অনলাইন ডেস্ক
রোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই। আর স্বাস্থ্যজনিত সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে ক্যানসার এবং কিডনি রোগের পেছনে।
আজ শনিবার রাজধানীর বনানীতে শেরাটন হোটেলে রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) আয়োজিত ‘দি ইকোনমিক ইমপ্যাক্ট অব এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন অন বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইটস ইমপ্লিকেশন ফর ড্রাগ প্রাইসেস ইন দি লোকাল মার্কেট’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধে এসব কথা তুলে ধরেন র্যাপিড চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের ওষুধ এবং স্বাস্থ্য খাতের সঙ্গে জড়িত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সামগ্রিক ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৩ শতাংশ, যা বিশ্বব্যাপী একই খাতে গড় ব্যয়ের চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি। অপরদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২২ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানুষের স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বাড়ার পেছনে বড় কারণ হলো গড় হিসাবে ১৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারে কমপক্ষে একজন ক্যানসার কিংবা কিডনি রোগী রয়েছে। এই দুটো রোগের খরচ সাধারণত বেশি থাকে।
ড. এম এ রাজ্জাক বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর দেশের ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্যের দান বেড়ে যাবে। যার নেতিবাচক প্রভাব পরিবারের ওপর পড়বে। এতে দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য ও সেবা খাতে ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি অর্থায়ন বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে গ্র্যাজুয়েশনের পর বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) শর্তের কারণে ওষুধ পণ্য রপ্তানিতে বিদ্যমান প্রণোদনা থাকবে না। এতে ওষুধ খাত থেকে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ রপ্তানি আয় কমে যাবে। তবে এ খাতের বৈদেশিক আয় দেশের মোট রপ্তানি আয়ের তুলনায় একেবারে কম হওয়ায় অর্থনীতিতে তেমন প্রভাব পড়ার কথা নয়। তবে গ্র্যাজুয়েশনের পর অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডেন্টস (এপিআই) ৯৫ শতাংশ দেশীয়ভাবে উৎপাদন হবে। যা এই খাতের স্বাভাবিক সরবরাহ বিঘ্নিত ঘটা থেকে সুরক্ষায় ভূমিকা রাখবে।
ড. এম এ রাজ্জাক বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন ২০২৬ সালের নভেম্বরে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু পণ্যের পেটেন্ট-ফ্রি সময় বাড়তি তিন বছর বহাল থাকবে। এ সময় দক্ষতা উন্নয়ন ও নতুন এলডিসি উত্তর পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর সুযোগ হিসাবে বিবেচনায় নিতে হবে। পাশাপাশি ওষুধ উৎপাদনে এপিআই আমদানি কমাতে হবে। যা স্থানীয়ভাবে ওষুধ উৎপাদনে সহায়তা করবে। একটা সময় পরে বিশ্ববাজারের বাংলাদেশের উৎপাদিত ওষুধ পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে এবং এই খাতের বৈদেশিক আয় বেড়ে যাবে। সবকিছু পরিকল্পনা ও লক্ষ্য অনুযায়ী করা সম্ভব হলে দেশে ওষুধের দাম না বেড়ে অপরিবর্তিত থাকবে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি র্যাপিড চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাকের সঞ্চালনায় এক অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান দাবি করেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী আমাদের বেশ কিছু ওষুধের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা থাকবে না। এর মধ্যে ইনসুলিনসহ নতুন নতুন রোগের ওষুধ তৈরিতে ৮ গুণ পর্যন্ত খরচ বেড়ে যাবে। একই অনুষ্ঠানে সাবেক সিনিয়র সচিব শরিফা খান বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার শর্তে সুযোগ ২০২৯ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তবে ওষুধের ক্ষেত্রে থাকবে না। এ ছাড়া তৈরি পোশাক খাতে ৬৬ শতাংশ সুবিধা নাও থাকতে পারে।
জিএসকে বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি মাসুদ খান প্যানেল বক্তা হিসাবে বলেন, ওষুধের পেটেন্ট এবং ফার্মাসিউটিক্যাল যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য বছরে কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড আবু ইউসুফের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে ইয়াসির সিদ্দিকী, ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ড সায়মা হক বিদিশা প্রমুখ।
রোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই। আর স্বাস্থ্যজনিত সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে ক্যানসার এবং কিডনি রোগের পেছনে।
আজ শনিবার রাজধানীর বনানীতে শেরাটন হোটেলে রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) আয়োজিত ‘দি ইকোনমিক ইমপ্যাক্ট অব এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন অন বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইটস ইমপ্লিকেশন ফর ড্রাগ প্রাইসেস ইন দি লোকাল মার্কেট’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধে এসব কথা তুলে ধরেন র্যাপিড চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের ওষুধ এবং স্বাস্থ্য খাতের সঙ্গে জড়িত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সামগ্রিক ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৩ শতাংশ, যা বিশ্বব্যাপী একই খাতে গড় ব্যয়ের চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি। অপরদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২২ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানুষের স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বাড়ার পেছনে বড় কারণ হলো গড় হিসাবে ১৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারে কমপক্ষে একজন ক্যানসার কিংবা কিডনি রোগী রয়েছে। এই দুটো রোগের খরচ সাধারণত বেশি থাকে।
ড. এম এ রাজ্জাক বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর দেশের ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্যের দান বেড়ে যাবে। যার নেতিবাচক প্রভাব পরিবারের ওপর পড়বে। এতে দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য ও সেবা খাতে ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি অর্থায়ন বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে গ্র্যাজুয়েশনের পর বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) শর্তের কারণে ওষুধ পণ্য রপ্তানিতে বিদ্যমান প্রণোদনা থাকবে না। এতে ওষুধ খাত থেকে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ রপ্তানি আয় কমে যাবে। তবে এ খাতের বৈদেশিক আয় দেশের মোট রপ্তানি আয়ের তুলনায় একেবারে কম হওয়ায় অর্থনীতিতে তেমন প্রভাব পড়ার কথা নয়। তবে গ্র্যাজুয়েশনের পর অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডেন্টস (এপিআই) ৯৫ শতাংশ দেশীয়ভাবে উৎপাদন হবে। যা এই খাতের স্বাভাবিক সরবরাহ বিঘ্নিত ঘটা থেকে সুরক্ষায় ভূমিকা রাখবে।
ড. এম এ রাজ্জাক বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন ২০২৬ সালের নভেম্বরে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু পণ্যের পেটেন্ট-ফ্রি সময় বাড়তি তিন বছর বহাল থাকবে। এ সময় দক্ষতা উন্নয়ন ও নতুন এলডিসি উত্তর পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর সুযোগ হিসাবে বিবেচনায় নিতে হবে। পাশাপাশি ওষুধ উৎপাদনে এপিআই আমদানি কমাতে হবে। যা স্থানীয়ভাবে ওষুধ উৎপাদনে সহায়তা করবে। একটা সময় পরে বিশ্ববাজারের বাংলাদেশের উৎপাদিত ওষুধ পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে এবং এই খাতের বৈদেশিক আয় বেড়ে যাবে। সবকিছু পরিকল্পনা ও লক্ষ্য অনুযায়ী করা সম্ভব হলে দেশে ওষুধের দাম না বেড়ে অপরিবর্তিত থাকবে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি র্যাপিড চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাকের সঞ্চালনায় এক অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান দাবি করেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী আমাদের বেশ কিছু ওষুধের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা থাকবে না। এর মধ্যে ইনসুলিনসহ নতুন নতুন রোগের ওষুধ তৈরিতে ৮ গুণ পর্যন্ত খরচ বেড়ে যাবে। একই অনুষ্ঠানে সাবেক সিনিয়র সচিব শরিফা খান বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার শর্তে সুযোগ ২০২৯ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তবে ওষুধের ক্ষেত্রে থাকবে না। এ ছাড়া তৈরি পোশাক খাতে ৬৬ শতাংশ সুবিধা নাও থাকতে পারে।
জিএসকে বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি মাসুদ খান প্যানেল বক্তা হিসাবে বলেন, ওষুধের পেটেন্ট এবং ফার্মাসিউটিক্যাল যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য বছরে কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড আবু ইউসুফের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে ইয়াসির সিদ্দিকী, ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ড সায়মা হক বিদিশা প্রমুখ।
চিকিৎসার আশায় ভর্তি হয়েছিলেন, কিন্তু দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও চিকিৎসক না পেয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে একে একে চলে গেছেন সব রোগী। তাঁদেরই একজন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার রাশিদুল ইসলাম। তিনি চলে যাওয়ার সময় বললেন, ‘২১ দিন ছিলাম, কোনো চিকিৎসা পাইনি। ঈদের পর আবার আসব ভাবছি।’
১১ ঘণ্টা আগেমাইগ্রেনের ভোগান্তি বিশ্বজুড়ে। শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যেই ১ কোটিরও বেশি মানুষ মাইগ্রেনে ভোগেন। এই অসুখ কর্মজীবন শেষ করে দিতে পারে, ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারে, এমনকি জীবনকেও ছোট করে দিতে পারে। তাই এর থেকে পরিত্রাণের জন্য যখন কোনো সহজ সমাধান সামনে আসে তখন অনেকেই সেটি চেষ্টা করে দেখেন।
২ দিন আগেনারীর শারীরিক শক্তি নিয়ে প্রচলিত ধারণা বদলে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পুরুষদের ছাপিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি একাধিক নারী ক্রীড়াবিদ এমন নজির স্থাপন করেছেন, যা কেবল ক্রীড়াঙ্গনের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়। বরং এসব সাফল্য আমাদের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে বহু পুরোনো ধ্যানধারণার ভিতে নাড়া দিচ্ছে।
৩ দিন আগেপ্রায় দেড় লাখেরও বেশি মুখ ও গলার ক্যানসার রোগী নতুন ইমিউনোথেরাপি ওষুধের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ক্যানসার মুক্ত থাকতে পারবেন। আন্তর্জাতিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল থেকে জানা গেছে, এই ওষুধ ক্যানসার ফিরে আসার ঝুঁকি কমিয়ে রোগীদের রোগমুক্ত থাকার সময় দ্বিগুণ করতে পারে।
৪ দিন আগে