বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অল্প বয়সে মারা যাওয়ার ঝুঁকি স্বাভাবিকের তুলনায় অন্তত ৪ থেকে ৬ গুণ বেশি। এমনি যারা ধূমপান করেন তাদের চেয়েও অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্তদের। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের হেলথ ক্লিনিকের একদল গবেষক বিষয়টি জানিয়েছেন।
মনোবিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল সাইকিয়াট্রি রিসার্চে প্রকাশিত এক নিবন্ধের বরাত দিয়ে বিজ্ঞান বিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্স অ্যালার্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের গবেষকেরা সব মিলিয়ে ১ হাজার ১২৮ জনের ওপর পর্যবেক্ষণ চালান। এদের মধ্যে বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ছিলেন ৮৪৭ জন এবং স্বাভাবিক ছিলেন ২৮১ জন।
এর বাইরেও ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের গবেষকেরা এর আগে বিভিন্ন সময়ে চালানো একই ধরনের গবেষণা থেকে ১৮ হাজার ৫৬১ জনের ওপর প্রাপ্ত তথ্যও বিশ্লেষণ করেছেন নতুন করে। এই সাড়ে আঠারো হাজার জনের মধ্যে ১০ হাজার ৭৩৫ জনের বাইপোলার ডিসঅর্ডার ছিল এবং ৭ হাজার ৮২৬ জন ছিলেন স্বাভাবিক।
গবেষকেরা এই দুই সেট তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বলেছেন, ১০ বছর সময়কালের মধ্যে যারা বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত তাদের মৃত্যুর আশঙ্কা স্বাভাবিক আক্রান্ত ব্যক্তিদের তুলনায় অন্তত ৬ গুণ বেশি। তবে ৬০ বছর সময়সীমায় এই আশঙ্কা ২ দশমিক ৩ গুণ বেশি। আবার ধুমপায়ীদের তুলনায় বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্তদের অকালে মৃত্যুর আশঙ্কা অন্তত আড়াই গুণ বেশি।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও গবেষণা নিবন্ধের অন্যতম লেখক মেলভিন ম্যাকইনিস বলেছেন, ‘বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি কতটা বেশি তা দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুটি নমুনায় আমরা দেখেছি যে, বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্তদের মৃত্যুর ঝুঁকি ধূমপায়ীদের চেয়ে অনেক বেশি।’
মেলভিন ম্যাকাইনিস আক্ষেপ করে আরও বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে ধূমপান প্রতিরোধ ও কার্ডিওভাসকুলার রোগের বিষয়ে সচেতনতার জন্য সব ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সেই মাত্রায় কখনই প্রচার করা হয়নি।’
রয়্যাল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্ট বাইপোলার ডিসঅর্ডারের সংজ্ঞায় বলেছে, এই রোগটিকে ‘ম্যানিক ডিপ্রেসিভ ইলনেস’ বলা হয়। এটি বোঝায়, হঠাৎ করেই ব্যক্তির মেজাজ-মর্জি তীব্রভাবে পরিবর্তিত হয়। অন্য ভাষায় বলা যায়, তীব্র মুড সুইং হয়। এই অবস্থা সাধারণত বেশ কয়েক সপ্তাহ বা মাসব্যাপী স্থায়ী হয় এবং মানুষ সাধারণত যে ধরনের মানসিক উত্থান-পতনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যায়, তার চেয়ে অনেক তীব্র হয়।
গবেষকেরা বলছেন, বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিজের ক্ষতি করার ও আত্মহত্যার প্রবণতা স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় অনেক বেশি হয়। আর এ কারণে তাদের জীবনকাল অন্যদের তুলনায় গড়ে ৮ থেকে ১০ বছর কম হয়ে যায়।
তবে বাইপোলার ডিসঅর্ডার মৃত্যুর প্রধান বা একমাত্র কারণ নয়, বরং বলা ভালো এর কারণে মানুষের অন্যদের তুলনায় মৃত্যুর প্রবণতা অনেক বেশি বেড়ে যায়। এ বিষয়ে বায়োমেডিকেল গবেষক ও এই গবেষণা নিবন্ধের প্রধান লেখক আনাস্তাসিয়া ইয়োকুম বলেছেন, ‘এটি ব্যক্তির মৃত্যুর একটি গৌণ কারণ।’
বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অল্প বয়সে মারা যাওয়ার ঝুঁকি স্বাভাবিকের তুলনায় অন্তত ৪ থেকে ৬ গুণ বেশি। এমনি যারা ধূমপান করেন তাদের চেয়েও অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্তদের। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের হেলথ ক্লিনিকের একদল গবেষক বিষয়টি জানিয়েছেন।
মনোবিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল সাইকিয়াট্রি রিসার্চে প্রকাশিত এক নিবন্ধের বরাত দিয়ে বিজ্ঞান বিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্স অ্যালার্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের গবেষকেরা সব মিলিয়ে ১ হাজার ১২৮ জনের ওপর পর্যবেক্ষণ চালান। এদের মধ্যে বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ছিলেন ৮৪৭ জন এবং স্বাভাবিক ছিলেন ২৮১ জন।
এর বাইরেও ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের গবেষকেরা এর আগে বিভিন্ন সময়ে চালানো একই ধরনের গবেষণা থেকে ১৮ হাজার ৫৬১ জনের ওপর প্রাপ্ত তথ্যও বিশ্লেষণ করেছেন নতুন করে। এই সাড়ে আঠারো হাজার জনের মধ্যে ১০ হাজার ৭৩৫ জনের বাইপোলার ডিসঅর্ডার ছিল এবং ৭ হাজার ৮২৬ জন ছিলেন স্বাভাবিক।
গবেষকেরা এই দুই সেট তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বলেছেন, ১০ বছর সময়কালের মধ্যে যারা বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত তাদের মৃত্যুর আশঙ্কা স্বাভাবিক আক্রান্ত ব্যক্তিদের তুলনায় অন্তত ৬ গুণ বেশি। তবে ৬০ বছর সময়সীমায় এই আশঙ্কা ২ দশমিক ৩ গুণ বেশি। আবার ধুমপায়ীদের তুলনায় বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্তদের অকালে মৃত্যুর আশঙ্কা অন্তত আড়াই গুণ বেশি।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও গবেষণা নিবন্ধের অন্যতম লেখক মেলভিন ম্যাকইনিস বলেছেন, ‘বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি কতটা বেশি তা দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুটি নমুনায় আমরা দেখেছি যে, বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্তদের মৃত্যুর ঝুঁকি ধূমপায়ীদের চেয়ে অনেক বেশি।’
মেলভিন ম্যাকাইনিস আক্ষেপ করে আরও বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে ধূমপান প্রতিরোধ ও কার্ডিওভাসকুলার রোগের বিষয়ে সচেতনতার জন্য সব ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সেই মাত্রায় কখনই প্রচার করা হয়নি।’
রয়্যাল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্ট বাইপোলার ডিসঅর্ডারের সংজ্ঞায় বলেছে, এই রোগটিকে ‘ম্যানিক ডিপ্রেসিভ ইলনেস’ বলা হয়। এটি বোঝায়, হঠাৎ করেই ব্যক্তির মেজাজ-মর্জি তীব্রভাবে পরিবর্তিত হয়। অন্য ভাষায় বলা যায়, তীব্র মুড সুইং হয়। এই অবস্থা সাধারণত বেশ কয়েক সপ্তাহ বা মাসব্যাপী স্থায়ী হয় এবং মানুষ সাধারণত যে ধরনের মানসিক উত্থান-পতনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যায়, তার চেয়ে অনেক তীব্র হয়।
গবেষকেরা বলছেন, বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিজের ক্ষতি করার ও আত্মহত্যার প্রবণতা স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় অনেক বেশি হয়। আর এ কারণে তাদের জীবনকাল অন্যদের তুলনায় গড়ে ৮ থেকে ১০ বছর কম হয়ে যায়।
তবে বাইপোলার ডিসঅর্ডার মৃত্যুর প্রধান বা একমাত্র কারণ নয়, বরং বলা ভালো এর কারণে মানুষের অন্যদের তুলনায় মৃত্যুর প্রবণতা অনেক বেশি বেড়ে যায়। এ বিষয়ে বায়োমেডিকেল গবেষক ও এই গবেষণা নিবন্ধের প্রধান লেখক আনাস্তাসিয়া ইয়োকুম বলেছেন, ‘এটি ব্যক্তির মৃত্যুর একটি গৌণ কারণ।’
দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৮৮ জন ভর্তি হয়েছে। তবে চলতি মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এবার বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী সবচেয়ে বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের প্রতিবেদন অনুযায়ী এই চিত্র দেখা গেছে।
২০ ঘণ্টা আগেআপনার হাঁটার গতি শুধু শরীরচর্চার একটি সূচক নয়, বরং এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য, বার্ধক্যের গতি এবং ভবিষ্যতের আয়ুর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ধীরে হাঁটে, তাদের মস্তিষ্ক তুলনামূলকভাবে ছোট এবং গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোয় ভিন্নতা থাকে। হাঁটার গতি দিয়ে ভবিষ্যতে শারীরিক দুর্বলতা, হৃদ্রোগ
১ দিন আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৪৭ জনে দাঁড়ালো। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
৩ দিন আগেকরোনাভাইরাসের অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের একটি উপধরন হল এক্সবিবি। এটি মূলত দুটি অমিক্রন সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংমিশ্রণে তৈরি— BA.2.10.1 এবং BA.2.75। এক্সবিবি প্রথম শনাক্ত হয় ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে। এরপর তা বিশ্বজুড়ে ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে।
৩ দিন আগে