
কোভিড চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত কিছুটা নির্ভরযোগ্য অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ হিসেবে রেমডিসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে কিছু দেশ। তবে শুধু গুরুতর ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে এটি ব্যবহার করার অনুমতি রয়েছে।
এবার সংক্রমণের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পর সাধারণ ফ্লুয়ের মতো ওষুধ খেয়ে কোভিড সারানোর সাফল্য অর্জন করতে যাচ্ছে মানুষ। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের প্রথমের দিকেই বাজারে আসবে করোনা প্রতিরোধী পিল। সেটি হলে, সাধারণ ভাইরাস জ্বরের মতো করোনার ওষুধও বাজারে কিনতে পাওয়া যাবে।
গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে বসবাসকারী গুরুতর কোভিড আক্রান্ত চল্লিশোর্ধ্ব এক দম্পতিকে বিশেষ একটি ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। কোভিড ধরা পড়ার পরপরই তাঁদের বাড়ির নিকটবর্তী ফ্রেড হাচ ক্যানসার গবেষণা কেন্দ্রে একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নিতে সম্মত হয়েছিলেন তাঁরা। সেখানেই তাঁদের দেওয়া হয় বিশেষ পিল। দিনে দুবার করে চারটি পিল খেতে বলা হয়েছে তাঁদের। অবশ্য তাঁদের বলা হয়নি এটি সত্যি ওষুধ নাকি প্লাসিবো ছিল। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের শরীরে কোভিডের লক্ষণগুলো মৃদু হতে শুরু করে এবং দ্রুতই তাঁরা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন।
মহামারিতে বিপর্যস্ত পৃথিবীর জন্য এই দম্পতির নাম হয়তো ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তাঁরা আশা দেখালেন যে, সাধারণ ওষুধের মতো মাত্র কয়েকদিন নিয়মিত ওষুধ সেবনেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জেতা সম্ভব।
এ ব্যাপারে নর্থ ক্যারোলাইনা-চ্যাপেল হিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট টিমোথি শেহান মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ওরাল অ্যান্টিভাইরাল গ্রহণের মাধ্যমে কেবল রোগীর উপসর্গগুলোরই দ্রুত উপশম সম্ভব নয়, তাঁর পরিবারের অন্যদেরও তাঁর কাছ থেকে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব। সিয়াটলে নতুন অ্যান্টিভাইরাল থেরাপিতে সহায়তা করেছেন টিমোথি।
হেপাটাইটিস সি এবং এইচআইভি/এইডসসহ অন্যান্য ভাইরাস সংক্রমণের জন্য বিভিন্ন অ্যান্টিভাইরাল এরই মধ্যে বেশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক পরিচিত একটি হলো তামিফ্লু। ইনফ্লুয়েঞ্জার সময়কালকে কমিয়ে আনা এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে এই ওষুধ।
মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে ভাইরাল সংক্রমণের চিকিৎসা ও প্রতিরোধের জন্য তৈরি ওষুধগুলো ভিন্নভাবে কাজ করে। কিন্তু সবগুলোই এমনভাবে তৈরি করা সম্ভব যে, তারা সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। রিসেপটরগুলোকে ব্লক করে দিতে পারে যাতে ভাইরাস নতুন করে সুস্থ কোষে প্রবেশ করতে না পারে। অথবা শরীরে সক্রিয় ভাইরাসের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে।
কোভিডের জন্য কমপক্ষে তিনটি প্রতিশ্রুতিশীল অ্যান্টিভাইরাল ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রয়েছে। আসছে শীতের পরপরই এই ওষুধগুলো বাজারে আসতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় অ্যালার্জি এবং সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউটের এইডস বিভাগের পরিচালক কার্ল ডাইফেনবাখ এমনটিই আশা করছেন। তিনি এই অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ তৈরির তত্ত্বাবধান করছেন।
‘মলনুপিরাভির’ নামের এমন একটি ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ নিয়ে কাজ করছে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা মেরেক। রিজব্যাক বায়ো থেরাপিউটিক্স নামের একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে ওই ওষুধ তৈরি হয়েছে। পৃথিবী জুড়ে চলছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। জাপানেও ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। অক্টোবরের মধ্যেই ট্রায়ালের চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিয়াটলে ওই দম্পতিকে এই ওষুধটিই দেওয়া হয়েছিল।
এই দৌড়ে রয়েছে কোভিড টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজারও। তারা দুই ধরনের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শরীরে নেওয়া এবং মুখে খাওয়ার দুটি ওষুধই সার্স প্রতিরোধে ২০০২ সালে ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই ওষুধকেই এবার কোভিড রোগীদের চিকিৎসাতেও ব্যবহার করতে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে ফাইজার।
তবে ফাইজার বলছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই, এমন রোগীদের ক্ষেত্রেই কেবল এটি ব্যবহারের উপযোগী হবে। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই এ ওষুধের ট্রায়ালের ফলাফল জানা যাবে। ফলাফল সন্তোষজনক হলে আগামী বছরের গোড়ার দিকেই এটির ব্যবহার শুরু হবে।
তৃতীয় অ্যান্টিভাইরালটি নিয়ে কাজ করছে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রোশে ফার্মাসিউটিক্যালস এবং অ্যাটিয়া ফার্মাসিউটিক্যালস।
এদিকে জাপানি সংস্থা শিওঙ্গি গত জুলাই থেকেই শুরু করেছে কোভিড পিলের প্রথম দফার ট্রায়াল। তবে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তাদের ওষুধ বাজারে আসতে আসতে ২০২২ সালের শেষ নাগাদ।
সবগুলো ওষুধই মূলত মানব কোষে ভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরির ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করে। মলনুপিরভিরের ক্ষেত্রে, যে এনজাইমটি ভাইরাসের জেনেটিক উপাদানের অনুলিপি তৈরি করে সেটিকে বহু ভুল করতে বাধ্য করা হয়, এতে ভাইরাসের পুনরুৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে রোগীর শরীরে ভাইরাল লোড (ভাইরাসের সংখ্যা) হ্রাস পায়, সংক্রমণের সময়কে সংক্ষিপ্ত হয় এবং যেসব বিপজ্জনক প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়া মৃত্যু ঘটানোর মতো গুরুতর অসুস্থতা তৈরি করে সেটি প্রতিরোধ করে এই ওষুধ।
ইঁদুরের শরীরে প্রাথমিক ট্রায়ালে দেখা গেছে, মলনুপিরভির সার্স-কোভ-২ (নভেল করোনাভাইরাস) দ্বারা সৃষ্ট রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। এটি আবিষ্কৃত হয় এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়। পরবর্তীতে রিজব্যাক এবং মার্ক বিষয়টি লুফে নেয়।
গত বসন্তে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ২০২ জন অংশ নেন। দেখা গেছে, মলনুপিরভির দ্রুত সংক্রামক ভাইরাসের মাত্রা হ্রাস করে। মার্কের প্রধান নির্বাহী রবার্ট ডেভিস চলতি মাসে বলেন, আগামী সপ্তাহে বৃহত্তর পরিসরে তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ফলাফল তাঁরা পাবেন বলে আশা করছেন। চলতি বছরের শেষ নাগাদ খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছ থেকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আর ফাইজার ১ সেপ্টেম্বর একসঙ্গে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু করেছে। আর অ্যাটিয়ার কর্মকর্তারা আশা করছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ফলাফল হাতে পাবেন। অর্থাৎ আশাই করা যায়, খুব শিগগিরই করোনা প্রতিরোধী মুখে খাওয়ার ওষুধ বাজারে আসছে। এর অর্থ হলো করোনা চিকিৎসায় মানুষ মাত্র পাঁচ থেকে ১০ দিনের একটি কোর্স পূর্ণ করলেই মোটামুটি নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন।
মহামারির শুরুর দিকে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া না হলেও যুক্তরাষ্ট্রে এখন এ নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। গত জুনে বাইডেন প্রশানসন প্রায় ১৭ লাখ ডলার মূল্যের ১২ মিলিয়ন কোর্স মলনুপিরভিরের পিল কেনার ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে অ্যান্টিভাইরাল প্রোগ্রামে ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করারও ঘোষণা দেওয়া হয়।
ওষুধগুলো নিঃসন্দেহে কার্যকর প্রমাণিত হলে কোভিড মহামারি মোকাবিলায় অবিশ্বাস্য অগ্রগিত হবে-এতে কোনো সন্দেহ নেই। সারা বিশ্বে এখন ব্যাপকভাবে টিকা কার্যক্রম চলছে। কিন্তু এটি অত্যন্ত সময় ও ব্যয় সাপেক্ষ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা উঠছে। এতোকিছুর পরও সম্পূর্ণ সুরক্ষার নিশ্চয়তা মিলছে না। অনেক দেশেই নতুন করে নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়ছে। সেক্ষেত্রে অ্যান্টিভাইরাল পিল অনেকের মনে স্বস্তি দিতে পারে। গুরুতর অসুস্থতা থেকে রক্ষার পাশাপাশি সংক্রমণ বিস্তারও ব্যাপক ভাবে কমাতে পারবে এই ওষুধ।

কোভিড চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত কিছুটা নির্ভরযোগ্য অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ হিসেবে রেমডিসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে কিছু দেশ। তবে শুধু গুরুতর ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে এটি ব্যবহার করার অনুমতি রয়েছে।
এবার সংক্রমণের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পর সাধারণ ফ্লুয়ের মতো ওষুধ খেয়ে কোভিড সারানোর সাফল্য অর্জন করতে যাচ্ছে মানুষ। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের প্রথমের দিকেই বাজারে আসবে করোনা প্রতিরোধী পিল। সেটি হলে, সাধারণ ভাইরাস জ্বরের মতো করোনার ওষুধও বাজারে কিনতে পাওয়া যাবে।
গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে বসবাসকারী গুরুতর কোভিড আক্রান্ত চল্লিশোর্ধ্ব এক দম্পতিকে বিশেষ একটি ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। কোভিড ধরা পড়ার পরপরই তাঁদের বাড়ির নিকটবর্তী ফ্রেড হাচ ক্যানসার গবেষণা কেন্দ্রে একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নিতে সম্মত হয়েছিলেন তাঁরা। সেখানেই তাঁদের দেওয়া হয় বিশেষ পিল। দিনে দুবার করে চারটি পিল খেতে বলা হয়েছে তাঁদের। অবশ্য তাঁদের বলা হয়নি এটি সত্যি ওষুধ নাকি প্লাসিবো ছিল। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের শরীরে কোভিডের লক্ষণগুলো মৃদু হতে শুরু করে এবং দ্রুতই তাঁরা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন।
মহামারিতে বিপর্যস্ত পৃথিবীর জন্য এই দম্পতির নাম হয়তো ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তাঁরা আশা দেখালেন যে, সাধারণ ওষুধের মতো মাত্র কয়েকদিন নিয়মিত ওষুধ সেবনেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জেতা সম্ভব।
এ ব্যাপারে নর্থ ক্যারোলাইনা-চ্যাপেল হিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট টিমোথি শেহান মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ওরাল অ্যান্টিভাইরাল গ্রহণের মাধ্যমে কেবল রোগীর উপসর্গগুলোরই দ্রুত উপশম সম্ভব নয়, তাঁর পরিবারের অন্যদেরও তাঁর কাছ থেকে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব। সিয়াটলে নতুন অ্যান্টিভাইরাল থেরাপিতে সহায়তা করেছেন টিমোথি।
হেপাটাইটিস সি এবং এইচআইভি/এইডসসহ অন্যান্য ভাইরাস সংক্রমণের জন্য বিভিন্ন অ্যান্টিভাইরাল এরই মধ্যে বেশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক পরিচিত একটি হলো তামিফ্লু। ইনফ্লুয়েঞ্জার সময়কালকে কমিয়ে আনা এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে এই ওষুধ।
মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে ভাইরাল সংক্রমণের চিকিৎসা ও প্রতিরোধের জন্য তৈরি ওষুধগুলো ভিন্নভাবে কাজ করে। কিন্তু সবগুলোই এমনভাবে তৈরি করা সম্ভব যে, তারা সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। রিসেপটরগুলোকে ব্লক করে দিতে পারে যাতে ভাইরাস নতুন করে সুস্থ কোষে প্রবেশ করতে না পারে। অথবা শরীরে সক্রিয় ভাইরাসের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে।
কোভিডের জন্য কমপক্ষে তিনটি প্রতিশ্রুতিশীল অ্যান্টিভাইরাল ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রয়েছে। আসছে শীতের পরপরই এই ওষুধগুলো বাজারে আসতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় অ্যালার্জি এবং সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউটের এইডস বিভাগের পরিচালক কার্ল ডাইফেনবাখ এমনটিই আশা করছেন। তিনি এই অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ তৈরির তত্ত্বাবধান করছেন।
‘মলনুপিরাভির’ নামের এমন একটি ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ নিয়ে কাজ করছে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা মেরেক। রিজব্যাক বায়ো থেরাপিউটিক্স নামের একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে ওই ওষুধ তৈরি হয়েছে। পৃথিবী জুড়ে চলছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। জাপানেও ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। অক্টোবরের মধ্যেই ট্রায়ালের চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিয়াটলে ওই দম্পতিকে এই ওষুধটিই দেওয়া হয়েছিল।
এই দৌড়ে রয়েছে কোভিড টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজারও। তারা দুই ধরনের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শরীরে নেওয়া এবং মুখে খাওয়ার দুটি ওষুধই সার্স প্রতিরোধে ২০০২ সালে ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই ওষুধকেই এবার কোভিড রোগীদের চিকিৎসাতেও ব্যবহার করতে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে ফাইজার।
তবে ফাইজার বলছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই, এমন রোগীদের ক্ষেত্রেই কেবল এটি ব্যবহারের উপযোগী হবে। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই এ ওষুধের ট্রায়ালের ফলাফল জানা যাবে। ফলাফল সন্তোষজনক হলে আগামী বছরের গোড়ার দিকেই এটির ব্যবহার শুরু হবে।
তৃতীয় অ্যান্টিভাইরালটি নিয়ে কাজ করছে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রোশে ফার্মাসিউটিক্যালস এবং অ্যাটিয়া ফার্মাসিউটিক্যালস।
এদিকে জাপানি সংস্থা শিওঙ্গি গত জুলাই থেকেই শুরু করেছে কোভিড পিলের প্রথম দফার ট্রায়াল। তবে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তাদের ওষুধ বাজারে আসতে আসতে ২০২২ সালের শেষ নাগাদ।
সবগুলো ওষুধই মূলত মানব কোষে ভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরির ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করে। মলনুপিরভিরের ক্ষেত্রে, যে এনজাইমটি ভাইরাসের জেনেটিক উপাদানের অনুলিপি তৈরি করে সেটিকে বহু ভুল করতে বাধ্য করা হয়, এতে ভাইরাসের পুনরুৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে রোগীর শরীরে ভাইরাল লোড (ভাইরাসের সংখ্যা) হ্রাস পায়, সংক্রমণের সময়কে সংক্ষিপ্ত হয় এবং যেসব বিপজ্জনক প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়া মৃত্যু ঘটানোর মতো গুরুতর অসুস্থতা তৈরি করে সেটি প্রতিরোধ করে এই ওষুধ।
ইঁদুরের শরীরে প্রাথমিক ট্রায়ালে দেখা গেছে, মলনুপিরভির সার্স-কোভ-২ (নভেল করোনাভাইরাস) দ্বারা সৃষ্ট রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। এটি আবিষ্কৃত হয় এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়। পরবর্তীতে রিজব্যাক এবং মার্ক বিষয়টি লুফে নেয়।
গত বসন্তে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ২০২ জন অংশ নেন। দেখা গেছে, মলনুপিরভির দ্রুত সংক্রামক ভাইরাসের মাত্রা হ্রাস করে। মার্কের প্রধান নির্বাহী রবার্ট ডেভিস চলতি মাসে বলেন, আগামী সপ্তাহে বৃহত্তর পরিসরে তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ফলাফল তাঁরা পাবেন বলে আশা করছেন। চলতি বছরের শেষ নাগাদ খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছ থেকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আর ফাইজার ১ সেপ্টেম্বর একসঙ্গে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু করেছে। আর অ্যাটিয়ার কর্মকর্তারা আশা করছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ফলাফল হাতে পাবেন। অর্থাৎ আশাই করা যায়, খুব শিগগিরই করোনা প্রতিরোধী মুখে খাওয়ার ওষুধ বাজারে আসছে। এর অর্থ হলো করোনা চিকিৎসায় মানুষ মাত্র পাঁচ থেকে ১০ দিনের একটি কোর্স পূর্ণ করলেই মোটামুটি নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন।
মহামারির শুরুর দিকে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া না হলেও যুক্তরাষ্ট্রে এখন এ নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। গত জুনে বাইডেন প্রশানসন প্রায় ১৭ লাখ ডলার মূল্যের ১২ মিলিয়ন কোর্স মলনুপিরভিরের পিল কেনার ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে অ্যান্টিভাইরাল প্রোগ্রামে ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করারও ঘোষণা দেওয়া হয়।
ওষুধগুলো নিঃসন্দেহে কার্যকর প্রমাণিত হলে কোভিড মহামারি মোকাবিলায় অবিশ্বাস্য অগ্রগিত হবে-এতে কোনো সন্দেহ নেই। সারা বিশ্বে এখন ব্যাপকভাবে টিকা কার্যক্রম চলছে। কিন্তু এটি অত্যন্ত সময় ও ব্যয় সাপেক্ষ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা উঠছে। এতোকিছুর পরও সম্পূর্ণ সুরক্ষার নিশ্চয়তা মিলছে না। অনেক দেশেই নতুন করে নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়ছে। সেক্ষেত্রে অ্যান্টিভাইরাল পিল অনেকের মনে স্বস্তি দিতে পারে। গুরুতর অসুস্থতা থেকে রক্ষার পাশাপাশি সংক্রমণ বিস্তারও ব্যাপক ভাবে কমাতে পারবে এই ওষুধ।

কোভিড চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত কিছুটা নির্ভরযোগ্য অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ হিসেবে রেমডিসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে কিছু দেশ। তবে শুধু গুরুতর ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে এটি ব্যবহার করার অনুমতি রয়েছে।
এবার সংক্রমণের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পর সাধারণ ফ্লুয়ের মতো ওষুধ খেয়ে কোভিড সারানোর সাফল্য অর্জন করতে যাচ্ছে মানুষ। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের প্রথমের দিকেই বাজারে আসবে করোনা প্রতিরোধী পিল। সেটি হলে, সাধারণ ভাইরাস জ্বরের মতো করোনার ওষুধও বাজারে কিনতে পাওয়া যাবে।
গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে বসবাসকারী গুরুতর কোভিড আক্রান্ত চল্লিশোর্ধ্ব এক দম্পতিকে বিশেষ একটি ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। কোভিড ধরা পড়ার পরপরই তাঁদের বাড়ির নিকটবর্তী ফ্রেড হাচ ক্যানসার গবেষণা কেন্দ্রে একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নিতে সম্মত হয়েছিলেন তাঁরা। সেখানেই তাঁদের দেওয়া হয় বিশেষ পিল। দিনে দুবার করে চারটি পিল খেতে বলা হয়েছে তাঁদের। অবশ্য তাঁদের বলা হয়নি এটি সত্যি ওষুধ নাকি প্লাসিবো ছিল। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের শরীরে কোভিডের লক্ষণগুলো মৃদু হতে শুরু করে এবং দ্রুতই তাঁরা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন।
মহামারিতে বিপর্যস্ত পৃথিবীর জন্য এই দম্পতির নাম হয়তো ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তাঁরা আশা দেখালেন যে, সাধারণ ওষুধের মতো মাত্র কয়েকদিন নিয়মিত ওষুধ সেবনেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জেতা সম্ভব।
এ ব্যাপারে নর্থ ক্যারোলাইনা-চ্যাপেল হিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট টিমোথি শেহান মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ওরাল অ্যান্টিভাইরাল গ্রহণের মাধ্যমে কেবল রোগীর উপসর্গগুলোরই দ্রুত উপশম সম্ভব নয়, তাঁর পরিবারের অন্যদেরও তাঁর কাছ থেকে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব। সিয়াটলে নতুন অ্যান্টিভাইরাল থেরাপিতে সহায়তা করেছেন টিমোথি।
হেপাটাইটিস সি এবং এইচআইভি/এইডসসহ অন্যান্য ভাইরাস সংক্রমণের জন্য বিভিন্ন অ্যান্টিভাইরাল এরই মধ্যে বেশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক পরিচিত একটি হলো তামিফ্লু। ইনফ্লুয়েঞ্জার সময়কালকে কমিয়ে আনা এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে এই ওষুধ।
মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে ভাইরাল সংক্রমণের চিকিৎসা ও প্রতিরোধের জন্য তৈরি ওষুধগুলো ভিন্নভাবে কাজ করে। কিন্তু সবগুলোই এমনভাবে তৈরি করা সম্ভব যে, তারা সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। রিসেপটরগুলোকে ব্লক করে দিতে পারে যাতে ভাইরাস নতুন করে সুস্থ কোষে প্রবেশ করতে না পারে। অথবা শরীরে সক্রিয় ভাইরাসের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে।
কোভিডের জন্য কমপক্ষে তিনটি প্রতিশ্রুতিশীল অ্যান্টিভাইরাল ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রয়েছে। আসছে শীতের পরপরই এই ওষুধগুলো বাজারে আসতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় অ্যালার্জি এবং সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউটের এইডস বিভাগের পরিচালক কার্ল ডাইফেনবাখ এমনটিই আশা করছেন। তিনি এই অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ তৈরির তত্ত্বাবধান করছেন।
‘মলনুপিরাভির’ নামের এমন একটি ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ নিয়ে কাজ করছে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা মেরেক। রিজব্যাক বায়ো থেরাপিউটিক্স নামের একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে ওই ওষুধ তৈরি হয়েছে। পৃথিবী জুড়ে চলছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। জাপানেও ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। অক্টোবরের মধ্যেই ট্রায়ালের চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিয়াটলে ওই দম্পতিকে এই ওষুধটিই দেওয়া হয়েছিল।
এই দৌড়ে রয়েছে কোভিড টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজারও। তারা দুই ধরনের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শরীরে নেওয়া এবং মুখে খাওয়ার দুটি ওষুধই সার্স প্রতিরোধে ২০০২ সালে ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই ওষুধকেই এবার কোভিড রোগীদের চিকিৎসাতেও ব্যবহার করতে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে ফাইজার।
তবে ফাইজার বলছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই, এমন রোগীদের ক্ষেত্রেই কেবল এটি ব্যবহারের উপযোগী হবে। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই এ ওষুধের ট্রায়ালের ফলাফল জানা যাবে। ফলাফল সন্তোষজনক হলে আগামী বছরের গোড়ার দিকেই এটির ব্যবহার শুরু হবে।
তৃতীয় অ্যান্টিভাইরালটি নিয়ে কাজ করছে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রোশে ফার্মাসিউটিক্যালস এবং অ্যাটিয়া ফার্মাসিউটিক্যালস।
এদিকে জাপানি সংস্থা শিওঙ্গি গত জুলাই থেকেই শুরু করেছে কোভিড পিলের প্রথম দফার ট্রায়াল। তবে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তাদের ওষুধ বাজারে আসতে আসতে ২০২২ সালের শেষ নাগাদ।
সবগুলো ওষুধই মূলত মানব কোষে ভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরির ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করে। মলনুপিরভিরের ক্ষেত্রে, যে এনজাইমটি ভাইরাসের জেনেটিক উপাদানের অনুলিপি তৈরি করে সেটিকে বহু ভুল করতে বাধ্য করা হয়, এতে ভাইরাসের পুনরুৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে রোগীর শরীরে ভাইরাল লোড (ভাইরাসের সংখ্যা) হ্রাস পায়, সংক্রমণের সময়কে সংক্ষিপ্ত হয় এবং যেসব বিপজ্জনক প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়া মৃত্যু ঘটানোর মতো গুরুতর অসুস্থতা তৈরি করে সেটি প্রতিরোধ করে এই ওষুধ।
ইঁদুরের শরীরে প্রাথমিক ট্রায়ালে দেখা গেছে, মলনুপিরভির সার্স-কোভ-২ (নভেল করোনাভাইরাস) দ্বারা সৃষ্ট রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। এটি আবিষ্কৃত হয় এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়। পরবর্তীতে রিজব্যাক এবং মার্ক বিষয়টি লুফে নেয়।
গত বসন্তে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ২০২ জন অংশ নেন। দেখা গেছে, মলনুপিরভির দ্রুত সংক্রামক ভাইরাসের মাত্রা হ্রাস করে। মার্কের প্রধান নির্বাহী রবার্ট ডেভিস চলতি মাসে বলেন, আগামী সপ্তাহে বৃহত্তর পরিসরে তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ফলাফল তাঁরা পাবেন বলে আশা করছেন। চলতি বছরের শেষ নাগাদ খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছ থেকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আর ফাইজার ১ সেপ্টেম্বর একসঙ্গে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু করেছে। আর অ্যাটিয়ার কর্মকর্তারা আশা করছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ফলাফল হাতে পাবেন। অর্থাৎ আশাই করা যায়, খুব শিগগিরই করোনা প্রতিরোধী মুখে খাওয়ার ওষুধ বাজারে আসছে। এর অর্থ হলো করোনা চিকিৎসায় মানুষ মাত্র পাঁচ থেকে ১০ দিনের একটি কোর্স পূর্ণ করলেই মোটামুটি নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন।
মহামারির শুরুর দিকে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া না হলেও যুক্তরাষ্ট্রে এখন এ নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। গত জুনে বাইডেন প্রশানসন প্রায় ১৭ লাখ ডলার মূল্যের ১২ মিলিয়ন কোর্স মলনুপিরভিরের পিল কেনার ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে অ্যান্টিভাইরাল প্রোগ্রামে ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করারও ঘোষণা দেওয়া হয়।
ওষুধগুলো নিঃসন্দেহে কার্যকর প্রমাণিত হলে কোভিড মহামারি মোকাবিলায় অবিশ্বাস্য অগ্রগিত হবে-এতে কোনো সন্দেহ নেই। সারা বিশ্বে এখন ব্যাপকভাবে টিকা কার্যক্রম চলছে। কিন্তু এটি অত্যন্ত সময় ও ব্যয় সাপেক্ষ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা উঠছে। এতোকিছুর পরও সম্পূর্ণ সুরক্ষার নিশ্চয়তা মিলছে না। অনেক দেশেই নতুন করে নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়ছে। সেক্ষেত্রে অ্যান্টিভাইরাল পিল অনেকের মনে স্বস্তি দিতে পারে। গুরুতর অসুস্থতা থেকে রক্ষার পাশাপাশি সংক্রমণ বিস্তারও ব্যাপক ভাবে কমাতে পারবে এই ওষুধ।

কোভিড চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত কিছুটা নির্ভরযোগ্য অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ হিসেবে রেমডিসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে কিছু দেশ। তবে শুধু গুরুতর ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে এটি ব্যবহার করার অনুমতি রয়েছে।
এবার সংক্রমণের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পর সাধারণ ফ্লুয়ের মতো ওষুধ খেয়ে কোভিড সারানোর সাফল্য অর্জন করতে যাচ্ছে মানুষ। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের প্রথমের দিকেই বাজারে আসবে করোনা প্রতিরোধী পিল। সেটি হলে, সাধারণ ভাইরাস জ্বরের মতো করোনার ওষুধও বাজারে কিনতে পাওয়া যাবে।
গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে বসবাসকারী গুরুতর কোভিড আক্রান্ত চল্লিশোর্ধ্ব এক দম্পতিকে বিশেষ একটি ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। কোভিড ধরা পড়ার পরপরই তাঁদের বাড়ির নিকটবর্তী ফ্রেড হাচ ক্যানসার গবেষণা কেন্দ্রে একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নিতে সম্মত হয়েছিলেন তাঁরা। সেখানেই তাঁদের দেওয়া হয় বিশেষ পিল। দিনে দুবার করে চারটি পিল খেতে বলা হয়েছে তাঁদের। অবশ্য তাঁদের বলা হয়নি এটি সত্যি ওষুধ নাকি প্লাসিবো ছিল। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের শরীরে কোভিডের লক্ষণগুলো মৃদু হতে শুরু করে এবং দ্রুতই তাঁরা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন।
মহামারিতে বিপর্যস্ত পৃথিবীর জন্য এই দম্পতির নাম হয়তো ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তাঁরা আশা দেখালেন যে, সাধারণ ওষুধের মতো মাত্র কয়েকদিন নিয়মিত ওষুধ সেবনেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জেতা সম্ভব।
এ ব্যাপারে নর্থ ক্যারোলাইনা-চ্যাপেল হিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট টিমোথি শেহান মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ওরাল অ্যান্টিভাইরাল গ্রহণের মাধ্যমে কেবল রোগীর উপসর্গগুলোরই দ্রুত উপশম সম্ভব নয়, তাঁর পরিবারের অন্যদেরও তাঁর কাছ থেকে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব। সিয়াটলে নতুন অ্যান্টিভাইরাল থেরাপিতে সহায়তা করেছেন টিমোথি।
হেপাটাইটিস সি এবং এইচআইভি/এইডসসহ অন্যান্য ভাইরাস সংক্রমণের জন্য বিভিন্ন অ্যান্টিভাইরাল এরই মধ্যে বেশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক পরিচিত একটি হলো তামিফ্লু। ইনফ্লুয়েঞ্জার সময়কালকে কমিয়ে আনা এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে এই ওষুধ।
মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে ভাইরাল সংক্রমণের চিকিৎসা ও প্রতিরোধের জন্য তৈরি ওষুধগুলো ভিন্নভাবে কাজ করে। কিন্তু সবগুলোই এমনভাবে তৈরি করা সম্ভব যে, তারা সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। রিসেপটরগুলোকে ব্লক করে দিতে পারে যাতে ভাইরাস নতুন করে সুস্থ কোষে প্রবেশ করতে না পারে। অথবা শরীরে সক্রিয় ভাইরাসের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে।
কোভিডের জন্য কমপক্ষে তিনটি প্রতিশ্রুতিশীল অ্যান্টিভাইরাল ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রয়েছে। আসছে শীতের পরপরই এই ওষুধগুলো বাজারে আসতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় অ্যালার্জি এবং সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউটের এইডস বিভাগের পরিচালক কার্ল ডাইফেনবাখ এমনটিই আশা করছেন। তিনি এই অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ তৈরির তত্ত্বাবধান করছেন।
‘মলনুপিরাভির’ নামের এমন একটি ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ নিয়ে কাজ করছে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা মেরেক। রিজব্যাক বায়ো থেরাপিউটিক্স নামের একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে ওই ওষুধ তৈরি হয়েছে। পৃথিবী জুড়ে চলছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। জাপানেও ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। অক্টোবরের মধ্যেই ট্রায়ালের চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিয়াটলে ওই দম্পতিকে এই ওষুধটিই দেওয়া হয়েছিল।
এই দৌড়ে রয়েছে কোভিড টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজারও। তারা দুই ধরনের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শরীরে নেওয়া এবং মুখে খাওয়ার দুটি ওষুধই সার্স প্রতিরোধে ২০০২ সালে ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই ওষুধকেই এবার কোভিড রোগীদের চিকিৎসাতেও ব্যবহার করতে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে ফাইজার।
তবে ফাইজার বলছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই, এমন রোগীদের ক্ষেত্রেই কেবল এটি ব্যবহারের উপযোগী হবে। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই এ ওষুধের ট্রায়ালের ফলাফল জানা যাবে। ফলাফল সন্তোষজনক হলে আগামী বছরের গোড়ার দিকেই এটির ব্যবহার শুরু হবে।
তৃতীয় অ্যান্টিভাইরালটি নিয়ে কাজ করছে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রোশে ফার্মাসিউটিক্যালস এবং অ্যাটিয়া ফার্মাসিউটিক্যালস।
এদিকে জাপানি সংস্থা শিওঙ্গি গত জুলাই থেকেই শুরু করেছে কোভিড পিলের প্রথম দফার ট্রায়াল। তবে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তাদের ওষুধ বাজারে আসতে আসতে ২০২২ সালের শেষ নাগাদ।
সবগুলো ওষুধই মূলত মানব কোষে ভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরির ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করে। মলনুপিরভিরের ক্ষেত্রে, যে এনজাইমটি ভাইরাসের জেনেটিক উপাদানের অনুলিপি তৈরি করে সেটিকে বহু ভুল করতে বাধ্য করা হয়, এতে ভাইরাসের পুনরুৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে রোগীর শরীরে ভাইরাল লোড (ভাইরাসের সংখ্যা) হ্রাস পায়, সংক্রমণের সময়কে সংক্ষিপ্ত হয় এবং যেসব বিপজ্জনক প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়া মৃত্যু ঘটানোর মতো গুরুতর অসুস্থতা তৈরি করে সেটি প্রতিরোধ করে এই ওষুধ।
ইঁদুরের শরীরে প্রাথমিক ট্রায়ালে দেখা গেছে, মলনুপিরভির সার্স-কোভ-২ (নভেল করোনাভাইরাস) দ্বারা সৃষ্ট রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। এটি আবিষ্কৃত হয় এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়। পরবর্তীতে রিজব্যাক এবং মার্ক বিষয়টি লুফে নেয়।
গত বসন্তে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ২০২ জন অংশ নেন। দেখা গেছে, মলনুপিরভির দ্রুত সংক্রামক ভাইরাসের মাত্রা হ্রাস করে। মার্কের প্রধান নির্বাহী রবার্ট ডেভিস চলতি মাসে বলেন, আগামী সপ্তাহে বৃহত্তর পরিসরে তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ফলাফল তাঁরা পাবেন বলে আশা করছেন। চলতি বছরের শেষ নাগাদ খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছ থেকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আর ফাইজার ১ সেপ্টেম্বর একসঙ্গে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু করেছে। আর অ্যাটিয়ার কর্মকর্তারা আশা করছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ফলাফল হাতে পাবেন। অর্থাৎ আশাই করা যায়, খুব শিগগিরই করোনা প্রতিরোধী মুখে খাওয়ার ওষুধ বাজারে আসছে। এর অর্থ হলো করোনা চিকিৎসায় মানুষ মাত্র পাঁচ থেকে ১০ দিনের একটি কোর্স পূর্ণ করলেই মোটামুটি নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন।
মহামারির শুরুর দিকে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া না হলেও যুক্তরাষ্ট্রে এখন এ নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। গত জুনে বাইডেন প্রশানসন প্রায় ১৭ লাখ ডলার মূল্যের ১২ মিলিয়ন কোর্স মলনুপিরভিরের পিল কেনার ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে অ্যান্টিভাইরাল প্রোগ্রামে ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করারও ঘোষণা দেওয়া হয়।
ওষুধগুলো নিঃসন্দেহে কার্যকর প্রমাণিত হলে কোভিড মহামারি মোকাবিলায় অবিশ্বাস্য অগ্রগিত হবে-এতে কোনো সন্দেহ নেই। সারা বিশ্বে এখন ব্যাপকভাবে টিকা কার্যক্রম চলছে। কিন্তু এটি অত্যন্ত সময় ও ব্যয় সাপেক্ষ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা উঠছে। এতোকিছুর পরও সম্পূর্ণ সুরক্ষার নিশ্চয়তা মিলছে না। অনেক দেশেই নতুন করে নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়ছে। সেক্ষেত্রে অ্যান্টিভাইরাল পিল অনেকের মনে স্বস্তি দিতে পারে। গুরুতর অসুস্থতা থেকে রক্ষার পাশাপাশি সংক্রমণ বিস্তারও ব্যাপক ভাবে কমাতে পারবে এই ওষুধ।

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
১ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৩ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
এ ছাড়া এক সপ্তাহে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে ১০ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৬ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬৯ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৩ জন।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৮১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
এ ছাড়া এক সপ্তাহে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে ১০ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৬ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬৯ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৩ জন।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৮১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

মহামারিতে বিপর্যস্ত পৃথিবীর জন্য এই দম্পতির নাম হয়তো ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তাঁরা আশা দেখালেন যে, সাধারণ ওষুধের মতো মাত্র কয়েকদিন নিয়মিত ওষুধ সেবনেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জেতা সম্ভব।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
১ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৩ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

মহামারিতে বিপর্যস্ত পৃথিবীর জন্য এই দম্পতির নাম হয়তো ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তাঁরা আশা দেখালেন যে, সাধারণ ওষুধের মতো মাত্র কয়েকদিন নিয়মিত ওষুধ সেবনেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জেতা সম্ভব।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
৭ ঘণ্টা আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৩ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৩ দিন আগেডা. পূজা সাহা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

মহামারিতে বিপর্যস্ত পৃথিবীর জন্য এই দম্পতির নাম হয়তো ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তাঁরা আশা দেখালেন যে, সাধারণ ওষুধের মতো মাত্র কয়েকদিন নিয়মিত ওষুধ সেবনেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জেতা সম্ভব।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
১ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৩ দিন আগেডা. মো. নূর আলম

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

মহামারিতে বিপর্যস্ত পৃথিবীর জন্য এই দম্পতির নাম হয়তো ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তাঁরা আশা দেখালেন যে, সাধারণ ওষুধের মতো মাত্র কয়েকদিন নিয়মিত ওষুধ সেবনেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জেতা সম্ভব।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
১ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৩ দিন আগে