ডা. মোহাম্মদ তানভীর জালাল
কোলোরেক্টাল ক্যানসার একটি অন্যতম প্রধান জনস্বাস্থ্য সমস্যা। এটি তৃতীয় সর্বাধিক নির্ণয় করা ক্যানসার এবং বিশ্বব্যাপী ক্যানসারে মৃত্যুর চতুর্থতম কারণ। কোলন হলো পরিপাকতন্ত্রের শেষের অংশ। আর কোলনের শেষ অংশ হলো রেকটাম বা মলাশয়। কোলোরেক্টাল ক্যানসার হলো কোলন ও রেকটামের ক্যানসার। কোলন ক্যানসার সাধারণত বয়স্কদের বেশি হয়ে থাকে। যদিও এটি যেকোনো বয়সে হতে পারে। কোলনের ভেতর ছোট কোষের গুচ্ছ বা পলিপ হওয়ার মাধ্যমে এ ক্যানসার তৈরি হওয়া শুরু হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই পলিপ কোলন ক্যানসারে পরিণত হতে পারে এবং কোলোরেক্টাল ক্যানসার এর লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে।
পলিপ ছোট হতে পারে এবং অল্প কিছু উপসর্গ তৈরি করতে পারে। এ কারণে, চিকিৎসকেরা ক্যানসারে পরিণত হওয়ার আগে পলিপগুলো শনাক্ত ও অপসারণ করে কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করার জন্য নিয়মিত স্ক্রিনিং পরীক্ষার পরামর্শ দেন। কোলন ক্যানসার শনাক্ত হলে সেটি নিয়ন্ত্রণে অনেক চিকিৎসা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সার্জারি, রেডিয়েশন থেরাপি, কেমোথেরাপি এবং ইমিউনোথেরাপি। রেকটাল ক্যানসার হলো মলাশয়ের ক্যানসার। কোলন ও রেকটাল ক্যানসারকে একত্রে কোলোরেক্টাল ক্যানসার বলে।
কোলোরেক্টাল ক্যানসারের লক্ষণ
কোলন ক্যানসারের লক্ষণ ও উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে,
কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত অনেকেরই রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো উপসর্গ না-ও থাকতে পারে।
ঝুঁকির কারণ
কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এমন কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে,
বয়স: কোলন ক্যানসার যেকোনো বয়সে হতে পারে। তবে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত বেশির ভাগ মানুষের বয়স ৫০ বছরের বেশি। ৫০ বছরের কম বয়সী লোকদের মধ্যে কোলন ক্যানসারের হার বাড়ছে। কোলোরেক্টাল ক্যানসার বা পলিপের ইতিহাস: যদি ইতিমধ্যেই কোলন ক্যানসার বা নন-ক্যানসারাস কোলন পলিপ হয়ে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি থাকে।
প্রদাহজনক অন্ত্রের অবস্থা: কোলনের দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত রোগ, যেমন আলসারেটিভ কোলাইটিস এবং ক্রোনস ডিজিজ কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সিনড্রোম: কিছু জিন মিউটেশন পরিবারের কয়েক প্রজন্মের মধ্যে দিয়ে গেলে তা কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে। এর মাত্র অল্প শতাংশ উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া জিনের সঙ্গে যুক্ত। সবচেয়ে সাধারণ উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সিনড্রোম যা কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় তা হলো, ফ্যামিলিয়াল অ্যাডেনোমেটাস পলিপোসিস (এফএপি) এবং লিঞ্চ সিনড্রোম। এগুলো বংশগত ননপলিপোসিস কোলোরেক্টাল ক্যানসার (এইচএনপিসিসি) নামে পরিচিত।
কোলন ক্যানসারের পারিবারিক ইতিহাস: এই রোগে আক্রান্ত নিকটাত্মীয় থাকলে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। পরিবারের একাধিক সদস্যের কোলন ক্যানসার বা রেকটাল ক্যানসার থাকলেও এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি থাকে।
কম আঁশ ও উচ্চ চর্বিযুক্ত খাদ্য: কোলন ক্যানসার এবং রেকটাল ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় কম আঁশ ও উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা লাল মাংস ও প্রক্রিয়াজাত মাংস বেশি খান তাঁদের মধ্যে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি।
শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয়তা ও ডায়াবেটিস: যাঁরা শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় অর্থাৎ শারীরিক কাজকর্ম বা ব্যায়াম করেন না তাঁদের কোলন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এ ছাড়া যাঁদের ডায়াবেটিস বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম রয়েছে, তাঁদেরও কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি থাকে।
স্থূলতা: স্থূল ব্যক্তিদের কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং সাধারণ ওজন হিসেবে বিবেচিত মানুষদের তুলনায় কোলন ক্যানসারে মারা যাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
ধূমপান ও মদ্যপান: যাঁরা ধূমপান ও মদ্যপান করেন তাঁদের কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি।
বিকিরণ থেরাপি: পূর্ববর্তী ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য পেটে রেডিয়েশন থেরাপি কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, কোলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগ, কোলোরেক্টাল, লেপারোস্কোপিক ও জেনারেল সার্জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
কোলোরেক্টাল ক্যানসার একটি অন্যতম প্রধান জনস্বাস্থ্য সমস্যা। এটি তৃতীয় সর্বাধিক নির্ণয় করা ক্যানসার এবং বিশ্বব্যাপী ক্যানসারে মৃত্যুর চতুর্থতম কারণ। কোলন হলো পরিপাকতন্ত্রের শেষের অংশ। আর কোলনের শেষ অংশ হলো রেকটাম বা মলাশয়। কোলোরেক্টাল ক্যানসার হলো কোলন ও রেকটামের ক্যানসার। কোলন ক্যানসার সাধারণত বয়স্কদের বেশি হয়ে থাকে। যদিও এটি যেকোনো বয়সে হতে পারে। কোলনের ভেতর ছোট কোষের গুচ্ছ বা পলিপ হওয়ার মাধ্যমে এ ক্যানসার তৈরি হওয়া শুরু হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই পলিপ কোলন ক্যানসারে পরিণত হতে পারে এবং কোলোরেক্টাল ক্যানসার এর লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে।
পলিপ ছোট হতে পারে এবং অল্প কিছু উপসর্গ তৈরি করতে পারে। এ কারণে, চিকিৎসকেরা ক্যানসারে পরিণত হওয়ার আগে পলিপগুলো শনাক্ত ও অপসারণ করে কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করার জন্য নিয়মিত স্ক্রিনিং পরীক্ষার পরামর্শ দেন। কোলন ক্যানসার শনাক্ত হলে সেটি নিয়ন্ত্রণে অনেক চিকিৎসা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সার্জারি, রেডিয়েশন থেরাপি, কেমোথেরাপি এবং ইমিউনোথেরাপি। রেকটাল ক্যানসার হলো মলাশয়ের ক্যানসার। কোলন ও রেকটাল ক্যানসারকে একত্রে কোলোরেক্টাল ক্যানসার বলে।
কোলোরেক্টাল ক্যানসারের লক্ষণ
কোলন ক্যানসারের লক্ষণ ও উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে,
কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত অনেকেরই রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো উপসর্গ না-ও থাকতে পারে।
ঝুঁকির কারণ
কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এমন কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে,
বয়স: কোলন ক্যানসার যেকোনো বয়সে হতে পারে। তবে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত বেশির ভাগ মানুষের বয়স ৫০ বছরের বেশি। ৫০ বছরের কম বয়সী লোকদের মধ্যে কোলন ক্যানসারের হার বাড়ছে। কোলোরেক্টাল ক্যানসার বা পলিপের ইতিহাস: যদি ইতিমধ্যেই কোলন ক্যানসার বা নন-ক্যানসারাস কোলন পলিপ হয়ে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি থাকে।
প্রদাহজনক অন্ত্রের অবস্থা: কোলনের দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত রোগ, যেমন আলসারেটিভ কোলাইটিস এবং ক্রোনস ডিজিজ কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সিনড্রোম: কিছু জিন মিউটেশন পরিবারের কয়েক প্রজন্মের মধ্যে দিয়ে গেলে তা কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে। এর মাত্র অল্প শতাংশ উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া জিনের সঙ্গে যুক্ত। সবচেয়ে সাধারণ উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সিনড্রোম যা কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় তা হলো, ফ্যামিলিয়াল অ্যাডেনোমেটাস পলিপোসিস (এফএপি) এবং লিঞ্চ সিনড্রোম। এগুলো বংশগত ননপলিপোসিস কোলোরেক্টাল ক্যানসার (এইচএনপিসিসি) নামে পরিচিত।
কোলন ক্যানসারের পারিবারিক ইতিহাস: এই রোগে আক্রান্ত নিকটাত্মীয় থাকলে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। পরিবারের একাধিক সদস্যের কোলন ক্যানসার বা রেকটাল ক্যানসার থাকলেও এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি থাকে।
কম আঁশ ও উচ্চ চর্বিযুক্ত খাদ্য: কোলন ক্যানসার এবং রেকটাল ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় কম আঁশ ও উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা লাল মাংস ও প্রক্রিয়াজাত মাংস বেশি খান তাঁদের মধ্যে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি।
শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয়তা ও ডায়াবেটিস: যাঁরা শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় অর্থাৎ শারীরিক কাজকর্ম বা ব্যায়াম করেন না তাঁদের কোলন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এ ছাড়া যাঁদের ডায়াবেটিস বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম রয়েছে, তাঁদেরও কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি থাকে।
স্থূলতা: স্থূল ব্যক্তিদের কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং সাধারণ ওজন হিসেবে বিবেচিত মানুষদের তুলনায় কোলন ক্যানসারে মারা যাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
ধূমপান ও মদ্যপান: যাঁরা ধূমপান ও মদ্যপান করেন তাঁদের কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি।
বিকিরণ থেরাপি: পূর্ববর্তী ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য পেটে রেডিয়েশন থেরাপি কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, কোলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগ, কোলোরেক্টাল, লেপারোস্কোপিক ও জেনারেল সার্জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
সচেতনতার অভাবে নবজাতককে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রবণতা কমার কারণে নবজাতক মৃত্যুর হার বাড়ছে বলে জানিয়েছেন একদল বিশেষজ্ঞ। তাঁরা বলছেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকেরা মিলে কৌটা দুধের বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তারা এসব দুধ নবজাতককে খাওয়ানোর জন্য প্ররোচিত করে। ফলে নবজাতককে বুকের দু
১ ঘণ্টা আগেগরমে স্বস্তির অপর নাম এসি। বাইরে যখন তাপমাত্রা অসহনীয়, তখন ঘরের মধ্যে শীতল বাতাস যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। শুধু আরামই নয়, এসি ব্যবহারে ঘরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অনেকেই আছেন যারা গরমে গরমে কষ্ট করেও এসি ব্যবহার করেন না। তাঁদের বিশ্বাস, এসি থেকে অসুস্থ হওয়া যায়। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে...
৭ ঘণ্টা আগেডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অনুমোদিত করোনারি স্টেন্টের (হার্টের রিং) দাম আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
১ দিন আগে