শায়লা শারমীন
পুষ্টি উপাদানে ঠাসা সুপার ফুড ডিম। প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলস, ফ্যাট—কী নেই এতে? এ জন্য প্রোটিন ও পুষ্টি উপাদানের ‘পাওয়ার হাউস’ও বলা হয় ডিমকে। খাবারে থাকা প্রোটিনের মান মূল্যায়ন করতে গেলে ডিমের প্রোটিনকেই রেফারেন্স প্রোটিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তারপরও হৃদ্রোগ, উচ্চরক্তচাপ, রক্তের অতিরিক্ত চর্বি, ফ্যাটি লিভার প্রভৃতি রোগের ক্ষেত্রে সব দোষ যেন গিয়ে পড়ে ডিম ও কুসুমের ওপর। তাই আমরা এক বাক্যে বলে দিই, ‘ডিম খাবেন, কিন্তু কুসুম খাবেন না।’
ক্ষেত্রবিশেষে ডিমের কুসুম খাওয়া পরিমিত করা হলেও ডিম ও কুসুম পুষ্টির আধার। শিশু থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ—সব বয়সের জন্য ডিম অত্যন্ত উপাদেয় ও পুষ্টিসম্পন্ন খাদ্য। বড় আকারের একটি ডিমের ওজন সাধারণত ৫০-৬০ গ্রাম। এ থেকে প্রায় ৭০ কিলোক্যালরি শক্তি, ৬ গ্রাম প্রোটিন ও ৫ গ্রাম স্বাস্থ্যকর ফ্যাট পাওয়া যায়। শরীরে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার শক্তি জোগান দেওয়া ও ক্ষুধা লাগার প্রবণতা কমাতে এটি চমৎকার কাজ করে। সকালের নাশতায় সুষম খাবার নিশ্চিত করার জন্য ‘ডিম’ খেলে সারা দিনের পুষ্টির চাহিদা অনেকটা পূরণ করা সম্ভব।
ডিম ও কুসুম পুরোটা মিলে প্রায় ১২-১৩ শতাংশ প্রোটিন পাওয়া যায়। এ প্রোটিন শরীরে খুব সহজেই শোষিত হয়। শরীর সুস্থ রাখার জন্য যেসব ভিটামিন ও মিনারেল দরকার, তার অধিকাংশ পাওয়া যায় ডিম থেকে। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি১২, ফলেট, কোলিন, ফসফরাস, সিলেনিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ছাড়াও ডিমে রয়েছে জিংক। ডিমের আয়রন শরীরের বিভিন্ন কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং আয়রনের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া দূর করতে সাহায্য করে। এ আয়রন শরীরে শোষিত হওয়ার জন্য কখনোই অতিরিক্ত সেদ্ধ বা হার্ড বয়েল করে ডিম খাবেন না।
ডিমের কুসুমে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই, কে, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ফলেট। এ ছাড়া রয়েছে লুটেইন ও জিয়াজেন্থিন, যা চোখ ও মস্তিষ্ক ভালো রাখতে কাজ করে যায়। ডিমের কুসুমে থাকা ট্রিপটোফেন, টাইরোসিন ও অ্যামাইনো অ্যাসিড হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়।
নিয়মিত ডিম খাওয়ার অভ্যাস রক্তের ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল লেভেল বাড়ায় ও খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল লেভেল কমিয়ে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। হৃদ্রোগ ও উচ্চরক্তচাপ হওয়ার প্রধান কারণ হলো স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্সফ্যাট। যেমন ডুবো তেলে ভাজা খাবার, ফাস্ট ফুড, রিচ ফুড, ঘি, মাখন, ডালডা, মেয়োনেজ প্রভৃতি।
যদি কারও প্রোটিন কম খাওয়ার বাধ্যবাধকতা না থাকে, তবে সারা দিনে ভাজা-ভুনা, বেশি তেলে রান্না ও তেল-চর্বিজাতীয় খাবার বাদ দিয়ে প্রতিদিন ১টি করে ডিম কুসুমসহ খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। প্রয়োজনে বিশেষ কোনো শারীরিক অবস্থায় ডিম আরও বেশি খাওয়া যেতে পারে। যেমন গর্ভাবস্থা, প্রসূতি মা, নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাচ্ছেন এমন কিডনি বিকল রোগীর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২-৪টা পর্যন্ত ডিম খাওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ১টি ডিম কুসুমসহ খাবেন আর বাকিগুলো কুসুম এড়িয়ে শুধু সাদা অংশ খাবেন।
সুতরাং, স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাবার নিশ্চিত করতে প্রতিদিন ১টি ডিম কুসুমসহ খাওয়ার অভ্যাস করুন।
লেখক: সিনিয়র ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল, শাহবাগ, ঢাকা
পুষ্টি উপাদানে ঠাসা সুপার ফুড ডিম। প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলস, ফ্যাট—কী নেই এতে? এ জন্য প্রোটিন ও পুষ্টি উপাদানের ‘পাওয়ার হাউস’ও বলা হয় ডিমকে। খাবারে থাকা প্রোটিনের মান মূল্যায়ন করতে গেলে ডিমের প্রোটিনকেই রেফারেন্স প্রোটিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তারপরও হৃদ্রোগ, উচ্চরক্তচাপ, রক্তের অতিরিক্ত চর্বি, ফ্যাটি লিভার প্রভৃতি রোগের ক্ষেত্রে সব দোষ যেন গিয়ে পড়ে ডিম ও কুসুমের ওপর। তাই আমরা এক বাক্যে বলে দিই, ‘ডিম খাবেন, কিন্তু কুসুম খাবেন না।’
ক্ষেত্রবিশেষে ডিমের কুসুম খাওয়া পরিমিত করা হলেও ডিম ও কুসুম পুষ্টির আধার। শিশু থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ—সব বয়সের জন্য ডিম অত্যন্ত উপাদেয় ও পুষ্টিসম্পন্ন খাদ্য। বড় আকারের একটি ডিমের ওজন সাধারণত ৫০-৬০ গ্রাম। এ থেকে প্রায় ৭০ কিলোক্যালরি শক্তি, ৬ গ্রাম প্রোটিন ও ৫ গ্রাম স্বাস্থ্যকর ফ্যাট পাওয়া যায়। শরীরে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার শক্তি জোগান দেওয়া ও ক্ষুধা লাগার প্রবণতা কমাতে এটি চমৎকার কাজ করে। সকালের নাশতায় সুষম খাবার নিশ্চিত করার জন্য ‘ডিম’ খেলে সারা দিনের পুষ্টির চাহিদা অনেকটা পূরণ করা সম্ভব।
ডিম ও কুসুম পুরোটা মিলে প্রায় ১২-১৩ শতাংশ প্রোটিন পাওয়া যায়। এ প্রোটিন শরীরে খুব সহজেই শোষিত হয়। শরীর সুস্থ রাখার জন্য যেসব ভিটামিন ও মিনারেল দরকার, তার অধিকাংশ পাওয়া যায় ডিম থেকে। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি১২, ফলেট, কোলিন, ফসফরাস, সিলেনিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ছাড়াও ডিমে রয়েছে জিংক। ডিমের আয়রন শরীরের বিভিন্ন কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং আয়রনের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া দূর করতে সাহায্য করে। এ আয়রন শরীরে শোষিত হওয়ার জন্য কখনোই অতিরিক্ত সেদ্ধ বা হার্ড বয়েল করে ডিম খাবেন না।
ডিমের কুসুমে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই, কে, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ফলেট। এ ছাড়া রয়েছে লুটেইন ও জিয়াজেন্থিন, যা চোখ ও মস্তিষ্ক ভালো রাখতে কাজ করে যায়। ডিমের কুসুমে থাকা ট্রিপটোফেন, টাইরোসিন ও অ্যামাইনো অ্যাসিড হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়।
নিয়মিত ডিম খাওয়ার অভ্যাস রক্তের ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল লেভেল বাড়ায় ও খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল লেভেল কমিয়ে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। হৃদ্রোগ ও উচ্চরক্তচাপ হওয়ার প্রধান কারণ হলো স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্সফ্যাট। যেমন ডুবো তেলে ভাজা খাবার, ফাস্ট ফুড, রিচ ফুড, ঘি, মাখন, ডালডা, মেয়োনেজ প্রভৃতি।
যদি কারও প্রোটিন কম খাওয়ার বাধ্যবাধকতা না থাকে, তবে সারা দিনে ভাজা-ভুনা, বেশি তেলে রান্না ও তেল-চর্বিজাতীয় খাবার বাদ দিয়ে প্রতিদিন ১টি করে ডিম কুসুমসহ খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। প্রয়োজনে বিশেষ কোনো শারীরিক অবস্থায় ডিম আরও বেশি খাওয়া যেতে পারে। যেমন গর্ভাবস্থা, প্রসূতি মা, নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাচ্ছেন এমন কিডনি বিকল রোগীর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২-৪টা পর্যন্ত ডিম খাওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ১টি ডিম কুসুমসহ খাবেন আর বাকিগুলো কুসুম এড়িয়ে শুধু সাদা অংশ খাবেন।
সুতরাং, স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাবার নিশ্চিত করতে প্রতিদিন ১টি ডিম কুসুমসহ খাওয়ার অভ্যাস করুন।
লেখক: সিনিয়র ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল, শাহবাগ, ঢাকা
দেশের ৪১ জেলায় নতুন সিভিল সার্জন নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বদলি/পদায়নকৃত কর্মকর্তাগণ আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগাদান করবেন। অন্যথায় আগামী রোববার থেকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন।
১২ ঘণ্টা আগেবিগত কয়েক দশক ধরেই বিশ্বে অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা মুটিয়ে যাওয়া ও স্থূলতা। আগামী কয়েক দশকে এই সমস্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী ২০৫০ সালের মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক এবং এক-তৃতীয়াংশ শিশু ও কিশোর-কিশোরী অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার শিকার হবে। এই বিষয়টি
১৮ ঘণ্টা আগে২০২৫ সালে এসেও এই চিত্র খুব একটা বদলায়নি। এখনো স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি ৪টি উপাদান লৌহ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২, জিংকের ঘাটতিতে ভুগছে প্রায় ২৫ শতাংশ কিশোরী এবং স্থূলতায় আক্রান্ত কমপক্ষে ১০ শতাংশ।
১৯ ঘণ্টা আগেআত্মহত্যা একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশে আত্মহত্যার প্রবণতা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যা প্রতিরোধের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাংলাদেশে এখনো আত্মহত্যা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত গবেষণা ও কার্যকর নীতিমালা তৈরি হয়নি
২০ ঘণ্টা আগে