নাঈমা ইসলাম অন্তরা
ধরুন, কারও প্রিয়জন তাঁকে ছেড়ে চলে গেছেন। মনঃকষ্টে থাকা মানুষটি কীভাবে অনুভূতি প্রকাশ করবেন বুঝতে পারছেন না। ঠিক তখনই যদি তাঁর কানের কাছে হৈমন্তী শুক্লার গাওয়া ‘আমার বলার কিছু ছিল না।/ চেয়ে চেয়ে দেখলাম তুমি চলে গেলে...’ গানটি বেজে ওঠে, তাহলে ওই ব্যক্তি কেমন অনুভব করবেন? তিনি কি তাঁর অনুভূতিকে এই গানের মধ্যে খুঁজে পেয়ে কিছুটা ভালো বোধ করবেন, নাকি আরও বেশি দুঃখ পাবেন? বিষয়টি আমরা কখনো
ভেবে দেখিনি।
যদিও গবেষণায় উঠে এসেছে যে হতাশাগ্রস্ত লোকেরা বিষণ্ন সংগীত বা গান বেশি শুনে থাকেন ভালো বোধ করার জন্য। এটি প্রমাণিত হয়েছে যে যারা ইতিমধ্যেই হতাশ, তারা দুঃখের গান শুনে আরও ইতিবাচকভাবে সেন্টিমেন্টাল হয় এবং তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে। যেমন জীবনযুদ্ধে পোড় খাওয়া কোনো মানুষের কাছে সুবীর নন্দীর গাওয়া, ‘আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি।/ আমায় আর কান্নার ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই...’ গানটি অনেকটা ইতিবাচক শক্তির জোগান দেবে। গবেষণায় প্রমাণিত, মানসিক দুঃখ-কষ্টের মধ্যে থাকা মানুষকে এসব গান ভালো একটা অনুভূতি দেয়। কারণ
এ ধরনের গানের মধ্যে লুকিয়ে থাকে তাদের বলতে না-পারা কথামালা।
২০১৫ সালে ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ফ্লোরিডার গবেষকেরা ৭৬ জন নারী আন্ডারগ্র্যাডকে, যাঁদের অর্ধেক বিষণ্ণতায় আক্রান্ত ছিলেন, বিভিন্ন শাস্ত্রীয় সংগীতের ক্লিপ শুনে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানাতে বলেছিলেন। ওই সার্ভেতে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে তাঁরা দুঃখের সংগীত শুনতে চান বেশি। তাঁরা বলেছেন, দুঃখের সংগীত তাঁদের সাময়িক সুখী করে তোলে।গবেষণাটি এ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে যে দুঃখিত লোকেরা দুঃখজনক সংগীতশোনেন, যাতে তাঁরা নিজেকে আরও বিষণ্ন করে তোলেন।
আমাদের কাছে এটির কোনো বিশদ বিবরণ নেই যে কেন হতাশাগ্রস্ত লোকেরা দুঃখের গান পছন্দ করে, যেটা স্বাভাবিক মানুষ খুব একটা করে না। যা হোক, এই গবেষণা মনের চিকিৎসায় সংগীত থেরাপি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব রাখে। প্রশিক্ষিত মিউজিক থেরাপিস্টরা গান গেয়ে, গান শুনে বা একসঙ্গে বাজানোর মাধ্যমে রোগীদের সঙ্গে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ায় সংগীতের ব্যবহার করে থাকেন। এমনকি এটি ব্যথা উপশম থেকে শুরু করে ক্যানসার রোগীদের সাহায্য করার জন্যও ব্যবহার করা হয়। গবেষণায় এটি প্রমাণিত যে বিষণ্নতায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য এই সংগীত থেরাপি অন্তত স্বল্পমেয়াদি সুবিধা বেশ ভালোমতো দিয়ে থাকে। এই গবেষণার ফলে ভাবা যায়, ভবিষ্যতে হয়তো দুঃখের গানের প্রতি মানুষ আরও বেশি মনোযোগ দেবে।
লেখক: সাইকোলজিস্ট ও ট্রেইনার
ধরুন, কারও প্রিয়জন তাঁকে ছেড়ে চলে গেছেন। মনঃকষ্টে থাকা মানুষটি কীভাবে অনুভূতি প্রকাশ করবেন বুঝতে পারছেন না। ঠিক তখনই যদি তাঁর কানের কাছে হৈমন্তী শুক্লার গাওয়া ‘আমার বলার কিছু ছিল না।/ চেয়ে চেয়ে দেখলাম তুমি চলে গেলে...’ গানটি বেজে ওঠে, তাহলে ওই ব্যক্তি কেমন অনুভব করবেন? তিনি কি তাঁর অনুভূতিকে এই গানের মধ্যে খুঁজে পেয়ে কিছুটা ভালো বোধ করবেন, নাকি আরও বেশি দুঃখ পাবেন? বিষয়টি আমরা কখনো
ভেবে দেখিনি।
যদিও গবেষণায় উঠে এসেছে যে হতাশাগ্রস্ত লোকেরা বিষণ্ন সংগীত বা গান বেশি শুনে থাকেন ভালো বোধ করার জন্য। এটি প্রমাণিত হয়েছে যে যারা ইতিমধ্যেই হতাশ, তারা দুঃখের গান শুনে আরও ইতিবাচকভাবে সেন্টিমেন্টাল হয় এবং তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে। যেমন জীবনযুদ্ধে পোড় খাওয়া কোনো মানুষের কাছে সুবীর নন্দীর গাওয়া, ‘আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি।/ আমায় আর কান্নার ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই...’ গানটি অনেকটা ইতিবাচক শক্তির জোগান দেবে। গবেষণায় প্রমাণিত, মানসিক দুঃখ-কষ্টের মধ্যে থাকা মানুষকে এসব গান ভালো একটা অনুভূতি দেয়। কারণ
এ ধরনের গানের মধ্যে লুকিয়ে থাকে তাদের বলতে না-পারা কথামালা।
২০১৫ সালে ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ফ্লোরিডার গবেষকেরা ৭৬ জন নারী আন্ডারগ্র্যাডকে, যাঁদের অর্ধেক বিষণ্ণতায় আক্রান্ত ছিলেন, বিভিন্ন শাস্ত্রীয় সংগীতের ক্লিপ শুনে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানাতে বলেছিলেন। ওই সার্ভেতে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে তাঁরা দুঃখের সংগীত শুনতে চান বেশি। তাঁরা বলেছেন, দুঃখের সংগীত তাঁদের সাময়িক সুখী করে তোলে।গবেষণাটি এ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে যে দুঃখিত লোকেরা দুঃখজনক সংগীতশোনেন, যাতে তাঁরা নিজেকে আরও বিষণ্ন করে তোলেন।
আমাদের কাছে এটির কোনো বিশদ বিবরণ নেই যে কেন হতাশাগ্রস্ত লোকেরা দুঃখের গান পছন্দ করে, যেটা স্বাভাবিক মানুষ খুব একটা করে না। যা হোক, এই গবেষণা মনের চিকিৎসায় সংগীত থেরাপি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব রাখে। প্রশিক্ষিত মিউজিক থেরাপিস্টরা গান গেয়ে, গান শুনে বা একসঙ্গে বাজানোর মাধ্যমে রোগীদের সঙ্গে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ায় সংগীতের ব্যবহার করে থাকেন। এমনকি এটি ব্যথা উপশম থেকে শুরু করে ক্যানসার রোগীদের সাহায্য করার জন্যও ব্যবহার করা হয়। গবেষণায় এটি প্রমাণিত যে বিষণ্নতায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য এই সংগীত থেরাপি অন্তত স্বল্পমেয়াদি সুবিধা বেশ ভালোমতো দিয়ে থাকে। এই গবেষণার ফলে ভাবা যায়, ভবিষ্যতে হয়তো দুঃখের গানের প্রতি মানুষ আরও বেশি মনোযোগ দেবে।
লেখক: সাইকোলজিস্ট ও ট্রেইনার
সচেতনতার অভাবে নবজাতককে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রবণতা কমার কারণে নবজাতক মৃত্যুর হার বাড়ছে বলে জানিয়েছেন একদল বিশেষজ্ঞ। তাঁরা বলছেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকেরা মিলে কৌটা দুধের বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তারা এসব দুধ নবজাতককে খাওয়ানোর জন্য প্ররোচিত করে। ফলে নবজাতককে বুকের দু
১৭ ঘণ্টা আগেগরমে স্বস্তির অপর নাম এসি। বাইরে যখন তাপমাত্রা অসহনীয়, তখন ঘরের মধ্যে শীতল বাতাস যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। শুধু আরামই নয়, এসি ব্যবহারে ঘরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অনেকেই আছেন যারা গরমে গরমে কষ্ট করেও এসি ব্যবহার করেন না। তাঁদের বিশ্বাস, এসি থেকে অসুস্থ হওয়া যায়। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে...
১ দিন আগেডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অনুমোদিত করোনারি স্টেন্টের (হার্টের রিং) দাম আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
২ দিন আগে