
সারা বিশ্বে মানুষ পানির পরেই সবচেয়ে যে পানীয় বেশি পান করে, তা হলো চা। এর যথেষ্ট কারণও আছে। প্রশান্তিদায়ক প্রভাব, দারুণ স্বাদ এবং স্বাস্থ্যকর গুণের জন্য এই পুষ্টিকর পানীয়র প্রশংসা করা হয়। গবেষকেরা বলছেন, নিয়মিত চা পানের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের আয়ু বৃদ্ধির সহায়ক।
এ বিষয়ে ডায়েটিশিয়ান এবং ইলিনয়সের একাডেমি অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিকসের মুখপাত্র হুইটনি লিনসেনমায়ার বলেন, ‘চা ক্যালোরিহীন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর।’ এই গুণগুলো স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, কোলেস্টেরল লেভেল উন্নত করতে এবং ইমিউন ফাংশন তথা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ২০২২ সালের এক গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত চা পানকারীদের মৃত্যুঝুঁকি ১০ বছরে ৯-১৩ শতাংশ কমে যায়।
চায়ে থাকা ক্যাফেইন এবং এল-থিয়ানিন একসঙ্গে মস্তিষ্ককে সতেজ করে, কিন্তু এতে কফির মতো অস্থিরতার অনুভূতি সৃষ্টি হয় না বলে জানান নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ান জেনি নরটন। কফির তুলনায় চা থেকে পাওয়া ক্যাফেইন রক্তে ধীরে ধীরে শোষিত হয়, ফলে এটি দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি প্রদান করে।
এদিকে, চায়ে বিপুল পরিমাণে প্রোটিনহীন অ্যামিনো অ্যাসিড এল-থিয়ানিন থাকে। বিষয়টি মানুষের স্নায়বিক শিথিলতা সৃষ্টি করে এবং মানসিক ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এল-থিয়ানিন মনোযোগ বৃদ্ধি, স্মৃতিশক্তি উন্নত করা, স্ট্রেস কমাতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করে। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি গবেষক কুয়ান ভুয়ং বলেন, ‘এটি আপনাকে একটু উমামি স্বাদও (টক-ঝাল-মিষ্টির বাইরে আলাদা একধরনের স্বাদের নাম) দেয়, যা পরিশেষে খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয়।’
ম্যাচা চা (একধরনের সবুজ চা) এল-থিয়ানিনে ভরপুর। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘরোয়া মসলার মিশ্রণে তৈরি হারবাল চা ক্যাফেইনমুক্ত এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ পান করা যেতে পারে। এমন একটি চায়ের উদাহরণ হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকার রুইবোস। এই হারবাল চা অ্যাসপালাথিন নামে একটি ফ্ল্যাভোনয়েডে ভরপুর, যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। এল-থিয়ানিন ছাড়াও চা সামান্য পরিমাণে গামা-অ্যামিনোবিউটিরিক অ্যাসিড নামক নিউরোট্রান্সমিটার ধারণ করে; যা স্নায়ুকে শিথিল করে এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া চায়ের তাপমাত্রা এবং সুগন্ধি আরও এক ধরনের মানসিক স্থিরতা ও শিথিলতার সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, চা পান করার সময় যে সেন্সরি অভিজ্ঞতা তৈরি হয়, তা কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমাতে, উদ্বেগ কমাতে এবং মানসিক সতেজতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ব্ল্যাক টির সুগন্ধি শ্বাস নেওয়ার ফলে অংশগ্রহণকারীদের মানসিক চাপের মাত্রা কমে গিয়েছিল। ফুলের চা, যেমন ক্যামোমাইল বিশেষভাবে এই শিথিলতার জন্য বেশি কার্যকর। পিপারমেন্ট চায়ের সতেজ গন্ধ মানসিক সতেজতা বাড়ানোর অন্যতম উপায়।
চা শরীরকে সতেজ (হাইড্রেটেড) রাখার অন্যতম সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা দেয় বলে জানান অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি গবেষক এমা বেকেট। তাঁর মতে, শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার ফলে হৃৎপিণ্ড ও পেশি আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে, শরীরে বিভিন্ন অঙ্গের সংযোগস্থলগুলোতে পিচ্ছিল পদার্থ বা লুব্রিকেশন করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে, হজমে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্রম বাড়ায়।
যদিও চা একটি ডাইইউরেটিক (প্রস্রাব বাড়ানো) উপাদান, তবে ক্যাফেইনের কারণে এর প্রভাব খুবই সামান্য। ফলে এটি মোটেও নেতিবাচক হয় না। এই বিষয়ে বেকেট বলেন, ‘হাইড্রেশন মানে যে কেবল শরীরে তরল পদার্থ বা পানি থাকা, বিষয়টি সে রকম নয়। হাইড্রেশন হলো শরীরের মধ্যে পানির চলাচল এবং এর মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দেওয়া হয় এবং লবণের ভারসাম্য বজায় রাখা হয়।’
চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি সমৃদ্ধ উৎস; বিশেষ করে, এতে ফ্ল্যাভোনয়েডস উপাদান যেমন ক্যাটেচিন উপস্থিত থাকে। এই উপাদানগুলো মানুষের শরীরের কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে, প্রদাহ কমায় এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ; যেমন হৃদ্রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সবুজ চায়ে ক্যাটেচিনের উচ্চ মাত্রা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিষয়টি প্রদাহ ও ক্যানসার প্রতিরোধে শক্তিশালী উপকারী অবদান রাখে।
গ্রিন টি বা সবুজ চা উচ্চ ক্যাটেচিন স্তরের কারণে বিশেষভাবে প্রশংসিত। এই ক্যাটেচিন প্রদাহ কমানো ও ক্যানসারের বিরুদ্ধে কার্যকর। সবুজ চায়ের প্রধান চারটি ক্যাটেচিন হলো—এপিক্যাটেচিন, এপিগ্যালোকাটেচিন, এপিক্যাটেচিন গ্যালেট এবং এপিগ্যালোকাটেচিন গ্যালেট (ইজিজিসি)। এই চারটি উপাদানই একসঙ্গে এই উপকারিতা দেয়। বিশেষ করে, ইজিজিসি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, পেটের চর্বি কমানো এবং ব্যায়ামের সময় চর্বি গলানোর প্রক্রিয়া বাড়ানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে বলে জানা গেছে।
যদিও সবুজ চায়ে ক্যাটেচিনের মাত্রা সর্বোচ্চ হলে ব্ল্যাক টি বা কালো চাও কম নয়। ব্ল্যাক টিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণাবলি অক্ষুণ্ন থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চায়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গাট মাইক্রোবায়োম তথা পাকস্থলীর অণুজীবের স্বাস্থ্যের সহায়তা করতে ভূমিকা রাখতে পারে, যা হজম থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা পর্যন্ত নানা বিষয়ের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
একাডেমি অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিকসের আরেক মুখপাত্র জুলি স্টেফানস্কি বলেন, ‘মানুষ চায়ের ভিন্ন ভিন্ন যৌগ আলাদাভাবে কৃত্রিম উপায়ে আহরণ করার বা পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করেছে। তবে চায়ের নির্দিষ্ট যৌগ আলাদা গ্রহণ করার চেয়ে পুরো চা পান করা আরও উপকারী। কারণ, চায়ের ভিন্ন ভিন্ন যৌগ একে অপরের সঙ্গে জটিলভাবে কাজ করে। এগুলো একসঙ্গে কাজ করে।’
তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

সারা বিশ্বে মানুষ পানির পরেই সবচেয়ে যে পানীয় বেশি পান করে, তা হলো চা। এর যথেষ্ট কারণও আছে। প্রশান্তিদায়ক প্রভাব, দারুণ স্বাদ এবং স্বাস্থ্যকর গুণের জন্য এই পুষ্টিকর পানীয়র প্রশংসা করা হয়। গবেষকেরা বলছেন, নিয়মিত চা পানের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের আয়ু বৃদ্ধির সহায়ক।
এ বিষয়ে ডায়েটিশিয়ান এবং ইলিনয়সের একাডেমি অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিকসের মুখপাত্র হুইটনি লিনসেনমায়ার বলেন, ‘চা ক্যালোরিহীন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর।’ এই গুণগুলো স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, কোলেস্টেরল লেভেল উন্নত করতে এবং ইমিউন ফাংশন তথা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ২০২২ সালের এক গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত চা পানকারীদের মৃত্যুঝুঁকি ১০ বছরে ৯-১৩ শতাংশ কমে যায়।
চায়ে থাকা ক্যাফেইন এবং এল-থিয়ানিন একসঙ্গে মস্তিষ্ককে সতেজ করে, কিন্তু এতে কফির মতো অস্থিরতার অনুভূতি সৃষ্টি হয় না বলে জানান নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ান জেনি নরটন। কফির তুলনায় চা থেকে পাওয়া ক্যাফেইন রক্তে ধীরে ধীরে শোষিত হয়, ফলে এটি দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি প্রদান করে।
এদিকে, চায়ে বিপুল পরিমাণে প্রোটিনহীন অ্যামিনো অ্যাসিড এল-থিয়ানিন থাকে। বিষয়টি মানুষের স্নায়বিক শিথিলতা সৃষ্টি করে এবং মানসিক ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এল-থিয়ানিন মনোযোগ বৃদ্ধি, স্মৃতিশক্তি উন্নত করা, স্ট্রেস কমাতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করে। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি গবেষক কুয়ান ভুয়ং বলেন, ‘এটি আপনাকে একটু উমামি স্বাদও (টক-ঝাল-মিষ্টির বাইরে আলাদা একধরনের স্বাদের নাম) দেয়, যা পরিশেষে খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয়।’
ম্যাচা চা (একধরনের সবুজ চা) এল-থিয়ানিনে ভরপুর। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘরোয়া মসলার মিশ্রণে তৈরি হারবাল চা ক্যাফেইনমুক্ত এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ পান করা যেতে পারে। এমন একটি চায়ের উদাহরণ হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকার রুইবোস। এই হারবাল চা অ্যাসপালাথিন নামে একটি ফ্ল্যাভোনয়েডে ভরপুর, যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। এল-থিয়ানিন ছাড়াও চা সামান্য পরিমাণে গামা-অ্যামিনোবিউটিরিক অ্যাসিড নামক নিউরোট্রান্সমিটার ধারণ করে; যা স্নায়ুকে শিথিল করে এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া চায়ের তাপমাত্রা এবং সুগন্ধি আরও এক ধরনের মানসিক স্থিরতা ও শিথিলতার সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, চা পান করার সময় যে সেন্সরি অভিজ্ঞতা তৈরি হয়, তা কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমাতে, উদ্বেগ কমাতে এবং মানসিক সতেজতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ব্ল্যাক টির সুগন্ধি শ্বাস নেওয়ার ফলে অংশগ্রহণকারীদের মানসিক চাপের মাত্রা কমে গিয়েছিল। ফুলের চা, যেমন ক্যামোমাইল বিশেষভাবে এই শিথিলতার জন্য বেশি কার্যকর। পিপারমেন্ট চায়ের সতেজ গন্ধ মানসিক সতেজতা বাড়ানোর অন্যতম উপায়।
চা শরীরকে সতেজ (হাইড্রেটেড) রাখার অন্যতম সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা দেয় বলে জানান অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি গবেষক এমা বেকেট। তাঁর মতে, শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার ফলে হৃৎপিণ্ড ও পেশি আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে, শরীরে বিভিন্ন অঙ্গের সংযোগস্থলগুলোতে পিচ্ছিল পদার্থ বা লুব্রিকেশন করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে, হজমে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্রম বাড়ায়।
যদিও চা একটি ডাইইউরেটিক (প্রস্রাব বাড়ানো) উপাদান, তবে ক্যাফেইনের কারণে এর প্রভাব খুবই সামান্য। ফলে এটি মোটেও নেতিবাচক হয় না। এই বিষয়ে বেকেট বলেন, ‘হাইড্রেশন মানে যে কেবল শরীরে তরল পদার্থ বা পানি থাকা, বিষয়টি সে রকম নয়। হাইড্রেশন হলো শরীরের মধ্যে পানির চলাচল এবং এর মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দেওয়া হয় এবং লবণের ভারসাম্য বজায় রাখা হয়।’
চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি সমৃদ্ধ উৎস; বিশেষ করে, এতে ফ্ল্যাভোনয়েডস উপাদান যেমন ক্যাটেচিন উপস্থিত থাকে। এই উপাদানগুলো মানুষের শরীরের কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে, প্রদাহ কমায় এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ; যেমন হৃদ্রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সবুজ চায়ে ক্যাটেচিনের উচ্চ মাত্রা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিষয়টি প্রদাহ ও ক্যানসার প্রতিরোধে শক্তিশালী উপকারী অবদান রাখে।
গ্রিন টি বা সবুজ চা উচ্চ ক্যাটেচিন স্তরের কারণে বিশেষভাবে প্রশংসিত। এই ক্যাটেচিন প্রদাহ কমানো ও ক্যানসারের বিরুদ্ধে কার্যকর। সবুজ চায়ের প্রধান চারটি ক্যাটেচিন হলো—এপিক্যাটেচিন, এপিগ্যালোকাটেচিন, এপিক্যাটেচিন গ্যালেট এবং এপিগ্যালোকাটেচিন গ্যালেট (ইজিজিসি)। এই চারটি উপাদানই একসঙ্গে এই উপকারিতা দেয়। বিশেষ করে, ইজিজিসি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, পেটের চর্বি কমানো এবং ব্যায়ামের সময় চর্বি গলানোর প্রক্রিয়া বাড়ানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে বলে জানা গেছে।
যদিও সবুজ চায়ে ক্যাটেচিনের মাত্রা সর্বোচ্চ হলে ব্ল্যাক টি বা কালো চাও কম নয়। ব্ল্যাক টিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণাবলি অক্ষুণ্ন থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চায়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গাট মাইক্রোবায়োম তথা পাকস্থলীর অণুজীবের স্বাস্থ্যের সহায়তা করতে ভূমিকা রাখতে পারে, যা হজম থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা পর্যন্ত নানা বিষয়ের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
একাডেমি অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিকসের আরেক মুখপাত্র জুলি স্টেফানস্কি বলেন, ‘মানুষ চায়ের ভিন্ন ভিন্ন যৌগ আলাদাভাবে কৃত্রিম উপায়ে আহরণ করার বা পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করেছে। তবে চায়ের নির্দিষ্ট যৌগ আলাদা গ্রহণ করার চেয়ে পুরো চা পান করা আরও উপকারী। কারণ, চায়ের ভিন্ন ভিন্ন যৌগ একে অপরের সঙ্গে জটিলভাবে কাজ করে। এগুলো একসঙ্গে কাজ করে।’
তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

সারা বিশ্বে মানুষ পানির পরেই সবচেয়ে যে পানীয় বেশি পান করে, তা হলো চা। এর যথেষ্ট কারণও আছে। প্রশান্তিদায়ক প্রভাব, দারুণ স্বাদ এবং স্বাস্থ্যকর গুণের জন্য এই পুষ্টিকর পানীয়র প্রশংসা করা হয়। গবেষকেরা বলছেন, নিয়মিত চা পানের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের আয়ু বৃদ্ধির সহায়ক।
এ বিষয়ে ডায়েটিশিয়ান এবং ইলিনয়সের একাডেমি অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিকসের মুখপাত্র হুইটনি লিনসেনমায়ার বলেন, ‘চা ক্যালোরিহীন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর।’ এই গুণগুলো স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, কোলেস্টেরল লেভেল উন্নত করতে এবং ইমিউন ফাংশন তথা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ২০২২ সালের এক গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত চা পানকারীদের মৃত্যুঝুঁকি ১০ বছরে ৯-১৩ শতাংশ কমে যায়।
চায়ে থাকা ক্যাফেইন এবং এল-থিয়ানিন একসঙ্গে মস্তিষ্ককে সতেজ করে, কিন্তু এতে কফির মতো অস্থিরতার অনুভূতি সৃষ্টি হয় না বলে জানান নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ান জেনি নরটন। কফির তুলনায় চা থেকে পাওয়া ক্যাফেইন রক্তে ধীরে ধীরে শোষিত হয়, ফলে এটি দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি প্রদান করে।
এদিকে, চায়ে বিপুল পরিমাণে প্রোটিনহীন অ্যামিনো অ্যাসিড এল-থিয়ানিন থাকে। বিষয়টি মানুষের স্নায়বিক শিথিলতা সৃষ্টি করে এবং মানসিক ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এল-থিয়ানিন মনোযোগ বৃদ্ধি, স্মৃতিশক্তি উন্নত করা, স্ট্রেস কমাতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করে। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি গবেষক কুয়ান ভুয়ং বলেন, ‘এটি আপনাকে একটু উমামি স্বাদও (টক-ঝাল-মিষ্টির বাইরে আলাদা একধরনের স্বাদের নাম) দেয়, যা পরিশেষে খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয়।’
ম্যাচা চা (একধরনের সবুজ চা) এল-থিয়ানিনে ভরপুর। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘরোয়া মসলার মিশ্রণে তৈরি হারবাল চা ক্যাফেইনমুক্ত এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ পান করা যেতে পারে। এমন একটি চায়ের উদাহরণ হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকার রুইবোস। এই হারবাল চা অ্যাসপালাথিন নামে একটি ফ্ল্যাভোনয়েডে ভরপুর, যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। এল-থিয়ানিন ছাড়াও চা সামান্য পরিমাণে গামা-অ্যামিনোবিউটিরিক অ্যাসিড নামক নিউরোট্রান্সমিটার ধারণ করে; যা স্নায়ুকে শিথিল করে এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া চায়ের তাপমাত্রা এবং সুগন্ধি আরও এক ধরনের মানসিক স্থিরতা ও শিথিলতার সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, চা পান করার সময় যে সেন্সরি অভিজ্ঞতা তৈরি হয়, তা কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমাতে, উদ্বেগ কমাতে এবং মানসিক সতেজতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ব্ল্যাক টির সুগন্ধি শ্বাস নেওয়ার ফলে অংশগ্রহণকারীদের মানসিক চাপের মাত্রা কমে গিয়েছিল। ফুলের চা, যেমন ক্যামোমাইল বিশেষভাবে এই শিথিলতার জন্য বেশি কার্যকর। পিপারমেন্ট চায়ের সতেজ গন্ধ মানসিক সতেজতা বাড়ানোর অন্যতম উপায়।
চা শরীরকে সতেজ (হাইড্রেটেড) রাখার অন্যতম সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা দেয় বলে জানান অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি গবেষক এমা বেকেট। তাঁর মতে, শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার ফলে হৃৎপিণ্ড ও পেশি আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে, শরীরে বিভিন্ন অঙ্গের সংযোগস্থলগুলোতে পিচ্ছিল পদার্থ বা লুব্রিকেশন করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে, হজমে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্রম বাড়ায়।
যদিও চা একটি ডাইইউরেটিক (প্রস্রাব বাড়ানো) উপাদান, তবে ক্যাফেইনের কারণে এর প্রভাব খুবই সামান্য। ফলে এটি মোটেও নেতিবাচক হয় না। এই বিষয়ে বেকেট বলেন, ‘হাইড্রেশন মানে যে কেবল শরীরে তরল পদার্থ বা পানি থাকা, বিষয়টি সে রকম নয়। হাইড্রেশন হলো শরীরের মধ্যে পানির চলাচল এবং এর মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দেওয়া হয় এবং লবণের ভারসাম্য বজায় রাখা হয়।’
চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি সমৃদ্ধ উৎস; বিশেষ করে, এতে ফ্ল্যাভোনয়েডস উপাদান যেমন ক্যাটেচিন উপস্থিত থাকে। এই উপাদানগুলো মানুষের শরীরের কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে, প্রদাহ কমায় এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ; যেমন হৃদ্রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সবুজ চায়ে ক্যাটেচিনের উচ্চ মাত্রা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিষয়টি প্রদাহ ও ক্যানসার প্রতিরোধে শক্তিশালী উপকারী অবদান রাখে।
গ্রিন টি বা সবুজ চা উচ্চ ক্যাটেচিন স্তরের কারণে বিশেষভাবে প্রশংসিত। এই ক্যাটেচিন প্রদাহ কমানো ও ক্যানসারের বিরুদ্ধে কার্যকর। সবুজ চায়ের প্রধান চারটি ক্যাটেচিন হলো—এপিক্যাটেচিন, এপিগ্যালোকাটেচিন, এপিক্যাটেচিন গ্যালেট এবং এপিগ্যালোকাটেচিন গ্যালেট (ইজিজিসি)। এই চারটি উপাদানই একসঙ্গে এই উপকারিতা দেয়। বিশেষ করে, ইজিজিসি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, পেটের চর্বি কমানো এবং ব্যায়ামের সময় চর্বি গলানোর প্রক্রিয়া বাড়ানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে বলে জানা গেছে।
যদিও সবুজ চায়ে ক্যাটেচিনের মাত্রা সর্বোচ্চ হলে ব্ল্যাক টি বা কালো চাও কম নয়। ব্ল্যাক টিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণাবলি অক্ষুণ্ন থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চায়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গাট মাইক্রোবায়োম তথা পাকস্থলীর অণুজীবের স্বাস্থ্যের সহায়তা করতে ভূমিকা রাখতে পারে, যা হজম থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা পর্যন্ত নানা বিষয়ের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
একাডেমি অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিকসের আরেক মুখপাত্র জুলি স্টেফানস্কি বলেন, ‘মানুষ চায়ের ভিন্ন ভিন্ন যৌগ আলাদাভাবে কৃত্রিম উপায়ে আহরণ করার বা পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করেছে। তবে চায়ের নির্দিষ্ট যৌগ আলাদা গ্রহণ করার চেয়ে পুরো চা পান করা আরও উপকারী। কারণ, চায়ের ভিন্ন ভিন্ন যৌগ একে অপরের সঙ্গে জটিলভাবে কাজ করে। এগুলো একসঙ্গে কাজ করে।’
তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

সারা বিশ্বে মানুষ পানির পরেই সবচেয়ে যে পানীয় বেশি পান করে, তা হলো চা। এর যথেষ্ট কারণও আছে। প্রশান্তিদায়ক প্রভাব, দারুণ স্বাদ এবং স্বাস্থ্যকর গুণের জন্য এই পুষ্টিকর পানীয়র প্রশংসা করা হয়। গবেষকেরা বলছেন, নিয়মিত চা পানের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের আয়ু বৃদ্ধির সহায়ক।
এ বিষয়ে ডায়েটিশিয়ান এবং ইলিনয়সের একাডেমি অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিকসের মুখপাত্র হুইটনি লিনসেনমায়ার বলেন, ‘চা ক্যালোরিহীন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর।’ এই গুণগুলো স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, কোলেস্টেরল লেভেল উন্নত করতে এবং ইমিউন ফাংশন তথা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ২০২২ সালের এক গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত চা পানকারীদের মৃত্যুঝুঁকি ১০ বছরে ৯-১৩ শতাংশ কমে যায়।
চায়ে থাকা ক্যাফেইন এবং এল-থিয়ানিন একসঙ্গে মস্তিষ্ককে সতেজ করে, কিন্তু এতে কফির মতো অস্থিরতার অনুভূতি সৃষ্টি হয় না বলে জানান নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ান জেনি নরটন। কফির তুলনায় চা থেকে পাওয়া ক্যাফেইন রক্তে ধীরে ধীরে শোষিত হয়, ফলে এটি দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি প্রদান করে।
এদিকে, চায়ে বিপুল পরিমাণে প্রোটিনহীন অ্যামিনো অ্যাসিড এল-থিয়ানিন থাকে। বিষয়টি মানুষের স্নায়বিক শিথিলতা সৃষ্টি করে এবং মানসিক ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এল-থিয়ানিন মনোযোগ বৃদ্ধি, স্মৃতিশক্তি উন্নত করা, স্ট্রেস কমাতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করে। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি গবেষক কুয়ান ভুয়ং বলেন, ‘এটি আপনাকে একটু উমামি স্বাদও (টক-ঝাল-মিষ্টির বাইরে আলাদা একধরনের স্বাদের নাম) দেয়, যা পরিশেষে খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয়।’
ম্যাচা চা (একধরনের সবুজ চা) এল-থিয়ানিনে ভরপুর। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘরোয়া মসলার মিশ্রণে তৈরি হারবাল চা ক্যাফেইনমুক্ত এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ পান করা যেতে পারে। এমন একটি চায়ের উদাহরণ হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকার রুইবোস। এই হারবাল চা অ্যাসপালাথিন নামে একটি ফ্ল্যাভোনয়েডে ভরপুর, যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। এল-থিয়ানিন ছাড়াও চা সামান্য পরিমাণে গামা-অ্যামিনোবিউটিরিক অ্যাসিড নামক নিউরোট্রান্সমিটার ধারণ করে; যা স্নায়ুকে শিথিল করে এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া চায়ের তাপমাত্রা এবং সুগন্ধি আরও এক ধরনের মানসিক স্থিরতা ও শিথিলতার সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, চা পান করার সময় যে সেন্সরি অভিজ্ঞতা তৈরি হয়, তা কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমাতে, উদ্বেগ কমাতে এবং মানসিক সতেজতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ব্ল্যাক টির সুগন্ধি শ্বাস নেওয়ার ফলে অংশগ্রহণকারীদের মানসিক চাপের মাত্রা কমে গিয়েছিল। ফুলের চা, যেমন ক্যামোমাইল বিশেষভাবে এই শিথিলতার জন্য বেশি কার্যকর। পিপারমেন্ট চায়ের সতেজ গন্ধ মানসিক সতেজতা বাড়ানোর অন্যতম উপায়।
চা শরীরকে সতেজ (হাইড্রেটেড) রাখার অন্যতম সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা দেয় বলে জানান অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি গবেষক এমা বেকেট। তাঁর মতে, শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার ফলে হৃৎপিণ্ড ও পেশি আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে, শরীরে বিভিন্ন অঙ্গের সংযোগস্থলগুলোতে পিচ্ছিল পদার্থ বা লুব্রিকেশন করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে, হজমে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্রম বাড়ায়।
যদিও চা একটি ডাইইউরেটিক (প্রস্রাব বাড়ানো) উপাদান, তবে ক্যাফেইনের কারণে এর প্রভাব খুবই সামান্য। ফলে এটি মোটেও নেতিবাচক হয় না। এই বিষয়ে বেকেট বলেন, ‘হাইড্রেশন মানে যে কেবল শরীরে তরল পদার্থ বা পানি থাকা, বিষয়টি সে রকম নয়। হাইড্রেশন হলো শরীরের মধ্যে পানির চলাচল এবং এর মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দেওয়া হয় এবং লবণের ভারসাম্য বজায় রাখা হয়।’
চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি সমৃদ্ধ উৎস; বিশেষ করে, এতে ফ্ল্যাভোনয়েডস উপাদান যেমন ক্যাটেচিন উপস্থিত থাকে। এই উপাদানগুলো মানুষের শরীরের কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে, প্রদাহ কমায় এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ; যেমন হৃদ্রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সবুজ চায়ে ক্যাটেচিনের উচ্চ মাত্রা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিষয়টি প্রদাহ ও ক্যানসার প্রতিরোধে শক্তিশালী উপকারী অবদান রাখে।
গ্রিন টি বা সবুজ চা উচ্চ ক্যাটেচিন স্তরের কারণে বিশেষভাবে প্রশংসিত। এই ক্যাটেচিন প্রদাহ কমানো ও ক্যানসারের বিরুদ্ধে কার্যকর। সবুজ চায়ের প্রধান চারটি ক্যাটেচিন হলো—এপিক্যাটেচিন, এপিগ্যালোকাটেচিন, এপিক্যাটেচিন গ্যালেট এবং এপিগ্যালোকাটেচিন গ্যালেট (ইজিজিসি)। এই চারটি উপাদানই একসঙ্গে এই উপকারিতা দেয়। বিশেষ করে, ইজিজিসি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, পেটের চর্বি কমানো এবং ব্যায়ামের সময় চর্বি গলানোর প্রক্রিয়া বাড়ানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে বলে জানা গেছে।
যদিও সবুজ চায়ে ক্যাটেচিনের মাত্রা সর্বোচ্চ হলে ব্ল্যাক টি বা কালো চাও কম নয়। ব্ল্যাক টিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণাবলি অক্ষুণ্ন থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চায়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গাট মাইক্রোবায়োম তথা পাকস্থলীর অণুজীবের স্বাস্থ্যের সহায়তা করতে ভূমিকা রাখতে পারে, যা হজম থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা পর্যন্ত নানা বিষয়ের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
একাডেমি অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিকসের আরেক মুখপাত্র জুলি স্টেফানস্কি বলেন, ‘মানুষ চায়ের ভিন্ন ভিন্ন যৌগ আলাদাভাবে কৃত্রিম উপায়ে আহরণ করার বা পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করেছে। তবে চায়ের নির্দিষ্ট যৌগ আলাদা গ্রহণ করার চেয়ে পুরো চা পান করা আরও উপকারী। কারণ, চায়ের ভিন্ন ভিন্ন যৌগ একে অপরের সঙ্গে জটিলভাবে কাজ করে। এগুলো একসঙ্গে কাজ করে।’
তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
১০ ঘণ্টা আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

সারা বিশ্বে মানুষ পানির পরেই সবচেয়ে যে পানীয় বেশি পান করে, তা হলো চা। এর যথেষ্ট কারণও আছে। প্রশান্তিদায়ক প্রভাব, দারুণ স্বাদ এবং স্বাস্থ্যকর গুণের জন্য এই পুষ্টিকর পানীয়র প্রশংসা করা হয়। গবেষকেরা বলছেন, নিয়মিত চা পানের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের আয়ু বৃদ্ধির সহা
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেডা. পূজা সাহা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

সারা বিশ্বে মানুষ পানির পরেই সবচেয়ে যে পানীয় বেশি পান করে, তা হলো চা। এর যথেষ্ট কারণও আছে। প্রশান্তিদায়ক প্রভাব, দারুণ স্বাদ এবং স্বাস্থ্যকর গুণের জন্য এই পুষ্টিকর পানীয়র প্রশংসা করা হয়। গবেষকেরা বলছেন, নিয়মিত চা পানের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের আয়ু বৃদ্ধির সহা
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
১০ ঘণ্টা আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেডা. মো. নূর আলম

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

সারা বিশ্বে মানুষ পানির পরেই সবচেয়ে যে পানীয় বেশি পান করে, তা হলো চা। এর যথেষ্ট কারণও আছে। প্রশান্তিদায়ক প্রভাব, দারুণ স্বাদ এবং স্বাস্থ্যকর গুণের জন্য এই পুষ্টিকর পানীয়র প্রশংসা করা হয়। গবেষকেরা বলছেন, নিয়মিত চা পানের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের আয়ু বৃদ্ধির সহা
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
১০ ঘণ্টা আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেডা. মো. মাজহারুল হক তানিম

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

সারা বিশ্বে মানুষ পানির পরেই সবচেয়ে যে পানীয় বেশি পান করে, তা হলো চা। এর যথেষ্ট কারণও আছে। প্রশান্তিদায়ক প্রভাব, দারুণ স্বাদ এবং স্বাস্থ্যকর গুণের জন্য এই পুষ্টিকর পানীয়র প্রশংসা করা হয়। গবেষকেরা বলছেন, নিয়মিত চা পানের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের আয়ু বৃদ্ধির সহা
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
১০ ঘণ্টা আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে