ডা. মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ পাভেল

গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহে ফ্রিজের এক গ্লাস ঠান্ডা পানি স্বর্গীয় প্রশান্তি দেয় বটে, কিন্তু তা শরীরে বাড়িয়ে দেয় পানির চাহিদা। হঠাৎ করে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার ফলে রক্তনালিগুলো সংকুচিত হয়ে পড়ে। এ ছাড়া ঠান্ডা লেগে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে। শ্বাসনালিতে শ্লেষ্মার একটা অতিরিক্ত আস্তরণ তৈরি হয়। ফলে শ্বাসযন্ত্রে বিভিন্ন সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়।
স্বাভাবিক অবস্থায় পানিতে বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান থাকে, যা আমাদের শরীরের গঠন এবং সার্বিক কর্মদক্ষতার জন্য খুবই উপকারী। ফ্রিজের ঠান্ডা পানিতে সেই সব খনিজ উপাদানের কার্যকারিতা কমে যায়। ফলে পানি থেকে পাওয়া খনিজের চাহিদা অপূর্ণই থেকে যায়।
ঠান্ডা পানি পান করার কারণে পেট, মাথা, রক্ত, জরায়ুসহ হৃৎপিণ্ডের অনেক ক্ষতি হয়, যা ধীরে ধীরে শরীরে বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে। শরীরের তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার কারণে দেহের তাপমাত্রা তখন আর ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইটে থাকে না। তখন শরীরের ভেতরে অতি শীতলতার সৃষ্টি হয়, যা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে। সেগুলোর মধ্যে আছে:
পানির সঠিক চাহিদা পূরণ না হওয়া
ঠান্ডা পানিতে তৃষ্ণা মেটে খুব দ্রুত। ফলে শীতলতার কারণে পানির চাহিদা কম অনুভূত হয়। মনে হয় পানি পানের আর প্রয়োজন নেই। অথচ শরীরের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা মেটে না। পানির এই ঘাটতি থেকে পানিশূন্যতা তৈরি হয়, যা শরীরের অন্যান্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
টনসিলের সমস্যা
ঠান্ডা পানি পান দ্রুত যে সমস্যা সৃষ্টি করে, তা হলো টনসিল ফুলে যাওয়া। ঠান্ডা পানি পানে সহজে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে। ফলে টনসিল ফুলে গিয়ে ক্ষতের সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি জ্বর, কাশি ও শরীরে ব্যথা হতে পারে।
মাইগ্রেনের সমস্যা
মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে তোলার জন্য ঠান্ডা পানি পান একটি বড় অনুঘটক। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার জন্য মাথাব্যথা শুরু হতে পারে।
খাদ্যনালির সমস্যা
ঠান্ডা পানি পান করার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যনালি সংকুচিত হয়ে যায়। এর কারণে খাবার খেতে সমস্যা হতে পারে। এতে হজমজনিত সমস্যা ছাড়াও গলায় মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। গলায়ও ক্ষত সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। পরে যা গলায় বা খাদ্যনালিতে ঘায়ের কারণ হয়ে যেতে পারে।
হৃৎপিণ্ডের সমস্যা
ঠান্ডা পানি পানের কারণে বড় ক্ষতি হয় হৃৎপিণ্ডের। গরম থেকে এসেই ঠান্ডা পানি পান করলে শরীরের
শিরা-ধমনি সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক রক্তসঞ্চালন ব্যাহত হয়ে হৃৎপিণ্ডের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। বাড়তি চাপ সামাল দিতে হৃৎপিণ্ডের কম্পন বা হার্ট বিট বেড়ে যায়, যাকে বলে পালপিটেশন।
জ্বর হওয়া
শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। কিন্তু ঠান্ডা পানি পান করলে রক্ত হঠাৎ করেই শীতল হয়ে যায়। ফলে কিছু অঙ্গ শরীরে ভেতরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক করতে প্রচুর তাপ বা হিট উৎপন্ন করে, যা পরবর্তী সময়ে জ্বরের কারণ হয়।
দাঁতের ক্ষতি
ঠান্ডা পানি দাঁতের এনামেলের মারাত্মক ক্ষতি করে। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে আসামাত্রই দাঁতের বহিরাবরণ সংকুচিত হয়ে এনামেলে ফাটল ধরে। মাড়ি ক্ষয়ের জন্যও ঠান্ডা পানি বেশ দায়ী।
গর্ভবতীদের ঝুঁকি গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি
পান করলে গর্ভপাতের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। ঠান্ডা পানি জরায়ুর সংকোচনের মাধ্যমে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
মনে রাখা ভালো, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি নীরবে শরীরের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি ও পানির ঘাটতি তৈরি করে। তাই স্বাভাবিক বা কুসুম গরম পানি শরীরের জন্য উপযুক্ত ও গ্রহণযোগ্য।
পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ পাভেল, নাক, কান, গলারোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন, ডিএলও, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহে ফ্রিজের এক গ্লাস ঠান্ডা পানি স্বর্গীয় প্রশান্তি দেয় বটে, কিন্তু তা শরীরে বাড়িয়ে দেয় পানির চাহিদা। হঠাৎ করে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার ফলে রক্তনালিগুলো সংকুচিত হয়ে পড়ে। এ ছাড়া ঠান্ডা লেগে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে। শ্বাসনালিতে শ্লেষ্মার একটা অতিরিক্ত আস্তরণ তৈরি হয়। ফলে শ্বাসযন্ত্রে বিভিন্ন সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়।
স্বাভাবিক অবস্থায় পানিতে বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান থাকে, যা আমাদের শরীরের গঠন এবং সার্বিক কর্মদক্ষতার জন্য খুবই উপকারী। ফ্রিজের ঠান্ডা পানিতে সেই সব খনিজ উপাদানের কার্যকারিতা কমে যায়। ফলে পানি থেকে পাওয়া খনিজের চাহিদা অপূর্ণই থেকে যায়।
ঠান্ডা পানি পান করার কারণে পেট, মাথা, রক্ত, জরায়ুসহ হৃৎপিণ্ডের অনেক ক্ষতি হয়, যা ধীরে ধীরে শরীরে বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে। শরীরের তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার কারণে দেহের তাপমাত্রা তখন আর ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইটে থাকে না। তখন শরীরের ভেতরে অতি শীতলতার সৃষ্টি হয়, যা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে। সেগুলোর মধ্যে আছে:
পানির সঠিক চাহিদা পূরণ না হওয়া
ঠান্ডা পানিতে তৃষ্ণা মেটে খুব দ্রুত। ফলে শীতলতার কারণে পানির চাহিদা কম অনুভূত হয়। মনে হয় পানি পানের আর প্রয়োজন নেই। অথচ শরীরের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা মেটে না। পানির এই ঘাটতি থেকে পানিশূন্যতা তৈরি হয়, যা শরীরের অন্যান্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
টনসিলের সমস্যা
ঠান্ডা পানি পান দ্রুত যে সমস্যা সৃষ্টি করে, তা হলো টনসিল ফুলে যাওয়া। ঠান্ডা পানি পানে সহজে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে। ফলে টনসিল ফুলে গিয়ে ক্ষতের সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি জ্বর, কাশি ও শরীরে ব্যথা হতে পারে।
মাইগ্রেনের সমস্যা
মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে তোলার জন্য ঠান্ডা পানি পান একটি বড় অনুঘটক। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার জন্য মাথাব্যথা শুরু হতে পারে।
খাদ্যনালির সমস্যা
ঠান্ডা পানি পান করার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যনালি সংকুচিত হয়ে যায়। এর কারণে খাবার খেতে সমস্যা হতে পারে। এতে হজমজনিত সমস্যা ছাড়াও গলায় মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। গলায়ও ক্ষত সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। পরে যা গলায় বা খাদ্যনালিতে ঘায়ের কারণ হয়ে যেতে পারে।
হৃৎপিণ্ডের সমস্যা
ঠান্ডা পানি পানের কারণে বড় ক্ষতি হয় হৃৎপিণ্ডের। গরম থেকে এসেই ঠান্ডা পানি পান করলে শরীরের
শিরা-ধমনি সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক রক্তসঞ্চালন ব্যাহত হয়ে হৃৎপিণ্ডের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। বাড়তি চাপ সামাল দিতে হৃৎপিণ্ডের কম্পন বা হার্ট বিট বেড়ে যায়, যাকে বলে পালপিটেশন।
জ্বর হওয়া
শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। কিন্তু ঠান্ডা পানি পান করলে রক্ত হঠাৎ করেই শীতল হয়ে যায়। ফলে কিছু অঙ্গ শরীরে ভেতরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক করতে প্রচুর তাপ বা হিট উৎপন্ন করে, যা পরবর্তী সময়ে জ্বরের কারণ হয়।
দাঁতের ক্ষতি
ঠান্ডা পানি দাঁতের এনামেলের মারাত্মক ক্ষতি করে। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে আসামাত্রই দাঁতের বহিরাবরণ সংকুচিত হয়ে এনামেলে ফাটল ধরে। মাড়ি ক্ষয়ের জন্যও ঠান্ডা পানি বেশ দায়ী।
গর্ভবতীদের ঝুঁকি গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি
পান করলে গর্ভপাতের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। ঠান্ডা পানি জরায়ুর সংকোচনের মাধ্যমে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
মনে রাখা ভালো, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি নীরবে শরীরের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি ও পানির ঘাটতি তৈরি করে। তাই স্বাভাবিক বা কুসুম গরম পানি শরীরের জন্য উপযুক্ত ও গ্রহণযোগ্য।
পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ পাভেল, নাক, কান, গলারোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন, ডিএলও, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
ডা. মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ পাভেল

গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহে ফ্রিজের এক গ্লাস ঠান্ডা পানি স্বর্গীয় প্রশান্তি দেয় বটে, কিন্তু তা শরীরে বাড়িয়ে দেয় পানির চাহিদা। হঠাৎ করে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার ফলে রক্তনালিগুলো সংকুচিত হয়ে পড়ে। এ ছাড়া ঠান্ডা লেগে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে। শ্বাসনালিতে শ্লেষ্মার একটা অতিরিক্ত আস্তরণ তৈরি হয়। ফলে শ্বাসযন্ত্রে বিভিন্ন সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়।
স্বাভাবিক অবস্থায় পানিতে বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান থাকে, যা আমাদের শরীরের গঠন এবং সার্বিক কর্মদক্ষতার জন্য খুবই উপকারী। ফ্রিজের ঠান্ডা পানিতে সেই সব খনিজ উপাদানের কার্যকারিতা কমে যায়। ফলে পানি থেকে পাওয়া খনিজের চাহিদা অপূর্ণই থেকে যায়।
ঠান্ডা পানি পান করার কারণে পেট, মাথা, রক্ত, জরায়ুসহ হৃৎপিণ্ডের অনেক ক্ষতি হয়, যা ধীরে ধীরে শরীরে বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে। শরীরের তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার কারণে দেহের তাপমাত্রা তখন আর ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইটে থাকে না। তখন শরীরের ভেতরে অতি শীতলতার সৃষ্টি হয়, যা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে। সেগুলোর মধ্যে আছে:
পানির সঠিক চাহিদা পূরণ না হওয়া
ঠান্ডা পানিতে তৃষ্ণা মেটে খুব দ্রুত। ফলে শীতলতার কারণে পানির চাহিদা কম অনুভূত হয়। মনে হয় পানি পানের আর প্রয়োজন নেই। অথচ শরীরের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা মেটে না। পানির এই ঘাটতি থেকে পানিশূন্যতা তৈরি হয়, যা শরীরের অন্যান্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
টনসিলের সমস্যা
ঠান্ডা পানি পান দ্রুত যে সমস্যা সৃষ্টি করে, তা হলো টনসিল ফুলে যাওয়া। ঠান্ডা পানি পানে সহজে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে। ফলে টনসিল ফুলে গিয়ে ক্ষতের সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি জ্বর, কাশি ও শরীরে ব্যথা হতে পারে।
মাইগ্রেনের সমস্যা
মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে তোলার জন্য ঠান্ডা পানি পান একটি বড় অনুঘটক। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার জন্য মাথাব্যথা শুরু হতে পারে।
খাদ্যনালির সমস্যা
ঠান্ডা পানি পান করার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যনালি সংকুচিত হয়ে যায়। এর কারণে খাবার খেতে সমস্যা হতে পারে। এতে হজমজনিত সমস্যা ছাড়াও গলায় মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। গলায়ও ক্ষত সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। পরে যা গলায় বা খাদ্যনালিতে ঘায়ের কারণ হয়ে যেতে পারে।
হৃৎপিণ্ডের সমস্যা
ঠান্ডা পানি পানের কারণে বড় ক্ষতি হয় হৃৎপিণ্ডের। গরম থেকে এসেই ঠান্ডা পানি পান করলে শরীরের
শিরা-ধমনি সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক রক্তসঞ্চালন ব্যাহত হয়ে হৃৎপিণ্ডের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। বাড়তি চাপ সামাল দিতে হৃৎপিণ্ডের কম্পন বা হার্ট বিট বেড়ে যায়, যাকে বলে পালপিটেশন।
জ্বর হওয়া
শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। কিন্তু ঠান্ডা পানি পান করলে রক্ত হঠাৎ করেই শীতল হয়ে যায়। ফলে কিছু অঙ্গ শরীরে ভেতরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক করতে প্রচুর তাপ বা হিট উৎপন্ন করে, যা পরবর্তী সময়ে জ্বরের কারণ হয়।
দাঁতের ক্ষতি
ঠান্ডা পানি দাঁতের এনামেলের মারাত্মক ক্ষতি করে। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে আসামাত্রই দাঁতের বহিরাবরণ সংকুচিত হয়ে এনামেলে ফাটল ধরে। মাড়ি ক্ষয়ের জন্যও ঠান্ডা পানি বেশ দায়ী।
গর্ভবতীদের ঝুঁকি গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি
পান করলে গর্ভপাতের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। ঠান্ডা পানি জরায়ুর সংকোচনের মাধ্যমে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
মনে রাখা ভালো, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি নীরবে শরীরের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি ও পানির ঘাটতি তৈরি করে। তাই স্বাভাবিক বা কুসুম গরম পানি শরীরের জন্য উপযুক্ত ও গ্রহণযোগ্য।
পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ পাভেল, নাক, কান, গলারোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন, ডিএলও, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহে ফ্রিজের এক গ্লাস ঠান্ডা পানি স্বর্গীয় প্রশান্তি দেয় বটে, কিন্তু তা শরীরে বাড়িয়ে দেয় পানির চাহিদা। হঠাৎ করে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার ফলে রক্তনালিগুলো সংকুচিত হয়ে পড়ে। এ ছাড়া ঠান্ডা লেগে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে। শ্বাসনালিতে শ্লেষ্মার একটা অতিরিক্ত আস্তরণ তৈরি হয়। ফলে শ্বাসযন্ত্রে বিভিন্ন সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়।
স্বাভাবিক অবস্থায় পানিতে বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান থাকে, যা আমাদের শরীরের গঠন এবং সার্বিক কর্মদক্ষতার জন্য খুবই উপকারী। ফ্রিজের ঠান্ডা পানিতে সেই সব খনিজ উপাদানের কার্যকারিতা কমে যায়। ফলে পানি থেকে পাওয়া খনিজের চাহিদা অপূর্ণই থেকে যায়।
ঠান্ডা পানি পান করার কারণে পেট, মাথা, রক্ত, জরায়ুসহ হৃৎপিণ্ডের অনেক ক্ষতি হয়, যা ধীরে ধীরে শরীরে বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে। শরীরের তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার কারণে দেহের তাপমাত্রা তখন আর ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইটে থাকে না। তখন শরীরের ভেতরে অতি শীতলতার সৃষ্টি হয়, যা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে। সেগুলোর মধ্যে আছে:
পানির সঠিক চাহিদা পূরণ না হওয়া
ঠান্ডা পানিতে তৃষ্ণা মেটে খুব দ্রুত। ফলে শীতলতার কারণে পানির চাহিদা কম অনুভূত হয়। মনে হয় পানি পানের আর প্রয়োজন নেই। অথচ শরীরের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা মেটে না। পানির এই ঘাটতি থেকে পানিশূন্যতা তৈরি হয়, যা শরীরের অন্যান্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
টনসিলের সমস্যা
ঠান্ডা পানি পান দ্রুত যে সমস্যা সৃষ্টি করে, তা হলো টনসিল ফুলে যাওয়া। ঠান্ডা পানি পানে সহজে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে। ফলে টনসিল ফুলে গিয়ে ক্ষতের সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি জ্বর, কাশি ও শরীরে ব্যথা হতে পারে।
মাইগ্রেনের সমস্যা
মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে তোলার জন্য ঠান্ডা পানি পান একটি বড় অনুঘটক। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার জন্য মাথাব্যথা শুরু হতে পারে।
খাদ্যনালির সমস্যা
ঠান্ডা পানি পান করার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যনালি সংকুচিত হয়ে যায়। এর কারণে খাবার খেতে সমস্যা হতে পারে। এতে হজমজনিত সমস্যা ছাড়াও গলায় মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। গলায়ও ক্ষত সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। পরে যা গলায় বা খাদ্যনালিতে ঘায়ের কারণ হয়ে যেতে পারে।
হৃৎপিণ্ডের সমস্যা
ঠান্ডা পানি পানের কারণে বড় ক্ষতি হয় হৃৎপিণ্ডের। গরম থেকে এসেই ঠান্ডা পানি পান করলে শরীরের
শিরা-ধমনি সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক রক্তসঞ্চালন ব্যাহত হয়ে হৃৎপিণ্ডের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। বাড়তি চাপ সামাল দিতে হৃৎপিণ্ডের কম্পন বা হার্ট বিট বেড়ে যায়, যাকে বলে পালপিটেশন।
জ্বর হওয়া
শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। কিন্তু ঠান্ডা পানি পান করলে রক্ত হঠাৎ করেই শীতল হয়ে যায়। ফলে কিছু অঙ্গ শরীরে ভেতরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক করতে প্রচুর তাপ বা হিট উৎপন্ন করে, যা পরবর্তী সময়ে জ্বরের কারণ হয়।
দাঁতের ক্ষতি
ঠান্ডা পানি দাঁতের এনামেলের মারাত্মক ক্ষতি করে। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে আসামাত্রই দাঁতের বহিরাবরণ সংকুচিত হয়ে এনামেলে ফাটল ধরে। মাড়ি ক্ষয়ের জন্যও ঠান্ডা পানি বেশ দায়ী।
গর্ভবতীদের ঝুঁকি গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি
পান করলে গর্ভপাতের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। ঠান্ডা পানি জরায়ুর সংকোচনের মাধ্যমে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
মনে রাখা ভালো, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি নীরবে শরীরের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি ও পানির ঘাটতি তৈরি করে। তাই স্বাভাবিক বা কুসুম গরম পানি শরীরের জন্য উপযুক্ত ও গ্রহণযোগ্য।
পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ পাভেল, নাক, কান, গলারোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন, ডিএলও, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
১ দিন আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
২ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৩ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
এ ছাড়া এক সপ্তাহে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে ১০ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৬ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬৯ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৩ জন।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৮১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
এ ছাড়া এক সপ্তাহে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে ১০ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৬ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬৯ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৩ জন।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৮১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহে ফ্রিজের এক গ্লাস ঠান্ডা পানি স্বর্গীয় প্রশান্তি দেয় বটে, কিন্তু তা শরীরে বাড়িয়ে দেয় পানির চাহিদা। হঠাৎ করে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার ফলে রক্তনালিগুলো সংকুচিত হয়ে পড়ে।
০৬ মে ২০২৩
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
২ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৩ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহে ফ্রিজের এক গ্লাস ঠান্ডা পানি স্বর্গীয় প্রশান্তি দেয় বটে, কিন্তু তা শরীরে বাড়িয়ে দেয় পানির চাহিদা। হঠাৎ করে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার ফলে রক্তনালিগুলো সংকুচিত হয়ে পড়ে।
০৬ মে ২০২৩
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
১ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৩ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৩ দিন আগেডা. পূজা সাহা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহে ফ্রিজের এক গ্লাস ঠান্ডা পানি স্বর্গীয় প্রশান্তি দেয় বটে, কিন্তু তা শরীরে বাড়িয়ে দেয় পানির চাহিদা। হঠাৎ করে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার ফলে রক্তনালিগুলো সংকুচিত হয়ে পড়ে।
০৬ মে ২০২৩
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
১ দিন আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
২ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৩ দিন আগেডা. মো. নূর আলম

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহে ফ্রিজের এক গ্লাস ঠান্ডা পানি স্বর্গীয় প্রশান্তি দেয় বটে, কিন্তু তা শরীরে বাড়িয়ে দেয় পানির চাহিদা। হঠাৎ করে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার ফলে রক্তনালিগুলো সংকুচিত হয়ে পড়ে।
০৬ মে ২০২৩
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
১ দিন আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
২ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৩ দিন আগে