আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বে প্রথমবারের মতো এক শিশুকে দেওয়া হলো ব্যক্তিনিদির্ষ্ট জিন এডিটিং চিকিৎসা। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ‘চিলড্রেনস হসপিটাল অব ফিলাডেলফিয়া’য় কে জে মুলডুন নামের ১০ মাস বয়সী শিশুকে এই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে এবং ধীরে ধীরে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে।
জন্মের পর মুলডুনের ধরা পড়ে বিরল ও প্রাণঘাতী এক জেনেটিক রোগ। শিশুটির শরীরে কার্বাময়েল ফসফেট সিনথেটেজ ১ (সিপিএস-১) নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম তৈরিতে সমস্যা হচ্ছিল। বাবা-মায়ের কাছ থেকে দুটি মিউটেশন পেয়েছিল মুলডন, যার ফলে প্রোটিন ভাঙার সময় উৎপন্ন হওয়া নাইট্রোজেনযুক্ত যৌগ প্রক্রিয়াজাত করতে পারত না তার শরীর। তাই তার রক্তে অ্যামোনিয়া জমে যেত, যা মস্তিষ্কের জন্য বিষাক্তকর।
ফিলাডেলফিয়ার চিলড্রেনস হসপিটালের শিশু চিকিৎসক রেবেকা আহরেন্স-নিকলাস বলেন, ‘আমরা এখনই এটাকে “সারিয়ে তোলা” বলতে পারি না। এটা এখনো অনেক প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সময়ের সঙ্গে আমরা আরও শিখছি।’
মুলডুনের জন্য এই বিশেষ চিকিৎসা তৈরি করতে আন্তর্জাতিকভাবে গবেষকেরা, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ও কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করে। মাত্র ছয় মাসেই তারা এই জিন সম্পাদনার ওষুধ তৈরি করতে সক্ষম হয়। এই চিকিৎসা কেজের শরীরের একদম নির্দিষ্ট জিনের ত্রুটি অনুযায়ী বানানো হয়েছে, তাই এই ওষুধ অন্য কারও কাজে লাগবে না।
চিকিৎসা পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘বেস এডিটিং’ নামের একটি উন্নত ক্রিস্পার (ক্লাস্টার্ড রেগুলারলি শর্ট প্লেইনডর্মিক রিপিটস) পদ্ধতি, যা ডিএনএতে সূক্ষ্ম পরিবর্তন আনতে সক্ষম। এই পদ্ধতির মাধ্যমে কেজের মিউটেশন সংশোধন করার চেষ্টা করা হয়।
উল্লেখ্য, ক্রিস্পার একটি জৈব প্রযুক্তি, যা বিজ্ঞানীদের নির্দিষ্ট জিন বা ডিএনএর অংশ কেটে, বদলে বা ঠিক করে দিতে সাহায্য করে। এটি জীবের জিনগত উপাদানে সূক্ষ্ম ও নির্ভুল পরিবর্তন আনার সুযোগ দেয়।
গত ১৫ মে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়, এই ওষুধ শুধু মুলডুনের জেনেটিক কোড অনুসারে তৈরি করা হয়েছে এবং এটি আর কোনো রোগীর জন্য ব্যবহারযোগ্য হবে না।
তবু এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ জিন সম্পাদনা প্রযুক্তির মাধ্যমে অতি দুর্লভ জেনেটিক রোগের চিকিৎসায় নতুন আশা জাগিয়েছে। ভারতের বেঙ্গালুরুর নারায়ণ নেত্রালয় আই হসপিটালের জিন থেরাপি গবেষক আরকাসুভ্র ঘোষ বলেন, ‘সব ধরনের জিন ও কোষের থেরাপির জন্য এটাই ভবিষ্যৎ। এটা নিঃসন্দেহে খুব উত্তেজনাপূর্ণ অগ্রগতি।’
এর আগেও সিকল সেল অ্যানিমিয়ার মতো বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য ক্রিস্প পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তবে সে সব থেরাপি ছিল বহু রোগীর জন্য তৈরি, যেখানে মিউটেশন ভিন্ন হলেও লক্ষণ এক। অথচ মুলডুনের জন্য তৈরি থেরাপিটি ছিল একান্তই তার জন্য তৈরি, তার জেনেটিক কোড অনুযায়ী।
সিপিএস-১ ঘাটতির সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা হলো লিভার ট্রান্সপ্লান্ট। তবে মুলডুন সেই বয়সে পৌঁছায়নি, যেখানে এই অস্ত্রোপচার সম্ভব। এর মধ্যে প্রতিটি দিন ছিল মৃত্যুর বা মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতির ঝুঁকি। কেননা, এই রোগে আক্রান্ত অর্ধেক শিশুই লিভার প্রতিস্থাপনের আগেই মারা যায়।
এই সময় আরেন্স-নিকলাস ও তার সহকর্মীরা নতুন একটি সম্ভাবনার কথা ভাবলেন। তারা আগে থেকেই একটি জিন সম্পাদনার পদ্ধতি ‘বেস এডিটিং’ নিয়ে কাজ করছিলেন, যা ডিএনএর একটি নির্দিষ্ট অক্ষর পরিবর্তন করতে পারে। এভাবেই তারা দ্রুত ও নিরাপদে একটি ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট থেরাপি তৈরি করতে পারবে কি না, তা যাচাই করছিলেন।
মুলডুনের বাবা-মায়ের সম্মতিতে শুরু হলো একটি বিশাল উদ্যোগ। গবেষকেরা বেছে নিলেন সবচেয়ে কার্যকর বেস-এডিটিং পদ্ধতি এবং তা পরীক্ষা করলেন ইঁদুর ও বানরের ওপর। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের প্রযুক্তি ও উপকরণ দান করল। মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) দ্রুততার সঙ্গে ওষুধটির মূল্যায়ন সম্পন্ন করল। এভাবে মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই মুলডুন পেয়ে গেল প্রথম ডোজ।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের শিশু চিকিৎসক ওয়াসিম কাসিম বলেন, এই ঘটনাকে ‘অবিশ্বাস্য একটি অর্জন’ বলে আখ্যা করেন।
প্রথম ডোজের পর মুলডুন বয়স অনুযায়ী প্রোটিন খেতে পারছিল, তবে তখনো ওষুধের মাধ্যমে অ্যামোনিয়ার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হতো। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর ওষুধের মাত্রা কমানো গেলেও পুরোপুরি ছাড়ানো সম্ভব হয়নি।
পরবর্তীতে তাকে দেওয়া হলো তৃতীয় ও শেষ ডোজ। এখন ধীরে ধীরে তার ওষুধের মাত্রা কমানো হচ্ছে, জানালেন আরেন্স-নিকলাস।
এ ধরনের একক রোগীর জন্য তৈরি থেরাপি সবার জন্য কতটা ব্যবহারযোগ্য তা এখনো স্পষ্ট নয়। কারণ, অনেক রোগীর জন্য তৈরি জিন থেরাপিও অনেক ব্যয়বহুল।
তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি বিস্তৃতভাবে প্রয়োগ করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং চ্যালেঞ্জিং। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, এটি ভবিষ্যতের জিন ও কোষ থেরাপির পথ দেখাতে পারে।
কেজের মা নিকোল মুলডুন বলেন, ‘সেদিন হসপিটাল রুমে ঢুকে দেখি সে নিজের হাতে বসে আছে। আমরা ভাবতেই পারিনি এমনটা কোনো দিন সম্ভব হবে।’

বিশ্বে প্রথমবারের মতো এক শিশুকে দেওয়া হলো ব্যক্তিনিদির্ষ্ট জিন এডিটিং চিকিৎসা। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ‘চিলড্রেনস হসপিটাল অব ফিলাডেলফিয়া’য় কে জে মুলডুন নামের ১০ মাস বয়সী শিশুকে এই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে এবং ধীরে ধীরে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে।
জন্মের পর মুলডুনের ধরা পড়ে বিরল ও প্রাণঘাতী এক জেনেটিক রোগ। শিশুটির শরীরে কার্বাময়েল ফসফেট সিনথেটেজ ১ (সিপিএস-১) নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম তৈরিতে সমস্যা হচ্ছিল। বাবা-মায়ের কাছ থেকে দুটি মিউটেশন পেয়েছিল মুলডন, যার ফলে প্রোটিন ভাঙার সময় উৎপন্ন হওয়া নাইট্রোজেনযুক্ত যৌগ প্রক্রিয়াজাত করতে পারত না তার শরীর। তাই তার রক্তে অ্যামোনিয়া জমে যেত, যা মস্তিষ্কের জন্য বিষাক্তকর।
ফিলাডেলফিয়ার চিলড্রেনস হসপিটালের শিশু চিকিৎসক রেবেকা আহরেন্স-নিকলাস বলেন, ‘আমরা এখনই এটাকে “সারিয়ে তোলা” বলতে পারি না। এটা এখনো অনেক প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সময়ের সঙ্গে আমরা আরও শিখছি।’
মুলডুনের জন্য এই বিশেষ চিকিৎসা তৈরি করতে আন্তর্জাতিকভাবে গবেষকেরা, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ও কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করে। মাত্র ছয় মাসেই তারা এই জিন সম্পাদনার ওষুধ তৈরি করতে সক্ষম হয়। এই চিকিৎসা কেজের শরীরের একদম নির্দিষ্ট জিনের ত্রুটি অনুযায়ী বানানো হয়েছে, তাই এই ওষুধ অন্য কারও কাজে লাগবে না।
চিকিৎসা পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘বেস এডিটিং’ নামের একটি উন্নত ক্রিস্পার (ক্লাস্টার্ড রেগুলারলি শর্ট প্লেইনডর্মিক রিপিটস) পদ্ধতি, যা ডিএনএতে সূক্ষ্ম পরিবর্তন আনতে সক্ষম। এই পদ্ধতির মাধ্যমে কেজের মিউটেশন সংশোধন করার চেষ্টা করা হয়।
উল্লেখ্য, ক্রিস্পার একটি জৈব প্রযুক্তি, যা বিজ্ঞানীদের নির্দিষ্ট জিন বা ডিএনএর অংশ কেটে, বদলে বা ঠিক করে দিতে সাহায্য করে। এটি জীবের জিনগত উপাদানে সূক্ষ্ম ও নির্ভুল পরিবর্তন আনার সুযোগ দেয়।
গত ১৫ মে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়, এই ওষুধ শুধু মুলডুনের জেনেটিক কোড অনুসারে তৈরি করা হয়েছে এবং এটি আর কোনো রোগীর জন্য ব্যবহারযোগ্য হবে না।
তবু এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ জিন সম্পাদনা প্রযুক্তির মাধ্যমে অতি দুর্লভ জেনেটিক রোগের চিকিৎসায় নতুন আশা জাগিয়েছে। ভারতের বেঙ্গালুরুর নারায়ণ নেত্রালয় আই হসপিটালের জিন থেরাপি গবেষক আরকাসুভ্র ঘোষ বলেন, ‘সব ধরনের জিন ও কোষের থেরাপির জন্য এটাই ভবিষ্যৎ। এটা নিঃসন্দেহে খুব উত্তেজনাপূর্ণ অগ্রগতি।’
এর আগেও সিকল সেল অ্যানিমিয়ার মতো বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য ক্রিস্প পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তবে সে সব থেরাপি ছিল বহু রোগীর জন্য তৈরি, যেখানে মিউটেশন ভিন্ন হলেও লক্ষণ এক। অথচ মুলডুনের জন্য তৈরি থেরাপিটি ছিল একান্তই তার জন্য তৈরি, তার জেনেটিক কোড অনুযায়ী।
সিপিএস-১ ঘাটতির সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা হলো লিভার ট্রান্সপ্লান্ট। তবে মুলডুন সেই বয়সে পৌঁছায়নি, যেখানে এই অস্ত্রোপচার সম্ভব। এর মধ্যে প্রতিটি দিন ছিল মৃত্যুর বা মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতির ঝুঁকি। কেননা, এই রোগে আক্রান্ত অর্ধেক শিশুই লিভার প্রতিস্থাপনের আগেই মারা যায়।
এই সময় আরেন্স-নিকলাস ও তার সহকর্মীরা নতুন একটি সম্ভাবনার কথা ভাবলেন। তারা আগে থেকেই একটি জিন সম্পাদনার পদ্ধতি ‘বেস এডিটিং’ নিয়ে কাজ করছিলেন, যা ডিএনএর একটি নির্দিষ্ট অক্ষর পরিবর্তন করতে পারে। এভাবেই তারা দ্রুত ও নিরাপদে একটি ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট থেরাপি তৈরি করতে পারবে কি না, তা যাচাই করছিলেন।
মুলডুনের বাবা-মায়ের সম্মতিতে শুরু হলো একটি বিশাল উদ্যোগ। গবেষকেরা বেছে নিলেন সবচেয়ে কার্যকর বেস-এডিটিং পদ্ধতি এবং তা পরীক্ষা করলেন ইঁদুর ও বানরের ওপর। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের প্রযুক্তি ও উপকরণ দান করল। মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) দ্রুততার সঙ্গে ওষুধটির মূল্যায়ন সম্পন্ন করল। এভাবে মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই মুলডুন পেয়ে গেল প্রথম ডোজ।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের শিশু চিকিৎসক ওয়াসিম কাসিম বলেন, এই ঘটনাকে ‘অবিশ্বাস্য একটি অর্জন’ বলে আখ্যা করেন।
প্রথম ডোজের পর মুলডুন বয়স অনুযায়ী প্রোটিন খেতে পারছিল, তবে তখনো ওষুধের মাধ্যমে অ্যামোনিয়ার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হতো। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর ওষুধের মাত্রা কমানো গেলেও পুরোপুরি ছাড়ানো সম্ভব হয়নি।
পরবর্তীতে তাকে দেওয়া হলো তৃতীয় ও শেষ ডোজ। এখন ধীরে ধীরে তার ওষুধের মাত্রা কমানো হচ্ছে, জানালেন আরেন্স-নিকলাস।
এ ধরনের একক রোগীর জন্য তৈরি থেরাপি সবার জন্য কতটা ব্যবহারযোগ্য তা এখনো স্পষ্ট নয়। কারণ, অনেক রোগীর জন্য তৈরি জিন থেরাপিও অনেক ব্যয়বহুল।
তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি বিস্তৃতভাবে প্রয়োগ করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং চ্যালেঞ্জিং। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, এটি ভবিষ্যতের জিন ও কোষ থেরাপির পথ দেখাতে পারে।
কেজের মা নিকোল মুলডুন বলেন, ‘সেদিন হসপিটাল রুমে ঢুকে দেখি সে নিজের হাতে বসে আছে। আমরা ভাবতেই পারিনি এমনটা কোনো দিন সম্ভব হবে।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বে প্রথমবারের মতো এক শিশুকে দেওয়া হলো ব্যক্তিনিদির্ষ্ট জিন এডিটিং চিকিৎসা। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ‘চিলড্রেনস হসপিটাল অব ফিলাডেলফিয়া’য় কে জে মুলডুন নামের ১০ মাস বয়সী শিশুকে এই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে এবং ধীরে ধীরে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে।
জন্মের পর মুলডুনের ধরা পড়ে বিরল ও প্রাণঘাতী এক জেনেটিক রোগ। শিশুটির শরীরে কার্বাময়েল ফসফেট সিনথেটেজ ১ (সিপিএস-১) নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম তৈরিতে সমস্যা হচ্ছিল। বাবা-মায়ের কাছ থেকে দুটি মিউটেশন পেয়েছিল মুলডন, যার ফলে প্রোটিন ভাঙার সময় উৎপন্ন হওয়া নাইট্রোজেনযুক্ত যৌগ প্রক্রিয়াজাত করতে পারত না তার শরীর। তাই তার রক্তে অ্যামোনিয়া জমে যেত, যা মস্তিষ্কের জন্য বিষাক্তকর।
ফিলাডেলফিয়ার চিলড্রেনস হসপিটালের শিশু চিকিৎসক রেবেকা আহরেন্স-নিকলাস বলেন, ‘আমরা এখনই এটাকে “সারিয়ে তোলা” বলতে পারি না। এটা এখনো অনেক প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সময়ের সঙ্গে আমরা আরও শিখছি।’
মুলডুনের জন্য এই বিশেষ চিকিৎসা তৈরি করতে আন্তর্জাতিকভাবে গবেষকেরা, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ও কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করে। মাত্র ছয় মাসেই তারা এই জিন সম্পাদনার ওষুধ তৈরি করতে সক্ষম হয়। এই চিকিৎসা কেজের শরীরের একদম নির্দিষ্ট জিনের ত্রুটি অনুযায়ী বানানো হয়েছে, তাই এই ওষুধ অন্য কারও কাজে লাগবে না।
চিকিৎসা পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘বেস এডিটিং’ নামের একটি উন্নত ক্রিস্পার (ক্লাস্টার্ড রেগুলারলি শর্ট প্লেইনডর্মিক রিপিটস) পদ্ধতি, যা ডিএনএতে সূক্ষ্ম পরিবর্তন আনতে সক্ষম। এই পদ্ধতির মাধ্যমে কেজের মিউটেশন সংশোধন করার চেষ্টা করা হয়।
উল্লেখ্য, ক্রিস্পার একটি জৈব প্রযুক্তি, যা বিজ্ঞানীদের নির্দিষ্ট জিন বা ডিএনএর অংশ কেটে, বদলে বা ঠিক করে দিতে সাহায্য করে। এটি জীবের জিনগত উপাদানে সূক্ষ্ম ও নির্ভুল পরিবর্তন আনার সুযোগ দেয়।
গত ১৫ মে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়, এই ওষুধ শুধু মুলডুনের জেনেটিক কোড অনুসারে তৈরি করা হয়েছে এবং এটি আর কোনো রোগীর জন্য ব্যবহারযোগ্য হবে না।
তবু এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ জিন সম্পাদনা প্রযুক্তির মাধ্যমে অতি দুর্লভ জেনেটিক রোগের চিকিৎসায় নতুন আশা জাগিয়েছে। ভারতের বেঙ্গালুরুর নারায়ণ নেত্রালয় আই হসপিটালের জিন থেরাপি গবেষক আরকাসুভ্র ঘোষ বলেন, ‘সব ধরনের জিন ও কোষের থেরাপির জন্য এটাই ভবিষ্যৎ। এটা নিঃসন্দেহে খুব উত্তেজনাপূর্ণ অগ্রগতি।’
এর আগেও সিকল সেল অ্যানিমিয়ার মতো বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য ক্রিস্প পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তবে সে সব থেরাপি ছিল বহু রোগীর জন্য তৈরি, যেখানে মিউটেশন ভিন্ন হলেও লক্ষণ এক। অথচ মুলডুনের জন্য তৈরি থেরাপিটি ছিল একান্তই তার জন্য তৈরি, তার জেনেটিক কোড অনুযায়ী।
সিপিএস-১ ঘাটতির সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা হলো লিভার ট্রান্সপ্লান্ট। তবে মুলডুন সেই বয়সে পৌঁছায়নি, যেখানে এই অস্ত্রোপচার সম্ভব। এর মধ্যে প্রতিটি দিন ছিল মৃত্যুর বা মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতির ঝুঁকি। কেননা, এই রোগে আক্রান্ত অর্ধেক শিশুই লিভার প্রতিস্থাপনের আগেই মারা যায়।
এই সময় আরেন্স-নিকলাস ও তার সহকর্মীরা নতুন একটি সম্ভাবনার কথা ভাবলেন। তারা আগে থেকেই একটি জিন সম্পাদনার পদ্ধতি ‘বেস এডিটিং’ নিয়ে কাজ করছিলেন, যা ডিএনএর একটি নির্দিষ্ট অক্ষর পরিবর্তন করতে পারে। এভাবেই তারা দ্রুত ও নিরাপদে একটি ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট থেরাপি তৈরি করতে পারবে কি না, তা যাচাই করছিলেন।
মুলডুনের বাবা-মায়ের সম্মতিতে শুরু হলো একটি বিশাল উদ্যোগ। গবেষকেরা বেছে নিলেন সবচেয়ে কার্যকর বেস-এডিটিং পদ্ধতি এবং তা পরীক্ষা করলেন ইঁদুর ও বানরের ওপর। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের প্রযুক্তি ও উপকরণ দান করল। মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) দ্রুততার সঙ্গে ওষুধটির মূল্যায়ন সম্পন্ন করল। এভাবে মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই মুলডুন পেয়ে গেল প্রথম ডোজ।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের শিশু চিকিৎসক ওয়াসিম কাসিম বলেন, এই ঘটনাকে ‘অবিশ্বাস্য একটি অর্জন’ বলে আখ্যা করেন।
প্রথম ডোজের পর মুলডুন বয়স অনুযায়ী প্রোটিন খেতে পারছিল, তবে তখনো ওষুধের মাধ্যমে অ্যামোনিয়ার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হতো। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর ওষুধের মাত্রা কমানো গেলেও পুরোপুরি ছাড়ানো সম্ভব হয়নি।
পরবর্তীতে তাকে দেওয়া হলো তৃতীয় ও শেষ ডোজ। এখন ধীরে ধীরে তার ওষুধের মাত্রা কমানো হচ্ছে, জানালেন আরেন্স-নিকলাস।
এ ধরনের একক রোগীর জন্য তৈরি থেরাপি সবার জন্য কতটা ব্যবহারযোগ্য তা এখনো স্পষ্ট নয়। কারণ, অনেক রোগীর জন্য তৈরি জিন থেরাপিও অনেক ব্যয়বহুল।
তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি বিস্তৃতভাবে প্রয়োগ করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং চ্যালেঞ্জিং। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, এটি ভবিষ্যতের জিন ও কোষ থেরাপির পথ দেখাতে পারে।
কেজের মা নিকোল মুলডুন বলেন, ‘সেদিন হসপিটাল রুমে ঢুকে দেখি সে নিজের হাতে বসে আছে। আমরা ভাবতেই পারিনি এমনটা কোনো দিন সম্ভব হবে।’

বিশ্বে প্রথমবারের মতো এক শিশুকে দেওয়া হলো ব্যক্তিনিদির্ষ্ট জিন এডিটিং চিকিৎসা। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ‘চিলড্রেনস হসপিটাল অব ফিলাডেলফিয়া’য় কে জে মুলডুন নামের ১০ মাস বয়সী শিশুকে এই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে এবং ধীরে ধীরে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে।
জন্মের পর মুলডুনের ধরা পড়ে বিরল ও প্রাণঘাতী এক জেনেটিক রোগ। শিশুটির শরীরে কার্বাময়েল ফসফেট সিনথেটেজ ১ (সিপিএস-১) নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম তৈরিতে সমস্যা হচ্ছিল। বাবা-মায়ের কাছ থেকে দুটি মিউটেশন পেয়েছিল মুলডন, যার ফলে প্রোটিন ভাঙার সময় উৎপন্ন হওয়া নাইট্রোজেনযুক্ত যৌগ প্রক্রিয়াজাত করতে পারত না তার শরীর। তাই তার রক্তে অ্যামোনিয়া জমে যেত, যা মস্তিষ্কের জন্য বিষাক্তকর।
ফিলাডেলফিয়ার চিলড্রেনস হসপিটালের শিশু চিকিৎসক রেবেকা আহরেন্স-নিকলাস বলেন, ‘আমরা এখনই এটাকে “সারিয়ে তোলা” বলতে পারি না। এটা এখনো অনেক প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সময়ের সঙ্গে আমরা আরও শিখছি।’
মুলডুনের জন্য এই বিশেষ চিকিৎসা তৈরি করতে আন্তর্জাতিকভাবে গবেষকেরা, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ও কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করে। মাত্র ছয় মাসেই তারা এই জিন সম্পাদনার ওষুধ তৈরি করতে সক্ষম হয়। এই চিকিৎসা কেজের শরীরের একদম নির্দিষ্ট জিনের ত্রুটি অনুযায়ী বানানো হয়েছে, তাই এই ওষুধ অন্য কারও কাজে লাগবে না।
চিকিৎসা পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘বেস এডিটিং’ নামের একটি উন্নত ক্রিস্পার (ক্লাস্টার্ড রেগুলারলি শর্ট প্লেইনডর্মিক রিপিটস) পদ্ধতি, যা ডিএনএতে সূক্ষ্ম পরিবর্তন আনতে সক্ষম। এই পদ্ধতির মাধ্যমে কেজের মিউটেশন সংশোধন করার চেষ্টা করা হয়।
উল্লেখ্য, ক্রিস্পার একটি জৈব প্রযুক্তি, যা বিজ্ঞানীদের নির্দিষ্ট জিন বা ডিএনএর অংশ কেটে, বদলে বা ঠিক করে দিতে সাহায্য করে। এটি জীবের জিনগত উপাদানে সূক্ষ্ম ও নির্ভুল পরিবর্তন আনার সুযোগ দেয়।
গত ১৫ মে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়, এই ওষুধ শুধু মুলডুনের জেনেটিক কোড অনুসারে তৈরি করা হয়েছে এবং এটি আর কোনো রোগীর জন্য ব্যবহারযোগ্য হবে না।
তবু এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ জিন সম্পাদনা প্রযুক্তির মাধ্যমে অতি দুর্লভ জেনেটিক রোগের চিকিৎসায় নতুন আশা জাগিয়েছে। ভারতের বেঙ্গালুরুর নারায়ণ নেত্রালয় আই হসপিটালের জিন থেরাপি গবেষক আরকাসুভ্র ঘোষ বলেন, ‘সব ধরনের জিন ও কোষের থেরাপির জন্য এটাই ভবিষ্যৎ। এটা নিঃসন্দেহে খুব উত্তেজনাপূর্ণ অগ্রগতি।’
এর আগেও সিকল সেল অ্যানিমিয়ার মতো বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য ক্রিস্প পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তবে সে সব থেরাপি ছিল বহু রোগীর জন্য তৈরি, যেখানে মিউটেশন ভিন্ন হলেও লক্ষণ এক। অথচ মুলডুনের জন্য তৈরি থেরাপিটি ছিল একান্তই তার জন্য তৈরি, তার জেনেটিক কোড অনুযায়ী।
সিপিএস-১ ঘাটতির সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা হলো লিভার ট্রান্সপ্লান্ট। তবে মুলডুন সেই বয়সে পৌঁছায়নি, যেখানে এই অস্ত্রোপচার সম্ভব। এর মধ্যে প্রতিটি দিন ছিল মৃত্যুর বা মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতির ঝুঁকি। কেননা, এই রোগে আক্রান্ত অর্ধেক শিশুই লিভার প্রতিস্থাপনের আগেই মারা যায়।
এই সময় আরেন্স-নিকলাস ও তার সহকর্মীরা নতুন একটি সম্ভাবনার কথা ভাবলেন। তারা আগে থেকেই একটি জিন সম্পাদনার পদ্ধতি ‘বেস এডিটিং’ নিয়ে কাজ করছিলেন, যা ডিএনএর একটি নির্দিষ্ট অক্ষর পরিবর্তন করতে পারে। এভাবেই তারা দ্রুত ও নিরাপদে একটি ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট থেরাপি তৈরি করতে পারবে কি না, তা যাচাই করছিলেন।
মুলডুনের বাবা-মায়ের সম্মতিতে শুরু হলো একটি বিশাল উদ্যোগ। গবেষকেরা বেছে নিলেন সবচেয়ে কার্যকর বেস-এডিটিং পদ্ধতি এবং তা পরীক্ষা করলেন ইঁদুর ও বানরের ওপর। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের প্রযুক্তি ও উপকরণ দান করল। মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) দ্রুততার সঙ্গে ওষুধটির মূল্যায়ন সম্পন্ন করল। এভাবে মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই মুলডুন পেয়ে গেল প্রথম ডোজ।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের শিশু চিকিৎসক ওয়াসিম কাসিম বলেন, এই ঘটনাকে ‘অবিশ্বাস্য একটি অর্জন’ বলে আখ্যা করেন।
প্রথম ডোজের পর মুলডুন বয়স অনুযায়ী প্রোটিন খেতে পারছিল, তবে তখনো ওষুধের মাধ্যমে অ্যামোনিয়ার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হতো। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর ওষুধের মাত্রা কমানো গেলেও পুরোপুরি ছাড়ানো সম্ভব হয়নি।
পরবর্তীতে তাকে দেওয়া হলো তৃতীয় ও শেষ ডোজ। এখন ধীরে ধীরে তার ওষুধের মাত্রা কমানো হচ্ছে, জানালেন আরেন্স-নিকলাস।
এ ধরনের একক রোগীর জন্য তৈরি থেরাপি সবার জন্য কতটা ব্যবহারযোগ্য তা এখনো স্পষ্ট নয়। কারণ, অনেক রোগীর জন্য তৈরি জিন থেরাপিও অনেক ব্যয়বহুল।
তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি বিস্তৃতভাবে প্রয়োগ করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং চ্যালেঞ্জিং। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, এটি ভবিষ্যতের জিন ও কোষ থেরাপির পথ দেখাতে পারে।
কেজের মা নিকোল মুলডুন বলেন, ‘সেদিন হসপিটাল রুমে ঢুকে দেখি সে নিজের হাতে বসে আছে। আমরা ভাবতেই পারিনি এমনটা কোনো দিন সম্ভব হবে।’

বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
১ দিন আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
২ দিন আগে
বাংলাদেশে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯১ জন এইডস ভাইরাসে (এইচআইভি) আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। দেশে প্রথম চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে বছরওয়ারি হিসাবে এটাই সর্বোচ্চ এইচআইভি সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা। একই সময়ে দেশে এইডসে মারা গেছে ২১৯ জন। আজ সোমবার বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্ট
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
এদিকে দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা রয়েছে আন্দোলনকারীদের। তবে কঠোর এই কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে গতকাল রাতে বৈঠকে বসেছেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতির কারণে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়লেও দাবি আদায়ে দিনভর কঠোর অবস্থানে ছিলেন তাঁরা। কর্মবিরতির সময় হাসপাতালের জরুরি সেবা চালু থাকলেও অনেককে সেবা না পেয়ে চলে যেতে দেখা গেছে।
আন্দোলনরতরা জানান, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দীর্ঘদিনেও বিষয়টির সমাধান হয়নি। এর আগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা নার্স ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। ফলে দাবি আদায়ে এবার কঠোর কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে যায়। এসব সেবাপ্রার্থীর বড় অংশ ঢাকার বাইরে থেকে আসে। টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের গতকালের কর্মবিরতির কারণে অনেকে চিকিৎসা না পেয়ে চলে যায়।
বিভিন্ন স্থানে দিনভর ভোগান্তি
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সেবা বন্ধ রেখে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। এতে ভোগান্তিতে পড়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
কর্মবিরতি চলাকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ফার্মেসিতে বিনা মূল্যে সরকারি ওষুধ বিতরণ, রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামসহ রোগনির্ণয়ের বিভিন্ন সেবাকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। এ সময় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সেবাকেন্দ্রগুলোয় কর্মবিরতির ব্যানার ঝুলছিল। তবে হাসপাতালের অন্যান্য সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। চমেক হাসপাতালে রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের একজন কর্মচারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কর্মবিরতির ফলে এক্স-রে করা সাময়িক বন্ধ ছিল।
একই দাবিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও নার্সদের মতো তাঁদেরও চাকরিগত মর্যাদা দশম গ্রেডে উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ সদরে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ বিতরণ বন্ধ ছিল।
আবদুল্লাহ নামের এক রোগী বলেন, ‘সিটি স্ক্যান করানোর জন্য এসেছিলাম। এসে শুনি, কর্মবিরতি দিয়েছে। এ জন্য ফিরে যাচ্ছি।’
উল্লাপাড়ার আনিসুর নামের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘কোমরে ব্যথা। তাই ডাক্তারের কাছে এসেছি। এসে শুনি, দুপুরের আগে চিকিৎসা হবে না।’
একই দাবিতে রাজবাড়ীতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা। কর্মবিরতি কর্মসূচিতে দাবি আদায় না হলে ৪ ডিসেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের মাধ্যমে হাসপাতাল শাটডাউন ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
এদিকে দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা রয়েছে আন্দোলনকারীদের। তবে কঠোর এই কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে গতকাল রাতে বৈঠকে বসেছেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতির কারণে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়লেও দাবি আদায়ে দিনভর কঠোর অবস্থানে ছিলেন তাঁরা। কর্মবিরতির সময় হাসপাতালের জরুরি সেবা চালু থাকলেও অনেককে সেবা না পেয়ে চলে যেতে দেখা গেছে।
আন্দোলনরতরা জানান, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দীর্ঘদিনেও বিষয়টির সমাধান হয়নি। এর আগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা নার্স ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। ফলে দাবি আদায়ে এবার কঠোর কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে যায়। এসব সেবাপ্রার্থীর বড় অংশ ঢাকার বাইরে থেকে আসে। টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের গতকালের কর্মবিরতির কারণে অনেকে চিকিৎসা না পেয়ে চলে যায়।
বিভিন্ন স্থানে দিনভর ভোগান্তি
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সেবা বন্ধ রেখে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। এতে ভোগান্তিতে পড়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
কর্মবিরতি চলাকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ফার্মেসিতে বিনা মূল্যে সরকারি ওষুধ বিতরণ, রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামসহ রোগনির্ণয়ের বিভিন্ন সেবাকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। এ সময় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সেবাকেন্দ্রগুলোয় কর্মবিরতির ব্যানার ঝুলছিল। তবে হাসপাতালের অন্যান্য সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। চমেক হাসপাতালে রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের একজন কর্মচারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কর্মবিরতির ফলে এক্স-রে করা সাময়িক বন্ধ ছিল।
একই দাবিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও নার্সদের মতো তাঁদেরও চাকরিগত মর্যাদা দশম গ্রেডে উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ সদরে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ বিতরণ বন্ধ ছিল।
আবদুল্লাহ নামের এক রোগী বলেন, ‘সিটি স্ক্যান করানোর জন্য এসেছিলাম। এসে শুনি, কর্মবিরতি দিয়েছে। এ জন্য ফিরে যাচ্ছি।’
উল্লাপাড়ার আনিসুর নামের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘কোমরে ব্যথা। তাই ডাক্তারের কাছে এসেছি। এসে শুনি, দুপুরের আগে চিকিৎসা হবে না।’
একই দাবিতে রাজবাড়ীতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা। কর্মবিরতি কর্মসূচিতে দাবি আদায় না হলে ৪ ডিসেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের মাধ্যমে হাসপাতাল শাটডাউন ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

বিশ্বে প্রথমবারের মতো এক শিশুকে দেওয়া হলো ব্যক্তিনিদির্ষ্ট জিন এডিটিং চিকিৎসা। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ‘চিলড্রেনস হসপিটাল অব ফিলাডেলফিয়া’ তে কে. জে মুলডুন নামের ১০ মাস বয়সী শিশুকে এই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে এবং ধীরে ধীরে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে।
১৭ মে ২০২৫
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
১ দিন আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
২ দিন আগে
বাংলাদেশে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯১ জন এইডস ভাইরাসে (এইচআইভি) আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। দেশে প্রথম চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে বছরওয়ারি হিসাবে এটাই সর্বোচ্চ এইচআইভি সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা। একই সময়ে দেশে এইডসে মারা গেছে ২১৯ জন। আজ সোমবার বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্ট
২ দিন আগেমুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র। কারণ হাসপাতালে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগার ১ শতাংশেরও কম।
হাসপাতাল পরিচালনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবন্ধীবান্ধব শৌচাগার একটি হাসপাতালের মৌলিক পরিকাঠামোর অংশ হওয়া উচিত। তবে দেশে এ ধরনের সুবিধার মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ঘাটতি বেশি। ফলে রোগীরা শুধু ভোগান্তিতেই পড়ছেন না; বরং গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিরও সম্মুখীন হচ্ছেন। দীর্ঘ সময় শৌচাগার ব্যবহার করতে না পারার ফলে কিডনি জটিলতা, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (মূত্রনালি সংক্রমণ) ও পানিশূন্যতাসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিষয়ক গবেষণা প্রকাশনা সংস্থা পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্সের প্লস ওয়ান সাময়িকীতে বাংলাদেশে হাসপাতালের শৌচাগার নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ পায়। গবেষণার শিরোনাম ‘ইনঅ্যাডিক্যুইট স্যানিটেশন ইন হেলথকেয়ার ফ্যাসিলিটিজ: অ্যা কম্প্রিহেনসিভ ইভ্যালুয়েশন অব টয়লেটস ইন মেজর হাসপাতাল ইন ঢাকা, বাংলাদেশ’। গবেষণাটি করেছেন অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের নয়জন গবেষক।
গবেষণায় রাজধানীর ১০টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪৫৯টি শৌচাগার পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগারের সংখ্যা মাত্র ১০টি, যা ১ শতাংশেরও কম বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। প্রায় ৯৯ শতাংশ শৌচাগার হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী বা চলাফেরায় সীমাবদ্ধ রোগীদের জন্য ব্যবহারযোগ্য নয়। অধিকাংশ শৌচাগারে দরজা সংকীর্ণ, কমোডের উচ্চতা অনুপযুক্ত, গ্র্যাব-বার বা হাতল নেই এবং প্রবেশপথে র্যাম্পের সুবিধাও নেই। ফলে প্রতিবন্ধী রোগীরা শৌচাগার ব্যবহার করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি এবং নিরাপত্তাহীনতায় পড়েন।
দেশে ক্যানসার রোগীদের জন্য সর্বোচ্চ সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ঘুরে এখানকার দুটি ভবনের কোথাও প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার পাওয়া যায়নি।
একইভাবে হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য সরকারের বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের তিনটি ভবনের কোথাও নেই প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার। তাঁদের জন্য আলাদা শৌচাগার না থাকার কথা স্বীকার করেন এই হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ভর্তি রোগীরা বেডসাইড টয়লেট ব্যবহার করেন। বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য নতুন যেসব ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য শৌচাগার, হুইলচেয়ার বা শয্যাসহ ওঠানামার জন্য প্রয়োজনীয় র্যাম্প রাখা প্রয়োজন।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত শয্যার ২-৩ গুণ রোগী ভর্তি থাকেন। দৈনিক বহির্বিভাগে রোগী আসেন সক্ষমতার ৪-৫ গুণ। স্বাভাবিক রোগীদের জন্য উন্নত শৌচাগারের ব্যবস্থাপনা নেই। প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্যও আলাদা শৌচাগার রাখা যায়নি। তবে আমরা এ বিষয়ে পরিকল্পনা করছি।’

দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র। কারণ হাসপাতালে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগার ১ শতাংশেরও কম।
হাসপাতাল পরিচালনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবন্ধীবান্ধব শৌচাগার একটি হাসপাতালের মৌলিক পরিকাঠামোর অংশ হওয়া উচিত। তবে দেশে এ ধরনের সুবিধার মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ঘাটতি বেশি। ফলে রোগীরা শুধু ভোগান্তিতেই পড়ছেন না; বরং গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিরও সম্মুখীন হচ্ছেন। দীর্ঘ সময় শৌচাগার ব্যবহার করতে না পারার ফলে কিডনি জটিলতা, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (মূত্রনালি সংক্রমণ) ও পানিশূন্যতাসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিষয়ক গবেষণা প্রকাশনা সংস্থা পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্সের প্লস ওয়ান সাময়িকীতে বাংলাদেশে হাসপাতালের শৌচাগার নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ পায়। গবেষণার শিরোনাম ‘ইনঅ্যাডিক্যুইট স্যানিটেশন ইন হেলথকেয়ার ফ্যাসিলিটিজ: অ্যা কম্প্রিহেনসিভ ইভ্যালুয়েশন অব টয়লেটস ইন মেজর হাসপাতাল ইন ঢাকা, বাংলাদেশ’। গবেষণাটি করেছেন অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের নয়জন গবেষক।
গবেষণায় রাজধানীর ১০টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪৫৯টি শৌচাগার পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগারের সংখ্যা মাত্র ১০টি, যা ১ শতাংশেরও কম বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। প্রায় ৯৯ শতাংশ শৌচাগার হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী বা চলাফেরায় সীমাবদ্ধ রোগীদের জন্য ব্যবহারযোগ্য নয়। অধিকাংশ শৌচাগারে দরজা সংকীর্ণ, কমোডের উচ্চতা অনুপযুক্ত, গ্র্যাব-বার বা হাতল নেই এবং প্রবেশপথে র্যাম্পের সুবিধাও নেই। ফলে প্রতিবন্ধী রোগীরা শৌচাগার ব্যবহার করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি এবং নিরাপত্তাহীনতায় পড়েন।
দেশে ক্যানসার রোগীদের জন্য সর্বোচ্চ সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ঘুরে এখানকার দুটি ভবনের কোথাও প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার পাওয়া যায়নি।
একইভাবে হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য সরকারের বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের তিনটি ভবনের কোথাও নেই প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার। তাঁদের জন্য আলাদা শৌচাগার না থাকার কথা স্বীকার করেন এই হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ভর্তি রোগীরা বেডসাইড টয়লেট ব্যবহার করেন। বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য নতুন যেসব ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য শৌচাগার, হুইলচেয়ার বা শয্যাসহ ওঠানামার জন্য প্রয়োজনীয় র্যাম্প রাখা প্রয়োজন।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত শয্যার ২-৩ গুণ রোগী ভর্তি থাকেন। দৈনিক বহির্বিভাগে রোগী আসেন সক্ষমতার ৪-৫ গুণ। স্বাভাবিক রোগীদের জন্য উন্নত শৌচাগারের ব্যবস্থাপনা নেই। প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্যও আলাদা শৌচাগার রাখা যায়নি। তবে আমরা এ বিষয়ে পরিকল্পনা করছি।’

বিশ্বে প্রথমবারের মতো এক শিশুকে দেওয়া হলো ব্যক্তিনিদির্ষ্ট জিন এডিটিং চিকিৎসা। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ‘চিলড্রেনস হসপিটাল অব ফিলাডেলফিয়া’ তে কে. জে মুলডুন নামের ১০ মাস বয়সী শিশুকে এই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে এবং ধীরে ধীরে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে।
১৭ মে ২০২৫
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
৯ ঘণ্টা আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
২ দিন আগে
বাংলাদেশে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯১ জন এইডস ভাইরাসে (এইচআইভি) আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। দেশে প্রথম চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে বছরওয়ারি হিসাবে এটাই সর্বোচ্চ এইচআইভি সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা। একই সময়ে দেশে এইডসে মারা গেছে ২১৯ জন। আজ সোমবার বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্ট
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩৮৬ জনের মৃত্যু হলো। আর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৫ হাজার ৫৭৭। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা পুরুষ। তাঁদে বয়স যথাক্রমে ৫৫ ও ৬৫ বছর।
চলতি বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বর মাসে। ওই মাসে ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগে অক্টোবর মাসে ৮০ জন ও সেপ্টেম্বর মাসে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৫, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৮৮ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছে।

দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩৮৬ জনের মৃত্যু হলো। আর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৫ হাজার ৫৭৭। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা পুরুষ। তাঁদে বয়স যথাক্রমে ৫৫ ও ৬৫ বছর।
চলতি বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বর মাসে। ওই মাসে ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগে অক্টোবর মাসে ৮০ জন ও সেপ্টেম্বর মাসে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৫, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৮৮ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছে।

বিশ্বে প্রথমবারের মতো এক শিশুকে দেওয়া হলো ব্যক্তিনিদির্ষ্ট জিন এডিটিং চিকিৎসা। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ‘চিলড্রেনস হসপিটাল অব ফিলাডেলফিয়া’ তে কে. জে মুলডুন নামের ১০ মাস বয়সী শিশুকে এই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে এবং ধীরে ধীরে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে।
১৭ মে ২০২৫
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
১ দিন আগে
বাংলাদেশে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯১ জন এইডস ভাইরাসে (এইচআইভি) আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। দেশে প্রথম চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে বছরওয়ারি হিসাবে এটাই সর্বোচ্চ এইচআইভি সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা। একই সময়ে দেশে এইডসে মারা গেছে ২১৯ জন। আজ সোমবার বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্ট
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯১ জন এইডস ভাইরাসে (এইচআইভি) আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। দেশে প্রথম চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে বছরওয়ারি হিসাবে এটাই সর্বোচ্চ এইচআইভি সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা। একই সময়ে দেশে এইডসে মারা গেছে ২১৯ জন। আজ সোমবার বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় এইডস/এসটিডি কন্ট্রোল শাখা আলোচনা সভার আয়োজন করে। এ বছরের বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘সব বাধা দূর করি, এইডসমুক্ত সমাজ গড়ি’।
কোনো ব্যক্তি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে একপর্যায়ে তার এইডস হতে পারে। মারাত্মক এই ভাইরাস ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলে। কোনো রোগের বিরুদ্ধেই শরীর লড়তে পারে না। সেই অবস্থাকে বলা হয় এইডস রোগ। এইচআইভির বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর প্রতিষেধক দীর্ঘদিনের চেষ্টায়ও তৈরি করা সম্ভব হয়নি। প্রতিরোধই এই রোগের বিস্তার ঠেকানোর প্রধান অস্ত্র।
সরকারের তথ্য বলছে, এ বছরের প্রায় ২ হাজার শনাক্তের মধ্যে ২১৭ জনই মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর। দেশে বর্তমানে এইডস ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মোট সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৮০। দেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তি শনাক্ত হয়। এরপর প্রতিবছর এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া গেছে। দু-এক বছর আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও সামগ্রিকভাবে দিনে দিনে বেড়েছে।
চলতি বছরের আক্রান্তের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরে দেশে এইচআইভি শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের ৮১ শতাংশই পুরুষ। এ ছাড়া সংক্রমিত ব্যক্তির অর্ধেক পুরুষ সমকামী ও পুরুষ যৌনকর্মী।
প্রসঙ্গত, এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে অনিরাপদ শারীরিক মিলন, চিকিৎসার সময় এই ভাইরাসে সংক্রমিত রক্ত নেওয়ার মাধ্যমে এইচআইভি ছড়াতে পারে। অন্যের ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ বা সেলুনের সংক্রমিত ক্ষুর-কাঁচির মাধ্যমেও ছড়ায় এই ভাইরাস।
অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এইডস/এসটিডি কর্মসূচি) ডা. মো. খায়রুজ্জামান বলেন, ‘দেশে অনুমিত এইচআইভি সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৮০। এর ৮১.৮৮ শতাংশকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এ পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৪ শতাংশ চিকিৎসার আওতায় আছে। আর যারা চিকিৎসা নিচ্ছে, তাদের ৯১ শতাংশের শরীরে ভাইরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আছে।’
ডা. মো. খায়রুজ্জামান জানান, দেশে এ পর্যন্ত এইচআইভি শনাক্ত মানুষের মধ্যে ৮ হাজার ৩০০ জন চিকিৎসাধীন। এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৬৬৬ জন।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের বছর
বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। এরপর প্রতিবছর এই ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তি পাওয়া গেছে। ২০২০ সালে করোনার ব্যাপক সংক্রমণের বছর বাদ দিলে গত ১০ বছরে এইচআইভি শনাক্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত বছর শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪৩৮। এ বছর সংখ্যাটি ১ হাজার ৮৯১ জন; যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২১ সালে শনাক্ত হয় ৭২৯ জন, ২০২২ সালে ৯৪৭ জন, ২০২৩ সালে ১ হাজার ২৭৬ জন এবং ২০২৪ সালে ১ হাজার ৪৩৮ জন। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ২০৫, ২৩২, ২৬৬ এবং ১৯৫ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর শনাক্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি (৬২.৬১ শতাংশ) হচ্ছে ২৫-৪৯ বছর বয়সের। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৪ শতাংশ পুরুষ সমকামী, এরপর ১৪ শতাংশ পুরুষ যৌনকর্মী, ১২ শতাংশ প্রবাসী, ১১ শতাংশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, মাদক সেবনকারী ৬ শতাংশ, তৃতীয় লিঙ্গ ও নারী যৌনকর্মী ১ শতাংশ করে। এ ছাড়া অন্যান্য ১১ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ৬৫০ জন ভাইরাস বাহক শনাক্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭৬ জন ও খুলনা বিভাগে ২০৮ জন।
আলোচনা সভার প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, দেশে এইডস রোগের প্রকৃত পরিস্থিতি কী, যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা কতটা নির্ভরযোগ্য—এসব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এখন ১৭ হাজারের বেশি এইচআইভির বাহক রয়েছে।
মহাপরিচালক বলেন, ‘শনাক্তের বাইরে এখনো অনেক রোগী রয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে আমাদের খুব সতর্ক হতে হবে। কত রোগী শনাক্তের বাইরে রয়ে গেছে, তা জানতে জনবল বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যবস্থাপনায় আরও জোর দিতে হবে।’
বেশির ভাগ এইডস রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয় না। তাঁরা নির্ধারিত কেন্দ্র থেকে নিয়মিত ওষুধ নিয়ে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারেন। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট ওষুধ সেবনের মাধ্যমেই কেবল এইডসের ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এর চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। তবে দেশে শুধু সরকারি পর্যায়েই এইচআইভির চিকিৎসা রয়েছে। ২৭টি সরকারি কেন্দ্রে শনাক্তকরণ এবং ১৩টি কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ভর্তি থেকে চিকিৎসার সুযোগ আছে কেবল রাজধানীর মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে।

বাংলাদেশে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯১ জন এইডস ভাইরাসে (এইচআইভি) আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। দেশে প্রথম চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে বছরওয়ারি হিসাবে এটাই সর্বোচ্চ এইচআইভি সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা। একই সময়ে দেশে এইডসে মারা গেছে ২১৯ জন। আজ সোমবার বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় এইডস/এসটিডি কন্ট্রোল শাখা আলোচনা সভার আয়োজন করে। এ বছরের বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘সব বাধা দূর করি, এইডসমুক্ত সমাজ গড়ি’।
কোনো ব্যক্তি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে একপর্যায়ে তার এইডস হতে পারে। মারাত্মক এই ভাইরাস ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলে। কোনো রোগের বিরুদ্ধেই শরীর লড়তে পারে না। সেই অবস্থাকে বলা হয় এইডস রোগ। এইচআইভির বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর প্রতিষেধক দীর্ঘদিনের চেষ্টায়ও তৈরি করা সম্ভব হয়নি। প্রতিরোধই এই রোগের বিস্তার ঠেকানোর প্রধান অস্ত্র।
সরকারের তথ্য বলছে, এ বছরের প্রায় ২ হাজার শনাক্তের মধ্যে ২১৭ জনই মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর। দেশে বর্তমানে এইডস ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মোট সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৮০। দেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তি শনাক্ত হয়। এরপর প্রতিবছর এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া গেছে। দু-এক বছর আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও সামগ্রিকভাবে দিনে দিনে বেড়েছে।
চলতি বছরের আক্রান্তের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরে দেশে এইচআইভি শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের ৮১ শতাংশই পুরুষ। এ ছাড়া সংক্রমিত ব্যক্তির অর্ধেক পুরুষ সমকামী ও পুরুষ যৌনকর্মী।
প্রসঙ্গত, এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে অনিরাপদ শারীরিক মিলন, চিকিৎসার সময় এই ভাইরাসে সংক্রমিত রক্ত নেওয়ার মাধ্যমে এইচআইভি ছড়াতে পারে। অন্যের ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ বা সেলুনের সংক্রমিত ক্ষুর-কাঁচির মাধ্যমেও ছড়ায় এই ভাইরাস।
অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এইডস/এসটিডি কর্মসূচি) ডা. মো. খায়রুজ্জামান বলেন, ‘দেশে অনুমিত এইচআইভি সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৮০। এর ৮১.৮৮ শতাংশকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এ পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৪ শতাংশ চিকিৎসার আওতায় আছে। আর যারা চিকিৎসা নিচ্ছে, তাদের ৯১ শতাংশের শরীরে ভাইরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আছে।’
ডা. মো. খায়রুজ্জামান জানান, দেশে এ পর্যন্ত এইচআইভি শনাক্ত মানুষের মধ্যে ৮ হাজার ৩০০ জন চিকিৎসাধীন। এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৬৬৬ জন।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের বছর
বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। এরপর প্রতিবছর এই ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তি পাওয়া গেছে। ২০২০ সালে করোনার ব্যাপক সংক্রমণের বছর বাদ দিলে গত ১০ বছরে এইচআইভি শনাক্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত বছর শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪৩৮। এ বছর সংখ্যাটি ১ হাজার ৮৯১ জন; যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২১ সালে শনাক্ত হয় ৭২৯ জন, ২০২২ সালে ৯৪৭ জন, ২০২৩ সালে ১ হাজার ২৭৬ জন এবং ২০২৪ সালে ১ হাজার ৪৩৮ জন। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ২০৫, ২৩২, ২৬৬ এবং ১৯৫ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর শনাক্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি (৬২.৬১ শতাংশ) হচ্ছে ২৫-৪৯ বছর বয়সের। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৪ শতাংশ পুরুষ সমকামী, এরপর ১৪ শতাংশ পুরুষ যৌনকর্মী, ১২ শতাংশ প্রবাসী, ১১ শতাংশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, মাদক সেবনকারী ৬ শতাংশ, তৃতীয় লিঙ্গ ও নারী যৌনকর্মী ১ শতাংশ করে। এ ছাড়া অন্যান্য ১১ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ৬৫০ জন ভাইরাস বাহক শনাক্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭৬ জন ও খুলনা বিভাগে ২০৮ জন।
আলোচনা সভার প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, দেশে এইডস রোগের প্রকৃত পরিস্থিতি কী, যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা কতটা নির্ভরযোগ্য—এসব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এখন ১৭ হাজারের বেশি এইচআইভির বাহক রয়েছে।
মহাপরিচালক বলেন, ‘শনাক্তের বাইরে এখনো অনেক রোগী রয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে আমাদের খুব সতর্ক হতে হবে। কত রোগী শনাক্তের বাইরে রয়ে গেছে, তা জানতে জনবল বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যবস্থাপনায় আরও জোর দিতে হবে।’
বেশির ভাগ এইডস রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয় না। তাঁরা নির্ধারিত কেন্দ্র থেকে নিয়মিত ওষুধ নিয়ে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারেন। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট ওষুধ সেবনের মাধ্যমেই কেবল এইডসের ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এর চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। তবে দেশে শুধু সরকারি পর্যায়েই এইচআইভির চিকিৎসা রয়েছে। ২৭টি সরকারি কেন্দ্রে শনাক্তকরণ এবং ১৩টি কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ভর্তি থেকে চিকিৎসার সুযোগ আছে কেবল রাজধানীর মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে।

বিশ্বে প্রথমবারের মতো এক শিশুকে দেওয়া হলো ব্যক্তিনিদির্ষ্ট জিন এডিটিং চিকিৎসা। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ‘চিলড্রেনস হসপিটাল অব ফিলাডেলফিয়া’ তে কে. জে মুলডুন নামের ১০ মাস বয়সী শিশুকে এই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে এবং ধীরে ধীরে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে।
১৭ মে ২০২৫
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
১ দিন আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
২ দিন আগে