ডা. মো. একরামুল হক জোয়ার্দ্দার
পাকস্থলীর ক্যানসার বিশ্বব্যাপী সব ধরনের কানসারের মধ্যে পঞ্চম এবং এই রোগসংক্রান্ত মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ। উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় উন্নত দেশে পাকস্থলীর কানসারের সংক্রমণ বেশি।
পাকস্থলীর ক্যানসার হলো সবচেয়ে প্রাণঘাতী ম্যালিগন্যান্ট টিউমারগুলোর মধ্যে একটি। এতে পাঁচ বছরের বেশি বেঁচে থাকার হার প্রায় ২০ শতাংশ।
পাকস্থলীর ক্যানসারের কারণ
হেলিকোব্যাকটর পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার হওয়ার ক্ষেত্রে হেলিকোব্যাকটর পাইলোরির সংক্রমণকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর জন্য সাধারণত পাকস্থলীর নিচের দিকে ক্যানসার হয়।
খাদ্যাভ্যাস
লবণযুক্ত খাবার, ধোঁয়াযুক্ত বা খারাপভাবে সংরক্ষিত খাবার, নাইট্রেট, নাইট্রাইট ও সেকেন্ডারি অ্যামাইনযুক্ত খাবার গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
অ্যালকোহল গ্রহণ
দীর্ঘস্থায়ী ও বেশি পরিমাণে অ্যালকোহল গ্রহণ পেটের আস্তরণের কোষের প্রদাহ তৈরি ও ক্ষতি করতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই দীর্ঘস্থায়ী জ্বালা ও প্রদাহ পাকস্থলীর ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। ১০টি গবেষণার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, যাঁরা অ্যালকোহল পান করেন, তাঁদের পেটের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি যাঁরা পান করেন না, তাঁদের থেকে ৩৯ শতাংশ বেশি।
অতিরিক্ত তামাক ব্যবহার
যাঁরা ধূমপান করেন তাঁদের পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি অধূমপায়ীদের তুলনায় প্রায় ৩ গুণ বেশি। এ ছাড়া ধূমপান এইচ. পাইলোরি সংক্রমণের চিকিৎসাকে কম কার্যকর করে তোলে।
স্থূলতা ও গ্যাস্ট্রিক
স্থূলতা প্রক্সিমাল গ্যাস্ট্রিকের সঙ্গে যুক্ত। দীর্ঘস্থায়ী গ্যাস্ট্রাইটিস বা পেটের প্রদাহ যাদের আছে, তাদের পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
পারিবারিক ইতিহাস ও ক্যানসার সিনড্রোম
যাদের পাকস্থলীর ক্যানসারের পারিবারিক ইতিহাস আছে, যেমন মা-বাবা, ভাইবোন বা ছেলেমেয়ের ক্যানসার হয়েছে, তাদের পাকস্থলীর ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এ ছাড়া যাদের পারিবারিক ক্যানসার সিনড্রোম আছে, যেমন পারিবারিক অ্যাডেনোমেটাস পলিপোসিস, বংশগত ননপলিপোসিস কোলোরেক্টাল ক্যানসার কিংবা বংশগত ডিফিউজ গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার ইত্যাদি আছে, তাদেরও পাকস্থলীর ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা আছে।
জিনগত পরিবর্তন
যাদের পিফিফটিথ্রি বা লি-ফ্রোমেনি সিনড্রোম এবং বিআরসিএটু জিনে পরিবর্তন হয়, তাদের পাকস্থলীর ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
এপস্টাইন-বার ভাইরাস সংক্রমণ
» ক্ষতিকারক রক্তাল্পতা: একটি অটোইমিউন অবস্থা, যেখানে অন্ত্র সঠিকভাবে ভিটামিন বি১২ শোষণ করতে পারে না বলে লাল রক্তকণিকার সংখ্যা কম হয়।
» গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ: এটি এমন একটি অবস্থা, যেখানে পাকস্থলীর অ্যাসিড বারবার খাদ্যনালিতে প্রবাহিত হয়।
পরিবেশ ও পেশাগত কারণ
ধাতুশ্রমিক, খনিশ্রমিক, রাবারশ্রমিক এবং সেই সঙ্গে কাঠ বা অ্যাসবেস্টস নিয়ে কাজ করা মানুষেরা পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকিতে থাকে বেশি। উচ্চমাত্রার বিকিরণের সংস্পর্শে থাকলেও পাকস্থলী ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
তবে এই ঝুঁকির কারণগুলোর এক বা একাধিক শরীরে থাকার মানে এই নয় যে আপনি পাকস্থলীর ক্যানসারে আক্রান্ত হবেন। তবে কারণ শরীরে থাকলে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে যাতে পাকস্থলীর ক্যানসার না হয় বা প্রতিরোধ করা যায়।
ডা. মো. একরামুল হক জোয়ার্দ্দার, সার্জিক্যাল অনকোলজি, জেনারেল, ল্যাপারোস্কপিক ও ক্যানসার সার্জারি বিশেষজ্ঞ সার্জন
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
পাকস্থলীর ক্যানসার বিশ্বব্যাপী সব ধরনের কানসারের মধ্যে পঞ্চম এবং এই রোগসংক্রান্ত মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ। উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় উন্নত দেশে পাকস্থলীর কানসারের সংক্রমণ বেশি।
পাকস্থলীর ক্যানসার হলো সবচেয়ে প্রাণঘাতী ম্যালিগন্যান্ট টিউমারগুলোর মধ্যে একটি। এতে পাঁচ বছরের বেশি বেঁচে থাকার হার প্রায় ২০ শতাংশ।
পাকস্থলীর ক্যানসারের কারণ
হেলিকোব্যাকটর পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার হওয়ার ক্ষেত্রে হেলিকোব্যাকটর পাইলোরির সংক্রমণকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর জন্য সাধারণত পাকস্থলীর নিচের দিকে ক্যানসার হয়।
খাদ্যাভ্যাস
লবণযুক্ত খাবার, ধোঁয়াযুক্ত বা খারাপভাবে সংরক্ষিত খাবার, নাইট্রেট, নাইট্রাইট ও সেকেন্ডারি অ্যামাইনযুক্ত খাবার গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
অ্যালকোহল গ্রহণ
দীর্ঘস্থায়ী ও বেশি পরিমাণে অ্যালকোহল গ্রহণ পেটের আস্তরণের কোষের প্রদাহ তৈরি ও ক্ষতি করতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই দীর্ঘস্থায়ী জ্বালা ও প্রদাহ পাকস্থলীর ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। ১০টি গবেষণার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, যাঁরা অ্যালকোহল পান করেন, তাঁদের পেটের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি যাঁরা পান করেন না, তাঁদের থেকে ৩৯ শতাংশ বেশি।
অতিরিক্ত তামাক ব্যবহার
যাঁরা ধূমপান করেন তাঁদের পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি অধূমপায়ীদের তুলনায় প্রায় ৩ গুণ বেশি। এ ছাড়া ধূমপান এইচ. পাইলোরি সংক্রমণের চিকিৎসাকে কম কার্যকর করে তোলে।
স্থূলতা ও গ্যাস্ট্রিক
স্থূলতা প্রক্সিমাল গ্যাস্ট্রিকের সঙ্গে যুক্ত। দীর্ঘস্থায়ী গ্যাস্ট্রাইটিস বা পেটের প্রদাহ যাদের আছে, তাদের পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
পারিবারিক ইতিহাস ও ক্যানসার সিনড্রোম
যাদের পাকস্থলীর ক্যানসারের পারিবারিক ইতিহাস আছে, যেমন মা-বাবা, ভাইবোন বা ছেলেমেয়ের ক্যানসার হয়েছে, তাদের পাকস্থলীর ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এ ছাড়া যাদের পারিবারিক ক্যানসার সিনড্রোম আছে, যেমন পারিবারিক অ্যাডেনোমেটাস পলিপোসিস, বংশগত ননপলিপোসিস কোলোরেক্টাল ক্যানসার কিংবা বংশগত ডিফিউজ গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার ইত্যাদি আছে, তাদেরও পাকস্থলীর ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা আছে।
জিনগত পরিবর্তন
যাদের পিফিফটিথ্রি বা লি-ফ্রোমেনি সিনড্রোম এবং বিআরসিএটু জিনে পরিবর্তন হয়, তাদের পাকস্থলীর ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
এপস্টাইন-বার ভাইরাস সংক্রমণ
» ক্ষতিকারক রক্তাল্পতা: একটি অটোইমিউন অবস্থা, যেখানে অন্ত্র সঠিকভাবে ভিটামিন বি১২ শোষণ করতে পারে না বলে লাল রক্তকণিকার সংখ্যা কম হয়।
» গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ: এটি এমন একটি অবস্থা, যেখানে পাকস্থলীর অ্যাসিড বারবার খাদ্যনালিতে প্রবাহিত হয়।
পরিবেশ ও পেশাগত কারণ
ধাতুশ্রমিক, খনিশ্রমিক, রাবারশ্রমিক এবং সেই সঙ্গে কাঠ বা অ্যাসবেস্টস নিয়ে কাজ করা মানুষেরা পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকিতে থাকে বেশি। উচ্চমাত্রার বিকিরণের সংস্পর্শে থাকলেও পাকস্থলী ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
তবে এই ঝুঁকির কারণগুলোর এক বা একাধিক শরীরে থাকার মানে এই নয় যে আপনি পাকস্থলীর ক্যানসারে আক্রান্ত হবেন। তবে কারণ শরীরে থাকলে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে যাতে পাকস্থলীর ক্যানসার না হয় বা প্রতিরোধ করা যায়।
ডা. মো. একরামুল হক জোয়ার্দ্দার, সার্জিক্যাল অনকোলজি, জেনারেল, ল্যাপারোস্কপিক ও ক্যানসার সার্জারি বিশেষজ্ঞ সার্জন
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
অনেকে মনে করি, ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর হলো দীর্ঘদিন খাবার ভালো রাখার নিরাপদ জায়গা। কিন্তু সব খাবার ফ্রিজে ভালো থাকে না। কিছু কিছু খাবার ফ্রিজে রাখলে সেগুলোর গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি ক্ষতিকরও হয়ে উঠতে পারে। আধুনিক জীবনব্যবস্থায় ফ্রিজ অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ, যা আমাদের জীবনযাত্রার সঙ্গে মিশে গেছে।
২ ঘণ্টা আগেকানে পানি ঢুকলে কান পাকে, এ ধারণা ভুল। আগে থেকে যদি কারও মধ্যকর্ণে বা কানের পর্দায় ফুটো থাকে, তাহলে পানি ঢুকলে কান পাকে। যাদের আগে থেকে কান পাকার সমস্যা, তাদের কানে পানি ঢুকলে সমস্যাটি আরও খারাপ পর্যায়ে চলে যেতে পারে। তবে যাদের এ ধরনের সমস্যা নেই, তাদের কানে পানি প্রবেশ করলেও কান পাকার আশঙ্কা নেই...
২ ঘণ্টা আগেকাজ, পড়াশোনা কিংবা দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন চাপে অনেকের মনে অস্থিরতা কাজ করে। অনেক সময় মন শান্ত রাখা খুব কঠিন। এমনকি দিনের পর দিন কাজের শেষে বিশ্রাম নিলেও মন খারাপ হওয়া থামতে চায় না। জেনে রাখা ভালো মন শান্ত রাখার কিছু সহজ উপায়—
২ ঘণ্টা আগেশিশুর মনোবল বাড়ানোর জন্য মা-বাবা, অভিভাবক ও শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মনোবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণা থেকে শিশুর মনোবল বাড়ানোর কিছু কার্যকরী কৌশল খুঁজে পেয়েছেন। এসব কৌশল শিশুর শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করবে।
৩ ঘণ্টা আগে