সাজ্জাদ হোসেন
বেলস পালসি হলো একধরনের পক্ষাঘাতগ্রস্ত অবস্থা, যা মুখের প্যারালাইসিসের কারণ হতে পারে। এতে আক্রান্ত হলে মুখের চারপাশে কিছু স্নায়ু বা নার্ভ ও পেশি দুর্বল হয়ে যায় বা এক পাশ প্যারালাইজড হয়ে পড়ে। মূলত মুখের পেশিগুলো যেসব ফেশিয়াল নার্ভ নিয়ন্ত্রণ করে, সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এর আবিষ্কারক জন বেলের নামে এই রোগের নামকরণ করা হয়। যেকোনো বয়সের মানুষের এ রোগ হতে পারে। তবে বেলস পালসিতে নারীদের আক্রান্তের হার পুরুষের তুলনায় বেশি।
কারণ
» ভাইরাস সংক্রমণ
» মধ্যকর্ণে প্রদাহ
» ঠান্ডা লাগা
» আঘাত পাওয়া
» স্ট্রোক
» ফেশিয়াল টিউমার
» কানের অপারেশনের পর ফেশিয়াল নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ইত্যাদি।
লক্ষণ
» আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ এক দিকে বেঁকে যাওয়া
» যে পাশ আক্রান্ত হয়, সেই পাশের চোখের পাতা বন্ধ বা খুলতে না পারা। ফলাফল—চোখের সংক্রমণ
» বাঁ চোখ দিয়ে পানি পড়া
» কুলি করতে গেলে পানি পড়ে যাওয়া এবং খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া
» মুখের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করতে না পারা
» কথা আটকে যাওয়া ইত্যাদি।
চিকিৎসা
যে কারণে বেলস পালসি হয়েছে, তা নির্ণয় করে চিকিৎসা দিলে দ্রুত রোগটি ভালো হয়ে যায়। ভাইরাসের কারণে বেলস পালসি হলে একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের অধীনে অ্যান্টিভাইরাল নেওয়া যেতে পারে। মারাত্মক ক্ষেত্রে ট্রমার কারণে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে অপারেশন করতে হতে পারে। তবে ওষুধের পাশাপাশি সঠিক ফিজিওথেরাপি স্নায়ু ও পেশিগুলোকে দ্রুত সচল করতে সহায়তা করবে। একজন গ্র্যাজুয়েট ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর অবস্থা বুঝে প্রয়োজনীয় ফিজিওথেরাপি দিয়ে থাকেন। এ ছাড়া ফেশিয়াল নার্ভ পালসি কিংবা আঘাতের কারণে চোখে ঝাপসা দেখা, চোখের ওপরের পাতা পড়ে যাওয়া এবং চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।
আক্রান্ত হলে করণীয়
» মুখে ঠান্ডা না লাগানো।
» ঘরের বাইরে গেলে সানগ্লাস ব্যবহার করা।
» চোখ পরিষ্কার রাখা এবং চোখে পানির ঝাপটা দেওয়া। প্রয়োজনে ঘুমানোর সময় চোখে পট্টি বা নরম কাপড় ব্যবহার করা।
» চোখ ও কানে সমস্যা হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া।
» আইসক্রিম ও ঠান্ডা পানি না খাওয়া।
» ফিজিওথেরাপিস্ট চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে ব্যায়াম করা।
সাজ্জাদ হোসেন, কনসালট্যান্ট, ঢাকা ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড স্পাইন কেয়ার, চট্টগ্রাম
বেলস পালসি হলো একধরনের পক্ষাঘাতগ্রস্ত অবস্থা, যা মুখের প্যারালাইসিসের কারণ হতে পারে। এতে আক্রান্ত হলে মুখের চারপাশে কিছু স্নায়ু বা নার্ভ ও পেশি দুর্বল হয়ে যায় বা এক পাশ প্যারালাইজড হয়ে পড়ে। মূলত মুখের পেশিগুলো যেসব ফেশিয়াল নার্ভ নিয়ন্ত্রণ করে, সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এর আবিষ্কারক জন বেলের নামে এই রোগের নামকরণ করা হয়। যেকোনো বয়সের মানুষের এ রোগ হতে পারে। তবে বেলস পালসিতে নারীদের আক্রান্তের হার পুরুষের তুলনায় বেশি।
কারণ
» ভাইরাস সংক্রমণ
» মধ্যকর্ণে প্রদাহ
» ঠান্ডা লাগা
» আঘাত পাওয়া
» স্ট্রোক
» ফেশিয়াল টিউমার
» কানের অপারেশনের পর ফেশিয়াল নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ইত্যাদি।
লক্ষণ
» আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ এক দিকে বেঁকে যাওয়া
» যে পাশ আক্রান্ত হয়, সেই পাশের চোখের পাতা বন্ধ বা খুলতে না পারা। ফলাফল—চোখের সংক্রমণ
» বাঁ চোখ দিয়ে পানি পড়া
» কুলি করতে গেলে পানি পড়ে যাওয়া এবং খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া
» মুখের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করতে না পারা
» কথা আটকে যাওয়া ইত্যাদি।
চিকিৎসা
যে কারণে বেলস পালসি হয়েছে, তা নির্ণয় করে চিকিৎসা দিলে দ্রুত রোগটি ভালো হয়ে যায়। ভাইরাসের কারণে বেলস পালসি হলে একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের অধীনে অ্যান্টিভাইরাল নেওয়া যেতে পারে। মারাত্মক ক্ষেত্রে ট্রমার কারণে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে অপারেশন করতে হতে পারে। তবে ওষুধের পাশাপাশি সঠিক ফিজিওথেরাপি স্নায়ু ও পেশিগুলোকে দ্রুত সচল করতে সহায়তা করবে। একজন গ্র্যাজুয়েট ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর অবস্থা বুঝে প্রয়োজনীয় ফিজিওথেরাপি দিয়ে থাকেন। এ ছাড়া ফেশিয়াল নার্ভ পালসি কিংবা আঘাতের কারণে চোখে ঝাপসা দেখা, চোখের ওপরের পাতা পড়ে যাওয়া এবং চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।
আক্রান্ত হলে করণীয়
» মুখে ঠান্ডা না লাগানো।
» ঘরের বাইরে গেলে সানগ্লাস ব্যবহার করা।
» চোখ পরিষ্কার রাখা এবং চোখে পানির ঝাপটা দেওয়া। প্রয়োজনে ঘুমানোর সময় চোখে পট্টি বা নরম কাপড় ব্যবহার করা।
» চোখ ও কানে সমস্যা হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া।
» আইসক্রিম ও ঠান্ডা পানি না খাওয়া।
» ফিজিওথেরাপিস্ট চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে ব্যায়াম করা।
সাজ্জাদ হোসেন, কনসালট্যান্ট, ঢাকা ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড স্পাইন কেয়ার, চট্টগ্রাম
জুলাইয়ে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৬২৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং মারা গেছে ৩৬ জন। সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ২৫৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। তাদের মধ্যে রাজধানীতে ৩৪৮ জন এবং রাজধানীর বাইরে সারা দেশে ভর্তি রয়েছে ৯১০ জন।
১৯ ঘণ্টা আগেমহামারির শুরুর কয়েক বছরে কোটি কোটি মানুষ মারা গেছে, আর বিলিয়ন মানুষ শোক, একাকিত্ব, হতাশা, দুশ্চিন্তা, আর্থিক টানাপোড়েন ও ঘুমের সমস্যায় ভুগেছে। এর আগে আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, কোভিড-পরবর্তী সময়ে কিশোর-কিশোরীদের মস্তিষ্ক দ্রুত পরিণত (mature) হয়ে ওঠে, এমনকি তাদের মস্তিষ্কে এমন পরিবর্তন দেখা গেছে...
১ দিন আগেডেঙ্গুতে সর্বশেষ মারা যাওয়া শিশু (১) কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। বাকি দুজনের মধ্যে তরুণী (১৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অপর ব্যক্তি (৩০) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৭৬।
২ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে গাঁজা সেবনের প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে টিনএজারদের মধ্যে টিএইচসি, সিবিডি এবং সিনথেটিক ক্যানাবিনয়েড ভ্যাপিংয়ের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, অনেক কিশোর-কিশোরীই জানে না তারা
২ দিন আগে