আজকের পত্রিকা ডেস্ক
চলতি মাসে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আইএসআইএলের হামলায় ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে ৫২ বেসামরিক নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন মনুসকোর (এমওএনএসসিও) বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। মনুসকোর তথ্য অনুযায়ী, ৯ থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত দেশটির পূর্বাঞ্চলের উত্তর কিভু প্রদেশের বেনি ও লুবেরো এলাকায় এসব হামলা চালানো হয়।
এসব হামলার পেছনে অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের (এডিএফ) মদদ রয়েছে বলেও জানিয়েছে মনুসকো। এসব হামলায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। কঙ্গোর সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩-এর মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে বেড়েছে এমন হামলা। যদিও দুপক্ষের মধ্যে সম্প্রতি একাধিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সরকার ও এম২৩ গোষ্ঠী ১৮ আগস্টের মধ্যে একটি স্থায়ী শান্তিচুক্তি সই করতে সম্মত হয়েছিল, কিন্তু গতকাল সোমবার পর্যন্ত কোনো চুক্তি ঘোষণা করা হয়নি।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের মুখপাত্র জানান, এ হামলায় হত্যার পাশাপাশি অনেককে অপহরণও করেছে হামলাকারীরা। আগুন দিয়েছে বহু ঘরবাড়ি, যানবাহন ও মোটরসাইকেলে। বহু লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এমন নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মনুসকো।
কঙ্গো সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট এলঙ্গো কিয়ন্ডওয়া মার্ক বলেন, ডিআরসি বাহিনীর কাছে পরাজিত হওয়ার পর বেসামরিক নাগরিকদের ওপর প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালিয়েছে এডিএফ। আরেক কর্মকর্তা জানান, মাঝরাতে ঘুম থেকে তুলে নৃশংসভাবে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে তারা। তিনি বলেন, প্রথমে ঘুমন্ত বাসিন্দাদের জাগিয়ে এক জায়গায় জড়ো করেন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা। পরে তাঁদের দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে কোদালের মতো ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর এক হত্যা করা শুরু করে।
গত কয়েক মাস ধরে কিছুটা শান্তই ছিল কঙ্গো। তারপর হঠাৎ গত মাসে ইতুরির কোমন্ডা শহরে এডিএফের হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হয়। তারা একটি ক্যাথলিক গির্জায় উপাসনারত মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। নারী-শিশুসহ উপাসকদের ওপর গুলি চালিয়েছিল।
১৯৯০-এর দশকের শেষদিকে উগান্ডায় উত্থান ঘটে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এডিএফের। তৎকালীন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি মুসেভেনির বিরুদ্ধে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী একত্র হয়ে গঠিত হয় এ গোষ্ঠী। পরে ২০০২ সালে উগান্ডার সামরিক অভিযান এড়াতে তারা পাশের দেশ কঙ্গোতে কার্যক্রম স্থানান্তর করে। বর্তমানে তারা ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে জোটবদ্ধ এবং পূর্ব আফ্রিকায় একটি ইসলামি সরকার গঠনের লক্ষ্যে সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর সশস্ত্র বাহিনী (এফএআরডিসি) বিদ্রোহী গোষ্ঠী এডিএফের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। তবে সম্প্রতি রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ গোষ্ঠীর নতুন করে আক্রমণ শুরুর পর পূর্বাঞ্চলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
চলতি মাসে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আইএসআইএলের হামলায় ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে ৫২ বেসামরিক নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন মনুসকোর (এমওএনএসসিও) বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। মনুসকোর তথ্য অনুযায়ী, ৯ থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত দেশটির পূর্বাঞ্চলের উত্তর কিভু প্রদেশের বেনি ও লুবেরো এলাকায় এসব হামলা চালানো হয়।
এসব হামলার পেছনে অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের (এডিএফ) মদদ রয়েছে বলেও জানিয়েছে মনুসকো। এসব হামলায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। কঙ্গোর সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩-এর মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে বেড়েছে এমন হামলা। যদিও দুপক্ষের মধ্যে সম্প্রতি একাধিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সরকার ও এম২৩ গোষ্ঠী ১৮ আগস্টের মধ্যে একটি স্থায়ী শান্তিচুক্তি সই করতে সম্মত হয়েছিল, কিন্তু গতকাল সোমবার পর্যন্ত কোনো চুক্তি ঘোষণা করা হয়নি।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের মুখপাত্র জানান, এ হামলায় হত্যার পাশাপাশি অনেককে অপহরণও করেছে হামলাকারীরা। আগুন দিয়েছে বহু ঘরবাড়ি, যানবাহন ও মোটরসাইকেলে। বহু লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এমন নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মনুসকো।
কঙ্গো সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট এলঙ্গো কিয়ন্ডওয়া মার্ক বলেন, ডিআরসি বাহিনীর কাছে পরাজিত হওয়ার পর বেসামরিক নাগরিকদের ওপর প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালিয়েছে এডিএফ। আরেক কর্মকর্তা জানান, মাঝরাতে ঘুম থেকে তুলে নৃশংসভাবে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে তারা। তিনি বলেন, প্রথমে ঘুমন্ত বাসিন্দাদের জাগিয়ে এক জায়গায় জড়ো করেন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা। পরে তাঁদের দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে কোদালের মতো ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর এক হত্যা করা শুরু করে।
গত কয়েক মাস ধরে কিছুটা শান্তই ছিল কঙ্গো। তারপর হঠাৎ গত মাসে ইতুরির কোমন্ডা শহরে এডিএফের হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হয়। তারা একটি ক্যাথলিক গির্জায় উপাসনারত মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। নারী-শিশুসহ উপাসকদের ওপর গুলি চালিয়েছিল।
১৯৯০-এর দশকের শেষদিকে উগান্ডায় উত্থান ঘটে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এডিএফের। তৎকালীন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি মুসেভেনির বিরুদ্ধে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী একত্র হয়ে গঠিত হয় এ গোষ্ঠী। পরে ২০০২ সালে উগান্ডার সামরিক অভিযান এড়াতে তারা পাশের দেশ কঙ্গোতে কার্যক্রম স্থানান্তর করে। বর্তমানে তারা ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে জোটবদ্ধ এবং পূর্ব আফ্রিকায় একটি ইসলামি সরকার গঠনের লক্ষ্যে সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর সশস্ত্র বাহিনী (এফএআরডিসি) বিদ্রোহী গোষ্ঠী এডিএফের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। তবে সম্প্রতি রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ গোষ্ঠীর নতুন করে আক্রমণ শুরুর পর পূর্বাঞ্চলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
সর্বশেষ সংখ্যার প্রচ্ছদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি প্রকাশ করেছে টাইম ম্যাগাজিন। কিন্তু এই ছবি পছন্দ না হওয়ায় ম্যাগাজিনটির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। দাবি করেছেন—ছবিতে তাঁর চুল ‘গায়েব’ করে দেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেমাদাগাস্কারের সামরিক বাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় রেডিওতে ঘোষণা দিয়েছেন কর্নেল মাইকেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনা। জেন-জি আন্দোলনের জেরে প্রেসিডেন্ট অ্যান্দ্রি রাজোয়েলিনা দেশ ত্যাগ করার পর এ ঘোষণা এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগেগাজা ও মিসরের মধ্যে অবস্থিত রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়েই মূলত গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো হয়। কিন্তু এই ক্রসিং এখনো খুলে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। এর ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তার প্রবাহ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগেমিসরে অনুষ্ঠিত গাজা সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে দেখে ‘বিউটিফুল’ বা ‘সুন্দরী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনের মঞ্চে একমাত্র নারী নেতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেলোনি।
৭ ঘণ্টা আগে