করোনা টিকার বিতরণ ন্যায্য হচ্ছে না উল্লেখ করে এর বণ্টন ন্যায্য করতে একটি বৈশ্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি বলে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ ক্ষেত্রে তিনি ধনী ও ক্ষমতাধর দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে আন্তোনিও গুতেরেস এ কথা বলেন।
টিকার ন্যায্য বণ্টন নিশ্চিতে বিজ্ঞানী, টিকা উৎপাদনকারী ও বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এ ক্ষেত্রে ধনী ও ক্ষমতাধর দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্বের সব বিজ্ঞানী, টিকা উৎপাদনকারী ও বিনিয়োগকারীকে এক জোট করে এমন বৈশ্বিক উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে দ্রুততম সময়ে সব দেশের মানুষকে টিকার আওতায় আনা যায়। গুতেরেস এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ধনী দেশগুলোর জোট জি–২০–এর কথা উল্লেখ করেন। এই ধনী দেশগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের আহ্বান জানান, যাতে টিকা উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত সব ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ও সংশ্লিষ্ট অন্য সব অংশীদারদের এক জোট করা যায়।
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে গুতেরেস বলেন, আগামী শুক্রবার জি–৭ এর যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে অগ্রগতি হতে পারে।
এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা জানায়, মহামারি মোকাবিলার সামনের দিনগুলোতে শুধু টিকার অসম বণ্টনের কারণেই বড় ধরনের সংকট সামনে আসতে পারে বলে নেতৃবৃন্দ একমত হয়েছেন। ধনী দেশগুলো নিজের নাগরিকদের টিকা দিচ্ছে। কিন্তু বিশ্বের বহু দেশ এখনো তা করতে পারছে না। কিন্তু বিশ্বের একটি বড় অংশকে অরক্ষিত রেখে কোভিড থেকে কেউ মুক্ত হতে পারবে না। এমনটি চলতে থাকলে বরং আরও বড় সংকট সামনে আসবে। তা হলো এখন পর্যন্ত যেসব টিকা বাজারে আছে, তাও সে ক্ষেত্রে কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলতে পারে। আর এমনটি হলে বিপর্যয় আরও বাড়বে।
বৈঠকে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, বিশ্বের ৩২টি দেশে মোট টিকার মাত্র ১ শতাংশ সরবরাহ করা হয়েছে। আর এই দেশগুলোই এখন করোনায় সবচেয়ে বড় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে ১৩৮তম আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির বৈঠকে একই প্রসঙ্গে কথা বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস। তিনি বলেন, ‘মহামারি থেকে উত্তরণ হয়েছে বলে যারা মনে করছেন, তাঁরা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। টিকা শক্তিশালী ও প্রয়োজনীয়। কিন্তু বিশ্ব একে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেনি। ব্যবহৃত টিকার ৭৫ শতাংশই ১০টি দেশে ব্যবহৃত হয়েছে। নিম্ন আয়ের দেশের মানুষের মাত্র ১ শতাংশ এই টিকার একটি ডোজ পেয়েছে। উচ্চ আয়ের দেশগুলোর অর্ধেক লোকই প্রথম ডোজ পেয়েছে। কিছু অতি ধনী দেশ এখন তৃতীয় ডোজের কথা বলছে। অথচ বিশ্বের বাকি অংশের স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বা অন্য ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী এখনো একটি ডোজই পায়নি।’
তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, টিকা, করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিশ্ব তার সক্ষমতা সবার সঙ্গে সমানভাবে ভাগ করে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এটি একসঙ্গে দুটি মহামারির জন্ম দিচ্ছে। যার আছে তাদের দরজা খুলছে, আর যাদের নেই, তাদের জন্য লকডাউন। এটা শুধু নৈতিক পরাজয় নয়, এটি একই সঙ্গে মহামারিবিদ্যা ও অর্থনীতি—দুই বিচারেই পরাজয়।’
করোনা টিকার বিতরণ ন্যায্য হচ্ছে না উল্লেখ করে এর বণ্টন ন্যায্য করতে একটি বৈশ্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি বলে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ ক্ষেত্রে তিনি ধনী ও ক্ষমতাধর দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে আন্তোনিও গুতেরেস এ কথা বলেন।
টিকার ন্যায্য বণ্টন নিশ্চিতে বিজ্ঞানী, টিকা উৎপাদনকারী ও বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এ ক্ষেত্রে ধনী ও ক্ষমতাধর দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্বের সব বিজ্ঞানী, টিকা উৎপাদনকারী ও বিনিয়োগকারীকে এক জোট করে এমন বৈশ্বিক উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে দ্রুততম সময়ে সব দেশের মানুষকে টিকার আওতায় আনা যায়। গুতেরেস এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ধনী দেশগুলোর জোট জি–২০–এর কথা উল্লেখ করেন। এই ধনী দেশগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের আহ্বান জানান, যাতে টিকা উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত সব ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ও সংশ্লিষ্ট অন্য সব অংশীদারদের এক জোট করা যায়।
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে গুতেরেস বলেন, আগামী শুক্রবার জি–৭ এর যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে অগ্রগতি হতে পারে।
এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা জানায়, মহামারি মোকাবিলার সামনের দিনগুলোতে শুধু টিকার অসম বণ্টনের কারণেই বড় ধরনের সংকট সামনে আসতে পারে বলে নেতৃবৃন্দ একমত হয়েছেন। ধনী দেশগুলো নিজের নাগরিকদের টিকা দিচ্ছে। কিন্তু বিশ্বের বহু দেশ এখনো তা করতে পারছে না। কিন্তু বিশ্বের একটি বড় অংশকে অরক্ষিত রেখে কোভিড থেকে কেউ মুক্ত হতে পারবে না। এমনটি চলতে থাকলে বরং আরও বড় সংকট সামনে আসবে। তা হলো এখন পর্যন্ত যেসব টিকা বাজারে আছে, তাও সে ক্ষেত্রে কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলতে পারে। আর এমনটি হলে বিপর্যয় আরও বাড়বে।
বৈঠকে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, বিশ্বের ৩২টি দেশে মোট টিকার মাত্র ১ শতাংশ সরবরাহ করা হয়েছে। আর এই দেশগুলোই এখন করোনায় সবচেয়ে বড় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে ১৩৮তম আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির বৈঠকে একই প্রসঙ্গে কথা বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস। তিনি বলেন, ‘মহামারি থেকে উত্তরণ হয়েছে বলে যারা মনে করছেন, তাঁরা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। টিকা শক্তিশালী ও প্রয়োজনীয়। কিন্তু বিশ্ব একে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেনি। ব্যবহৃত টিকার ৭৫ শতাংশই ১০টি দেশে ব্যবহৃত হয়েছে। নিম্ন আয়ের দেশের মানুষের মাত্র ১ শতাংশ এই টিকার একটি ডোজ পেয়েছে। উচ্চ আয়ের দেশগুলোর অর্ধেক লোকই প্রথম ডোজ পেয়েছে। কিছু অতি ধনী দেশ এখন তৃতীয় ডোজের কথা বলছে। অথচ বিশ্বের বাকি অংশের স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বা অন্য ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী এখনো একটি ডোজই পায়নি।’
তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, টিকা, করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিশ্ব তার সক্ষমতা সবার সঙ্গে সমানভাবে ভাগ করে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এটি একসঙ্গে দুটি মহামারির জন্ম দিচ্ছে। যার আছে তাদের দরজা খুলছে, আর যাদের নেই, তাদের জন্য লকডাউন। এটা শুধু নৈতিক পরাজয় নয়, এটি একই সঙ্গে মহামারিবিদ্যা ও অর্থনীতি—দুই বিচারেই পরাজয়।’
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ২০২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় তারা ভর্তি হয়েছে। তবে এ সময়ে কোনো ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়নি। আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য...
৪ ঘণ্টা আগেগরিব রোগীদের অনর্থক টেস্ট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চিকিৎসকদের উদ্দেশে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, রোগের কথা ভালোভাবে না শুনেই অনেক চিকিৎসক অনর্থক ১৪-১৫টি পরীক্ষা দেন। গরিব রোগীদের প্রতি এই অত্যাচার বন্ধ করুন।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চিকিৎসকদের পরামর্শপত্রে অপ্রয়োজনীয় রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা দেওয়ার চর্চার কড়া সমালোচনা করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। অনর্থক টেস্ট না দিতে এবং মধ্যস্বত্বভোগীর ভূমিকা না নিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) বাংলাদেশ প্রাইভেট হসপিটাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক
৫ ঘণ্টা আগেসরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) ব্যবস্থাপক ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, স্বাস্থ্য সহকারীদের আন্দোলন চলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে দেরি হয়েছে। তাই টিকাদান কর্মসূচি পিছিয়ে ১২ অক্টোবর ঠিক করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল রোববার নতুন এই সিদ্ধান্ত জানা
৭ ঘণ্টা আগে