
আপনি যদি ইতিমধ্যেই নানা ধরনের ডায়েট নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকেন তবে খুব সম্ভবত কিটো ডায়েটেরও চেষ্টা করেছেন। এটি হলো এমন একটি খাদ্য প্রক্রিয়া—যার মাধ্যমে কম শর্করা এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করে মানুষ। এই খাবারে আমিষ থাকে মাঝারি মাত্রায়। খাদ্যের পরিমাণ কমিয়ে আনার এই ধরনটি স্বল্পমেয়াদে চিত্তাকর্ষক ফলাফল এনে দিতে পারে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এটি কি সত্যিই আপনার জন্য ভালো?
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে সম্প্রতি কয়েকজন বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হয়েছিল নিউজউইক। তাঁদের মধ্যে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির স্ট্যানফোর্ড প্রিভেনশন রিসার্চ সেন্টারের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এবং পুষ্টি অধ্যয়নের পরিচালক ক্রিস্টোফার গার্ডনার অন্যতম। তাঁর মতে, কিটো ডায়েটের লক্ষ্য হলো—কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার ওপর একটি চরম সীমা টেনে দেওয়া। এর ফলে শরীর তার জ্বালানি হিসেবে গ্লুকোজ ও চর্বির সংমিশ্রণের বদলে শুধুমাত্র চর্বি পোড়াতে থাকে। এই অবস্থাটিকে কিটোসিস হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু কিটো ডায়েট অনুশীলনে শর্করার ওপর চরম সীমা টানার বিষয়টি কেমন আসলে? গার্ডনার বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে শর্করার পরিমাণ ক্যালোরির মাত্র ৫ শতাংশ হওয়া উচিত।’ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ খাবার-দাবারে শর্করা থাকে ক্যালরির প্রায় ৫০ শতাংশ বা অর্ধেক।
এদিকে কিটো ডায়েট করতে গিয়ে অনেকেই শর্করার স্থানটুকু উচ্চ আমিষযুক্ত খাবার এবং মাংস দিয়ে পূরণ করতে চান। তবে বিষয়টিকে ভুল বলে মনে করেন গার্ডনার। তিনি জানান, গ্রহণ করা অতিরিক্ত আমিষ সংরক্ষণ করার কোনো জায়গা নেই শরীরে। তাই প্রাত্যহিক চাহিদা পূরণ হয়ে গেলে অতিরিক্ত আমিষ শর্করায় রূপান্তরিত হয়। অথচ কিটোসিসে থাকা ব্যক্তিরা এই শর্করাকেই এড়াতে চান।
গার্ডনার বলেন, ‘কিটোসিসে থাকার জন্য চর্বির ওপরই জোর দিতে হবে। একটি উপযুক্ত কিটোজেনিক ডায়েট প্রায় ৭৫ শতাংশ চর্বিযুক্ত। আমেরিকার সাধারণ খাবারে এই চর্বি থাকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত। অর্থাৎ কিটো ডায়েট করলে চর্বি গ্রহণ করতে হবে স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।’
তাহলে কিটোসিসে থাকার জন্য আমাদের খাদ্যতালিকায় আসলে কী কী থাকবে? এই প্রশ্নের জবাব দেন ডায়েটেশিয়ান এবং হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের নারী হাসপাতালের পুষ্টি ব্যবস্থাপক ন্যান্সি অলিভেরা। তাঁর মতে, খাবারগুলো হলো—মাখন, লার্ড, মুরগির চর্বি, উদ্ভিদের চর্বি (অলিভ, পাম, নারকেল তেল), অ্যাভোকাডো, নারকেল, নির্দিষ্ট বাদাম (ম্যাকাডামিয়া, আখরোট, বাদাম, পেকান), বীজ (সূর্যমুখী, কুমড়া, তিল, শিম), স্টার্চবিহীন সবজি (পাতাযুক্ত শাক, ফুলকপি বা ব্রোকলি, পেঁয়াজ, শসা, লেটুস), ৯০ শতাংশ বা তার বেশি ডার্ক চকলেট, প্লেইন কফি এবং চা।
ন্যান্সি বলেন, ‘গরুর মাংস, মুরগি, মাছ, শুয়োরের মাংস, বেকন, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মাংস, ডিম, নির্দিষ্ট বাদাম এবং বীজে প্রোটিন পরিমিত থাকে।’
কিটো ডায়েট করতে আগ্রহীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘রুটি, পাস্তা, ভাত, কোনো শস্য, ময়দা, বেশির ভাগ ফল, আলু, শীতকালীন স্কোয়াশ, ভুট্টা, মটর, মটরশুঁটি, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়ার অনুমতি নেই আপনার।’
এমন একটি ডায়েট প্ল্যান বাস্তবায়ন করা মোটেও সহজ বিষয় নয়। এর জন্য অনেক ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজন। তারপরও কি এর মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য সম্ভব?
এ বিষয়ে অ্যাকাডেমি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটিক্সের জাতীয় মুখপাত্র ও পুষ্টিবিদ ক্রিস্টেন স্মিথ বলেন, ‘কিটোজেনিক ডায়েট স্বল্প সময়ের মধ্যে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ভালো ফল দেখাতে পারে। ওজন কমানোর পাশাপাশি এই ডায়েটে ইনসুলিন সংবেদনশীলতায় স্বল্প মেয়াদে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে, ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং ট্রাইগ্লিসারাইড (শরীরের সাধারণ ধরনের চর্বি) হ্রাস করে। তাই কিছু লোক কিটো থেকে উপকৃত হতে পারে।’
ক্রিস্টোফার গার্ডনার বলেন, ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে থাকা বা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিটো ডায়েট রক্তের গ্লুকোজ এবং রক্তের ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে খুব সহায়ক হতে পারে।’
তবে এসব উপকারিতা বা সাফল্যকে স্বল্পমেয়াদি বলছেন বিশেষজ্ঞরা। গার্ডনার বলেন, ‘এটির সাফল্য দীর্ঘ মেয়াদে বজায় থাকে না।’ তিনি জানান, ২০১৯ সালের একটি বিশ্লেষণে ৬ এবং ১২ মাসের কিটো ডায়েটের প্রভাব কেমন জানার চেষ্টা হয়েছিল। সে সময় দেখা গেছে—৬ মাসের ডায়েটে বেশ কিছু সুবিধা দেখা গেলেও ১২ মাস শেষে সেগুলো উধাও হয়ে গেছে। এর জন্য অবশ্য দীর্ঘদিন ধরে কিটোর কঠোর অধ্যবসায় বজায় রাখতে না পারাকেই দায়ী করেছেন গার্ডনার।
তবে শুধু কঠোর অধ্যবসায়ই নয়, অনেক সময় কিটো ডায়েট আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে। এই বিবেচনায় গার্ডনার কিটো ডায়েটকে সমর্থন করেন না। তিনি বলেন, ‘এটি একটি উচ্চ স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কম আঁষযুক্ত খাদ্য। এটি ধারাবাহিকভাবে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বাড়ায়।
স্মিথ জানান, কিটো ডায়েটের ফলে অন্ত্রের ভেতরে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া বা মাইক্রোবায়োমগুলো ক্ষুধার্ত হওয়ার পাশাপাশি, পর্যাপ্ত আঁষযুক্ত খাবার না খাওয়া অন্যান্য অস্বস্তিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। কিটো ডায়েটে থাকা ব্যক্তিদের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ অভিযোগ। তবে এটি শুরুর দিকে থাকলেও পরে কেটে যেতে পারে।
ন্যান্সি অলিভেরা বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে কিটো ডায়েট কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়াতে পারে।’ তিনি জানান, কিটো ডায়েটে আঁষ কম থাকার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ভিটামিন এবং খনিজগুলোর অভাব সৃষ্টি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কেউ চাইলে মাল্টিভিটামিন আলাদা গ্রহণ করতে পারেন। তবে ফাইবার না থাকলে তার অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমগুলো খাবার পাবে না। এর ফলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী অসংখ্য রাসায়নিক মিস করতে হবে।
আবার এমনও কিছু মানুষ রয়েছেন, যাদের জন্য কিটো ডায়েট একেবারেই উপযুক্ত নয়। এদের মধ্যে গর্ভবতী নারী, মাত্রাতিরিক্ত খাবার খেয়ে অভ্যস্ত ব্যক্তি এবং হৃদ্রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা অন্যতম।

আপনি যদি ইতিমধ্যেই নানা ধরনের ডায়েট নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকেন তবে খুব সম্ভবত কিটো ডায়েটেরও চেষ্টা করেছেন। এটি হলো এমন একটি খাদ্য প্রক্রিয়া—যার মাধ্যমে কম শর্করা এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করে মানুষ। এই খাবারে আমিষ থাকে মাঝারি মাত্রায়। খাদ্যের পরিমাণ কমিয়ে আনার এই ধরনটি স্বল্পমেয়াদে চিত্তাকর্ষক ফলাফল এনে দিতে পারে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এটি কি সত্যিই আপনার জন্য ভালো?
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে সম্প্রতি কয়েকজন বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হয়েছিল নিউজউইক। তাঁদের মধ্যে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির স্ট্যানফোর্ড প্রিভেনশন রিসার্চ সেন্টারের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এবং পুষ্টি অধ্যয়নের পরিচালক ক্রিস্টোফার গার্ডনার অন্যতম। তাঁর মতে, কিটো ডায়েটের লক্ষ্য হলো—কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার ওপর একটি চরম সীমা টেনে দেওয়া। এর ফলে শরীর তার জ্বালানি হিসেবে গ্লুকোজ ও চর্বির সংমিশ্রণের বদলে শুধুমাত্র চর্বি পোড়াতে থাকে। এই অবস্থাটিকে কিটোসিস হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু কিটো ডায়েট অনুশীলনে শর্করার ওপর চরম সীমা টানার বিষয়টি কেমন আসলে? গার্ডনার বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে শর্করার পরিমাণ ক্যালোরির মাত্র ৫ শতাংশ হওয়া উচিত।’ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ খাবার-দাবারে শর্করা থাকে ক্যালরির প্রায় ৫০ শতাংশ বা অর্ধেক।
এদিকে কিটো ডায়েট করতে গিয়ে অনেকেই শর্করার স্থানটুকু উচ্চ আমিষযুক্ত খাবার এবং মাংস দিয়ে পূরণ করতে চান। তবে বিষয়টিকে ভুল বলে মনে করেন গার্ডনার। তিনি জানান, গ্রহণ করা অতিরিক্ত আমিষ সংরক্ষণ করার কোনো জায়গা নেই শরীরে। তাই প্রাত্যহিক চাহিদা পূরণ হয়ে গেলে অতিরিক্ত আমিষ শর্করায় রূপান্তরিত হয়। অথচ কিটোসিসে থাকা ব্যক্তিরা এই শর্করাকেই এড়াতে চান।
গার্ডনার বলেন, ‘কিটোসিসে থাকার জন্য চর্বির ওপরই জোর দিতে হবে। একটি উপযুক্ত কিটোজেনিক ডায়েট প্রায় ৭৫ শতাংশ চর্বিযুক্ত। আমেরিকার সাধারণ খাবারে এই চর্বি থাকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত। অর্থাৎ কিটো ডায়েট করলে চর্বি গ্রহণ করতে হবে স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।’
তাহলে কিটোসিসে থাকার জন্য আমাদের খাদ্যতালিকায় আসলে কী কী থাকবে? এই প্রশ্নের জবাব দেন ডায়েটেশিয়ান এবং হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের নারী হাসপাতালের পুষ্টি ব্যবস্থাপক ন্যান্সি অলিভেরা। তাঁর মতে, খাবারগুলো হলো—মাখন, লার্ড, মুরগির চর্বি, উদ্ভিদের চর্বি (অলিভ, পাম, নারকেল তেল), অ্যাভোকাডো, নারকেল, নির্দিষ্ট বাদাম (ম্যাকাডামিয়া, আখরোট, বাদাম, পেকান), বীজ (সূর্যমুখী, কুমড়া, তিল, শিম), স্টার্চবিহীন সবজি (পাতাযুক্ত শাক, ফুলকপি বা ব্রোকলি, পেঁয়াজ, শসা, লেটুস), ৯০ শতাংশ বা তার বেশি ডার্ক চকলেট, প্লেইন কফি এবং চা।
ন্যান্সি বলেন, ‘গরুর মাংস, মুরগি, মাছ, শুয়োরের মাংস, বেকন, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মাংস, ডিম, নির্দিষ্ট বাদাম এবং বীজে প্রোটিন পরিমিত থাকে।’
কিটো ডায়েট করতে আগ্রহীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘রুটি, পাস্তা, ভাত, কোনো শস্য, ময়দা, বেশির ভাগ ফল, আলু, শীতকালীন স্কোয়াশ, ভুট্টা, মটর, মটরশুঁটি, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়ার অনুমতি নেই আপনার।’
এমন একটি ডায়েট প্ল্যান বাস্তবায়ন করা মোটেও সহজ বিষয় নয়। এর জন্য অনেক ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজন। তারপরও কি এর মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য সম্ভব?
এ বিষয়ে অ্যাকাডেমি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটিক্সের জাতীয় মুখপাত্র ও পুষ্টিবিদ ক্রিস্টেন স্মিথ বলেন, ‘কিটোজেনিক ডায়েট স্বল্প সময়ের মধ্যে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ভালো ফল দেখাতে পারে। ওজন কমানোর পাশাপাশি এই ডায়েটে ইনসুলিন সংবেদনশীলতায় স্বল্প মেয়াদে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে, ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং ট্রাইগ্লিসারাইড (শরীরের সাধারণ ধরনের চর্বি) হ্রাস করে। তাই কিছু লোক কিটো থেকে উপকৃত হতে পারে।’
ক্রিস্টোফার গার্ডনার বলেন, ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে থাকা বা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিটো ডায়েট রক্তের গ্লুকোজ এবং রক্তের ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে খুব সহায়ক হতে পারে।’
তবে এসব উপকারিতা বা সাফল্যকে স্বল্পমেয়াদি বলছেন বিশেষজ্ঞরা। গার্ডনার বলেন, ‘এটির সাফল্য দীর্ঘ মেয়াদে বজায় থাকে না।’ তিনি জানান, ২০১৯ সালের একটি বিশ্লেষণে ৬ এবং ১২ মাসের কিটো ডায়েটের প্রভাব কেমন জানার চেষ্টা হয়েছিল। সে সময় দেখা গেছে—৬ মাসের ডায়েটে বেশ কিছু সুবিধা দেখা গেলেও ১২ মাস শেষে সেগুলো উধাও হয়ে গেছে। এর জন্য অবশ্য দীর্ঘদিন ধরে কিটোর কঠোর অধ্যবসায় বজায় রাখতে না পারাকেই দায়ী করেছেন গার্ডনার।
তবে শুধু কঠোর অধ্যবসায়ই নয়, অনেক সময় কিটো ডায়েট আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে। এই বিবেচনায় গার্ডনার কিটো ডায়েটকে সমর্থন করেন না। তিনি বলেন, ‘এটি একটি উচ্চ স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কম আঁষযুক্ত খাদ্য। এটি ধারাবাহিকভাবে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বাড়ায়।
স্মিথ জানান, কিটো ডায়েটের ফলে অন্ত্রের ভেতরে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া বা মাইক্রোবায়োমগুলো ক্ষুধার্ত হওয়ার পাশাপাশি, পর্যাপ্ত আঁষযুক্ত খাবার না খাওয়া অন্যান্য অস্বস্তিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। কিটো ডায়েটে থাকা ব্যক্তিদের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ অভিযোগ। তবে এটি শুরুর দিকে থাকলেও পরে কেটে যেতে পারে।
ন্যান্সি অলিভেরা বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে কিটো ডায়েট কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়াতে পারে।’ তিনি জানান, কিটো ডায়েটে আঁষ কম থাকার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ভিটামিন এবং খনিজগুলোর অভাব সৃষ্টি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কেউ চাইলে মাল্টিভিটামিন আলাদা গ্রহণ করতে পারেন। তবে ফাইবার না থাকলে তার অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমগুলো খাবার পাবে না। এর ফলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী অসংখ্য রাসায়নিক মিস করতে হবে।
আবার এমনও কিছু মানুষ রয়েছেন, যাদের জন্য কিটো ডায়েট একেবারেই উপযুক্ত নয়। এদের মধ্যে গর্ভবতী নারী, মাত্রাতিরিক্ত খাবার খেয়ে অভ্যস্ত ব্যক্তি এবং হৃদ্রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা অন্যতম।

আপনি যদি ইতিমধ্যেই নানা ধরনের ডায়েট নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকেন তবে খুব সম্ভবত কিটো ডায়েটেরও চেষ্টা করেছেন। এটি হলো এমন একটি খাদ্য প্রক্রিয়া—যার মাধ্যমে কম শর্করা এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করে মানুষ। এই খাবারে আমিষ থাকে মাঝারি মাত্রায়। খাদ্যের পরিমাণ কমিয়ে আনার এই ধরনটি স্বল্পমেয়াদে চিত্তাকর্ষক ফলাফল এনে দিতে পারে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এটি কি সত্যিই আপনার জন্য ভালো?
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে সম্প্রতি কয়েকজন বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হয়েছিল নিউজউইক। তাঁদের মধ্যে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির স্ট্যানফোর্ড প্রিভেনশন রিসার্চ সেন্টারের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এবং পুষ্টি অধ্যয়নের পরিচালক ক্রিস্টোফার গার্ডনার অন্যতম। তাঁর মতে, কিটো ডায়েটের লক্ষ্য হলো—কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার ওপর একটি চরম সীমা টেনে দেওয়া। এর ফলে শরীর তার জ্বালানি হিসেবে গ্লুকোজ ও চর্বির সংমিশ্রণের বদলে শুধুমাত্র চর্বি পোড়াতে থাকে। এই অবস্থাটিকে কিটোসিস হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু কিটো ডায়েট অনুশীলনে শর্করার ওপর চরম সীমা টানার বিষয়টি কেমন আসলে? গার্ডনার বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে শর্করার পরিমাণ ক্যালোরির মাত্র ৫ শতাংশ হওয়া উচিত।’ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ খাবার-দাবারে শর্করা থাকে ক্যালরির প্রায় ৫০ শতাংশ বা অর্ধেক।
এদিকে কিটো ডায়েট করতে গিয়ে অনেকেই শর্করার স্থানটুকু উচ্চ আমিষযুক্ত খাবার এবং মাংস দিয়ে পূরণ করতে চান। তবে বিষয়টিকে ভুল বলে মনে করেন গার্ডনার। তিনি জানান, গ্রহণ করা অতিরিক্ত আমিষ সংরক্ষণ করার কোনো জায়গা নেই শরীরে। তাই প্রাত্যহিক চাহিদা পূরণ হয়ে গেলে অতিরিক্ত আমিষ শর্করায় রূপান্তরিত হয়। অথচ কিটোসিসে থাকা ব্যক্তিরা এই শর্করাকেই এড়াতে চান।
গার্ডনার বলেন, ‘কিটোসিসে থাকার জন্য চর্বির ওপরই জোর দিতে হবে। একটি উপযুক্ত কিটোজেনিক ডায়েট প্রায় ৭৫ শতাংশ চর্বিযুক্ত। আমেরিকার সাধারণ খাবারে এই চর্বি থাকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত। অর্থাৎ কিটো ডায়েট করলে চর্বি গ্রহণ করতে হবে স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।’
তাহলে কিটোসিসে থাকার জন্য আমাদের খাদ্যতালিকায় আসলে কী কী থাকবে? এই প্রশ্নের জবাব দেন ডায়েটেশিয়ান এবং হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের নারী হাসপাতালের পুষ্টি ব্যবস্থাপক ন্যান্সি অলিভেরা। তাঁর মতে, খাবারগুলো হলো—মাখন, লার্ড, মুরগির চর্বি, উদ্ভিদের চর্বি (অলিভ, পাম, নারকেল তেল), অ্যাভোকাডো, নারকেল, নির্দিষ্ট বাদাম (ম্যাকাডামিয়া, আখরোট, বাদাম, পেকান), বীজ (সূর্যমুখী, কুমড়া, তিল, শিম), স্টার্চবিহীন সবজি (পাতাযুক্ত শাক, ফুলকপি বা ব্রোকলি, পেঁয়াজ, শসা, লেটুস), ৯০ শতাংশ বা তার বেশি ডার্ক চকলেট, প্লেইন কফি এবং চা।
ন্যান্সি বলেন, ‘গরুর মাংস, মুরগি, মাছ, শুয়োরের মাংস, বেকন, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মাংস, ডিম, নির্দিষ্ট বাদাম এবং বীজে প্রোটিন পরিমিত থাকে।’
কিটো ডায়েট করতে আগ্রহীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘রুটি, পাস্তা, ভাত, কোনো শস্য, ময়দা, বেশির ভাগ ফল, আলু, শীতকালীন স্কোয়াশ, ভুট্টা, মটর, মটরশুঁটি, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়ার অনুমতি নেই আপনার।’
এমন একটি ডায়েট প্ল্যান বাস্তবায়ন করা মোটেও সহজ বিষয় নয়। এর জন্য অনেক ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজন। তারপরও কি এর মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য সম্ভব?
এ বিষয়ে অ্যাকাডেমি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটিক্সের জাতীয় মুখপাত্র ও পুষ্টিবিদ ক্রিস্টেন স্মিথ বলেন, ‘কিটোজেনিক ডায়েট স্বল্প সময়ের মধ্যে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ভালো ফল দেখাতে পারে। ওজন কমানোর পাশাপাশি এই ডায়েটে ইনসুলিন সংবেদনশীলতায় স্বল্প মেয়াদে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে, ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং ট্রাইগ্লিসারাইড (শরীরের সাধারণ ধরনের চর্বি) হ্রাস করে। তাই কিছু লোক কিটো থেকে উপকৃত হতে পারে।’
ক্রিস্টোফার গার্ডনার বলেন, ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে থাকা বা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিটো ডায়েট রক্তের গ্লুকোজ এবং রক্তের ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে খুব সহায়ক হতে পারে।’
তবে এসব উপকারিতা বা সাফল্যকে স্বল্পমেয়াদি বলছেন বিশেষজ্ঞরা। গার্ডনার বলেন, ‘এটির সাফল্য দীর্ঘ মেয়াদে বজায় থাকে না।’ তিনি জানান, ২০১৯ সালের একটি বিশ্লেষণে ৬ এবং ১২ মাসের কিটো ডায়েটের প্রভাব কেমন জানার চেষ্টা হয়েছিল। সে সময় দেখা গেছে—৬ মাসের ডায়েটে বেশ কিছু সুবিধা দেখা গেলেও ১২ মাস শেষে সেগুলো উধাও হয়ে গেছে। এর জন্য অবশ্য দীর্ঘদিন ধরে কিটোর কঠোর অধ্যবসায় বজায় রাখতে না পারাকেই দায়ী করেছেন গার্ডনার।
তবে শুধু কঠোর অধ্যবসায়ই নয়, অনেক সময় কিটো ডায়েট আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে। এই বিবেচনায় গার্ডনার কিটো ডায়েটকে সমর্থন করেন না। তিনি বলেন, ‘এটি একটি উচ্চ স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কম আঁষযুক্ত খাদ্য। এটি ধারাবাহিকভাবে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বাড়ায়।
স্মিথ জানান, কিটো ডায়েটের ফলে অন্ত্রের ভেতরে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া বা মাইক্রোবায়োমগুলো ক্ষুধার্ত হওয়ার পাশাপাশি, পর্যাপ্ত আঁষযুক্ত খাবার না খাওয়া অন্যান্য অস্বস্তিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। কিটো ডায়েটে থাকা ব্যক্তিদের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ অভিযোগ। তবে এটি শুরুর দিকে থাকলেও পরে কেটে যেতে পারে।
ন্যান্সি অলিভেরা বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে কিটো ডায়েট কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়াতে পারে।’ তিনি জানান, কিটো ডায়েটে আঁষ কম থাকার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ভিটামিন এবং খনিজগুলোর অভাব সৃষ্টি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কেউ চাইলে মাল্টিভিটামিন আলাদা গ্রহণ করতে পারেন। তবে ফাইবার না থাকলে তার অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমগুলো খাবার পাবে না। এর ফলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী অসংখ্য রাসায়নিক মিস করতে হবে।
আবার এমনও কিছু মানুষ রয়েছেন, যাদের জন্য কিটো ডায়েট একেবারেই উপযুক্ত নয়। এদের মধ্যে গর্ভবতী নারী, মাত্রাতিরিক্ত খাবার খেয়ে অভ্যস্ত ব্যক্তি এবং হৃদ্রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা অন্যতম।

আপনি যদি ইতিমধ্যেই নানা ধরনের ডায়েট নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকেন তবে খুব সম্ভবত কিটো ডায়েটেরও চেষ্টা করেছেন। এটি হলো এমন একটি খাদ্য প্রক্রিয়া—যার মাধ্যমে কম শর্করা এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করে মানুষ। এই খাবারে আমিষ থাকে মাঝারি মাত্রায়। খাদ্যের পরিমাণ কমিয়ে আনার এই ধরনটি স্বল্পমেয়াদে চিত্তাকর্ষক ফলাফল এনে দিতে পারে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এটি কি সত্যিই আপনার জন্য ভালো?
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে সম্প্রতি কয়েকজন বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হয়েছিল নিউজউইক। তাঁদের মধ্যে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির স্ট্যানফোর্ড প্রিভেনশন রিসার্চ সেন্টারের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এবং পুষ্টি অধ্যয়নের পরিচালক ক্রিস্টোফার গার্ডনার অন্যতম। তাঁর মতে, কিটো ডায়েটের লক্ষ্য হলো—কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার ওপর একটি চরম সীমা টেনে দেওয়া। এর ফলে শরীর তার জ্বালানি হিসেবে গ্লুকোজ ও চর্বির সংমিশ্রণের বদলে শুধুমাত্র চর্বি পোড়াতে থাকে। এই অবস্থাটিকে কিটোসিস হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু কিটো ডায়েট অনুশীলনে শর্করার ওপর চরম সীমা টানার বিষয়টি কেমন আসলে? গার্ডনার বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে শর্করার পরিমাণ ক্যালোরির মাত্র ৫ শতাংশ হওয়া উচিত।’ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ খাবার-দাবারে শর্করা থাকে ক্যালরির প্রায় ৫০ শতাংশ বা অর্ধেক।
এদিকে কিটো ডায়েট করতে গিয়ে অনেকেই শর্করার স্থানটুকু উচ্চ আমিষযুক্ত খাবার এবং মাংস দিয়ে পূরণ করতে চান। তবে বিষয়টিকে ভুল বলে মনে করেন গার্ডনার। তিনি জানান, গ্রহণ করা অতিরিক্ত আমিষ সংরক্ষণ করার কোনো জায়গা নেই শরীরে। তাই প্রাত্যহিক চাহিদা পূরণ হয়ে গেলে অতিরিক্ত আমিষ শর্করায় রূপান্তরিত হয়। অথচ কিটোসিসে থাকা ব্যক্তিরা এই শর্করাকেই এড়াতে চান।
গার্ডনার বলেন, ‘কিটোসিসে থাকার জন্য চর্বির ওপরই জোর দিতে হবে। একটি উপযুক্ত কিটোজেনিক ডায়েট প্রায় ৭৫ শতাংশ চর্বিযুক্ত। আমেরিকার সাধারণ খাবারে এই চর্বি থাকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত। অর্থাৎ কিটো ডায়েট করলে চর্বি গ্রহণ করতে হবে স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।’
তাহলে কিটোসিসে থাকার জন্য আমাদের খাদ্যতালিকায় আসলে কী কী থাকবে? এই প্রশ্নের জবাব দেন ডায়েটেশিয়ান এবং হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের নারী হাসপাতালের পুষ্টি ব্যবস্থাপক ন্যান্সি অলিভেরা। তাঁর মতে, খাবারগুলো হলো—মাখন, লার্ড, মুরগির চর্বি, উদ্ভিদের চর্বি (অলিভ, পাম, নারকেল তেল), অ্যাভোকাডো, নারকেল, নির্দিষ্ট বাদাম (ম্যাকাডামিয়া, আখরোট, বাদাম, পেকান), বীজ (সূর্যমুখী, কুমড়া, তিল, শিম), স্টার্চবিহীন সবজি (পাতাযুক্ত শাক, ফুলকপি বা ব্রোকলি, পেঁয়াজ, শসা, লেটুস), ৯০ শতাংশ বা তার বেশি ডার্ক চকলেট, প্লেইন কফি এবং চা।
ন্যান্সি বলেন, ‘গরুর মাংস, মুরগি, মাছ, শুয়োরের মাংস, বেকন, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মাংস, ডিম, নির্দিষ্ট বাদাম এবং বীজে প্রোটিন পরিমিত থাকে।’
কিটো ডায়েট করতে আগ্রহীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘রুটি, পাস্তা, ভাত, কোনো শস্য, ময়দা, বেশির ভাগ ফল, আলু, শীতকালীন স্কোয়াশ, ভুট্টা, মটর, মটরশুঁটি, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়ার অনুমতি নেই আপনার।’
এমন একটি ডায়েট প্ল্যান বাস্তবায়ন করা মোটেও সহজ বিষয় নয়। এর জন্য অনেক ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজন। তারপরও কি এর মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য সম্ভব?
এ বিষয়ে অ্যাকাডেমি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটিক্সের জাতীয় মুখপাত্র ও পুষ্টিবিদ ক্রিস্টেন স্মিথ বলেন, ‘কিটোজেনিক ডায়েট স্বল্প সময়ের মধ্যে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ভালো ফল দেখাতে পারে। ওজন কমানোর পাশাপাশি এই ডায়েটে ইনসুলিন সংবেদনশীলতায় স্বল্প মেয়াদে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে, ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং ট্রাইগ্লিসারাইড (শরীরের সাধারণ ধরনের চর্বি) হ্রাস করে। তাই কিছু লোক কিটো থেকে উপকৃত হতে পারে।’
ক্রিস্টোফার গার্ডনার বলেন, ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে থাকা বা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিটো ডায়েট রক্তের গ্লুকোজ এবং রক্তের ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে খুব সহায়ক হতে পারে।’
তবে এসব উপকারিতা বা সাফল্যকে স্বল্পমেয়াদি বলছেন বিশেষজ্ঞরা। গার্ডনার বলেন, ‘এটির সাফল্য দীর্ঘ মেয়াদে বজায় থাকে না।’ তিনি জানান, ২০১৯ সালের একটি বিশ্লেষণে ৬ এবং ১২ মাসের কিটো ডায়েটের প্রভাব কেমন জানার চেষ্টা হয়েছিল। সে সময় দেখা গেছে—৬ মাসের ডায়েটে বেশ কিছু সুবিধা দেখা গেলেও ১২ মাস শেষে সেগুলো উধাও হয়ে গেছে। এর জন্য অবশ্য দীর্ঘদিন ধরে কিটোর কঠোর অধ্যবসায় বজায় রাখতে না পারাকেই দায়ী করেছেন গার্ডনার।
তবে শুধু কঠোর অধ্যবসায়ই নয়, অনেক সময় কিটো ডায়েট আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে। এই বিবেচনায় গার্ডনার কিটো ডায়েটকে সমর্থন করেন না। তিনি বলেন, ‘এটি একটি উচ্চ স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কম আঁষযুক্ত খাদ্য। এটি ধারাবাহিকভাবে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বাড়ায়।
স্মিথ জানান, কিটো ডায়েটের ফলে অন্ত্রের ভেতরে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া বা মাইক্রোবায়োমগুলো ক্ষুধার্ত হওয়ার পাশাপাশি, পর্যাপ্ত আঁষযুক্ত খাবার না খাওয়া অন্যান্য অস্বস্তিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। কিটো ডায়েটে থাকা ব্যক্তিদের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ অভিযোগ। তবে এটি শুরুর দিকে থাকলেও পরে কেটে যেতে পারে।
ন্যান্সি অলিভেরা বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে কিটো ডায়েট কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়াতে পারে।’ তিনি জানান, কিটো ডায়েটে আঁষ কম থাকার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ভিটামিন এবং খনিজগুলোর অভাব সৃষ্টি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কেউ চাইলে মাল্টিভিটামিন আলাদা গ্রহণ করতে পারেন। তবে ফাইবার না থাকলে তার অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমগুলো খাবার পাবে না। এর ফলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী অসংখ্য রাসায়নিক মিস করতে হবে।
আবার এমনও কিছু মানুষ রয়েছেন, যাদের জন্য কিটো ডায়েট একেবারেই উপযুক্ত নয়। এদের মধ্যে গর্ভবতী নারী, মাত্রাতিরিক্ত খাবার খেয়ে অভ্যস্ত ব্যক্তি এবং হৃদ্রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা অন্যতম।

যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
২০ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
২ দিন আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৩ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘ সময় হাঁটার অভ্যাস শুধু মন ভালো রাখে না, বরং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণা এমনটাই জানিয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ ও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
গবেষণার প্রধান লেখক স্পেনের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব মাদ্রিদের সহযোগী অধ্যাপক ড. বোরখা দেল পোজো ক্রুজ বলেন, ‘আমরা সাধারণত দৈনিক পদক্ষেপের সংখ্যা নিয়ে কথা বলি—যেমন ১০ হাজার পদক্ষেপের লক্ষ্য। কিন্তু আমাদের গবেষণা দেখিয়েছে, কীভাবে সেই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে যাঁরা কম সক্রিয়, তাঁরা যদি অল্প সময়ের বদলে কিছু দীর্ঘ হাঁটা যোগ করেন, তাতেও হৃদ্স্বাস্থ্যে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।’
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, বিশ্বের প্রায় ৩১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন না। তাঁদের অনেকে সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের কম ব্যায়াম করেন, যা হৃদ্রোগ, অনিদ্রা ও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল জিউইশ হেলথ ইনস্টিটিউটের হৃদ্রোগ প্রতিরোধ ও সুস্থতা বিভাগের পরিচালক ড. অ্যান্ড্রু ফ্রিম্যান বলেন, ‘প্রায় সবাই কিছু সময় হাঁটতে পারেন, কিন্তু ২০, ৩০ বা ৬০ মিনিট একটানা হাঁটা কঠিন হয়ে যায়। তাই ধীরে ধীরে সেই ক্ষমতা তৈরি করাটাই আসল বিষয়।’
দীর্ঘ সময় হাঁটার ফলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়, রক্তচাপ কমে এবং রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে প্রদাহ ও মানসিক চাপ কমে, হৃদ্পেশি শক্ত হয়। ফ্রিম্যান বলেন, ‘এটা অনেকটা ৪৫ কেজির ডাম্বেল তোলার মতো। প্রথমে পারা যায় না, কিন্তু অনুশীলনে সক্ষমতা বাড়ে—হৃদ্যন্ত্রও তেমনি।’
গবেষকেরা বলেন, প্রতিদিন নির্দিষ্ট ধাপের লক্ষ্য না রেখে বরং সময়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দিনে অন্তত কিছু সময় একটানা হাঁটলে উপকার পাওয়া যায়। গতি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ধারাবাহিক ও দীর্ঘ সময় হাঁটা বেশি ফল দেয়।
ড. দেল পোজো ক্রুজ পরামর্শ দিয়েছেন, ‘দিনে একাধিকবার ২০-৩০ মিনিট করে টানা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীর সক্রিয় থাকবে, হৃদ্যন্ত্র মজবুত হবে।’
হাঁটার সঠিক ভঙ্গিও জরুরি—শরীর সোজা রাখুন, কাঁধ পেছনে দিন এবং হাত দোলান। এতে ভারসাম্য বজায় থাকে ও শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়।
গবেষণাটি যুক্তরাজ্যের ৩৩ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা দৈনিক ৮ হাজার ধাপের কম হাঁটতেন এবং কারও বড় রোগ ছিল না। এক সপ্তাহের ডেটা সংগ্রহের মাধ্যমে গবেষণাটি সম্পন্ন হয়।
সবশেষে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিয়মিত ও দীর্ঘ সময় হাঁটা এমন একটি সহজ উপায়, যা ব্যয়বহুল চিকিৎসা ছাড়াই হৃদ্স্বাস্থ্য রক্ষা এবং আয়ু বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পারে।

দীর্ঘ সময় হাঁটার অভ্যাস শুধু মন ভালো রাখে না, বরং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণা এমনটাই জানিয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ ও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
গবেষণার প্রধান লেখক স্পেনের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব মাদ্রিদের সহযোগী অধ্যাপক ড. বোরখা দেল পোজো ক্রুজ বলেন, ‘আমরা সাধারণত দৈনিক পদক্ষেপের সংখ্যা নিয়ে কথা বলি—যেমন ১০ হাজার পদক্ষেপের লক্ষ্য। কিন্তু আমাদের গবেষণা দেখিয়েছে, কীভাবে সেই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে যাঁরা কম সক্রিয়, তাঁরা যদি অল্প সময়ের বদলে কিছু দীর্ঘ হাঁটা যোগ করেন, তাতেও হৃদ্স্বাস্থ্যে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।’
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, বিশ্বের প্রায় ৩১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন না। তাঁদের অনেকে সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের কম ব্যায়াম করেন, যা হৃদ্রোগ, অনিদ্রা ও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল জিউইশ হেলথ ইনস্টিটিউটের হৃদ্রোগ প্রতিরোধ ও সুস্থতা বিভাগের পরিচালক ড. অ্যান্ড্রু ফ্রিম্যান বলেন, ‘প্রায় সবাই কিছু সময় হাঁটতে পারেন, কিন্তু ২০, ৩০ বা ৬০ মিনিট একটানা হাঁটা কঠিন হয়ে যায়। তাই ধীরে ধীরে সেই ক্ষমতা তৈরি করাটাই আসল বিষয়।’
দীর্ঘ সময় হাঁটার ফলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়, রক্তচাপ কমে এবং রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে প্রদাহ ও মানসিক চাপ কমে, হৃদ্পেশি শক্ত হয়। ফ্রিম্যান বলেন, ‘এটা অনেকটা ৪৫ কেজির ডাম্বেল তোলার মতো। প্রথমে পারা যায় না, কিন্তু অনুশীলনে সক্ষমতা বাড়ে—হৃদ্যন্ত্রও তেমনি।’
গবেষকেরা বলেন, প্রতিদিন নির্দিষ্ট ধাপের লক্ষ্য না রেখে বরং সময়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দিনে অন্তত কিছু সময় একটানা হাঁটলে উপকার পাওয়া যায়। গতি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ধারাবাহিক ও দীর্ঘ সময় হাঁটা বেশি ফল দেয়।
ড. দেল পোজো ক্রুজ পরামর্শ দিয়েছেন, ‘দিনে একাধিকবার ২০-৩০ মিনিট করে টানা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীর সক্রিয় থাকবে, হৃদ্যন্ত্র মজবুত হবে।’
হাঁটার সঠিক ভঙ্গিও জরুরি—শরীর সোজা রাখুন, কাঁধ পেছনে দিন এবং হাত দোলান। এতে ভারসাম্য বজায় থাকে ও শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়।
গবেষণাটি যুক্তরাজ্যের ৩৩ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা দৈনিক ৮ হাজার ধাপের কম হাঁটতেন এবং কারও বড় রোগ ছিল না। এক সপ্তাহের ডেটা সংগ্রহের মাধ্যমে গবেষণাটি সম্পন্ন হয়।
সবশেষে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিয়মিত ও দীর্ঘ সময় হাঁটা এমন একটি সহজ উপায়, যা ব্যয়বহুল চিকিৎসা ছাড়াই হৃদ্স্বাস্থ্য রক্ষা এবং আয়ু বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পারে।

আপনি যদি ইতিমধ্যেই নানা ধরনের ডায়েট নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকেন তবে খুব সম্ভবত কিটো ডায়েটেরও চেষ্টা করেছেন। এটি হলো এমন একটি খাদ্য প্রক্রিয়া—যার মাধ্যমে কম শর্করা এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করে মানুষ।
০৩ মার্চ ২০২৪
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
২ দিন আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৩ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
এ ছাড়া এক সপ্তাহে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে ১০ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৬ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬৯ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৩ জন।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৮১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
এ ছাড়া এক সপ্তাহে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে ১০ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৬ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬৯ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৩ জন।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৮১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

আপনি যদি ইতিমধ্যেই নানা ধরনের ডায়েট নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকেন তবে খুব সম্ভবত কিটো ডায়েটেরও চেষ্টা করেছেন। এটি হলো এমন একটি খাদ্য প্রক্রিয়া—যার মাধ্যমে কম শর্করা এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করে মানুষ।
০৩ মার্চ ২০২৪
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
২০ ঘণ্টা আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৩ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

আপনি যদি ইতিমধ্যেই নানা ধরনের ডায়েট নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকেন তবে খুব সম্ভবত কিটো ডায়েটেরও চেষ্টা করেছেন। এটি হলো এমন একটি খাদ্য প্রক্রিয়া—যার মাধ্যমে কম শর্করা এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করে মানুষ।
০৩ মার্চ ২০২৪
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
২০ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
২ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৪ দিন আগেডা. পূজা সাহা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

আপনি যদি ইতিমধ্যেই নানা ধরনের ডায়েট নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকেন তবে খুব সম্ভবত কিটো ডায়েটেরও চেষ্টা করেছেন। এটি হলো এমন একটি খাদ্য প্রক্রিয়া—যার মাধ্যমে কম শর্করা এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করে মানুষ।
০৩ মার্চ ২০২৪
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
২০ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
২ দিন আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৩ দিন আগে