নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দূষিত বা আর্সেনিকযুক্ত পানির কারণে শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকারিতা হারাচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) গবেষণায় উঠে এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে গবেষণা সংস্থাটি।
আইসিডিডিআর, বি বলছে, আর্সেনিকের মাত্রা বেশি আছে এমন এলাকায় শিশুদের মল এবং পানিতে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ই. কোলাইয়ের (একটি ব্যাকটেরিয়া যা সাধারণত উষ্ণ রক্তের প্রাণীদের অন্ত্রের নিচের অংশে পাওয়া যায় এবং এটি ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ) উচ্চ প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়াও কম আর্সেনিক দূষণযুক্ত অঞ্চলের তুলনায় খাবার পানিতে আর্সেনিক দূষণের মাত্রা বেশি—এমন এলাকায় অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ বেশি দেখা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ বিশ্বব্যাপী মানুষের হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। যদিও অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের প্রধান কারণ অ্যান্টিবায়োটিকের অত্যধিক ব্যবহার এবং অপব্যবহার, কিন্তু প্রাকৃতিক উপাদান যেমন ভারী ধাতুগুলোও অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের কারণ হতে পারে।
গবেষকেরা চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ ও মতলব উপজেলার ১০০টি পরিবারের (প্রত্যেক উপজেলায় ৫০ টি) মা ও শিশুদের মল এবং খাবার পানির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। হাজীগঞ্জে বসবাসকারী পরিবারের মানুষেরা অগভীর নলকূপের পানি পান করে। এখানকার পানিতে আর্সেনিকের উচ্চমাত্রা পাওয়া গেছে। অন্যদিকে মতলবের পরিবারের সদস্যরা আর্সেনিকমুক্ত গভীর নলকূপ থেকে তাঁদের খাবার পানি সংগ্রহ করে।
হাজীগঞ্জের ৫০টি পানির নমুনায় মেডিয়ান আর্সেনিকের ঘনত্বের পরিমাণ প্রতি লিটারে ছিল ৪৮১, যেখানে খাবার পানিতে আর্সেনিকের সর্বোচ্চ সীমা প্রতি লিটারে ১০ হওয়া উচিত।
অন্যদিকে, মতলবের ৫০টি নমুনায় মেডিয়ান আর্সেনিকের ঘনত্ব ছিল শূন্য। সামগ্রিকভাবে, দুটি এলাকার ৮৪ ভাগ পানি এবং মলের নমুনায় ই. কোলাই উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
মতলবের (২২ শতাংশ) পানির তুলনায় হাজীগঞ্জে (৪৮ %) পানিতে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ই. কোলাই এর প্রাদুর্ভাব উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি দেখা যায় এবং হাজীগঞ্জের ৯৪ ভাগ শিশুদের দেহে ব্যাকটেরিয়াটির উপস্থিতি পাওয়া যায়, যা মতলবের শিশুদের ক্ষেত্রে ৭৬ ভাগ। তবে কোনো এলাকার মায়েদের মধ্যে ই. কোলাই এর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
গবেষকেরা আশঙ্কা করেছেন যে, বাংলাদেশে আর্সেনিকের প্রাদুর্ভাবযুক্ত এলাকার শিশুদের দেহে আর্সেনিকের উপস্থিতি এবং অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের মধ্যকার সম্পর্ক জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি উদ্বেগের বিষয়। ফলে আর্সেনিকের প্রভাব ও বিস্তার কমানোর প্রচেষ্টা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।
গবেষক দলের প্রধান আইসিডিডিআর, বির অ্যাডজাঙ্কট সায়েন্টিস্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আর্সেনিকের মতো ভারী ধাতু পরিবেশে অ্যান্টিবায়োটিকের চেয়ে বেশি স্থিতিশীল। এ সকল ধাতু দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাকটেরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। যার ফলাফল হিসেবে মানুষের মধ্যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স গড়ে উঠছে।
‘এর ফলে কখনো অ্যান্টিবায়োটিক নেয়নি তবে আর্সেনিকের মতো ধাতুর সংস্পর্শে এসেছে এমন মানুষ এবং বিভিন্ন প্রাণীর দেহে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী বিভিন্ন অণুজীব তাঁদের বসতি গড়ে তুলতে পারে। অন্যান্য কনফাউন্ডারের তুলনায় গবেষণা থেকে আমরা অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের যে ফলাফল পেয়েছি সেটি নিয়ে আরও গবেষণা করলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া সম্ভব। তবে পরিবেশে যাতে ভারী ধাতুর প্রভাবে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখার পাশাপাশি ওষুধ ও কৃষিতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহারে দায়িত্বশীল হতে হবে।’
দূষিত বা আর্সেনিকযুক্ত পানির কারণে শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকারিতা হারাচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) গবেষণায় উঠে এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে গবেষণা সংস্থাটি।
আইসিডিডিআর, বি বলছে, আর্সেনিকের মাত্রা বেশি আছে এমন এলাকায় শিশুদের মল এবং পানিতে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ই. কোলাইয়ের (একটি ব্যাকটেরিয়া যা সাধারণত উষ্ণ রক্তের প্রাণীদের অন্ত্রের নিচের অংশে পাওয়া যায় এবং এটি ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ) উচ্চ প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়াও কম আর্সেনিক দূষণযুক্ত অঞ্চলের তুলনায় খাবার পানিতে আর্সেনিক দূষণের মাত্রা বেশি—এমন এলাকায় অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ বেশি দেখা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ বিশ্বব্যাপী মানুষের হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। যদিও অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের প্রধান কারণ অ্যান্টিবায়োটিকের অত্যধিক ব্যবহার এবং অপব্যবহার, কিন্তু প্রাকৃতিক উপাদান যেমন ভারী ধাতুগুলোও অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের কারণ হতে পারে।
গবেষকেরা চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ ও মতলব উপজেলার ১০০টি পরিবারের (প্রত্যেক উপজেলায় ৫০ টি) মা ও শিশুদের মল এবং খাবার পানির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। হাজীগঞ্জে বসবাসকারী পরিবারের মানুষেরা অগভীর নলকূপের পানি পান করে। এখানকার পানিতে আর্সেনিকের উচ্চমাত্রা পাওয়া গেছে। অন্যদিকে মতলবের পরিবারের সদস্যরা আর্সেনিকমুক্ত গভীর নলকূপ থেকে তাঁদের খাবার পানি সংগ্রহ করে।
হাজীগঞ্জের ৫০টি পানির নমুনায় মেডিয়ান আর্সেনিকের ঘনত্বের পরিমাণ প্রতি লিটারে ছিল ৪৮১, যেখানে খাবার পানিতে আর্সেনিকের সর্বোচ্চ সীমা প্রতি লিটারে ১০ হওয়া উচিত।
অন্যদিকে, মতলবের ৫০টি নমুনায় মেডিয়ান আর্সেনিকের ঘনত্ব ছিল শূন্য। সামগ্রিকভাবে, দুটি এলাকার ৮৪ ভাগ পানি এবং মলের নমুনায় ই. কোলাই উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
মতলবের (২২ শতাংশ) পানির তুলনায় হাজীগঞ্জে (৪৮ %) পানিতে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ই. কোলাই এর প্রাদুর্ভাব উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি দেখা যায় এবং হাজীগঞ্জের ৯৪ ভাগ শিশুদের দেহে ব্যাকটেরিয়াটির উপস্থিতি পাওয়া যায়, যা মতলবের শিশুদের ক্ষেত্রে ৭৬ ভাগ। তবে কোনো এলাকার মায়েদের মধ্যে ই. কোলাই এর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
গবেষকেরা আশঙ্কা করেছেন যে, বাংলাদেশে আর্সেনিকের প্রাদুর্ভাবযুক্ত এলাকার শিশুদের দেহে আর্সেনিকের উপস্থিতি এবং অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের মধ্যকার সম্পর্ক জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি উদ্বেগের বিষয়। ফলে আর্সেনিকের প্রভাব ও বিস্তার কমানোর প্রচেষ্টা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।
গবেষক দলের প্রধান আইসিডিডিআর, বির অ্যাডজাঙ্কট সায়েন্টিস্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আর্সেনিকের মতো ভারী ধাতু পরিবেশে অ্যান্টিবায়োটিকের চেয়ে বেশি স্থিতিশীল। এ সকল ধাতু দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাকটেরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। যার ফলাফল হিসেবে মানুষের মধ্যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স গড়ে উঠছে।
‘এর ফলে কখনো অ্যান্টিবায়োটিক নেয়নি তবে আর্সেনিকের মতো ধাতুর সংস্পর্শে এসেছে এমন মানুষ এবং বিভিন্ন প্রাণীর দেহে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী বিভিন্ন অণুজীব তাঁদের বসতি গড়ে তুলতে পারে। অন্যান্য কনফাউন্ডারের তুলনায় গবেষণা থেকে আমরা অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের যে ফলাফল পেয়েছি সেটি নিয়ে আরও গবেষণা করলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া সম্ভব। তবে পরিবেশে যাতে ভারী ধাতুর প্রভাবে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখার পাশাপাশি ওষুধ ও কৃষিতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহারে দায়িত্বশীল হতে হবে।’
পুরুষদের জন্য নিরাপদ, কার্যকর ও হরমোনবিহীন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির পরীক্ষায় মিলেছে বড় সাফল্য। এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১৬ জন পুরুষ। এই ধাপে ওষুধটি শরীরে যথাযথ মাত্রায় পৌঁছায় কি না এবং এটি হৃদস্পন্দন, হরমোন, প্রদাহ, মেজাজ কিংবা যৌনক্ষমতার ওপর কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে কি না—তা পর্যবেক্ষণ
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার চার দেশ—শ্রীলঙ্কা, ভারত ও পাকিস্তানের মানুষদের আল্ট্রাপ্রসেসড ফুড বা অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণের প্রবণতা অনেক বেশি। এই অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ, দিনের কোনো না কোনো পর্যায়ে এ ধরনের খাবার গ্রহণ করেন। গবেষণায় উঠে এসেছে যে, এই চার দেশের মানুষের একটা বড় অংশই তাদের...
১১ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) সারা দেশে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ৪৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
১ দিন আগেদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ ও করোনার নতুন উপধরনের সংক্রমণের মধ্যে দুটি রোগের চিকিৎসায় নতুন নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত ‘ডেঙ্গু ও কোভিড চিকিৎসায় নির্দেশনাবলি’ আজ রোববার (২০ জুলাই) প্রকাশ করা হয়েছে।
৩ দিন আগে