ডা. মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ পাভেল
নাকের পলিপ আমাদের কাছে পলিপাস নামে পরিচিত। এটি খুব সাধারণ একটি রোগ। নাকের পলিপ হলো দীর্ঘমেয়াদি অ্যালার্জির ফল। নাকে যদি অ্যালার্জি বা সংক্রমণ হয়, তখন নাকের ভেতরে যে ঝিল্লি আছে, যেটাকে আমরা মিউকাস মেমব্রেন বলি, তাতে পানি জমে ফুলে অনেকটা আঙুর ফলের মতো হয়ে যায়। এটিই নাকের পলিপ।
নাকের পাশে মাংসপিণ্ড রয়েছে তিনটি। একটিকে বলে ইনফেরিয়র টার্বিনেট, অন্য দুটিকে মিডেল টার্বিনেট ও সুপিরিয়র টার্বিনেট বলে। ইনফেরিয়র টার্বিনেট দুই পাশে বড়। একে পলিপ বলে বিভিন্ন ভুল চিকিৎসা করা হয়। আসলে এটি নাকের স্বাভাবিক অংশ।
লক্ষণ
নাক বন্ধ, নাক দিয়ে পানি আসা, নাকের অ্যালার্জি, মাথাব্যথা, ঘুমের সমস্যা, নাক ডাকা, কানব্যথা, গলাব্যথা, সাইনোসাইটিস, নাকে গন্ধ না পাওয়া ও কানে কম শোনা।
ধরন
পলিপ দুই রকমের হয়:
নাকের দুই পাশে, ওপরে যে সাইনাস আছে, যাকে ইথময়েডাল সাইনাস বলে, সেখান থেকে ইথময়েডাল পলিপ হয়। নাকের দুই পাশের ম্যাক্সিলারি সাইনাস থেকে এন্ট্রোকোয়ানাল পলিপ হয়। এন্ট্রোকোয়ানাল পলিপ সচরাচর এক পাশে হলেও ইথময়েডাল পলিপ সব সময় দুই পাশে হয়।
কোন বয়সে হয়
যেকোনো বয়সেই হতে পারে এটি। তবে নবজাতকদের পলিপ হয় না। এটি বেশি দেখা যায় মধ্য বয়সে। এন্ট্রোকোয়ানাল পলিপ স্কুলগামী ছেলেমেয়ে এবং ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের বেশি হতে পারে। আর ইথময়েডাল পলিপ ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের বেশি হয়।
চিকিৎসা
অপারেশন এবং ওষুধ—পলিপের চিকিৎসাপদ্ধতি এ দুই ধরনের। তবে পলিপ ওষুধে পুরোপুরি ভালো হয় না। অপারেশন ভালো সমাধান। গ্রামে পলিপের চিকিৎসার নামে নাকে একধরনের অ্যাসিড লাগানো হয়, যা নাকের কার্যক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট করে ফেলে।
পলিপের অপারেশন কেটে করা হলেও এখন না কেটেই করা যায়। এখন ফাংশনাল এন্ডোস্কোপিক সাইনাস সার্জারি হয়। আমাদের দেশেও এটি এখন নিয়মিত চিকিৎসা। পলিপের অপারেশনের পর সুস্থ হতে সাধারণত এক সপ্তাহ প্রয়োজন। খুব কম মানুষের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের পর আবার পলিপ হয়।
প্রতিরোধ
অ্যালার্জি যাতে না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। যেসব কারণে অ্যালার্জি হয়, সেগুলো এড়িয়ে যেতে হবে।
নাক ভালো রাখার টিপস
খুব সাবধানে নাক ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। যেসব বিষয় এড়িয়ে যেতে হবে–
সতর্কতা
অনেকে নাকের ভেতরের লোম টেনে ছেঁড়ার চেষ্টা করেন। এটি বিপজ্জনক। নাকে অকারণে আঙুল বা কটনবাড দেবেন না। পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে এবং টক বা ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে।
ডা. মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ পাভেল, নাক কান গলাবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, ডিএলও, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
নাকের পলিপ আমাদের কাছে পলিপাস নামে পরিচিত। এটি খুব সাধারণ একটি রোগ। নাকের পলিপ হলো দীর্ঘমেয়াদি অ্যালার্জির ফল। নাকে যদি অ্যালার্জি বা সংক্রমণ হয়, তখন নাকের ভেতরে যে ঝিল্লি আছে, যেটাকে আমরা মিউকাস মেমব্রেন বলি, তাতে পানি জমে ফুলে অনেকটা আঙুর ফলের মতো হয়ে যায়। এটিই নাকের পলিপ।
নাকের পাশে মাংসপিণ্ড রয়েছে তিনটি। একটিকে বলে ইনফেরিয়র টার্বিনেট, অন্য দুটিকে মিডেল টার্বিনেট ও সুপিরিয়র টার্বিনেট বলে। ইনফেরিয়র টার্বিনেট দুই পাশে বড়। একে পলিপ বলে বিভিন্ন ভুল চিকিৎসা করা হয়। আসলে এটি নাকের স্বাভাবিক অংশ।
লক্ষণ
নাক বন্ধ, নাক দিয়ে পানি আসা, নাকের অ্যালার্জি, মাথাব্যথা, ঘুমের সমস্যা, নাক ডাকা, কানব্যথা, গলাব্যথা, সাইনোসাইটিস, নাকে গন্ধ না পাওয়া ও কানে কম শোনা।
ধরন
পলিপ দুই রকমের হয়:
নাকের দুই পাশে, ওপরে যে সাইনাস আছে, যাকে ইথময়েডাল সাইনাস বলে, সেখান থেকে ইথময়েডাল পলিপ হয়। নাকের দুই পাশের ম্যাক্সিলারি সাইনাস থেকে এন্ট্রোকোয়ানাল পলিপ হয়। এন্ট্রোকোয়ানাল পলিপ সচরাচর এক পাশে হলেও ইথময়েডাল পলিপ সব সময় দুই পাশে হয়।
কোন বয়সে হয়
যেকোনো বয়সেই হতে পারে এটি। তবে নবজাতকদের পলিপ হয় না। এটি বেশি দেখা যায় মধ্য বয়সে। এন্ট্রোকোয়ানাল পলিপ স্কুলগামী ছেলেমেয়ে এবং ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের বেশি হতে পারে। আর ইথময়েডাল পলিপ ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের বেশি হয়।
চিকিৎসা
অপারেশন এবং ওষুধ—পলিপের চিকিৎসাপদ্ধতি এ দুই ধরনের। তবে পলিপ ওষুধে পুরোপুরি ভালো হয় না। অপারেশন ভালো সমাধান। গ্রামে পলিপের চিকিৎসার নামে নাকে একধরনের অ্যাসিড লাগানো হয়, যা নাকের কার্যক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট করে ফেলে।
পলিপের অপারেশন কেটে করা হলেও এখন না কেটেই করা যায়। এখন ফাংশনাল এন্ডোস্কোপিক সাইনাস সার্জারি হয়। আমাদের দেশেও এটি এখন নিয়মিত চিকিৎসা। পলিপের অপারেশনের পর সুস্থ হতে সাধারণত এক সপ্তাহ প্রয়োজন। খুব কম মানুষের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের পর আবার পলিপ হয়।
প্রতিরোধ
অ্যালার্জি যাতে না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। যেসব কারণে অ্যালার্জি হয়, সেগুলো এড়িয়ে যেতে হবে।
নাক ভালো রাখার টিপস
খুব সাবধানে নাক ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। যেসব বিষয় এড়িয়ে যেতে হবে–
সতর্কতা
অনেকে নাকের ভেতরের লোম টেনে ছেঁড়ার চেষ্টা করেন। এটি বিপজ্জনক। নাকে অকারণে আঙুল বা কটনবাড দেবেন না। পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে এবং টক বা ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে।
ডা. মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ পাভেল, নাক কান গলাবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, ডিএলও, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
২ দিন আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
২ দিন আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
২ দিন আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
২ দিন আগে