অনলাইন ডেস্ক
করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এটির উৎপত্তি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। করোনার নতুন এই ধরন মারাত্মক হুমকি তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের এই ধরন ব্যাপকভাবে মিউটেট (আচরণ পরিবর্তন) করেছে। এই ধরনের নাম দেওয়া হয়েছে বি.১.১.৫২৯। তবে দ্রুতই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটির গ্রিক নাম ঠিক করে দেবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
এখনো পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার কয়েকটি প্রদেশে কিছু মানুষ করোনার এই নতুন ধরনে আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাস্তবে এটি আরও বেশি ছড়িয়ে গেছে।
করোনার এই নতুন ধরন কতটা দ্রুত ছড়াতে পারে, প্রচলিত টিকার মাধ্যমে এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ থেকে কতটা রক্ষা পাওয়া সম্ভব এবং এই ভ্যারিয়েন্ট থেকে সুরক্ষা পেতে কী করা যেতে পারে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের সংক্রামক রোগবিষয়ক সংস্থা ইমপেরিয়াল ডিপার্টমেন্ট অব ইনফেকশাস ডিজিজের একজন ভাইরোলজিস্ট নতুন এই ভ্যারিয়েন্টকে 'ভয়াবহ' এবং 'এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে খারাপ ধরন' বলে বর্ণনা করেছেন। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা ও হংকংয়ে মোট ৫৯ জন বি.১.১.৫২৯ দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সেন্টার ফর এপিডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড ইনোভেশনের পরিচালক অধ্যাপক টুলিও ডি অলিভিয়েরা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, এই ধরনের মিউটেশনের ধারা অস্বাভাবিক এবং অন্যান্য ধরন থেকে এটি অনেক ভিন্ন।
অলিভিয়েরা বলেন, `এই ধরন আমাদের অবাক করেছে। বিবর্তনের হিসঅবে এবং পরবর্তী মিউটেশনের হিসেব করলে এটি কয়েক ধাপ লাফ দিয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক অলিভিয়েরা বলেন, সব মিলিয়ে ৫০টি মিউটেশন রয়েছে, যার মধ্যে ৩০টি মিউটেশেনই স্পাইক প্রোটিনে। অধিকাংশ টিকাই স্পাইক প্রোটিনের এই ভ্যারিয়েন্টগুলোকে আক্রমণ করে।
ভাইরাসের যে অংশটি রিসিপটর বাইন্ডিং ডোমেইন, আমাদের শরীরের কোষের সঙ্গে প্রথম সংযোগ ঘটায়, নতুন ভ্যারিয়েন্টে সেটির ১০টি মিউটেশন রয়েছে। ভয়াবহ ক্ষতিকর হিসেবে আলোড়ন তৈরি করা ডেলটা ধরন এই মিউটেশন ছিল মাত্র দুটি।
অনেকগুলো মিউটেশন থাকা মানেই যে তা ক্ষতিকর, তা নয়। কিন্তু মিউটেশনগুলো আসলে কী ক্ষতি করছে, তা জানা জরুরি।
চিন্তার বিষয় হলো, চীনের উহানে উদ্ভূত ধরনের চেয়ে এটি অনেক ভিন্ন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে তৈরি হওয়া টিকা নতুন ধরনের জন্য সমানভাবে কার্যকর না-ও হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ভ্যারিয়েন্টটিতে দেখা যাওয়া কয়েকটি মিউটেশন এর আগে অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে।
যেমন, এন ৫০১ ওয়াই করোনাভাইরাসকে সহজে সংক্রমিত হতে সহায়তা করে বলে ধারণা করা হয়। নতুন ধরনে আরও কিছু মিউটেশন রয়েছে, যার ফলে শরীরের অ্যান্টিবডি ভাইরাসকে শনাক্ত করতে পারে না এবং ভ্যাকসিনকে অপেক্ষাকৃত কম কার্যকর করতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু-নাটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রিচার্ড লেসেলস বলেন, মিউটেশনগুলো ভাইরাসকে সংক্রমণে, এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে ছড়িয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে শক্তিশালী করেছে বলে আশঙ্কা করছি আমরা। ইমিউন সিস্টেমের বিভিন্ন অংশকে পাশ কাটিয়ে শরীরে প্রবেশ করার সক্ষমতাও থাকতে পারে এগুলোর।
এ বছরের শুরুতে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক তৈরি করেছিল বেটা ভ্যারিয়েন্ট, কারণ ইমিউন সিস্টেমকে পাশ কাটিয়ে শরীরে প্রবেশ করার সক্ষমতা সবচেয়ে বেশি ছিল ওই ভ্যারিয়েন্টের। কিন্তু পরবর্তীতে দ্রুত সংক্রমিত হওয়া ডেলটা ভ্যারিয়েন্টই বেশি ভয়াবহ হিসেবে প্রতীয়মান হয়।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাভি গুপ্তা বলেন, বেটা শুধু ইমিউন সিস্টেমকে ফাঁকি দিত, আর কিছু না। ডেলটার সংক্রমণের ক্ষমতা ছিল বেশি। নতুন ভ্যারিয়ন্টের এই দুই ধরনের ক্ষতি করারই সামর্থ্য রয়েছে।
করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এটির উৎপত্তি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। করোনার নতুন এই ধরন মারাত্মক হুমকি তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের এই ধরন ব্যাপকভাবে মিউটেট (আচরণ পরিবর্তন) করেছে। এই ধরনের নাম দেওয়া হয়েছে বি.১.১.৫২৯। তবে দ্রুতই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটির গ্রিক নাম ঠিক করে দেবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
এখনো পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার কয়েকটি প্রদেশে কিছু মানুষ করোনার এই নতুন ধরনে আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাস্তবে এটি আরও বেশি ছড়িয়ে গেছে।
করোনার এই নতুন ধরন কতটা দ্রুত ছড়াতে পারে, প্রচলিত টিকার মাধ্যমে এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ থেকে কতটা রক্ষা পাওয়া সম্ভব এবং এই ভ্যারিয়েন্ট থেকে সুরক্ষা পেতে কী করা যেতে পারে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের সংক্রামক রোগবিষয়ক সংস্থা ইমপেরিয়াল ডিপার্টমেন্ট অব ইনফেকশাস ডিজিজের একজন ভাইরোলজিস্ট নতুন এই ভ্যারিয়েন্টকে 'ভয়াবহ' এবং 'এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে খারাপ ধরন' বলে বর্ণনা করেছেন। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা ও হংকংয়ে মোট ৫৯ জন বি.১.১.৫২৯ দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সেন্টার ফর এপিডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড ইনোভেশনের পরিচালক অধ্যাপক টুলিও ডি অলিভিয়েরা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, এই ধরনের মিউটেশনের ধারা অস্বাভাবিক এবং অন্যান্য ধরন থেকে এটি অনেক ভিন্ন।
অলিভিয়েরা বলেন, `এই ধরন আমাদের অবাক করেছে। বিবর্তনের হিসঅবে এবং পরবর্তী মিউটেশনের হিসেব করলে এটি কয়েক ধাপ লাফ দিয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক অলিভিয়েরা বলেন, সব মিলিয়ে ৫০টি মিউটেশন রয়েছে, যার মধ্যে ৩০টি মিউটেশেনই স্পাইক প্রোটিনে। অধিকাংশ টিকাই স্পাইক প্রোটিনের এই ভ্যারিয়েন্টগুলোকে আক্রমণ করে।
ভাইরাসের যে অংশটি রিসিপটর বাইন্ডিং ডোমেইন, আমাদের শরীরের কোষের সঙ্গে প্রথম সংযোগ ঘটায়, নতুন ভ্যারিয়েন্টে সেটির ১০টি মিউটেশন রয়েছে। ভয়াবহ ক্ষতিকর হিসেবে আলোড়ন তৈরি করা ডেলটা ধরন এই মিউটেশন ছিল মাত্র দুটি।
অনেকগুলো মিউটেশন থাকা মানেই যে তা ক্ষতিকর, তা নয়। কিন্তু মিউটেশনগুলো আসলে কী ক্ষতি করছে, তা জানা জরুরি।
চিন্তার বিষয় হলো, চীনের উহানে উদ্ভূত ধরনের চেয়ে এটি অনেক ভিন্ন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে তৈরি হওয়া টিকা নতুন ধরনের জন্য সমানভাবে কার্যকর না-ও হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ভ্যারিয়েন্টটিতে দেখা যাওয়া কয়েকটি মিউটেশন এর আগে অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে।
যেমন, এন ৫০১ ওয়াই করোনাভাইরাসকে সহজে সংক্রমিত হতে সহায়তা করে বলে ধারণা করা হয়। নতুন ধরনে আরও কিছু মিউটেশন রয়েছে, যার ফলে শরীরের অ্যান্টিবডি ভাইরাসকে শনাক্ত করতে পারে না এবং ভ্যাকসিনকে অপেক্ষাকৃত কম কার্যকর করতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু-নাটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রিচার্ড লেসেলস বলেন, মিউটেশনগুলো ভাইরাসকে সংক্রমণে, এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে ছড়িয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে শক্তিশালী করেছে বলে আশঙ্কা করছি আমরা। ইমিউন সিস্টেমের বিভিন্ন অংশকে পাশ কাটিয়ে শরীরে প্রবেশ করার সক্ষমতাও থাকতে পারে এগুলোর।
এ বছরের শুরুতে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক তৈরি করেছিল বেটা ভ্যারিয়েন্ট, কারণ ইমিউন সিস্টেমকে পাশ কাটিয়ে শরীরে প্রবেশ করার সক্ষমতা সবচেয়ে বেশি ছিল ওই ভ্যারিয়েন্টের। কিন্তু পরবর্তীতে দ্রুত সংক্রমিত হওয়া ডেলটা ভ্যারিয়েন্টই বেশি ভয়াবহ হিসেবে প্রতীয়মান হয়।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাভি গুপ্তা বলেন, বেটা শুধু ইমিউন সিস্টেমকে ফাঁকি দিত, আর কিছু না। ডেলটার সংক্রমণের ক্ষমতা ছিল বেশি। নতুন ভ্যারিয়ন্টের এই দুই ধরনের ক্ষতি করারই সামর্থ্য রয়েছে।
২০২৫ সালে এসেও এই চিত্র খুব একটা বদলায়নি। এখনো স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি ৪টি উপাদান লৌহ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২, জিংকের ঘাটতিতে ভুগছে প্রায় ২৫ শতাংশ কিশোরী এবং স্থূলতায় আক্রান্ত কমপক্ষে ১০ শতাংশ।
২৪ মিনিট আগেআত্মহত্যা একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশে আত্মহত্যার প্রবণতা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যা প্রতিরোধের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাংলাদেশে এখনো আত্মহত্যা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত গবেষণা ও কার্যকর নীতিমালা তৈরি হয়নি
১ ঘণ্টা আগেদেশে এক দশক আগে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এবার এক স্থানে একাধিক ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, যাকে ক্লাস্টার (গুচ্ছ) সংক্রমণ বলা হয়। একই এলাকার পাঁচ ব্যক্তির সংক্রমণের বিষয়টি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)।
৩ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিনেও নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন না হওয়ায় অধিকাংশ মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের চাকরির বয়স উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ সম্পন্ন না হলে আবেদনকারীরা সরকারি চাকরি পাবেন না। সরকারের পক্ষ থেকে
২১ ঘণ্টা আগে