ডা. নাজমুন নাহার
পেরি-অ্যানাল ফিস্টুলা হলো মলদ্বারের চারপাশে একটি অস্বাভাবিক সরু পথ, যা মলদ্বারের ভেতরের অংশ থেকে বাইরের চামড়ায় গিয়ে খুলে থাকে। এটি সাধারণত মলদ্বারের এক পাশে দেখা যায়। এটি শুধু অস্বস্তি নয়, বরং অবহেলা করলে দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ, ব্যথা ও জীবনযাত্রার মান নষ্ট করতে পারে।
কেন হয়
সাধারণ কারণ হলো অ্যানাল অ্যাবসেস। যখন মলদ্বারের ভেতরের গ্রন্থিতে সংক্রমণ হয়, তখন সেখানে পুঁজ জমে যায়। শরীর সেই পুঁজ বাইরে বের করার জন্য একটি অস্বাভাবিক পথ তৈরি করে, যা সময়ের সঙ্গে ফিস্টুলায় পরিণত হয়।
তবে অ্যানাল অ্যাবসেস ছাড়া আরও কয়েকটি কারণ রয়েছে। সেগুলো হলো—
দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত রোগ: যেমন ক্রোনস ডিজিজ বা আন্ত্রিক প্রদাহজনিত রোগ অথবা যক্ষ্মা। এগুলোতে অন্ত্র ও মলদ্বারে দীর্ঘদিন ধরে প্রদাহ থাকে, যা ফিস্টুলা তৈরি করতে পারে।
আগের অপারেশনের জটিলতা: বিশেষ করে মলদ্বার বা আশপাশের অঞ্চলে সার্জারির পর সংক্রমণ হলে ফিস্টুলা হতে পারে।
ট্রমা বা আঘাত: দুর্ঘটনা বা অন্য কোনো কারণে মলদ্বারে আঘাত পেলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
লিম্ফোগ্রানুলোমা ভেনেরিয়াম: একটি যৌনবাহিত সংক্রমণ, যা লসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া ও প্রদাহের মাধ্যমে ফিস্টুলা তৈরি করতে পারে।
অ্যাকটিনোমাইকোসিস: একধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, যা ধীরে ধীরে ত্বক ও অভ্যন্তরীণ টিস্যুতে ক্ষত তৈরি করে।
রেকটাল ডুপ্লিকেশন: জন্মগত একটি বিরল ত্রুটি, যেখানে মলদ্বার বা রেকটামের পাশে অতিরিক্ত অংশ থাকে এবং সেখান থেকে ফিস্টুলা তৈরি হতে পারে।
বাইরের বস্তু: কোনো কারণে মলদ্বারে বাইরের কোনো বস্তু ঢুকে গেলে বা আটকে থাকলে তা সংক্রমণ ঘটিয়ে ফিস্টুলা তৈরি করতে পারে।
লক্ষণ
লক্ষণ
চিকিৎসা
পেরি-অ্যানাল ফিস্টুলায় অস্ত্রোপচারই এর প্রধান চিকিৎসা।
ফিস্টুলোটমি: এটি প্রচলিত পদ্ধতি। এতে ফিস্টুলার পথ কেটে খোলা হয়, যাতে ভেতরের পুঁজ ও সংক্রমণ বের হয়ে যেতে পারে এবং ক্ষত ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়।
ফিস্টুলেকটমি: এই পদ্ধতিতে পুরো ফিস্টুলার পথ কেটে ফেলা হয়, যাতে পুনরায় সংক্রমণ হওয়ার সুযোগ না থাকে।
সেটন থেরাপি: জটিল বা গভীর ফিস্টুলার ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়। এতে বিশেষ ধরনের সুতা বা রাবারের ফিতা ফিস্টুলার ভেতর দিয়ে লাগানো হয়, যা ধীরে ধীরে টিস্যু কেটে বেরিয়ে যায় এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসে।
আধুনিক কম কাটা পদ্ধতি: লেজার চিকিৎসা, এফ-আই-এ-টি (ফিস্টুলা ইন অ্যানো ট্র্যাক্ট অ্যাব্লেশন), ভি-এ-এ-এফ-টি (ভিডিও অ্যাসিস্টেড অ্যানাল ফিস্টুলা ট্রিটমেন্ট) এবং এল-আই-এফ-টি (লিগেশন অব ইন্টারস্ফিঙ্কটারিক ফিস্টুলা ট্র্যাক্ট)। এসব পদ্ধতিতে কাটাছেঁড়া কম হয়, ব্যথা তুলনামূলক কম থাকে এবং রোগী দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন।
করণীয়
পেরি-অ্যানাল ফিস্টুলা হলে দেরি না করে সার্জনের পরামর্শ নিতে হবে। অপারেশনের পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, নিয়মিত গরম পানির সিটজ বাথ নেওয়া এবং চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ সময়মতো সেবন করা জরুরি। দীর্ঘদিন অবহেলা করলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে এবং অস্ত্রোপচার আরও জটিল হয়ে যেতে পারে।
লেখক: জেনারেল অ্যান্ড কলোরেক্টাল সার্জন, আলোক হাসপাতাল
পেরি-অ্যানাল ফিস্টুলা হলো মলদ্বারের চারপাশে একটি অস্বাভাবিক সরু পথ, যা মলদ্বারের ভেতরের অংশ থেকে বাইরের চামড়ায় গিয়ে খুলে থাকে। এটি সাধারণত মলদ্বারের এক পাশে দেখা যায়। এটি শুধু অস্বস্তি নয়, বরং অবহেলা করলে দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ, ব্যথা ও জীবনযাত্রার মান নষ্ট করতে পারে।
কেন হয়
সাধারণ কারণ হলো অ্যানাল অ্যাবসেস। যখন মলদ্বারের ভেতরের গ্রন্থিতে সংক্রমণ হয়, তখন সেখানে পুঁজ জমে যায়। শরীর সেই পুঁজ বাইরে বের করার জন্য একটি অস্বাভাবিক পথ তৈরি করে, যা সময়ের সঙ্গে ফিস্টুলায় পরিণত হয়।
তবে অ্যানাল অ্যাবসেস ছাড়া আরও কয়েকটি কারণ রয়েছে। সেগুলো হলো—
দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত রোগ: যেমন ক্রোনস ডিজিজ বা আন্ত্রিক প্রদাহজনিত রোগ অথবা যক্ষ্মা। এগুলোতে অন্ত্র ও মলদ্বারে দীর্ঘদিন ধরে প্রদাহ থাকে, যা ফিস্টুলা তৈরি করতে পারে।
আগের অপারেশনের জটিলতা: বিশেষ করে মলদ্বার বা আশপাশের অঞ্চলে সার্জারির পর সংক্রমণ হলে ফিস্টুলা হতে পারে।
ট্রমা বা আঘাত: দুর্ঘটনা বা অন্য কোনো কারণে মলদ্বারে আঘাত পেলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
লিম্ফোগ্রানুলোমা ভেনেরিয়াম: একটি যৌনবাহিত সংক্রমণ, যা লসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া ও প্রদাহের মাধ্যমে ফিস্টুলা তৈরি করতে পারে।
অ্যাকটিনোমাইকোসিস: একধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, যা ধীরে ধীরে ত্বক ও অভ্যন্তরীণ টিস্যুতে ক্ষত তৈরি করে।
রেকটাল ডুপ্লিকেশন: জন্মগত একটি বিরল ত্রুটি, যেখানে মলদ্বার বা রেকটামের পাশে অতিরিক্ত অংশ থাকে এবং সেখান থেকে ফিস্টুলা তৈরি হতে পারে।
বাইরের বস্তু: কোনো কারণে মলদ্বারে বাইরের কোনো বস্তু ঢুকে গেলে বা আটকে থাকলে তা সংক্রমণ ঘটিয়ে ফিস্টুলা তৈরি করতে পারে।
লক্ষণ
লক্ষণ
চিকিৎসা
পেরি-অ্যানাল ফিস্টুলায় অস্ত্রোপচারই এর প্রধান চিকিৎসা।
ফিস্টুলোটমি: এটি প্রচলিত পদ্ধতি। এতে ফিস্টুলার পথ কেটে খোলা হয়, যাতে ভেতরের পুঁজ ও সংক্রমণ বের হয়ে যেতে পারে এবং ক্ষত ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়।
ফিস্টুলেকটমি: এই পদ্ধতিতে পুরো ফিস্টুলার পথ কেটে ফেলা হয়, যাতে পুনরায় সংক্রমণ হওয়ার সুযোগ না থাকে।
সেটন থেরাপি: জটিল বা গভীর ফিস্টুলার ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়। এতে বিশেষ ধরনের সুতা বা রাবারের ফিতা ফিস্টুলার ভেতর দিয়ে লাগানো হয়, যা ধীরে ধীরে টিস্যু কেটে বেরিয়ে যায় এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসে।
আধুনিক কম কাটা পদ্ধতি: লেজার চিকিৎসা, এফ-আই-এ-টি (ফিস্টুলা ইন অ্যানো ট্র্যাক্ট অ্যাব্লেশন), ভি-এ-এ-এফ-টি (ভিডিও অ্যাসিস্টেড অ্যানাল ফিস্টুলা ট্রিটমেন্ট) এবং এল-আই-এফ-টি (লিগেশন অব ইন্টারস্ফিঙ্কটারিক ফিস্টুলা ট্র্যাক্ট)। এসব পদ্ধতিতে কাটাছেঁড়া কম হয়, ব্যথা তুলনামূলক কম থাকে এবং রোগী দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন।
করণীয়
পেরি-অ্যানাল ফিস্টুলা হলে দেরি না করে সার্জনের পরামর্শ নিতে হবে। অপারেশনের পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, নিয়মিত গরম পানির সিটজ বাথ নেওয়া এবং চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ সময়মতো সেবন করা জরুরি। দীর্ঘদিন অবহেলা করলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে এবং অস্ত্রোপচার আরও জটিল হয়ে যেতে পারে।
লেখক: জেনারেল অ্যান্ড কলোরেক্টাল সার্জন, আলোক হাসপাতাল
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ২০২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় তারা ভর্তি হয়েছে। তবে এ সময়ে কোনো ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়নি। আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য...
১ ঘণ্টা আগেগরিব রোগীদের অনর্থক টেস্ট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চিকিৎসকদের উদ্দেশে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, রোগের কথা ভালোভাবে না শুনেই অনেক চিকিৎসক অনর্থক ১৪-১৫টি পরীক্ষা দেন। গরিব রোগীদের প্রতি এই অত্যাচার বন্ধ করুন।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চিকিৎসকদের পরামর্শপত্রে অপ্রয়োজনীয় রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা দেওয়ার চর্চার কড়া সমালোচনা করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। অনর্থক টেস্ট না দিতে এবং মধ্যস্বত্বভোগীর ভূমিকা না নিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) বাংলাদেশ প্রাইভেট হসপিটাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক
৩ ঘণ্টা আগেসরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) ব্যবস্থাপক ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, স্বাস্থ্য সহকারীদের আন্দোলন চলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে দেরি হয়েছে। তাই টিকাদান কর্মসূচি পিছিয়ে ১২ অক্টোবর ঠিক করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল রোববার নতুন এই সিদ্ধান্ত জানা
৪ ঘণ্টা আগে