আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ানস মেম্বারশিপ (এমআরসিপি) পার্ট–১ পরীক্ষার ফলাফলে রেকর্ড গড়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ডিএমসি) সাবেক শিক্ষার্থী ডা. শরিফুল হালিম। গত ১৬ মে রাতে এমআরসিপির প্রকাশিত ফলাফলে তিনি ৯৯৯–এর মধ্যে ৯৩০ নম্বর পেয়েছেন।
শনিবার (২৫ মে) ডা. শরিফুল হালিম আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সবার দোয়ায় এমআরসিপির প্রকাশিত ফলাফলে ৯৯৯–এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৩০ মার্ক পেয়েছি।’
জানা গেছে, সারা বিশ্বের চিকিৎসকদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ একটি ডিগ্রি হলো যুক্তরাজ্যের এমআরসিপি। প্রতিবছর এ ডিগ্রি নিতে সারা বিশ্ব থেকে চিকিৎসকেরা পরীক্ষায় অংশ নেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই পরীক্ষা রয়েছে। এই পরীক্ষার ফি বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৯২ হাজার টাকা। এই পরীক্ষার পাস নম্বর ৫৪০। সারা বিশ্বের অনেক চিকিৎসকই এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন না। তবে যারা উত্তীর্ণ হন, তাঁদের বেশির ভাগের প্রাপ্ত নম্বর থাকে ৬০০–৮০০–এর ঘরে থাকে। সেখানে ৯৩০ নম্বর পেয়েছেন ডা. শরিফুল হালিম। এই নম্বর এমআরসিপিতে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর ডা. শরিফুল হালিম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, গত কয়েক দিনের টেনশন শেষ হলো। এমআরসিপি পার্ট ১ পাস করলাম। আর ৯৩০ / ৯৯৯ পাওয়া একটা বিশাল ভাগ্য। আশা করি, এটা ওয়ার্ল্ডে এই ডায়েটের একটা টপ স্কোর। এই ফলাফলের জন্য সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ যে পাবে, তিনি আমার স্ত্রী তাজরিয়া শরিফ। তাঁর সহযোগিতা না পেলে এই পরীক্ষা দেওয়াই হতো না। আমি জীবনসঙ্গী বেছে নিতে ভুল করিনি। এভাবেই সব সময় আমার পাশে থেকো।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার দুই মেয়েকে ঈদে সময় দেইনি। মামণি, তোমাদের অনেক আদর। আমার বাবা–মা, শ্বশুর–শাশুড়িকে ধন্যবাদ, সাপোর্ট দেওয়ার জন্য। আমার শাশুড়ি সব সময় বাচ্চাদের আগলে না রাখলে আমাদের পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করাই হতো না।’
এ ছাড়া পোস্টে আরও কয়েকজনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ডা. শরিফুল হালিম আরও লিখেছেন, ‘আমার কার্ডিওলজির মেন্টর, আমার আইডল, আমার ইন্সপাইরেশন আব্দুল মোমেন স্যারকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না। স্যার, আমাকে সব সময় আপনার ছায়ার নিচে রাখবেন। আমার ইউনিটের আশরাফ-উর রহমান তমাল, তমাল পিটার, বাশার আদনান, আব্দুল মালেক, তানিয়া ইয়াসমিন ইভা, ফাইজুল হাফিজ চৌধুরী সবাইকে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ জানাই, আমার সকল শিক্ষার্থীকে যারা আমাকে সব সময় সাহস দিয়েছেন।’
ডা. শরিফুল হালিমের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়ায়। তিনি কেন্দুয়ার ঐতিহ্যবাহী বেখৈরহাটী এন কে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ময়মনসিংহের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (এনআইসিভিডি) ফেজ–বিতে রেসিডেন্ট (কার্ডিওলজি) হিসেবে অধ্যয়নরত।
ডা. শফিকুল বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাও। তাঁর বাবা আব্দুল হালিম স্কুলশিক্ষক ও মা আসমা আক্তার গৃহিণী। ডা. শরিফুল হালিম ব্যক্তিগত জীবনে দুই কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রীও চিকিৎসক।
যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ানস মেম্বারশিপ (এমআরসিপি) পার্ট–১ পরীক্ষার ফলাফলে রেকর্ড গড়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ডিএমসি) সাবেক শিক্ষার্থী ডা. শরিফুল হালিম। গত ১৬ মে রাতে এমআরসিপির প্রকাশিত ফলাফলে তিনি ৯৯৯–এর মধ্যে ৯৩০ নম্বর পেয়েছেন।
শনিবার (২৫ মে) ডা. শরিফুল হালিম আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সবার দোয়ায় এমআরসিপির প্রকাশিত ফলাফলে ৯৯৯–এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৩০ মার্ক পেয়েছি।’
জানা গেছে, সারা বিশ্বের চিকিৎসকদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ একটি ডিগ্রি হলো যুক্তরাজ্যের এমআরসিপি। প্রতিবছর এ ডিগ্রি নিতে সারা বিশ্ব থেকে চিকিৎসকেরা পরীক্ষায় অংশ নেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই পরীক্ষা রয়েছে। এই পরীক্ষার ফি বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৯২ হাজার টাকা। এই পরীক্ষার পাস নম্বর ৫৪০। সারা বিশ্বের অনেক চিকিৎসকই এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন না। তবে যারা উত্তীর্ণ হন, তাঁদের বেশির ভাগের প্রাপ্ত নম্বর থাকে ৬০০–৮০০–এর ঘরে থাকে। সেখানে ৯৩০ নম্বর পেয়েছেন ডা. শরিফুল হালিম। এই নম্বর এমআরসিপিতে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর ডা. শরিফুল হালিম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, গত কয়েক দিনের টেনশন শেষ হলো। এমআরসিপি পার্ট ১ পাস করলাম। আর ৯৩০ / ৯৯৯ পাওয়া একটা বিশাল ভাগ্য। আশা করি, এটা ওয়ার্ল্ডে এই ডায়েটের একটা টপ স্কোর। এই ফলাফলের জন্য সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ যে পাবে, তিনি আমার স্ত্রী তাজরিয়া শরিফ। তাঁর সহযোগিতা না পেলে এই পরীক্ষা দেওয়াই হতো না। আমি জীবনসঙ্গী বেছে নিতে ভুল করিনি। এভাবেই সব সময় আমার পাশে থেকো।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার দুই মেয়েকে ঈদে সময় দেইনি। মামণি, তোমাদের অনেক আদর। আমার বাবা–মা, শ্বশুর–শাশুড়িকে ধন্যবাদ, সাপোর্ট দেওয়ার জন্য। আমার শাশুড়ি সব সময় বাচ্চাদের আগলে না রাখলে আমাদের পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করাই হতো না।’
এ ছাড়া পোস্টে আরও কয়েকজনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ডা. শরিফুল হালিম আরও লিখেছেন, ‘আমার কার্ডিওলজির মেন্টর, আমার আইডল, আমার ইন্সপাইরেশন আব্দুল মোমেন স্যারকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না। স্যার, আমাকে সব সময় আপনার ছায়ার নিচে রাখবেন। আমার ইউনিটের আশরাফ-উর রহমান তমাল, তমাল পিটার, বাশার আদনান, আব্দুল মালেক, তানিয়া ইয়াসমিন ইভা, ফাইজুল হাফিজ চৌধুরী সবাইকে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ জানাই, আমার সকল শিক্ষার্থীকে যারা আমাকে সব সময় সাহস দিয়েছেন।’
ডা. শরিফুল হালিমের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়ায়। তিনি কেন্দুয়ার ঐতিহ্যবাহী বেখৈরহাটী এন কে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ময়মনসিংহের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (এনআইসিভিডি) ফেজ–বিতে রেসিডেন্ট (কার্ডিওলজি) হিসেবে অধ্যয়নরত।
ডা. শফিকুল বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাও। তাঁর বাবা আব্দুল হালিম স্কুলশিক্ষক ও মা আসমা আক্তার গৃহিণী। ডা. শরিফুল হালিম ব্যক্তিগত জীবনে দুই কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রীও চিকিৎসক।
ক্যানসারের টিকা নিয়ে সুখবর দিচ্ছে রাশিয়া। দেশটির গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, তারা চলতি বছরের গ্রীষ্মে ক্যানসারের টিকার অনুমোদন পাবে। আগামী সেপ্টেম্বরে এই টিকা রোগীদের দেওয়া শুরু হতে পারে।
৩ দিন আগেস্বাস্থ্যসেবাকে জনমুখী করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব দিতে গঠিত সংস্কার কমিশন ওষুধের প্রাপ্যতা, চিকিৎসা শিক্ষার মান ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কমিশন ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেবে।
৫ দিন আগেশিশুদের কানে ব্যথা হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। সাধারণত ৬ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে কানের সংক্রমণ বেশি হতে দেখা যায়। তিন বছরের কম বয়সী শতকরা ৩০ ভাগ শিশু কোনো না কোনো কারণে কানে ব্যথায় ভুগে থাকে।
৭ দিন আগেদিন দিন ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে এর চিকিৎসাপদ্ধতি এবং ওষুধ সহজলভ্য করার বিভিন্ন গবেষণা। এবার স্কটল্যান্ডের গবেষকেরা তৈরি করেছেন একটি বিশেষ এআই টুল। এটি চোখ পরীক্ষার মাধ্যমে ডিমেনশিয়ার প্রাথমিক লক্ষণগুলো শনাক্ত করতে সাহায্য করবে।
৭ দিন আগে