Ajker Patrika

শিশুর জ্বর হলে

ডা. সৈয়দা নাফিসা ইসলাম
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২: ৪৬
শিশুর জ্বর হলে

শিশুর জ্বর হলে বা শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে চিন্তিত হবেন না। কিছু বিষয় জেনে রাখুন, তাতে শিশুর যত্ন নেওয়া সহজ হবে। যেকোনো ভাইরাস জ্বর তিন থেকে পাঁচ দিন টানা ১০২ থেকে ১০৩ ডিগ্রি থাকতে পারে। কমলেও তা ১০১ ডিগ্রির নিচে নাও নামতে পারে। তাই জ্বর শুরু হওয়ার পরেই ‘জ্বর কমছে না কেন’ এই চিন্তা করা যাবে না। সংক্রমণ না থাকলে ভাইরাস জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিক কোনো কাজে লাগে না। সংক্রমণের উৎস প্রকাশ পেতে অনেক সময় তিন থেকে পাঁচ দিন সময় লেগে যায়। 

জেনে রাখুন

  • জ্বর হলে সাধারণত শিশুরা খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দেবে। এর প্রাথমিক কোনো চিকিৎসা নেই। শিশুকে অল্প অল্প করে পানি বা তরলজাতীয় খাবার অথবা শিশু যা খেতে চায় তাই খাওয়ান। শিশুর প্রস্রাব ২৪ ঘণ্টায় যেন অন্তত চার থেকে পাঁচ বার হয় সেটি খেয়াল রাখতে হবে। মুখে একদমই খেতে না পারলে, প্রস্রাব কমে গেলে, বমি বন্ধ না হলে বা খিঁচুনি হলে শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
  • হালকা জ্বরে তাপমাত্রা ১০০ থেকে ১০২ ডিগ্রি হলে প্রথমে সারা শরীর পানি দিয়ে মুছে দিতে হবে। সঙ্গে মুখে খাওয়ার ওষুধ। একবার ওষুধ খাওয়ানোর পর পুনরায় মুখে ওষুধ খাওয়াতে অন্তত চার থেকে ছয় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। তবে পায়ুপথে সাপোজিটর দিতে হলে অন্তত চার ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।
  • জ্বর ১০২ ডিগ্রির ওপরে গেলে তাড়াতাড়ি কমানোর জন্য পায়ুপথে সাপোজিটর ব্যবহার করতে পারেন। এতে জ্বর সাময়িকভাবে ১০২ ডিগ্রির নিচে নামলেও পুরোপুরি প্রথম তিন দিনে সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
  • জ্বরের ওষুধ ডাবল ডোজে বা ঘন ঘন খাওয়ালে বা অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ালেই জ্বর ভালো হয়ে যাবে না। ভাইরাসের পরিমাণের ওপর কত দিন তা সক্রিয় থাকে এর ওপর জ্বরের স্থায়িত্ব নির্ভর করে।
  • ভেজা গামছা বা সুতি কাপড় দিয়ে শিশুর গা মুছে দিন ও ভালোভাবে ঘুমাতে দিন। ঘুমের মধ্যে জ্বর থাকলেও ঘুম ভাঙিয়ে ওষুধ খাওয়ানোর দরকার নেই।
  • ক্লিনিক্যাল থার্মোমিটারে শিশুর জ্বর ১০০ ডিগ্রি বা তার বেশি পেলেই জ্বরের ওষুধ খাওয়ান। না হলে নয়।
  • জ্বর হলে শিশুর একটু বমি হতে পারে। কিছু জ্বরের ওষুধ খেলেও শিশুর বমি হয়। এসব ক্ষেত্রে বমির ওষুধ দরকার নেই।
  • জ্বর সাত দিনের বেশি সময় ধরে হলে বা জ্বরের সঙ্গে শরীরে ব্যথা হলে বা শ্বাসকষ্ট বা অতিরিক্ত কাশি হলে শিশুকে বাড়িতে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। অন্য কোনো সমস্যা থাকলে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। 

লেখক: কনসালট্যান্ট, শিশু বিভাগ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল। চেম্বার: ডা. নাফিসা’স চাইল্ড কেয়ার শাহ মখদুম, আমানা হাসপাতাল, ঝাউতলী মোড়, লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল পুনর্বিন্যাস আনছে ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলে

‘বাবার অসুস্থতায় পরামর্শ নিতে’ চিকিৎসকের বাসায় নারী, দুজনকে পুলিশে দিল স্থানীয়রা

১৪৬ যাত্রী নিয়ে ব্যাংককের পথে এক ঘণ্টা উড়ে মিয়ানমার থেকে ফিরে এল বিমানের সেই ফ্লাইট

৬ বছর পর চীন সফরে যাচ্ছেন মোদি, আসবেন পুতিনও

রাশিয়ার তেল চীনও কেনে, তবে ট্রাম্পের শুল্ক শুধু ভারতের ওপর কেন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত