মো. ইকবাল হোসেন
‘নীরব ঘাতক’ রোগগুলোর মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন অন্যতম। বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে
ভুগছে। এই রোগের কারণে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৯৪ লাখ মানুষ মারা যায়। আগে উচ্চ রক্তচাপ বয়স্ক মানুষদের মাঝে বেশি দেখা
যেত। কিন্তু এখন তরুণদের মাঝেও এ রোগ দেখা যাচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ জানে না,
তাদের শরীরে এ রোগটি আছে। তাই পূর্ণবয়স্ক প্রত্যেক মানুষের উচিত, নিয়মিত উচ্চ রক্তচাপ পরীক্ষা করানো এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
ঝুঁকিতে যাঁরা আছেন
রক্তে কম ঘনত্বের লিপপ্রোটিন বা এলডিএল, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড বেশি আছে এমন ব্যক্তি, হরমোনাল ভারসাম্যহীনতা আছে এমন ব্যক্তি, অতিরিক্ত ওজন আছে যাঁদের, রাতে কম ঘুমান যাঁরা, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস যাঁদের, অতিরিক্ত লবণ খান যাঁরা, ধূমপান বা তামাকজাতীয় বা নেশা উৎপন্নকারী পণ্য গ্রহণ করা ব্যক্তি, শারীরিক পরিশ্রম না করা ব্যক্তি এবং যাঁদের বংশগত ইতিহাস আছে, তাঁরা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকির মধ্যে আছেন।
আক্রান্ত ব্যক্তির খাবার ব্যবস্থাপনা
উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়ম মেনে ও পরিমিত পরিমাণে খাবার খেতে হবে। এতে কিছুটা ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
নিয়ম মেনে খেতে হবে
খাদ্যতালিকায় যা রাখতে হবে
উচ্চ রক্তচাপের ব্যক্তিদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কমপক্ষে ২৫০ গ্রাম সবুজ শাকসবজি এবং ১৫০ গ্রাম মৌসুমি ফল রাখতে হবে। শাকের মধ্যে পালংশাক, লালশাক, শজনেপাতা, পাটশাক, কলমিশাক খাবেন। সবজির মধ্যে বিট, ব্রোকলি, চিচিঙ্গা, চালকুমড়া, টমেটো, শসা, পেঁপে, গাজর, মুলা, লাউ, মটরশুঁটি, ঢ্যাঁড়স খাবেন যখন যা পাওয়া যায়। শাকসবজিগুলো ধুয়ে নিয়ে কাটবেন। ফল হিসেবে আমড়া, জাম্বুরা, জাম, কলা, লেবু, কাঁচা পেয়ারা, আমলকী, কচি ডাবের পানি এগুলো নিয়মিত খেতে হবে। এ ছাড়া আঙুর, আনারস, কমলা, মাল্টা, ডালিম, কলা, নাশপাতি, পাকা পেঁপে মৌসুমে যা পাবেন, সেগুলো খাবেন বেশি করে। খোসাসহ খাওয়া যায়–এমন ফল বেশি উপকারী। ফল কখনো ব্লেন্ডারে জুস করে খাবেন না, সরাসরি চিবিয়ে খাবেন। এতে উপকার বেশি পাবেন।
পুষ্টিবিদ মো. ইকবাল হোসেন, সিনিয়র পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
‘নীরব ঘাতক’ রোগগুলোর মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন অন্যতম। বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে
ভুগছে। এই রোগের কারণে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৯৪ লাখ মানুষ মারা যায়। আগে উচ্চ রক্তচাপ বয়স্ক মানুষদের মাঝে বেশি দেখা
যেত। কিন্তু এখন তরুণদের মাঝেও এ রোগ দেখা যাচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ জানে না,
তাদের শরীরে এ রোগটি আছে। তাই পূর্ণবয়স্ক প্রত্যেক মানুষের উচিত, নিয়মিত উচ্চ রক্তচাপ পরীক্ষা করানো এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
ঝুঁকিতে যাঁরা আছেন
রক্তে কম ঘনত্বের লিপপ্রোটিন বা এলডিএল, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড বেশি আছে এমন ব্যক্তি, হরমোনাল ভারসাম্যহীনতা আছে এমন ব্যক্তি, অতিরিক্ত ওজন আছে যাঁদের, রাতে কম ঘুমান যাঁরা, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস যাঁদের, অতিরিক্ত লবণ খান যাঁরা, ধূমপান বা তামাকজাতীয় বা নেশা উৎপন্নকারী পণ্য গ্রহণ করা ব্যক্তি, শারীরিক পরিশ্রম না করা ব্যক্তি এবং যাঁদের বংশগত ইতিহাস আছে, তাঁরা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকির মধ্যে আছেন।
আক্রান্ত ব্যক্তির খাবার ব্যবস্থাপনা
উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়ম মেনে ও পরিমিত পরিমাণে খাবার খেতে হবে। এতে কিছুটা ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
নিয়ম মেনে খেতে হবে
খাদ্যতালিকায় যা রাখতে হবে
উচ্চ রক্তচাপের ব্যক্তিদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কমপক্ষে ২৫০ গ্রাম সবুজ শাকসবজি এবং ১৫০ গ্রাম মৌসুমি ফল রাখতে হবে। শাকের মধ্যে পালংশাক, লালশাক, শজনেপাতা, পাটশাক, কলমিশাক খাবেন। সবজির মধ্যে বিট, ব্রোকলি, চিচিঙ্গা, চালকুমড়া, টমেটো, শসা, পেঁপে, গাজর, মুলা, লাউ, মটরশুঁটি, ঢ্যাঁড়স খাবেন যখন যা পাওয়া যায়। শাকসবজিগুলো ধুয়ে নিয়ে কাটবেন। ফল হিসেবে আমড়া, জাম্বুরা, জাম, কলা, লেবু, কাঁচা পেয়ারা, আমলকী, কচি ডাবের পানি এগুলো নিয়মিত খেতে হবে। এ ছাড়া আঙুর, আনারস, কমলা, মাল্টা, ডালিম, কলা, নাশপাতি, পাকা পেঁপে মৌসুমে যা পাবেন, সেগুলো খাবেন বেশি করে। খোসাসহ খাওয়া যায়–এমন ফল বেশি উপকারী। ফল কখনো ব্লেন্ডারে জুস করে খাবেন না, সরাসরি চিবিয়ে খাবেন। এতে উপকার বেশি পাবেন।
পুষ্টিবিদ মো. ইকবাল হোসেন, সিনিয়র পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
২ দিন আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
২ দিন আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
২ দিন আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
২ দিন আগে