
চলতি বছর ডেঙ্গু মৌসুম শুরুর আগেই দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এমনকি মৃত্যুও ঘটছে। যা ইতিপূর্বে ঘটেনি। এই পরিস্থিতে মৌসুম শুরু হলে দেশে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম। আজ রোববার অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় নাজমুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর ঢাকা ও ঢাকার বাইরে প্রায় সমান হারে ডেঙ্গু সংক্রমণ চলছে। যা ইতিপূর্বে দেখা যায়নি। চলতি বছর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডেঙ্গু সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। মৌসুম শুরুর আগেই সেখানে ১ হাজার ৬৬ জন এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ে সারা দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৭৭ জন। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টি জড়িত। তিনি বলেন, শিগগির প্রাক-মৌসুম জরিপ শুরু হতে যাচ্ছে। জরিপের ফলাফল স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। কারণ, মশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নয়।
সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেন, ডেঙ্গু এমন একটি রোগ; পৃথিবীর যেখানেই একবার শুরু হয়েছে, সেখান থেকে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর অপ্রত্যাশিত সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। দ্রুত রোগের বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে বড় ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
পরিচালক অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের (এনসিডিসি) অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর প্রধান তিনটা কারণ হলো—শক সিনড্রোম, হেমরেজিক সিনড্রোম এবং অর্গান ফেইলিউর। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর শরীরে জ্বর দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে দুই দিনে জ্বর সেরে গেলে সে ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই মুমূর্ষু হওয়ার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
এ সময় জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু সংক্রান্ত চিকিৎসা গাইডলাইন পাঠানো হয়েছে। সব হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য মশারি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ২১টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্লাটিলেট ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি ২৪ ঘণ্টা ল্যাব চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পূর্বনির্ধারিত মূল্যে এনএস-১ ও আইজিজি-আইজিএম ৫০০ টাকা করে এবং সিবিসি ৪০০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কোনো হাসপাতাল এসব পরীক্ষার ফির চেয়ে বেশি নিলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানা হয়।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৬৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৮ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ জন। তবে এ সময়ে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২০৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১৮০ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ২৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭৭১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ১৭৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৯৪ জন। অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৫৪৯ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৮৭ ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ৫৬২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চলতি বছর ডেঙ্গু মৌসুম শুরুর আগেই দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এমনকি মৃত্যুও ঘটছে। যা ইতিপূর্বে ঘটেনি। এই পরিস্থিতে মৌসুম শুরু হলে দেশে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম। আজ রোববার অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় নাজমুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর ঢাকা ও ঢাকার বাইরে প্রায় সমান হারে ডেঙ্গু সংক্রমণ চলছে। যা ইতিপূর্বে দেখা যায়নি। চলতি বছর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডেঙ্গু সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। মৌসুম শুরুর আগেই সেখানে ১ হাজার ৬৬ জন এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ে সারা দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৭৭ জন। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টি জড়িত। তিনি বলেন, শিগগির প্রাক-মৌসুম জরিপ শুরু হতে যাচ্ছে। জরিপের ফলাফল স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। কারণ, মশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নয়।
সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেন, ডেঙ্গু এমন একটি রোগ; পৃথিবীর যেখানেই একবার শুরু হয়েছে, সেখান থেকে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর অপ্রত্যাশিত সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। দ্রুত রোগের বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে বড় ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
পরিচালক অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের (এনসিডিসি) অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর প্রধান তিনটা কারণ হলো—শক সিনড্রোম, হেমরেজিক সিনড্রোম এবং অর্গান ফেইলিউর। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর শরীরে জ্বর দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে দুই দিনে জ্বর সেরে গেলে সে ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই মুমূর্ষু হওয়ার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
এ সময় জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু সংক্রান্ত চিকিৎসা গাইডলাইন পাঠানো হয়েছে। সব হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য মশারি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ২১টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্লাটিলেট ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি ২৪ ঘণ্টা ল্যাব চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পূর্বনির্ধারিত মূল্যে এনএস-১ ও আইজিজি-আইজিএম ৫০০ টাকা করে এবং সিবিসি ৪০০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কোনো হাসপাতাল এসব পরীক্ষার ফির চেয়ে বেশি নিলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানা হয়।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৬৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৮ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ জন। তবে এ সময়ে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২০৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১৮০ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ২৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭৭১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ১৭৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৯৪ জন। অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৫৪৯ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৮৭ ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ৫৬২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চলতি বছর ডেঙ্গু মৌসুম শুরুর আগেই দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এমনকি মৃত্যুও ঘটছে। যা ইতিপূর্বে ঘটেনি। এই পরিস্থিতে মৌসুম শুরু হলে দেশে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম। আজ রোববার অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় নাজমুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর ঢাকা ও ঢাকার বাইরে প্রায় সমান হারে ডেঙ্গু সংক্রমণ চলছে। যা ইতিপূর্বে দেখা যায়নি। চলতি বছর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডেঙ্গু সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। মৌসুম শুরুর আগেই সেখানে ১ হাজার ৬৬ জন এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ে সারা দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৭৭ জন। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টি জড়িত। তিনি বলেন, শিগগির প্রাক-মৌসুম জরিপ শুরু হতে যাচ্ছে। জরিপের ফলাফল স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। কারণ, মশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নয়।
সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেন, ডেঙ্গু এমন একটি রোগ; পৃথিবীর যেখানেই একবার শুরু হয়েছে, সেখান থেকে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর অপ্রত্যাশিত সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। দ্রুত রোগের বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে বড় ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
পরিচালক অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের (এনসিডিসি) অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর প্রধান তিনটা কারণ হলো—শক সিনড্রোম, হেমরেজিক সিনড্রোম এবং অর্গান ফেইলিউর। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর শরীরে জ্বর দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে দুই দিনে জ্বর সেরে গেলে সে ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই মুমূর্ষু হওয়ার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
এ সময় জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু সংক্রান্ত চিকিৎসা গাইডলাইন পাঠানো হয়েছে। সব হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য মশারি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ২১টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্লাটিলেট ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি ২৪ ঘণ্টা ল্যাব চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পূর্বনির্ধারিত মূল্যে এনএস-১ ও আইজিজি-আইজিএম ৫০০ টাকা করে এবং সিবিসি ৪০০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কোনো হাসপাতাল এসব পরীক্ষার ফির চেয়ে বেশি নিলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানা হয়।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৬৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৮ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ জন। তবে এ সময়ে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২০৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১৮০ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ২৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭৭১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ১৭৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৯৪ জন। অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৫৪৯ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৮৭ ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ৫৬২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চলতি বছর ডেঙ্গু মৌসুম শুরুর আগেই দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এমনকি মৃত্যুও ঘটছে। যা ইতিপূর্বে ঘটেনি। এই পরিস্থিতে মৌসুম শুরু হলে দেশে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম। আজ রোববার অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় নাজমুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর ঢাকা ও ঢাকার বাইরে প্রায় সমান হারে ডেঙ্গু সংক্রমণ চলছে। যা ইতিপূর্বে দেখা যায়নি। চলতি বছর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডেঙ্গু সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। মৌসুম শুরুর আগেই সেখানে ১ হাজার ৬৬ জন এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ে সারা দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৭৭ জন। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টি জড়িত। তিনি বলেন, শিগগির প্রাক-মৌসুম জরিপ শুরু হতে যাচ্ছে। জরিপের ফলাফল স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। কারণ, মশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নয়।
সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেন, ডেঙ্গু এমন একটি রোগ; পৃথিবীর যেখানেই একবার শুরু হয়েছে, সেখান থেকে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর অপ্রত্যাশিত সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। দ্রুত রোগের বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে বড় ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
পরিচালক অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের (এনসিডিসি) অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর প্রধান তিনটা কারণ হলো—শক সিনড্রোম, হেমরেজিক সিনড্রোম এবং অর্গান ফেইলিউর। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর শরীরে জ্বর দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে দুই দিনে জ্বর সেরে গেলে সে ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই মুমূর্ষু হওয়ার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
এ সময় জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু সংক্রান্ত চিকিৎসা গাইডলাইন পাঠানো হয়েছে। সব হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য মশারি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ২১টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্লাটিলেট ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি ২৪ ঘণ্টা ল্যাব চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পূর্বনির্ধারিত মূল্যে এনএস-১ ও আইজিজি-আইজিএম ৫০০ টাকা করে এবং সিবিসি ৪০০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কোনো হাসপাতাল এসব পরীক্ষার ফির চেয়ে বেশি নিলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানা হয়।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৬৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৮ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ জন। তবে এ সময়ে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২০৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১৮০ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ২৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭৭১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ১৭৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৯৪ জন। অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৫৪৯ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৮৭ ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ৫৬২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
১ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
৩ দিন আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু তাইওয়ানের এক সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে—অন্য ঘরে ঘুমানো সব সময় সম্পর্কের জন্য ভালো নয়, বরং এটি মানসিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) ফক্স নিউজ জানিয়েছে, তাইওয়ানের উত্তরাঞ্চলে ৮৬০ জন বয়স্ক দম্পতিকে নিয়ে করা ওই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘বিএমসি পাবলিক হেলথ’ সাময়িকীতে। গবেষকেরা সুখ, জীবনে সন্তুষ্টি ও পরিপূর্ণতার মতো মানসিক সূচকের সঙ্গে ঘুমের ধরন ও অবস্থানের সম্পর্ক খুঁজে দেখেন। ফলাফলে দেখা যায়—যেসব দম্পতি আলাদা ঘরে ঘুমান, তাঁদের মানসিক সুস্থতা তুলনামূলকভাবে খারাপ।
গবেষকদের মতে, বয়সে প্রবীণ দম্পতিদের ক্ষেত্রে একসঙ্গে থাকা বা একই বাড়িতে বসবাসের চেয়ে একই বিছানা ভাগ করে নেওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের ভাষায়—ঘুমানোর জায়গা ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক উপাদান’ যা দাম্পত্য সম্পর্কের সামগ্রিক সুখকে প্রভাবিত করে।
বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের র্যান্ড করপোরেশনের ঘুম-বিশেষজ্ঞ ড. ওয়েন্ডি ট্রোক্সেলের দ্বারস্থ হয়েছিল ফক্স নিউজ। ট্রোক্সেল বলেন, ‘ঘুমের ধরন ও সম্পর্কের মানসিক ঘনিষ্ঠতার মধ্যে গভীর যোগসূত্র রয়েছে।’ তিনি জানান, আলাদা ঘুমানোর সিদ্ধান্ত অনেক সময় মানসিক দূরত্ব বা সম্পর্কের টানাপোড়েনের জন্যও হতে পারে। তবে এটি কারণ নাকি ফলাফল, তা স্পষ্ট নয়।
ট্রোক্সেল আরও বলেন, ‘বয়স্কদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকেরই অনিদ্রা বা ঘুমে বিঘ্নের সমস্যা থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমও হালকা হয়, রাতে ঘুম ভেঙে যায় এবং গভীর ঘুমের পরিমাণ কমে। পাশাপাশি একাকিত্ব, বিষণ্নতা ও উদ্বেগ ঘুমের মান আরও খারাপ করে, যা আবার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়—এ যেন এক অবিরাম চক্র।’
ড. ট্রোক্সেল মনে করেন, ঘুমের ধরন নির্ধারণের জন্য একক কোনো সূত্র নেই। কারও জন্য একসঙ্গে ঘুমানো নিরাপত্তা ও ঘনিষ্ঠতার প্রতীক, আবার কারও জন্য আলাদা ঘুমানোই স্বাস্থ্যকর। গুরুত্বপূর্ণ হলো—দম্পতিদের খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
তাঁর মতে, একসঙ্গে ঘুমানো বা জড়িয়ে শোওয়া শরীরে ‘অক্সিটোসিন’ হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়, যা ভালোবাসা ও নিরাপত্তার অনুভূতি বাড়ায়, স্ট্রেস কমায় এবং ঘুমকে গভীর করে। তবে নাক ডাকা, বিছানায় নড়াচড়া বা শরীরের তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে কারও ঘুম ব্যাহত হলে, তা সম্পর্কের মানসিক ভারসাম্যও নষ্ট করতে পারে।
ট্রোক্সেল তাই উপদেশ দিয়েছেন, যেসব দম্পতি আলাদা ঘুমান, তাঁরা ঘুমানোর আগে একসঙ্গে সময় কাটাতে পারেন—আলাপ, হাসি বা একসঙ্গে বই পড়ার মাধ্যমে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখা সম্ভব।
সবশেষে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ঘুমের ধরন সেটাই, যা একসঙ্গে মানসম্মত ঘুম, আবেগের সংযোগ এবং দীর্ঘমেয়াদি সুখ নিশ্চিত করে।’

সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু তাইওয়ানের এক সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে—অন্য ঘরে ঘুমানো সব সময় সম্পর্কের জন্য ভালো নয়, বরং এটি মানসিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) ফক্স নিউজ জানিয়েছে, তাইওয়ানের উত্তরাঞ্চলে ৮৬০ জন বয়স্ক দম্পতিকে নিয়ে করা ওই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘বিএমসি পাবলিক হেলথ’ সাময়িকীতে। গবেষকেরা সুখ, জীবনে সন্তুষ্টি ও পরিপূর্ণতার মতো মানসিক সূচকের সঙ্গে ঘুমের ধরন ও অবস্থানের সম্পর্ক খুঁজে দেখেন। ফলাফলে দেখা যায়—যেসব দম্পতি আলাদা ঘরে ঘুমান, তাঁদের মানসিক সুস্থতা তুলনামূলকভাবে খারাপ।
গবেষকদের মতে, বয়সে প্রবীণ দম্পতিদের ক্ষেত্রে একসঙ্গে থাকা বা একই বাড়িতে বসবাসের চেয়ে একই বিছানা ভাগ করে নেওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের ভাষায়—ঘুমানোর জায়গা ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক উপাদান’ যা দাম্পত্য সম্পর্কের সামগ্রিক সুখকে প্রভাবিত করে।
বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের র্যান্ড করপোরেশনের ঘুম-বিশেষজ্ঞ ড. ওয়েন্ডি ট্রোক্সেলের দ্বারস্থ হয়েছিল ফক্স নিউজ। ট্রোক্সেল বলেন, ‘ঘুমের ধরন ও সম্পর্কের মানসিক ঘনিষ্ঠতার মধ্যে গভীর যোগসূত্র রয়েছে।’ তিনি জানান, আলাদা ঘুমানোর সিদ্ধান্ত অনেক সময় মানসিক দূরত্ব বা সম্পর্কের টানাপোড়েনের জন্যও হতে পারে। তবে এটি কারণ নাকি ফলাফল, তা স্পষ্ট নয়।
ট্রোক্সেল আরও বলেন, ‘বয়স্কদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকেরই অনিদ্রা বা ঘুমে বিঘ্নের সমস্যা থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমও হালকা হয়, রাতে ঘুম ভেঙে যায় এবং গভীর ঘুমের পরিমাণ কমে। পাশাপাশি একাকিত্ব, বিষণ্নতা ও উদ্বেগ ঘুমের মান আরও খারাপ করে, যা আবার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়—এ যেন এক অবিরাম চক্র।’
ড. ট্রোক্সেল মনে করেন, ঘুমের ধরন নির্ধারণের জন্য একক কোনো সূত্র নেই। কারও জন্য একসঙ্গে ঘুমানো নিরাপত্তা ও ঘনিষ্ঠতার প্রতীক, আবার কারও জন্য আলাদা ঘুমানোই স্বাস্থ্যকর। গুরুত্বপূর্ণ হলো—দম্পতিদের খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
তাঁর মতে, একসঙ্গে ঘুমানো বা জড়িয়ে শোওয়া শরীরে ‘অক্সিটোসিন’ হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়, যা ভালোবাসা ও নিরাপত্তার অনুভূতি বাড়ায়, স্ট্রেস কমায় এবং ঘুমকে গভীর করে। তবে নাক ডাকা, বিছানায় নড়াচড়া বা শরীরের তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে কারও ঘুম ব্যাহত হলে, তা সম্পর্কের মানসিক ভারসাম্যও নষ্ট করতে পারে।
ট্রোক্সেল তাই উপদেশ দিয়েছেন, যেসব দম্পতি আলাদা ঘুমান, তাঁরা ঘুমানোর আগে একসঙ্গে সময় কাটাতে পারেন—আলাপ, হাসি বা একসঙ্গে বই পড়ার মাধ্যমে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখা সম্ভব।
সবশেষে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ঘুমের ধরন সেটাই, যা একসঙ্গে মানসম্মত ঘুম, আবেগের সংযোগ এবং দীর্ঘমেয়াদি সুখ নিশ্চিত করে।’

চলতি বছর ডেঙ্গু মৌসুম শুরুর আগেই দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এমনকি মৃত্যুও ঘটছে। যা ইতিপূর্বে ঘটেনি। এই পরিস্থিতে মৌসুম শুরু হলে দেশে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম। আজ রোববার অধিদপ্ত
২৮ মে ২০২৩
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
১ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
৩ দিন আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘ সময় হাঁটার অভ্যাস শুধু মন ভালো রাখে না, বরং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণা এমনটাই জানিয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ ও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
গবেষণার প্রধান লেখক স্পেনের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব মাদ্রিদের সহযোগী অধ্যাপক ড. বোরখা দেল পোজো ক্রুজ বলেন, ‘আমরা সাধারণত দৈনিক পদক্ষেপের সংখ্যা নিয়ে কথা বলি—যেমন ১০ হাজার পদক্ষেপের লক্ষ্য। কিন্তু আমাদের গবেষণা দেখিয়েছে, কীভাবে সেই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে যাঁরা কম সক্রিয়, তাঁরা যদি অল্প সময়ের বদলে কিছু দীর্ঘ হাঁটা যোগ করেন, তাতেও হৃদ্স্বাস্থ্যে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।’
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, বিশ্বের প্রায় ৩১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন না। তাঁদের অনেকে সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের কম ব্যায়াম করেন, যা হৃদ্রোগ, অনিদ্রা ও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল জিউইশ হেলথ ইনস্টিটিউটের হৃদ্রোগ প্রতিরোধ ও সুস্থতা বিভাগের পরিচালক ড. অ্যান্ড্রু ফ্রিম্যান বলেন, ‘প্রায় সবাই কিছু সময় হাঁটতে পারেন, কিন্তু ২০, ৩০ বা ৬০ মিনিট একটানা হাঁটা কঠিন হয়ে যায়। তাই ধীরে ধীরে সেই ক্ষমতা তৈরি করাটাই আসল বিষয়।’
দীর্ঘ সময় হাঁটার ফলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়, রক্তচাপ কমে এবং রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে প্রদাহ ও মানসিক চাপ কমে, হৃদ্পেশি শক্ত হয়। ফ্রিম্যান বলেন, ‘এটা অনেকটা ৪৫ কেজির ডাম্বেল তোলার মতো। প্রথমে পারা যায় না, কিন্তু অনুশীলনে সক্ষমতা বাড়ে—হৃদ্যন্ত্রও তেমনি।’
গবেষকেরা বলেন, প্রতিদিন নির্দিষ্ট ধাপের লক্ষ্য না রেখে বরং সময়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দিনে অন্তত কিছু সময় একটানা হাঁটলে উপকার পাওয়া যায়। গতি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ধারাবাহিক ও দীর্ঘ সময় হাঁটা বেশি ফল দেয়।
ড. দেল পোজো ক্রুজ পরামর্শ দিয়েছেন, ‘দিনে একাধিকবার ২০-৩০ মিনিট করে টানা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীর সক্রিয় থাকবে, হৃদ্যন্ত্র মজবুত হবে।’
হাঁটার সঠিক ভঙ্গিও জরুরি—শরীর সোজা রাখুন, কাঁধ পেছনে দিন এবং হাত দোলান। এতে ভারসাম্য বজায় থাকে ও শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়।
গবেষণাটি যুক্তরাজ্যের ৩৩ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা দৈনিক ৮ হাজার ধাপের কম হাঁটতেন এবং কারও বড় রোগ ছিল না। এক সপ্তাহের ডেটা সংগ্রহের মাধ্যমে গবেষণাটি সম্পন্ন হয়।
সবশেষে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিয়মিত ও দীর্ঘ সময় হাঁটা এমন একটি সহজ উপায়, যা ব্যয়বহুল চিকিৎসা ছাড়াই হৃদ্স্বাস্থ্য রক্ষা এবং আয়ু বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পারে।

দীর্ঘ সময় হাঁটার অভ্যাস শুধু মন ভালো রাখে না, বরং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণা এমনটাই জানিয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ ও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
গবেষণার প্রধান লেখক স্পেনের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব মাদ্রিদের সহযোগী অধ্যাপক ড. বোরখা দেল পোজো ক্রুজ বলেন, ‘আমরা সাধারণত দৈনিক পদক্ষেপের সংখ্যা নিয়ে কথা বলি—যেমন ১০ হাজার পদক্ষেপের লক্ষ্য। কিন্তু আমাদের গবেষণা দেখিয়েছে, কীভাবে সেই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে যাঁরা কম সক্রিয়, তাঁরা যদি অল্প সময়ের বদলে কিছু দীর্ঘ হাঁটা যোগ করেন, তাতেও হৃদ্স্বাস্থ্যে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।’
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, বিশ্বের প্রায় ৩১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন না। তাঁদের অনেকে সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের কম ব্যায়াম করেন, যা হৃদ্রোগ, অনিদ্রা ও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল জিউইশ হেলথ ইনস্টিটিউটের হৃদ্রোগ প্রতিরোধ ও সুস্থতা বিভাগের পরিচালক ড. অ্যান্ড্রু ফ্রিম্যান বলেন, ‘প্রায় সবাই কিছু সময় হাঁটতে পারেন, কিন্তু ২০, ৩০ বা ৬০ মিনিট একটানা হাঁটা কঠিন হয়ে যায়। তাই ধীরে ধীরে সেই ক্ষমতা তৈরি করাটাই আসল বিষয়।’
দীর্ঘ সময় হাঁটার ফলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়, রক্তচাপ কমে এবং রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে প্রদাহ ও মানসিক চাপ কমে, হৃদ্পেশি শক্ত হয়। ফ্রিম্যান বলেন, ‘এটা অনেকটা ৪৫ কেজির ডাম্বেল তোলার মতো। প্রথমে পারা যায় না, কিন্তু অনুশীলনে সক্ষমতা বাড়ে—হৃদ্যন্ত্রও তেমনি।’
গবেষকেরা বলেন, প্রতিদিন নির্দিষ্ট ধাপের লক্ষ্য না রেখে বরং সময়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দিনে অন্তত কিছু সময় একটানা হাঁটলে উপকার পাওয়া যায়। গতি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ধারাবাহিক ও দীর্ঘ সময় হাঁটা বেশি ফল দেয়।
ড. দেল পোজো ক্রুজ পরামর্শ দিয়েছেন, ‘দিনে একাধিকবার ২০-৩০ মিনিট করে টানা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীর সক্রিয় থাকবে, হৃদ্যন্ত্র মজবুত হবে।’
হাঁটার সঠিক ভঙ্গিও জরুরি—শরীর সোজা রাখুন, কাঁধ পেছনে দিন এবং হাত দোলান। এতে ভারসাম্য বজায় থাকে ও শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়।
গবেষণাটি যুক্তরাজ্যের ৩৩ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা দৈনিক ৮ হাজার ধাপের কম হাঁটতেন এবং কারও বড় রোগ ছিল না। এক সপ্তাহের ডেটা সংগ্রহের মাধ্যমে গবেষণাটি সম্পন্ন হয়।
সবশেষে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিয়মিত ও দীর্ঘ সময় হাঁটা এমন একটি সহজ উপায়, যা ব্যয়বহুল চিকিৎসা ছাড়াই হৃদ্স্বাস্থ্য রক্ষা এবং আয়ু বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পারে।

চলতি বছর ডেঙ্গু মৌসুম শুরুর আগেই দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এমনকি মৃত্যুও ঘটছে। যা ইতিপূর্বে ঘটেনি। এই পরিস্থিতে মৌসুম শুরু হলে দেশে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম। আজ রোববার অধিদপ্ত
২৮ মে ২০২৩
সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
৩ দিন আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
এ ছাড়া এক সপ্তাহে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে ১০ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৬ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬৯ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৩ জন।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৮১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
এ ছাড়া এক সপ্তাহে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে ১০ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৬ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬৯ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৩ জন।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৮১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

চলতি বছর ডেঙ্গু মৌসুম শুরুর আগেই দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এমনকি মৃত্যুও ঘটছে। যা ইতিপূর্বে ঘটেনি। এই পরিস্থিতে মৌসুম শুরু হলে দেশে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম। আজ রোববার অধিদপ্ত
২৮ মে ২০২৩
সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
১ দিন আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

চলতি বছর ডেঙ্গু মৌসুম শুরুর আগেই দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এমনকি মৃত্যুও ঘটছে। যা ইতিপূর্বে ঘটেনি। এই পরিস্থিতে মৌসুম শুরু হলে দেশে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম। আজ রোববার অধিদপ্ত
২৮ মে ২০২৩
সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
১ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
৩ দিন আগে