Ajker Patrika

কমিউনিটি ক্লিনিক

৮ মাস ধরে বেতন নেই ১৪ হাজার কর্মীর

  • কষ্টে হাজারো পরিবার, চলছে ধারদেনায়।
  • ক্লিনিকে ওষুধ সংকটের আশঙ্কা।
  • কৌশলগত পরিকল্পনা পরিবর্তনের পথে সরকার।
  • রাজস্ব থেকে বেতন দিতে লাগবে ৩ মাস।
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২: ২২
৮ মাস ধরে বেতন নেই ১৪ হাজার কর্মীর

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের ‘কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা’ (সিএইচসিপি) বেতন পাচ্ছেন না আট মাস ধরে। পরিবার নিয়ে তাঁরা দুঃসহ আর্থিক অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, স্বাস্থ্য খাতের পাঁচ বছর মেয়াদি অপারেশনাল প্ল্যান (ওপি) চালু না থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধের অভাবও দেখা দিয়েছে কোথাও কোথাও।

‘স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি (এইচপিএনএসপি)’ নামে এই ওপি গত বছরের জুনে শেষ হলেও নতুন পর্ব শুরু হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে রাজস্ব খাত থেকে সিএইচসিপিদের বেতন দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। ১৪ হাজারের বেশি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এখন অধীর আগ্রহে তারই পথ চেয়ে আছেন।

দেশের স্বাস্থ্য খাতের সিংহভাগ অবকাঠামো, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, হাসপাতালের সেবা ব্যবস্থাপনা এবং টিকা ও পুষ্টি কার্যক্রমসহ ৩০টির বেশি কর্মসূচি পরিচালিত হয় পাঁচ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা বা অপারেশনাল প্ল্যানের (ওপি) মাধ্যমে। গত বছরের জুনে শেষ হয় ‘চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি’। ওই বছরের জুলাই মাসেই পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য ১ লাখ ৬ হাজার ১০০ কোটি টাকার পঞ্চম এইচপিএনএসপি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে সময় তা অনুমোদন করেনি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সিএইচসিপিদের সংগঠন বাংলাদেশ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, ওপি চালু না থাকায় ১৪ হাজারের কিছু বেশি সিএইচসিপি গত জুনের পর আর বেতন পাননি।

তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিক। ১৯৯৮ সালে গ্রামাঞ্চলের প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের পরিকল্পনা করে সরকার। দেশজুড়ে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মিত হয়েছে। এখানে গর্ভকালীন ও প্রসূতিসেবা, শিশুদের যাবতীয় রোগের চিকিৎসা, প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই), পুষ্টিবিষয়ক শিক্ষাদান ও পরামর্শ এবং পুষ্টিকর অতিরিক্ত খাদ্য সরবরাহসহ বেশ কিছু সেবা দেওয়া হয়।

দেশজুড়ে কষ্টের দিনলিপি

আট মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সিএইচসিপিরা। অনেকে জড়িয়ে পড়েছেন ঋণে।

জয়পুরহাট জেলার ১১৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপিরা গত বছরের জুলাই মাস থেকে বেতন না পাওয়ায় কষ্টে দিন যাপন করছেন। সদর উপজেলার চকবরকত ইউনিয়নের আরজি-জগদীশপুরের সিএইচসিপি আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কম বেতনের চাকরিতে এমনিতেই দিন চলে টানাটানি করে। তার ওপরে সোনালী ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা স্যালারি ঋণ নেওয়া আছে। কিছু ধার-দেনাও হয়েছে। খুব কষ্টে আছি।’

ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের কেশুরতা ক্লিনিকের মনিরা বেগম বলেন, ‘বেতন নাই। কিস্তি দিতে পারছি না। প্রতিদিন অন্যের কথা শুনতে হয়।’

বাগেরহাটে ৭ মাস ধরে বেতন পান না ২১১ ক্লিনিকের সিএইচসিপিরা। চরম অর্থকষ্টে ভুগছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া এসব কর্মী। কোথাও কোথাও নিয়মিত ওষুধের সরবরাহও বন্ধ রয়েছে।

কচুয়া উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মো. বাশার শেখ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে ক্লিনিকে গেলে ঠিকঠাক সেবা পাই না। ওষুধ চাইলে বলে নাই। আবার শুনছি সিএইচসিপিরা ঠিকমতো বেতন পান না। তাই কাজে কম আসছেন তাঁরা।’

মেহেরপুরের গাংনীর হোগলবাড়িয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ‘কী কষ্টে যে আছি, তা বলে বোঝানো সম্ভব না। আমি অসুস্থ, স্ত্রী অসুস্থ...ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া। সব মিলিয়ে অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে বসবাস করছি।’

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আখড়াখোলা ক্লিনিকের শামীম হোসেন বলেন, ‘ওপি না থাকার কারণে বেতন হচ্ছে না। আমরা পরিবার নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছি।’

সিএইচসিপিদের জাতীয় সংগঠনের সভাপতি ও ঢাকার কেরানীগঞ্জের শাক্তা ইউনিয়নের অগ্রখোলা কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শুনেছি, সংশোধিত বাজেট অনুমোদনের পর রাজস্ব খাত থেকে আমাদের বেতন হবে। আর জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বেতন দেওয়া হবে ওপি থেকে। এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঠিক কবে নাগাদ বেতন হাতে পাব, বুঝতে পারছি না।’

এ ছাড়া জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার ২১টি ক্লিনিক; কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ৩৫টি ক্লিনিক; দিনাজপুরের বিরামপুর, ফুলবাড়ী ও খানসামা উপজেলার ৭১টি ক্লিনিক; ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ১৬টি ক্লিনিক, চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের ২০টি ক্লিনিক এবং মেহেরপুরের গাংনীর ৩৫টি ক্লিনিকের কর্মীদের বেতন না পাওয়ার কথা সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানিয়েছেন আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিরা।

ওষুধের ঘাটতির আশঙ্কা

কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধের ব্যয় আসে পাঁচ বছর মেয়াদি ওপি থেকে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ক্লিনিকে সর্বশেষ ওষুধ সরবরাহ করা হয় গত ২ অক্টোবর। সাধারণত এক দফার সরবরাহে চার থেকে পাঁচ মাস চলে। সংকটের আশঙ্কায় কেন্দ্র থেকে ওষুধ বিতরণে সতর্ক হতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক সিএইচসিপি। বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ঠান্ডা-জ্বর ও কৃমির ওষুধ এবং আয়রন, ফলিক অ্যাসিডসহ বিভিন্ন ধরনের ২২টি ওষুধ বিনা মূল্যে দেওয়া হয়।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের (সিবিএইচসি) লাইন ডিরেক্টর ডা. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ওষুধের সংকট দেখা দিতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ওষুধ ওপি থেকে নাকি রাজস্ব খাত থেকে কেনা হবে, তা এখন বিবেচনাধীন। কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টের কাছে অর্থ বিভাগ ওষুধের বাজেট চেয়েছে। সংকটের শঙ্কায় আমরা ক্লিনিকগুলোকে যৌক্তিকভাবে ওষুধ খরচ করতে বলেছি।’

ওপি ছেড়ে সমাধানের পথে

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে চলমান ওপি প্রক্রিয়া থেকে বের হওয়ার কথা ভাবছে সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। ১৩ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে বর্তমান সেক্টর কর্মসূচি পদ্ধতির ওপি থেকে বের হওয়ার কৌশল নির্ধারণের জন্য সভা হয়। এতে পুরো কর্মসূচিকেই রাজস্ব খাতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই (সম্ভাব্য তারিখ) সংশোধিত বাজেট অনুমোদনের পর রাজস্ব খাত থেকে সিএইচসিপিদের বেতন দিতে আরও তিন মাসের মতো সময় লাগবে। পঞ্চবার্ষিক এই কর্মসূচির বিকল্প ভাবার জন্য পরিকল্পনা কমিশন থেকেও তাগিদ দেওয়া হয়েছিল।

সিবিএইচসির লাইন ডিরেক্টর ডা. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ওপিতে যেসব কর্মসূচি বা দপ্তর কর্তৃপক্ষ কাজ করে, তাদের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে ওপি থেকে বের হওয়া এবং এর কার্যক্রম ভবিষ্যতে কীভাবে পরিচালনা করা যায়, তার রোডম্যাপ (পথনকশা) থাকতে হবে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের অভিমত

বর্তমান ওপি পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার জন্য কমপক্ষে দুই বছর আগে পরিকল্পনা থাকার প্রয়োজন ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক ডা. আবু জামিল ফয়সাল। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা খাতের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি এই এইচপিএনএসপি নামের ওপি। এটা প্রায় ৩০ বছর ধরে চলছে। জনস্বাস্থ্যের বড় কাজগুলো এর মাধ্যমেই হয়। পরিবর্তন করতে চাইলে ওপি চলমান অবস্থায় দু-তিন বছর আগেই এ থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার ছিল।’

প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন আজকের পত্রিকার বাগেরহাট, জয়পুরহাট ও কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ), গাংনী (মেহেরপুর), জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা), ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম), আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) এবং দিনাজপুরের বিরামপুর, ফুলবাড়ী ও খানসামা প্রতিনিধি।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দাঁতের যত্নে অবহেলায় হতে পারে বিপদ

ডা. পূজা সাহা
দাঁতের যত্নে অবহেলায় হতে পারে বিপদ

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।

দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা

দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা

দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।

টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়

অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।

স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা

অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।

দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়

শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।

কিছু সাধারণ পরামর্শ

  • দিনে অন্তত দুবার নরম ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করুন।
  • প্রতি তিন মাসে একবার টুথব্রাশ পরিবর্তন করুন।
  • আঁশযুক্ত ও ক্যালসিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার বেশি খান।
  • চিনি বা টক খাবার খাওয়ার পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
  • বছরে অন্তত একবার দাঁতের চিকিৎসকের কাছে গিয়ে দাঁত পরীক্ষা করান।
  • দাঁতের ব্যথা, ক্ষয় অথবা সেনসিটিভিটি দেখা দিলে তা অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসা নিন। কারণ, দাঁত হারানো মানে শুধু সৌন্দর্য নয়, আত্মবিশ্বাসও হারিয়ে ফেলা। নিয়মিত যত্ন নিলে দাঁত থাকবে মজবুত, আর হাসিও হয়ে উঠবে উজ্জ্বল।

লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্পন্ডিলাইটিস: মেরুদণ্ডের নীরব ব্যথা

ডা. মো. নূর আলম
স্পন্ডিলাইটিস: মেরুদণ্ডের নীরব ব্যথা

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।

কশেরুকা কী

মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।

ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।

কেন বাড়ছে এই রোগ

আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।

স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন

সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।

লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত

ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।

সাধারণ লক্ষণ

  • ঘাড় ও কাঁধে ব্যথা এবং শক্ত হয়ে যাওয়া।
  • স্নায়ুর চাপে ব্লাডার কিংবা বাওয়েলের নিয়ন্ত্রণ হারানো।
  • আঙুল অবশ হয়ে যাওয়া অথবা ঝিনঝিন ভাব।
  • কোমর থেকে পা পর্যন্ত দুর্বলতা ও শক্ত ভাব।
  • বুকে ব্যথা ও মাংসপেশির সমস্যা।
  • ঘাড় থেকে পিঠের ওপরের অংশ পর্যন্ত টান ধরা ব্যথা।

সম্ভাব্য কারণ

  • ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনের ঘাটতি।
  • ভুল ভঙ্গিতে বসা বা দাঁড়ানো।
  • বয়সজনিত হাড়ের দুর্বলতা।
  • নিয়মিত শরীরচর্চার অভাব।
  • দীর্ঘ সময় বসে কাজ করা অথবা অলস জীবনযাপন।
  • অপর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার।

পরামর্শ

যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।

লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে করণীয়

ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম 
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে করণীয়

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।

কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে

পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো

সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।

কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে

  • হরমোনাল ইমব্যালেন্স, হাইপোথাইরয়েডিজম বা হাইপারথাইরয়েডিজম থাকলে
  • পলিসিস্টিক ওভারেন্সি থাকলে। এর কারণে অনেক সময় বেশি দিন ধরে রক্তপাত হয় অথবা অনিয়মিত পিরিয়ড হয়ে থাকে।
  • জরায়ুতে টিউমার বা পলিপ থাকলে।
  • অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা কিংবা স্ট্রেস হলে।
  • হঠাৎ ওজন কমে গেলে কিংবা বেড়ে গেলে।

করণীয়

হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।

লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে যে সমস্যা হয়

নাহিদা আহমেদ 
অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে যে সমস্যা হয়

মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে, তিনি প্রতিদিন ৬০ গ্রামের মতো প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন। কিডনির সমস্যাসহ বিশেষ কিছু রোগের ক্ষেত্রে আবার পরিমাণ কমাতে হবে। আবার মেয়েদের মাসিকের সময় এবং গর্ভকালে এই প্রোটিনের চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়ে থাকে।

অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীরে যেসব সমস্যা হতে পারে—

নিশ্বাসে দুর্গন্ধ

মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের ফলে নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীর কিটোসিস নামক একটি বিপাকীয় অবস্থায় চলে যায়। এই অবস্থায় বিভিন্ন রাসায়নিক তৈরি হয় বলে শরীরে অপ্রীতিকর গন্ধ তৈরি হয়।

কিডনি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে প্রোটিন ভেঙে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি হয়।

এ থেকে তৈরি হয় নাইট্রোজেন বা বর্জ্য পদার্থ। যেসব রোগীর কিডনির বিভিন্ন জটিলতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে দুর্বল কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের জন্য আরও বেশি শক্তি ক্ষয় করে। এর ফলে কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।

পানিশূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে

অতিরিক্ত নাইট্রোজেন বের করার জন্য শরীরে বিভিন্ন তরল ও পানির নিষ্কাশন বেড়ে যায়। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তৃষ্ণার্ত না করেও এটি আপনাকে পানিশূন্য করে দিতে পারে।

ডায়রিয়া হতে পারে

অত্যধিক দুগ্ধজাত অথবা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলে আঁশের অভাব দেখা দিতে পারে। এতে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি বিশেষভাবে সত্য হবে, যদি আপনার দুধজাতীয় খাবার খাওয়ায় সমস্যা থাকে কিংবা ভাজা মাংস, মাছ এবং হাঁস-মুরগির মতো উৎস থেকে প্রোটিন গ্রহণ করেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে

অনেকে শর্করা কমিয়ে দিয়ে প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। তাঁদের ক্ষেত্রে শরীরে আঁশের ঘাটতি হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘ সময় প্রতিদিন একটানা ১০০ গ্রামের বেশি লাল মাংস খেলে হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা, ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি, বৃহদন্ত্র ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া বেশি প্রোটিন গ্রহণ ফুসফুসের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়া, কোলন ও স্তন ক্যানসারে ভূমিকা রাখে। এমনকি অতিরিক্ত লাল মাংস গ্রহণে আর্থ্রাইটিস, গাউট, পেপটিক আলসার, পিত্তথলিতে পাথর, প্যানক্রিয়াস প্রদাহ, কিডনি রোগসহ বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে।

লেখক: পুষ্টিবিদ, ফরাজি হসপিটাল, বারিধারা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত