ডা. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম

দুঃখজনক বিষয় হলো, কিডনি রোগের লক্ষণ যত দিনে প্রকট হয়, তত দিনে অনেক দেরি হয়ে যায়। তাই ছোট ছোট লক্ষণ আগে থেকেই খেয়াল করতে পারা খুব জরুরি।
জেনে নিন কিডনি রোগের লক্ষণ সম্পর্কে
বারবার প্রস্রাব হওয়া
যদি প্রায়ই প্রস্রাব করার প্রয়োজন অনুভব হয়, বিশেষ করে রাতে, এটি কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে। যখন কিডনির ফিল্টারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন এটি প্রস্রাব করার তাগিদ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে কখনো কখনো এটি মূত্রনালির সংক্রমণ বা বেড়ে যাওয়া প্রোস্টেটের লক্ষণও হতে পারে। ডায়াবেটিসও প্রস্রাব বৃদ্ধির একটি কারণ; যা পরে কিডনির রোগ সৃষ্টি করে। দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগে একসময় প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়।
প্রস্রাবে রক্তের উপস্থিতি
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করার পরও যদি প্রস্রাবের রং গাঢ় থাকে, সেটা প্রস্রাবে রক্ত বের হওয়ার কারণে হতে পারে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। স্বাস্থ্যকর কিডনি সাধারণত রক্ত থেকে বর্জ্য ফিল্টার করার সময় শরীরের রক্তের কোষগুলো আলাদা করে রাখে। কিন্তু যখন কিডনির ফিল্টারগুলো (গ্লোমেরুলার বেইজমেন্ট মেমব্রেন) ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন এই রক্তকণিকাগুলো প্রস্রাবের মধ্যে আসতে শুরু করে। কিডনি রোগ ছাড়াও প্রস্রাবে রক্ত আসা যেকোনো টিউমার, কিডনিতে পাথর বা সংক্রমণের নির্দেশক হতে পারে।
প্রস্রাবে ফেনা হওয়া
কিডনি সাধারণত ফিল্টার করে প্রয়োজনীয় আমিষ শরীরে ধরে রাখে। ডিমের সাদা অংশ ফেটালে যে রকম ফেনা তৈরি হয়, প্রস্রাবে সেই রকম ফেনার উপস্থিতি কিডনি রোগের আশঙ্কা তৈরি করে। এই ফেনার উপস্থিতি মানে হলো কিডনি দিয়ে আমিষ (এলবুমিন) বের হয়ে যাচ্ছে। কিডনির কাঠামোর ক্ষতির কারণে এমন হয়।
শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যাওয়া
শরীর থেকে প্রস্রাবের মাধ্যমে আমিষ বের হয়ে গেলে রক্ত তরল ধরে রাখতে পারে না। ফলে সেই তরল কোষের ফাঁকে ফাঁকে জমা হয়ে ফোলা ভাব তৈরি করে; বিশেষ করে সকালবেলা পায়ের পাতা, মুখমণ্ডল ও চোখের চারপাশে ফুলে থাকা এর লক্ষণ হতে পারে।
ক্লান্তি, অবসাদ ও অমনোযোগিতা
কিডনির কার্যকারিতা মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ার ফলে রক্তে টক্সিন ও বর্জ্য পদার্থ জমা হতে পারে। এতে ক্লান্তি ও অবসাদ বোধ হতে পারে। এ অবস্থা কোনো কাজে মনোনিবেশ করা কঠিন করে তুলতে পারে।
রক্তস্বল্পতা
কিডনির রোগের কারণে বোনম্যারো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, রক্ত উৎপাদনের প্রয়োজনীয় হরমোন কমে যায়। ফলে দেখা দেয় রক্তশূন্যতা। দুর্বলতা ও বমি ভাব রক্তশূন্যতার লক্ষণ।
ঘুমের সমস্যা
যখন কিডনি সঠিকভাবে শরীরের তরল পদার্থ ফিল্টার করতে পারে না, তখন বিষাক্ত পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে রক্তে থেকে যায়। এটি ঘুমাতে অসুবিধা করতে পারে। স্থূলতা ও দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের মধ্যেও একটি যোগসূত্র রয়েছে। সুস্থ মানুষের তুলনায় দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে স্লিপ অ্যাপনিয়া বেশি দেখা যায়—ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা যার অন্যতম লক্ষণ।
শুষ্ক ত্বক ও চুলকানি
শুষ্ক ত্বক ও চুলকানি খনিজ লবণের অসামঞ্জস্য এবং হাড়ের রোগের লক্ষণ হতে পারে, যা প্রায়ই দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের লক্ষণ। যখন কিডনি আর রক্তে খনিজ এবং পুষ্টির সঠিক ভারসাম্য রাখতে অক্ষম হয়, তখন তা ত্বকের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
ক্ষুধামান্দ্য
শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের না হলে সেগুলোর কারণে যেসব উপসর্গ তৈরি হয়, এর মধ্যে অন্যতম হলো ক্ষুধামান্দ্য।
মাংসপেশির ক্র্যাম্প
কিডনি শরীরে ক্যালসিয়াম আর ফসফেটের ভারসাম্য বজায় রাখে। রোগের কারণে এগুলোর ভারসাম্য ব্যাহত হলে মাসল ক্র্যাম্প দেখা দিতে পারে।
এই লক্ষণগুলো অন্য অনেক রোগের কারণেও হতে পারে। কিন্তু এর অবজ্ঞা করলে পরে এগুলো অনেক বড় কিডনি রোগে রূপান্তরিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই এসব লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া দরকার।
ডা. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), রেসিডেন্ট, নেফ্রোলজি বিভাগ,ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

দুঃখজনক বিষয় হলো, কিডনি রোগের লক্ষণ যত দিনে প্রকট হয়, তত দিনে অনেক দেরি হয়ে যায়। তাই ছোট ছোট লক্ষণ আগে থেকেই খেয়াল করতে পারা খুব জরুরি।
জেনে নিন কিডনি রোগের লক্ষণ সম্পর্কে
বারবার প্রস্রাব হওয়া
যদি প্রায়ই প্রস্রাব করার প্রয়োজন অনুভব হয়, বিশেষ করে রাতে, এটি কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে। যখন কিডনির ফিল্টারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন এটি প্রস্রাব করার তাগিদ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে কখনো কখনো এটি মূত্রনালির সংক্রমণ বা বেড়ে যাওয়া প্রোস্টেটের লক্ষণও হতে পারে। ডায়াবেটিসও প্রস্রাব বৃদ্ধির একটি কারণ; যা পরে কিডনির রোগ সৃষ্টি করে। দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগে একসময় প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়।
প্রস্রাবে রক্তের উপস্থিতি
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করার পরও যদি প্রস্রাবের রং গাঢ় থাকে, সেটা প্রস্রাবে রক্ত বের হওয়ার কারণে হতে পারে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। স্বাস্থ্যকর কিডনি সাধারণত রক্ত থেকে বর্জ্য ফিল্টার করার সময় শরীরের রক্তের কোষগুলো আলাদা করে রাখে। কিন্তু যখন কিডনির ফিল্টারগুলো (গ্লোমেরুলার বেইজমেন্ট মেমব্রেন) ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন এই রক্তকণিকাগুলো প্রস্রাবের মধ্যে আসতে শুরু করে। কিডনি রোগ ছাড়াও প্রস্রাবে রক্ত আসা যেকোনো টিউমার, কিডনিতে পাথর বা সংক্রমণের নির্দেশক হতে পারে।
প্রস্রাবে ফেনা হওয়া
কিডনি সাধারণত ফিল্টার করে প্রয়োজনীয় আমিষ শরীরে ধরে রাখে। ডিমের সাদা অংশ ফেটালে যে রকম ফেনা তৈরি হয়, প্রস্রাবে সেই রকম ফেনার উপস্থিতি কিডনি রোগের আশঙ্কা তৈরি করে। এই ফেনার উপস্থিতি মানে হলো কিডনি দিয়ে আমিষ (এলবুমিন) বের হয়ে যাচ্ছে। কিডনির কাঠামোর ক্ষতির কারণে এমন হয়।
শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যাওয়া
শরীর থেকে প্রস্রাবের মাধ্যমে আমিষ বের হয়ে গেলে রক্ত তরল ধরে রাখতে পারে না। ফলে সেই তরল কোষের ফাঁকে ফাঁকে জমা হয়ে ফোলা ভাব তৈরি করে; বিশেষ করে সকালবেলা পায়ের পাতা, মুখমণ্ডল ও চোখের চারপাশে ফুলে থাকা এর লক্ষণ হতে পারে।
ক্লান্তি, অবসাদ ও অমনোযোগিতা
কিডনির কার্যকারিতা মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ার ফলে রক্তে টক্সিন ও বর্জ্য পদার্থ জমা হতে পারে। এতে ক্লান্তি ও অবসাদ বোধ হতে পারে। এ অবস্থা কোনো কাজে মনোনিবেশ করা কঠিন করে তুলতে পারে।
রক্তস্বল্পতা
কিডনির রোগের কারণে বোনম্যারো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, রক্ত উৎপাদনের প্রয়োজনীয় হরমোন কমে যায়। ফলে দেখা দেয় রক্তশূন্যতা। দুর্বলতা ও বমি ভাব রক্তশূন্যতার লক্ষণ।
ঘুমের সমস্যা
যখন কিডনি সঠিকভাবে শরীরের তরল পদার্থ ফিল্টার করতে পারে না, তখন বিষাক্ত পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে রক্তে থেকে যায়। এটি ঘুমাতে অসুবিধা করতে পারে। স্থূলতা ও দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের মধ্যেও একটি যোগসূত্র রয়েছে। সুস্থ মানুষের তুলনায় দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে স্লিপ অ্যাপনিয়া বেশি দেখা যায়—ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা যার অন্যতম লক্ষণ।
শুষ্ক ত্বক ও চুলকানি
শুষ্ক ত্বক ও চুলকানি খনিজ লবণের অসামঞ্জস্য এবং হাড়ের রোগের লক্ষণ হতে পারে, যা প্রায়ই দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের লক্ষণ। যখন কিডনি আর রক্তে খনিজ এবং পুষ্টির সঠিক ভারসাম্য রাখতে অক্ষম হয়, তখন তা ত্বকের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
ক্ষুধামান্দ্য
শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের না হলে সেগুলোর কারণে যেসব উপসর্গ তৈরি হয়, এর মধ্যে অন্যতম হলো ক্ষুধামান্দ্য।
মাংসপেশির ক্র্যাম্প
কিডনি শরীরে ক্যালসিয়াম আর ফসফেটের ভারসাম্য বজায় রাখে। রোগের কারণে এগুলোর ভারসাম্য ব্যাহত হলে মাসল ক্র্যাম্প দেখা দিতে পারে।
এই লক্ষণগুলো অন্য অনেক রোগের কারণেও হতে পারে। কিন্তু এর অবজ্ঞা করলে পরে এগুলো অনেক বড় কিডনি রোগে রূপান্তরিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই এসব লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া দরকার।
ডা. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), রেসিডেন্ট, নেফ্রোলজি বিভাগ,ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ডা. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম

দুঃখজনক বিষয় হলো, কিডনি রোগের লক্ষণ যত দিনে প্রকট হয়, তত দিনে অনেক দেরি হয়ে যায়। তাই ছোট ছোট লক্ষণ আগে থেকেই খেয়াল করতে পারা খুব জরুরি।
জেনে নিন কিডনি রোগের লক্ষণ সম্পর্কে
বারবার প্রস্রাব হওয়া
যদি প্রায়ই প্রস্রাব করার প্রয়োজন অনুভব হয়, বিশেষ করে রাতে, এটি কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে। যখন কিডনির ফিল্টারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন এটি প্রস্রাব করার তাগিদ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে কখনো কখনো এটি মূত্রনালির সংক্রমণ বা বেড়ে যাওয়া প্রোস্টেটের লক্ষণও হতে পারে। ডায়াবেটিসও প্রস্রাব বৃদ্ধির একটি কারণ; যা পরে কিডনির রোগ সৃষ্টি করে। দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগে একসময় প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়।
প্রস্রাবে রক্তের উপস্থিতি
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করার পরও যদি প্রস্রাবের রং গাঢ় থাকে, সেটা প্রস্রাবে রক্ত বের হওয়ার কারণে হতে পারে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। স্বাস্থ্যকর কিডনি সাধারণত রক্ত থেকে বর্জ্য ফিল্টার করার সময় শরীরের রক্তের কোষগুলো আলাদা করে রাখে। কিন্তু যখন কিডনির ফিল্টারগুলো (গ্লোমেরুলার বেইজমেন্ট মেমব্রেন) ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন এই রক্তকণিকাগুলো প্রস্রাবের মধ্যে আসতে শুরু করে। কিডনি রোগ ছাড়াও প্রস্রাবে রক্ত আসা যেকোনো টিউমার, কিডনিতে পাথর বা সংক্রমণের নির্দেশক হতে পারে।
প্রস্রাবে ফেনা হওয়া
কিডনি সাধারণত ফিল্টার করে প্রয়োজনীয় আমিষ শরীরে ধরে রাখে। ডিমের সাদা অংশ ফেটালে যে রকম ফেনা তৈরি হয়, প্রস্রাবে সেই রকম ফেনার উপস্থিতি কিডনি রোগের আশঙ্কা তৈরি করে। এই ফেনার উপস্থিতি মানে হলো কিডনি দিয়ে আমিষ (এলবুমিন) বের হয়ে যাচ্ছে। কিডনির কাঠামোর ক্ষতির কারণে এমন হয়।
শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যাওয়া
শরীর থেকে প্রস্রাবের মাধ্যমে আমিষ বের হয়ে গেলে রক্ত তরল ধরে রাখতে পারে না। ফলে সেই তরল কোষের ফাঁকে ফাঁকে জমা হয়ে ফোলা ভাব তৈরি করে; বিশেষ করে সকালবেলা পায়ের পাতা, মুখমণ্ডল ও চোখের চারপাশে ফুলে থাকা এর লক্ষণ হতে পারে।
ক্লান্তি, অবসাদ ও অমনোযোগিতা
কিডনির কার্যকারিতা মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ার ফলে রক্তে টক্সিন ও বর্জ্য পদার্থ জমা হতে পারে। এতে ক্লান্তি ও অবসাদ বোধ হতে পারে। এ অবস্থা কোনো কাজে মনোনিবেশ করা কঠিন করে তুলতে পারে।
রক্তস্বল্পতা
কিডনির রোগের কারণে বোনম্যারো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, রক্ত উৎপাদনের প্রয়োজনীয় হরমোন কমে যায়। ফলে দেখা দেয় রক্তশূন্যতা। দুর্বলতা ও বমি ভাব রক্তশূন্যতার লক্ষণ।
ঘুমের সমস্যা
যখন কিডনি সঠিকভাবে শরীরের তরল পদার্থ ফিল্টার করতে পারে না, তখন বিষাক্ত পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে রক্তে থেকে যায়। এটি ঘুমাতে অসুবিধা করতে পারে। স্থূলতা ও দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের মধ্যেও একটি যোগসূত্র রয়েছে। সুস্থ মানুষের তুলনায় দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে স্লিপ অ্যাপনিয়া বেশি দেখা যায়—ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা যার অন্যতম লক্ষণ।
শুষ্ক ত্বক ও চুলকানি
শুষ্ক ত্বক ও চুলকানি খনিজ লবণের অসামঞ্জস্য এবং হাড়ের রোগের লক্ষণ হতে পারে, যা প্রায়ই দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের লক্ষণ। যখন কিডনি আর রক্তে খনিজ এবং পুষ্টির সঠিক ভারসাম্য রাখতে অক্ষম হয়, তখন তা ত্বকের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
ক্ষুধামান্দ্য
শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের না হলে সেগুলোর কারণে যেসব উপসর্গ তৈরি হয়, এর মধ্যে অন্যতম হলো ক্ষুধামান্দ্য।
মাংসপেশির ক্র্যাম্প
কিডনি শরীরে ক্যালসিয়াম আর ফসফেটের ভারসাম্য বজায় রাখে। রোগের কারণে এগুলোর ভারসাম্য ব্যাহত হলে মাসল ক্র্যাম্প দেখা দিতে পারে।
এই লক্ষণগুলো অন্য অনেক রোগের কারণেও হতে পারে। কিন্তু এর অবজ্ঞা করলে পরে এগুলো অনেক বড় কিডনি রোগে রূপান্তরিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই এসব লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া দরকার।
ডা. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), রেসিডেন্ট, নেফ্রোলজি বিভাগ,ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

দুঃখজনক বিষয় হলো, কিডনি রোগের লক্ষণ যত দিনে প্রকট হয়, তত দিনে অনেক দেরি হয়ে যায়। তাই ছোট ছোট লক্ষণ আগে থেকেই খেয়াল করতে পারা খুব জরুরি।
জেনে নিন কিডনি রোগের লক্ষণ সম্পর্কে
বারবার প্রস্রাব হওয়া
যদি প্রায়ই প্রস্রাব করার প্রয়োজন অনুভব হয়, বিশেষ করে রাতে, এটি কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে। যখন কিডনির ফিল্টারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন এটি প্রস্রাব করার তাগিদ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে কখনো কখনো এটি মূত্রনালির সংক্রমণ বা বেড়ে যাওয়া প্রোস্টেটের লক্ষণও হতে পারে। ডায়াবেটিসও প্রস্রাব বৃদ্ধির একটি কারণ; যা পরে কিডনির রোগ সৃষ্টি করে। দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগে একসময় প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়।
প্রস্রাবে রক্তের উপস্থিতি
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করার পরও যদি প্রস্রাবের রং গাঢ় থাকে, সেটা প্রস্রাবে রক্ত বের হওয়ার কারণে হতে পারে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। স্বাস্থ্যকর কিডনি সাধারণত রক্ত থেকে বর্জ্য ফিল্টার করার সময় শরীরের রক্তের কোষগুলো আলাদা করে রাখে। কিন্তু যখন কিডনির ফিল্টারগুলো (গ্লোমেরুলার বেইজমেন্ট মেমব্রেন) ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন এই রক্তকণিকাগুলো প্রস্রাবের মধ্যে আসতে শুরু করে। কিডনি রোগ ছাড়াও প্রস্রাবে রক্ত আসা যেকোনো টিউমার, কিডনিতে পাথর বা সংক্রমণের নির্দেশক হতে পারে।
প্রস্রাবে ফেনা হওয়া
কিডনি সাধারণত ফিল্টার করে প্রয়োজনীয় আমিষ শরীরে ধরে রাখে। ডিমের সাদা অংশ ফেটালে যে রকম ফেনা তৈরি হয়, প্রস্রাবে সেই রকম ফেনার উপস্থিতি কিডনি রোগের আশঙ্কা তৈরি করে। এই ফেনার উপস্থিতি মানে হলো কিডনি দিয়ে আমিষ (এলবুমিন) বের হয়ে যাচ্ছে। কিডনির কাঠামোর ক্ষতির কারণে এমন হয়।
শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যাওয়া
শরীর থেকে প্রস্রাবের মাধ্যমে আমিষ বের হয়ে গেলে রক্ত তরল ধরে রাখতে পারে না। ফলে সেই তরল কোষের ফাঁকে ফাঁকে জমা হয়ে ফোলা ভাব তৈরি করে; বিশেষ করে সকালবেলা পায়ের পাতা, মুখমণ্ডল ও চোখের চারপাশে ফুলে থাকা এর লক্ষণ হতে পারে।
ক্লান্তি, অবসাদ ও অমনোযোগিতা
কিডনির কার্যকারিতা মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ার ফলে রক্তে টক্সিন ও বর্জ্য পদার্থ জমা হতে পারে। এতে ক্লান্তি ও অবসাদ বোধ হতে পারে। এ অবস্থা কোনো কাজে মনোনিবেশ করা কঠিন করে তুলতে পারে।
রক্তস্বল্পতা
কিডনির রোগের কারণে বোনম্যারো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, রক্ত উৎপাদনের প্রয়োজনীয় হরমোন কমে যায়। ফলে দেখা দেয় রক্তশূন্যতা। দুর্বলতা ও বমি ভাব রক্তশূন্যতার লক্ষণ।
ঘুমের সমস্যা
যখন কিডনি সঠিকভাবে শরীরের তরল পদার্থ ফিল্টার করতে পারে না, তখন বিষাক্ত পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে রক্তে থেকে যায়। এটি ঘুমাতে অসুবিধা করতে পারে। স্থূলতা ও দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের মধ্যেও একটি যোগসূত্র রয়েছে। সুস্থ মানুষের তুলনায় দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে স্লিপ অ্যাপনিয়া বেশি দেখা যায়—ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা যার অন্যতম লক্ষণ।
শুষ্ক ত্বক ও চুলকানি
শুষ্ক ত্বক ও চুলকানি খনিজ লবণের অসামঞ্জস্য এবং হাড়ের রোগের লক্ষণ হতে পারে, যা প্রায়ই দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের লক্ষণ। যখন কিডনি আর রক্তে খনিজ এবং পুষ্টির সঠিক ভারসাম্য রাখতে অক্ষম হয়, তখন তা ত্বকের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
ক্ষুধামান্দ্য
শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের না হলে সেগুলোর কারণে যেসব উপসর্গ তৈরি হয়, এর মধ্যে অন্যতম হলো ক্ষুধামান্দ্য।
মাংসপেশির ক্র্যাম্প
কিডনি শরীরে ক্যালসিয়াম আর ফসফেটের ভারসাম্য বজায় রাখে। রোগের কারণে এগুলোর ভারসাম্য ব্যাহত হলে মাসল ক্র্যাম্প দেখা দিতে পারে।
এই লক্ষণগুলো অন্য অনেক রোগের কারণেও হতে পারে। কিন্তু এর অবজ্ঞা করলে পরে এগুলো অনেক বড় কিডনি রোগে রূপান্তরিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই এসব লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া দরকার।
ডা. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), রেসিডেন্ট, নেফ্রোলজি বিভাগ,ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
১০ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
১ দিন আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
২ দিন আগে
বাংলাদেশে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯১ জন এইডস ভাইরাসে (এইচআইভি) আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। দেশে প্রথম চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে বছরওয়ারি হিসাবে এটাই সর্বোচ্চ এইচআইভি সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা। একই সময়ে দেশে এইডসে মারা গেছে ২১৯ জন। আজ সোমবার বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্ট
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
এদিকে দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা রয়েছে আন্দোলনকারীদের। তবে কঠোর এই কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে গতকাল রাতে বৈঠকে বসেছেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতির কারণে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়লেও দাবি আদায়ে দিনভর কঠোর অবস্থানে ছিলেন তাঁরা। কর্মবিরতির সময় হাসপাতালের জরুরি সেবা চালু থাকলেও অনেককে সেবা না পেয়ে চলে যেতে দেখা গেছে।
আন্দোলনরতরা জানান, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দীর্ঘদিনেও বিষয়টির সমাধান হয়নি। এর আগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা নার্স ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। ফলে দাবি আদায়ে এবার কঠোর কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে যায়। এসব সেবাপ্রার্থীর বড় অংশ ঢাকার বাইরে থেকে আসে। টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের গতকালের কর্মবিরতির কারণে অনেকে চিকিৎসা না পেয়ে চলে যায়।
বিভিন্ন স্থানে দিনভর ভোগান্তি
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সেবা বন্ধ রেখে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। এতে ভোগান্তিতে পড়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
কর্মবিরতি চলাকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ফার্মেসিতে বিনা মূল্যে সরকারি ওষুধ বিতরণ, রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামসহ রোগনির্ণয়ের বিভিন্ন সেবাকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। এ সময় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সেবাকেন্দ্রগুলোয় কর্মবিরতির ব্যানার ঝুলছিল। তবে হাসপাতালের অন্যান্য সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। চমেক হাসপাতালে রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের একজন কর্মচারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কর্মবিরতির ফলে এক্স-রে করা সাময়িক বন্ধ ছিল।
একই দাবিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও নার্সদের মতো তাঁদেরও চাকরিগত মর্যাদা দশম গ্রেডে উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ সদরে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ বিতরণ বন্ধ ছিল।
আবদুল্লাহ নামের এক রোগী বলেন, ‘সিটি স্ক্যান করানোর জন্য এসেছিলাম। এসে শুনি, কর্মবিরতি দিয়েছে। এ জন্য ফিরে যাচ্ছি।’
উল্লাপাড়ার আনিসুর নামের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘কোমরে ব্যথা। তাই ডাক্তারের কাছে এসেছি। এসে শুনি, দুপুরের আগে চিকিৎসা হবে না।’
একই দাবিতে রাজবাড়ীতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা। কর্মবিরতি কর্মসূচিতে দাবি আদায় না হলে ৪ ডিসেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের মাধ্যমে হাসপাতাল শাটডাউন ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
এদিকে দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা রয়েছে আন্দোলনকারীদের। তবে কঠোর এই কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে গতকাল রাতে বৈঠকে বসেছেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতির কারণে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়লেও দাবি আদায়ে দিনভর কঠোর অবস্থানে ছিলেন তাঁরা। কর্মবিরতির সময় হাসপাতালের জরুরি সেবা চালু থাকলেও অনেককে সেবা না পেয়ে চলে যেতে দেখা গেছে।
আন্দোলনরতরা জানান, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দীর্ঘদিনেও বিষয়টির সমাধান হয়নি। এর আগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা নার্স ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। ফলে দাবি আদায়ে এবার কঠোর কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে যায়। এসব সেবাপ্রার্থীর বড় অংশ ঢাকার বাইরে থেকে আসে। টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের গতকালের কর্মবিরতির কারণে অনেকে চিকিৎসা না পেয়ে চলে যায়।
বিভিন্ন স্থানে দিনভর ভোগান্তি
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সেবা বন্ধ রেখে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। এতে ভোগান্তিতে পড়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
কর্মবিরতি চলাকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ফার্মেসিতে বিনা মূল্যে সরকারি ওষুধ বিতরণ, রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামসহ রোগনির্ণয়ের বিভিন্ন সেবাকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। এ সময় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সেবাকেন্দ্রগুলোয় কর্মবিরতির ব্যানার ঝুলছিল। তবে হাসপাতালের অন্যান্য সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। চমেক হাসপাতালে রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের একজন কর্মচারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কর্মবিরতির ফলে এক্স-রে করা সাময়িক বন্ধ ছিল।
একই দাবিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও নার্সদের মতো তাঁদেরও চাকরিগত মর্যাদা দশম গ্রেডে উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ সদরে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ বিতরণ বন্ধ ছিল।
আবদুল্লাহ নামের এক রোগী বলেন, ‘সিটি স্ক্যান করানোর জন্য এসেছিলাম। এসে শুনি, কর্মবিরতি দিয়েছে। এ জন্য ফিরে যাচ্ছি।’
উল্লাপাড়ার আনিসুর নামের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘কোমরে ব্যথা। তাই ডাক্তারের কাছে এসেছি। এসে শুনি, দুপুরের আগে চিকিৎসা হবে না।’
একই দাবিতে রাজবাড়ীতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা। কর্মবিরতি কর্মসূচিতে দাবি আদায় না হলে ৪ ডিসেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের মাধ্যমে হাসপাতাল শাটডাউন ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

মানবদেহের পানি ও লবণের ভারসাম্য রক্ষা, দেহে পুষ্টি আহরণ, বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন–যেকোনো কাজেই কিডনির ভূমিকা অপরিহার্য। কিডনির দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন জীবনযাত্রার মান কমিয়ে দেয়, তেমনি বেঁচে থাকাকেও ফেলে দেয় ঝুঁকিতে।
২০ মে ২০২৩
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
১ দিন আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
২ দিন আগে
বাংলাদেশে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯১ জন এইডস ভাইরাসে (এইচআইভি) আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। দেশে প্রথম চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে বছরওয়ারি হিসাবে এটাই সর্বোচ্চ এইচআইভি সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা। একই সময়ে দেশে এইডসে মারা গেছে ২১৯ জন। আজ সোমবার বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্ট
২ দিন আগেমুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র। কারণ হাসপাতালে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগার ১ শতাংশেরও কম।
হাসপাতাল পরিচালনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবন্ধীবান্ধব শৌচাগার একটি হাসপাতালের মৌলিক পরিকাঠামোর অংশ হওয়া উচিত। তবে দেশে এ ধরনের সুবিধার মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ঘাটতি বেশি। ফলে রোগীরা শুধু ভোগান্তিতেই পড়ছেন না; বরং গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিরও সম্মুখীন হচ্ছেন। দীর্ঘ সময় শৌচাগার ব্যবহার করতে না পারার ফলে কিডনি জটিলতা, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (মূত্রনালি সংক্রমণ) ও পানিশূন্যতাসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিষয়ক গবেষণা প্রকাশনা সংস্থা পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্সের প্লস ওয়ান সাময়িকীতে বাংলাদেশে হাসপাতালের শৌচাগার নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ পায়। গবেষণার শিরোনাম ‘ইনঅ্যাডিক্যুইট স্যানিটেশন ইন হেলথকেয়ার ফ্যাসিলিটিজ: অ্যা কম্প্রিহেনসিভ ইভ্যালুয়েশন অব টয়লেটস ইন মেজর হাসপাতাল ইন ঢাকা, বাংলাদেশ’। গবেষণাটি করেছেন অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের নয়জন গবেষক।
গবেষণায় রাজধানীর ১০টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪৫৯টি শৌচাগার পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগারের সংখ্যা মাত্র ১০টি, যা ১ শতাংশেরও কম বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। প্রায় ৯৯ শতাংশ শৌচাগার হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী বা চলাফেরায় সীমাবদ্ধ রোগীদের জন্য ব্যবহারযোগ্য নয়। অধিকাংশ শৌচাগারে দরজা সংকীর্ণ, কমোডের উচ্চতা অনুপযুক্ত, গ্র্যাব-বার বা হাতল নেই এবং প্রবেশপথে র্যাম্পের সুবিধাও নেই। ফলে প্রতিবন্ধী রোগীরা শৌচাগার ব্যবহার করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি এবং নিরাপত্তাহীনতায় পড়েন।
দেশে ক্যানসার রোগীদের জন্য সর্বোচ্চ সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ঘুরে এখানকার দুটি ভবনের কোথাও প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার পাওয়া যায়নি।
একইভাবে হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য সরকারের বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের তিনটি ভবনের কোথাও নেই প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার। তাঁদের জন্য আলাদা শৌচাগার না থাকার কথা স্বীকার করেন এই হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ভর্তি রোগীরা বেডসাইড টয়লেট ব্যবহার করেন। বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য নতুন যেসব ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য শৌচাগার, হুইলচেয়ার বা শয্যাসহ ওঠানামার জন্য প্রয়োজনীয় র্যাম্প রাখা প্রয়োজন।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত শয্যার ২-৩ গুণ রোগী ভর্তি থাকেন। দৈনিক বহির্বিভাগে রোগী আসেন সক্ষমতার ৪-৫ গুণ। স্বাভাবিক রোগীদের জন্য উন্নত শৌচাগারের ব্যবস্থাপনা নেই। প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্যও আলাদা শৌচাগার রাখা যায়নি। তবে আমরা এ বিষয়ে পরিকল্পনা করছি।’

দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র। কারণ হাসপাতালে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগার ১ শতাংশেরও কম।
হাসপাতাল পরিচালনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবন্ধীবান্ধব শৌচাগার একটি হাসপাতালের মৌলিক পরিকাঠামোর অংশ হওয়া উচিত। তবে দেশে এ ধরনের সুবিধার মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ঘাটতি বেশি। ফলে রোগীরা শুধু ভোগান্তিতেই পড়ছেন না; বরং গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিরও সম্মুখীন হচ্ছেন। দীর্ঘ সময় শৌচাগার ব্যবহার করতে না পারার ফলে কিডনি জটিলতা, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (মূত্রনালি সংক্রমণ) ও পানিশূন্যতাসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিষয়ক গবেষণা প্রকাশনা সংস্থা পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্সের প্লস ওয়ান সাময়িকীতে বাংলাদেশে হাসপাতালের শৌচাগার নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ পায়। গবেষণার শিরোনাম ‘ইনঅ্যাডিক্যুইট স্যানিটেশন ইন হেলথকেয়ার ফ্যাসিলিটিজ: অ্যা কম্প্রিহেনসিভ ইভ্যালুয়েশন অব টয়লেটস ইন মেজর হাসপাতাল ইন ঢাকা, বাংলাদেশ’। গবেষণাটি করেছেন অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের নয়জন গবেষক।
গবেষণায় রাজধানীর ১০টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪৫৯টি শৌচাগার পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগারের সংখ্যা মাত্র ১০টি, যা ১ শতাংশেরও কম বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। প্রায় ৯৯ শতাংশ শৌচাগার হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী বা চলাফেরায় সীমাবদ্ধ রোগীদের জন্য ব্যবহারযোগ্য নয়। অধিকাংশ শৌচাগারে দরজা সংকীর্ণ, কমোডের উচ্চতা অনুপযুক্ত, গ্র্যাব-বার বা হাতল নেই এবং প্রবেশপথে র্যাম্পের সুবিধাও নেই। ফলে প্রতিবন্ধী রোগীরা শৌচাগার ব্যবহার করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি এবং নিরাপত্তাহীনতায় পড়েন।
দেশে ক্যানসার রোগীদের জন্য সর্বোচ্চ সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ঘুরে এখানকার দুটি ভবনের কোথাও প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার পাওয়া যায়নি।
একইভাবে হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য সরকারের বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের তিনটি ভবনের কোথাও নেই প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার। তাঁদের জন্য আলাদা শৌচাগার না থাকার কথা স্বীকার করেন এই হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ভর্তি রোগীরা বেডসাইড টয়লেট ব্যবহার করেন। বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য নতুন যেসব ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য শৌচাগার, হুইলচেয়ার বা শয্যাসহ ওঠানামার জন্য প্রয়োজনীয় র্যাম্প রাখা প্রয়োজন।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত শয্যার ২-৩ গুণ রোগী ভর্তি থাকেন। দৈনিক বহির্বিভাগে রোগী আসেন সক্ষমতার ৪-৫ গুণ। স্বাভাবিক রোগীদের জন্য উন্নত শৌচাগারের ব্যবস্থাপনা নেই। প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্যও আলাদা শৌচাগার রাখা যায়নি। তবে আমরা এ বিষয়ে পরিকল্পনা করছি।’

মানবদেহের পানি ও লবণের ভারসাম্য রক্ষা, দেহে পুষ্টি আহরণ, বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন–যেকোনো কাজেই কিডনির ভূমিকা অপরিহার্য। কিডনির দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন জীবনযাত্রার মান কমিয়ে দেয়, তেমনি বেঁচে থাকাকেও ফেলে দেয় ঝুঁকিতে।
২০ মে ২০২৩
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
১০ ঘণ্টা আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
২ দিন আগে
বাংলাদেশে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯১ জন এইডস ভাইরাসে (এইচআইভি) আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। দেশে প্রথম চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে বছরওয়ারি হিসাবে এটাই সর্বোচ্চ এইচআইভি সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা। একই সময়ে দেশে এইডসে মারা গেছে ২১৯ জন। আজ সোমবার বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্ট
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩৮৬ জনের মৃত্যু হলো। আর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৫ হাজার ৫৭৭। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা পুরুষ। তাঁদে বয়স যথাক্রমে ৫৫ ও ৬৫ বছর।
চলতি বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বর মাসে। ওই মাসে ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগে অক্টোবর মাসে ৮০ জন ও সেপ্টেম্বর মাসে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৫, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৮৮ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছে।

দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩৮৬ জনের মৃত্যু হলো। আর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৫ হাজার ৫৭৭। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা পুরুষ। তাঁদে বয়স যথাক্রমে ৫৫ ও ৬৫ বছর।
চলতি বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বর মাসে। ওই মাসে ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগে অক্টোবর মাসে ৮০ জন ও সেপ্টেম্বর মাসে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৫, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৮৮ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছে।

মানবদেহের পানি ও লবণের ভারসাম্য রক্ষা, দেহে পুষ্টি আহরণ, বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন–যেকোনো কাজেই কিডনির ভূমিকা অপরিহার্য। কিডনির দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন জীবনযাত্রার মান কমিয়ে দেয়, তেমনি বেঁচে থাকাকেও ফেলে দেয় ঝুঁকিতে।
২০ মে ২০২৩
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
১০ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
১ দিন আগে
বাংলাদেশে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯১ জন এইডস ভাইরাসে (এইচআইভি) আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। দেশে প্রথম চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে বছরওয়ারি হিসাবে এটাই সর্বোচ্চ এইচআইভি সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা। একই সময়ে দেশে এইডসে মারা গেছে ২১৯ জন। আজ সোমবার বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্ট
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯১ জন এইডস ভাইরাসে (এইচআইভি) আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। দেশে প্রথম চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে বছরওয়ারি হিসাবে এটাই সর্বোচ্চ এইচআইভি সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা। একই সময়ে দেশে এইডসে মারা গেছে ২১৯ জন। আজ সোমবার বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় এইডস/এসটিডি কন্ট্রোল শাখা আলোচনা সভার আয়োজন করে। এ বছরের বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘সব বাধা দূর করি, এইডসমুক্ত সমাজ গড়ি’।
কোনো ব্যক্তি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে একপর্যায়ে তার এইডস হতে পারে। মারাত্মক এই ভাইরাস ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলে। কোনো রোগের বিরুদ্ধেই শরীর লড়তে পারে না। সেই অবস্থাকে বলা হয় এইডস রোগ। এইচআইভির বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর প্রতিষেধক দীর্ঘদিনের চেষ্টায়ও তৈরি করা সম্ভব হয়নি। প্রতিরোধই এই রোগের বিস্তার ঠেকানোর প্রধান অস্ত্র।
সরকারের তথ্য বলছে, এ বছরের প্রায় ২ হাজার শনাক্তের মধ্যে ২১৭ জনই মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর। দেশে বর্তমানে এইডস ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মোট সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৮০। দেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তি শনাক্ত হয়। এরপর প্রতিবছর এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া গেছে। দু-এক বছর আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও সামগ্রিকভাবে দিনে দিনে বেড়েছে।
চলতি বছরের আক্রান্তের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরে দেশে এইচআইভি শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের ৮১ শতাংশই পুরুষ। এ ছাড়া সংক্রমিত ব্যক্তির অর্ধেক পুরুষ সমকামী ও পুরুষ যৌনকর্মী।
প্রসঙ্গত, এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে অনিরাপদ শারীরিক মিলন, চিকিৎসার সময় এই ভাইরাসে সংক্রমিত রক্ত নেওয়ার মাধ্যমে এইচআইভি ছড়াতে পারে। অন্যের ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ বা সেলুনের সংক্রমিত ক্ষুর-কাঁচির মাধ্যমেও ছড়ায় এই ভাইরাস।
অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এইডস/এসটিডি কর্মসূচি) ডা. মো. খায়রুজ্জামান বলেন, ‘দেশে অনুমিত এইচআইভি সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৮০। এর ৮১.৮৮ শতাংশকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এ পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৪ শতাংশ চিকিৎসার আওতায় আছে। আর যারা চিকিৎসা নিচ্ছে, তাদের ৯১ শতাংশের শরীরে ভাইরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আছে।’
ডা. মো. খায়রুজ্জামান জানান, দেশে এ পর্যন্ত এইচআইভি শনাক্ত মানুষের মধ্যে ৮ হাজার ৩০০ জন চিকিৎসাধীন। এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৬৬৬ জন।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের বছর
বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। এরপর প্রতিবছর এই ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তি পাওয়া গেছে। ২০২০ সালে করোনার ব্যাপক সংক্রমণের বছর বাদ দিলে গত ১০ বছরে এইচআইভি শনাক্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত বছর শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪৩৮। এ বছর সংখ্যাটি ১ হাজার ৮৯১ জন; যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২১ সালে শনাক্ত হয় ৭২৯ জন, ২০২২ সালে ৯৪৭ জন, ২০২৩ সালে ১ হাজার ২৭৬ জন এবং ২০২৪ সালে ১ হাজার ৪৩৮ জন। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ২০৫, ২৩২, ২৬৬ এবং ১৯৫ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর শনাক্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি (৬২.৬১ শতাংশ) হচ্ছে ২৫-৪৯ বছর বয়সের। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৪ শতাংশ পুরুষ সমকামী, এরপর ১৪ শতাংশ পুরুষ যৌনকর্মী, ১২ শতাংশ প্রবাসী, ১১ শতাংশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, মাদক সেবনকারী ৬ শতাংশ, তৃতীয় লিঙ্গ ও নারী যৌনকর্মী ১ শতাংশ করে। এ ছাড়া অন্যান্য ১১ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ৬৫০ জন ভাইরাস বাহক শনাক্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭৬ জন ও খুলনা বিভাগে ২০৮ জন।
আলোচনা সভার প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, দেশে এইডস রোগের প্রকৃত পরিস্থিতি কী, যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা কতটা নির্ভরযোগ্য—এসব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এখন ১৭ হাজারের বেশি এইচআইভির বাহক রয়েছে।
মহাপরিচালক বলেন, ‘শনাক্তের বাইরে এখনো অনেক রোগী রয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে আমাদের খুব সতর্ক হতে হবে। কত রোগী শনাক্তের বাইরে রয়ে গেছে, তা জানতে জনবল বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যবস্থাপনায় আরও জোর দিতে হবে।’
বেশির ভাগ এইডস রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয় না। তাঁরা নির্ধারিত কেন্দ্র থেকে নিয়মিত ওষুধ নিয়ে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারেন। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট ওষুধ সেবনের মাধ্যমেই কেবল এইডসের ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এর চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। তবে দেশে শুধু সরকারি পর্যায়েই এইচআইভির চিকিৎসা রয়েছে। ২৭টি সরকারি কেন্দ্রে শনাক্তকরণ এবং ১৩টি কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ভর্তি থেকে চিকিৎসার সুযোগ আছে কেবল রাজধানীর মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে।

বাংলাদেশে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯১ জন এইডস ভাইরাসে (এইচআইভি) আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। দেশে প্রথম চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে বছরওয়ারি হিসাবে এটাই সর্বোচ্চ এইচআইভি সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা। একই সময়ে দেশে এইডসে মারা গেছে ২১৯ জন। আজ সোমবার বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় এইডস/এসটিডি কন্ট্রোল শাখা আলোচনা সভার আয়োজন করে। এ বছরের বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘সব বাধা দূর করি, এইডসমুক্ত সমাজ গড়ি’।
কোনো ব্যক্তি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে একপর্যায়ে তার এইডস হতে পারে। মারাত্মক এই ভাইরাস ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলে। কোনো রোগের বিরুদ্ধেই শরীর লড়তে পারে না। সেই অবস্থাকে বলা হয় এইডস রোগ। এইচআইভির বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর প্রতিষেধক দীর্ঘদিনের চেষ্টায়ও তৈরি করা সম্ভব হয়নি। প্রতিরোধই এই রোগের বিস্তার ঠেকানোর প্রধান অস্ত্র।
সরকারের তথ্য বলছে, এ বছরের প্রায় ২ হাজার শনাক্তের মধ্যে ২১৭ জনই মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর। দেশে বর্তমানে এইডস ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মোট সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৮০। দেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তি শনাক্ত হয়। এরপর প্রতিবছর এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া গেছে। দু-এক বছর আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও সামগ্রিকভাবে দিনে দিনে বেড়েছে।
চলতি বছরের আক্রান্তের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরে দেশে এইচআইভি শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের ৮১ শতাংশই পুরুষ। এ ছাড়া সংক্রমিত ব্যক্তির অর্ধেক পুরুষ সমকামী ও পুরুষ যৌনকর্মী।
প্রসঙ্গত, এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে অনিরাপদ শারীরিক মিলন, চিকিৎসার সময় এই ভাইরাসে সংক্রমিত রক্ত নেওয়ার মাধ্যমে এইচআইভি ছড়াতে পারে। অন্যের ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ বা সেলুনের সংক্রমিত ক্ষুর-কাঁচির মাধ্যমেও ছড়ায় এই ভাইরাস।
অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এইডস/এসটিডি কর্মসূচি) ডা. মো. খায়রুজ্জামান বলেন, ‘দেশে অনুমিত এইচআইভি সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৮০। এর ৮১.৮৮ শতাংশকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এ পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৪ শতাংশ চিকিৎসার আওতায় আছে। আর যারা চিকিৎসা নিচ্ছে, তাদের ৯১ শতাংশের শরীরে ভাইরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আছে।’
ডা. মো. খায়রুজ্জামান জানান, দেশে এ পর্যন্ত এইচআইভি শনাক্ত মানুষের মধ্যে ৮ হাজার ৩০০ জন চিকিৎসাধীন। এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৬৬৬ জন।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের বছর
বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। এরপর প্রতিবছর এই ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তি পাওয়া গেছে। ২০২০ সালে করোনার ব্যাপক সংক্রমণের বছর বাদ দিলে গত ১০ বছরে এইচআইভি শনাক্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত বছর শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪৩৮। এ বছর সংখ্যাটি ১ হাজার ৮৯১ জন; যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২১ সালে শনাক্ত হয় ৭২৯ জন, ২০২২ সালে ৯৪৭ জন, ২০২৩ সালে ১ হাজার ২৭৬ জন এবং ২০২৪ সালে ১ হাজার ৪৩৮ জন। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ২০৫, ২৩২, ২৬৬ এবং ১৯৫ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর শনাক্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি (৬২.৬১ শতাংশ) হচ্ছে ২৫-৪৯ বছর বয়সের। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৪ শতাংশ পুরুষ সমকামী, এরপর ১৪ শতাংশ পুরুষ যৌনকর্মী, ১২ শতাংশ প্রবাসী, ১১ শতাংশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, মাদক সেবনকারী ৬ শতাংশ, তৃতীয় লিঙ্গ ও নারী যৌনকর্মী ১ শতাংশ করে। এ ছাড়া অন্যান্য ১১ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ৬৫০ জন ভাইরাস বাহক শনাক্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭৬ জন ও খুলনা বিভাগে ২০৮ জন।
আলোচনা সভার প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, দেশে এইডস রোগের প্রকৃত পরিস্থিতি কী, যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা কতটা নির্ভরযোগ্য—এসব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এখন ১৭ হাজারের বেশি এইচআইভির বাহক রয়েছে।
মহাপরিচালক বলেন, ‘শনাক্তের বাইরে এখনো অনেক রোগী রয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে আমাদের খুব সতর্ক হতে হবে। কত রোগী শনাক্তের বাইরে রয়ে গেছে, তা জানতে জনবল বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যবস্থাপনায় আরও জোর দিতে হবে।’
বেশির ভাগ এইডস রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয় না। তাঁরা নির্ধারিত কেন্দ্র থেকে নিয়মিত ওষুধ নিয়ে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারেন। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট ওষুধ সেবনের মাধ্যমেই কেবল এইডসের ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এর চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। তবে দেশে শুধু সরকারি পর্যায়েই এইচআইভির চিকিৎসা রয়েছে। ২৭টি সরকারি কেন্দ্রে শনাক্তকরণ এবং ১৩টি কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ভর্তি থেকে চিকিৎসার সুযোগ আছে কেবল রাজধানীর মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে।

মানবদেহের পানি ও লবণের ভারসাম্য রক্ষা, দেহে পুষ্টি আহরণ, বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন–যেকোনো কাজেই কিডনির ভূমিকা অপরিহার্য। কিডনির দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন জীবনযাত্রার মান কমিয়ে দেয়, তেমনি বেঁচে থাকাকেও ফেলে দেয় ঝুঁকিতে।
২০ মে ২০২৩
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
১০ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
১ দিন আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
২ দিন আগে