অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া

গর্ভকাল থেকে সন্তান প্রসবের এই দীর্ঘ সময়ে মায়েরা নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্য় দিয়ে যান। ফলে মায়েরা সন্তান জন্মদানের পর পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বা প্রসব-পরবর্তী বিষণ্নতায় ভোগেন। আমাদের দেশে নতুন মায়ের এই ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার ব্যাপারটি সম্পর্কে এখন অনেকেই সচেতন। কিন্তু জানেন কি, সন্তান জন্মের পর এই বিষণ্নতায় ভোগেন বাবারাও?
উল্লেখ্য, বৈশ্বিক চালচিত্রে ৮ থেকে ১৩ শতাংশ বাবা পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বা প্রসব-পরবর্তী বিষণ্নতার ঝুঁকিতে আছেন। শুধু তা-ই নয়, এই বিষণ্নতার কারণে বাবাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ছাপ পড়ে বাবা-মা-সন্তানের ত্রিভুজ সম্পর্কে। যদিও বর্তমানে, বিশেষ করে আমাদের দেশে বাবাদের প্রসব-পরবর্তী বিষণ্নতা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারটি একেবারেই উপেক্ষিত। শুধু তা-ই নয়, শিশুটি যখন মায়ের গর্ভে বেড়ে উঠছে, তখনো কিন্তু বাবারা বিষণ্নতায় ভুগতে পারেন, যা তাঁদের মানসিক সুস্বাস্থ্যের একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ। কিন্তু মুশকিল হলো, আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ পুরুষকে তাঁর ভয় বা দুঃখজনিত আবেগ প্রকাশের অনুমতি দেয় না। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই এই হবু বাবা তাঁর ভয় অথবা বেদনাকে রাগের মাধ্যমে আচরণ দ্বারা বহিঃপ্রকাশ করেন। যার ফলে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক ভুল-বোঝাবুঝি বেড়ে দ্বিগুণ হয়।
সন্তান জন্মের পর প্রথম তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে নতুন বাবার পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে ভোগার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এ সময় নতুন মা-বাবার দাম্পত্যে ফাটল ধরার হারও কিন্তু বেশি।
এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী পুরুষদের এই কষ্টের জায়গাটি পর্যাপ্তভাবে স্বীকৃতির পর্যায়ে না এলেও ভুক্তভোগী মানুষটি জানেন যে কী ভয়ংকরভাবে তাঁর সহযোগিতা দরকার। আর ঠিক এখানেই এগিয়ে আসা প্রয়োজন বৃহত্তর পরিবারের। নতুন মাকে পর্যাপ্ত ঘুমের সুযোগ দেওয়া এবং নতুন বাবাকে মানসিকভাবে সাহায্য করা তখন বৃহত্তর পরিবারের কর্তব্য হয়ে পড়ে।
প্রেমিক-প্রেমিকার থেকে স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন বেশি শক্তিশালী। কারণ তাঁদের দুজনের মধ্য়ে কোনো একজনকে লাইফ সাপোর্টে নিতে হলে সেটাও জীবনসঙ্গীকে দিতে হয়। স্বামী-স্ত্রী যখন মা-বাবা হয়ে যান, তখন তাঁদের আন্তসম্পর্ক আরও একটি নতুন মোড় নেয়। মা-বাবার মধ্যে বিরোধ থাকবেই, কিন্তু দুজন যত বেশি ভাগাভাগি করে শিশুর লালন-পালনের কাজটা একসঙ্গে করবেন, ততই স্বামী-স্ত্রী এবং নতুন অতিথির সম্পর্কের মিথস্ক্রিয়া দৃঢ় হবে।
অনেক সময় দেখা যায়, সন্তানের জন্মের পর বাবা খুব খিটখিটে হয়ে থাকেন। পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হলে বাবাদের আচরণে খিটখিটে ভাব দেখা দেয়। অনেকে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন, সেই সঙ্গে আবেগীয় বহিঃপ্রকাশ কম হয়। ফলে নতুন মায়ের সঙ্গে ক্রমাগত দূরত্ব তৈরি হওয়ার একটি আশঙ্কা তৈরি হয়।
সন্তান জন্মদান কিন্তু শুধু মায়ের জীবনের একক ঘটনা নয়। বাবাও এর অংশীদার। মনে রাখতে হবে, নতুন বাবারও পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন হতে পারে। জার্নাল অব আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মতে, গড়ে ১০ শতাংশ বাবাও সন্তান জন্মের আগে বা পরপরই বিষণ্নতায় ভুগতে পারেন। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের উপাত্ত অনুসারে, গড়ে চারজন বাবার একজন পোস্টপার্টাম ব্লু'তে ভোগেন সন্তান জন্মের তিন থেকে ছয় মাস পরে। হরমোনজনিত কারণ ছাড়াও দাম্পত্য সম্পর্কে সন্তান মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় নতুন বাবার নিজেকে পরিত্যক্ত বোধ করা, বাড়তি অর্থনৈতিক চাপ, সন্তানের জন্য পর্যাপ্ত কাজ করতে পারছেন না বলে নিজেকে দোষারোপ করার প্রবণতা, দাম্পত্যে পারস্পরিক কোয়ালিটি সময় কমে যাওয়া, যৌনজীবনে অতৃপ্তি ইত্যাদি ভূমিকা বিষণ্নতা বাড়িয়ে তোলে। এখানে বলে রাখা ভালো, বিশ্বব্যাপী পুরুষের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন সাংঘাতিকভাবে অবহেলিত। কাজেই একজন নতুন বাবার বিষণ্নতা, ক্লান্তি, অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, অরুচি, ঘুমের সমস্যা ইত্যাদি উপসর্গকে ক্ষেত্রবিশেষে ধর্তব্যের মধ্যে আনাই হয় না। আর আমাদের সমাজ পুরুষের রাগ দেখতে যতটা অভ্যস্ত, তার দুঃখ বা ভয় দেখতে ততটা মোটেও নয়; বরং একে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে এতে লজ্জার কিছু নেই। নতুন বাবা হওয়া মানে দীর্ঘ সময় ধরে শিশুর যত্ন এবং সমাজ যেটা বাবার কাজ বলে উড়িয়ে দেয়।
কোন বাবারা এই বিষণ্নতায় ভোগেন?
সব বাবা পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে ভোগেন না। যে বাবা অপেক্ষাকৃত তরুণ, যাঁদের বিষণ্নতার ইতিহাস আছে, আন্তসম্পর্কের টানাপোড়েনের অভিজ্ঞতা আছে, অর্থনৈতিকভাবে টানাটানির মধ্যে যাচ্ছেন, তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি এবং এ ক্ষেত্রে বাবাদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নের প্রয়োজন হয়।
লক্ষণ
হতাশা, দুঃখবোধ, ভয়, অসহায়ত্ব, বিভ্রান্তি, সিদ্ধান্তহীনতা, নিরুৎসাহী মনোভাব, নিষ্ঠুরতাবোধ, রাগ, খিটখিটে মেজাজ, ক্ষোভ, পছন্দের কাজে আগ্রহ কমে যাওয়া, সব সময় কাজ করা, দাম্পত্য কলহ, অনিদ্রা,মদ ও মাদকের ব্যবহার, বদহজম, ক্ষুধা এবং ওজন পরিবর্তন, মাথাব্যথা বমি বমি ভাব ইত্যাদি।
চিকিৎসা কেমন হবে
সাইকোথেরাপি এ ক্ষেত্রে চমৎকার কাজে লাগে, এখানে কথা বলাকে চিকিৎসার কাজে লাগানো হয়। এ ছাড়া চিকিৎসক প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধ দিতে পারেন। এ সময় বাবাদের সুষম খাদ্যগ্রহণ ও ব্যায়াম করা প্রয়োজন। বলে রাখা ভালো, নতুন মা যদি বিষণ্নতায় ভোগেন, তাহলে কিন্তু বাবারও বিষণ্নতায় ভোগার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কাজেই এ সময় বৃহত্তর পরিবারের ভূমিকা হবে নতুন মাকে বিশ্রাম দেওয়া, সেই সঙ্গে বাবারও যত্ন নেওয়া।
লেখক : চিকিৎসক, কাউনসেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি

গর্ভকাল থেকে সন্তান প্রসবের এই দীর্ঘ সময়ে মায়েরা নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্য় দিয়ে যান। ফলে মায়েরা সন্তান জন্মদানের পর পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বা প্রসব-পরবর্তী বিষণ্নতায় ভোগেন। আমাদের দেশে নতুন মায়ের এই ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার ব্যাপারটি সম্পর্কে এখন অনেকেই সচেতন। কিন্তু জানেন কি, সন্তান জন্মের পর এই বিষণ্নতায় ভোগেন বাবারাও?
উল্লেখ্য, বৈশ্বিক চালচিত্রে ৮ থেকে ১৩ শতাংশ বাবা পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বা প্রসব-পরবর্তী বিষণ্নতার ঝুঁকিতে আছেন। শুধু তা-ই নয়, এই বিষণ্নতার কারণে বাবাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ছাপ পড়ে বাবা-মা-সন্তানের ত্রিভুজ সম্পর্কে। যদিও বর্তমানে, বিশেষ করে আমাদের দেশে বাবাদের প্রসব-পরবর্তী বিষণ্নতা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারটি একেবারেই উপেক্ষিত। শুধু তা-ই নয়, শিশুটি যখন মায়ের গর্ভে বেড়ে উঠছে, তখনো কিন্তু বাবারা বিষণ্নতায় ভুগতে পারেন, যা তাঁদের মানসিক সুস্বাস্থ্যের একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ। কিন্তু মুশকিল হলো, আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ পুরুষকে তাঁর ভয় বা দুঃখজনিত আবেগ প্রকাশের অনুমতি দেয় না। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই এই হবু বাবা তাঁর ভয় অথবা বেদনাকে রাগের মাধ্যমে আচরণ দ্বারা বহিঃপ্রকাশ করেন। যার ফলে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক ভুল-বোঝাবুঝি বেড়ে দ্বিগুণ হয়।
সন্তান জন্মের পর প্রথম তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে নতুন বাবার পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে ভোগার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এ সময় নতুন মা-বাবার দাম্পত্যে ফাটল ধরার হারও কিন্তু বেশি।
এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী পুরুষদের এই কষ্টের জায়গাটি পর্যাপ্তভাবে স্বীকৃতির পর্যায়ে না এলেও ভুক্তভোগী মানুষটি জানেন যে কী ভয়ংকরভাবে তাঁর সহযোগিতা দরকার। আর ঠিক এখানেই এগিয়ে আসা প্রয়োজন বৃহত্তর পরিবারের। নতুন মাকে পর্যাপ্ত ঘুমের সুযোগ দেওয়া এবং নতুন বাবাকে মানসিকভাবে সাহায্য করা তখন বৃহত্তর পরিবারের কর্তব্য হয়ে পড়ে।
প্রেমিক-প্রেমিকার থেকে স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন বেশি শক্তিশালী। কারণ তাঁদের দুজনের মধ্য়ে কোনো একজনকে লাইফ সাপোর্টে নিতে হলে সেটাও জীবনসঙ্গীকে দিতে হয়। স্বামী-স্ত্রী যখন মা-বাবা হয়ে যান, তখন তাঁদের আন্তসম্পর্ক আরও একটি নতুন মোড় নেয়। মা-বাবার মধ্যে বিরোধ থাকবেই, কিন্তু দুজন যত বেশি ভাগাভাগি করে শিশুর লালন-পালনের কাজটা একসঙ্গে করবেন, ততই স্বামী-স্ত্রী এবং নতুন অতিথির সম্পর্কের মিথস্ক্রিয়া দৃঢ় হবে।
অনেক সময় দেখা যায়, সন্তানের জন্মের পর বাবা খুব খিটখিটে হয়ে থাকেন। পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হলে বাবাদের আচরণে খিটখিটে ভাব দেখা দেয়। অনেকে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন, সেই সঙ্গে আবেগীয় বহিঃপ্রকাশ কম হয়। ফলে নতুন মায়ের সঙ্গে ক্রমাগত দূরত্ব তৈরি হওয়ার একটি আশঙ্কা তৈরি হয়।
সন্তান জন্মদান কিন্তু শুধু মায়ের জীবনের একক ঘটনা নয়। বাবাও এর অংশীদার। মনে রাখতে হবে, নতুন বাবারও পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন হতে পারে। জার্নাল অব আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মতে, গড়ে ১০ শতাংশ বাবাও সন্তান জন্মের আগে বা পরপরই বিষণ্নতায় ভুগতে পারেন। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের উপাত্ত অনুসারে, গড়ে চারজন বাবার একজন পোস্টপার্টাম ব্লু'তে ভোগেন সন্তান জন্মের তিন থেকে ছয় মাস পরে। হরমোনজনিত কারণ ছাড়াও দাম্পত্য সম্পর্কে সন্তান মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় নতুন বাবার নিজেকে পরিত্যক্ত বোধ করা, বাড়তি অর্থনৈতিক চাপ, সন্তানের জন্য পর্যাপ্ত কাজ করতে পারছেন না বলে নিজেকে দোষারোপ করার প্রবণতা, দাম্পত্যে পারস্পরিক কোয়ালিটি সময় কমে যাওয়া, যৌনজীবনে অতৃপ্তি ইত্যাদি ভূমিকা বিষণ্নতা বাড়িয়ে তোলে। এখানে বলে রাখা ভালো, বিশ্বব্যাপী পুরুষের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন সাংঘাতিকভাবে অবহেলিত। কাজেই একজন নতুন বাবার বিষণ্নতা, ক্লান্তি, অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, অরুচি, ঘুমের সমস্যা ইত্যাদি উপসর্গকে ক্ষেত্রবিশেষে ধর্তব্যের মধ্যে আনাই হয় না। আর আমাদের সমাজ পুরুষের রাগ দেখতে যতটা অভ্যস্ত, তার দুঃখ বা ভয় দেখতে ততটা মোটেও নয়; বরং একে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে এতে লজ্জার কিছু নেই। নতুন বাবা হওয়া মানে দীর্ঘ সময় ধরে শিশুর যত্ন এবং সমাজ যেটা বাবার কাজ বলে উড়িয়ে দেয়।
কোন বাবারা এই বিষণ্নতায় ভোগেন?
সব বাবা পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে ভোগেন না। যে বাবা অপেক্ষাকৃত তরুণ, যাঁদের বিষণ্নতার ইতিহাস আছে, আন্তসম্পর্কের টানাপোড়েনের অভিজ্ঞতা আছে, অর্থনৈতিকভাবে টানাটানির মধ্যে যাচ্ছেন, তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি এবং এ ক্ষেত্রে বাবাদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নের প্রয়োজন হয়।
লক্ষণ
হতাশা, দুঃখবোধ, ভয়, অসহায়ত্ব, বিভ্রান্তি, সিদ্ধান্তহীনতা, নিরুৎসাহী মনোভাব, নিষ্ঠুরতাবোধ, রাগ, খিটখিটে মেজাজ, ক্ষোভ, পছন্দের কাজে আগ্রহ কমে যাওয়া, সব সময় কাজ করা, দাম্পত্য কলহ, অনিদ্রা,মদ ও মাদকের ব্যবহার, বদহজম, ক্ষুধা এবং ওজন পরিবর্তন, মাথাব্যথা বমি বমি ভাব ইত্যাদি।
চিকিৎসা কেমন হবে
সাইকোথেরাপি এ ক্ষেত্রে চমৎকার কাজে লাগে, এখানে কথা বলাকে চিকিৎসার কাজে লাগানো হয়। এ ছাড়া চিকিৎসক প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধ দিতে পারেন। এ সময় বাবাদের সুষম খাদ্যগ্রহণ ও ব্যায়াম করা প্রয়োজন। বলে রাখা ভালো, নতুন মা যদি বিষণ্নতায় ভোগেন, তাহলে কিন্তু বাবারও বিষণ্নতায় ভোগার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কাজেই এ সময় বৃহত্তর পরিবারের ভূমিকা হবে নতুন মাকে বিশ্রাম দেওয়া, সেই সঙ্গে বাবারও যত্ন নেওয়া।
লেখক : চিকিৎসক, কাউনসেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
১ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
১ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
১ দিন আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
১ দিন আগেডা. পূজা সাহা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

গর্ভকাল থেকে সন্তান প্রসবের এই দীর্ঘ সময়ে মায়েরা নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্য় দিয়ে যান। ফলে মায়েরা সন্তান জন্মদানের পর পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বা প্রসব-পরবর্তী বিষণ্নতায় ভোগেন। আমাদের দেশে নতুন মায়ের এই ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার ব্যাপারটি সম্পর্কে এখন অনেকেই সচেতন। কিন্তু জানেন কি, সন্তান জ
২৫ এপ্রিল ২০২৪
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
১ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
১ দিন আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
১ দিন আগেডা. মো. নূর আলম

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

গর্ভকাল থেকে সন্তান প্রসবের এই দীর্ঘ সময়ে মায়েরা নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্য় দিয়ে যান। ফলে মায়েরা সন্তান জন্মদানের পর পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বা প্রসব-পরবর্তী বিষণ্নতায় ভোগেন। আমাদের দেশে নতুন মায়ের এই ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার ব্যাপারটি সম্পর্কে এখন অনেকেই সচেতন। কিন্তু জানেন কি, সন্তান জ
২৫ এপ্রিল ২০২৪
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
১ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
১ দিন আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
১ দিন আগেডা. মো. মাজহারুল হক তানিম

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

গর্ভকাল থেকে সন্তান প্রসবের এই দীর্ঘ সময়ে মায়েরা নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্য় দিয়ে যান। ফলে মায়েরা সন্তান জন্মদানের পর পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বা প্রসব-পরবর্তী বিষণ্নতায় ভোগেন। আমাদের দেশে নতুন মায়ের এই ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার ব্যাপারটি সম্পর্কে এখন অনেকেই সচেতন। কিন্তু জানেন কি, সন্তান জ
২৫ এপ্রিল ২০২৪
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
১ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
১ দিন আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
১ দিন আগেনাহিদা আহমেদ

মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে, তিনি প্রতিদিন ৬০ গ্রামের মতো প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন। কিডনির সমস্যাসহ বিশেষ কিছু রোগের ক্ষেত্রে আবার পরিমাণ কমাতে হবে। আবার মেয়েদের মাসিকের সময় এবং গর্ভকালে এই প্রোটিনের চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়ে থাকে।
অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীরে যেসব সমস্যা হতে পারে—
নিশ্বাসে দুর্গন্ধ
মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের ফলে নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীর কিটোসিস নামক একটি বিপাকীয় অবস্থায় চলে যায়। এই অবস্থায় বিভিন্ন রাসায়নিক তৈরি হয় বলে শরীরে অপ্রীতিকর গন্ধ তৈরি হয়।
কিডনি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে প্রোটিন ভেঙে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি হয়।
এ থেকে তৈরি হয় নাইট্রোজেন বা বর্জ্য পদার্থ। যেসব রোগীর কিডনির বিভিন্ন জটিলতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে দুর্বল কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের জন্য আরও বেশি শক্তি ক্ষয় করে। এর ফলে কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
পানিশূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে
অতিরিক্ত নাইট্রোজেন বের করার জন্য শরীরে বিভিন্ন তরল ও পানির নিষ্কাশন বেড়ে যায়। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তৃষ্ণার্ত না করেও এটি আপনাকে পানিশূন্য করে দিতে পারে।
ডায়রিয়া হতে পারে
অত্যধিক দুগ্ধজাত অথবা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলে আঁশের অভাব দেখা দিতে পারে। এতে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি বিশেষভাবে সত্য হবে, যদি আপনার দুধজাতীয় খাবার খাওয়ায় সমস্যা থাকে কিংবা ভাজা মাংস, মাছ এবং হাঁস-মুরগির মতো উৎস থেকে প্রোটিন গ্রহণ করেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে
অনেকে শর্করা কমিয়ে দিয়ে প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। তাঁদের ক্ষেত্রে শরীরে আঁশের ঘাটতি হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘ সময় প্রতিদিন একটানা ১০০ গ্রামের বেশি লাল মাংস খেলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা, ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি, বৃহদন্ত্র ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া বেশি প্রোটিন গ্রহণ ফুসফুসের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়া, কোলন ও স্তন ক্যানসারে ভূমিকা রাখে। এমনকি অতিরিক্ত লাল মাংস গ্রহণে আর্থ্রাইটিস, গাউট, পেপটিক আলসার, পিত্তথলিতে পাথর, প্যানক্রিয়াস প্রদাহ, কিডনি রোগসহ বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে।
লেখক: পুষ্টিবিদ, ফরাজি হসপিটাল, বারিধারা

মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে, তিনি প্রতিদিন ৬০ গ্রামের মতো প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন। কিডনির সমস্যাসহ বিশেষ কিছু রোগের ক্ষেত্রে আবার পরিমাণ কমাতে হবে। আবার মেয়েদের মাসিকের সময় এবং গর্ভকালে এই প্রোটিনের চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়ে থাকে।
অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীরে যেসব সমস্যা হতে পারে—
নিশ্বাসে দুর্গন্ধ
মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের ফলে নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীর কিটোসিস নামক একটি বিপাকীয় অবস্থায় চলে যায়। এই অবস্থায় বিভিন্ন রাসায়নিক তৈরি হয় বলে শরীরে অপ্রীতিকর গন্ধ তৈরি হয়।
কিডনি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে প্রোটিন ভেঙে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি হয়।
এ থেকে তৈরি হয় নাইট্রোজেন বা বর্জ্য পদার্থ। যেসব রোগীর কিডনির বিভিন্ন জটিলতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে দুর্বল কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের জন্য আরও বেশি শক্তি ক্ষয় করে। এর ফলে কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
পানিশূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে
অতিরিক্ত নাইট্রোজেন বের করার জন্য শরীরে বিভিন্ন তরল ও পানির নিষ্কাশন বেড়ে যায়। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তৃষ্ণার্ত না করেও এটি আপনাকে পানিশূন্য করে দিতে পারে।
ডায়রিয়া হতে পারে
অত্যধিক দুগ্ধজাত অথবা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলে আঁশের অভাব দেখা দিতে পারে। এতে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি বিশেষভাবে সত্য হবে, যদি আপনার দুধজাতীয় খাবার খাওয়ায় সমস্যা থাকে কিংবা ভাজা মাংস, মাছ এবং হাঁস-মুরগির মতো উৎস থেকে প্রোটিন গ্রহণ করেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে
অনেকে শর্করা কমিয়ে দিয়ে প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। তাঁদের ক্ষেত্রে শরীরে আঁশের ঘাটতি হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘ সময় প্রতিদিন একটানা ১০০ গ্রামের বেশি লাল মাংস খেলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা, ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি, বৃহদন্ত্র ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া বেশি প্রোটিন গ্রহণ ফুসফুসের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়া, কোলন ও স্তন ক্যানসারে ভূমিকা রাখে। এমনকি অতিরিক্ত লাল মাংস গ্রহণে আর্থ্রাইটিস, গাউট, পেপটিক আলসার, পিত্তথলিতে পাথর, প্যানক্রিয়াস প্রদাহ, কিডনি রোগসহ বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে।
লেখক: পুষ্টিবিদ, ফরাজি হসপিটাল, বারিধারা

গর্ভকাল থেকে সন্তান প্রসবের এই দীর্ঘ সময়ে মায়েরা নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্য় দিয়ে যান। ফলে মায়েরা সন্তান জন্মদানের পর পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বা প্রসব-পরবর্তী বিষণ্নতায় ভোগেন। আমাদের দেশে নতুন মায়ের এই ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার ব্যাপারটি সম্পর্কে এখন অনেকেই সচেতন। কিন্তু জানেন কি, সন্তান জ
২৫ এপ্রিল ২০২৪
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
১ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
১ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
১ দিন আগে