ডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী
গলাব্যথায় আমরা প্রায় সবাই কখনো
না কখনো আক্রান্ত হয়েছি। অনেকে এটিকে সাধারণ সমস্যা ভেবে অবহেলা করে থাকেন। কিন্তু এই ব্যথা হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ রোগ হলো টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস। এটি ফ্যারিক্স ও টনসিলের একযোগে সংক্রমণ, যা হঠাৎ করেই শুরু হয়ে যায় এবং রোগীকে অনেকটা দুর্বল করে দেয়।
সহজ ভাষায় বলতে গেলে গলার পেছনের অংশ ফ্যারিঙ্ক্স এবং দুই পাশে থাকা প্যালাটাইন টনসিলের সংক্রমণকে টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস বোঝায়।
উপসর্গ
টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস রোগীদের সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন গলাব্যথা, গিলতে কষ্ট, গলার পাশের লিম্ফ নোড ফোলা, মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে পারে, গলা শুকিয়ে যাওয়া বা জ্বালাপোড়া করা, জ্বর ও শরীর দুর্বল লাগা। শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক সময় খাওয়ার অনীহা, এমনকি শিশুদের পেটের অস্বস্তি এবং বমির মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
ইনফেকশনের কারণ
এ রোগের সবচেয়ে পরিচিত জীবাণুর নাম হলো গ্রুপ এ বিটা-হিমোলাইটিক স্ট্রেপটোকক্কাস। ভাইরাসজনিত সংক্রমণ হওয়ার কারণেও টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস হতে পারে। এ ছাড়া সংক্রমিত ব্যক্তির কাশি-হাঁচি, ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ কিংবা দূষিত জিনিসপত্র ব্যবহার করলেও এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
রোগনির্ণয়
চিকিৎসকেরা সাধারণত উপসর্গ দেখে রোগ নির্ণয় করেন। গলা লালচে হয়ে যায়, গলার পেছনের ত্বক উজ্জ্বল লাল রং ধারণ করে। এ ছাড়া গলার পেছনে শ্লেষ্মা কিংবা কফ জমে থাকতে পারে। প্রয়োজন হলে গলার সোয়াব কালচার টেস্ট করা হয়। এতে বোঝা যায়, ব্যাকটেরিয়া নাকি ভাইরাস দায়ী।
চিকিৎসা
চিকিৎসা নির্ভর করে উপসর্গ এবং এর কারণের ওপর। ভাইরাসজনিত সংক্রমণ: সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করার প্রয়োজন হয় না। তবে বিশ্রাম, গরম পানির গার্গল করলে এর উপশম হতে পারে। এ ছাড়া প্রচুর তরল খাবার গ্রহণ এর উপশমে সাহায্য করে। স্ট্রেপটোকক্কাল সংক্রমণ: এ ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক অপরিহার্য। সঠিক ডোজে এবং পূর্ণ মেয়াদে ওষুধ খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। না হলে জটিলতা তৈরি হতে পারে।
অবহেলার ঝুঁকি
আমাদের মনে রাখা জরুরি, প্রাথমিক যত্ন নিলেই টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস সহজে ভালো হয়ে যায়। তবে অবহেলা করলে জটিলতা বেড়ে যেতে পারে।
এ ছাড়া সময়মতো চিকিৎসা না নিলে টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস থেকে টনসিলে ফোড়া এবং কানে ব্যথা হতে পারে।
আবার স্ট্রেপটোকক্কাস জীবাণু হৃদ্পিণ্ড, কিডনি অথবা জয়েন্টের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা তৈরি করতে পারে। তাই অবহেলা না করে দ্রুততম সময়ে একজন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।
প্রতিরোধ
গলাব্যথা কিংবা কাশি বেড়ে যেতে পারে। তাই এ সময় ঠান্ডা পানীয়, সফট ড্রিংক, আইসক্রিম এড়িয়ে চলাই ভালো।
গলাব্যথাকে সাধারণ সমস্যা ভেবে কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়। টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস দ্রুত শনাক্ত এবং চিকিৎসা করলে রোগী শিগগির সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং বিভিন্ন জটিলতাও এতে এড়ানো যায়।
লেখক: আবাসিক সার্জন (ইএনটি), সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
গলাব্যথায় আমরা প্রায় সবাই কখনো
না কখনো আক্রান্ত হয়েছি। অনেকে এটিকে সাধারণ সমস্যা ভেবে অবহেলা করে থাকেন। কিন্তু এই ব্যথা হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ রোগ হলো টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস। এটি ফ্যারিক্স ও টনসিলের একযোগে সংক্রমণ, যা হঠাৎ করেই শুরু হয়ে যায় এবং রোগীকে অনেকটা দুর্বল করে দেয়।
সহজ ভাষায় বলতে গেলে গলার পেছনের অংশ ফ্যারিঙ্ক্স এবং দুই পাশে থাকা প্যালাটাইন টনসিলের সংক্রমণকে টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস বোঝায়।
উপসর্গ
টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস রোগীদের সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন গলাব্যথা, গিলতে কষ্ট, গলার পাশের লিম্ফ নোড ফোলা, মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে পারে, গলা শুকিয়ে যাওয়া বা জ্বালাপোড়া করা, জ্বর ও শরীর দুর্বল লাগা। শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক সময় খাওয়ার অনীহা, এমনকি শিশুদের পেটের অস্বস্তি এবং বমির মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
ইনফেকশনের কারণ
এ রোগের সবচেয়ে পরিচিত জীবাণুর নাম হলো গ্রুপ এ বিটা-হিমোলাইটিক স্ট্রেপটোকক্কাস। ভাইরাসজনিত সংক্রমণ হওয়ার কারণেও টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস হতে পারে। এ ছাড়া সংক্রমিত ব্যক্তির কাশি-হাঁচি, ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ কিংবা দূষিত জিনিসপত্র ব্যবহার করলেও এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
রোগনির্ণয়
চিকিৎসকেরা সাধারণত উপসর্গ দেখে রোগ নির্ণয় করেন। গলা লালচে হয়ে যায়, গলার পেছনের ত্বক উজ্জ্বল লাল রং ধারণ করে। এ ছাড়া গলার পেছনে শ্লেষ্মা কিংবা কফ জমে থাকতে পারে। প্রয়োজন হলে গলার সোয়াব কালচার টেস্ট করা হয়। এতে বোঝা যায়, ব্যাকটেরিয়া নাকি ভাইরাস দায়ী।
চিকিৎসা
চিকিৎসা নির্ভর করে উপসর্গ এবং এর কারণের ওপর। ভাইরাসজনিত সংক্রমণ: সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করার প্রয়োজন হয় না। তবে বিশ্রাম, গরম পানির গার্গল করলে এর উপশম হতে পারে। এ ছাড়া প্রচুর তরল খাবার গ্রহণ এর উপশমে সাহায্য করে। স্ট্রেপটোকক্কাল সংক্রমণ: এ ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক অপরিহার্য। সঠিক ডোজে এবং পূর্ণ মেয়াদে ওষুধ খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। না হলে জটিলতা তৈরি হতে পারে।
অবহেলার ঝুঁকি
আমাদের মনে রাখা জরুরি, প্রাথমিক যত্ন নিলেই টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস সহজে ভালো হয়ে যায়। তবে অবহেলা করলে জটিলতা বেড়ে যেতে পারে।
এ ছাড়া সময়মতো চিকিৎসা না নিলে টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস থেকে টনসিলে ফোড়া এবং কানে ব্যথা হতে পারে।
আবার স্ট্রেপটোকক্কাস জীবাণু হৃদ্পিণ্ড, কিডনি অথবা জয়েন্টের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা তৈরি করতে পারে। তাই অবহেলা না করে দ্রুততম সময়ে একজন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।
প্রতিরোধ
গলাব্যথা কিংবা কাশি বেড়ে যেতে পারে। তাই এ সময় ঠান্ডা পানীয়, সফট ড্রিংক, আইসক্রিম এড়িয়ে চলাই ভালো।
গলাব্যথাকে সাধারণ সমস্যা ভেবে কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়। টনসিলোফ্যারিঞ্জাইটিস দ্রুত শনাক্ত এবং চিকিৎসা করলে রোগী শিগগির সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং বিভিন্ন জটিলতাও এতে এড়ানো যায়।
লেখক: আবাসিক সার্জন (ইএনটি), সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের তরুণ বলা হয়। বাংলাদেশে তরুণের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমানে এই তরুণদের মধ্যেও বিভিন্ন রকমের নন-কমিউনিকেবল রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। আগে মনে করা হতো, ডায়াবেটিস বয়স্ক মানুষের রোগ।
৩ ঘণ্টা আগেহিমালয়ের ‘হিমলুং’ পর্বত শিখরে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছেন দেশের নারী পর্বতারোহী নুরুননাহার নিম্মি। ৩০ দিনের এই অভিযানে শনিবার (আজ) নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন তিনি। শুক্রবার (গতকাল) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযাত্রী নুরুননাহার নিম্মির হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনারীর ক্যানসারের মধ্যে স্তন ক্যানসারই বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি নির্ণয় হওয়া রোগ। ২০২২ সালে আনুমানিক ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন নারী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং আরও ৬ লাখ ৭০ হাজার নারী মারা গেছেন। যেখানে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই রোগে ৫ বছর বেঁচে থাকার হার ৯০ শতাংশের বেশি, সেখানে ভারতে এই সংখ্যা ৬৬ শতাংশ...
৫ ঘণ্টা আগেপ্রতিদিনের ছোট কোনো অভ্যাস ওজন কমানোর চেষ্টা ব্যর্থ করে দিতে পারে। অনেক নারী কঠোর ডায়েট বা ব্যায়াম করেন, তবু তাঁরা ইতিবাচক ফল পান না।
৭ ঘণ্টা আগে