Ajker Patrika

বসন্তে শিশুর অসুখ-বিসুখের প্রতিকার

ডা. নূরজাহান বেগম 
বসন্তে শিশুর অসুখ-বিসুখের প্রতিকার

শীতের বিদায় ও বসন্তের আগমন স্বস্তি আনে ঠিকই; কিন্তু আবহাওয়ার পরিবর্তন নিয়ে একটা অস্বস্তি কাজ করতে থাকে। বিশেষ করে শিশুদের নতুন করে অসুখ-বিসুখের প্রকোপের ভয় কাজ করে।

এ সময় আবহাওয়ার তারতম্যের জন্য বিভিন্ন ধরনের রোগজীবাণু ও ভাইরাস সংক্রমণের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়। ফলে ফ্লু, ঠান্ডা-কাশি, জ্বর, ডায়রিয়া ইত্যাদির প্রকোপ বাড়ে। অন্যদিকে বাতাসে ফুলের রেণু ও দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শিশুদের মধ্যে দেখা যায় শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ। এগুলোর মধ্যে আছে  ব্রঙ্কিওলাইটিস, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। যেসব শিশুর অ্যাজমা আছে, তারা ভুগতে থাকে ঘন ঘন শ্বাসকষ্টে।

এ ছাড়া অ্যালার্জি, হঠাৎ করে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গলাব্যথা, গলার স্বর ও কাশির ধরন পরিবর্তন হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যায়। চিকেন পক্স, হাম, মাম্পসের মতো সংক্রামক ব্যাধিও এ সময় শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। 

প্রতিকারের উপায়

  • আবহাওয়ার তারতম্য অনুযায়ী শিশুদের কাপড় পরাতে হবে, যেন তারা ঘেমে না যায়।
  • বারবার হাত ধুয়ে দিতে হবে।
  • শিশুদের কোলে নেওয়ার আগে কিংবা বাইরে থেকে এসে বড়রা আগে নিজে পরিষ্কার হয়ে তারপর শিশুর কাছে যাবেন।
  • যেসব শিশুর অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাদের বাইরে যাওয়ার সময় মাস্ক পরতে হবে।
  • অ্যালার্জি ও অ্যাজমার সমস্যা আছে যেসব শিশুর, তাদের ফুল, গাছ, পালিত পশুপাখি এবং কার্পেট থেকে দূরে রাখতে হবে। কারণ, এগুলো সচরাচর অ্যালার্জেন হিসেবে পরিচিত।
  • বাড়িতে বা স্কুলে অন্য কারও জ্বর, ঠান্ডা-কাশি হলে যতটা সম্ভব সংস্পর্শ এড়াতে হবে।
  • একই গামছা বা তোয়ালে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • জ্বর, ঠান্ডা-কাশি নিয়ে শিশুকে স্কুলে না পাঠানোই উত্তম।
  • পর্যাপ্ত তরল খাবার ও ফলমূল, শাকসবজি খাওয়াতে হবে।
  • শিশুরা যেন বাইরের আলোয় খেলতে যেতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। সারা দিন ঘরে বসে থাকলে ভিটামিন ডির ঘাটতি হয় এবং তাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়।
  • চিকেন পক্স, হাম কিংবা মাম্পস হলে শিশুকে স্কুলে যেতে দেওয়া যাবে না। এমনকি অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলতেও দেওয়া যাবে না। এতে অন্য শিশুরাও সংক্রমিত হতে পারে।

অসুস্থ হলে করণীয়

  • ভাইরাস জ্বর সাধারণত ৩ থেকে ৫ দিনে ভালো হয়ে যায়। তবে কখনো কখনো ভাইরাস জ্বর একটু দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। তাই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানোর জন্য অস্থির না হওয়াই ভালো।
  • জ্বরের সঙ্গে সর্দি-কাশি থাকলে ঘন ঘন তরল খাবার, লেবু, পানি, মধু (এক বছরের বড় শিশুদের জন্য), তুলসীপাতার রস, গরম পানি দিতে পারেন। নাক পরিষ্কার রাখতে হবে, প্রয়োজনে নরসল ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
  • ঠান্ডা লাগলে শ্বাসের গতি খেয়াল রাখতে হবে। যদি শ্বাসের গতি বেড়ে যায়, শ্বাস নেওয়ার সময় বুক দেবে যায় কিংবা শ্বাসের সঙ্গে শব্দ হতে থাকে, কথা বলতে বা খেতে সমস্যা হয়, তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
  • ২ মাস পর্যন্ত শিশুদের শ্বাসের গতি প্রতি মিনিটে ৬০ বা তার বেশি। ২ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত শিশুদের প্রতি মিনিটে ৫০ বা তার বেশি, ১ বছর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত শিশুদের প্রতি মিনিটে ৪০ বা তার বেশি হলে সেটাকে দ্রুত শ্বাস নেওয়া বলে। তবে শ্বাসের গতি পর্যবেক্ষণ করতে হয় শান্ত অবস্থায় এক মিনিট ধরে।
  • অ্যাজমার শিশুদের জন্য নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ ঘরে রাখতে হবে।

বাড়তি সতর্কতা
এ সময় বাতাসে পোলেন বেশি থাকে। তাই শিশুদের কাপড় ও জুতা থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে। সাধারণত পলিয়েস্টার নাইলন এবং টাইট ফিট কাপড় পরলে শরীরের বগল বা কনুইয়ের মতো যে ভাঁজগুলো আছে, সেগুলোতে র‍্যাশ বা চুলকানি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে নরম সুতির ঢিলেঢালা কাপড় পরানো উচিত। শিশুর কাপড় ভালোভাবে ধুয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে ইস্তিরি করে পরাতে হবে।

ডা. নূরজাহান বেগম, স্পেশালিস্ট, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

শিক্ষকদের সচিবালয়ে ঢোকার চেষ্টা, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ পুলিশের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বয়স বাড়লে দম্পতিদের আলাদা বিছানায় ঘুমের পরিণতি ভালো নয়: গবেষণা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু তাইওয়ানের এক সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে—অন্য ঘরে ঘুমানো সব সময় সম্পর্কের জন্য ভালো নয়, বরং এটি মানসিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) ফক্স নিউজ জানিয়েছে, তাইওয়ানের উত্তরাঞ্চলে ৮৬০ জন বয়স্ক দম্পতিকে নিয়ে করা ওই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘বিএমসি পাবলিক হেলথ’ সাময়িকীতে। গবেষকেরা সুখ, জীবনে সন্তুষ্টি ও পরিপূর্ণতার মতো মানসিক সূচকের সঙ্গে ঘুমের ধরন ও অবস্থানের সম্পর্ক খুঁজে দেখেন। ফলাফলে দেখা যায়—যেসব দম্পতি আলাদা ঘরে ঘুমান, তাঁদের মানসিক সুস্থতা তুলনামূলকভাবে খারাপ।

গবেষকদের মতে, বয়সে প্রবীণ দম্পতিদের ক্ষেত্রে একসঙ্গে থাকা বা একই বাড়িতে বসবাসের চেয়ে একই বিছানা ভাগ করে নেওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের ভাষায়—ঘুমানোর জায়গা ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক উপাদান’ যা দাম্পত্য সম্পর্কের সামগ্রিক সুখকে প্রভাবিত করে।

বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের র‍্যান্ড করপোরেশনের ঘুম-বিশেষজ্ঞ ড. ওয়েন্ডি ট্রোক্সেলের দ্বারস্থ হয়েছিল ফক্স নিউজ। ট্রোক্সেল বলেন, ‘ঘুমের ধরন ও সম্পর্কের মানসিক ঘনিষ্ঠতার মধ্যে গভীর যোগসূত্র রয়েছে।’ তিনি জানান, আলাদা ঘুমানোর সিদ্ধান্ত অনেক সময় মানসিক দূরত্ব বা সম্পর্কের টানাপোড়েনের জন্যও হতে পারে। তবে এটি কারণ নাকি ফলাফল, তা স্পষ্ট নয়।

ট্রোক্সেল আরও বলেন, ‘বয়স্কদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকেরই অনিদ্রা বা ঘুমে বিঘ্নের সমস্যা থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমও হালকা হয়, রাতে ঘুম ভেঙে যায় এবং গভীর ঘুমের পরিমাণ কমে। পাশাপাশি একাকিত্ব, বিষণ্নতা ও উদ্বেগ ঘুমের মান আরও খারাপ করে, যা আবার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়—এ যেন এক অবিরাম চক্র।’

ড. ট্রোক্সেল মনে করেন, ঘুমের ধরন নির্ধারণের জন্য একক কোনো সূত্র নেই। কারও জন্য একসঙ্গে ঘুমানো নিরাপত্তা ও ঘনিষ্ঠতার প্রতীক, আবার কারও জন্য আলাদা ঘুমানোই স্বাস্থ্যকর। গুরুত্বপূর্ণ হলো—দম্পতিদের খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

তাঁর মতে, একসঙ্গে ঘুমানো বা জড়িয়ে শোওয়া শরীরে ‘অক্সিটোসিন’ হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়, যা ভালোবাসা ও নিরাপত্তার অনুভূতি বাড়ায়, স্ট্রেস কমায় এবং ঘুমকে গভীর করে। তবে নাক ডাকা, বিছানায় নড়াচড়া বা শরীরের তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে কারও ঘুম ব্যাহত হলে, তা সম্পর্কের মানসিক ভারসাম্যও নষ্ট করতে পারে।

ট্রোক্সেল তাই উপদেশ দিয়েছেন, যেসব দম্পতি আলাদা ঘুমান, তাঁরা ঘুমানোর আগে একসঙ্গে সময় কাটাতে পারেন—আলাপ, হাসি বা একসঙ্গে বই পড়ার মাধ্যমে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখা সম্ভব।

সবশেষে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ঘুমের ধরন সেটাই, যা একসঙ্গে মানসম্মত ঘুম, আবেগের সংযোগ এবং দীর্ঘমেয়াদি সুখ নিশ্চিত করে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

শিক্ষকদের সচিবালয়ে ঢোকার চেষ্টা, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ পুলিশের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

থেমে নয়, একটানা হাঁটাই হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাস্থ্য ও আয়ু বাড়ায়—নতুন গবেষণা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ০০
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ সময় হাঁটার অভ্যাস শুধু মন ভালো রাখে না, বরং হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণা এমনটাই জানিয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্‌রোগ ও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।

গবেষণার প্রধান লেখক স্পেনের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব মাদ্রিদের সহযোগী অধ্যাপক ড. বোরখা দেল পোজো ক্রুজ বলেন, ‘আমরা সাধারণত দৈনিক পদক্ষেপের সংখ্যা নিয়ে কথা বলি—যেমন ১০ হাজার পদক্ষেপের লক্ষ্য। কিন্তু আমাদের গবেষণা দেখিয়েছে, কীভাবে সেই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে যাঁরা কম সক্রিয়, তাঁরা যদি অল্প সময়ের বদলে কিছু দীর্ঘ হাঁটা যোগ করেন, তাতেও হৃদ্স্বাস্থ্যে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।’

এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, বিশ্বের প্রায় ৩১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন না। তাঁদের অনেকে সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের কম ব্যায়াম করেন, যা হৃদ্‌রোগ, অনিদ্রা ও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল জিউইশ হেলথ ইনস্টিটিউটের হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধ ও সুস্থতা বিভাগের পরিচালক ড. অ্যান্ড্রু ফ্রিম্যান বলেন, ‘প্রায় সবাই কিছু সময় হাঁটতে পারেন, কিন্তু ২০, ৩০ বা ৬০ মিনিট একটানা হাঁটা কঠিন হয়ে যায়। তাই ধীরে ধীরে সেই ক্ষমতা তৈরি করাটাই আসল বিষয়।’

দীর্ঘ সময় হাঁটার ফলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়, রক্তচাপ কমে এবং রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে প্রদাহ ও মানসিক চাপ কমে, হৃদ্‌পেশি শক্ত হয়। ফ্রিম্যান বলেন, ‘এটা অনেকটা ৪৫ কেজির ডাম্বেল তোলার মতো। প্রথমে পারা যায় না, কিন্তু অনুশীলনে সক্ষমতা বাড়ে—হৃদ্‌যন্ত্রও তেমনি।’

গবেষকেরা বলেন, প্রতিদিন নির্দিষ্ট ধাপের লক্ষ্য না রেখে বরং সময়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দিনে অন্তত কিছু সময় একটানা হাঁটলে উপকার পাওয়া যায়। গতি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ধারাবাহিক ও দীর্ঘ সময় হাঁটা বেশি ফল দেয়।

ড. দেল পোজো ক্রুজ পরামর্শ দিয়েছেন, ‘দিনে একাধিকবার ২০-৩০ মিনিট করে টানা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীর সক্রিয় থাকবে, হৃদ্‌যন্ত্র মজবুত হবে।’

হাঁটার সঠিক ভঙ্গিও জরুরি—শরীর সোজা রাখুন, কাঁধ পেছনে দিন এবং হাত দোলান। এতে ভারসাম্য বজায় থাকে ও শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়।

গবেষণাটি যুক্তরাজ্যের ৩৩ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা দৈনিক ৮ হাজার ধাপের কম হাঁটতেন এবং কারও বড় রোগ ছিল না। এক সপ্তাহের ডেটা সংগ্রহের মাধ্যমে গবেষণাটি সম্পন্ন হয়।

সবশেষে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিয়মিত ও দীর্ঘ সময় হাঁটা এমন একটি সহজ উপায়, যা ব্যয়বহুল চিকিৎসা ছাড়াই হৃদ্‌স্বাস্থ্য রক্ষা এবং আয়ু বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

শিক্ষকদের সচিবালয়ে ঢোকার চেষ্টা, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ পুলিশের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ৬ জনের মৃত্যু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ২৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।

এ ছাড়া এক সপ্তাহে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে ১০ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৬ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬৯ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৩ জন।

এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৮১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

শিক্ষকদের সচিবালয়ে ঢোকার চেষ্টা, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ পুলিশের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডেঙ্গুতে সংক্রমণ গত মাসের রেকর্ড ছাড়াল, এক দিনে মৃত্যু আরও ৪

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ৩১
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।

ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।

এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।

দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

শিক্ষকদের সচিবালয়ে ঢোকার চেষ্টা, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ পুলিশের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত