বিশ্বে মোট মৃত্যুর ৩৩ শতাংশই হয় কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে। আর হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ৮০ শতাংশেরই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। সম্প্রতি কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী পদ্ধতি এনেছেন বিজ্ঞানীরা। এতে এই ঝুঁকিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার কমবে অনেকটাই। দ্য কনভারসেশনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলো এমন একটি পরিস্থিতি যখন হৃৎপিণ্ড হঠাৎ করে শরীরে রক্ত সরবরাহ করা বন্ধ করে দেয়। হৃৎপিণ্ড রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দিলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না। এর ফলে রোগীর শ্বাসকষ্ট হয় এবং শেষ পর্যন্ত রোগী অজ্ঞান হয়ে যান।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের চিকিৎসায় নতুন এই পদ্ধতির নাম ‘ডাবল সিকুয়েনশিয়াল এক্সটার্নাল ডিফাইব্রিলেশন বা ডিএসইডি। এই পদ্ধতি মূলত কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত রোগীর প্রাথমিক জরুরি প্রতিক্রিয়া কৌশল পরিবর্তন করবে এবং এতে রোগীর বেঁচে থাকার হার বাড়বে।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে ব্যক্তির বেঁচে থাকা মূলত নির্ভর করে কত দ্রুত ব্যক্তিকে সেই অবস্থা থেকে বের আনা যায় তার ওপর। সাধারণত যখন হৃৎপিণ্ড স্বাভাবিকভাবে কাজ করে তখন শরীরের বৈদ্যুতিক তরঙ্গ হৃৎপেশির মধ্য দিয়ে নিয়মিত পরিচালিত হয় এবং হৃৎপিণ্ডের সংকোচন-প্রসারণকে নিয়মিত রাখে। কিন্তু স্বাভাবিক বৈদ্যুতিক ছন্দ ব্যাহত হলে হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যায় এবং এ ফলে হৃৎপিণ্ড অকার্যকর হয়ে যেতে পারে বা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি করে।
এই অবস্থায় ডিফাইব্রিলেশন হলো এমন এক পদ্ধতি যার সাহায্যে প্রায় থেমে যাওয়া হৃৎপিণ্ডে বিদ্যুৎ চলাচল বা হৃৎপেশিকে সচল করা হয়। এই পদ্ধতি অস্বাভাবিকভাবে বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে যাওয়া হৃৎপিণ্ডে একটি শক্তিশালী বৈদ্যুতিক শক দেয়। এর ফলে প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া হৃৎপিণ্ড আবারও সচল হয়।
তবে এই পদ্ধতির কাজ করার মূল শর্ত হলো, অকার্যকর হৃৎপিণ্ডের গতি কেমন এবং ঠিক কোন জায়গায় ডিফাইব্রিলেশন প্যাড বসিয়ে শক দেওয়া হচ্ছে তার ওপর। তবে এ ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানীরা একটি দারুণ সুযোগ দেখছেন। তাঁরা দেখেছেন, প্রথমবার প্যাডটি ভুল অবস্থানে বসানো হলেও পরে আরও একবার সুযোগ পাওয়া যায় শক দেওয়ার।
এই চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকেরা বলছেন, দুটি ডিফাইব্রিলেশন প্যাড বসানো হয়। একটি প্যাড বসানো হয় কলার বোন বা কণ্ঠার হাড়ের ঠিক নিচের বুকে এবং অপর একটি প্যাড বসানো হয় বাম বগলের নিচে। এরপর প্রতি দুই মিনিট পরপর শক দেওয়া হয়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট শনাক্ত হওয়ার পরপরই ডিফিব্রিলেশন পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়ার ফলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট থেকে রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনাকে নাটকীয়ভাবে উন্নত করে। তবে প্রায় ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় ‘ভেন্ট্রিকুলার ফাইব্রিলেশন’ বা ‘পালসলেস ভেন্ট্রিকুলার টাকাইকার্ডিয়া’র কারণে। এসব কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ফলে ডিফিব্রিলেশন পদ্ধতি খুব একটা কাজে আসে না।
এদিকে, নিউজিল্যান্ডে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়ার হার বেশ বেড়ে গেছে। ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৩৯০ জন ব্যক্তিকে এ ধরনের চিকিৎসার মাধ্যমে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর বাঁচিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। অথচ, আগের পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হলে এসব রোগীর মধ্যে মাত্র ১৪ শতাংশ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতেন।
বিশ্বে মোট মৃত্যুর ৩৩ শতাংশই হয় কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে। আর হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ৮০ শতাংশেরই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। সম্প্রতি কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী পদ্ধতি এনেছেন বিজ্ঞানীরা। এতে এই ঝুঁকিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার কমবে অনেকটাই। দ্য কনভারসেশনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলো এমন একটি পরিস্থিতি যখন হৃৎপিণ্ড হঠাৎ করে শরীরে রক্ত সরবরাহ করা বন্ধ করে দেয়। হৃৎপিণ্ড রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দিলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না। এর ফলে রোগীর শ্বাসকষ্ট হয় এবং শেষ পর্যন্ত রোগী অজ্ঞান হয়ে যান।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের চিকিৎসায় নতুন এই পদ্ধতির নাম ‘ডাবল সিকুয়েনশিয়াল এক্সটার্নাল ডিফাইব্রিলেশন বা ডিএসইডি। এই পদ্ধতি মূলত কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত রোগীর প্রাথমিক জরুরি প্রতিক্রিয়া কৌশল পরিবর্তন করবে এবং এতে রোগীর বেঁচে থাকার হার বাড়বে।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে ব্যক্তির বেঁচে থাকা মূলত নির্ভর করে কত দ্রুত ব্যক্তিকে সেই অবস্থা থেকে বের আনা যায় তার ওপর। সাধারণত যখন হৃৎপিণ্ড স্বাভাবিকভাবে কাজ করে তখন শরীরের বৈদ্যুতিক তরঙ্গ হৃৎপেশির মধ্য দিয়ে নিয়মিত পরিচালিত হয় এবং হৃৎপিণ্ডের সংকোচন-প্রসারণকে নিয়মিত রাখে। কিন্তু স্বাভাবিক বৈদ্যুতিক ছন্দ ব্যাহত হলে হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যায় এবং এ ফলে হৃৎপিণ্ড অকার্যকর হয়ে যেতে পারে বা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি করে।
এই অবস্থায় ডিফাইব্রিলেশন হলো এমন এক পদ্ধতি যার সাহায্যে প্রায় থেমে যাওয়া হৃৎপিণ্ডে বিদ্যুৎ চলাচল বা হৃৎপেশিকে সচল করা হয়। এই পদ্ধতি অস্বাভাবিকভাবে বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে যাওয়া হৃৎপিণ্ডে একটি শক্তিশালী বৈদ্যুতিক শক দেয়। এর ফলে প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া হৃৎপিণ্ড আবারও সচল হয়।
তবে এই পদ্ধতির কাজ করার মূল শর্ত হলো, অকার্যকর হৃৎপিণ্ডের গতি কেমন এবং ঠিক কোন জায়গায় ডিফাইব্রিলেশন প্যাড বসিয়ে শক দেওয়া হচ্ছে তার ওপর। তবে এ ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানীরা একটি দারুণ সুযোগ দেখছেন। তাঁরা দেখেছেন, প্রথমবার প্যাডটি ভুল অবস্থানে বসানো হলেও পরে আরও একবার সুযোগ পাওয়া যায় শক দেওয়ার।
এই চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকেরা বলছেন, দুটি ডিফাইব্রিলেশন প্যাড বসানো হয়। একটি প্যাড বসানো হয় কলার বোন বা কণ্ঠার হাড়ের ঠিক নিচের বুকে এবং অপর একটি প্যাড বসানো হয় বাম বগলের নিচে। এরপর প্রতি দুই মিনিট পরপর শক দেওয়া হয়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট শনাক্ত হওয়ার পরপরই ডিফিব্রিলেশন পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়ার ফলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট থেকে রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনাকে নাটকীয়ভাবে উন্নত করে। তবে প্রায় ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় ‘ভেন্ট্রিকুলার ফাইব্রিলেশন’ বা ‘পালসলেস ভেন্ট্রিকুলার টাকাইকার্ডিয়া’র কারণে। এসব কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ফলে ডিফিব্রিলেশন পদ্ধতি খুব একটা কাজে আসে না।
এদিকে, নিউজিল্যান্ডে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়ার হার বেশ বেড়ে গেছে। ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৩৯০ জন ব্যক্তিকে এ ধরনের চিকিৎসার মাধ্যমে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর বাঁচিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। অথচ, আগের পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হলে এসব রোগীর মধ্যে মাত্র ১৪ শতাংশ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতেন।
দুই মাস বয়সী ছেলেকে নিয়ে ঢাকার মহাখালীতে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের এক ব্যক্তি। জলবসন্তে (চিকেনপক্স) আক্রান্ত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করান ৯ এপ্রিল। সংক্রামক এ রোগ শিশুটির শরীরে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগেক্যাম্পিউটেড টোমোগ্রাফি। এই খটমটে নামে না চিনলেও ‘সিটি স্ক্যান’ বললে সহজে চিনে ফেলি আমরা। চিকিৎসাক্ষেত্রে রোগ শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এটি। অনেক সময় জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তি হিসেবে কাজ করে এটি। সাধারণত রোগনির্ণয়ে বা কোনো দুর্ঘটনার শিকার হলে কতটা ক্ষতি হয়েছে...
২ দিন আগেখুবই কমদামি দুটি ওষুধের সমন্বিত ব্যবহার প্রতিরোধ করতে পারে হাজার হাজার স্ট্রোক ও হৃদ্রোগ। সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটিশ ও সুইডিশ একদল গবেষক। তাঁরা বলেছেন, দুটি সস্তা ওষুধ একসঙ্গে ব্যবহার করলে হাজার হাজার হৃদ্রোগ বা স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যেতে পারে এবং বহু মানুষের জীবন...
২ দিন আগেপেটের ফ্লু, যাকে ভাইরাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসও বলা হয়, এটি পেটের এক ধরনের সংক্রমণ। এই সমস্যায় বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটব্যথা এবং ক্র্যাম্পের (পেটে মোচড় দেওয়া) মতো লক্ষণ দেখা যায়। এটি সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণের কারণে হয়। সাধারণত বেশির ভাগ পেটের ফ্লু–এর জন্য দায়ী নরোভাইরাস।
২ দিন আগে