জাকিয়া নাজনীন
আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর উপাদান থাকে। প্যারাসাইটস, পারদ, আর্সেনিক, ফাঙ্গাস, ব্যাকটেরিয়াসহ অনেক কিছু আমাদের শরীরকে বিষাক্ত করতে পারে বিভিন্নভাবে। শরীর বিষমুক্তকরণ হচ্ছে টক্সিক বা বিষাক্ত উপাদানকে শরীর থেকে অপসারণ করার প্রক্রিয়া। শরীর ডিটক্সিফিকেশন বা বিষমুক্ত করা একটি বিশদ ব্যাপার। এর দুটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারের একটি হচ্ছে না খেয়ে থাকা বা ফাস্টিং, অন্যটি হারবাল জুস পান করা। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে না খেয়ে থাকা যায়। যেমন রাত থেকে সকালের খাবারের মধ্যকার বিরতি হওয়া উচিত ১২, ১৪ বা ১৬ ঘণ্টা। এ জন্য সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে রাতের খাবার শেষ করতে হবে।
চায়নিজ ধারণা অনুসারে, আমাদের শরীরের বিষমুক্তকরণ শুরু হয় লিভার থেকে। এটা হচ্ছে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যার সঙ্গে বিষমুক্তকরণ বিষয়টি জড়িত। চায়নিজ ধারণামতে, রাত ১১টা থেকে ভোররাত ৩টার মধ্যে লিভার কর্মক্ষম থাকে সবচেয়ে বেশি। সন্ধ্যায় যে খাবার খাওয়া হয় তা বিপাক হতে সময় লাগবে ৪-৫ ঘণ্টা। এরপর যে বর্জ্য তৈরি হয় তা রক্তে চলে আসে। তখন লিভার বিষাক্ত উপাদানগুলো প্রক্রিয়াজাত করতে থাকে। এ জন্য সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে রাতের খাবার খেলে লিভার তার কাজটা ঠিকমতো করতে পারে।পাকস্থলীতে খাবার থাকলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সক্রিয় হয়ে ওঠে। যেসব বিষাক্ত উপাদান আছে, শরীর সেগুলো শনাক্ত করতে থাকে। এর মাধ্যমেই শুরু হয় শরীর বিষমুক্ত করার প্রক্রিয়া।
ডিটক্সিফিকেশনের সময় শরীরকে বেশি সময় দিতে হবে কাজ করতে। ঘন ঘন খেয়ে এটা করা সম্ভব নয়। না খেয়ে থাকার সময় কিছু জুস খাওয়া যেতে পারে। এই জুসগুলো ফাস্টিংয়ের সময় বা ফাস্টিংয়ের শেষে প্রথম পানীয় হিসেবেও আমরা পান করতে পারি। এই পানীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পূর্ণ হলে শরীর বিষমুক্ত করতে বেশি সুবিধা হয়।
কী খাবেন
সকালে খালি পেটে হালকা কুসুম গরম পানিতে একটু লেবুর রস মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এই পানীয় ছাড়াও শীত মৌসুমে বাজারে প্রচুর ভিটামিন সিসমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি পাওয়া যায়, যেগুলো দিয়ে জুস তৈরি করা যায়। এ ছাড়া প্রতিবেলার খাবারেও এমন কিছু খাবার রাখা যেতে পারে, যা শরীর বিষমুক্ত করতে সহায়তা করবে।
পালংশাক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার। এর স্মুদি বা জুস করে খাওয়া যেতে পারে। এক মুঠো পালংশাক পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে খাওয়া যেতে পারে। যাঁরা না খেয়ে থাকতে পারেন না, তাঁরা সকালের নাশতায় স্মুদি খেতে পারেন। পালংশাক, আদা, কলা, বাদাম ব্লেন্ড করে স্মুদি বানানো যায়। শীতকালে প্রায় সবাই পানি কম পান করেন। পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীর পরিশোধিত হয়, এ কথা মনে রাখা জরুরি।
লেখক: নিউট্রিশনিস্ট ও হোলস্টিক লাইফস্টাইল মোডিফায়ার
আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর উপাদান থাকে। প্যারাসাইটস, পারদ, আর্সেনিক, ফাঙ্গাস, ব্যাকটেরিয়াসহ অনেক কিছু আমাদের শরীরকে বিষাক্ত করতে পারে বিভিন্নভাবে। শরীর বিষমুক্তকরণ হচ্ছে টক্সিক বা বিষাক্ত উপাদানকে শরীর থেকে অপসারণ করার প্রক্রিয়া। শরীর ডিটক্সিফিকেশন বা বিষমুক্ত করা একটি বিশদ ব্যাপার। এর দুটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারের একটি হচ্ছে না খেয়ে থাকা বা ফাস্টিং, অন্যটি হারবাল জুস পান করা। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে না খেয়ে থাকা যায়। যেমন রাত থেকে সকালের খাবারের মধ্যকার বিরতি হওয়া উচিত ১২, ১৪ বা ১৬ ঘণ্টা। এ জন্য সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে রাতের খাবার শেষ করতে হবে।
চায়নিজ ধারণা অনুসারে, আমাদের শরীরের বিষমুক্তকরণ শুরু হয় লিভার থেকে। এটা হচ্ছে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যার সঙ্গে বিষমুক্তকরণ বিষয়টি জড়িত। চায়নিজ ধারণামতে, রাত ১১টা থেকে ভোররাত ৩টার মধ্যে লিভার কর্মক্ষম থাকে সবচেয়ে বেশি। সন্ধ্যায় যে খাবার খাওয়া হয় তা বিপাক হতে সময় লাগবে ৪-৫ ঘণ্টা। এরপর যে বর্জ্য তৈরি হয় তা রক্তে চলে আসে। তখন লিভার বিষাক্ত উপাদানগুলো প্রক্রিয়াজাত করতে থাকে। এ জন্য সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে রাতের খাবার খেলে লিভার তার কাজটা ঠিকমতো করতে পারে।পাকস্থলীতে খাবার থাকলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সক্রিয় হয়ে ওঠে। যেসব বিষাক্ত উপাদান আছে, শরীর সেগুলো শনাক্ত করতে থাকে। এর মাধ্যমেই শুরু হয় শরীর বিষমুক্ত করার প্রক্রিয়া।
ডিটক্সিফিকেশনের সময় শরীরকে বেশি সময় দিতে হবে কাজ করতে। ঘন ঘন খেয়ে এটা করা সম্ভব নয়। না খেয়ে থাকার সময় কিছু জুস খাওয়া যেতে পারে। এই জুসগুলো ফাস্টিংয়ের সময় বা ফাস্টিংয়ের শেষে প্রথম পানীয় হিসেবেও আমরা পান করতে পারি। এই পানীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পূর্ণ হলে শরীর বিষমুক্ত করতে বেশি সুবিধা হয়।
কী খাবেন
সকালে খালি পেটে হালকা কুসুম গরম পানিতে একটু লেবুর রস মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এই পানীয় ছাড়াও শীত মৌসুমে বাজারে প্রচুর ভিটামিন সিসমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি পাওয়া যায়, যেগুলো দিয়ে জুস তৈরি করা যায়। এ ছাড়া প্রতিবেলার খাবারেও এমন কিছু খাবার রাখা যেতে পারে, যা শরীর বিষমুক্ত করতে সহায়তা করবে।
পালংশাক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার। এর স্মুদি বা জুস করে খাওয়া যেতে পারে। এক মুঠো পালংশাক পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে খাওয়া যেতে পারে। যাঁরা না খেয়ে থাকতে পারেন না, তাঁরা সকালের নাশতায় স্মুদি খেতে পারেন। পালংশাক, আদা, কলা, বাদাম ব্লেন্ড করে স্মুদি বানানো যায়। শীতকালে প্রায় সবাই পানি কম পান করেন। পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীর পরিশোধিত হয়, এ কথা মনে রাখা জরুরি।
লেখক: নিউট্রিশনিস্ট ও হোলস্টিক লাইফস্টাইল মোডিফায়ার
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ২০২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় তারা ভর্তি হয়েছে। তবে এ সময়ে কোনো ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়নি। আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য...
৮ ঘণ্টা আগেগরিব রোগীদের অনর্থক টেস্ট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চিকিৎসকদের উদ্দেশে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, রোগের কথা ভালোভাবে না শুনেই অনেক চিকিৎসক অনর্থক ১৪-১৫টি পরীক্ষা দেন। গরিব রোগীদের প্রতি এই অত্যাচার বন্ধ করুন।
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চিকিৎসকদের পরামর্শপত্রে অপ্রয়োজনীয় রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা দেওয়ার চর্চার কড়া সমালোচনা করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। অনর্থক টেস্ট না দিতে এবং মধ্যস্বত্বভোগীর ভূমিকা না নিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) বাংলাদেশ প্রাইভেট হসপিটাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক
৯ ঘণ্টা আগেসরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) ব্যবস্থাপক ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, স্বাস্থ্য সহকারীদের আন্দোলন চলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে দেরি হয়েছে। তাই টিকাদান কর্মসূচি পিছিয়ে ১২ অক্টোবর ঠিক করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল রোববার নতুন এই সিদ্ধান্ত জানা
১১ ঘণ্টা আগে