বিশ্বজুড়ে ক্রমাগত কমছে তামাক সেবনকারীর সংখ্যা। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ২০০০–২০৩০ পর্যন্ত তামাক সেবনের প্রবণতা বিষয়ক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সালের জরিপ বলছে, বিশ্বে প্রতি পাঁচজনে একজন তামাক সেবন করে। এর আগে ২০০০ সালে বিশ্বে প্রতি তিনজনে একজন তামাক সেবন করত।
কম তামাক সেবনের এ প্রবণতা ভেঙে ফেলতে বড় বড় তামাকজাত পণ্যের কোম্পানিগুলো কাজ করছে বলেও সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
২০০০ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে তামাক ব্যবহারের ব্যাপকতা নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে ১২৫ কোটি তামাক সেবনকারী রয়েছে। ১৫০টি দেশে ১৫ বা এর বেশি বয়সীদের মধ্যে তামাক ব্যবহার ধারাবাহিকভাবে কমছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, বিশ্বব্যাপী ১৫–২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে তামাক সেবনের গড় হার ২০০০ সালের ২০ শতাংশ থেকে কমে ২০২২–এ প্রায় ১৩ শতাংশ হয়েছে এবং ২০৩০ সালে ১২ শতাংশে নামবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০০০–২০২২ সালের পর্যবেক্ষিত সময়ের মধ্যে সব বয়স গ্রুপের পুরুষ এবং নারী উভয়ের মধ্যে তামাক সেবন ধারাবাহিকভাবে কমেছে। বয়স–নির্দিষ্ট হার পুরুষ এবং নারী উভয়ের ক্ষেত্রে ২০৩০–এ হ্রাসের প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৈশ্বিক পরিসংখ্যান দেখে বোঝা যায়, ২০২২ সালে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তির ২০ দশমিক ৯ শতাংশ কোনো না কোনো ধরনের তামাক সেবন করেছে। এই তামাক সেবনকারীদের মধ্যে ৮০ শতাংশই ধূমপায়ী। এর মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যে ধূমপান করেন ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। আবার তামাক ধূমপায়ীদের মধ্যে ৮৯ শতাংশ সিগারেট সেবন করে।
ডব্লিউএইচও বলছে, বেশির ভাগ দেশে ধূমপানের হার কমলেও আসন্ন বছরগুলোতে তামাক সম্পর্কিত মৃত্যুর হার বেশি থাকবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে তামাক ব্যবহারে প্রতি বছর ৮০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ১৩ লাখ অধূমপায়ীর মৃত্যু হয় বলে ডব্লিউএইচও–এর পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘যেসব দেশ তামাক নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছে, সেসব দেশে তামাক ব্যবহারের ব্যাপকতা কমে যাওয়া এবং তামাকের কারণে মৃত্যুর সংখ্যায় আনুষঙ্গিক পরিবর্তন দেখতে প্রায় ৩০ বছর অপেক্ষা করতে হবে।’
ধূমপায়ীর সংখ্যা ক্রমাগত কমলেও ডব্লিউএইচও বলছে, ২০১০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে তামাক সেবন ৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হতে যাচ্ছে বিশ্ব। বিশ্বজুড়ে ৫৬টি দেশ এ লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে। ব্রাজিল এরই মধ্যে ২০১০ সাল থেকে তামাক সেবন ৩৫ শতাংশ কমিয়ে ফেলেছে।
এর উল্টো ঘটনাও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। ২০১০ সাল থেকে বিশ্বের ছয়টি দেশে তামাক সেবন ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। দেশগুলো হলো—কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, মলডোভা এবং ওমান। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়াতে তামাক সেবনকারী জনসংখ্যার সংখ্যা সর্বোচ্চ, যা প্রায় ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেলথ প্রমোশন বিভাগের পরিচালক রুইডিগার ক্রেচ বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রণে ভালো অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু এখনই তা উদ্যাপন করার সময় নয়। অসংখ্য প্রাণের বিনিময়ে মুনাফা লাভ করতে তামাক শিল্প যে এত নিচে নামবে তা দেখে আমি বিস্মিত!’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি যে মুহূর্তেই সরকার ভাবে যে তারা তামাকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিতেছে, তখনই তামাক শিল্প স্বাস্থ্য নীতিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে তাদের বিষাক্ত পণ্য বিক্রি করা শুরু করে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পরিসংখ্যান অনুসারে, বেশির ভাগ দেশেই ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সীরা ই–সিগারেটের মতো তামাক ও নিকোটিন সেবন করছে।
বিশ্বজুড়ে ক্রমাগত কমছে তামাক সেবনকারীর সংখ্যা। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ২০০০–২০৩০ পর্যন্ত তামাক সেবনের প্রবণতা বিষয়ক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সালের জরিপ বলছে, বিশ্বে প্রতি পাঁচজনে একজন তামাক সেবন করে। এর আগে ২০০০ সালে বিশ্বে প্রতি তিনজনে একজন তামাক সেবন করত।
কম তামাক সেবনের এ প্রবণতা ভেঙে ফেলতে বড় বড় তামাকজাত পণ্যের কোম্পানিগুলো কাজ করছে বলেও সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
২০০০ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে তামাক ব্যবহারের ব্যাপকতা নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে ১২৫ কোটি তামাক সেবনকারী রয়েছে। ১৫০টি দেশে ১৫ বা এর বেশি বয়সীদের মধ্যে তামাক ব্যবহার ধারাবাহিকভাবে কমছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, বিশ্বব্যাপী ১৫–২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে তামাক সেবনের গড় হার ২০০০ সালের ২০ শতাংশ থেকে কমে ২০২২–এ প্রায় ১৩ শতাংশ হয়েছে এবং ২০৩০ সালে ১২ শতাংশে নামবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০০০–২০২২ সালের পর্যবেক্ষিত সময়ের মধ্যে সব বয়স গ্রুপের পুরুষ এবং নারী উভয়ের মধ্যে তামাক সেবন ধারাবাহিকভাবে কমেছে। বয়স–নির্দিষ্ট হার পুরুষ এবং নারী উভয়ের ক্ষেত্রে ২০৩০–এ হ্রাসের প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৈশ্বিক পরিসংখ্যান দেখে বোঝা যায়, ২০২২ সালে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তির ২০ দশমিক ৯ শতাংশ কোনো না কোনো ধরনের তামাক সেবন করেছে। এই তামাক সেবনকারীদের মধ্যে ৮০ শতাংশই ধূমপায়ী। এর মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যে ধূমপান করেন ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। আবার তামাক ধূমপায়ীদের মধ্যে ৮৯ শতাংশ সিগারেট সেবন করে।
ডব্লিউএইচও বলছে, বেশির ভাগ দেশে ধূমপানের হার কমলেও আসন্ন বছরগুলোতে তামাক সম্পর্কিত মৃত্যুর হার বেশি থাকবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে তামাক ব্যবহারে প্রতি বছর ৮০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ১৩ লাখ অধূমপায়ীর মৃত্যু হয় বলে ডব্লিউএইচও–এর পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘যেসব দেশ তামাক নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছে, সেসব দেশে তামাক ব্যবহারের ব্যাপকতা কমে যাওয়া এবং তামাকের কারণে মৃত্যুর সংখ্যায় আনুষঙ্গিক পরিবর্তন দেখতে প্রায় ৩০ বছর অপেক্ষা করতে হবে।’
ধূমপায়ীর সংখ্যা ক্রমাগত কমলেও ডব্লিউএইচও বলছে, ২০১০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে তামাক সেবন ৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হতে যাচ্ছে বিশ্ব। বিশ্বজুড়ে ৫৬টি দেশ এ লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে। ব্রাজিল এরই মধ্যে ২০১০ সাল থেকে তামাক সেবন ৩৫ শতাংশ কমিয়ে ফেলেছে।
এর উল্টো ঘটনাও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। ২০১০ সাল থেকে বিশ্বের ছয়টি দেশে তামাক সেবন ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। দেশগুলো হলো—কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, মলডোভা এবং ওমান। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়াতে তামাক সেবনকারী জনসংখ্যার সংখ্যা সর্বোচ্চ, যা প্রায় ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেলথ প্রমোশন বিভাগের পরিচালক রুইডিগার ক্রেচ বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রণে ভালো অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু এখনই তা উদ্যাপন করার সময় নয়। অসংখ্য প্রাণের বিনিময়ে মুনাফা লাভ করতে তামাক শিল্প যে এত নিচে নামবে তা দেখে আমি বিস্মিত!’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি যে মুহূর্তেই সরকার ভাবে যে তারা তামাকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিতেছে, তখনই তামাক শিল্প স্বাস্থ্য নীতিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে তাদের বিষাক্ত পণ্য বিক্রি করা শুরু করে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পরিসংখ্যান অনুসারে, বেশির ভাগ দেশেই ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সীরা ই–সিগারেটের মতো তামাক ও নিকোটিন সেবন করছে।
দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে শুরুতেই কম বরাদ্দ এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে বিদ্যমান সাড়ে ১৪ হাজারের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ক্লিনিকের অবকাঠামোই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্যবহার-অনুপযোগী এ বিপুলসংখ্যক অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের..
১ দিন আগেতীব্র গরমে আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয় বা হিমায়িত মিষ্টান্ন খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা যত বাড়ছে, আমেরিকানেরা তত বেশি এসব মিষ্টি খাবারের দিকে ঝুঁকছেন—এমনটাই জানাচ্ছে নতুন গবেষণা। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করছেন, এর স্বাস্থ্যঝুঁকি মারাত্মক হতে পারে।
১ দিন আগেএখন জ্বরের মৌসুম চলছে; বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের বিভিন্ন ভাইরাস জ্বর হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হলো ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৭ আগস্ট পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ২৯ হাজার ৯৪৪ এবং মারা গেছে ১১৮ জন। চিকিৎসকেরা বলছেন, একটি এডিস
৪ দিন আগেহৃদ্রোগ, স্ট্রোক কিংবা ধমনি বন্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল; বিশেষ করে লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) বা খারাপ কোলেস্টেরল রক্তনালিতে জমে ধমনি শক্ত করে। অন্যদিকে হাই-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল) কিংবা ভালো কোলেস্টেরল শরীর থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সরিয়ে দেয়।
৪ দিন আগে