ডা. ইমনুল ইসলাম ইমন
ব্রেথ হোল্ডিং অ্যাটাক বা শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া শিশুর এক ভিন্ন রকম আচরণ। এটি আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয় বাবা-মাসহ পরিবারের সবার মনে।
সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য কোনো সুস্থ শিশু কাঁদতে কাঁদতে হঠাৎ শ্বাস বন্ধ হয়ে একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে। এ কারণে অনেক সময় শিশুর হাত-পা শক্ত হয়ে যেতে দেখা যায়। এ অবস্থাকে অনেকে শিশুর ‘দম আটকে যাওয়া’ বলে থাকেন। বিষয়টি যখন চোখের সামনে ঘটে, তখন সবার মনে ভয় ছড়িয়ে গেলেও শিশুর এই আচরণ খুব একটা ক্ষতিকর নয়। যখন শিশুরা হঠাৎ রাগ করে, হতাশ হয়, অবাক হয়, ভয় পেয়ে যায় কিংবা ব্যথা পায়; তখন তাদের শ্বাস ছাড়া ও নেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় স্নায়ুতন্ত্র শিশুর শ্বাসের গতি এবং হৃৎপিণ্ডের গতি কমিয়ে দেয় কিছু সময়ের জন্য। শিশু নিজে এ অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এটি শিশুর মস্তিষ্কের একটি বিশেষ প্রতিক্রিয়া।
কোন অবস্থায় কী হয়
হঠাৎ শ্বাস বন্ধ হলে শিশুর ঠোঁট ও মুখ নীল হয়ে যায়। মূলত রাগ বা ভয় পেয়ে ভীষণ কান্নাকাটি করলে এমন হতে পারে। এ অবস্থায় শিশুর শরীর ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে। এই সময় কান্না করে বা না করেই শরীর ফ্যাকাশে হতে দেখা যায়। সাধারণত শিশু ব্যথা পেলে এমন করে থাকে।
কখন হয়
সাধারণত ছয় মাস থেকে ছয় বছরের মধ্যে এটি হয়ে থাকে। তারপর এটা আর দেখা যায় না।
সময়কাল: এ অবস্থা সাধারণত ১ মিনিটের কম হয়ে থাকে।
কী করবেন
প্রতিকার
শিশুর শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রতিকারমূলক কোনো ওষুধ নেই। শিশুর রক্তস্বল্পতা থাকলে আয়রন ওষুধ দিতে হবে। এতে করে রোগ নিরাময়ের সম্ভাবনা বাড়বে।
শিশুর মন ভুলিয়ে রাখতে হবে। শিশু কান্নাকাটি শুরু করলে তাৎক্ষণিক তাকে ভোলানোর জন্য নতুন কোনো খেলনা বা পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। যাতে তার মনে পরিবর্তন ঘটে।
ব্রেথ হোল্ডিং অ্যাটাক মূলত রোগের ইতিহাস এবং শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়। তবে সচরাচর মস্তিষ্কের ইইজি বা এমআরআই পরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে না। এ রোগে শিশুর কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত, অক্সিজেনের অভাব কিংবা বুদ্ধিমত্তা কমে যাওয়ারও আশঙ্কা নেই।
পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. ইমনুল ইসলাম ইমন, অধ্যাপক, শিশু বিভাগবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
চেম্বার: আলোক মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার, মিরপুর-৬, ঢাকা
ব্রেথ হোল্ডিং অ্যাটাক বা শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া শিশুর এক ভিন্ন রকম আচরণ। এটি আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয় বাবা-মাসহ পরিবারের সবার মনে।
সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য কোনো সুস্থ শিশু কাঁদতে কাঁদতে হঠাৎ শ্বাস বন্ধ হয়ে একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে। এ কারণে অনেক সময় শিশুর হাত-পা শক্ত হয়ে যেতে দেখা যায়। এ অবস্থাকে অনেকে শিশুর ‘দম আটকে যাওয়া’ বলে থাকেন। বিষয়টি যখন চোখের সামনে ঘটে, তখন সবার মনে ভয় ছড়িয়ে গেলেও শিশুর এই আচরণ খুব একটা ক্ষতিকর নয়। যখন শিশুরা হঠাৎ রাগ করে, হতাশ হয়, অবাক হয়, ভয় পেয়ে যায় কিংবা ব্যথা পায়; তখন তাদের শ্বাস ছাড়া ও নেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় স্নায়ুতন্ত্র শিশুর শ্বাসের গতি এবং হৃৎপিণ্ডের গতি কমিয়ে দেয় কিছু সময়ের জন্য। শিশু নিজে এ অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এটি শিশুর মস্তিষ্কের একটি বিশেষ প্রতিক্রিয়া।
কোন অবস্থায় কী হয়
হঠাৎ শ্বাস বন্ধ হলে শিশুর ঠোঁট ও মুখ নীল হয়ে যায়। মূলত রাগ বা ভয় পেয়ে ভীষণ কান্নাকাটি করলে এমন হতে পারে। এ অবস্থায় শিশুর শরীর ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে। এই সময় কান্না করে বা না করেই শরীর ফ্যাকাশে হতে দেখা যায়। সাধারণত শিশু ব্যথা পেলে এমন করে থাকে।
কখন হয়
সাধারণত ছয় মাস থেকে ছয় বছরের মধ্যে এটি হয়ে থাকে। তারপর এটা আর দেখা যায় না।
সময়কাল: এ অবস্থা সাধারণত ১ মিনিটের কম হয়ে থাকে।
কী করবেন
প্রতিকার
শিশুর শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রতিকারমূলক কোনো ওষুধ নেই। শিশুর রক্তস্বল্পতা থাকলে আয়রন ওষুধ দিতে হবে। এতে করে রোগ নিরাময়ের সম্ভাবনা বাড়বে।
শিশুর মন ভুলিয়ে রাখতে হবে। শিশু কান্নাকাটি শুরু করলে তাৎক্ষণিক তাকে ভোলানোর জন্য নতুন কোনো খেলনা বা পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। যাতে তার মনে পরিবর্তন ঘটে।
ব্রেথ হোল্ডিং অ্যাটাক মূলত রোগের ইতিহাস এবং শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়। তবে সচরাচর মস্তিষ্কের ইইজি বা এমআরআই পরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে না। এ রোগে শিশুর কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত, অক্সিজেনের অভাব কিংবা বুদ্ধিমত্তা কমে যাওয়ারও আশঙ্কা নেই।
পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. ইমনুল ইসলাম ইমন, অধ্যাপক, শিশু বিভাগবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
চেম্বার: আলোক মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার, মিরপুর-৬, ঢাকা
দুই মাস বয়সী ছেলেকে নিয়ে ঢাকার মহাখালীতে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের এক ব্যক্তি। জলবসন্তে (চিকেনপক্স) আক্রান্ত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করান ৯ এপ্রিল। সংক্রামক এ রোগ শিশুটির শরীরে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগেক্যাম্পিউটেড টোমোগ্রাফি। এই খটমটে নামে না চিনলেও ‘সিটি স্ক্যান’ বললে সহজে চিনে ফেলি আমরা। চিকিৎসাক্ষেত্রে রোগ শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এটি। অনেক সময় জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তি হিসেবে কাজ করে এটি। সাধারণত রোগনির্ণয়ে বা কোনো দুর্ঘটনার শিকার হলে কতটা ক্ষতি হয়েছে...
২ দিন আগেখুবই কমদামি দুটি ওষুধের সমন্বিত ব্যবহার প্রতিরোধ করতে পারে হাজার হাজার স্ট্রোক ও হৃদ্রোগ। সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটিশ ও সুইডিশ একদল গবেষক। তাঁরা বলেছেন, দুটি সস্তা ওষুধ একসঙ্গে ব্যবহার করলে হাজার হাজার হৃদ্রোগ বা স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যেতে পারে এবং বহু মানুষের জীবন...
২ দিন আগেপেটের ফ্লু, যাকে ভাইরাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসও বলা হয়, এটি পেটের এক ধরনের সংক্রমণ। এই সমস্যায় বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটব্যথা এবং ক্র্যাম্পের (পেটে মোচড় দেওয়া) মতো লক্ষণ দেখা যায়। এটি সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণের কারণে হয়। সাধারণত বেশির ভাগ পেটের ফ্লু–এর জন্য দায়ী নরোভাইরাস।
২ দিন আগে