অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া
গর্ভকালে নারীদের প্যানিক অ্যাটাক হয়ে থাকে। এটি অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার বা দুশ্চিন্তাজনিত ব্যাধির অন্তর্ভুক্ত।
প্যানিক অ্যাটাক কিন্তু বেশিক্ষণ থাকে না, মিনিট কয়েক মাত্র এর ব্যাপ্তি। এতে আক্রান্ত হলে সাংঘাতিক দুশ্চিন্তা ও ভয় হয়, মনে হয় আপনি পরিস্থিতির ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছেন। মনে হবে, আপনি এবার হয় মারা যাবেন, নয়তো পাগল হয়ে যাবেন। যে পরিস্থিতিতে এটি হয় সচরাচর সেখান থেকে সবাই বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। প্যানিকের অনুভূতি অত্যন্ত তীব্র, কিন্তু ক্ষণস্থায়ী। এটি কেটে গেলে আপনি ক্লান্ত বোধ করবেন। প্যানিক যতই ভয়প্রদ হোক না কেন, এতে শারীরিক কোনো ক্ষতি হবে না এবং নিজে থেকেই এটি কমে যায়। তবে কখনো প্যানিক অ্যাটাক গর্ভাবস্থায় প্রভাব বিস্তার করে আবার কখনো গর্ভাবস্থা প্যানিক অ্যাটাকে প্রভাব বিস্তার করে বা করতে পারে। পৃথিবীতে ১০ শতাংশ নারী গর্ভকালীন প্যানিক অ্যাটাকে ভোগেন।
এর লক্ষণ ও উপসর্গ গর্ভবিহীন সময়ের মতোই। কেউ কেউ মনে করেন, তাঁর হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে। আবার কেউ মনে করেন, তিনি মারা যাচ্ছেন। যেসব নারীর গর্ভধারণের আগে প্যানিক অ্যাটাকের ইতিহাস আছে, তাঁদের গর্ভকালে এই ভোগান্তি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। আবার এমনটিও হতে পারে, যিনি জীবনে কোনো দিন প্যানিক অ্যাটাকে ভোগেননি, তিনিও এতে ভুগছেন গর্ভাবস্থায়। অবশ্য কারও কারও দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় প্যানিক অ্যাটাক কমে গেছে।
গর্ভাবস্থায় প্যানিক অ্যাটাকের কারণ
⊲ ব্যক্তিগত বা পারিবারিক দুশ্চিন্তা।
⊲ মানসিক চাপ।
⊲ মানসিক চাপের প্রতি স্পর্শকাতরতা।
⊲ বড় আঘাত।
⊲ ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
গবেষণা বলছে, গর্ভাবস্থায় শরীরে হরমোনের মাত্রার তারতম্যের জন্য প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে জেনেটিকভাবে প্যানিক অ্যাটাকে ভোগার প্রবণতা আছে; বিশেষ করে যদি আগে গর্ভপাতের ইতিহাস থাকে বা ঘুমের সমস্যা থাকে, সেগুলো প্যানিক অ্যাটাকের নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। সেই সঙ্গে অর্থকষ্ট বা পারিবারিক আন্তসম্পর্কের দুর্বলতাও প্যানিক অ্যাটাক তৈরি করতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কীভাবে প্যানিক অ্যাটাক সামাল দেবেন
আমাদের মধ্যে অনেকেই কোনো কারণ ছাড়াই মাঝেমধ্যে ভয়ংকর নিঃসঙ্গতা বা প্যানিক অ্যাটাকে ভোগেন। একটু তলিয়ে দেখলে দেখা যাবে, তাঁদের মায়েরা গর্ভকালীন মনোদৈহিক ও মনোসামাজিকভাবে ভালো ছিলেন না। সেই ছাপ সন্তান হিসেবে তাঁর জীবনেও পড়েছে।
অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার
গর্ভকালে নারীদের প্যানিক অ্যাটাক হয়ে থাকে। এটি অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার বা দুশ্চিন্তাজনিত ব্যাধির অন্তর্ভুক্ত।
প্যানিক অ্যাটাক কিন্তু বেশিক্ষণ থাকে না, মিনিট কয়েক মাত্র এর ব্যাপ্তি। এতে আক্রান্ত হলে সাংঘাতিক দুশ্চিন্তা ও ভয় হয়, মনে হয় আপনি পরিস্থিতির ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছেন। মনে হবে, আপনি এবার হয় মারা যাবেন, নয়তো পাগল হয়ে যাবেন। যে পরিস্থিতিতে এটি হয় সচরাচর সেখান থেকে সবাই বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। প্যানিকের অনুভূতি অত্যন্ত তীব্র, কিন্তু ক্ষণস্থায়ী। এটি কেটে গেলে আপনি ক্লান্ত বোধ করবেন। প্যানিক যতই ভয়প্রদ হোক না কেন, এতে শারীরিক কোনো ক্ষতি হবে না এবং নিজে থেকেই এটি কমে যায়। তবে কখনো প্যানিক অ্যাটাক গর্ভাবস্থায় প্রভাব বিস্তার করে আবার কখনো গর্ভাবস্থা প্যানিক অ্যাটাকে প্রভাব বিস্তার করে বা করতে পারে। পৃথিবীতে ১০ শতাংশ নারী গর্ভকালীন প্যানিক অ্যাটাকে ভোগেন।
এর লক্ষণ ও উপসর্গ গর্ভবিহীন সময়ের মতোই। কেউ কেউ মনে করেন, তাঁর হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে। আবার কেউ মনে করেন, তিনি মারা যাচ্ছেন। যেসব নারীর গর্ভধারণের আগে প্যানিক অ্যাটাকের ইতিহাস আছে, তাঁদের গর্ভকালে এই ভোগান্তি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। আবার এমনটিও হতে পারে, যিনি জীবনে কোনো দিন প্যানিক অ্যাটাকে ভোগেননি, তিনিও এতে ভুগছেন গর্ভাবস্থায়। অবশ্য কারও কারও দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় প্যানিক অ্যাটাক কমে গেছে।
গর্ভাবস্থায় প্যানিক অ্যাটাকের কারণ
⊲ ব্যক্তিগত বা পারিবারিক দুশ্চিন্তা।
⊲ মানসিক চাপ।
⊲ মানসিক চাপের প্রতি স্পর্শকাতরতা।
⊲ বড় আঘাত।
⊲ ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
গবেষণা বলছে, গর্ভাবস্থায় শরীরে হরমোনের মাত্রার তারতম্যের জন্য প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে জেনেটিকভাবে প্যানিক অ্যাটাকে ভোগার প্রবণতা আছে; বিশেষ করে যদি আগে গর্ভপাতের ইতিহাস থাকে বা ঘুমের সমস্যা থাকে, সেগুলো প্যানিক অ্যাটাকের নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। সেই সঙ্গে অর্থকষ্ট বা পারিবারিক আন্তসম্পর্কের দুর্বলতাও প্যানিক অ্যাটাক তৈরি করতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কীভাবে প্যানিক অ্যাটাক সামাল দেবেন
আমাদের মধ্যে অনেকেই কোনো কারণ ছাড়াই মাঝেমধ্যে ভয়ংকর নিঃসঙ্গতা বা প্যানিক অ্যাটাকে ভোগেন। একটু তলিয়ে দেখলে দেখা যাবে, তাঁদের মায়েরা গর্ভকালীন মনোদৈহিক ও মনোসামাজিকভাবে ভালো ছিলেন না। সেই ছাপ সন্তান হিসেবে তাঁর জীবনেও পড়েছে।
অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার
চিকিৎসার আশায় ভর্তি হয়েছিলেন, কিন্তু দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও চিকিৎসক না পেয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে একে একে চলে গেছেন সব রোগী। তাঁদেরই একজন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার রাশিদুল ইসলাম। তিনি চলে যাওয়ার সময় বললেন, ‘২১ দিন ছিলাম, কোনো চিকিৎসা পাইনি। ঈদের পর আবার আসব ভাবছি।’
৩ দিন আগেমাইগ্রেনের ভোগান্তি বিশ্বজুড়ে। শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যেই ১ কোটিরও বেশি মানুষ মাইগ্রেনে ভোগেন। এই অসুখ কর্মজীবন শেষ করে দিতে পারে, ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারে, এমনকি জীবনকেও ছোট করে দিতে পারে। তাই এর থেকে পরিত্রাণের জন্য যখন কোনো সহজ সমাধান সামনে আসে তখন অনেকেই সেটি চেষ্টা করে দেখেন।
৪ দিন আগেনারীর শারীরিক শক্তি নিয়ে প্রচলিত ধারণা বদলে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পুরুষদের ছাপিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি একাধিক নারী ক্রীড়াবিদ এমন নজির স্থাপন করেছেন, যা কেবল ক্রীড়াঙ্গনের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়। বরং এসব সাফল্য আমাদের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে বহু পুরোনো ধ্যানধারণার ভিতে নাড়া দিচ্ছে।
৫ দিন আগেপ্রায় দেড় লাখেরও বেশি মুখ ও গলার ক্যানসার রোগী নতুন ইমিউনোথেরাপি ওষুধের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ক্যানসার মুক্ত থাকতে পারবেন। আন্তর্জাতিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল থেকে জানা গেছে, এই ওষুধ ক্যানসার ফিরে আসার ঝুঁকি কমিয়ে রোগীদের রোগমুক্ত থাকার সময় দ্বিগুণ করতে পারে।
৬ দিন আগে