অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
মূত্রথলি হলো এমন এক যন্ত্র, যা মূত্র সংরক্ষণ করে। এ বিষয়ে কিছু সাধারণ তথ্য জেনে রাখা ভালো।
» মূত্রথলি দিনে খালি হয় চার থেকে ছয়বার।
» ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিলিটার মূত্র ধরে রাখতে সক্ষম এটি।
» ২০০ থেকে ৩০০ মিলিলিটার ভরে গেলে প্রস্রাবের চাপ অনুভব হয়।
» ঘুম থেকে প্রস্রাব করতে উঠতে হয় একবার। বয়স বেশি হলে দুবার হতে পারে।
» থলি পূর্ণ হলে সংকেত দেয়।
» প্রতিবার প্রস্রাবের সময় পুরো থলি খালি হয়ে যায়।
» এ থেকে প্রস্রাব চুইয়ে পড়ে না।
আমাদের শ্রোণিদেশ বা পেলভিসের ভেতর থাকে মূত্রথলি। কিডনি তৈরি করে মূত্র আর তা মূত্রনালি বেয়ে এসে জমা থাকে মূত্রথলিতে প্রস্রাবের বেগ না আসা পর্যন্ত। আমরা টয়লেটে যখন বসি, তখন মূত্রথলির বহিঃনির্গমন দ্বারের পেশিগুলো শিথিল হয় আর মূত্রথলি হয় সংকুচিত।
চুপসে যাওয়ার ফলে প্রস্রাব বেরিয়ে যায়। আমাদের মগজ নিয়ন্ত্রণ করে মূত্রথলি। সুষুম্না স্নায়ুর মাধ্যমে মূত্রথলিকে খবর পাঠায়, কখন মূত্র ধরে রাখতে হবে আর কখন খালি করতে হবে।
এই মূত্রথলির আছে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। এর মধ্যে প্রধান হলো নিয়ন্ত্রণের সমস্যা। এই সমস্যা সচরাচর হয়ে থাকে মানুষের। অনেকের প্রস্রাব বেরিয়ে যায় অনিচ্ছায়। একে বলে ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স। এই সমস্যার আছে রকমফের। হঠাৎ হাঁচি, কাশি বা হাসলে কিংবা ব্যায়াম করলে প্রস্রাব চুইয়ে পড়তে পারে।
তবে চিকিৎসায় ভালো হয়। একে মোকাবিলাও করা যায়। আবার অনেক সময় মূত্রথলি হয়ে যেতে পারে অতি সক্রিয়।
যেভাবে মূত্রথলি সুস্থ রাখবেন
১. পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে; প্রতিদিন ছয় থেকে আট গ্লাস। ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল পান কমাতে হবে। এই পানীয় পানে মূত্রথলির ওপর চাপ পড়ে। চা-কফি-কোলা পান করতে হবে সীমিত পরিমাণে। কারণ, এগুলো মূত্রথলি উত্তেজিত করে আর প্রস্রাব চুইয়ে পড়ার অবস্থা তৈরি করতে সহায়তা করে।
২. দিনে চার থেকে আটবার প্রস্রাব করার অভ্যাস করতে হবে। তবে রাতে দুবারের বেশি নয়। মূত্রথলি যাতে পুরো খালি হয়, সে জন্য সময় নিয়ে প্রস্রাব করতে হবে। তাড়াহুড়া করলে মূত্রথলিতে প্রস্রাব রয়ে যেতে পারে। তাতে সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হবে।
৩. যেসব খাবার খেলে মূত্রথলির সমস্যা হয়, সেগুলো থেকে দূরে থাকা ভালো। যেমন চকলেট, চা-কফি, ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার, টমেটো আর টক ফল।
৪. পেলভিক ফ্লোর পেশির প্রতি নজর রাখতে হবে। পেশি জোরালো করার জন্য ব্যায়াম করতে হবে নিয়মিত। একটি হলো কেইগেল ব্যায়াম। এই ব্যায়াম করলে পেলভিক পেশি শক্তিশালী হবে এবং প্রস্রাব চুইয়ে পড়ার প্রবণতা কমবে।
৫. ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা বন্ধ করতে হবে। ব্লাডার ক্যানসারের একটি কারণ ধূমপান। সঙ্গে মদ্যপানও ছাড়তে হবে।
৬. এ-সংক্রান্ত সব কথা চিকিৎসককে খুলে বলুন। এতে বিব্রত হবেন না। চিকিৎসকের কাছে সঠিক তথ্য থাকলে চিকিৎসা দিতে সুবিধা হবে।
মূত্রথলি হলো এমন এক যন্ত্র, যা মূত্র সংরক্ষণ করে। এ বিষয়ে কিছু সাধারণ তথ্য জেনে রাখা ভালো।
» মূত্রথলি দিনে খালি হয় চার থেকে ছয়বার।
» ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিলিটার মূত্র ধরে রাখতে সক্ষম এটি।
» ২০০ থেকে ৩০০ মিলিলিটার ভরে গেলে প্রস্রাবের চাপ অনুভব হয়।
» ঘুম থেকে প্রস্রাব করতে উঠতে হয় একবার। বয়স বেশি হলে দুবার হতে পারে।
» থলি পূর্ণ হলে সংকেত দেয়।
» প্রতিবার প্রস্রাবের সময় পুরো থলি খালি হয়ে যায়।
» এ থেকে প্রস্রাব চুইয়ে পড়ে না।
আমাদের শ্রোণিদেশ বা পেলভিসের ভেতর থাকে মূত্রথলি। কিডনি তৈরি করে মূত্র আর তা মূত্রনালি বেয়ে এসে জমা থাকে মূত্রথলিতে প্রস্রাবের বেগ না আসা পর্যন্ত। আমরা টয়লেটে যখন বসি, তখন মূত্রথলির বহিঃনির্গমন দ্বারের পেশিগুলো শিথিল হয় আর মূত্রথলি হয় সংকুচিত।
চুপসে যাওয়ার ফলে প্রস্রাব বেরিয়ে যায়। আমাদের মগজ নিয়ন্ত্রণ করে মূত্রথলি। সুষুম্না স্নায়ুর মাধ্যমে মূত্রথলিকে খবর পাঠায়, কখন মূত্র ধরে রাখতে হবে আর কখন খালি করতে হবে।
এই মূত্রথলির আছে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। এর মধ্যে প্রধান হলো নিয়ন্ত্রণের সমস্যা। এই সমস্যা সচরাচর হয়ে থাকে মানুষের। অনেকের প্রস্রাব বেরিয়ে যায় অনিচ্ছায়। একে বলে ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স। এই সমস্যার আছে রকমফের। হঠাৎ হাঁচি, কাশি বা হাসলে কিংবা ব্যায়াম করলে প্রস্রাব চুইয়ে পড়তে পারে।
তবে চিকিৎসায় ভালো হয়। একে মোকাবিলাও করা যায়। আবার অনেক সময় মূত্রথলি হয়ে যেতে পারে অতি সক্রিয়।
যেভাবে মূত্রথলি সুস্থ রাখবেন
১. পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে; প্রতিদিন ছয় থেকে আট গ্লাস। ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল পান কমাতে হবে। এই পানীয় পানে মূত্রথলির ওপর চাপ পড়ে। চা-কফি-কোলা পান করতে হবে সীমিত পরিমাণে। কারণ, এগুলো মূত্রথলি উত্তেজিত করে আর প্রস্রাব চুইয়ে পড়ার অবস্থা তৈরি করতে সহায়তা করে।
২. দিনে চার থেকে আটবার প্রস্রাব করার অভ্যাস করতে হবে। তবে রাতে দুবারের বেশি নয়। মূত্রথলি যাতে পুরো খালি হয়, সে জন্য সময় নিয়ে প্রস্রাব করতে হবে। তাড়াহুড়া করলে মূত্রথলিতে প্রস্রাব রয়ে যেতে পারে। তাতে সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হবে।
৩. যেসব খাবার খেলে মূত্রথলির সমস্যা হয়, সেগুলো থেকে দূরে থাকা ভালো। যেমন চকলেট, চা-কফি, ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার, টমেটো আর টক ফল।
৪. পেলভিক ফ্লোর পেশির প্রতি নজর রাখতে হবে। পেশি জোরালো করার জন্য ব্যায়াম করতে হবে নিয়মিত। একটি হলো কেইগেল ব্যায়াম। এই ব্যায়াম করলে পেলভিক পেশি শক্তিশালী হবে এবং প্রস্রাব চুইয়ে পড়ার প্রবণতা কমবে।
৫. ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা বন্ধ করতে হবে। ব্লাডার ক্যানসারের একটি কারণ ধূমপান। সঙ্গে মদ্যপানও ছাড়তে হবে।
৬. এ-সংক্রান্ত সব কথা চিকিৎসককে খুলে বলুন। এতে বিব্রত হবেন না। চিকিৎসকের কাছে সঠিক তথ্য থাকলে চিকিৎসা দিতে সুবিধা হবে।
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
২১ ঘণ্টা আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
২১ ঘণ্টা আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
২১ ঘণ্টা আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
২১ ঘণ্টা আগে