
বিশ্বজুড়ে ক্রমাগত কমছে তামাক সেবনকারীর সংখ্যা। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ২০০০–২০৩০ পর্যন্ত তামাক সেবনের প্রবণতা বিষয়ক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সালের জরিপ বলছে, বিশ্বে প্রতি পাঁচজনে একজন তামাক সেবন করে। এর আগে ২০০০ সালে বিশ্বে প্রতি তিনজনে একজন তামাক সেবন করত।
কম তামাক সেবনের এ প্রবণতা ভেঙে ফেলতে বড় বড় তামাকজাত পণ্যের কোম্পানিগুলো কাজ করছে বলেও সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
২০০০ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে তামাক ব্যবহারের ব্যাপকতা নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে ১২৫ কোটি তামাক সেবনকারী রয়েছে। ১৫০টি দেশে ১৫ বা এর বেশি বয়সীদের মধ্যে তামাক ব্যবহার ধারাবাহিকভাবে কমছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, বিশ্বব্যাপী ১৫–২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে তামাক সেবনের গড় হার ২০০০ সালের ২০ শতাংশ থেকে কমে ২০২২–এ প্রায় ১৩ শতাংশ হয়েছে এবং ২০৩০ সালে ১২ শতাংশে নামবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০০০–২০২২ সালের পর্যবেক্ষিত সময়ের মধ্যে সব বয়স গ্রুপের পুরুষ এবং নারী উভয়ের মধ্যে তামাক সেবন ধারাবাহিকভাবে কমেছে। বয়স–নির্দিষ্ট হার পুরুষ এবং নারী উভয়ের ক্ষেত্রে ২০৩০–এ হ্রাসের প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৈশ্বিক পরিসংখ্যান দেখে বোঝা যায়, ২০২২ সালে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তির ২০ দশমিক ৯ শতাংশ কোনো না কোনো ধরনের তামাক সেবন করেছে। এই তামাক সেবনকারীদের মধ্যে ৮০ শতাংশই ধূমপায়ী। এর মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যে ধূমপান করেন ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। আবার তামাক ধূমপায়ীদের মধ্যে ৮৯ শতাংশ সিগারেট সেবন করে।
ডব্লিউএইচও বলছে, বেশির ভাগ দেশে ধূমপানের হার কমলেও আসন্ন বছরগুলোতে তামাক সম্পর্কিত মৃত্যুর হার বেশি থাকবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে তামাক ব্যবহারে প্রতি বছর ৮০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ১৩ লাখ অধূমপায়ীর মৃত্যু হয় বলে ডব্লিউএইচও–এর পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘যেসব দেশ তামাক নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছে, সেসব দেশে তামাক ব্যবহারের ব্যাপকতা কমে যাওয়া এবং তামাকের কারণে মৃত্যুর সংখ্যায় আনুষঙ্গিক পরিবর্তন দেখতে প্রায় ৩০ বছর অপেক্ষা করতে হবে।’
ধূমপায়ীর সংখ্যা ক্রমাগত কমলেও ডব্লিউএইচও বলছে, ২০১০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে তামাক সেবন ৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হতে যাচ্ছে বিশ্ব। বিশ্বজুড়ে ৫৬টি দেশ এ লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে। ব্রাজিল এরই মধ্যে ২০১০ সাল থেকে তামাক সেবন ৩৫ শতাংশ কমিয়ে ফেলেছে।
এর উল্টো ঘটনাও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। ২০১০ সাল থেকে বিশ্বের ছয়টি দেশে তামাক সেবন ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। দেশগুলো হলো—কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, মলডোভা এবং ওমান। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়াতে তামাক সেবনকারী জনসংখ্যার সংখ্যা সর্বোচ্চ, যা প্রায় ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেলথ প্রমোশন বিভাগের পরিচালক রুইডিগার ক্রেচ বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রণে ভালো অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু এখনই তা উদ্যাপন করার সময় নয়। অসংখ্য প্রাণের বিনিময়ে মুনাফা লাভ করতে তামাক শিল্প যে এত নিচে নামবে তা দেখে আমি বিস্মিত!’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি যে মুহূর্তেই সরকার ভাবে যে তারা তামাকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিতেছে, তখনই তামাক শিল্প স্বাস্থ্য নীতিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে তাদের বিষাক্ত পণ্য বিক্রি করা শুরু করে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পরিসংখ্যান অনুসারে, বেশির ভাগ দেশেই ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সীরা ই–সিগারেটের মতো তামাক ও নিকোটিন সেবন করছে।

বিশ্বজুড়ে ক্রমাগত কমছে তামাক সেবনকারীর সংখ্যা। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ২০০০–২০৩০ পর্যন্ত তামাক সেবনের প্রবণতা বিষয়ক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সালের জরিপ বলছে, বিশ্বে প্রতি পাঁচজনে একজন তামাক সেবন করে। এর আগে ২০০০ সালে বিশ্বে প্রতি তিনজনে একজন তামাক সেবন করত।
কম তামাক সেবনের এ প্রবণতা ভেঙে ফেলতে বড় বড় তামাকজাত পণ্যের কোম্পানিগুলো কাজ করছে বলেও সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
২০০০ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে তামাক ব্যবহারের ব্যাপকতা নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে ১২৫ কোটি তামাক সেবনকারী রয়েছে। ১৫০টি দেশে ১৫ বা এর বেশি বয়সীদের মধ্যে তামাক ব্যবহার ধারাবাহিকভাবে কমছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, বিশ্বব্যাপী ১৫–২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে তামাক সেবনের গড় হার ২০০০ সালের ২০ শতাংশ থেকে কমে ২০২২–এ প্রায় ১৩ শতাংশ হয়েছে এবং ২০৩০ সালে ১২ শতাংশে নামবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০০০–২০২২ সালের পর্যবেক্ষিত সময়ের মধ্যে সব বয়স গ্রুপের পুরুষ এবং নারী উভয়ের মধ্যে তামাক সেবন ধারাবাহিকভাবে কমেছে। বয়স–নির্দিষ্ট হার পুরুষ এবং নারী উভয়ের ক্ষেত্রে ২০৩০–এ হ্রাসের প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৈশ্বিক পরিসংখ্যান দেখে বোঝা যায়, ২০২২ সালে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তির ২০ দশমিক ৯ শতাংশ কোনো না কোনো ধরনের তামাক সেবন করেছে। এই তামাক সেবনকারীদের মধ্যে ৮০ শতাংশই ধূমপায়ী। এর মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যে ধূমপান করেন ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। আবার তামাক ধূমপায়ীদের মধ্যে ৮৯ শতাংশ সিগারেট সেবন করে।
ডব্লিউএইচও বলছে, বেশির ভাগ দেশে ধূমপানের হার কমলেও আসন্ন বছরগুলোতে তামাক সম্পর্কিত মৃত্যুর হার বেশি থাকবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে তামাক ব্যবহারে প্রতি বছর ৮০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ১৩ লাখ অধূমপায়ীর মৃত্যু হয় বলে ডব্লিউএইচও–এর পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘যেসব দেশ তামাক নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছে, সেসব দেশে তামাক ব্যবহারের ব্যাপকতা কমে যাওয়া এবং তামাকের কারণে মৃত্যুর সংখ্যায় আনুষঙ্গিক পরিবর্তন দেখতে প্রায় ৩০ বছর অপেক্ষা করতে হবে।’
ধূমপায়ীর সংখ্যা ক্রমাগত কমলেও ডব্লিউএইচও বলছে, ২০১০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে তামাক সেবন ৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হতে যাচ্ছে বিশ্ব। বিশ্বজুড়ে ৫৬টি দেশ এ লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে। ব্রাজিল এরই মধ্যে ২০১০ সাল থেকে তামাক সেবন ৩৫ শতাংশ কমিয়ে ফেলেছে।
এর উল্টো ঘটনাও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। ২০১০ সাল থেকে বিশ্বের ছয়টি দেশে তামাক সেবন ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। দেশগুলো হলো—কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, মলডোভা এবং ওমান। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়াতে তামাক সেবনকারী জনসংখ্যার সংখ্যা সর্বোচ্চ, যা প্রায় ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেলথ প্রমোশন বিভাগের পরিচালক রুইডিগার ক্রেচ বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রণে ভালো অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু এখনই তা উদ্যাপন করার সময় নয়। অসংখ্য প্রাণের বিনিময়ে মুনাফা লাভ করতে তামাক শিল্প যে এত নিচে নামবে তা দেখে আমি বিস্মিত!’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি যে মুহূর্তেই সরকার ভাবে যে তারা তামাকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিতেছে, তখনই তামাক শিল্প স্বাস্থ্য নীতিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে তাদের বিষাক্ত পণ্য বিক্রি করা শুরু করে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পরিসংখ্যান অনুসারে, বেশির ভাগ দেশেই ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সীরা ই–সিগারেটের মতো তামাক ও নিকোটিন সেবন করছে।

বিশ্বজুড়ে ক্রমাগত কমছে তামাক সেবনকারীর সংখ্যা। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ২০০০–২০৩০ পর্যন্ত তামাক সেবনের প্রবণতা বিষয়ক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সালের জরিপ বলছে, বিশ্বে প্রতি পাঁচজনে একজন তামাক সেবন করে। এর আগে ২০০০ সালে বিশ্বে প্রতি তিনজনে একজন তামাক সেবন করত।
কম তামাক সেবনের এ প্রবণতা ভেঙে ফেলতে বড় বড় তামাকজাত পণ্যের কোম্পানিগুলো কাজ করছে বলেও সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
২০০০ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে তামাক ব্যবহারের ব্যাপকতা নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে ১২৫ কোটি তামাক সেবনকারী রয়েছে। ১৫০টি দেশে ১৫ বা এর বেশি বয়সীদের মধ্যে তামাক ব্যবহার ধারাবাহিকভাবে কমছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, বিশ্বব্যাপী ১৫–২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে তামাক সেবনের গড় হার ২০০০ সালের ২০ শতাংশ থেকে কমে ২০২২–এ প্রায় ১৩ শতাংশ হয়েছে এবং ২০৩০ সালে ১২ শতাংশে নামবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০০০–২০২২ সালের পর্যবেক্ষিত সময়ের মধ্যে সব বয়স গ্রুপের পুরুষ এবং নারী উভয়ের মধ্যে তামাক সেবন ধারাবাহিকভাবে কমেছে। বয়স–নির্দিষ্ট হার পুরুষ এবং নারী উভয়ের ক্ষেত্রে ২০৩০–এ হ্রাসের প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৈশ্বিক পরিসংখ্যান দেখে বোঝা যায়, ২০২২ সালে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তির ২০ দশমিক ৯ শতাংশ কোনো না কোনো ধরনের তামাক সেবন করেছে। এই তামাক সেবনকারীদের মধ্যে ৮০ শতাংশই ধূমপায়ী। এর মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যে ধূমপান করেন ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। আবার তামাক ধূমপায়ীদের মধ্যে ৮৯ শতাংশ সিগারেট সেবন করে।
ডব্লিউএইচও বলছে, বেশির ভাগ দেশে ধূমপানের হার কমলেও আসন্ন বছরগুলোতে তামাক সম্পর্কিত মৃত্যুর হার বেশি থাকবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে তামাক ব্যবহারে প্রতি বছর ৮০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ১৩ লাখ অধূমপায়ীর মৃত্যু হয় বলে ডব্লিউএইচও–এর পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘যেসব দেশ তামাক নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছে, সেসব দেশে তামাক ব্যবহারের ব্যাপকতা কমে যাওয়া এবং তামাকের কারণে মৃত্যুর সংখ্যায় আনুষঙ্গিক পরিবর্তন দেখতে প্রায় ৩০ বছর অপেক্ষা করতে হবে।’
ধূমপায়ীর সংখ্যা ক্রমাগত কমলেও ডব্লিউএইচও বলছে, ২০১০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে তামাক সেবন ৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হতে যাচ্ছে বিশ্ব। বিশ্বজুড়ে ৫৬টি দেশ এ লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে। ব্রাজিল এরই মধ্যে ২০১০ সাল থেকে তামাক সেবন ৩৫ শতাংশ কমিয়ে ফেলেছে।
এর উল্টো ঘটনাও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। ২০১০ সাল থেকে বিশ্বের ছয়টি দেশে তামাক সেবন ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। দেশগুলো হলো—কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, মলডোভা এবং ওমান। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়াতে তামাক সেবনকারী জনসংখ্যার সংখ্যা সর্বোচ্চ, যা প্রায় ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেলথ প্রমোশন বিভাগের পরিচালক রুইডিগার ক্রেচ বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রণে ভালো অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু এখনই তা উদ্যাপন করার সময় নয়। অসংখ্য প্রাণের বিনিময়ে মুনাফা লাভ করতে তামাক শিল্প যে এত নিচে নামবে তা দেখে আমি বিস্মিত!’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি যে মুহূর্তেই সরকার ভাবে যে তারা তামাকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিতেছে, তখনই তামাক শিল্প স্বাস্থ্য নীতিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে তাদের বিষাক্ত পণ্য বিক্রি করা শুরু করে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পরিসংখ্যান অনুসারে, বেশির ভাগ দেশেই ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সীরা ই–সিগারেটের মতো তামাক ও নিকোটিন সেবন করছে।

বিশ্বজুড়ে ক্রমাগত কমছে তামাক সেবনকারীর সংখ্যা। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ২০০০–২০৩০ পর্যন্ত তামাক সেবনের প্রবণতা বিষয়ক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সালের জরিপ বলছে, বিশ্বে প্রতি পাঁচজনে একজন তামাক সেবন করে। এর আগে ২০০০ সালে বিশ্বে প্রতি তিনজনে একজন তামাক সেবন করত।
কম তামাক সেবনের এ প্রবণতা ভেঙে ফেলতে বড় বড় তামাকজাত পণ্যের কোম্পানিগুলো কাজ করছে বলেও সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
২০০০ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে তামাক ব্যবহারের ব্যাপকতা নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে ১২৫ কোটি তামাক সেবনকারী রয়েছে। ১৫০টি দেশে ১৫ বা এর বেশি বয়সীদের মধ্যে তামাক ব্যবহার ধারাবাহিকভাবে কমছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, বিশ্বব্যাপী ১৫–২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে তামাক সেবনের গড় হার ২০০০ সালের ২০ শতাংশ থেকে কমে ২০২২–এ প্রায় ১৩ শতাংশ হয়েছে এবং ২০৩০ সালে ১২ শতাংশে নামবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০০০–২০২২ সালের পর্যবেক্ষিত সময়ের মধ্যে সব বয়স গ্রুপের পুরুষ এবং নারী উভয়ের মধ্যে তামাক সেবন ধারাবাহিকভাবে কমেছে। বয়স–নির্দিষ্ট হার পুরুষ এবং নারী উভয়ের ক্ষেত্রে ২০৩০–এ হ্রাসের প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৈশ্বিক পরিসংখ্যান দেখে বোঝা যায়, ২০২২ সালে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তির ২০ দশমিক ৯ শতাংশ কোনো না কোনো ধরনের তামাক সেবন করেছে। এই তামাক সেবনকারীদের মধ্যে ৮০ শতাংশই ধূমপায়ী। এর মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যে ধূমপান করেন ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। আবার তামাক ধূমপায়ীদের মধ্যে ৮৯ শতাংশ সিগারেট সেবন করে।
ডব্লিউএইচও বলছে, বেশির ভাগ দেশে ধূমপানের হার কমলেও আসন্ন বছরগুলোতে তামাক সম্পর্কিত মৃত্যুর হার বেশি থাকবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে তামাক ব্যবহারে প্রতি বছর ৮০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ১৩ লাখ অধূমপায়ীর মৃত্যু হয় বলে ডব্লিউএইচও–এর পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘যেসব দেশ তামাক নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছে, সেসব দেশে তামাক ব্যবহারের ব্যাপকতা কমে যাওয়া এবং তামাকের কারণে মৃত্যুর সংখ্যায় আনুষঙ্গিক পরিবর্তন দেখতে প্রায় ৩০ বছর অপেক্ষা করতে হবে।’
ধূমপায়ীর সংখ্যা ক্রমাগত কমলেও ডব্লিউএইচও বলছে, ২০১০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে তামাক সেবন ৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হতে যাচ্ছে বিশ্ব। বিশ্বজুড়ে ৫৬টি দেশ এ লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে। ব্রাজিল এরই মধ্যে ২০১০ সাল থেকে তামাক সেবন ৩৫ শতাংশ কমিয়ে ফেলেছে।
এর উল্টো ঘটনাও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। ২০১০ সাল থেকে বিশ্বের ছয়টি দেশে তামাক সেবন ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। দেশগুলো হলো—কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, মলডোভা এবং ওমান। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়াতে তামাক সেবনকারী জনসংখ্যার সংখ্যা সর্বোচ্চ, যা প্রায় ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেলথ প্রমোশন বিভাগের পরিচালক রুইডিগার ক্রেচ বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রণে ভালো অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু এখনই তা উদ্যাপন করার সময় নয়। অসংখ্য প্রাণের বিনিময়ে মুনাফা লাভ করতে তামাক শিল্প যে এত নিচে নামবে তা দেখে আমি বিস্মিত!’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি যে মুহূর্তেই সরকার ভাবে যে তারা তামাকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিতেছে, তখনই তামাক শিল্প স্বাস্থ্য নীতিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে তাদের বিষাক্ত পণ্য বিক্রি করা শুরু করে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পরিসংখ্যান অনুসারে, বেশির ভাগ দেশেই ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সীরা ই–সিগারেটের মতো তামাক ও নিকোটিন সেবন করছে।

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
১ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৩ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
এ ছাড়া এক সপ্তাহে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে ১০ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৬ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬৯ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৩ জন।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৮১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
এ ছাড়া এক সপ্তাহে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে ১০ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৬ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬৯ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৩ জন।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৮১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে ক্রমাগত কমছে তামাক সেবনকারীর সংখ্যা। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ২০০০–২০৩০ পর্যন্ত তামাক সেবনের প্রবণতা বিষয়ক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সালের জরিপ বলছে, বিশ্বে প্রতি পাঁচজনে একজন তামাক সেবন করে। এর আগে ২০০০ সালে বিশ্বে প্রতি তিনজনে একজন তামাক সেবন করত
১৭ জানুয়ারি ২০২৪
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
১ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৩ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

বিশ্বজুড়ে ক্রমাগত কমছে তামাক সেবনকারীর সংখ্যা। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ২০০০–২০৩০ পর্যন্ত তামাক সেবনের প্রবণতা বিষয়ক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সালের জরিপ বলছে, বিশ্বে প্রতি পাঁচজনে একজন তামাক সেবন করে। এর আগে ২০০০ সালে বিশ্বে প্রতি তিনজনে একজন তামাক সেবন করত
১৭ জানুয়ারি ২০২৪
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
৭ ঘণ্টা আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৩ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৩ দিন আগেডা. পূজা সাহা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

বিশ্বজুড়ে ক্রমাগত কমছে তামাক সেবনকারীর সংখ্যা। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ২০০০–২০৩০ পর্যন্ত তামাক সেবনের প্রবণতা বিষয়ক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সালের জরিপ বলছে, বিশ্বে প্রতি পাঁচজনে একজন তামাক সেবন করে। এর আগে ২০০০ সালে বিশ্বে প্রতি তিনজনে একজন তামাক সেবন করত
১৭ জানুয়ারি ২০২৪
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
১ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৩ দিন আগেডা. মো. নূর আলম

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

বিশ্বজুড়ে ক্রমাগত কমছে তামাক সেবনকারীর সংখ্যা। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ২০০০–২০৩০ পর্যন্ত তামাক সেবনের প্রবণতা বিষয়ক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সালের জরিপ বলছে, বিশ্বে প্রতি পাঁচজনে একজন তামাক সেবন করে। এর আগে ২০০০ সালে বিশ্বে প্রতি তিনজনে একজন তামাক সেবন করত
১৭ জানুয়ারি ২০২৪
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
১ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৩ দিন আগে