ডা. কাকলী হালদার

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
বৈশ্বিক ও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি
অ্যানথ্রাক্স পৃথিবীর প্রায় সব মহাদেশের মাটিতেই পাওয়া যায়। সুপ্ত দশায় এর স্পোর মাটির অভ্যন্তরে দীর্ঘকাল টিকে থাকে। তবে উন্নত দেশগুলোতে ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচির কারণে রোগটি এখন বিরল বা বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যায়। অন্যদিকে আফ্রিকা, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে এটি এখনো এন্ডেমিক বা আঞ্চলিক সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কিছু আফ্রিকান দেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে।
রোগ যেভাবে ছড়ায়
অ্যানথ্রাক্স সাধারণত এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়ায় না। এটি স্পোরের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
ত্বকের মাধ্যমে: ত্বকে কোনো ক্ষত বা কাটা স্থান দিয়ে স্পোর প্রবেশ করলে সংক্রমণ হয়। এটিই মানবদেহে অ্যানথ্রাক্সের সবচেয়ে সাধারণ রূপ।
খাদ্যের মাধ্যমে: সংক্রমিত বা অসুস্থ পশুর মাংস ভালোভাবে রান্না না করে খেলে বা কাঁচা মাংসের সংস্পর্শে এলে সংক্রমণ হতে পারে।
নিশ্বাসের মাধ্যমে: অ্যানথ্রাক্সের স্পোর নিশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করলে সংক্রমণ হতে পারে। জীবাণুযুদ্ধের ক্ষেত্রে এই পথই সবচেয়ে বিপজ্জনক।
অ্যানথ্রাক্স রোগের লক্ষণ
এ রোগের লক্ষণগুলো নির্ভর করে স্পোর শরীরের কোথায় প্রবেশ করছে তার ওপর।
রোগের প্রকারভেদ ও প্রধান লক্ষণ
ত্বকের অ্যানথ্রাক্সে প্রথমে ছোট চুলকানিযুক্ত ফোসকা বা প্যাপুল হয়। ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেটি ফেটে গিয়ে একটি কালো রঙের, ব্যথাহীন ক্ষত বা এসচার সৃষ্টি করে, যা কয়লার মতো দেখায়। আশপাশের চামড়া ফুলে যেতে পারে।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, রক্ত জমাট বাঁধা এবং গলা অথবা খাদ্যনালিতে ঘা হয়। তবে এটি অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে ফ্লুর মতো সাধারণ লক্ষণ দিয়ে শুরু হয়। জ্বর, ক্লান্তি, মাংসপেশিতে ব্যথা ইত্যাদি এর প্রধান লক্ষণ। তবে কয়েক দিনের মধ্যে তা শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও শকে পরিণত হয়, যা মারাত্মক আকার ধারণ করে।

রোগনির্ণয়, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগের লক্ষণ ও রোগীর ইতিহাস থেকে চিকিৎসকেরা অ্যানথ্রাক্স সন্দেহ করেন। তা ছাড়া ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ত্বকের কালো ক্ষত দেখে সন্দেহ করা হয়।
ল্যাব পরীক্ষায় ত্বকের ক্ষত বা রক্ত থেকে নমুনা সংগ্রহ করে গ্রাম স্টেইন ও ব্যাকটেরিয়ার কালচার পরীক্ষা করা হয়। বর্তমানে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু দ্রুত শনাক্ত করার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।
চিকিৎসা
অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ হওয়ায় এর চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়, রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়ে। ত্বকের অ্যানথ্রাক্সের জন্য সাধারণত ডক্সিসাইক্লিন বা সিপ্রোফ্লক্সাসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্স মারাত্মক হওয়ার কারণে এর জন্য একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য সহায়ক চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।

প্রতিরোধ
অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধের জন্য ‘ওয়ান হেলথ’ পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি, যেখানে মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশের স্বাস্থ্যকে একত্রে দেখা হয়।
পশুর টিকাদান: আক্রান্ত এলাকায় গবাদিপশুকে নিয়মিত অ্যানথ্রাক্স টিকা দেওয়া সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।
নিরাপদ পশু জবাই: অসুস্থ পশুর মাংস খাওয়া বা জবাই করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মৃত বা অসুস্থ পশুর দেহ উন্মুক্ত না রেখে মাটির গভীরে পুঁতে ফেলতে হবে।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা: কসাই বা পশু নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের ক্ষতযুক্ত ত্বকের মাধ্যমে সংক্রমণ এড়াতে রাবার গ্লাভস, মাস্ক ও অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক পোশাক ব্যবহার করা উচিত।
মানুষের টিকা: সাধারণত সামরিক বাহিনীর সদস্য কিংবা ল্যাব কর্মীদের মতো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য অ্যানথ্রাক্সের টিকা রয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য এটি রুটিন টিকা নয়।
সচেতনতা ও রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ
বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে সচেতন করতে হবে। সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জনসাধারণের আতঙ্ক দূর করে সচেতনতা তৈরি করা সম্ভব।
প্রতিরোধ জরুরি
» অ্যানথ্রাক্স প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা ভালো। তাই স্থানীয় ভাষায় পোস্টার, লিফলেট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যানথ্রাক্সের সব তথ্য উন্মুক্ত থাকা জরুরি। এতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে।
» পশু পালন এবং মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি।
» অ্যানথ্রাক্স একটি প্রাচীন রোগ হলেও এটি এখন পর্যন্ত জনস্বাস্থ্যের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ। জনগণকে সচেতন করা এবং সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এই মারাত্মক রোগ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
পরামর্শ দিয়েছেন: সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
বৈশ্বিক ও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি
অ্যানথ্রাক্স পৃথিবীর প্রায় সব মহাদেশের মাটিতেই পাওয়া যায়। সুপ্ত দশায় এর স্পোর মাটির অভ্যন্তরে দীর্ঘকাল টিকে থাকে। তবে উন্নত দেশগুলোতে ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচির কারণে রোগটি এখন বিরল বা বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যায়। অন্যদিকে আফ্রিকা, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে এটি এখনো এন্ডেমিক বা আঞ্চলিক সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কিছু আফ্রিকান দেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে।
রোগ যেভাবে ছড়ায়
অ্যানথ্রাক্স সাধারণত এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়ায় না। এটি স্পোরের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
ত্বকের মাধ্যমে: ত্বকে কোনো ক্ষত বা কাটা স্থান দিয়ে স্পোর প্রবেশ করলে সংক্রমণ হয়। এটিই মানবদেহে অ্যানথ্রাক্সের সবচেয়ে সাধারণ রূপ।
খাদ্যের মাধ্যমে: সংক্রমিত বা অসুস্থ পশুর মাংস ভালোভাবে রান্না না করে খেলে বা কাঁচা মাংসের সংস্পর্শে এলে সংক্রমণ হতে পারে।
নিশ্বাসের মাধ্যমে: অ্যানথ্রাক্সের স্পোর নিশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করলে সংক্রমণ হতে পারে। জীবাণুযুদ্ধের ক্ষেত্রে এই পথই সবচেয়ে বিপজ্জনক।
অ্যানথ্রাক্স রোগের লক্ষণ
এ রোগের লক্ষণগুলো নির্ভর করে স্পোর শরীরের কোথায় প্রবেশ করছে তার ওপর।
রোগের প্রকারভেদ ও প্রধান লক্ষণ
ত্বকের অ্যানথ্রাক্সে প্রথমে ছোট চুলকানিযুক্ত ফোসকা বা প্যাপুল হয়। ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেটি ফেটে গিয়ে একটি কালো রঙের, ব্যথাহীন ক্ষত বা এসচার সৃষ্টি করে, যা কয়লার মতো দেখায়। আশপাশের চামড়া ফুলে যেতে পারে।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, রক্ত জমাট বাঁধা এবং গলা অথবা খাদ্যনালিতে ঘা হয়। তবে এটি অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে ফ্লুর মতো সাধারণ লক্ষণ দিয়ে শুরু হয়। জ্বর, ক্লান্তি, মাংসপেশিতে ব্যথা ইত্যাদি এর প্রধান লক্ষণ। তবে কয়েক দিনের মধ্যে তা শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও শকে পরিণত হয়, যা মারাত্মক আকার ধারণ করে।

রোগনির্ণয়, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগের লক্ষণ ও রোগীর ইতিহাস থেকে চিকিৎসকেরা অ্যানথ্রাক্স সন্দেহ করেন। তা ছাড়া ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ত্বকের কালো ক্ষত দেখে সন্দেহ করা হয়।
ল্যাব পরীক্ষায় ত্বকের ক্ষত বা রক্ত থেকে নমুনা সংগ্রহ করে গ্রাম স্টেইন ও ব্যাকটেরিয়ার কালচার পরীক্ষা করা হয়। বর্তমানে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু দ্রুত শনাক্ত করার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।
চিকিৎসা
অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ হওয়ায় এর চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়, রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়ে। ত্বকের অ্যানথ্রাক্সের জন্য সাধারণত ডক্সিসাইক্লিন বা সিপ্রোফ্লক্সাসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্স মারাত্মক হওয়ার কারণে এর জন্য একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য সহায়ক চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।

প্রতিরোধ
অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধের জন্য ‘ওয়ান হেলথ’ পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি, যেখানে মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশের স্বাস্থ্যকে একত্রে দেখা হয়।
পশুর টিকাদান: আক্রান্ত এলাকায় গবাদিপশুকে নিয়মিত অ্যানথ্রাক্স টিকা দেওয়া সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।
নিরাপদ পশু জবাই: অসুস্থ পশুর মাংস খাওয়া বা জবাই করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মৃত বা অসুস্থ পশুর দেহ উন্মুক্ত না রেখে মাটির গভীরে পুঁতে ফেলতে হবে।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা: কসাই বা পশু নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের ক্ষতযুক্ত ত্বকের মাধ্যমে সংক্রমণ এড়াতে রাবার গ্লাভস, মাস্ক ও অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক পোশাক ব্যবহার করা উচিত।
মানুষের টিকা: সাধারণত সামরিক বাহিনীর সদস্য কিংবা ল্যাব কর্মীদের মতো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য অ্যানথ্রাক্সের টিকা রয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য এটি রুটিন টিকা নয়।
সচেতনতা ও রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ
বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে সচেতন করতে হবে। সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জনসাধারণের আতঙ্ক দূর করে সচেতনতা তৈরি করা সম্ভব।
প্রতিরোধ জরুরি
» অ্যানথ্রাক্স প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা ভালো। তাই স্থানীয় ভাষায় পোস্টার, লিফলেট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যানথ্রাক্সের সব তথ্য উন্মুক্ত থাকা জরুরি। এতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে।
» পশু পালন এবং মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি।
» অ্যানথ্রাক্স একটি প্রাচীন রোগ হলেও এটি এখন পর্যন্ত জনস্বাস্থ্যের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ। জনগণকে সচেতন করা এবং সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এই মারাত্মক রোগ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
পরামর্শ দিয়েছেন: সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
ডা. কাকলী হালদার

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
বৈশ্বিক ও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি
অ্যানথ্রাক্স পৃথিবীর প্রায় সব মহাদেশের মাটিতেই পাওয়া যায়। সুপ্ত দশায় এর স্পোর মাটির অভ্যন্তরে দীর্ঘকাল টিকে থাকে। তবে উন্নত দেশগুলোতে ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচির কারণে রোগটি এখন বিরল বা বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যায়। অন্যদিকে আফ্রিকা, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে এটি এখনো এন্ডেমিক বা আঞ্চলিক সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কিছু আফ্রিকান দেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে।
রোগ যেভাবে ছড়ায়
অ্যানথ্রাক্স সাধারণত এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়ায় না। এটি স্পোরের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
ত্বকের মাধ্যমে: ত্বকে কোনো ক্ষত বা কাটা স্থান দিয়ে স্পোর প্রবেশ করলে সংক্রমণ হয়। এটিই মানবদেহে অ্যানথ্রাক্সের সবচেয়ে সাধারণ রূপ।
খাদ্যের মাধ্যমে: সংক্রমিত বা অসুস্থ পশুর মাংস ভালোভাবে রান্না না করে খেলে বা কাঁচা মাংসের সংস্পর্শে এলে সংক্রমণ হতে পারে।
নিশ্বাসের মাধ্যমে: অ্যানথ্রাক্সের স্পোর নিশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করলে সংক্রমণ হতে পারে। জীবাণুযুদ্ধের ক্ষেত্রে এই পথই সবচেয়ে বিপজ্জনক।
অ্যানথ্রাক্স রোগের লক্ষণ
এ রোগের লক্ষণগুলো নির্ভর করে স্পোর শরীরের কোথায় প্রবেশ করছে তার ওপর।
রোগের প্রকারভেদ ও প্রধান লক্ষণ
ত্বকের অ্যানথ্রাক্সে প্রথমে ছোট চুলকানিযুক্ত ফোসকা বা প্যাপুল হয়। ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেটি ফেটে গিয়ে একটি কালো রঙের, ব্যথাহীন ক্ষত বা এসচার সৃষ্টি করে, যা কয়লার মতো দেখায়। আশপাশের চামড়া ফুলে যেতে পারে।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, রক্ত জমাট বাঁধা এবং গলা অথবা খাদ্যনালিতে ঘা হয়। তবে এটি অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে ফ্লুর মতো সাধারণ লক্ষণ দিয়ে শুরু হয়। জ্বর, ক্লান্তি, মাংসপেশিতে ব্যথা ইত্যাদি এর প্রধান লক্ষণ। তবে কয়েক দিনের মধ্যে তা শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও শকে পরিণত হয়, যা মারাত্মক আকার ধারণ করে।

রোগনির্ণয়, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগের লক্ষণ ও রোগীর ইতিহাস থেকে চিকিৎসকেরা অ্যানথ্রাক্স সন্দেহ করেন। তা ছাড়া ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ত্বকের কালো ক্ষত দেখে সন্দেহ করা হয়।
ল্যাব পরীক্ষায় ত্বকের ক্ষত বা রক্ত থেকে নমুনা সংগ্রহ করে গ্রাম স্টেইন ও ব্যাকটেরিয়ার কালচার পরীক্ষা করা হয়। বর্তমানে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু দ্রুত শনাক্ত করার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।
চিকিৎসা
অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ হওয়ায় এর চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়, রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়ে। ত্বকের অ্যানথ্রাক্সের জন্য সাধারণত ডক্সিসাইক্লিন বা সিপ্রোফ্লক্সাসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্স মারাত্মক হওয়ার কারণে এর জন্য একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য সহায়ক চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।

প্রতিরোধ
অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধের জন্য ‘ওয়ান হেলথ’ পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি, যেখানে মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশের স্বাস্থ্যকে একত্রে দেখা হয়।
পশুর টিকাদান: আক্রান্ত এলাকায় গবাদিপশুকে নিয়মিত অ্যানথ্রাক্স টিকা দেওয়া সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।
নিরাপদ পশু জবাই: অসুস্থ পশুর মাংস খাওয়া বা জবাই করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মৃত বা অসুস্থ পশুর দেহ উন্মুক্ত না রেখে মাটির গভীরে পুঁতে ফেলতে হবে।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা: কসাই বা পশু নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের ক্ষতযুক্ত ত্বকের মাধ্যমে সংক্রমণ এড়াতে রাবার গ্লাভস, মাস্ক ও অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক পোশাক ব্যবহার করা উচিত।
মানুষের টিকা: সাধারণত সামরিক বাহিনীর সদস্য কিংবা ল্যাব কর্মীদের মতো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য অ্যানথ্রাক্সের টিকা রয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য এটি রুটিন টিকা নয়।
সচেতনতা ও রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ
বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে সচেতন করতে হবে। সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জনসাধারণের আতঙ্ক দূর করে সচেতনতা তৈরি করা সম্ভব।
প্রতিরোধ জরুরি
» অ্যানথ্রাক্স প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা ভালো। তাই স্থানীয় ভাষায় পোস্টার, লিফলেট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যানথ্রাক্সের সব তথ্য উন্মুক্ত থাকা জরুরি। এতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে।
» পশু পালন এবং মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি।
» অ্যানথ্রাক্স একটি প্রাচীন রোগ হলেও এটি এখন পর্যন্ত জনস্বাস্থ্যের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ। জনগণকে সচেতন করা এবং সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এই মারাত্মক রোগ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
পরামর্শ দিয়েছেন: সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
বৈশ্বিক ও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি
অ্যানথ্রাক্স পৃথিবীর প্রায় সব মহাদেশের মাটিতেই পাওয়া যায়। সুপ্ত দশায় এর স্পোর মাটির অভ্যন্তরে দীর্ঘকাল টিকে থাকে। তবে উন্নত দেশগুলোতে ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচির কারণে রোগটি এখন বিরল বা বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যায়। অন্যদিকে আফ্রিকা, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে এটি এখনো এন্ডেমিক বা আঞ্চলিক সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কিছু আফ্রিকান দেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে।
রোগ যেভাবে ছড়ায়
অ্যানথ্রাক্স সাধারণত এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়ায় না। এটি স্পোরের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
ত্বকের মাধ্যমে: ত্বকে কোনো ক্ষত বা কাটা স্থান দিয়ে স্পোর প্রবেশ করলে সংক্রমণ হয়। এটিই মানবদেহে অ্যানথ্রাক্সের সবচেয়ে সাধারণ রূপ।
খাদ্যের মাধ্যমে: সংক্রমিত বা অসুস্থ পশুর মাংস ভালোভাবে রান্না না করে খেলে বা কাঁচা মাংসের সংস্পর্শে এলে সংক্রমণ হতে পারে।
নিশ্বাসের মাধ্যমে: অ্যানথ্রাক্সের স্পোর নিশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করলে সংক্রমণ হতে পারে। জীবাণুযুদ্ধের ক্ষেত্রে এই পথই সবচেয়ে বিপজ্জনক।
অ্যানথ্রাক্স রোগের লক্ষণ
এ রোগের লক্ষণগুলো নির্ভর করে স্পোর শরীরের কোথায় প্রবেশ করছে তার ওপর।
রোগের প্রকারভেদ ও প্রধান লক্ষণ
ত্বকের অ্যানথ্রাক্সে প্রথমে ছোট চুলকানিযুক্ত ফোসকা বা প্যাপুল হয়। ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেটি ফেটে গিয়ে একটি কালো রঙের, ব্যথাহীন ক্ষত বা এসচার সৃষ্টি করে, যা কয়লার মতো দেখায়। আশপাশের চামড়া ফুলে যেতে পারে।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, রক্ত জমাট বাঁধা এবং গলা অথবা খাদ্যনালিতে ঘা হয়। তবে এটি অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে ফ্লুর মতো সাধারণ লক্ষণ দিয়ে শুরু হয়। জ্বর, ক্লান্তি, মাংসপেশিতে ব্যথা ইত্যাদি এর প্রধান লক্ষণ। তবে কয়েক দিনের মধ্যে তা শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও শকে পরিণত হয়, যা মারাত্মক আকার ধারণ করে।

রোগনির্ণয়, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগের লক্ষণ ও রোগীর ইতিহাস থেকে চিকিৎসকেরা অ্যানথ্রাক্স সন্দেহ করেন। তা ছাড়া ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ত্বকের কালো ক্ষত দেখে সন্দেহ করা হয়।
ল্যাব পরীক্ষায় ত্বকের ক্ষত বা রক্ত থেকে নমুনা সংগ্রহ করে গ্রাম স্টেইন ও ব্যাকটেরিয়ার কালচার পরীক্ষা করা হয়। বর্তমানে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু দ্রুত শনাক্ত করার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।
চিকিৎসা
অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ হওয়ায় এর চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়, রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়ে। ত্বকের অ্যানথ্রাক্সের জন্য সাধারণত ডক্সিসাইক্লিন বা সিপ্রোফ্লক্সাসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্স মারাত্মক হওয়ার কারণে এর জন্য একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য সহায়ক চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।

প্রতিরোধ
অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধের জন্য ‘ওয়ান হেলথ’ পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি, যেখানে মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশের স্বাস্থ্যকে একত্রে দেখা হয়।
পশুর টিকাদান: আক্রান্ত এলাকায় গবাদিপশুকে নিয়মিত অ্যানথ্রাক্স টিকা দেওয়া সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।
নিরাপদ পশু জবাই: অসুস্থ পশুর মাংস খাওয়া বা জবাই করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মৃত বা অসুস্থ পশুর দেহ উন্মুক্ত না রেখে মাটির গভীরে পুঁতে ফেলতে হবে।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা: কসাই বা পশু নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের ক্ষতযুক্ত ত্বকের মাধ্যমে সংক্রমণ এড়াতে রাবার গ্লাভস, মাস্ক ও অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক পোশাক ব্যবহার করা উচিত।
মানুষের টিকা: সাধারণত সামরিক বাহিনীর সদস্য কিংবা ল্যাব কর্মীদের মতো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য অ্যানথ্রাক্সের টিকা রয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য এটি রুটিন টিকা নয়।
সচেতনতা ও রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ
বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে সচেতন করতে হবে। সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জনসাধারণের আতঙ্ক দূর করে সচেতনতা তৈরি করা সম্ভব।
প্রতিরোধ জরুরি
» অ্যানথ্রাক্স প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা ভালো। তাই স্থানীয় ভাষায় পোস্টার, লিফলেট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যানথ্রাক্সের সব তথ্য উন্মুক্ত থাকা জরুরি। এতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে।
» পশু পালন এবং মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি।
» অ্যানথ্রাক্স একটি প্রাচীন রোগ হলেও এটি এখন পর্যন্ত জনস্বাস্থ্যের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ। জনগণকে সচেতন করা এবং সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এই মারাত্মক রোগ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
পরামর্শ দিয়েছেন: সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ

ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে
চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়।
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। যেমন অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া। গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন।
পুরুষের মধ্যে এর প্রবণতা বেশি। পুরুষ ও নারী নাক ডাকার অনুপাত ২.৩: ১। নাক ডাকার প্রধান কারণ স্থূলতা হলেও এক-তৃতীয়াংশ হালকা-পাতলা মানুষও নাক ডাকেন। শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বাতাসের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে গলার শিথিল টিস্যুগুলো কেঁপে ওঠে এবং জোরে শব্দ সৃষ্টি হয়। শিশুবিশেষজ্ঞ আমিনুল ইসলাম শেখ বলেন, শরীরের অতিরিক্ত ওজন নাক ডাকার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। বাড়তি ওজন নাকের ভেতরে বাতাস চলাচলের জায়গা সংকীর্ণ করে দেয়। এতে শ্বাসপ্রশ্বাস চলাচলের সময় শব্দের সৃষ্টি হয়। তাই ওজন কমালে এই সমস্যা থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া সম্ভব।

ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। যেমন অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া। গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন।
পুরুষের মধ্যে এর প্রবণতা বেশি। পুরুষ ও নারী নাক ডাকার অনুপাত ২.৩: ১। নাক ডাকার প্রধান কারণ স্থূলতা হলেও এক-তৃতীয়াংশ হালকা-পাতলা মানুষও নাক ডাকেন। শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বাতাসের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে গলার শিথিল টিস্যুগুলো কেঁপে ওঠে এবং জোরে শব্দ সৃষ্টি হয়। শিশুবিশেষজ্ঞ আমিনুল ইসলাম শেখ বলেন, শরীরের অতিরিক্ত ওজন নাক ডাকার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। বাড়তি ওজন নাকের ভেতরে বাতাস চলাচলের জায়গা সংকীর্ণ করে দেয়। এতে শ্বাসপ্রশ্বাস চলাচলের সময় শব্দের সৃষ্টি হয়। তাই ওজন কমালে এই সমস্যা থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া সম্ভব।

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
১১ অক্টোবর ২০২৫
চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়।
১৪ ঘণ্টা আগেডা. মো. আরমান হোসেন রনি

চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
চোখের মণির অস্বাভাবিকতা: পুরুষদের মধ্যে চোখের মণির অস্বাভাবিকতা বা চোখের মণি সঠিকভাবে কাজ না করা একটি সাধারণ সমস্যা। চোখের মণি বা কর্নিয়া হলো চোখের সামনের স্বচ্ছ অংশ, যা চোখে আসা আলোকে সঠিকভাবে লেন্সে নিয়ে যায়। কোনো কারণে যদি কর্নিয়ার গঠন পরিবর্তিত হয়, তাহলে সেটি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, পুরুষদের মধ্যে কর্নিয়া সমস্যা বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
রেটিনাল ডিস্ট্রফি: রেটিনাল ডিস্ট্রফি একটি বিরল চোখের রোগ, যেখানে চোখের রেটিনা (যা চোখের পেছনের অংশে থাকে এবং দৃষ্টির জন্য দায়ী) ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। এই রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি। রেটিনাল ডিস্ট্রফির কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে এবং এটি সাধারণত প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসে।
গ্লুকোমা: গ্লুকোমা এমন একটি রোগ, যা চোখের চাপের কারণে রেটিনার স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত করে। পুরুষদের মধ্যে গ্লুকোমার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। গ্লুকোমা হলে দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে এবং এতে চোখের ভেতরে চাপ বাড়তে থাকে। এটি একধরনের নীরব রোগ। কারণ, এতে প্রথম দিকে কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। গ্লুকোমার কারণে যে কারও দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি হারিয়ে যেতে পারে।
ক্যাটারাক্ট: ক্যাটারাক্ট হলো চোখের লেন্সের ঘোলা হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া। ফলে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। পুরুষদের মধ্যে বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রোগ বেশি দেখা যায়। যদিও ক্যাটারাক্ট সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, তবে কিছু বিশেষ কারণে এটি পুরুষদের মধ্যে কম বয়সেও হতে পারে। ক্যাটারাক্টের কারণে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং এটি একমাত্র অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ঠিক করা সম্ভব।
ম্যাকুলার ডিজেনারেশন: ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হলো চোখের রেটিনার একটি অংশ, যা কেন্দ্রীয় দৃষ্টি নিয়ে কাজ করে, তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। এটি সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, কিন্তু পুরুষদের মধ্যে এটির প্রবণতা কিছুটা বেশি। এটি চোখের দৃষ্টি কমিয়ে আনে এবং ব্যক্তি নির্দিষ্ট কিছু কাজ করতে অক্ষম হতে পারে। যেমন পড়াশোনা কিংবা ছোটখাটো খুঁটিনাটি কাজ।
কনজাংটিভাইটিস: কনজাংটিভাইটিস কিংবা চোখের সাদা অংশে প্রদাহ একটি সাধারণ চোখের সমস্যা, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি।
এটি সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া অথবা অ্যালার্জির কারণে হয়। কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ হিসেবে চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে জ্বালা কিংবা অস্বস্তি অনুভব হওয়া এবং চোখ দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি হতে পারে। যদিও এটি সবার মধ্যে হতে পারে। তবে পুরুষদের মধ্যে এটি বেশি প্রকট হতে দেখা যায়।
প্রেসবায়োপিয়া বা চালশে: প্রেসবায়োপিয়া হলো চোখের এমন একটি অবস্থা, যেখানে বয়স্ক ব্যক্তির কাছে থেকে ছোট জিনিস পড়তে সমস্যা হয়। সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর এই রোগ দেখা যায়। যদিও এটি অনেক মানুষের মধ্যে হয়, তবে পুরুষদের মধ্যে এটি কিছুটা বেশি।
শুষ্ক চোখের সিনড্রোম: শুষ্ক চোখের সিনড্রোম হলো এমন একটি সমস্যা, যেখানে চোখের পৃষ্ঠে সঠিক পরিমাণে আর্দ্রতা থাকে না। এটি পুরুষদের মধ্যে বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, বিশেষ করে যাদের দীর্ঘ সময় কম্পিউটার অথবা মোবাইল স্ক্রিনের সামনে বসে কাজ করতে হয়। শুষ্ক চোখের কারণে চোখে চুলকানি, লাল ভাব এবং চোখের চারপাশে চাপ অনুভূত হতে পারে।
রক্তনালিতে সমস্যা: ছেলেদের মধ্যে চোখের রক্তনালিতে সমস্যা হতে পারে এবং তা চোখে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি করতে পারে। এই ধরনের সমস্যা সাধারণত রেটিনা অথবা চোখের অন্য অংশে রক্তপ্রবাহের সমস্যা সৃষ্টি করে এবং তা দৃষ্টির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
রং দেখার সমস্যা: রং দেখার সমস্যা কিংবা বর্ণান্ধতা একটি জেনেটিক রোগ, যা ছেলেদের মধ্যে অনেক বেশি দেখা যায়। এটি সাধারণত পুরুষদের মধ্যে ৮০% বেশি দেখা যায়। কারণ, এটি X-ক্রোমোজোমের ওপর নির্ভরশীল। রঙের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে না পারার কারণে কিছু সামাজিক বা পেশাগত কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।

চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
চোখের মণির অস্বাভাবিকতা: পুরুষদের মধ্যে চোখের মণির অস্বাভাবিকতা বা চোখের মণি সঠিকভাবে কাজ না করা একটি সাধারণ সমস্যা। চোখের মণি বা কর্নিয়া হলো চোখের সামনের স্বচ্ছ অংশ, যা চোখে আসা আলোকে সঠিকভাবে লেন্সে নিয়ে যায়। কোনো কারণে যদি কর্নিয়ার গঠন পরিবর্তিত হয়, তাহলে সেটি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, পুরুষদের মধ্যে কর্নিয়া সমস্যা বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
রেটিনাল ডিস্ট্রফি: রেটিনাল ডিস্ট্রফি একটি বিরল চোখের রোগ, যেখানে চোখের রেটিনা (যা চোখের পেছনের অংশে থাকে এবং দৃষ্টির জন্য দায়ী) ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। এই রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি। রেটিনাল ডিস্ট্রফির কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে এবং এটি সাধারণত প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসে।
গ্লুকোমা: গ্লুকোমা এমন একটি রোগ, যা চোখের চাপের কারণে রেটিনার স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত করে। পুরুষদের মধ্যে গ্লুকোমার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। গ্লুকোমা হলে দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে এবং এতে চোখের ভেতরে চাপ বাড়তে থাকে। এটি একধরনের নীরব রোগ। কারণ, এতে প্রথম দিকে কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। গ্লুকোমার কারণে যে কারও দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি হারিয়ে যেতে পারে।
ক্যাটারাক্ট: ক্যাটারাক্ট হলো চোখের লেন্সের ঘোলা হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া। ফলে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। পুরুষদের মধ্যে বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রোগ বেশি দেখা যায়। যদিও ক্যাটারাক্ট সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, তবে কিছু বিশেষ কারণে এটি পুরুষদের মধ্যে কম বয়সেও হতে পারে। ক্যাটারাক্টের কারণে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং এটি একমাত্র অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ঠিক করা সম্ভব।
ম্যাকুলার ডিজেনারেশন: ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হলো চোখের রেটিনার একটি অংশ, যা কেন্দ্রীয় দৃষ্টি নিয়ে কাজ করে, তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। এটি সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, কিন্তু পুরুষদের মধ্যে এটির প্রবণতা কিছুটা বেশি। এটি চোখের দৃষ্টি কমিয়ে আনে এবং ব্যক্তি নির্দিষ্ট কিছু কাজ করতে অক্ষম হতে পারে। যেমন পড়াশোনা কিংবা ছোটখাটো খুঁটিনাটি কাজ।
কনজাংটিভাইটিস: কনজাংটিভাইটিস কিংবা চোখের সাদা অংশে প্রদাহ একটি সাধারণ চোখের সমস্যা, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি।
এটি সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া অথবা অ্যালার্জির কারণে হয়। কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ হিসেবে চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে জ্বালা কিংবা অস্বস্তি অনুভব হওয়া এবং চোখ দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি হতে পারে। যদিও এটি সবার মধ্যে হতে পারে। তবে পুরুষদের মধ্যে এটি বেশি প্রকট হতে দেখা যায়।
প্রেসবায়োপিয়া বা চালশে: প্রেসবায়োপিয়া হলো চোখের এমন একটি অবস্থা, যেখানে বয়স্ক ব্যক্তির কাছে থেকে ছোট জিনিস পড়তে সমস্যা হয়। সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর এই রোগ দেখা যায়। যদিও এটি অনেক মানুষের মধ্যে হয়, তবে পুরুষদের মধ্যে এটি কিছুটা বেশি।
শুষ্ক চোখের সিনড্রোম: শুষ্ক চোখের সিনড্রোম হলো এমন একটি সমস্যা, যেখানে চোখের পৃষ্ঠে সঠিক পরিমাণে আর্দ্রতা থাকে না। এটি পুরুষদের মধ্যে বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, বিশেষ করে যাদের দীর্ঘ সময় কম্পিউটার অথবা মোবাইল স্ক্রিনের সামনে বসে কাজ করতে হয়। শুষ্ক চোখের কারণে চোখে চুলকানি, লাল ভাব এবং চোখের চারপাশে চাপ অনুভূত হতে পারে।
রক্তনালিতে সমস্যা: ছেলেদের মধ্যে চোখের রক্তনালিতে সমস্যা হতে পারে এবং তা চোখে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি করতে পারে। এই ধরনের সমস্যা সাধারণত রেটিনা অথবা চোখের অন্য অংশে রক্তপ্রবাহের সমস্যা সৃষ্টি করে এবং তা দৃষ্টির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
রং দেখার সমস্যা: রং দেখার সমস্যা কিংবা বর্ণান্ধতা একটি জেনেটিক রোগ, যা ছেলেদের মধ্যে অনেক বেশি দেখা যায়। এটি সাধারণত পুরুষদের মধ্যে ৮০% বেশি দেখা যায়। কারণ, এটি X-ক্রোমোজোমের ওপর নির্ভরশীল। রঙের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে না পারার কারণে কিছু সামাজিক বা পেশাগত কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
১১ অক্টোবর ২০২৫
ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে
পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়।
১৪ ঘণ্টা আগেডা. অনিক সরকার পলাশ

পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
পিঠে ব্যথা হওয়ার পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কয়েকটি হলো—
ভুলভাবে বসা, ঝুঁকে কাজ করা, মোবাইল বা ল্যাপটপ দীর্ঘ সময় ব্যবহার, নরম বিছানায় ঘুমানো সবই মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক অবস্থান নষ্ট করে ব্যথা বাড়াতে পারে।
দৈনন্দিন শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের অভাবে পিঠের পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে সামান্য চাপেই ব্যথা দেখা দেয়।
হঠাৎ ভারী জিনিস তোলা, ভুলভাবে নড়াচড়া বা অতিরিক্ত শ্রমের কারণে পেশি ও লিগামেন্টে টান ধরে। এটিও তীব্র পিঠব্যথার সাধারণ কারণ।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের ডিস্কগুলো ক্ষয় হতে থাকে। এর ফলে স্পন্ডাইলোসিস, সায়াটিকা ও ডিস্ক প্রল্যাপসের মতো রোগ দেখা দেয়।
অনেক সময় কিডনি, পিত্তথলি বা অগ্ন্যাশয়ের সমস্যা থেকেও পিঠব্যথা অনুভূত হতে পারে। তাই দীর্ঘস্থায়ী বা অস্বাভাবিক ব্যথার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি।
পিঠব্যথা কম থেকে তীব্র—উভয় মাত্রার হতে পারে। কারও ব্যথা কয়েক দিনে কমে যায়, আবার
কারও ক্ষেত্রে সপ্তাহ বা মাস ধরে চলতে পারে। হাঁটতে গেলে ব্যথা বাড়া, পা পর্যন্ত ব্যথা ছড়িয়ে পড়া, কোমর শক্ত হয়ে যাওয়া কিংবা বারবার শোয়া-বসায় অস্বস্তি এসবই সাধারণ উপসর্গ।
অভ্যাস ও জীবনযাত্রায় কয়েকটি পরিবর্তন আনলে পিঠব্যথা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
সঠিক অঙ্গভঙ্গি বজায় রাখা: বসে অথবা দাঁড়িয়ে কাজ করার সময় মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হবে। চেয়ারে বসলে কোমর পুরোটা ব্যাকরেস্টে ঠেকিয়ে বসা উচিত। ঘুমানোর সময় খুব নরম গদি এড়িয়ে চলুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করা: পিঠের পেশি শক্তিশালী রাখতে প্রতিদিন কিছুক্ষণ হাঁটা, হালকা স্ট্রেচিং কিংবা ফিজিওথেরাপি,
এ ধরনের ব্যায়াম বেশ উপকারী। ব্যথা বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যায়াম না করাই ভালো।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করা: অতিরিক্ত ওজন কোমরের নিচের দিকে বাড়তি চাপ তৈরি করে। সুস্থ খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত চলাফেরায় ওজন ঠিক রাখলে ব্যথা অনেকটা কমে।
একই ভঙ্গিতে দীর্ঘ সময় না থাকা: দীর্ঘ সময় একভাবে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলে পেশিতে চাপ জমে। প্রতি ঘণ্টায় ২-৩ মিনিট হেঁটে নিন বা অঙ্গভঙ্গি পরিবর্তন করুন।
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ, আলোক হাসপাতাল, মিরপুর-৬

পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
পিঠে ব্যথা হওয়ার পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কয়েকটি হলো—
ভুলভাবে বসা, ঝুঁকে কাজ করা, মোবাইল বা ল্যাপটপ দীর্ঘ সময় ব্যবহার, নরম বিছানায় ঘুমানো সবই মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক অবস্থান নষ্ট করে ব্যথা বাড়াতে পারে।
দৈনন্দিন শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের অভাবে পিঠের পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে সামান্য চাপেই ব্যথা দেখা দেয়।
হঠাৎ ভারী জিনিস তোলা, ভুলভাবে নড়াচড়া বা অতিরিক্ত শ্রমের কারণে পেশি ও লিগামেন্টে টান ধরে। এটিও তীব্র পিঠব্যথার সাধারণ কারণ।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের ডিস্কগুলো ক্ষয় হতে থাকে। এর ফলে স্পন্ডাইলোসিস, সায়াটিকা ও ডিস্ক প্রল্যাপসের মতো রোগ দেখা দেয়।
অনেক সময় কিডনি, পিত্তথলি বা অগ্ন্যাশয়ের সমস্যা থেকেও পিঠব্যথা অনুভূত হতে পারে। তাই দীর্ঘস্থায়ী বা অস্বাভাবিক ব্যথার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি।
পিঠব্যথা কম থেকে তীব্র—উভয় মাত্রার হতে পারে। কারও ব্যথা কয়েক দিনে কমে যায়, আবার
কারও ক্ষেত্রে সপ্তাহ বা মাস ধরে চলতে পারে। হাঁটতে গেলে ব্যথা বাড়া, পা পর্যন্ত ব্যথা ছড়িয়ে পড়া, কোমর শক্ত হয়ে যাওয়া কিংবা বারবার শোয়া-বসায় অস্বস্তি এসবই সাধারণ উপসর্গ।
অভ্যাস ও জীবনযাত্রায় কয়েকটি পরিবর্তন আনলে পিঠব্যথা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
সঠিক অঙ্গভঙ্গি বজায় রাখা: বসে অথবা দাঁড়িয়ে কাজ করার সময় মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হবে। চেয়ারে বসলে কোমর পুরোটা ব্যাকরেস্টে ঠেকিয়ে বসা উচিত। ঘুমানোর সময় খুব নরম গদি এড়িয়ে চলুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করা: পিঠের পেশি শক্তিশালী রাখতে প্রতিদিন কিছুক্ষণ হাঁটা, হালকা স্ট্রেচিং কিংবা ফিজিওথেরাপি,
এ ধরনের ব্যায়াম বেশ উপকারী। ব্যথা বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যায়াম না করাই ভালো।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করা: অতিরিক্ত ওজন কোমরের নিচের দিকে বাড়তি চাপ তৈরি করে। সুস্থ খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত চলাফেরায় ওজন ঠিক রাখলে ব্যথা অনেকটা কমে।
একই ভঙ্গিতে দীর্ঘ সময় না থাকা: দীর্ঘ সময় একভাবে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলে পেশিতে চাপ জমে। প্রতি ঘণ্টায় ২-৩ মিনিট হেঁটে নিন বা অঙ্গভঙ্গি পরিবর্তন করুন।
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ, আলোক হাসপাতাল, মিরপুর-৬

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
১১ অক্টোবর ২০২৫
ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে
চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়।
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়। সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকলে এসব সবজির রং, স্বাদ ও পুষ্টিগুণ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, শরীরের বিভিন্ন রকমের পেশি এবং স্নায়ুতন্ত্রের সুরক্ষায় খনিজ লবণের ভূমিকা অনেক বেশি।
এই অতি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ লবণগুলো প্রধানত শাকসবজি এবং ফলমূল থেকে পাই। কিন্তু ছোট ছোট কিছু অসাবধানতার কারণে আমরা শাকসবজি এবং ফলমূলের পুষ্টির একটা বড় অংশ থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ি।
সংরক্ষণ করার প্রাথমিক ধাপ: ধোয়া ও শুকানো সবজি সংরক্ষণের আগে কিছু প্রাথমিক প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি। যেমন সবজি আস্ত অবস্থায় ধোয়া। বাজার থেকে আনার পর, কাটার আগেই পরিষ্কার পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। পুষ্টিবিদ মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ধুয়ে নিলে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন বি এবং সি পানির সঙ্গে মিশে শাকসবজির বাইরে চলে যায়। ফলে আমরা ওই শাকসবজি থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ লবণ পাই না। সবজি কাটা হয়ে গেলে আর ধোয়া উচিত নয়। মনে রাখতে হবে, সবজি কাটা হলে ধোয়া হলে তার নিজস্ব আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। এরপর সেগুলো ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। সংরক্ষণের পাত্র বা ব্যাগ যেন শুকনো থাকে। শুকনো কাপড় দিয়ে পাত্রগুলো ভালো করে মুছে নিন। মনে রাখবেন, আলু ও পেঁয়াজ একসঙ্গে সংরক্ষণ করবেন না। সবজিগুলো ফ্রিজে রাখার সময় চাপাচাপি না করে কিছুটা ফাঁকাভাবে ছোট ছিদ্রযুক্ত ড্রয়ার বা তাকে রাখুন।
দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণের প্রধান কৌশল ব্লাঞ্চিং
সবজির স্বাদ, রং, ফ্লেভার ও টেক্সচার অক্ষুণ্ন রেখে দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ কিংবা হিমায়িত করার প্রধান ও সঠিক পদ্ধতি হলো ব্লাঞ্চিং। ব্লাঞ্চিং হলো হালকা সেদ্ধ করা। অর্থাৎ ফুটন্ত পানিতে বা বাষ্পে (স্টিমিং পদ্ধতিতে) শাকসবজি অল্প সময়ের জন্য হালকা সেদ্ধ করে নেওয়া। আর সেদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গেই সবজিগুলোকে বরফ-ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে দিতে হবে। এতে কুকিং প্রক্রিয়া থেমে যায় এবং সবজি বেশি সেদ্ধ হয় না। লাউ, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টিআলু কিংবা স্কোয়াশ জাতীয় সবজি ফ্রোজেন করার জন্য পুরোপুরি সেদ্ধ করে নিতে হয়। এই পদ্ধতি সবজিতে থাকা এনজাইমের ক্রিয়া বন্ধ করে দেয়, যা সবজির স্বাদ, রং, ফ্লেভার এবং টেক্সচারের কোনো পরিবর্তন না এনে তার প্রাকৃতিক সতেজতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি সবজির বাইরের ময়লা ও জীবাণু পরিষ্কার করে এবং পুষ্টিমান নষ্ট হওয়া রোধ করে। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ ইকবাল হোসেন বলেন, রান্না করতে যদি শিমের সবুজ রং কালো হয়ে যায় কিংবা গাজরের লাল রং কালচে হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে, এখানে শাকসবজির পুষ্টিগুণ বেশি নষ্ট হয়েছে।
হিমায়িত করার জন্য মোড়কীকরণ
ব্লাঞ্চিং এবং পুরোপুরি শুকানোর পরে সবজি সংরক্ষণের জন্য এয়ারটাইট পাত্র বা ব্যাগ ব্যবহার করুন। ভালোভাবে শুকনো সবজি এয়ারটাইট বক্স অথবা জিপলক ব্যাগে ভরে সংরক্ষণ করতে হবে। জিপলক ব্যাগ ব্যবহার করলে ভেতরের বাতাস সম্পূর্ণ বের করে দিয়ে মুখ ভালো করে বন্ধ করতে হবে, যেন ভেতরে বাতাস না থাকে। ধনেপাতার মতো শাকসবজিকে পাতলা ও স্বচ্ছ পলিথিনের ব্যাগে মোড়কায়ন করা ভালো। কারণ, এতে জলীয় বাষ্প চলাচল করতে পারে না এবং নেতিয়ে পড়া কমে যায়। ব্লাঞ্চিং করা সবজি এয়ারটাইট কনটেইনারে ভরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিলে তা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন সারা বছর।

শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়। সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকলে এসব সবজির রং, স্বাদ ও পুষ্টিগুণ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, শরীরের বিভিন্ন রকমের পেশি এবং স্নায়ুতন্ত্রের সুরক্ষায় খনিজ লবণের ভূমিকা অনেক বেশি।
এই অতি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ লবণগুলো প্রধানত শাকসবজি এবং ফলমূল থেকে পাই। কিন্তু ছোট ছোট কিছু অসাবধানতার কারণে আমরা শাকসবজি এবং ফলমূলের পুষ্টির একটা বড় অংশ থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ি।
সংরক্ষণ করার প্রাথমিক ধাপ: ধোয়া ও শুকানো সবজি সংরক্ষণের আগে কিছু প্রাথমিক প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি। যেমন সবজি আস্ত অবস্থায় ধোয়া। বাজার থেকে আনার পর, কাটার আগেই পরিষ্কার পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। পুষ্টিবিদ মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ধুয়ে নিলে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন বি এবং সি পানির সঙ্গে মিশে শাকসবজির বাইরে চলে যায়। ফলে আমরা ওই শাকসবজি থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ লবণ পাই না। সবজি কাটা হয়ে গেলে আর ধোয়া উচিত নয়। মনে রাখতে হবে, সবজি কাটা হলে ধোয়া হলে তার নিজস্ব আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। এরপর সেগুলো ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। সংরক্ষণের পাত্র বা ব্যাগ যেন শুকনো থাকে। শুকনো কাপড় দিয়ে পাত্রগুলো ভালো করে মুছে নিন। মনে রাখবেন, আলু ও পেঁয়াজ একসঙ্গে সংরক্ষণ করবেন না। সবজিগুলো ফ্রিজে রাখার সময় চাপাচাপি না করে কিছুটা ফাঁকাভাবে ছোট ছিদ্রযুক্ত ড্রয়ার বা তাকে রাখুন।
দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণের প্রধান কৌশল ব্লাঞ্চিং
সবজির স্বাদ, রং, ফ্লেভার ও টেক্সচার অক্ষুণ্ন রেখে দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ কিংবা হিমায়িত করার প্রধান ও সঠিক পদ্ধতি হলো ব্লাঞ্চিং। ব্লাঞ্চিং হলো হালকা সেদ্ধ করা। অর্থাৎ ফুটন্ত পানিতে বা বাষ্পে (স্টিমিং পদ্ধতিতে) শাকসবজি অল্প সময়ের জন্য হালকা সেদ্ধ করে নেওয়া। আর সেদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গেই সবজিগুলোকে বরফ-ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে দিতে হবে। এতে কুকিং প্রক্রিয়া থেমে যায় এবং সবজি বেশি সেদ্ধ হয় না। লাউ, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টিআলু কিংবা স্কোয়াশ জাতীয় সবজি ফ্রোজেন করার জন্য পুরোপুরি সেদ্ধ করে নিতে হয়। এই পদ্ধতি সবজিতে থাকা এনজাইমের ক্রিয়া বন্ধ করে দেয়, যা সবজির স্বাদ, রং, ফ্লেভার এবং টেক্সচারের কোনো পরিবর্তন না এনে তার প্রাকৃতিক সতেজতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি সবজির বাইরের ময়লা ও জীবাণু পরিষ্কার করে এবং পুষ্টিমান নষ্ট হওয়া রোধ করে। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ ইকবাল হোসেন বলেন, রান্না করতে যদি শিমের সবুজ রং কালো হয়ে যায় কিংবা গাজরের লাল রং কালচে হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে, এখানে শাকসবজির পুষ্টিগুণ বেশি নষ্ট হয়েছে।
হিমায়িত করার জন্য মোড়কীকরণ
ব্লাঞ্চিং এবং পুরোপুরি শুকানোর পরে সবজি সংরক্ষণের জন্য এয়ারটাইট পাত্র বা ব্যাগ ব্যবহার করুন। ভালোভাবে শুকনো সবজি এয়ারটাইট বক্স অথবা জিপলক ব্যাগে ভরে সংরক্ষণ করতে হবে। জিপলক ব্যাগ ব্যবহার করলে ভেতরের বাতাস সম্পূর্ণ বের করে দিয়ে মুখ ভালো করে বন্ধ করতে হবে, যেন ভেতরে বাতাস না থাকে। ধনেপাতার মতো শাকসবজিকে পাতলা ও স্বচ্ছ পলিথিনের ব্যাগে মোড়কায়ন করা ভালো। কারণ, এতে জলীয় বাষ্প চলাচল করতে পারে না এবং নেতিয়ে পড়া কমে যায়। ব্লাঞ্চিং করা সবজি এয়ারটাইট কনটেইনারে ভরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিলে তা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন সারা বছর।

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
১১ অক্টোবর ২০২৫
ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে
চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে