ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের নিবন্ধ
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে আমেরিকায় মুসলিম ব্রাদারহুডের কিছু চ্যাপটার বা শাখাকে নিষিদ্ধ করবেন এবং সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের অনুরোধে সুদানের গৃহযুদ্ধও শেষ করবেন। এক অদ্ভুত বাক্যে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে সুদান নামে একটা জায়গা আছে।’ সুদান, সন্ত্রাসবাদ আর আমেরিকার ইতিহাস একে অন্যকে ছুঁয়ে আছে নানাভাবেই।
নব্বইয়ের দশকে সুদান ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেয় এবং সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তুলতে সহায়তা করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রশাসন তখন বিন লাদেনকে গ্রেপ্তার বা আঘাত করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়, এর পরপরই তিনি আফগানিস্তানে চলে যান। পাঁচ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তাঁর অনুসারীরা টুইন টাওয়ার ও পেন্টাগনে হামলা চালায়। তিন হাজার নিরপরাধ মানুষ নিহত হয়। পরবর্তী সময়ে এই হামলার জের ধরে ওয়ার অন টেরর বা সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের মূল্য চুকাতে প্রাণ দিতে হয় প্রায় ১০ লাখ মানুষকে।
মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করা এবং সুদানের যুদ্ধ বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়ার মাধ্যমে মূলত ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র ও তাঁর মিত্রদের নিরাপদ করতে চাইছেন। তিনি সন্ত্রাসবাদের মূল শিকড়েই হাত দিতে যাচ্ছেন। আজকের সুদান আবারও পশ্চিমাবিরোধী শক্তিকে আশ্রয় দিচ্ছে। সুদানের তিনটি বড় ঝুঁকি—অ্যালাইনমেন্ট, অ্যানাইহিলেশন, অ্যালায়েন্স—বোঝার মাধ্যমে ট্রাম্প যুদ্ধ থামাতে পারবেন, আমেরিকাকে নিরাপদ করতে পারবেন, আর আরব ও ইসরায়েলি মিত্রদের জন্য আঞ্চলিক স্থিতি গড়ে তুলতে পারবেন।
প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের দেশ সুদানের সীমানা ছুঁয়ে আছে সাতটি দেশ। এর মধ্যে মিসরের সঙ্গে সুদানের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সম্পর্ক বিদ্যমান। মিসর থেকেই পঞ্চাশের দশকে মুসলিম ব্রাদারহুডের মতাদর্শ সুদানে ছড়িয়ে পড়ে—যে মতাদর্শ স্থায়ী ধর্মকেন্দ্রিক যুদ্ধ, ইসরায়েলের ধ্বংস এবং রাষ্ট্রে ইসলামি রাজনৈতিক শাসন বাস্তবায়ন করতে চায়।
১৯৮৯ সালে ইসলামি মতাদর্শের সেনা কর্মকর্তা ওমর আল-বশির অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সুদানে ইসলামি সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। বশির দেশকে আমেরিকাবিরোধী এক পথে নিয়ে যান। বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়া ছিল সেই মনোভাবেরই অংশ। বশির ও ব্রাদারহুডের আদর্শবাদীরা নারীদের ওপর কঠোর শরিয়াভিত্তিক আইন চাপিয়ে দেন, যেখানে শাস্তির মধ্যে হাত কেটে দেওয়া বা পাথর ছুড়ে হত্যার মতো বর্বর পদ্ধতিও ছিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বশিরের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার পাঁচটি অভিযোগ গঠন করেছে। এই আমেরিকাবিরোধী সরকারকে দুর্বল করতে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তার ফলও মেলে।
২০১৯ সালে বশিরবিরোধী গণ-আন্দোলনের পর আবদাল্লা হামদকের নেতৃত্বে নতুন বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় আসে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুদানের সম্পর্ক ঠিক করা এবং বশিরযুগের গভীর রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রভাব শেষ করতে হামদক তিনটি পদক্ষেপ নেন—পুরোনো দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠানো, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য আমেরিকাপন্থী আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কেন্দ্র বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলা।
হামদক সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সবচেয়ে শক্ত প্রমাণ ছিল—বশিরযুগের ইসরায়েলবিরোধী, আমেরিকাবিরোধী আদর্শকে প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্প-উদ্যোগে চালু হওয়া আব্রাহাম অ্যাকর্ডে যোগ দেওয়া। মরক্কো, বাহরাইন ও ইউএই–এর সঙ্গে সুদান ছিল চুক্তির চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ দেশ, যারা ইসরায়েলকে ঘিরে আঞ্চলিক বাস্তবতাকে বদলে দেয়।
কিন্তু পুরোনো ইসলামি ঘাঁটি পাল্টা আঘাত হানে। ২০২১ সালে হামদকের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে এবং তিনি নির্বাসিত হন। সুদান আব্রাহাম অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন স্থগিত করে, আর বিন লাদেন-ধারার পুরোনো মতাদর্শ আবার মাথা তোলে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অ্যালাইনমেন্ট ছিল সামরিক বাহিনীর ভেতরে ব্রাদারহুডের শক্ত ঘাঁটির অপছন্দের। অ্যানাইহিলেশন, অর্থাৎ সম্পূর্ণ ধ্বংসের সংস্কৃতি প্রাধান্য পায়।
২০২১ সালের এই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিলেন বর্তমান সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। তিনি নিজেকে সুদানের একক নেতা বলে দাবি করেছিলেন, কিন্তু অনেকেই তাঁকে বশিরের নেটওয়ার্কের খুব কাছের মানুষ হিসেবে দেখতেন। এই বৈধতা-সংকটের সময় মোহাম্মদ দাগালো, যিনি ‘হেমেদতি’ নামে পরিচিত, সুদানি সেনাবাহিনী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) নেতৃত্ব নেন। দুই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আছে। তারা দুজনই অসংখ্য নাগরিক হত্যার দায় বহন করছেন এবং উভয়ই অপর পক্ষকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে চায়। ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় এই ধ্বংসাত্মক অভিপ্রায়কে নিষ্ক্রিয় করে যুদ্ধবিরতি আনাই মূল লক্ষ্য। আরএসএফ আগে সহিংসতা থামাতে রাজি হয়েছিল, কিন্তু সুদানের সেনাবাহিনী তথা এসএএফ রাজি হয়নি।
এই ধ্বংসাত্মক মানসিকতা সুদান থেকে ইসরায়েলেও পৌঁছে গেছে। উদাহরণ হিসেবে—সুদানের সঙ্গে ৭ অক্টোবরের হামাস হামলার সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে। হামলার কয়েক দিনের মধ্যেই বাইডেন প্রশাসন সুদানি ব্যবসায়ী আবদেলবাসিত হামজাকে স্পেশালি ডিজাইনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট ঘোষণা করে। কারণ তিনি হামাসের সামরিক কাঠামোর আর্থিক জোগানদাতা ছিলেন। বিস্ময়করভাবে ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর বুরহান তাঁকে কেবল মুক্তই করেননি, বরং পুনর্বাসিতও করেন। তিনি প্রকাশ্যে হামাসের সামরিক শাখা ক্বাসাম ব্রিগেডকে সমর্থন করেন। এই ইউনিটই ৭ অক্টোবরের হামলা চালায়।
আরেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি খলিল আল–হাইয়া, যিনি এখন হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা এবং যিনি দোহায় ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু। তিনি ৭ অক্টোবর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছাত্র এবং উত্তরসূরি। নব্বইয়ের দশকে হাইয়া খার্তুমে পড়াশোনা করেন এবং তখনই আরও ‘উগ্র’ হয়ে ওঠেন। সে সময় সুদান ছিল অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী ইসলামি কেন্দ্রগুলোর একটি। সুদানে কাটানো সময় তাঁকে সেই পুরোনো নেটওয়ার্কের ভেতরের প্রবেশাধিকার দেয়, যা ব্রাদারহুড, বিন লাদেন, হামাস ও সন্ত্রাসী অর্থায়নকে এক সুতোয় গেঁথেছিল। হামাস নেতা খালেদ মেশালও সুদানি পাসপোর্ট পেয়েছিলেন। ২০২১ সালের পর আব্রাহাম অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন থমকে যাওয়া মোটেও কাকতালীয় ছিল না। পচন অনেক গভীর।
ইরানের লজিস্টিক ও কূটনৈতিক চ্যানেল এসএএফ–কে সমর্থন দিয়েছে এবং ইয়েমেন থেকে হুতি যোদ্ধাদের সুদানে নিয়ে এসেছে। হুতিরা আমেরিকান জাহাজে হামলা চালিয়েছে, ইসরায়েল ও আমেরিকা ধ্বংসের শপথ নিয়েছে, আর এখন তারা লোহিত সাগরের আরও ওপরের দিকের রুটেও উপস্থিত—যেখানে দিয়ে বিশ্বের ১৫ শতাংশ সামুদ্রিক বাণিজ্য প্রবাহিত হয়।
সুদানের এই অস্থিরতা ইরানের নতুন উর্বর ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে। এই সর্বনাশা মানসিকতা—দেশীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক—এখনই উপড়ে ফেলতে হবে। ট্রাম্পের বিশেষ উপদেষ্টা মাসাদ বুলোস শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। কিন্তু জেনারেল বুরহান ও সুদানি সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বুলোসকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে আক্রমণ করছে। কারণ তিনি সুদান থেকে ব্রাদারহুডের প্রভাব সরাতে চাইছেন।
হামদক ইউএই, মরক্কো, বাহরাইন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন আব্রাহাম অ্যাকর্ডকে সমর্থন করতে এবং বশির শাসনব্যবস্থার বিরোধিতা করতে। সুদানের বেসামরিক সরকার পতনের পর শান্তির প্রতি তাঁর আনুগত্যের জন্য ইউএই প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ তাকে আবুধাবিতে সম্মানিত করেন। আনুগত্য গুরুত্বপূর্ণ। ২০২১ সালের অভ্যুত্থান এবং এসএএফ ও আরএসএফ দুপক্ষের ধ্বংসাত্মক মানসিকতা থামিয়ে তাদের অস্ত্রসমর্পণ করতে হবে এবং বেসামরিক সরকারের অধীনে আনতে হবে।
এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের পাশে আছেন হামদক, যিনি সম্প্রতি দুই পক্ষকে অস্ত্র পরিত্যাগ করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বন্ধুদের সহায়তা চেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্ব দিলে আব্রাহাম অ্যাকর্ডভুক্ত দেশগুলো এবং আরও অনেকে সুদানের পাশে দাঁড়াতে পারে।
ইতিহাসের হুবহু পুনরাবৃত্তি হয় না, কিন্তু ছন্দ মিলিয়ে ফিরে আসে। তিরিশ বছর পর সুদান আবারও সেই প্রাক-৯ / ১১ পরিবেশের ছায়া দেখাচ্ছে, যেখানে হামাস, হুতি এবং তাদের অর্থদাতারা আশ্রয় পায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ক্লিনটন-যুগের ভুল এড়িয়ে চলছেন। সুদানকে অবিলম্বে বেসামরিক শাসনে ফিরতে হবে, আবদেলবাসিত হামজাকে হস্তান্তর করতে হবে, মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং অন্য সন্ত্রাসী অর্থদাতাদের হয় দেশ থেকে বহিষ্কার, নয়তো আবার কারাগারে ফেরত পাঠাতে হবে।
যে সুদানি প্রধানমন্ত্রী আমেরিকার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সমৃদ্ধি চাইতেন এবং আমেরিকা ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিলেন, তিনি আমেরিকা ও আরব মিত্রদের সমর্থন পাওয়ার যোগ্য। এই রোডম্যাপ সুদানকে, আমেরিকাকে, আরব বন্ধুদের এবং ইসরায়েলকে সামনে এগোতে সাহায্য করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে আমেরিকায় মুসলিম ব্রাদারহুডের কিছু চ্যাপটার বা শাখাকে নিষিদ্ধ করবেন এবং সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের অনুরোধে সুদানের গৃহযুদ্ধও শেষ করবেন। এক অদ্ভুত বাক্যে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে সুদান নামে একটা জায়গা আছে।’ সুদান, সন্ত্রাসবাদ আর আমেরিকার ইতিহাস একে অন্যকে ছুঁয়ে আছে নানাভাবেই।
নব্বইয়ের দশকে সুদান ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেয় এবং সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তুলতে সহায়তা করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রশাসন তখন বিন লাদেনকে গ্রেপ্তার বা আঘাত করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়, এর পরপরই তিনি আফগানিস্তানে চলে যান। পাঁচ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তাঁর অনুসারীরা টুইন টাওয়ার ও পেন্টাগনে হামলা চালায়। তিন হাজার নিরপরাধ মানুষ নিহত হয়। পরবর্তী সময়ে এই হামলার জের ধরে ওয়ার অন টেরর বা সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের মূল্য চুকাতে প্রাণ দিতে হয় প্রায় ১০ লাখ মানুষকে।
মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করা এবং সুদানের যুদ্ধ বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়ার মাধ্যমে মূলত ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র ও তাঁর মিত্রদের নিরাপদ করতে চাইছেন। তিনি সন্ত্রাসবাদের মূল শিকড়েই হাত দিতে যাচ্ছেন। আজকের সুদান আবারও পশ্চিমাবিরোধী শক্তিকে আশ্রয় দিচ্ছে। সুদানের তিনটি বড় ঝুঁকি—অ্যালাইনমেন্ট, অ্যানাইহিলেশন, অ্যালায়েন্স—বোঝার মাধ্যমে ট্রাম্প যুদ্ধ থামাতে পারবেন, আমেরিকাকে নিরাপদ করতে পারবেন, আর আরব ও ইসরায়েলি মিত্রদের জন্য আঞ্চলিক স্থিতি গড়ে তুলতে পারবেন।
প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের দেশ সুদানের সীমানা ছুঁয়ে আছে সাতটি দেশ। এর মধ্যে মিসরের সঙ্গে সুদানের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সম্পর্ক বিদ্যমান। মিসর থেকেই পঞ্চাশের দশকে মুসলিম ব্রাদারহুডের মতাদর্শ সুদানে ছড়িয়ে পড়ে—যে মতাদর্শ স্থায়ী ধর্মকেন্দ্রিক যুদ্ধ, ইসরায়েলের ধ্বংস এবং রাষ্ট্রে ইসলামি রাজনৈতিক শাসন বাস্তবায়ন করতে চায়।
১৯৮৯ সালে ইসলামি মতাদর্শের সেনা কর্মকর্তা ওমর আল-বশির অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সুদানে ইসলামি সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। বশির দেশকে আমেরিকাবিরোধী এক পথে নিয়ে যান। বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়া ছিল সেই মনোভাবেরই অংশ। বশির ও ব্রাদারহুডের আদর্শবাদীরা নারীদের ওপর কঠোর শরিয়াভিত্তিক আইন চাপিয়ে দেন, যেখানে শাস্তির মধ্যে হাত কেটে দেওয়া বা পাথর ছুড়ে হত্যার মতো বর্বর পদ্ধতিও ছিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বশিরের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার পাঁচটি অভিযোগ গঠন করেছে। এই আমেরিকাবিরোধী সরকারকে দুর্বল করতে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তার ফলও মেলে।
২০১৯ সালে বশিরবিরোধী গণ-আন্দোলনের পর আবদাল্লা হামদকের নেতৃত্বে নতুন বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় আসে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুদানের সম্পর্ক ঠিক করা এবং বশিরযুগের গভীর রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রভাব শেষ করতে হামদক তিনটি পদক্ষেপ নেন—পুরোনো দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠানো, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য আমেরিকাপন্থী আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কেন্দ্র বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলা।
হামদক সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সবচেয়ে শক্ত প্রমাণ ছিল—বশিরযুগের ইসরায়েলবিরোধী, আমেরিকাবিরোধী আদর্শকে প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্প-উদ্যোগে চালু হওয়া আব্রাহাম অ্যাকর্ডে যোগ দেওয়া। মরক্কো, বাহরাইন ও ইউএই–এর সঙ্গে সুদান ছিল চুক্তির চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ দেশ, যারা ইসরায়েলকে ঘিরে আঞ্চলিক বাস্তবতাকে বদলে দেয়।
কিন্তু পুরোনো ইসলামি ঘাঁটি পাল্টা আঘাত হানে। ২০২১ সালে হামদকের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে এবং তিনি নির্বাসিত হন। সুদান আব্রাহাম অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন স্থগিত করে, আর বিন লাদেন-ধারার পুরোনো মতাদর্শ আবার মাথা তোলে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অ্যালাইনমেন্ট ছিল সামরিক বাহিনীর ভেতরে ব্রাদারহুডের শক্ত ঘাঁটির অপছন্দের। অ্যানাইহিলেশন, অর্থাৎ সম্পূর্ণ ধ্বংসের সংস্কৃতি প্রাধান্য পায়।
২০২১ সালের এই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিলেন বর্তমান সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। তিনি নিজেকে সুদানের একক নেতা বলে দাবি করেছিলেন, কিন্তু অনেকেই তাঁকে বশিরের নেটওয়ার্কের খুব কাছের মানুষ হিসেবে দেখতেন। এই বৈধতা-সংকটের সময় মোহাম্মদ দাগালো, যিনি ‘হেমেদতি’ নামে পরিচিত, সুদানি সেনাবাহিনী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) নেতৃত্ব নেন। দুই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আছে। তারা দুজনই অসংখ্য নাগরিক হত্যার দায় বহন করছেন এবং উভয়ই অপর পক্ষকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে চায়। ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় এই ধ্বংসাত্মক অভিপ্রায়কে নিষ্ক্রিয় করে যুদ্ধবিরতি আনাই মূল লক্ষ্য। আরএসএফ আগে সহিংসতা থামাতে রাজি হয়েছিল, কিন্তু সুদানের সেনাবাহিনী তথা এসএএফ রাজি হয়নি।
এই ধ্বংসাত্মক মানসিকতা সুদান থেকে ইসরায়েলেও পৌঁছে গেছে। উদাহরণ হিসেবে—সুদানের সঙ্গে ৭ অক্টোবরের হামাস হামলার সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে। হামলার কয়েক দিনের মধ্যেই বাইডেন প্রশাসন সুদানি ব্যবসায়ী আবদেলবাসিত হামজাকে স্পেশালি ডিজাইনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট ঘোষণা করে। কারণ তিনি হামাসের সামরিক কাঠামোর আর্থিক জোগানদাতা ছিলেন। বিস্ময়করভাবে ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর বুরহান তাঁকে কেবল মুক্তই করেননি, বরং পুনর্বাসিতও করেন। তিনি প্রকাশ্যে হামাসের সামরিক শাখা ক্বাসাম ব্রিগেডকে সমর্থন করেন। এই ইউনিটই ৭ অক্টোবরের হামলা চালায়।
আরেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি খলিল আল–হাইয়া, যিনি এখন হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা এবং যিনি দোহায় ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু। তিনি ৭ অক্টোবর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছাত্র এবং উত্তরসূরি। নব্বইয়ের দশকে হাইয়া খার্তুমে পড়াশোনা করেন এবং তখনই আরও ‘উগ্র’ হয়ে ওঠেন। সে সময় সুদান ছিল অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী ইসলামি কেন্দ্রগুলোর একটি। সুদানে কাটানো সময় তাঁকে সেই পুরোনো নেটওয়ার্কের ভেতরের প্রবেশাধিকার দেয়, যা ব্রাদারহুড, বিন লাদেন, হামাস ও সন্ত্রাসী অর্থায়নকে এক সুতোয় গেঁথেছিল। হামাস নেতা খালেদ মেশালও সুদানি পাসপোর্ট পেয়েছিলেন। ২০২১ সালের পর আব্রাহাম অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন থমকে যাওয়া মোটেও কাকতালীয় ছিল না। পচন অনেক গভীর।
ইরানের লজিস্টিক ও কূটনৈতিক চ্যানেল এসএএফ–কে সমর্থন দিয়েছে এবং ইয়েমেন থেকে হুতি যোদ্ধাদের সুদানে নিয়ে এসেছে। হুতিরা আমেরিকান জাহাজে হামলা চালিয়েছে, ইসরায়েল ও আমেরিকা ধ্বংসের শপথ নিয়েছে, আর এখন তারা লোহিত সাগরের আরও ওপরের দিকের রুটেও উপস্থিত—যেখানে দিয়ে বিশ্বের ১৫ শতাংশ সামুদ্রিক বাণিজ্য প্রবাহিত হয়।
সুদানের এই অস্থিরতা ইরানের নতুন উর্বর ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে। এই সর্বনাশা মানসিকতা—দেশীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক—এখনই উপড়ে ফেলতে হবে। ট্রাম্পের বিশেষ উপদেষ্টা মাসাদ বুলোস শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। কিন্তু জেনারেল বুরহান ও সুদানি সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বুলোসকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে আক্রমণ করছে। কারণ তিনি সুদান থেকে ব্রাদারহুডের প্রভাব সরাতে চাইছেন।
হামদক ইউএই, মরক্কো, বাহরাইন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন আব্রাহাম অ্যাকর্ডকে সমর্থন করতে এবং বশির শাসনব্যবস্থার বিরোধিতা করতে। সুদানের বেসামরিক সরকার পতনের পর শান্তির প্রতি তাঁর আনুগত্যের জন্য ইউএই প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ তাকে আবুধাবিতে সম্মানিত করেন। আনুগত্য গুরুত্বপূর্ণ। ২০২১ সালের অভ্যুত্থান এবং এসএএফ ও আরএসএফ দুপক্ষের ধ্বংসাত্মক মানসিকতা থামিয়ে তাদের অস্ত্রসমর্পণ করতে হবে এবং বেসামরিক সরকারের অধীনে আনতে হবে।
এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের পাশে আছেন হামদক, যিনি সম্প্রতি দুই পক্ষকে অস্ত্র পরিত্যাগ করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বন্ধুদের সহায়তা চেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্ব দিলে আব্রাহাম অ্যাকর্ডভুক্ত দেশগুলো এবং আরও অনেকে সুদানের পাশে দাঁড়াতে পারে।
ইতিহাসের হুবহু পুনরাবৃত্তি হয় না, কিন্তু ছন্দ মিলিয়ে ফিরে আসে। তিরিশ বছর পর সুদান আবারও সেই প্রাক-৯ / ১১ পরিবেশের ছায়া দেখাচ্ছে, যেখানে হামাস, হুতি এবং তাদের অর্থদাতারা আশ্রয় পায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ক্লিনটন-যুগের ভুল এড়িয়ে চলছেন। সুদানকে অবিলম্বে বেসামরিক শাসনে ফিরতে হবে, আবদেলবাসিত হামজাকে হস্তান্তর করতে হবে, মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং অন্য সন্ত্রাসী অর্থদাতাদের হয় দেশ থেকে বহিষ্কার, নয়তো আবার কারাগারে ফেরত পাঠাতে হবে।
যে সুদানি প্রধানমন্ত্রী আমেরিকার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সমৃদ্ধি চাইতেন এবং আমেরিকা ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিলেন, তিনি আমেরিকা ও আরব মিত্রদের সমর্থন পাওয়ার যোগ্য। এই রোডম্যাপ সুদানকে, আমেরিকাকে, আরব বন্ধুদের এবং ইসরায়েলকে সামনে এগোতে সাহায্য করতে পারে।
ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের নিবন্ধ
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে আমেরিকায় মুসলিম ব্রাদারহুডের কিছু চ্যাপটার বা শাখাকে নিষিদ্ধ করবেন এবং সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের অনুরোধে সুদানের গৃহযুদ্ধও শেষ করবেন। এক অদ্ভুত বাক্যে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে সুদান নামে একটা জায়গা আছে।’ সুদান, সন্ত্রাসবাদ আর আমেরিকার ইতিহাস একে অন্যকে ছুঁয়ে আছে নানাভাবেই।
নব্বইয়ের দশকে সুদান ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেয় এবং সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তুলতে সহায়তা করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রশাসন তখন বিন লাদেনকে গ্রেপ্তার বা আঘাত করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়, এর পরপরই তিনি আফগানিস্তানে চলে যান। পাঁচ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তাঁর অনুসারীরা টুইন টাওয়ার ও পেন্টাগনে হামলা চালায়। তিন হাজার নিরপরাধ মানুষ নিহত হয়। পরবর্তী সময়ে এই হামলার জের ধরে ওয়ার অন টেরর বা সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের মূল্য চুকাতে প্রাণ দিতে হয় প্রায় ১০ লাখ মানুষকে।
মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করা এবং সুদানের যুদ্ধ বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়ার মাধ্যমে মূলত ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র ও তাঁর মিত্রদের নিরাপদ করতে চাইছেন। তিনি সন্ত্রাসবাদের মূল শিকড়েই হাত দিতে যাচ্ছেন। আজকের সুদান আবারও পশ্চিমাবিরোধী শক্তিকে আশ্রয় দিচ্ছে। সুদানের তিনটি বড় ঝুঁকি—অ্যালাইনমেন্ট, অ্যানাইহিলেশন, অ্যালায়েন্স—বোঝার মাধ্যমে ট্রাম্প যুদ্ধ থামাতে পারবেন, আমেরিকাকে নিরাপদ করতে পারবেন, আর আরব ও ইসরায়েলি মিত্রদের জন্য আঞ্চলিক স্থিতি গড়ে তুলতে পারবেন।
প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের দেশ সুদানের সীমানা ছুঁয়ে আছে সাতটি দেশ। এর মধ্যে মিসরের সঙ্গে সুদানের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সম্পর্ক বিদ্যমান। মিসর থেকেই পঞ্চাশের দশকে মুসলিম ব্রাদারহুডের মতাদর্শ সুদানে ছড়িয়ে পড়ে—যে মতাদর্শ স্থায়ী ধর্মকেন্দ্রিক যুদ্ধ, ইসরায়েলের ধ্বংস এবং রাষ্ট্রে ইসলামি রাজনৈতিক শাসন বাস্তবায়ন করতে চায়।
১৯৮৯ সালে ইসলামি মতাদর্শের সেনা কর্মকর্তা ওমর আল-বশির অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সুদানে ইসলামি সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। বশির দেশকে আমেরিকাবিরোধী এক পথে নিয়ে যান। বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়া ছিল সেই মনোভাবেরই অংশ। বশির ও ব্রাদারহুডের আদর্শবাদীরা নারীদের ওপর কঠোর শরিয়াভিত্তিক আইন চাপিয়ে দেন, যেখানে শাস্তির মধ্যে হাত কেটে দেওয়া বা পাথর ছুড়ে হত্যার মতো বর্বর পদ্ধতিও ছিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বশিরের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার পাঁচটি অভিযোগ গঠন করেছে। এই আমেরিকাবিরোধী সরকারকে দুর্বল করতে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তার ফলও মেলে।
২০১৯ সালে বশিরবিরোধী গণ-আন্দোলনের পর আবদাল্লা হামদকের নেতৃত্বে নতুন বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় আসে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুদানের সম্পর্ক ঠিক করা এবং বশিরযুগের গভীর রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রভাব শেষ করতে হামদক তিনটি পদক্ষেপ নেন—পুরোনো দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠানো, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য আমেরিকাপন্থী আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কেন্দ্র বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলা।
হামদক সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সবচেয়ে শক্ত প্রমাণ ছিল—বশিরযুগের ইসরায়েলবিরোধী, আমেরিকাবিরোধী আদর্শকে প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্প-উদ্যোগে চালু হওয়া আব্রাহাম অ্যাকর্ডে যোগ দেওয়া। মরক্কো, বাহরাইন ও ইউএই–এর সঙ্গে সুদান ছিল চুক্তির চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ দেশ, যারা ইসরায়েলকে ঘিরে আঞ্চলিক বাস্তবতাকে বদলে দেয়।
কিন্তু পুরোনো ইসলামি ঘাঁটি পাল্টা আঘাত হানে। ২০২১ সালে হামদকের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে এবং তিনি নির্বাসিত হন। সুদান আব্রাহাম অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন স্থগিত করে, আর বিন লাদেন-ধারার পুরোনো মতাদর্শ আবার মাথা তোলে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অ্যালাইনমেন্ট ছিল সামরিক বাহিনীর ভেতরে ব্রাদারহুডের শক্ত ঘাঁটির অপছন্দের। অ্যানাইহিলেশন, অর্থাৎ সম্পূর্ণ ধ্বংসের সংস্কৃতি প্রাধান্য পায়।
২০২১ সালের এই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিলেন বর্তমান সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। তিনি নিজেকে সুদানের একক নেতা বলে দাবি করেছিলেন, কিন্তু অনেকেই তাঁকে বশিরের নেটওয়ার্কের খুব কাছের মানুষ হিসেবে দেখতেন। এই বৈধতা-সংকটের সময় মোহাম্মদ দাগালো, যিনি ‘হেমেদতি’ নামে পরিচিত, সুদানি সেনাবাহিনী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) নেতৃত্ব নেন। দুই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আছে। তারা দুজনই অসংখ্য নাগরিক হত্যার দায় বহন করছেন এবং উভয়ই অপর পক্ষকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে চায়। ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় এই ধ্বংসাত্মক অভিপ্রায়কে নিষ্ক্রিয় করে যুদ্ধবিরতি আনাই মূল লক্ষ্য। আরএসএফ আগে সহিংসতা থামাতে রাজি হয়েছিল, কিন্তু সুদানের সেনাবাহিনী তথা এসএএফ রাজি হয়নি।
এই ধ্বংসাত্মক মানসিকতা সুদান থেকে ইসরায়েলেও পৌঁছে গেছে। উদাহরণ হিসেবে—সুদানের সঙ্গে ৭ অক্টোবরের হামাস হামলার সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে। হামলার কয়েক দিনের মধ্যেই বাইডেন প্রশাসন সুদানি ব্যবসায়ী আবদেলবাসিত হামজাকে স্পেশালি ডিজাইনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট ঘোষণা করে। কারণ তিনি হামাসের সামরিক কাঠামোর আর্থিক জোগানদাতা ছিলেন। বিস্ময়করভাবে ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর বুরহান তাঁকে কেবল মুক্তই করেননি, বরং পুনর্বাসিতও করেন। তিনি প্রকাশ্যে হামাসের সামরিক শাখা ক্বাসাম ব্রিগেডকে সমর্থন করেন। এই ইউনিটই ৭ অক্টোবরের হামলা চালায়।
আরেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি খলিল আল–হাইয়া, যিনি এখন হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা এবং যিনি দোহায় ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু। তিনি ৭ অক্টোবর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছাত্র এবং উত্তরসূরি। নব্বইয়ের দশকে হাইয়া খার্তুমে পড়াশোনা করেন এবং তখনই আরও ‘উগ্র’ হয়ে ওঠেন। সে সময় সুদান ছিল অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী ইসলামি কেন্দ্রগুলোর একটি। সুদানে কাটানো সময় তাঁকে সেই পুরোনো নেটওয়ার্কের ভেতরের প্রবেশাধিকার দেয়, যা ব্রাদারহুড, বিন লাদেন, হামাস ও সন্ত্রাসী অর্থায়নকে এক সুতোয় গেঁথেছিল। হামাস নেতা খালেদ মেশালও সুদানি পাসপোর্ট পেয়েছিলেন। ২০২১ সালের পর আব্রাহাম অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন থমকে যাওয়া মোটেও কাকতালীয় ছিল না। পচন অনেক গভীর।
ইরানের লজিস্টিক ও কূটনৈতিক চ্যানেল এসএএফ–কে সমর্থন দিয়েছে এবং ইয়েমেন থেকে হুতি যোদ্ধাদের সুদানে নিয়ে এসেছে। হুতিরা আমেরিকান জাহাজে হামলা চালিয়েছে, ইসরায়েল ও আমেরিকা ধ্বংসের শপথ নিয়েছে, আর এখন তারা লোহিত সাগরের আরও ওপরের দিকের রুটেও উপস্থিত—যেখানে দিয়ে বিশ্বের ১৫ শতাংশ সামুদ্রিক বাণিজ্য প্রবাহিত হয়।
সুদানের এই অস্থিরতা ইরানের নতুন উর্বর ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে। এই সর্বনাশা মানসিকতা—দেশীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক—এখনই উপড়ে ফেলতে হবে। ট্রাম্পের বিশেষ উপদেষ্টা মাসাদ বুলোস শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। কিন্তু জেনারেল বুরহান ও সুদানি সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বুলোসকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে আক্রমণ করছে। কারণ তিনি সুদান থেকে ব্রাদারহুডের প্রভাব সরাতে চাইছেন।
হামদক ইউএই, মরক্কো, বাহরাইন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন আব্রাহাম অ্যাকর্ডকে সমর্থন করতে এবং বশির শাসনব্যবস্থার বিরোধিতা করতে। সুদানের বেসামরিক সরকার পতনের পর শান্তির প্রতি তাঁর আনুগত্যের জন্য ইউএই প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ তাকে আবুধাবিতে সম্মানিত করেন। আনুগত্য গুরুত্বপূর্ণ। ২০২১ সালের অভ্যুত্থান এবং এসএএফ ও আরএসএফ দুপক্ষের ধ্বংসাত্মক মানসিকতা থামিয়ে তাদের অস্ত্রসমর্পণ করতে হবে এবং বেসামরিক সরকারের অধীনে আনতে হবে।
এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের পাশে আছেন হামদক, যিনি সম্প্রতি দুই পক্ষকে অস্ত্র পরিত্যাগ করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বন্ধুদের সহায়তা চেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্ব দিলে আব্রাহাম অ্যাকর্ডভুক্ত দেশগুলো এবং আরও অনেকে সুদানের পাশে দাঁড়াতে পারে।
ইতিহাসের হুবহু পুনরাবৃত্তি হয় না, কিন্তু ছন্দ মিলিয়ে ফিরে আসে। তিরিশ বছর পর সুদান আবারও সেই প্রাক-৯ / ১১ পরিবেশের ছায়া দেখাচ্ছে, যেখানে হামাস, হুতি এবং তাদের অর্থদাতারা আশ্রয় পায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ক্লিনটন-যুগের ভুল এড়িয়ে চলছেন। সুদানকে অবিলম্বে বেসামরিক শাসনে ফিরতে হবে, আবদেলবাসিত হামজাকে হস্তান্তর করতে হবে, মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং অন্য সন্ত্রাসী অর্থদাতাদের হয় দেশ থেকে বহিষ্কার, নয়তো আবার কারাগারে ফেরত পাঠাতে হবে।
যে সুদানি প্রধানমন্ত্রী আমেরিকার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সমৃদ্ধি চাইতেন এবং আমেরিকা ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিলেন, তিনি আমেরিকা ও আরব মিত্রদের সমর্থন পাওয়ার যোগ্য। এই রোডম্যাপ সুদানকে, আমেরিকাকে, আরব বন্ধুদের এবং ইসরায়েলকে সামনে এগোতে সাহায্য করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে আমেরিকায় মুসলিম ব্রাদারহুডের কিছু চ্যাপটার বা শাখাকে নিষিদ্ধ করবেন এবং সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের অনুরোধে সুদানের গৃহযুদ্ধও শেষ করবেন। এক অদ্ভুত বাক্যে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে সুদান নামে একটা জায়গা আছে।’ সুদান, সন্ত্রাসবাদ আর আমেরিকার ইতিহাস একে অন্যকে ছুঁয়ে আছে নানাভাবেই।
নব্বইয়ের দশকে সুদান ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেয় এবং সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তুলতে সহায়তা করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রশাসন তখন বিন লাদেনকে গ্রেপ্তার বা আঘাত করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়, এর পরপরই তিনি আফগানিস্তানে চলে যান। পাঁচ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তাঁর অনুসারীরা টুইন টাওয়ার ও পেন্টাগনে হামলা চালায়। তিন হাজার নিরপরাধ মানুষ নিহত হয়। পরবর্তী সময়ে এই হামলার জের ধরে ওয়ার অন টেরর বা সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের মূল্য চুকাতে প্রাণ দিতে হয় প্রায় ১০ লাখ মানুষকে।
মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করা এবং সুদানের যুদ্ধ বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়ার মাধ্যমে মূলত ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র ও তাঁর মিত্রদের নিরাপদ করতে চাইছেন। তিনি সন্ত্রাসবাদের মূল শিকড়েই হাত দিতে যাচ্ছেন। আজকের সুদান আবারও পশ্চিমাবিরোধী শক্তিকে আশ্রয় দিচ্ছে। সুদানের তিনটি বড় ঝুঁকি—অ্যালাইনমেন্ট, অ্যানাইহিলেশন, অ্যালায়েন্স—বোঝার মাধ্যমে ট্রাম্প যুদ্ধ থামাতে পারবেন, আমেরিকাকে নিরাপদ করতে পারবেন, আর আরব ও ইসরায়েলি মিত্রদের জন্য আঞ্চলিক স্থিতি গড়ে তুলতে পারবেন।
প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের দেশ সুদানের সীমানা ছুঁয়ে আছে সাতটি দেশ। এর মধ্যে মিসরের সঙ্গে সুদানের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সম্পর্ক বিদ্যমান। মিসর থেকেই পঞ্চাশের দশকে মুসলিম ব্রাদারহুডের মতাদর্শ সুদানে ছড়িয়ে পড়ে—যে মতাদর্শ স্থায়ী ধর্মকেন্দ্রিক যুদ্ধ, ইসরায়েলের ধ্বংস এবং রাষ্ট্রে ইসলামি রাজনৈতিক শাসন বাস্তবায়ন করতে চায়।
১৯৮৯ সালে ইসলামি মতাদর্শের সেনা কর্মকর্তা ওমর আল-বশির অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সুদানে ইসলামি সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। বশির দেশকে আমেরিকাবিরোধী এক পথে নিয়ে যান। বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়া ছিল সেই মনোভাবেরই অংশ। বশির ও ব্রাদারহুডের আদর্শবাদীরা নারীদের ওপর কঠোর শরিয়াভিত্তিক আইন চাপিয়ে দেন, যেখানে শাস্তির মধ্যে হাত কেটে দেওয়া বা পাথর ছুড়ে হত্যার মতো বর্বর পদ্ধতিও ছিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বশিরের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার পাঁচটি অভিযোগ গঠন করেছে। এই আমেরিকাবিরোধী সরকারকে দুর্বল করতে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তার ফলও মেলে।
২০১৯ সালে বশিরবিরোধী গণ-আন্দোলনের পর আবদাল্লা হামদকের নেতৃত্বে নতুন বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় আসে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুদানের সম্পর্ক ঠিক করা এবং বশিরযুগের গভীর রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রভাব শেষ করতে হামদক তিনটি পদক্ষেপ নেন—পুরোনো দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠানো, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য আমেরিকাপন্থী আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কেন্দ্র বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলা।
হামদক সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সবচেয়ে শক্ত প্রমাণ ছিল—বশিরযুগের ইসরায়েলবিরোধী, আমেরিকাবিরোধী আদর্শকে প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্প-উদ্যোগে চালু হওয়া আব্রাহাম অ্যাকর্ডে যোগ দেওয়া। মরক্কো, বাহরাইন ও ইউএই–এর সঙ্গে সুদান ছিল চুক্তির চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ দেশ, যারা ইসরায়েলকে ঘিরে আঞ্চলিক বাস্তবতাকে বদলে দেয়।
কিন্তু পুরোনো ইসলামি ঘাঁটি পাল্টা আঘাত হানে। ২০২১ সালে হামদকের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে এবং তিনি নির্বাসিত হন। সুদান আব্রাহাম অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন স্থগিত করে, আর বিন লাদেন-ধারার পুরোনো মতাদর্শ আবার মাথা তোলে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অ্যালাইনমেন্ট ছিল সামরিক বাহিনীর ভেতরে ব্রাদারহুডের শক্ত ঘাঁটির অপছন্দের। অ্যানাইহিলেশন, অর্থাৎ সম্পূর্ণ ধ্বংসের সংস্কৃতি প্রাধান্য পায়।
২০২১ সালের এই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিলেন বর্তমান সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। তিনি নিজেকে সুদানের একক নেতা বলে দাবি করেছিলেন, কিন্তু অনেকেই তাঁকে বশিরের নেটওয়ার্কের খুব কাছের মানুষ হিসেবে দেখতেন। এই বৈধতা-সংকটের সময় মোহাম্মদ দাগালো, যিনি ‘হেমেদতি’ নামে পরিচিত, সুদানি সেনাবাহিনী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) নেতৃত্ব নেন। দুই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আছে। তারা দুজনই অসংখ্য নাগরিক হত্যার দায় বহন করছেন এবং উভয়ই অপর পক্ষকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে চায়। ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় এই ধ্বংসাত্মক অভিপ্রায়কে নিষ্ক্রিয় করে যুদ্ধবিরতি আনাই মূল লক্ষ্য। আরএসএফ আগে সহিংসতা থামাতে রাজি হয়েছিল, কিন্তু সুদানের সেনাবাহিনী তথা এসএএফ রাজি হয়নি।
এই ধ্বংসাত্মক মানসিকতা সুদান থেকে ইসরায়েলেও পৌঁছে গেছে। উদাহরণ হিসেবে—সুদানের সঙ্গে ৭ অক্টোবরের হামাস হামলার সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে। হামলার কয়েক দিনের মধ্যেই বাইডেন প্রশাসন সুদানি ব্যবসায়ী আবদেলবাসিত হামজাকে স্পেশালি ডিজাইনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট ঘোষণা করে। কারণ তিনি হামাসের সামরিক কাঠামোর আর্থিক জোগানদাতা ছিলেন। বিস্ময়করভাবে ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর বুরহান তাঁকে কেবল মুক্তই করেননি, বরং পুনর্বাসিতও করেন। তিনি প্রকাশ্যে হামাসের সামরিক শাখা ক্বাসাম ব্রিগেডকে সমর্থন করেন। এই ইউনিটই ৭ অক্টোবরের হামলা চালায়।
আরেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি খলিল আল–হাইয়া, যিনি এখন হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা এবং যিনি দোহায় ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু। তিনি ৭ অক্টোবর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছাত্র এবং উত্তরসূরি। নব্বইয়ের দশকে হাইয়া খার্তুমে পড়াশোনা করেন এবং তখনই আরও ‘উগ্র’ হয়ে ওঠেন। সে সময় সুদান ছিল অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী ইসলামি কেন্দ্রগুলোর একটি। সুদানে কাটানো সময় তাঁকে সেই পুরোনো নেটওয়ার্কের ভেতরের প্রবেশাধিকার দেয়, যা ব্রাদারহুড, বিন লাদেন, হামাস ও সন্ত্রাসী অর্থায়নকে এক সুতোয় গেঁথেছিল। হামাস নেতা খালেদ মেশালও সুদানি পাসপোর্ট পেয়েছিলেন। ২০২১ সালের পর আব্রাহাম অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন থমকে যাওয়া মোটেও কাকতালীয় ছিল না। পচন অনেক গভীর।
ইরানের লজিস্টিক ও কূটনৈতিক চ্যানেল এসএএফ–কে সমর্থন দিয়েছে এবং ইয়েমেন থেকে হুতি যোদ্ধাদের সুদানে নিয়ে এসেছে। হুতিরা আমেরিকান জাহাজে হামলা চালিয়েছে, ইসরায়েল ও আমেরিকা ধ্বংসের শপথ নিয়েছে, আর এখন তারা লোহিত সাগরের আরও ওপরের দিকের রুটেও উপস্থিত—যেখানে দিয়ে বিশ্বের ১৫ শতাংশ সামুদ্রিক বাণিজ্য প্রবাহিত হয়।
সুদানের এই অস্থিরতা ইরানের নতুন উর্বর ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে। এই সর্বনাশা মানসিকতা—দেশীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক—এখনই উপড়ে ফেলতে হবে। ট্রাম্পের বিশেষ উপদেষ্টা মাসাদ বুলোস শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। কিন্তু জেনারেল বুরহান ও সুদানি সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বুলোসকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে আক্রমণ করছে। কারণ তিনি সুদান থেকে ব্রাদারহুডের প্রভাব সরাতে চাইছেন।
হামদক ইউএই, মরক্কো, বাহরাইন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন আব্রাহাম অ্যাকর্ডকে সমর্থন করতে এবং বশির শাসনব্যবস্থার বিরোধিতা করতে। সুদানের বেসামরিক সরকার পতনের পর শান্তির প্রতি তাঁর আনুগত্যের জন্য ইউএই প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ তাকে আবুধাবিতে সম্মানিত করেন। আনুগত্য গুরুত্বপূর্ণ। ২০২১ সালের অভ্যুত্থান এবং এসএএফ ও আরএসএফ দুপক্ষের ধ্বংসাত্মক মানসিকতা থামিয়ে তাদের অস্ত্রসমর্পণ করতে হবে এবং বেসামরিক সরকারের অধীনে আনতে হবে।
এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের পাশে আছেন হামদক, যিনি সম্প্রতি দুই পক্ষকে অস্ত্র পরিত্যাগ করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বন্ধুদের সহায়তা চেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্ব দিলে আব্রাহাম অ্যাকর্ডভুক্ত দেশগুলো এবং আরও অনেকে সুদানের পাশে দাঁড়াতে পারে।
ইতিহাসের হুবহু পুনরাবৃত্তি হয় না, কিন্তু ছন্দ মিলিয়ে ফিরে আসে। তিরিশ বছর পর সুদান আবারও সেই প্রাক-৯ / ১১ পরিবেশের ছায়া দেখাচ্ছে, যেখানে হামাস, হুতি এবং তাদের অর্থদাতারা আশ্রয় পায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ক্লিনটন-যুগের ভুল এড়িয়ে চলছেন। সুদানকে অবিলম্বে বেসামরিক শাসনে ফিরতে হবে, আবদেলবাসিত হামজাকে হস্তান্তর করতে হবে, মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং অন্য সন্ত্রাসী অর্থদাতাদের হয় দেশ থেকে বহিষ্কার, নয়তো আবার কারাগারে ফেরত পাঠাতে হবে।
যে সুদানি প্রধানমন্ত্রী আমেরিকার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সমৃদ্ধি চাইতেন এবং আমেরিকা ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিলেন, তিনি আমেরিকা ও আরব মিত্রদের সমর্থন পাওয়ার যোগ্য। এই রোডম্যাপ সুদানকে, আমেরিকাকে, আরব বন্ধুদের এবং ইসরায়েলকে সামনে এগোতে সাহায্য করতে পারে।

লেবানন ও ইসরায়েলের বে সরকারের প্রতিনিধিরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতিত্বে নাকোউরায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ কমিটির একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। এটি চার দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার প্রথম সরাসরি আলোচনার সূচনা। খবর আল–জাজিরার।
১৯ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের সফরে আজ বৃহস্পতিবার ভারতে আসবেন। সময়সূচী অনুসারে, আজ স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ভারতে পৌঁছানোর কথা তাঁর। এই সফরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আয়োজিত এক ব্যক্তিগত নৈশভোজ এবং ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। খবর এনডিটিভির।
৩৬ মিনিট আগে
হরিয়ানার পানিপথের একটি গ্রামে বিয়ের সানাই বাজছিল। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সবে শেষ হতে শুরু করেছে, তখনই বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। বিয়েবাড়িতে শোরগোল পড়ে গেল, ছয় বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ। মুহূর্তেই উৎসবের পরিবেশ বদলে যায় বিষাদে।
১০ ঘণ্টা আগে
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এক বক্তব্যে বলেন, ইউরোপ যদি যুদ্ধ করতে চায় বা যুদ্ধ শুরু করে, তবে রাশিয়া ‘এই মুহূর্তেই প্রস্তুত।’ তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে যুক্তরাজ্যের সরকার।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

লেবানন ও ইসরায়েলের বে সরকারের প্রতিনিধিরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতিত্বে নাকোউরায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ কমিটির একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। এটি চার দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার প্রথম সরাসরি আলোচনার সূচনা। খবর আল–জাজিরার।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম গতকাল বুধবার বলেছেন, বৈরুত নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ের বাইরে আলোচনা করতে প্রস্তুত, তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে এটি কোনো শান্তি আলোচনা নয় এবং সম্পর্ক ‘স্বাভাবিকীকরণ শান্তির প্রক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত।’ তিনি বলেন, এই আলোচনা শুধুমাত্র ‘শত্রুতা বন্ধ করা’, ‘লেবাননের জিম্মিদের মুক্তি’ এবং লেবাননের ভূখণ্ড থেকে ‘ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার’-এর লক্ষ্যে করা হয়েছে।
সালাম জানান, লেবানন ২০০২ সালের আরব শান্তি উদ্যোগের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ—যা ইসরায়েলের ১৯৬৭ সালে দখল করা অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কের পূর্ণ স্বাভাবিকীকরণের প্রস্তাব দেয় এবং ইসরায়েলের সাথে কোনো পৃথক শান্তি চুক্তি করার কোনো ইচ্ছা লেবাননের নেই।
তিনি বলেন, বেসামরিক দূতদের অংশগ্রহণ ‘উত্তেজনা কমাতে’ সাহায্য করতে পারে। এসময় তিনি সম্প্রতি ইসরায়েলের মারাত্মক বিমান হামলা ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার স্পষ্ট লক্ষণ বলেও উল্লেখ করেন।
কমিটি ব্লু লাইন (Blue Line) বরাবর—লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যবর্তী সীমান্ত—প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছে। পরে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বেসামরিক দূতদের সংযোজনকে ‘স্থায়ী বেসামরিক ও সামরিক সংলাপের’ মাধ্যমে প্রক্রিয়াটিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার দিকে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে কমিটি দীর্ঘদিন ধরে অস্থির এই সীমান্ত বরাবর "শান্তি বজায় রাখতে" আশা করছে।
যুক্তরাষ্ট্র মাসখানেক ধরে উভয় পক্ষকে শুধুমাত্র ২০০৪ সালের ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি তদারকি করার বাইরে কমিটির পরিধি প্রসারিত করার জন্য অনুরোধ করে আসছে। গত মাসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় লেবাননের রাজধানী আক্রান্ত হওয়ার পর নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধির ক্রমবর্ধমান আশঙ্কার মধ্যে এই সর্বশেষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলো।
ইসরায়েল লেবাননে নিয়মিত বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব হামলার বৈধতা দেওয়ার জন্য সাধারণত তারা বলে যে তারা হিজবুল্লাহর সদস্য ও স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে এবং যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী সম্পূর্ণভাবে সরে আসার কথা থাকলেও তারা দক্ষিণের পাঁচটি এলাকায় সেনা মোতায়েন রেখেছে।
ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শোশ বেড্রোসিয়ান সাংবাদিকদের একটি অনলাইন ব্রিফিংয়ে বুধবারের বৈঠকটিকে ‘একটি ঐতিহাসিক অগ্রগতি’ বলে অভিহিত করেছেন।
বেড্রোসিয়ান বলেন, ‘ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে এই সরাসরি বৈঠকটি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দেওয়ার প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যেমন বলেছেন, আমাদের প্রতিবেশীদের সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অনন্য সুযোগ রয়েছে।’

লেবানন ও ইসরায়েলের বে সরকারের প্রতিনিধিরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতিত্বে নাকোউরায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ কমিটির একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। এটি চার দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার প্রথম সরাসরি আলোচনার সূচনা। খবর আল–জাজিরার।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম গতকাল বুধবার বলেছেন, বৈরুত নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ের বাইরে আলোচনা করতে প্রস্তুত, তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে এটি কোনো শান্তি আলোচনা নয় এবং সম্পর্ক ‘স্বাভাবিকীকরণ শান্তির প্রক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত।’ তিনি বলেন, এই আলোচনা শুধুমাত্র ‘শত্রুতা বন্ধ করা’, ‘লেবাননের জিম্মিদের মুক্তি’ এবং লেবাননের ভূখণ্ড থেকে ‘ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার’-এর লক্ষ্যে করা হয়েছে।
সালাম জানান, লেবানন ২০০২ সালের আরব শান্তি উদ্যোগের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ—যা ইসরায়েলের ১৯৬৭ সালে দখল করা অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কের পূর্ণ স্বাভাবিকীকরণের প্রস্তাব দেয় এবং ইসরায়েলের সাথে কোনো পৃথক শান্তি চুক্তি করার কোনো ইচ্ছা লেবাননের নেই।
তিনি বলেন, বেসামরিক দূতদের অংশগ্রহণ ‘উত্তেজনা কমাতে’ সাহায্য করতে পারে। এসময় তিনি সম্প্রতি ইসরায়েলের মারাত্মক বিমান হামলা ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার স্পষ্ট লক্ষণ বলেও উল্লেখ করেন।
কমিটি ব্লু লাইন (Blue Line) বরাবর—লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যবর্তী সীমান্ত—প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছে। পরে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বেসামরিক দূতদের সংযোজনকে ‘স্থায়ী বেসামরিক ও সামরিক সংলাপের’ মাধ্যমে প্রক্রিয়াটিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার দিকে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে কমিটি দীর্ঘদিন ধরে অস্থির এই সীমান্ত বরাবর "শান্তি বজায় রাখতে" আশা করছে।
যুক্তরাষ্ট্র মাসখানেক ধরে উভয় পক্ষকে শুধুমাত্র ২০০৪ সালের ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি তদারকি করার বাইরে কমিটির পরিধি প্রসারিত করার জন্য অনুরোধ করে আসছে। গত মাসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় লেবাননের রাজধানী আক্রান্ত হওয়ার পর নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধির ক্রমবর্ধমান আশঙ্কার মধ্যে এই সর্বশেষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলো।
ইসরায়েল লেবাননে নিয়মিত বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব হামলার বৈধতা দেওয়ার জন্য সাধারণত তারা বলে যে তারা হিজবুল্লাহর সদস্য ও স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে এবং যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী সম্পূর্ণভাবে সরে আসার কথা থাকলেও তারা দক্ষিণের পাঁচটি এলাকায় সেনা মোতায়েন রেখেছে।
ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শোশ বেড্রোসিয়ান সাংবাদিকদের একটি অনলাইন ব্রিফিংয়ে বুধবারের বৈঠকটিকে ‘একটি ঐতিহাসিক অগ্রগতি’ বলে অভিহিত করেছেন।
বেড্রোসিয়ান বলেন, ‘ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে এই সরাসরি বৈঠকটি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দেওয়ার প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যেমন বলেছেন, আমাদের প্রতিবেশীদের সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অনন্য সুযোগ রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে আমেরিকায় মুসলিম ব্রাদারহুডের কিছু চ্যাপটার বা শাখাকে নিষিদ্ধ করবেন এবং সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের অনুরোধে সুদানের গৃহযুদ্ধও শেষ করবেন। এক অদ্ভুত বাক্যে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে সুদান নামে একটা জায়গা আছে।’ সুদান, সন্ত্রাসবাদ আর আমেরিকার
৪ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের সফরে আজ বৃহস্পতিবার ভারতে আসবেন। সময়সূচী অনুসারে, আজ স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ভারতে পৌঁছানোর কথা তাঁর। এই সফরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আয়োজিত এক ব্যক্তিগত নৈশভোজ এবং ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। খবর এনডিটিভির।
৩৬ মিনিট আগে
হরিয়ানার পানিপথের একটি গ্রামে বিয়ের সানাই বাজছিল। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সবে শেষ হতে শুরু করেছে, তখনই বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। বিয়েবাড়িতে শোরগোল পড়ে গেল, ছয় বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ। মুহূর্তেই উৎসবের পরিবেশ বদলে যায় বিষাদে।
১০ ঘণ্টা আগে
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এক বক্তব্যে বলেন, ইউরোপ যদি যুদ্ধ করতে চায় বা যুদ্ধ শুরু করে, তবে রাশিয়া ‘এই মুহূর্তেই প্রস্তুত।’ তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে যুক্তরাজ্যের সরকার।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের সফরে আজ বৃহস্পতিবার ভারতে আসবেন। সময়সূচী অনুসারে, আজ স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ভারতে পৌঁছানোর কথা তাঁর। এই সফরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আয়োজিত এক ব্যক্তিগত নৈশভোজ এবং ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। খবর এনডিটিভির।
খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট পুতিনের আজ সন্ধ্যায় নয়াদিল্লি পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তিনি পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভর্তির প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর সম্মানে ব্যক্তিগত নৈশভোজের আয়োজন করবেন। এর মাধ্যমে তিনি ২০২৪ এর জুলাইয়ে মোদির মস্কো সফরের সময় রুশ নেতার আয়োজিত অনুরূপ আতিথেয়তার প্রত্যুত্তর জানাবেন। নৈশভোজটি অনানুষ্ঠানিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা আনুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলনের আগে দুই নেতাকে একান্তে আলোচনা শুরু করার সুযোগ দেবে।
আগামীকাল শুক্রবার সকালে প্রেসিডেন্ট পুতিন একটি আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনার মাধ্যমে তাঁর সরকারি সফরের কর্মসূচী শুরু করবেন। এরপর তিনি রাজঘাটে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন, যা বিদেশী সফরকারী রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য একটি প্রথাগত কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এরপর নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি শীর্ষ সম্মেলনের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর প্রতিনিধিদলের জন্য একটি কার্যনির্বাহী মধ্যাহ্নভোজেরও আয়োজন করবেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কিছু সামরিক সরঞ্জামের সরবরাহে বিলম্ব হওয়ায় ভারত মুলতুবি থাকা সামরিক হার্ডওয়্যারগুলির দ্রুত ডেলিভারির জন্য চাপ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে অতিরিক্ত এস–৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারত ২০১৮ সালে পাঁচটি এস–৪০০ ইউনিটের জন্য ৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। তিন স্কোয়াড্রন এরই মধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে এবং আরও দুটি আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে পাওয়ার কথা রয়েছে। অপারেশন সিন্দুরের সময় এই সিস্টেমগুলি ব্যবহৃত হয়েছিল।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, আলোচনায় সুখোই–৫৭ পঞ্চম-প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের প্রতি ভারতের আগ্রহ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। ভারত বর্তমানে রাফালে, এফ–২১, এফ/এ–১৮ এবং ইউরোফাইটার টাইফুনের মতো যুদ্ধবিমান দিয়ে সাথে পরবর্তী প্রজন্মের যুদ্ধবিমান প্রতিস্থাপনের বিষয়টি মূল্যায়ন করছে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতীয় রুশ অপরিশোধিত তেল আমদানির ওপর কী প্রভাব পড়েছে, তা নিয়ে আলোচনা কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় জ্বালানি সুরক্ষা গুরুত্বপূর্ণ স্থান পাবে। পেসকভ বলেছেন যে ভারতের ক্রয় ‘সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য’ কমতে পারে, যদিও রাশিয়া সরবরাহ বজায় রাখার জন্য চেষ্টা করছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনের বৈঠক ছাড়াও, উভয় দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী—রাজনাথ সিং এবং আন্দ্রে বেলোসভ—গুরুত্বপূর্ণ সামরিক হার্ডওয়্যার নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিনের এই সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন ভারত-মার্কিন সম্পর্ক কয়েকটি ধাক্কার সম্মুখীন। ওয়াশিংটন সম্প্রতি বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক এবং বিশেষ করে ভারতের রুশ অপরিশোধিত তেল সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত ২৫ শতাংশ লেভি আরোপ করেছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের সংঘাত সংক্রান্ত সর্বশেষ মার্কিন কূটনৈতিক উদ্যোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অবহিত করবেন বলেও আশা করা হচ্ছে। ভারত এই অবস্থান বজায় রেখেছে যে সংলাপ এবং কূটনীতিই এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ, এবং মস্কোর সমালোচনা এড়িয়ে নিজেকে সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের সফরে আজ বৃহস্পতিবার ভারতে আসবেন। সময়সূচী অনুসারে, আজ স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ভারতে পৌঁছানোর কথা তাঁর। এই সফরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আয়োজিত এক ব্যক্তিগত নৈশভোজ এবং ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। খবর এনডিটিভির।
খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট পুতিনের আজ সন্ধ্যায় নয়াদিল্লি পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তিনি পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভর্তির প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর সম্মানে ব্যক্তিগত নৈশভোজের আয়োজন করবেন। এর মাধ্যমে তিনি ২০২৪ এর জুলাইয়ে মোদির মস্কো সফরের সময় রুশ নেতার আয়োজিত অনুরূপ আতিথেয়তার প্রত্যুত্তর জানাবেন। নৈশভোজটি অনানুষ্ঠানিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা আনুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলনের আগে দুই নেতাকে একান্তে আলোচনা শুরু করার সুযোগ দেবে।
আগামীকাল শুক্রবার সকালে প্রেসিডেন্ট পুতিন একটি আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনার মাধ্যমে তাঁর সরকারি সফরের কর্মসূচী শুরু করবেন। এরপর তিনি রাজঘাটে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন, যা বিদেশী সফরকারী রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য একটি প্রথাগত কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এরপর নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি শীর্ষ সম্মেলনের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর প্রতিনিধিদলের জন্য একটি কার্যনির্বাহী মধ্যাহ্নভোজেরও আয়োজন করবেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কিছু সামরিক সরঞ্জামের সরবরাহে বিলম্ব হওয়ায় ভারত মুলতুবি থাকা সামরিক হার্ডওয়্যারগুলির দ্রুত ডেলিভারির জন্য চাপ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে অতিরিক্ত এস–৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারত ২০১৮ সালে পাঁচটি এস–৪০০ ইউনিটের জন্য ৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। তিন স্কোয়াড্রন এরই মধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে এবং আরও দুটি আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে পাওয়ার কথা রয়েছে। অপারেশন সিন্দুরের সময় এই সিস্টেমগুলি ব্যবহৃত হয়েছিল।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, আলোচনায় সুখোই–৫৭ পঞ্চম-প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের প্রতি ভারতের আগ্রহ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। ভারত বর্তমানে রাফালে, এফ–২১, এফ/এ–১৮ এবং ইউরোফাইটার টাইফুনের মতো যুদ্ধবিমান দিয়ে সাথে পরবর্তী প্রজন্মের যুদ্ধবিমান প্রতিস্থাপনের বিষয়টি মূল্যায়ন করছে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতীয় রুশ অপরিশোধিত তেল আমদানির ওপর কী প্রভাব পড়েছে, তা নিয়ে আলোচনা কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় জ্বালানি সুরক্ষা গুরুত্বপূর্ণ স্থান পাবে। পেসকভ বলেছেন যে ভারতের ক্রয় ‘সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য’ কমতে পারে, যদিও রাশিয়া সরবরাহ বজায় রাখার জন্য চেষ্টা করছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনের বৈঠক ছাড়াও, উভয় দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী—রাজনাথ সিং এবং আন্দ্রে বেলোসভ—গুরুত্বপূর্ণ সামরিক হার্ডওয়্যার নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিনের এই সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন ভারত-মার্কিন সম্পর্ক কয়েকটি ধাক্কার সম্মুখীন। ওয়াশিংটন সম্প্রতি বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক এবং বিশেষ করে ভারতের রুশ অপরিশোধিত তেল সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত ২৫ শতাংশ লেভি আরোপ করেছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের সংঘাত সংক্রান্ত সর্বশেষ মার্কিন কূটনৈতিক উদ্যোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অবহিত করবেন বলেও আশা করা হচ্ছে। ভারত এই অবস্থান বজায় রেখেছে যে সংলাপ এবং কূটনীতিই এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ, এবং মস্কোর সমালোচনা এড়িয়ে নিজেকে সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে আমেরিকায় মুসলিম ব্রাদারহুডের কিছু চ্যাপটার বা শাখাকে নিষিদ্ধ করবেন এবং সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের অনুরোধে সুদানের গৃহযুদ্ধও শেষ করবেন। এক অদ্ভুত বাক্যে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে সুদান নামে একটা জায়গা আছে।’ সুদান, সন্ত্রাসবাদ আর আমেরিকার
৪ দিন আগে
লেবানন ও ইসরায়েলের বে সরকারের প্রতিনিধিরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতিত্বে নাকোউরায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ কমিটির একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। এটি চার দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার প্রথম সরাসরি আলোচনার সূচনা। খবর আল–জাজিরার।
১৯ মিনিট আগে
হরিয়ানার পানিপথের একটি গ্রামে বিয়ের সানাই বাজছিল। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সবে শেষ হতে শুরু করেছে, তখনই বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। বিয়েবাড়িতে শোরগোল পড়ে গেল, ছয় বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ। মুহূর্তেই উৎসবের পরিবেশ বদলে যায় বিষাদে।
১০ ঘণ্টা আগে
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এক বক্তব্যে বলেন, ইউরোপ যদি যুদ্ধ করতে চায় বা যুদ্ধ শুরু করে, তবে রাশিয়া ‘এই মুহূর্তেই প্রস্তুত।’ তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে যুক্তরাজ্যের সরকার।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হরিয়ানার পানিপথের একটি গ্রামে বিয়ের সানাই বাজছিল। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সবে শেষ হতে শুরু করেছে, তখনই বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। বিয়েবাড়িতে শোরগোল পড়ে গেল, ছয় বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ। মুহূর্তেই উৎসবের পরিবেশ বদলে যায় বিষাদে। দিন শেষে পুলিশ এক নৃশংস হত্যারহস্য উন্মোচন করে, যেখানে মূল অভিযুক্ত ব্যক্তির কার্যকলাপ জার্মান রূপকথা স্নো হোয়াইটের সেই দুষ্ট রানির কথা মনে করিয়ে দেয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি স্থানীয় পুলিশের বরাতে জানিয়েছে, চার শিশুকে হত্যার দায়ে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যার পেছনের কারণটি ভয়ংকর। অভিযুক্ত নারী চাননি কেউ তাঁর চেয়ে ‘বেশি সুন্দর’ হোক।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই নারী পুনম তাঁর ভাতিজি বিধিসহ (৬) পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আসেন। সেখানে ভাতিজিকে দেখে পুনমের মনে হয়, সে তাঁর চেয়েও বেশি সুন্দরী। এরপর পুনম তাঁকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেন।
বিধি তার দাদু পাল সিং, দাদি ওমবতী, বাবা সন্দীপ, মা ও ১০ মাসের ছোট ভাইকে নিয়ে পানিপথের ইজরানা এলাকার নৌলথা গ্রামে এক আত্মীয়ের বিয়েতে এসেছিল। গত সোমবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটের দিকে বরযাত্রী নৌলথায় পৌঁছালে তার পরিবারও সেখানে যায়। কিছুক্ষণ পরে সন্দীপের ফোনে খবর আসে, বিধি হারিয়ে গেছে। পরিবার তখনই খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
প্রায় এক ঘণ্টা পর দাদি ওমবতী বাড়ির প্রথম তলার একটি স্টোররুমে যান। দরজাটি বাইরে থেকে আটকানো ছিল। দরজা খুলে তিনি দেখেন, পানিভর্তি একটি চৌবাচ্চায় শিশুটির মাথা ডুবানো। বিধিকে দ্রুত স্থানীয় এনসি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সন্দীপ থানায় গিয়ে হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, শিশু বিধির খুনের পেছনে ছিলেন তার ফুফু পুনম। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠে আসে ভয়ংকর তথ্য। তিনি আগে আরও তিনটি শিশুকে একইভাবে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছেন।
পুলিশ বলছে, পুনমের হত্যার ধরন একই—প্রতিবার পানিভর্তি চৌবাচ্চায় শিশুকে ডুবিয়ে মারা। কারণ, সুন্দর শিশুদের প্রতি তাঁর তীব্র ঈর্ষা, বিশেষ করে, ছোট ও সাজগোজ করা মেয়েদের প্রতি।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, পুনম ২০২৩ সালে প্রথম তাঁর ননদের মেয়েকে হত্যা করেন। ওই ঘটনা দেখে ফেলায় একই বছর তিনি নিজের ছেলেকেও হত্যা করেন। চলতি বছরের আগস্টে তিনি সিওয়া গ্রামে আরও একটি মেয়েকে ‘নিজের চেয়ে সুন্দর’ মনে হওয়ায় হত্যা করেন।
বিধির হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুনম সত্য স্বীকার করার আগপর্যন্ত এই শিশুদের মৃত্যুগুলো দুর্ঘটনাজনিত বলেই ধরে নেওয়া হয়েছিল।

হরিয়ানার পানিপথের একটি গ্রামে বিয়ের সানাই বাজছিল। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সবে শেষ হতে শুরু করেছে, তখনই বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। বিয়েবাড়িতে শোরগোল পড়ে গেল, ছয় বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ। মুহূর্তেই উৎসবের পরিবেশ বদলে যায় বিষাদে। দিন শেষে পুলিশ এক নৃশংস হত্যারহস্য উন্মোচন করে, যেখানে মূল অভিযুক্ত ব্যক্তির কার্যকলাপ জার্মান রূপকথা স্নো হোয়াইটের সেই দুষ্ট রানির কথা মনে করিয়ে দেয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি স্থানীয় পুলিশের বরাতে জানিয়েছে, চার শিশুকে হত্যার দায়ে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যার পেছনের কারণটি ভয়ংকর। অভিযুক্ত নারী চাননি কেউ তাঁর চেয়ে ‘বেশি সুন্দর’ হোক।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই নারী পুনম তাঁর ভাতিজি বিধিসহ (৬) পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আসেন। সেখানে ভাতিজিকে দেখে পুনমের মনে হয়, সে তাঁর চেয়েও বেশি সুন্দরী। এরপর পুনম তাঁকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেন।
বিধি তার দাদু পাল সিং, দাদি ওমবতী, বাবা সন্দীপ, মা ও ১০ মাসের ছোট ভাইকে নিয়ে পানিপথের ইজরানা এলাকার নৌলথা গ্রামে এক আত্মীয়ের বিয়েতে এসেছিল। গত সোমবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটের দিকে বরযাত্রী নৌলথায় পৌঁছালে তার পরিবারও সেখানে যায়। কিছুক্ষণ পরে সন্দীপের ফোনে খবর আসে, বিধি হারিয়ে গেছে। পরিবার তখনই খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
প্রায় এক ঘণ্টা পর দাদি ওমবতী বাড়ির প্রথম তলার একটি স্টোররুমে যান। দরজাটি বাইরে থেকে আটকানো ছিল। দরজা খুলে তিনি দেখেন, পানিভর্তি একটি চৌবাচ্চায় শিশুটির মাথা ডুবানো। বিধিকে দ্রুত স্থানীয় এনসি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সন্দীপ থানায় গিয়ে হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, শিশু বিধির খুনের পেছনে ছিলেন তার ফুফু পুনম। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠে আসে ভয়ংকর তথ্য। তিনি আগে আরও তিনটি শিশুকে একইভাবে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছেন।
পুলিশ বলছে, পুনমের হত্যার ধরন একই—প্রতিবার পানিভর্তি চৌবাচ্চায় শিশুকে ডুবিয়ে মারা। কারণ, সুন্দর শিশুদের প্রতি তাঁর তীব্র ঈর্ষা, বিশেষ করে, ছোট ও সাজগোজ করা মেয়েদের প্রতি।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, পুনম ২০২৩ সালে প্রথম তাঁর ননদের মেয়েকে হত্যা করেন। ওই ঘটনা দেখে ফেলায় একই বছর তিনি নিজের ছেলেকেও হত্যা করেন। চলতি বছরের আগস্টে তিনি সিওয়া গ্রামে আরও একটি মেয়েকে ‘নিজের চেয়ে সুন্দর’ মনে হওয়ায় হত্যা করেন।
বিধির হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুনম সত্য স্বীকার করার আগপর্যন্ত এই শিশুদের মৃত্যুগুলো দুর্ঘটনাজনিত বলেই ধরে নেওয়া হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে আমেরিকায় মুসলিম ব্রাদারহুডের কিছু চ্যাপটার বা শাখাকে নিষিদ্ধ করবেন এবং সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের অনুরোধে সুদানের গৃহযুদ্ধও শেষ করবেন। এক অদ্ভুত বাক্যে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে সুদান নামে একটা জায়গা আছে।’ সুদান, সন্ত্রাসবাদ আর আমেরিকার
৪ দিন আগে
লেবানন ও ইসরায়েলের বে সরকারের প্রতিনিধিরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতিত্বে নাকোউরায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ কমিটির একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। এটি চার দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার প্রথম সরাসরি আলোচনার সূচনা। খবর আল–জাজিরার।
১৯ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের সফরে আজ বৃহস্পতিবার ভারতে আসবেন। সময়সূচী অনুসারে, আজ স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ভারতে পৌঁছানোর কথা তাঁর। এই সফরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আয়োজিত এক ব্যক্তিগত নৈশভোজ এবং ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। খবর এনডিটিভির।
৩৬ মিনিট আগে
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এক বক্তব্যে বলেন, ইউরোপ যদি যুদ্ধ করতে চায় বা যুদ্ধ শুরু করে, তবে রাশিয়া ‘এই মুহূর্তেই প্রস্তুত।’ তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে যুক্তরাজ্যের সরকার।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এক বক্তব্যে বলেন, ইউরোপ যদি যুদ্ধ করতে চায় বা যুদ্ধ শুরু করে, তবে রাশিয়া ‘এই মুহূর্তেই প্রস্তুত।’ তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে যুক্তরাজ্যের সরকার।
ডাউনিং স্ট্রিটের ভাষ্য অনুযায়ী—পুতিনের ওই বক্তব্য শান্তি নিয়ে অনাগ্রহী এক প্রেসিডেন্টের মুখে আরও একটি ক্রেমলিন–ঘটিত আজগুবি কথা বা ‘ক্রেমলিন-ক্ল্যাপট্রেপ’ ছাড়া আর কিছু নয়।
অক্সফোর্ড ইংরেজি অভিধান অনুযায়ী, ‘ক্ল্যাপট্রেপ’ মূলত নাটকে দর্শকের করতালি পাওয়ার জন্য ব্যবহৃত একধরনের ফন্দি। আধুনিক অর্থে এর মানে—সম্পূর্ণ বাজে কথা বা অর্থহীন মন্তব্য।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের এক মুখপাত্রকে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন—ব্রিটেন কি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। এই প্রশ্নের জবাবে ওই মুখপাত্র জানান, ‘সরকারের প্রতিরক্ষা খাতে বিনিয়োগ সবার সামনে পরিষ্কার এবং ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনী দেশ রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত।’
তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনকে সহায়তায় সম্পূর্ণ একযোগে কাজ করছে। পাশাপাশি ন্যাটো জোট যে কোনো হুমকির মোকাবিলায় ঐক্য ও শক্তি নিয়ে প্রস্তুত।
এদিকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে কোনো সমঝোতায় আসতে চান না। মস্কোতে মার্কিন দূতদের সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টার আলোচনায় কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় স্টারমার জানান, যুক্তরাজ্য সব ধরনের উপায়ে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে থাকবে।
এর আগে পুতিন অভিযোগ করেছিলেন, ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্ররা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শান্তি প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করছে। তিনি শান্তি পরিকল্পনায় ইউরোপ ও ইউক্রেনের প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলোও প্রত্যাখ্যান করেন।
পার্লামেন্টে এক প্রশ্নের জবাবে স্টারমার বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, পুতিনই আগ্রাসনের জনক এবং আলোচনায় নারাজ।’ তিনি যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও ডাউনিং স্ট্রিট জানায়, ন্যাটো যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এদিকে মার্কিন প্রেরিত স্টিভ উইটকফ ও জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে পুতিনের দীর্ঘ আলোচনা থেকেও শান্তি প্রক্রিয়ায় কোনো বাস্তব অগ্রগতি হয়নি। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ভেট কুপার পুতিনকে ‘বাগাড়ম্বর বন্ধ করে রক্তপাত থামানোর’ আহ্বান জানান এবং ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো মেরামতে অতিরিক্ত ১০ মিলিয়ন পাউন্ড সহায়তার ঘোষণা দেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এক বক্তব্যে বলেন, ইউরোপ যদি যুদ্ধ করতে চায় বা যুদ্ধ শুরু করে, তবে রাশিয়া ‘এই মুহূর্তেই প্রস্তুত।’ তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে যুক্তরাজ্যের সরকার।
ডাউনিং স্ট্রিটের ভাষ্য অনুযায়ী—পুতিনের ওই বক্তব্য শান্তি নিয়ে অনাগ্রহী এক প্রেসিডেন্টের মুখে আরও একটি ক্রেমলিন–ঘটিত আজগুবি কথা বা ‘ক্রেমলিন-ক্ল্যাপট্রেপ’ ছাড়া আর কিছু নয়।
অক্সফোর্ড ইংরেজি অভিধান অনুযায়ী, ‘ক্ল্যাপট্রেপ’ মূলত নাটকে দর্শকের করতালি পাওয়ার জন্য ব্যবহৃত একধরনের ফন্দি। আধুনিক অর্থে এর মানে—সম্পূর্ণ বাজে কথা বা অর্থহীন মন্তব্য।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের এক মুখপাত্রকে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন—ব্রিটেন কি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। এই প্রশ্নের জবাবে ওই মুখপাত্র জানান, ‘সরকারের প্রতিরক্ষা খাতে বিনিয়োগ সবার সামনে পরিষ্কার এবং ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনী দেশ রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত।’
তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনকে সহায়তায় সম্পূর্ণ একযোগে কাজ করছে। পাশাপাশি ন্যাটো জোট যে কোনো হুমকির মোকাবিলায় ঐক্য ও শক্তি নিয়ে প্রস্তুত।
এদিকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে কোনো সমঝোতায় আসতে চান না। মস্কোতে মার্কিন দূতদের সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টার আলোচনায় কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় স্টারমার জানান, যুক্তরাজ্য সব ধরনের উপায়ে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে থাকবে।
এর আগে পুতিন অভিযোগ করেছিলেন, ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্ররা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শান্তি প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করছে। তিনি শান্তি পরিকল্পনায় ইউরোপ ও ইউক্রেনের প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলোও প্রত্যাখ্যান করেন।
পার্লামেন্টে এক প্রশ্নের জবাবে স্টারমার বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, পুতিনই আগ্রাসনের জনক এবং আলোচনায় নারাজ।’ তিনি যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও ডাউনিং স্ট্রিট জানায়, ন্যাটো যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এদিকে মার্কিন প্রেরিত স্টিভ উইটকফ ও জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে পুতিনের দীর্ঘ আলোচনা থেকেও শান্তি প্রক্রিয়ায় কোনো বাস্তব অগ্রগতি হয়নি। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ভেট কুপার পুতিনকে ‘বাগাড়ম্বর বন্ধ করে রক্তপাত থামানোর’ আহ্বান জানান এবং ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো মেরামতে অতিরিক্ত ১০ মিলিয়ন পাউন্ড সহায়তার ঘোষণা দেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে আমেরিকায় মুসলিম ব্রাদারহুডের কিছু চ্যাপটার বা শাখাকে নিষিদ্ধ করবেন এবং সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের অনুরোধে সুদানের গৃহযুদ্ধও শেষ করবেন। এক অদ্ভুত বাক্যে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে সুদান নামে একটা জায়গা আছে।’ সুদান, সন্ত্রাসবাদ আর আমেরিকার
৪ দিন আগে
লেবানন ও ইসরায়েলের বে সরকারের প্রতিনিধিরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতিত্বে নাকোউরায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ কমিটির একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। এটি চার দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার প্রথম সরাসরি আলোচনার সূচনা। খবর আল–জাজিরার।
১৯ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের সফরে আজ বৃহস্পতিবার ভারতে আসবেন। সময়সূচী অনুসারে, আজ স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ভারতে পৌঁছানোর কথা তাঁর। এই সফরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আয়োজিত এক ব্যক্তিগত নৈশভোজ এবং ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। খবর এনডিটিভির।
৩৬ মিনিট আগে
হরিয়ানার পানিপথের একটি গ্রামে বিয়ের সানাই বাজছিল। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সবে শেষ হতে শুরু করেছে, তখনই বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। বিয়েবাড়িতে শোরগোল পড়ে গেল, ছয় বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ। মুহূর্তেই উৎসবের পরিবেশ বদলে যায় বিষাদে।
১০ ঘণ্টা আগে