অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
আজকাল অনেকেরই স্ট্রোক হচ্ছে। আশঙ্কার কথা হলো, খুব অল্প বয়সী বা তরুণেরাও স্ট্রোকের কবল থেকে রেহাই পাচ্ছে না। আবার অনেকেরই মিনি স্ট্রোক হচ্ছে। এটা যে হচ্ছে, সে বিষয়টাও অনেকে বুঝে উঠতে পারে না। এতে আক্রান্ত ব্যক্তি চোখে অন্ধকার দেখতে থাকে, যাকে আমরা বলি ব্ল্যাক আউট। কিছুক্ষণের মধ্য়েই সব ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু অধিকাংশই এই সংকেত অবহেলা করে। আশঙ্কার কথা হলো, এ রকম মৃদু স্ট্রোকের পর বড় স্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে প্রবল।
মৃদু স্ট্রোককে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ট্রানজিয়েন্ট ইস্কিমিক অ্যাটাক বা টিআইএ। তবে এই আশঙ্কা অনেকটা কমানো যায়, যদি চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া যায়, খাদ্যবিধিতে পরিবর্তন আনা যায় এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসমস্যা থাকলে তার নিয়ন্ত্রণে
রাখা যায়।
আমেরিকান স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন
ও আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, বেশির ভাগ স্ট্রোকই প্রতিরোধযোগ্য। মিনি স্ট্রোক হয়েছে এমন রোগীদের কিছু ওষুধ দেওয়ার পর বড় রকমের স্ট্রোক এড়ানো গেছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। অবস্থা বুঝে এসব ওষুধের ব্যবস্থাপত্র দেবেন চিকিৎসক। এ ধরনের ওষুধকে বলে অ্যান্টিথ্রম্বটিক ড্রাগ। এগুলো দুই রকমের—অ্যান্টিকয়াগুলেন্ট ড্রাগ ও অ্যান্টিপ্লাটিলেট ড্রাগ। অ্যান্টিকয়াগুলেন্ট ড্রাগ রক্তের জমাট বাঁধা ধীর করে। আর অ্যান্টিপ্লাটিলেট ড্রাগ রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। চিকিৎসকেরা সাধারণত দিয়ে থাকেন স্বল্পমেয়াদি অ্যান্টিপ্লাটিলেট থেরাপি। এ ছাড়া দিতে পারেন কোলেস্টেরল, রক্তচাপ আর রক্ত জমাট রোধের ওষুধ। এসব প্রতিরোধযোগ্য ওষুধ স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
মিনি বা মৃদু স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যা করবেন
ধূমপান ও তামাক বাদ দিন
মিনি স্ট্রোক হয়েছে এমন রোগী তামাক খেলে বা ধূমপান করলে বড় স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে দ্বিগুণের বেশি। অভ্যাস ছাড়ার জন্য প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
অ্যালকোহল এড়াতে হবে
অতিরিক্ত মদ্যপানের সঙ্গে ইস্কিমিক স্ট্রোকের গভীর সম্পর্ক আছে। তাই অ্যালকোহল এড়িয়ে যাওয়াই নিরাপদ। যুক্তরাজ্যের স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশনের মতে, অতিমাত্রায় মদ্যপানে বাড়ে রক্তচাপ, এতে এট্রিয়াল ফিব্রিলেশন উসকে যায়, যা স্ট্রোকের বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়। মদ্য়পান লিভারের ক্ষতি করে। এতে রক্ত জমাট বাঁধার ওপর প্রভাব পড়ে, দেহের ওজন বাড়া রোধ করা যায় না, কারণ বেশির ভাগ মদ হাই ক্যালরির।
ডায়েটে পরিবর্তন আনতে হবে
খাদ্য আর পুষ্টি স্ট্রোক প্রতিরোধে ইতিবাচকভাবে বড় ভূমিকা রাখে। সঠিক খাদ্যবিধি মানলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, ডায়াবেটিস এড়ানো, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, স্ট্রোকের ঝুঁকি ও কোলেস্টেরল কমানো সহজ হয়। সবচেয়ে উপযোগী ডায়েট হলো মেডিটারেনিয়ান ডায়েট। এতে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে ৪৫ শতাংশ। এই ডায়েটে রয়েছে প্রচুর শাকসবজি, মটরশুঁটি, মটরজাতীয় বীজ, হোল গ্রেইন, লাল আটা, লাল চাল, ওটস, তাজা ফল, অলিভ অয়েল বা অন্য হেলদি ফ্যাট, বাদাম, মাছ ইত্যাদি।
নিয়মিত ব্যায়াম
নিয়মিত ব্যায়ামে রক্তচাপ কমে, কোলেস্টেরল কমে, ওজন ঠিক থাকে। প্রাপ্তবয়স্করা সপ্তাহে আড়াই ঘণ্টা মাঝারি অ্যারোবিক ব্যায়াম করতে পারেন। দ্রুত হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার, জলকেলি ইত্যাদি হতে পারে রোজকার ব্যায়াম।
যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়
স্থূলতা, ডায়াবেটিস, হাই কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
আজকাল অনেকেরই স্ট্রোক হচ্ছে। আশঙ্কার কথা হলো, খুব অল্প বয়সী বা তরুণেরাও স্ট্রোকের কবল থেকে রেহাই পাচ্ছে না। আবার অনেকেরই মিনি স্ট্রোক হচ্ছে। এটা যে হচ্ছে, সে বিষয়টাও অনেকে বুঝে উঠতে পারে না। এতে আক্রান্ত ব্যক্তি চোখে অন্ধকার দেখতে থাকে, যাকে আমরা বলি ব্ল্যাক আউট। কিছুক্ষণের মধ্য়েই সব ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু অধিকাংশই এই সংকেত অবহেলা করে। আশঙ্কার কথা হলো, এ রকম মৃদু স্ট্রোকের পর বড় স্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে প্রবল।
মৃদু স্ট্রোককে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ট্রানজিয়েন্ট ইস্কিমিক অ্যাটাক বা টিআইএ। তবে এই আশঙ্কা অনেকটা কমানো যায়, যদি চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া যায়, খাদ্যবিধিতে পরিবর্তন আনা যায় এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসমস্যা থাকলে তার নিয়ন্ত্রণে
রাখা যায়।
আমেরিকান স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন
ও আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, বেশির ভাগ স্ট্রোকই প্রতিরোধযোগ্য। মিনি স্ট্রোক হয়েছে এমন রোগীদের কিছু ওষুধ দেওয়ার পর বড় রকমের স্ট্রোক এড়ানো গেছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। অবস্থা বুঝে এসব ওষুধের ব্যবস্থাপত্র দেবেন চিকিৎসক। এ ধরনের ওষুধকে বলে অ্যান্টিথ্রম্বটিক ড্রাগ। এগুলো দুই রকমের—অ্যান্টিকয়াগুলেন্ট ড্রাগ ও অ্যান্টিপ্লাটিলেট ড্রাগ। অ্যান্টিকয়াগুলেন্ট ড্রাগ রক্তের জমাট বাঁধা ধীর করে। আর অ্যান্টিপ্লাটিলেট ড্রাগ রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। চিকিৎসকেরা সাধারণত দিয়ে থাকেন স্বল্পমেয়াদি অ্যান্টিপ্লাটিলেট থেরাপি। এ ছাড়া দিতে পারেন কোলেস্টেরল, রক্তচাপ আর রক্ত জমাট রোধের ওষুধ। এসব প্রতিরোধযোগ্য ওষুধ স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
মিনি বা মৃদু স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যা করবেন
ধূমপান ও তামাক বাদ দিন
মিনি স্ট্রোক হয়েছে এমন রোগী তামাক খেলে বা ধূমপান করলে বড় স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে দ্বিগুণের বেশি। অভ্যাস ছাড়ার জন্য প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
অ্যালকোহল এড়াতে হবে
অতিরিক্ত মদ্যপানের সঙ্গে ইস্কিমিক স্ট্রোকের গভীর সম্পর্ক আছে। তাই অ্যালকোহল এড়িয়ে যাওয়াই নিরাপদ। যুক্তরাজ্যের স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশনের মতে, অতিমাত্রায় মদ্যপানে বাড়ে রক্তচাপ, এতে এট্রিয়াল ফিব্রিলেশন উসকে যায়, যা স্ট্রোকের বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়। মদ্য়পান লিভারের ক্ষতি করে। এতে রক্ত জমাট বাঁধার ওপর প্রভাব পড়ে, দেহের ওজন বাড়া রোধ করা যায় না, কারণ বেশির ভাগ মদ হাই ক্যালরির।
ডায়েটে পরিবর্তন আনতে হবে
খাদ্য আর পুষ্টি স্ট্রোক প্রতিরোধে ইতিবাচকভাবে বড় ভূমিকা রাখে। সঠিক খাদ্যবিধি মানলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, ডায়াবেটিস এড়ানো, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, স্ট্রোকের ঝুঁকি ও কোলেস্টেরল কমানো সহজ হয়। সবচেয়ে উপযোগী ডায়েট হলো মেডিটারেনিয়ান ডায়েট। এতে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে ৪৫ শতাংশ। এই ডায়েটে রয়েছে প্রচুর শাকসবজি, মটরশুঁটি, মটরজাতীয় বীজ, হোল গ্রেইন, লাল আটা, লাল চাল, ওটস, তাজা ফল, অলিভ অয়েল বা অন্য হেলদি ফ্যাট, বাদাম, মাছ ইত্যাদি।
নিয়মিত ব্যায়াম
নিয়মিত ব্যায়ামে রক্তচাপ কমে, কোলেস্টেরল কমে, ওজন ঠিক থাকে। প্রাপ্তবয়স্করা সপ্তাহে আড়াই ঘণ্টা মাঝারি অ্যারোবিক ব্যায়াম করতে পারেন। দ্রুত হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার, জলকেলি ইত্যাদি হতে পারে রোজকার ব্যায়াম।
যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়
স্থূলতা, ডায়াবেটিস, হাই কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
বিগত কয়েক দশক ধরেই বিশ্বে অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা মুটিয়ে যাওয়া ও স্থূলতা। আগামী কয়েক দশকে এই সমস্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী ২০৫০ সালের মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক এবং এক-তৃতীয়াংশ শিশু ও কিশোর-কিশোরী অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার শিকার হবে। এই বিষয়টি
২ ঘণ্টা আগে২০২৫ সালে এসেও এই চিত্র খুব একটা বদলায়নি। এখনো স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি ৪টি উপাদান লৌহ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২, জিংকের ঘাটতিতে ভুগছে প্রায় ২৫ শতাংশ কিশোরী এবং স্থূলতায় আক্রান্ত কমপক্ষে ১০ শতাংশ।
৩ ঘণ্টা আগেআত্মহত্যা একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশে আত্মহত্যার প্রবণতা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যা প্রতিরোধের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাংলাদেশে এখনো আত্মহত্যা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত গবেষণা ও কার্যকর নীতিমালা তৈরি হয়নি
৪ ঘণ্টা আগেদেশে এক দশক আগে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এবার এক স্থানে একাধিক ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, যাকে ক্লাস্টার (গুচ্ছ) সংক্রমণ বলা হয়। একই এলাকার পাঁচ ব্যক্তির সংক্রমণের বিষয়টি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)।
৫ ঘণ্টা আগে