রাশেদ রাব্বি, ঢাকা
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ রাখতে চিকিৎসক মুখে খাওয়ার ওষুধ, এমনকি ইনসুলিন দেন। মুখে খাওয়ার ওষুধের মধ্যে এম্পাগ্লিফ্লোজিন জাতীয় ওষুধ অন্যতম। তবে এ ধরনের ওষুধ কিডনির ওপর মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কিডনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের প্রায় ২৫ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগী কিডনি বিকলজনিত জটিলতায় ভুগছেন। এই সমস্যাকে মূলত ডায়াবেটিক নেফ্রপ্যাথি বলা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকি জানুন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন’। ১৯৯১ সালে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশন ১৪ নভেম্বরকে ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। জাতিসংঘের স্বীকৃত দিবস হিসেবে ২০০৭ থেকে এই দিবসটি পালিত হচ্ছে। ১৪ নভেম্বর ইনসুলিনের আবিষ্কারক ফ্রেডেরিক ব্যান্টিংয়ের জন্মদিন।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে প্রকাশিত এম্পাগ্লিফ্লোজিন-বিষয়ক গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, এই ওষুধের বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম কিডনির তীব্র জটিলতা। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসজনিত অন্ত্রের জটিলতা, নারী ও পুরুষের যৌনাঙ্গে সংক্রমণ, ফোর্নিয়ার গ্যাংগ্রিন ইত্যাদি।
বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিতে কর্মরত একজন ওষুধ প্রযুক্তিবিদ বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকেরা ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় এম্পাগ্লিফ্লোজিনের ব্যবহার সাধারণ পর্যায়ে নামিয়ে এনেছেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁরা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিবেচনা না করেই রোগীর ব্যবস্থাপত্রে এত বেশি ওষুধের পরামর্শ দেন, যা রোগীর জন্য মঙ্গলজনক নয়।
আজকের পত্রিকার হাতে এমন ব্যবস্থাপত্রও রয়েছে, যেখানে ইনসুলিনের পাশাপাশি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পাঁচটি পৃথক মুখে খাওয়ার ওষুধের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের ইউরোলজি বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, কিডনি বিশেষজ্ঞদের কাছে যেসব ডায়াবেটিস রোগী আসেন, তাঁদের প্রায় ২৫ শতাংশেরই কিডনি বিকল। এসব রোগীর ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তাঁদের সবাই এম্পাগ্লিফ্লোজিন জাতীয় ওষুধ সেবন করেছেন। তিনি বলেন, ডায়াবেটিস রোগীদের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এম্পাগ্লিফ্লোজিন জাতীয় ওষুধ সেই ঝুঁকি প্রশমনে কার্যকর। সেই বিবেচনায় চিকিৎসকেরা এই ওষুধের ব্যাপক ব্যবহার করে থাকেন।
বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহজাদা সেলিমের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন। এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার হিসাবে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। আগামী চার বছরে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। শাহজাদা সেলিম বলেন, শহর ও গ্রামে প্রায় সমানভাবে বেড়ে চলেছে ডায়াবেটিস রোগী। এখনই ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ রাখতে চিকিৎসক মুখে খাওয়ার ওষুধ, এমনকি ইনসুলিন দেন। মুখে খাওয়ার ওষুধের মধ্যে এম্পাগ্লিফ্লোজিন জাতীয় ওষুধ অন্যতম। তবে এ ধরনের ওষুধ কিডনির ওপর মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কিডনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের প্রায় ২৫ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগী কিডনি বিকলজনিত জটিলতায় ভুগছেন। এই সমস্যাকে মূলত ডায়াবেটিক নেফ্রপ্যাথি বলা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকি জানুন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন’। ১৯৯১ সালে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশন ১৪ নভেম্বরকে ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। জাতিসংঘের স্বীকৃত দিবস হিসেবে ২০০৭ থেকে এই দিবসটি পালিত হচ্ছে। ১৪ নভেম্বর ইনসুলিনের আবিষ্কারক ফ্রেডেরিক ব্যান্টিংয়ের জন্মদিন।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে প্রকাশিত এম্পাগ্লিফ্লোজিন-বিষয়ক গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, এই ওষুধের বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম কিডনির তীব্র জটিলতা। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসজনিত অন্ত্রের জটিলতা, নারী ও পুরুষের যৌনাঙ্গে সংক্রমণ, ফোর্নিয়ার গ্যাংগ্রিন ইত্যাদি।
বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিতে কর্মরত একজন ওষুধ প্রযুক্তিবিদ বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকেরা ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় এম্পাগ্লিফ্লোজিনের ব্যবহার সাধারণ পর্যায়ে নামিয়ে এনেছেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁরা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিবেচনা না করেই রোগীর ব্যবস্থাপত্রে এত বেশি ওষুধের পরামর্শ দেন, যা রোগীর জন্য মঙ্গলজনক নয়।
আজকের পত্রিকার হাতে এমন ব্যবস্থাপত্রও রয়েছে, যেখানে ইনসুলিনের পাশাপাশি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পাঁচটি পৃথক মুখে খাওয়ার ওষুধের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের ইউরোলজি বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, কিডনি বিশেষজ্ঞদের কাছে যেসব ডায়াবেটিস রোগী আসেন, তাঁদের প্রায় ২৫ শতাংশেরই কিডনি বিকল। এসব রোগীর ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তাঁদের সবাই এম্পাগ্লিফ্লোজিন জাতীয় ওষুধ সেবন করেছেন। তিনি বলেন, ডায়াবেটিস রোগীদের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এম্পাগ্লিফ্লোজিন জাতীয় ওষুধ সেই ঝুঁকি প্রশমনে কার্যকর। সেই বিবেচনায় চিকিৎসকেরা এই ওষুধের ব্যাপক ব্যবহার করে থাকেন।
বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহজাদা সেলিমের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন। এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার হিসাবে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। আগামী চার বছরে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। শাহজাদা সেলিম বলেন, শহর ও গ্রামে প্রায় সমানভাবে বেড়ে চলেছে ডায়াবেটিস রোগী। এখনই ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময়ের গবেষণার পর কিডনি প্রতিস্থাপনে এক বড় অগ্রগতির খুব কাছাকাছি পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার এমন এক যুগান্তকারী সাফল্যের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যাতে দাতার ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ আলাদা হলেও কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হতে পারে। এতে অপেক্ষার সময় অনেক কমবে, আর অসংখ্য প্রাণ বাঁচানো যাবে।
২ ঘণ্টা আগেআজ সোমবার (২০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনই পুরুষ।
৩ ঘণ্টা আগেএকটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
২ দিন আগেজাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের তরুণ বলা হয়। বাংলাদেশে তরুণের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমানে এই তরুণদের মধ্যেও বিভিন্ন রকমের নন-কমিউনিকেবল রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। আগে মনে করা হতো, ডায়াবেটিস বয়স্ক মানুষের রোগ।
২ দিন আগে