত্বাধীন দলের মনোবল আরও বাড়িয়েছে। বিভিন্ন হামলায় নিহত মাত্র ২৫–৩০ বছর বয়সী ওই সঙ্গীদের স্মৃতিই তাঁদের পথচলার শক্তি জোগাচ্ছে।
মেরোদের ভাষ্যমতে, গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত এই দেশে কাজ করতে হলে আপনাকে এটা মেনে নিতে হবে। আমরা এই উদ্যান টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছি। চলমান প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা কাজ করছি। এর অনেক উত্থান–পতন হয়েছে। অনেক ক্ষতি হলেও ইতিবাচক দিকটি হচ্ছে, আমরা এটি এখনো বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছি। এটাই অর্জন।
এই উদ্যান নিয়ে একটি তথ্যচিত্র করা হয়েছিল ২০১৪ সালে, যা অস্কার পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছিল। একটি ব্রিটিশ তেল উত্তোলন সংস্থার কারণে এই উদ্যানের ক্ষতি হচ্ছিল। সেই সংস্থার বিরুদ্ধে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিল মেরোদের দলের অনেক কর্মী। সেই সময়েই আক্রমণের স্বীকার হয়েছিলেন মেরোদ। উদ্যানের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময়ই তাঁর ওপর হামলা হয়। কিন্তু বেঁচে যান রাজপুত্র।
ব্রিটিশ সেই তেল উত্তোলন কোম্পানির নাম সোকো। তারা ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানের ভেতরেই খনন করে তেল উত্তোলন করার অনুমিত নিয়েছিল। একই সময়ে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছায়। এর মধ্যে মেরোদ আবার নানা তদন্ত প্রতিবেদন জড়ো করে সোকোকে দেওয়া সরকারি অনুমোদন বাতিলের আবেদন করেন। এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যেই হামলা হয় মেরোদের ওপর। সোকো অবশ্য এই হামলার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত এর তদন্তের দাবি জানিয়ে একটি বিবৃতি দেয়। সঙ্গে এও বলে যে, তারা কোনোভাবেই এর সঙ্গে জড়িত নয়।
ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান ও কঙ্গোর রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনের তথ্যমতে, এই উদ্যান কঙ্গোর গৃহযুদ্ধের বেশ কয়েকটি পক্ষের অর্থের উৎস। এখানকার প্রাণী পাচার, গাছ কাটাসহ নানাভাবে এর ক্ষতি করা হচ্ছে। আর এর বিরুদ্ধেই লড়তে হচ্ছে মেরোদ ও তাঁর দলকে।
গোলাম ওয়াদুদ

‘রূপকথা-স্বপ্নলোকবাসী/ রাজপুত্র কোথা হতে আসি/ শুভক্ষণে দেখা দেয় রূপে/ চুপে-চুপে।’ রবীন্দ্রনাথের এই রাজপুত্রের মতো নয় মোটেই। শুভক্ষণ নয়, বরং ক্রান্তির সময়েই যার দেখা মেলে—সে–ই তো রাজপুত্র। ঠিক এমন করেই শুধু অভিধায় নয়, সত্যিকারের নেতার মতো কাজ করছেন বেলজিয়ামের রাজপুত্র ইমানুয়েল ডি মেরোদ। আর এ ক্ষেত্রে তিনি কোনো ভৌগোলিক সীমানাকে বিবেচনায় নেননি। কঙ্গোর ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানে গরিলা রক্ষার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি সামনে দাঁড়িয়ে।
গরিলাদের আবাসস্থল আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান। সেখানে গরিলা রক্ষায় কাজ করাকে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মেরোদ বেলজিয়ামের রাজপুত্র হয়েও এই কঠিনতম কাজ করছেন। বিগত ১২ বছরে এই কাজ করতে গিয়ে মারা গেছেন উদ্যানটির ২০ জনের বেশি কর্মী। চলতি বছরের শুরুতে কঙ্গোয় ইতালির রাষ্ট্রদূতের ওপরও আক্রমণ হয়েছিল। রাষ্ট্রদূত বেঁচে গেলেও সে হামলায় মারা যান তাঁর নিরাপত্তারক্ষী ও গাড়ি চালক।
পাহাড়ি গরিলাদের রক্ষার লক্ষ্যে প্রায় শতবর্ষ আগে এই ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান গড়ে তোলা হয়। সে উদ্দেশ্য কিছুটা হলেও সফল হয়েছে বলা যায়। আফ্রিকার সবচেয়ে পুরোনো ও বৃহত্তম এই উদ্যানে বর্তমানে হাজারখানেক গরিলা রয়েছে। এ সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই তিনটি গরিলা সন্তান জন্মের সুখবর দেন উদ্যানটির কর্মীরা।
ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানটি ৭ হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। বিস্ময়কর একটি স্থান এটি, যেখানে রয়েছে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, বিশাল হৃদ, বন ও পর্বতমালা। এই বিচিত্র নৈসর্গিক পরিবেশে থেকে গরিলা রক্ষার মতো কঠিন কাজটি করতে কিন্তু একেবারেই ক্লান্ত হন না রাজপুত্র মেরোদ।
নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ইমানুয়েল মেরোদ বিবিসিকে বলেন, তিনি তাঁর দল নিয়ে খুব আনন্দে কাজ করছেন। যদিও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। সহযোগীদের যারা মারা গেছেন, তাঁরা তাঁদের কাজ খুব পছন্দ করতেন। তাঁরা চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
কঙ্গোর এই জাতীয় উদ্যানে গত ৩০ বছর ধরে কাজ করছেন ইমানুয়েল ডি মেরোদ। তিন দশক পেরিয়ে গেলেও এখনো তাঁর কাছে প্রথম দিনের স্মৃতিটি জ্বলজ্বলে। উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় কেনা একটি মোটরবাইকে চড়ে সোজা কঙ্গো চলে আসেন। তারপর ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান। এত বড় ও বৈচিত্র্যপূর্ণ উদ্যানের সঙ্গে প্রেম জমে উঠতে সময় লাগেনি।
এত জায়গা ছেড়ে আফ্রিকায় মজলেন কেন রাজপুত্র? উত্তর খুঁজতে হলে ফিরে তাকাতে হয় তাঁর জন্মভূমির দিকে। বেলজিয়ান এই রাজপুত্রের জন্ম উত্তর আফ্রিকায়। এখানেই শেষ নয়, তিনি বেড়ে উঠেছেন কেনিয়াতে। তার পর এই কঙ্গোর জাতীয় উদ্যান।
ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান নিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই উদ্যানে কাজ করাটা মোটেই সহজ নয়। না ঝুঁকিটি গরিলাদের দিক থেকে নয়। ঝুঁকিটি মানুষের কারণেই। অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে গত বছরের সশস্ত্র বাহিনীর গুলিতে ১৩ জন রেঞ্জার নিহত হন। আর গত জানুয়ারিতে স্থানীয় মিলিশিয়াদের অ্যাম্বুশে নিহত হন ছয়জন। এর আগে ২০১৮ সালে একই ধরনের একটি অ্যাম্বুশে ছয়জন উদ্যানকর্মী নিহত হলে ইদ্যানটি আট মাস বন্ধ থাকে। ২০১৯ সালে পুনরায় খুলে দেওয়া হয় উদ্যানটি।
আফ্রিকার দেশ কঙ্গোয় গৃহযুদ্ধ যেন এক চিরকালিন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাত্র এক বছর বিরতির পর মধ্য আফ্রিকার এই দেশে ১৯৯৮ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধ এখনো চলছে। এরই কারণে বন্যপ্রাণী সংরক্ষক থেকে শুরু করে প্রতিটি পেশার সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মাঝেমধ্যেই সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে গোলাগুলির মধ্যে পড়ে মারা পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। ২০১৪ সালে এমনকি ইমানুয়েল ডি মেরোদও গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু মেরোদ দমে যাননি। বরং এই ঘটনাগুলো ইমানুয়েল ডি মেরোদের নেতৃত্বাধীন দলের মনোবল আরও বাড়িয়েছে। বিভিন্ন হামলায় নিহত মাত্র ২৫–৩০ বছর বয়সী ওই সঙ্গীদের স্মৃতিই তাঁদের পথচলার শক্তি জোগাচ্ছে।
মেরোদের ভাষ্যমতে, গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত এই দেশে কাজ করতে হলে আপনাকে এটা মেনে নিতে হবে। আমরা এই উদ্যান টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছি। চলমান প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা কাজ করছি। এর অনেক উত্থান–পতন হয়েছে। অনেক ক্ষতি হলেও ইতিবাচক দিকটি হচ্ছে, আমরা এটি এখনো বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছি। এটাই অর্জন।
এই উদ্যান নিয়ে একটি তথ্যচিত্র করা হয়েছিল ২০১৪ সালে, যা অস্কার পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছিল। একটি ব্রিটিশ তেল উত্তোলন সংস্থার কারণে এই উদ্যানের ক্ষতি হচ্ছিল। সেই সংস্থার বিরুদ্ধে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিল মেরোদের দলের অনেক কর্মী। সেই সময়েই আক্রমণের স্বীকার হয়েছিলেন মেরোদ। উদ্যানের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময়ই তাঁর ওপর হামলা হয়। কিন্তু বেঁচে যান রাজপুত্র।
ব্রিটিশ সেই তেল উত্তোলন কোম্পানির নাম সোকো। তারা ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানের ভেতরেই খনন করে তেল উত্তোলন করার অনুমিত নিয়েছিল। একই সময়ে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছায়। এর মধ্যে মেরোদ আবার নানা তদন্ত প্রতিবেদন জড়ো করে সোকোকে দেওয়া সরকারি অনুমোদন বাতিলের আবেদন করেন। এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যেই হামলা হয় মেরোদের ওপর। সোকো অবশ্য এই হামলার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত এর তদন্তের দাবি জানিয়ে একটি বিবৃতি দেয়। সঙ্গে এও বলে যে, তারা কোনোভাবেই এর সঙ্গে জড়িত নয়।
ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান ও কঙ্গোর রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনের তথ্যমতে, এই উদ্যান কঙ্গোর গৃহযুদ্ধের বেশ কয়েকটি পক্ষের অর্থের উৎস। এখানকার প্রাণী পাচার, গাছ কাটাসহ নানাভাবে এর ক্ষতি করা হচ্ছে। আর এর বিরুদ্ধেই লড়তে হচ্ছে মেরোদ ও তাঁর দলকে।

‘রূপকথা-স্বপ্নলোকবাসী/ রাজপুত্র কোথা হতে আসি/ শুভক্ষণে দেখা দেয় রূপে/ চুপে-চুপে।’ রবীন্দ্রনাথের এই রাজপুত্রের মতো নয় মোটেই। শুভক্ষণ নয়, বরং ক্রান্তির সময়েই যার দেখা মেলে—সে–ই তো রাজপুত্র। ঠিক এমন করেই শুধু অভিধায় নয়, সত্যিকারের নেতার মতো কাজ করছেন বেলজিয়ামের রাজপুত্র ইমানুয়েল ডি মেরোদ। আর এ ক্ষেত্রে তিনি কোনো ভৌগোলিক সীমানাকে বিবেচনায় নেননি। কঙ্গোর ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানে গরিলা রক্ষার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি সামনে দাঁড়িয়ে।
গরিলাদের আবাসস্থল আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান। সেখানে গরিলা রক্ষায় কাজ করাকে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মেরোদ বেলজিয়ামের রাজপুত্র হয়েও এই কঠিনতম কাজ করছেন। বিগত ১২ বছরে এই কাজ করতে গিয়ে মারা গেছেন উদ্যানটির ২০ জনের বেশি কর্মী। চলতি বছরের শুরুতে কঙ্গোয় ইতালির রাষ্ট্রদূতের ওপরও আক্রমণ হয়েছিল। রাষ্ট্রদূত বেঁচে গেলেও সে হামলায় মারা যান তাঁর নিরাপত্তারক্ষী ও গাড়ি চালক।
পাহাড়ি গরিলাদের রক্ষার লক্ষ্যে প্রায় শতবর্ষ আগে এই ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান গড়ে তোলা হয়। সে উদ্দেশ্য কিছুটা হলেও সফল হয়েছে বলা যায়। আফ্রিকার সবচেয়ে পুরোনো ও বৃহত্তম এই উদ্যানে বর্তমানে হাজারখানেক গরিলা রয়েছে। এ সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই তিনটি গরিলা সন্তান জন্মের সুখবর দেন উদ্যানটির কর্মীরা।
ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানটি ৭ হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। বিস্ময়কর একটি স্থান এটি, যেখানে রয়েছে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, বিশাল হৃদ, বন ও পর্বতমালা। এই বিচিত্র নৈসর্গিক পরিবেশে থেকে গরিলা রক্ষার মতো কঠিন কাজটি করতে কিন্তু একেবারেই ক্লান্ত হন না রাজপুত্র মেরোদ।
নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ইমানুয়েল মেরোদ বিবিসিকে বলেন, তিনি তাঁর দল নিয়ে খুব আনন্দে কাজ করছেন। যদিও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। সহযোগীদের যারা মারা গেছেন, তাঁরা তাঁদের কাজ খুব পছন্দ করতেন। তাঁরা চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
কঙ্গোর এই জাতীয় উদ্যানে গত ৩০ বছর ধরে কাজ করছেন ইমানুয়েল ডি মেরোদ। তিন দশক পেরিয়ে গেলেও এখনো তাঁর কাছে প্রথম দিনের স্মৃতিটি জ্বলজ্বলে। উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় কেনা একটি মোটরবাইকে চড়ে সোজা কঙ্গো চলে আসেন। তারপর ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান। এত বড় ও বৈচিত্র্যপূর্ণ উদ্যানের সঙ্গে প্রেম জমে উঠতে সময় লাগেনি।
এত জায়গা ছেড়ে আফ্রিকায় মজলেন কেন রাজপুত্র? উত্তর খুঁজতে হলে ফিরে তাকাতে হয় তাঁর জন্মভূমির দিকে। বেলজিয়ান এই রাজপুত্রের জন্ম উত্তর আফ্রিকায়। এখানেই শেষ নয়, তিনি বেড়ে উঠেছেন কেনিয়াতে। তার পর এই কঙ্গোর জাতীয় উদ্যান।
ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান নিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই উদ্যানে কাজ করাটা মোটেই সহজ নয়। না ঝুঁকিটি গরিলাদের দিক থেকে নয়। ঝুঁকিটি মানুষের কারণেই। অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে গত বছরের সশস্ত্র বাহিনীর গুলিতে ১৩ জন রেঞ্জার নিহত হন। আর গত জানুয়ারিতে স্থানীয় মিলিশিয়াদের অ্যাম্বুশে নিহত হন ছয়জন। এর আগে ২০১৮ সালে একই ধরনের একটি অ্যাম্বুশে ছয়জন উদ্যানকর্মী নিহত হলে ইদ্যানটি আট মাস বন্ধ থাকে। ২০১৯ সালে পুনরায় খুলে দেওয়া হয় উদ্যানটি।
আফ্রিকার দেশ কঙ্গোয় গৃহযুদ্ধ যেন এক চিরকালিন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাত্র এক বছর বিরতির পর মধ্য আফ্রিকার এই দেশে ১৯৯৮ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধ এখনো চলছে। এরই কারণে বন্যপ্রাণী সংরক্ষক থেকে শুরু করে প্রতিটি পেশার সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মাঝেমধ্যেই সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে গোলাগুলির মধ্যে পড়ে মারা পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। ২০১৪ সালে এমনকি ইমানুয়েল ডি মেরোদও গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু মেরোদ দমে যাননি। বরং এই ঘটনাগুলো ইমানুয়েল ডি মেরোদের নেতৃত্বাধীন দলের মনোবল আরও বাড়িয়েছে। বিভিন্ন হামলায় নিহত মাত্র ২৫–৩০ বছর বয়সী ওই সঙ্গীদের স্মৃতিই তাঁদের পথচলার শক্তি জোগাচ্ছে।
মেরোদের ভাষ্যমতে, গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত এই দেশে কাজ করতে হলে আপনাকে এটা মেনে নিতে হবে। আমরা এই উদ্যান টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছি। চলমান প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা কাজ করছি। এর অনেক উত্থান–পতন হয়েছে। অনেক ক্ষতি হলেও ইতিবাচক দিকটি হচ্ছে, আমরা এটি এখনো বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছি। এটাই অর্জন।
এই উদ্যান নিয়ে একটি তথ্যচিত্র করা হয়েছিল ২০১৪ সালে, যা অস্কার পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছিল। একটি ব্রিটিশ তেল উত্তোলন সংস্থার কারণে এই উদ্যানের ক্ষতি হচ্ছিল। সেই সংস্থার বিরুদ্ধে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিল মেরোদের দলের অনেক কর্মী। সেই সময়েই আক্রমণের স্বীকার হয়েছিলেন মেরোদ। উদ্যানের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময়ই তাঁর ওপর হামলা হয়। কিন্তু বেঁচে যান রাজপুত্র।
ব্রিটিশ সেই তেল উত্তোলন কোম্পানির নাম সোকো। তারা ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানের ভেতরেই খনন করে তেল উত্তোলন করার অনুমিত নিয়েছিল। একই সময়ে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছায়। এর মধ্যে মেরোদ আবার নানা তদন্ত প্রতিবেদন জড়ো করে সোকোকে দেওয়া সরকারি অনুমোদন বাতিলের আবেদন করেন। এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যেই হামলা হয় মেরোদের ওপর। সোকো অবশ্য এই হামলার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত এর তদন্তের দাবি জানিয়ে একটি বিবৃতি দেয়। সঙ্গে এও বলে যে, তারা কোনোভাবেই এর সঙ্গে জড়িত নয়।
ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান ও কঙ্গোর রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনের তথ্যমতে, এই উদ্যান কঙ্গোর গৃহযুদ্ধের বেশ কয়েকটি পক্ষের অর্থের উৎস। এখানকার প্রাণী পাচার, গাছ কাটাসহ নানাভাবে এর ক্ষতি করা হচ্ছে। আর এর বিরুদ্ধেই লড়তে হচ্ছে মেরোদ ও তাঁর দলকে।

চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
৪১ মিনিট আগে
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
২ ঘণ্টা আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
সম্প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোতে এই প্র্যাঙ্ক ভাইরাল হওয়ার পর তা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই ট্রেন্ডে অংশ নিতে ব্যবহারকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে ছবি বা ভিডিও তৈরি করেন। এসব ছবি বা ভিডিওতে অপরিচ্ছন্ন বেশভূষার এক গৃহহীন ব্যক্তিকে ব্যবহারকারীর বাড়ি বা কর্মস্থলে অবস্থান করতে দেখা যায়।
এরপর সেই ছবি বা ভিডিও ওই নারীরা তাঁদের স্বামী বা প্রেমিককে পাঠান। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা সঙ্গীদের অনুভূতি ও দায়বদ্ধতা পরখ করে দেখেন।
এ ধরনের ছবি তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে গুগলের জেমিনি বা মাইএডিটের ‘এআই রিপ্লেস’-এর মতো টুল।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক আইনজীবীর পরিবার এমন এক ভাইরাল প্র্যাঙ্কের ঘটনায় পুলিশ ডাকার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছিল।
আরেক ঘটনায় চীনের পূর্বাঞ্চলীয় আনহুই প্রদেশে এক নারী তাঁর স্বামীকে ঘরে একজন ‘গৃহহীন ব্যক্তি ঢুকে পড়েছে’—এমন এআই দিয়ে বানানো ছবি পাঠান। সে সময় তাঁর স্বামী বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খাচ্ছিলেন।
ছবি দেখে তিনি সেটিকে সত্যি ভেবে পুলিশে ফোন দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে তারা বুঝতে পারে, ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাটিকে ‘জনসাধারণের সম্পদের অপচয়’ বলে মন্তব্য করেন এবং ওই নারীকে ‘ভয় ছড়ানোর অপরাধে’ অভিযুক্ত করেন।
চীনের জননিরাপত্তা প্রশাসন শাস্তি আইন অনুযায়ী, এমন কাজের জন্য সর্বোচ্চ ১০ দিনের আটকাদেশ এবং প্রায় ৭০ ডলার জরিমানার বিধান আছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক চীনা পুরুষ এ ধরনের প্র্যাঙ্ক বা দুষ্টুমির তীব্র সমালোচনা করেছেন।
একজন লিখেছেন, ‘আপনারা কি সেই রাখাল ছেলের গল্প শোনেননি, যে নেকড়ে এসেছে বলে মিথ্যা চিৎকার দিত? যদি আপনারা বারবার মিথ্যা সতর্কতা দেন, তাহলে সত্যি সত্যি বিপদ হলেও কেউ আপনাদের বিশ্বাস করবে না।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরেকজন লিখেছেন, ‘এআই আমাদের জীবনে সুবিধা এনেছে, কিন্তু একই সঙ্গে এটি আস্থার সংকটও তৈরি করেছে। প্ল্যাটফর্মের উচিত, এআই কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নেওয়া।’

চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
সম্প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোতে এই প্র্যাঙ্ক ভাইরাল হওয়ার পর তা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই ট্রেন্ডে অংশ নিতে ব্যবহারকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে ছবি বা ভিডিও তৈরি করেন। এসব ছবি বা ভিডিওতে অপরিচ্ছন্ন বেশভূষার এক গৃহহীন ব্যক্তিকে ব্যবহারকারীর বাড়ি বা কর্মস্থলে অবস্থান করতে দেখা যায়।
এরপর সেই ছবি বা ভিডিও ওই নারীরা তাঁদের স্বামী বা প্রেমিককে পাঠান। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা সঙ্গীদের অনুভূতি ও দায়বদ্ধতা পরখ করে দেখেন।
এ ধরনের ছবি তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে গুগলের জেমিনি বা মাইএডিটের ‘এআই রিপ্লেস’-এর মতো টুল।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক আইনজীবীর পরিবার এমন এক ভাইরাল প্র্যাঙ্কের ঘটনায় পুলিশ ডাকার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছিল।
আরেক ঘটনায় চীনের পূর্বাঞ্চলীয় আনহুই প্রদেশে এক নারী তাঁর স্বামীকে ঘরে একজন ‘গৃহহীন ব্যক্তি ঢুকে পড়েছে’—এমন এআই দিয়ে বানানো ছবি পাঠান। সে সময় তাঁর স্বামী বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খাচ্ছিলেন।
ছবি দেখে তিনি সেটিকে সত্যি ভেবে পুলিশে ফোন দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে তারা বুঝতে পারে, ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাটিকে ‘জনসাধারণের সম্পদের অপচয়’ বলে মন্তব্য করেন এবং ওই নারীকে ‘ভয় ছড়ানোর অপরাধে’ অভিযুক্ত করেন।
চীনের জননিরাপত্তা প্রশাসন শাস্তি আইন অনুযায়ী, এমন কাজের জন্য সর্বোচ্চ ১০ দিনের আটকাদেশ এবং প্রায় ৭০ ডলার জরিমানার বিধান আছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক চীনা পুরুষ এ ধরনের প্র্যাঙ্ক বা দুষ্টুমির তীব্র সমালোচনা করেছেন।
একজন লিখেছেন, ‘আপনারা কি সেই রাখাল ছেলের গল্প শোনেননি, যে নেকড়ে এসেছে বলে মিথ্যা চিৎকার দিত? যদি আপনারা বারবার মিথ্যা সতর্কতা দেন, তাহলে সত্যি সত্যি বিপদ হলেও কেউ আপনাদের বিশ্বাস করবে না।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরেকজন লিখেছেন, ‘এআই আমাদের জীবনে সুবিধা এনেছে, কিন্তু একই সঙ্গে এটি আস্থার সংকটও তৈরি করেছে। প্ল্যাটফর্মের উচিত, এআই কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নেওয়া।’

গরিলাদের আবাসস্থল আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান। সেখানে গরিলা রক্ষায় কাজ করাকে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মেরোদ বেলজিয়ামের রাজপুত্র হয়েও এই কঠিনতম কাজ করছেন।
০১ জুলাই ২০২১
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
২ ঘণ্টা আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার।
চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেনটিকে ট্র্যাকে নামানো হয়। এটি বর্তমানে চীনের সর্বোচ্চ গতির চলমান সিআর–৪০০ ফুজিং ট্রেনের তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত। ফুজিং ট্রেনগুলো প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫০ কিলোমিটার গতিতে চলে।

ট্রেনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি করপোরেশন লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ফেং জানিয়েছেন, সিআর–৪৫০ উচ্চগতির ট্রেন প্রযুক্তিতে এক বিশাল অগ্রগতি এনেছে। তত্ত্ব, প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি, মানদণ্ড ও পরিচালন ব্যবস্থাপনা—সব ক্ষেত্রেই নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে এই ট্রেন।
৪০০ কিলোমিটার গতির নজিরবিহীন গতি অর্জনের জন্য প্রকৌশলীরা ট্রেনটির ট্র্যাকশন পাওয়ার (ট্রেনে বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা), ডাইনামিক পারফরম্যান্স বা গতিশীল অবস্থায় ট্রেনটিতে যাবতীয় পরিবর্তন পরিমাপ এবং প্যান্টোগ্রাফ সিস্টেম বা বৈদ্যুতিক লাইন থেকে যে ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি ট্রেনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় তা উন্নত করেছেন।
ওয়াংয়ের ভাষায়, ট্রেনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ওয়াটার-কুলড পারমানেন্ট ম্যাগনেট ট্র্যাকশন সিস্টেম, নতুন প্রজন্মের উচ্চ-স্থিতিশীলতা বগি এবং একাধিক উদ্ভাবনী সিস্টেম। যার ফলে দীর্ঘ সময় উচ্চ গতিতে চলাচলেও এটি স্থিতিশীল থাকে। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সিআর–৪৫০ এক ধাপ এগিয়ে। এতে রয়েছে মাল্টিলেয়ার ইমারজেন্সি ব্রেক নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি এবং ৪ হাজারেরও বেশি অনবোর্ড মনিটরিং সেন্সর, যা চলমান অবস্থায় ট্রেনের গিয়ার, পুরো ট্রেন, হাই–ভোল্টেজ প্যান্টোগ্রাফ, ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা—সবকিছুই তাৎক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে। এ ছাড়া, ওভার-দ্য-হরাইজন শনাক্তকরণ ব্যবস্থাও যুক্ত হয়েছে এতে। এই ব্যবস্থা ট্রেনের সামনে ট্র্যাকের জরুরি পরিস্থিতি আগেভাগে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রেও এসেছে বিপ্লব। বগির ‘স্ট্রিমলাইনড কাওলিং’ ধাঁচের নকশা বাতাসের ঘর্ষণ ও প্রতিরোধ কমিয়েছে, আর নতুন হালকা উপকরণ ও প্রযুক্তি ট্রেনের মোট ওজন ১০ শতাংশ কমিয়েছে এবং চলাচলের ক্ষেত্রে ট্র্যাকের সঙ্গে চাকার এবং সামগ্রিক ঘর্ষণ প্রতিরোধ ২২ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে।
ট্রেনের শব্দ নিয়ন্ত্রণেও এসেছে অগ্রগতি। সাতটি নতুন প্রযুক্তি—যেমন সাউন্ড-অ্যাবসর্বিং উপকরণ ও উন্নত অ্যারোডাইনামিক নকশা ট্রেনের অভ্যন্তরীণ শব্দ ২ ডেসিবল কমিয়েছে। ফলে যাত্রীরা পাচ্ছেন আরও নিঃশব্দ ও আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।
তা ছাড়া, সিআর–৪৫০ এ যুক্ত হয়েছে একাধিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ফিচার, যা ট্রেনের পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, চালকের সঙ্গে যোগাযোগ, নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ এবং যাত্রীসেবা—সব দিক থেকেই একে আগের সব মডেলের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে বলে জানান ওয়াং।

বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার।
চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেনটিকে ট্র্যাকে নামানো হয়। এটি বর্তমানে চীনের সর্বোচ্চ গতির চলমান সিআর–৪০০ ফুজিং ট্রেনের তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত। ফুজিং ট্রেনগুলো প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫০ কিলোমিটার গতিতে চলে।

ট্রেনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি করপোরেশন লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ফেং জানিয়েছেন, সিআর–৪৫০ উচ্চগতির ট্রেন প্রযুক্তিতে এক বিশাল অগ্রগতি এনেছে। তত্ত্ব, প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি, মানদণ্ড ও পরিচালন ব্যবস্থাপনা—সব ক্ষেত্রেই নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে এই ট্রেন।
৪০০ কিলোমিটার গতির নজিরবিহীন গতি অর্জনের জন্য প্রকৌশলীরা ট্রেনটির ট্র্যাকশন পাওয়ার (ট্রেনে বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা), ডাইনামিক পারফরম্যান্স বা গতিশীল অবস্থায় ট্রেনটিতে যাবতীয় পরিবর্তন পরিমাপ এবং প্যান্টোগ্রাফ সিস্টেম বা বৈদ্যুতিক লাইন থেকে যে ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি ট্রেনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় তা উন্নত করেছেন।
ওয়াংয়ের ভাষায়, ট্রেনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ওয়াটার-কুলড পারমানেন্ট ম্যাগনেট ট্র্যাকশন সিস্টেম, নতুন প্রজন্মের উচ্চ-স্থিতিশীলতা বগি এবং একাধিক উদ্ভাবনী সিস্টেম। যার ফলে দীর্ঘ সময় উচ্চ গতিতে চলাচলেও এটি স্থিতিশীল থাকে। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সিআর–৪৫০ এক ধাপ এগিয়ে। এতে রয়েছে মাল্টিলেয়ার ইমারজেন্সি ব্রেক নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি এবং ৪ হাজারেরও বেশি অনবোর্ড মনিটরিং সেন্সর, যা চলমান অবস্থায় ট্রেনের গিয়ার, পুরো ট্রেন, হাই–ভোল্টেজ প্যান্টোগ্রাফ, ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা—সবকিছুই তাৎক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে। এ ছাড়া, ওভার-দ্য-হরাইজন শনাক্তকরণ ব্যবস্থাও যুক্ত হয়েছে এতে। এই ব্যবস্থা ট্রেনের সামনে ট্র্যাকের জরুরি পরিস্থিতি আগেভাগে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রেও এসেছে বিপ্লব। বগির ‘স্ট্রিমলাইনড কাওলিং’ ধাঁচের নকশা বাতাসের ঘর্ষণ ও প্রতিরোধ কমিয়েছে, আর নতুন হালকা উপকরণ ও প্রযুক্তি ট্রেনের মোট ওজন ১০ শতাংশ কমিয়েছে এবং চলাচলের ক্ষেত্রে ট্র্যাকের সঙ্গে চাকার এবং সামগ্রিক ঘর্ষণ প্রতিরোধ ২২ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে।
ট্রেনের শব্দ নিয়ন্ত্রণেও এসেছে অগ্রগতি। সাতটি নতুন প্রযুক্তি—যেমন সাউন্ড-অ্যাবসর্বিং উপকরণ ও উন্নত অ্যারোডাইনামিক নকশা ট্রেনের অভ্যন্তরীণ শব্দ ২ ডেসিবল কমিয়েছে। ফলে যাত্রীরা পাচ্ছেন আরও নিঃশব্দ ও আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।
তা ছাড়া, সিআর–৪৫০ এ যুক্ত হয়েছে একাধিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ফিচার, যা ট্রেনের পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, চালকের সঙ্গে যোগাযোগ, নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ এবং যাত্রীসেবা—সব দিক থেকেই একে আগের সব মডেলের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে বলে জানান ওয়াং।

গরিলাদের আবাসস্থল আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান। সেখানে গরিলা রক্ষায় কাজ করাকে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মেরোদ বেলজিয়ামের রাজপুত্র হয়েও এই কঠিনতম কাজ করছেন।
০১ জুলাই ২০২১
চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
৪১ মিনিট আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
২ ঘণ্টা আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনএইচপিসি লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম সীমান্তে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ২৫০ মেগাওয়াট ইউনিটের ‘ওয়েট কমিশনিং’ গত শুক্রবার শুরু হয়েছে। সংস্থাটির এক মুখপাত্র দ্য হিন্দুকে বলেছেন, ‘ওয়েট কমিশনিং মূলত টারবাইনের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয় পরীক্ষা করার একটি প্রক্রিয়া, এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় না। পানির প্রবাহের ভিত্তি করে এই পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত চলতে পারে।’
২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পে রয়েছে আটটি ইউনিট, প্রতিটির ক্ষমতা ২৫০ মেগাওয়াট।
মুখপাত্র জানান, এই আটটির মধ্যে চারটি ইউনিট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। পরবর্তী ধাপে অন্তত দুটি ইউনিট সমন্বয় করা হবে, যাতে প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যায়।
অরুণাচল প্রদেশ ও আসামের সীমানার গেরুকামুখে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু ২০১১ সালে আসামে বাঁধবিরোধী আন্দোলন ও ভাটিতে পরিবেশগত ক্ষতির আশঙ্কায় প্রকল্পের কাজ স্থগিত করা হয়।
এরপর, ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে পুনরায় কাজ শুরু হয়। সেই সময় এনএইচপিসি প্রকল্পটিতে বাড়তি নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণমূলক পরিবেশ–সংরক্ষণ ব্যবস্থা যুক্ত করে। এনএইচপিসি চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভূপেন্দর গুপ্তা পরীক্ষামূলক এই কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই অর্জন এনএইচপিসির প্রকৌশল দক্ষতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি কেবল একটি প্রকল্প–মাইলফলক নয়, বরং ভারতের পরিবেশবান্ধব ও স্বনির্ভর জ্বালানি ভবিষ্যতের দিকে অগ্রযাত্রার প্রতীক।’

ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনএইচপিসি লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম সীমান্তে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ২৫০ মেগাওয়াট ইউনিটের ‘ওয়েট কমিশনিং’ গত শুক্রবার শুরু হয়েছে। সংস্থাটির এক মুখপাত্র দ্য হিন্দুকে বলেছেন, ‘ওয়েট কমিশনিং মূলত টারবাইনের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয় পরীক্ষা করার একটি প্রক্রিয়া, এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় না। পানির প্রবাহের ভিত্তি করে এই পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত চলতে পারে।’
২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পে রয়েছে আটটি ইউনিট, প্রতিটির ক্ষমতা ২৫০ মেগাওয়াট।
মুখপাত্র জানান, এই আটটির মধ্যে চারটি ইউনিট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। পরবর্তী ধাপে অন্তত দুটি ইউনিট সমন্বয় করা হবে, যাতে প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যায়।
অরুণাচল প্রদেশ ও আসামের সীমানার গেরুকামুখে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু ২০১১ সালে আসামে বাঁধবিরোধী আন্দোলন ও ভাটিতে পরিবেশগত ক্ষতির আশঙ্কায় প্রকল্পের কাজ স্থগিত করা হয়।
এরপর, ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে পুনরায় কাজ শুরু হয়। সেই সময় এনএইচপিসি প্রকল্পটিতে বাড়তি নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণমূলক পরিবেশ–সংরক্ষণ ব্যবস্থা যুক্ত করে। এনএইচপিসি চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভূপেন্দর গুপ্তা পরীক্ষামূলক এই কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই অর্জন এনএইচপিসির প্রকৌশল দক্ষতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি কেবল একটি প্রকল্প–মাইলফলক নয়, বরং ভারতের পরিবেশবান্ধব ও স্বনির্ভর জ্বালানি ভবিষ্যতের দিকে অগ্রযাত্রার প্রতীক।’

গরিলাদের আবাসস্থল আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান। সেখানে গরিলা রক্ষায় কাজ করাকে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মেরোদ বেলজিয়ামের রাজপুত্র হয়েও এই কঠিনতম কাজ করছেন।
০১ জুলাই ২০২১
চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
৪১ মিনিট আগে
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
২ ঘণ্টা আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
িহত ব্যক্তির নাম যোগেশ কুমার। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের বাসিন্দা। গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেডিওথেরাপিস্ট হিসাবে কাজ করতেন। ৯ বছর আগে নেহা রাওয়াত নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। ছয় বছরের একটি সন্তান রয়েছে এ দম্পতির।
যোগেশের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁর চাচা প্রকাশ সিং। তিনি বলেন, যোগেশকে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন হয়রানি করছিলেন। তারা চাইতেন না যোগেশের মা তাদের সঙ্গে থাকুক।
প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন, যোগেশ ও নেহা আগে নয়ডাতে থাকতেন। নেহা সেখানে চাকরি করতেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কর্মরত থাকায় সন্তানের ঠিকমতো যত্ন নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না বলে যোগেশ তাঁর মাকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। নেহা এতে রাজি হননি।
ছয় মাস আগে যোগেশ সন্তানকে নিয়ে ফরিদাবাদের সেক্টর ৮৭-এর পার্ল সোসাইটিতে চলে আসেন। নেহা নয়ডাতে থেকে যান। এ সময় যোগেশ সন্তানের দেখভাল করতে তাঁর মাকে নিয়ে আসেন।
যোগেশের চাচা অভিযোগে আরও বলেন, এক মাস আগে ওই বাসায় এসে যোগেশের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন নেহা। সে সময় যোগেশের মায়ের সেখানে থাকা নিয়ে আপত্তি তোলেন তিনি।
পরে নেহার দুই ভাই আশীষ রাওয়াত ও অমিত রাওয়াত এসে যোগেশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসব নিয়ে যোগেশ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে তাঁর চাচা প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন।
চাচার অভিযোগ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার যোগেশ নেহাকে নিয়ে গোয়ালিয়রে যান। ফেরার পথে নেহাকে নয়ডায় নামিয়ে দিয়ে একাই পার্ল সোসাইটির ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন। পরদিন শুক্রবার রাতে পার্ল সোসাইটির ১৫ তলা থেকে লাফ দেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এ ঘটনায় ভুপানি থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে যোগেশের স্ত্রী নেহা রাওয়াত, তাঁর বাবা-মা বীর সিং রাওয়াত ও শান্তি রাওয়াত এবং দুই ভাই আশীষ ও অমিত রাওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ভুপানি থানার এসএইচও ইন্সপেক্টর সংগ্রাম দাহিয়া বলেন, ‘আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছি।’

শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
িহত ব্যক্তির নাম যোগেশ কুমার। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের বাসিন্দা। গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেডিওথেরাপিস্ট হিসাবে কাজ করতেন। ৯ বছর আগে নেহা রাওয়াত নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। ছয় বছরের একটি সন্তান রয়েছে এ দম্পতির।
যোগেশের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁর চাচা প্রকাশ সিং। তিনি বলেন, যোগেশকে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন হয়রানি করছিলেন। তারা চাইতেন না যোগেশের মা তাদের সঙ্গে থাকুক।
প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন, যোগেশ ও নেহা আগে নয়ডাতে থাকতেন। নেহা সেখানে চাকরি করতেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কর্মরত থাকায় সন্তানের ঠিকমতো যত্ন নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না বলে যোগেশ তাঁর মাকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। নেহা এতে রাজি হননি।
ছয় মাস আগে যোগেশ সন্তানকে নিয়ে ফরিদাবাদের সেক্টর ৮৭-এর পার্ল সোসাইটিতে চলে আসেন। নেহা নয়ডাতে থেকে যান। এ সময় যোগেশ সন্তানের দেখভাল করতে তাঁর মাকে নিয়ে আসেন।
যোগেশের চাচা অভিযোগে আরও বলেন, এক মাস আগে ওই বাসায় এসে যোগেশের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন নেহা। সে সময় যোগেশের মায়ের সেখানে থাকা নিয়ে আপত্তি তোলেন তিনি।
পরে নেহার দুই ভাই আশীষ রাওয়াত ও অমিত রাওয়াত এসে যোগেশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসব নিয়ে যোগেশ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে তাঁর চাচা প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন।
চাচার অভিযোগ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার যোগেশ নেহাকে নিয়ে গোয়ালিয়রে যান। ফেরার পথে নেহাকে নয়ডায় নামিয়ে দিয়ে একাই পার্ল সোসাইটির ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন। পরদিন শুক্রবার রাতে পার্ল সোসাইটির ১৫ তলা থেকে লাফ দেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এ ঘটনায় ভুপানি থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে যোগেশের স্ত্রী নেহা রাওয়াত, তাঁর বাবা-মা বীর সিং রাওয়াত ও শান্তি রাওয়াত এবং দুই ভাই আশীষ ও অমিত রাওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ভুপানি থানার এসএইচও ইন্সপেক্টর সংগ্রাম দাহিয়া বলেন, ‘আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছি।’

গরিলাদের আবাসস্থল আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যান। সেখানে গরিলা রক্ষায় কাজ করাকে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মেরোদ বেলজিয়ামের রাজপুত্র হয়েও এই কঠিনতম কাজ করছেন।
০১ জুলাই ২০২১
চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
৪১ মিনিট আগে
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
২ ঘণ্টা আগে